৩ বছর বিরতির পর অনেকটা নীরবেই হয়ে গেল ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-২০২৩’-এর আয়োজন। গেল ২৮ জানুয়ারি বসেছিল এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত আসর।
সেখানে ২০ প্রতিযোগীর মধ্যে থেকে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-২০২৩’ এর মুকুট উঠেছে ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার, মডেল ও টিকটকার শাম্মি ইসলাম নীলার মাথায়।
এছাড়া প্রথম রানারআপ হয়েছেন আকলিমা আতিকা কণিকা ও দ্বিতীয় রানারআপ শাকিরা তামান্না।
জানা যায়, মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন শাম্মি ইসলাম নীলার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা ঢাকায়। দুই ভাই-বোনের মধ্যে ২৩ বছর বয়সী নীলা বড়। রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএতে পড়াশোনা করছেন তিনি।
নীলার ছোটবেলা থেকেই তার ইচ্ছা ছিল ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার। তিন বছর ধরে মডেলিং করছেন তিনি। ফ্যাশন আর বিউটি নিয়ে কয়েকটি বাংলাদেশি ব্র্যান্ডের সঙ্গে ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে নিয়মিত কাজ করছেন তিনি।
সামাজিক মাধ্যমেও তার পরিচিতি বেশ। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম আর টিকটক - তিন মাধ্যমেই জনপ্রিয় নীলা। বিশেষ করে টিকটকে তার কয়েকটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ফেসবুকে তার ৫৬ হাজার অনুসারী। ইনস্টাগ্রামে তা ছাড়িয়ে গেছে এক লাখ ১০ হাজার।
ভবিষ্যতে মডেলিং ও অভিনয় করতে চান নীলা। পাশাপাশি প্রাণীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বিজয়ী নীলা বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন মিস ওয়ার্ল্ডের ৭১তম আসরে। এবারের মূল আয়োজনটি হবে ভারতে। এই আসরে যোগ দিতে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লি যাবেন নীলাসহ বিভিন্ন দেশের বিজয়ী সুন্দরীরা। আগামী ৯ মার্চ ভারতে অনুষ্ঠিত হবে ‘মিস ওয়ার্ল্ড-২০২৩’ প্রতিযোগিতা।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ঢাকা জেলা শাখা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার লেখা বই ‘বঙ্গবন্ধু থেকে দেশরত্ব: অনুপ্রেরণার মহাকাব্য’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন। এসময় গ্রন্থকার বিপ্লব বড়ুয়া ও প্রকাশক কবি তারিক সুজাতসহ মন্ত্রপরিষদের সদস্যবর্গ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বইটির মুখবন্ধ লিখেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গিত গ্রন্থটিতে দশটি প্রবন্ধ, যা- বাঙালির চিরঞ্জীব অনুপ্রেরণার মহাকাব্য, বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুর অনন্য সংগ্রাম, মহান পিতার সুযোগ্য কন্যা, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরদ্ধারের দিন ৭ মে ২০০৭, ৩১ জানুয়ারি ১৯৯৬: ভুলে যাওয়া এক অভিশপ্ত দিন, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ নিয়ে বিএনপি'র রাজনীতি, পদ্মা সেতুবিরোধী ষড়যন্ত্র ও ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি, ১৫ ফেব্রুয়ারির বিএনপি'র নির্বাচন এবং ইতিহাসের কালো অধ্যায়, নির্বাচন কমিশন গঠন আইন: অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনামূলক বিশ্লেষণ শিরোনামে সংকলিত হয়েছে। লেখাগুলোতে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপান্তের আলোকে বিশ্লেষণের মাধ্যমে নির্মোহ সত্যাসত্য উপস্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে গ্রন্থকারের জীবনাভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে দুটি রাজনৈতিক স্মৃতিগদ্যও রয়েছে।
শেষ অধ্যায়ে বিপ্লব বড়ুয়া প্রদত্ত একটি ইংরেজিসহ মোট চারটি সাক্ষাৎকার গ্রন্থভুক্ত হয়েছে, যথা-সরকার ভারত বা চীনমুখী নয়, সম্পূর্ণভাবে দেশের জনগণমুখী, মুক্তির প্রশ্নে ভরসা কেবল শেখ হাসিনা, তরুণরা সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ, আমি বিশ্বাস করি না, এবং ‘‘Seventy-five is A Very Sensitive Term For Us’’ যেখানে গ্রন্থকারের রাজনৈতিক দর্শন ও দূরবৃষ্টি পাঠকের সামনে প্রতিভাত হয়ে উঠে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা মুখবন্ধে লিখেছেন, ‘পৃথিবীর অনেক রাজনীতিবিদের রচনাই ইতিহাসের অসামান্য দলিল হিসেবে স্বীকৃত। জাতির পিতার বইগুলো তার সঙ্গে উল্লেখযোগ্য সংযোজন। বিভিন্ন সময়ে পত্রিকায় প্রকাশিত বিপ্লবের লেখাগুলো গ্রন্থ হিসেবে প্রকাশ পাচ্ছে, এটি আমার কাছে অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ। লেখাগুলোতে বাংলাদেশের রাজনীতির কিছু চিত্র তুলে ধরেছে বিপ্লব যা পাঠকের কাছে রাজনৈতিক প্রবন্ধ-পাঠের নতুন অভিজ্ঞতা হিসেবে গণ্য হবে।
বিপ্লবের মতো সকল রাজনৈতিক কর্মীরা সমাজ ও রাজনীতি নিয়ে নিয়মিত লিখবে, এ আমার প্রত্যাশা।’- বইটির মুখবন্ধ লেখা ও মোড়ক উন্মোচন করায় জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা'র প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিপ্লব বড়ুয়া।
পাশাপাশি বইটির প্রকাশক ও উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
খেজুরের রসে মারাত্মক প্রাণঘাতী নিপাহ ভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর খেজুরের রস বিক্রেতাদের কাঁচা রস বিক্রি বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছে ।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম) ডা. শ. ম. গোলাম কায়ছার স্বাক্ষরিত জরুরি এক স্বাস্থ্য বার্তায় অধিদপ্তর জানায়, নিপাহ ভাইরাসে মৃত্যুর হার প্রায় ৭০ শতাংশেরও বেশি। ২০২২-২৩ সালে দেশে এই রোগে আক্রান্ত ১৪ জনের মধ্যে ১০ জনই মৃত্যুবরণ করেন। তাই প্রতিরোধই হচ্ছে এই রোগ থেকে বাঁচার উপায়।
এতে বলা হয়েছে, নিপাহ একটি ভাইরাসজনিত মারাত্মক প্রাণঘাতী রোগ। সাধারণত শীতকালে নিপাহ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। কাঁচা খেজুরের রসে বাদুড়ের বিষ্ঠা বা লালা মিশ্রিত হয় এবং ওই বিষ্ঠা বা লালাতে নিপাহ ভাইরাসের জীবাণু থাকে। ফলে খেজুরের কাঁচা রস পান করলে মানুষ নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে যে কেউ।
স্বাস্থ্য বার্তায় আরো বলা হয়েছে, বর্তমান সময়ে বড়দের পাশাপাশি শিশু-কিশোরেরা নিপাহ ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তাই খেজুরের কাঁচা রস সংগ্রহ, বিক্রয় ও বিতরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গাছিকে এবং জনসাধারনগণকে প্রাণিবাহিত সংক্রামক ব্যাধি রোগ নিপাহ ভাইরাস সম্পর্কে অবহিত করা হলে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
বিজ্ঞপ্তিতে খেজুরের রস থেকে তৈরি গুড় খেতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানায়,নিপাহ ভাইরাসে মৃত্যুর হার প্রায় ৭০ শতাংশেরও বেশি। ২০২২-২৩ সালে দেশে এ রোগে আক্রান্ত ১৪ জনের মধ্যে ১০ জনই মৃত্যুবরণ করেন। অধিদপ্তর জানায়, প্রতিরোধই হচ্ছে এই রোগ থেকে বাঁচার উপায়। খেজুরের রস বিক্রেতাদের প্রতি অনুরোধ কেউ কাঁচা রস খেতে চাইলে বিক্রি করবেন না।
নিপাহ রোগের প্রধান লক্ষণ সমূহ :
১. জ্বরসহ মাথা ব্যাথা
২. খিচুনি
৩. প্রলাপ বকা
৪. অজ্ঞান হওয়া
৫. কোনো কোনো ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হওয়া
নিপাহ রোগ প্রতিরোধে করণীয় :
১. খেজুরের কাঁচা রস খাবেন না
২. কোনো ধরনের আংশিক খাওয়া ফল খাবেন না
৩. ফল-মূল পরিস্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে খাবেন
৪. নিপাহ রোগের লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে অতি দ্রুত নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাবেন
৫. আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসার পর সাবান ও পানি দিয়ে দুই হাত ভালোভাবে ধুয়ে ফেলবেন
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নবগঠিত মন্ত্রিসভার আকার বাড়বে।
বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা হলো ৩৬ জন। তবে গুঞ্জন রয়েছে,নতুন করে এর সঙ্গে ১০ থেকে ১২ জন বাড়তে পারে ।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় সূত্র এবং মন্ত্রিপরিষদ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারের কর্মপরিধি সহজ করার স্বার্থে সংরক্ষিত আসনে নারীদের নাম চূড়ান্ত হওয়ার পর এ মন্ত্রিসভার আকার বাড়ানো হবে।স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সংরক্ষিত আসন থেকে দু-একজন, নির্বাচিত এমপিদের থেকে কয়েকজন এবং শরিক দল ও টেকনোক্র্যাট কোটায় আরও দুজন আসতে পারে বর্ধিত মন্ত্রিসভায়।
এছাড়া সরকারের একটি দায়িত্বশীল সূত্র মনে করছে, ফেব্রুয়ারিতে বাড়তে পারে মন্ত্রিসভার আকার। বিদায়ী মন্ত্রিসভার আকার ছিল ৪৮ সদস্যের। আর বর্তমান মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রীসহ ৩৭ জন। তবে এখনো কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন প্রধানমন্ত্রী। অনেক মন্ত্রণালয় যেখানে গতবার প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী ছিল সেগুলো ফাঁকা রয়েছে।
বিগত দিনের মন্ত্রিসভার দিকে তাকালে বোঝা যায় এটা বাড়বে। কারণ উল্লেখ করে দলের একাধিক নেতা জানান, মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের প্রচুর কাজ থাকে। স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। সে কারণে কাজকে সহজ করে দ্রুত বাস্তবায়ন করাই চ্যালেঞ্জ। সরকার সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে কয়েকজনকে দায়িত্ব দিয়েছে। আরও দায়িত্ব দেওয়া হবে।
কবে নাগাদ মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ আসতে পারে জানতে চাইলে দায়িত্বশীল এক নেতা জানান, সামনে সংরক্ষিত নারী আসনের বিষয়টি আছে। সেটি দ্রুতই নিষ্পত্তি হবে। তারপরই হতে পারে সিদ্ধান্ত।
গতবারের মতো এবারও শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভায় এখন পর্যন্ত সবাই আওয়ামী লীগের। শরিক দলের কাউকে মন্ত্রিসভায় রাখা হয়নি। তবে দলের একটি সূত্রের দাবি, শরিক থেকে একজনকে মন্ত্রী করা হতে পারে। সেটি টেকনোক্র্যাট কোটায় হতে পারে। এ ছাড়া নৌকার প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত সাবেক সচিবদের মধ্য থেকেও কেউ যুক্ত হতে পারেন বলে আভাস পাওয়া গেছে।
মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের দফতর বণ্টনের প্রজ্ঞাপন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে এবার এখনো পূর্ণ মন্ত্রী নিয়োগ দেননি প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী নিয়োগ করা হলেও সেখানে প্রতিমন্ত্রীর আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে। বিদায়ী মন্ত্রিসভায় এসব মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী কিংবা উপমন্ত্রী ছিলেন সেখানে এখনো ফাঁকা রেখেছেন। সরকার ও প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ফাঁকা থাকা মন্ত্রণালয়ে পূর্ণ মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। যেসব মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী আছেন, কিন্তু প্রতিমন্ত্রী নেই, সেখানে একজন প্রতিমন্ত্রী দেওয়া হতে পারে। গতবারের মতো এবারের মন্ত্রিসভায়ও অনেক বেশি নতুনত্ব ও বৈচিত্র্য এনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই সামনে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্য যুক্ত হলে প্রধানমন্ত্রী সেখানেও চমক এবং নতুনত্ব রাখবেন বলে ধারণা করছেন অনেকেই।
মন্তব্য করুন
সমাজে
বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ‘বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩ পেয়েছেন ৫
বিশিষ্ট নারী।
শনিবার
(৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস
উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট নারী ও তাদের
স্বজনদের হাতে পদক তুলে
দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে
সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও
শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। স্বাগত
বক্তব্য দেন মহিলা ও
শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
বেগম
রোকেয়া পদকপ্রাপ্তরা হলেন: নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য খালেদা
একরাম (মরণোত্তর), নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায়
ডা. হালিদা হানুম আখতার, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে
কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা (মরণোত্তর), নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণে
নিশাত মজুমদার ও পল্লী উন্নয়নে
রনিতা বালা।
বেগম
রোকেয়া পদকপ্রাপ্তদের ১৮ ক্যারেট মানের
২৫ গ্রাম স্বর্ণ নির্মিত ১টি পদক, পদকের
রেপ্লিকা, প্রত্যেককে ৪ লাখ টাকার চেক ও সম্মাননাপত্র
দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ঢাকা জেলা শাখা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার লেখা বই ‘বঙ্গবন্ধু থেকে দেশরত্ব: অনুপ্রেরণার মহাকাব্য’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন। এসময় গ্রন্থকার বিপ্লব বড়ুয়া ও প্রকাশক কবি তারিক সুজাতসহ মন্ত্রপরিষদের সদস্যবর্গ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বইটির মুখবন্ধ লিখেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গিত গ্রন্থটিতে দশটি প্রবন্ধ, যা- বাঙালির চিরঞ্জীব অনুপ্রেরণার মহাকাব্য, বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুর অনন্য সংগ্রাম, মহান পিতার সুযোগ্য কন্যা, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরদ্ধারের দিন ৭ মে ২০০৭, ৩১ জানুয়ারি ১৯৯৬: ভুলে যাওয়া এক অভিশপ্ত দিন, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ নিয়ে বিএনপি'র রাজনীতি, পদ্মা সেতুবিরোধী ষড়যন্ত্র ও ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি, ১৫ ফেব্রুয়ারির বিএনপি'র নির্বাচন এবং ইতিহাসের কালো অধ্যায়, নির্বাচন কমিশন গঠন আইন: অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনামূলক বিশ্লেষণ শিরোনামে সংকলিত হয়েছে। লেখাগুলোতে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপান্তের আলোকে বিশ্লেষণের মাধ্যমে নির্মোহ সত্যাসত্য উপস্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে গ্রন্থকারের জীবনাভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে দুটি রাজনৈতিক স্মৃতিগদ্যও রয়েছে।
শেষ অধ্যায়ে বিপ্লব বড়ুয়া প্রদত্ত একটি ইংরেজিসহ মোট চারটি সাক্ষাৎকার গ্রন্থভুক্ত হয়েছে, যথা-সরকার ভারত বা চীনমুখী নয়, সম্পূর্ণভাবে দেশের জনগণমুখী, মুক্তির প্রশ্নে ভরসা কেবল শেখ হাসিনা, তরুণরা সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ, আমি বিশ্বাস করি না, এবং ‘‘Seventy-five is A Very Sensitive Term For Us’’ যেখানে গ্রন্থকারের রাজনৈতিক দর্শন ও দূরবৃষ্টি পাঠকের সামনে প্রতিভাত হয়ে উঠে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা মুখবন্ধে লিখেছেন, ‘পৃথিবীর অনেক রাজনীতিবিদের রচনাই ইতিহাসের অসামান্য দলিল হিসেবে স্বীকৃত। জাতির পিতার বইগুলো তার সঙ্গে উল্লেখযোগ্য সংযোজন। বিভিন্ন সময়ে পত্রিকায় প্রকাশিত বিপ্লবের লেখাগুলো গ্রন্থ হিসেবে প্রকাশ পাচ্ছে, এটি আমার কাছে অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ। লেখাগুলোতে বাংলাদেশের রাজনীতির কিছু চিত্র তুলে ধরেছে বিপ্লব যা পাঠকের কাছে রাজনৈতিক প্রবন্ধ-পাঠের নতুন অভিজ্ঞতা হিসেবে গণ্য হবে।
বিপ্লবের মতো সকল রাজনৈতিক কর্মীরা সমাজ ও রাজনীতি নিয়ে নিয়মিত লিখবে, এ আমার প্রত্যাশা।’- বইটির মুখবন্ধ লেখা ও মোড়ক উন্মোচন করায় জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা'র প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিপ্লব বড়ুয়া।
পাশাপাশি বইটির প্রকাশক ও উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
মহান মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকার রূপকার বীর মুক্তিযোদ্ধা কুমিল্লার কৃতি সন্তান শিব নারায়ন দাস (৭৮) মারা গেছেন।
আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে তিনি রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের আইসিইউতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
আগামীকাল (২০ এপ্রিল) শনিবার বিকাল ৪ টায় কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ন দাসের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ রাখা হবে।
কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এক শোকবার্তায় শিবনারায়ণ দাসের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
কুমিল্লার সর্বস্তরের সকল শ্রেনী পেশার মানুষকে কুমিল্লা টাউন মাঠে উপস্থিত হয়ে প্রয়াত শিব নারায়ন দাসের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।
শিবনারায়ণ দাসের জন্ম কুমিল্লায়। তাঁর পিতা সতীশচন্দ্র দাস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা তাঁকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। শিবনারায়ণ দাসের স্ত্রীর নাম গীতশ্রী চৌধুরী এবং তাঁদের সন্তান অর্ণব আদিত্য দাস।
শিবনারায়ণ দাস ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন অংশগ্রহণ করে কারাবরণ করেন। তিনি ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও নেতা ছিলেন। ১৯৭০ সালের ৭ জুন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশ গ্রহণের কথা ছিল। এ লক্ষ্যে ছাত্রদের নিয়ে একটি বাহিনী মতান্তরে ‘ফেব্রুয়ারি-১৫ বাহিনী’ গঠন করা হয়। ছাত্রনেতারা এই বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।
এ লক্ষ্যে ১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ১০৮ নম্বর কক্ষে ছাত্রলীগ নেতা আ স ম আবদুর রব, শাহজাহান সিরাজ, কাজী আরেফ আহমদ, মার্শাল মনিরুল ইসলাম পতাকার পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা স্বপন কুমার চৌধুরী, জগন্নাথ কলেজের ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা শিবনারায়ণ দাশ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ সাধারণ সম্পাদক হাসানুল হক ইনু ও ছাত্রনেতা ইউসুফ সালাউদ্দিন।
সভায় কাজী আরেফের প্রাথমিক প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে আলোচনা শেষে সবুজ জমিনের ওপর লাল সূর্যের মাঝে হলুদ রঙের বাংলার মানচিত্র খচিত পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। কামরুল আলম খান তখন ঢাকা নিউমার্কেটের এক বিহারি দরজির দোকান থেকে বড় এক টুকরো সবুজ কাপড়ের মাঝে লাল একটি বৃত্ত সেলাই করে আনেন।
এরপর প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিতুমীর হলের ৩১২ নম্বর কক্ষের এনামুল হকের কাছ থেকে অ্যাটলাস নিয়ে ট্রেসিং পেপারে আঁকা হলো পূর্ব পাকিস্তানের মানচিত্র। শিবনারায়ণ দাস পরিশেষে নিপুণ হাতে মানচিত্রটি এঁকে দেন লাল বৃত্তের মাঝে। তারপরে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে পটুয়া কামরুল হাসান বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার নতুন রূপ দেন।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এক শোকবার্তায় শিবনারায়ণ দাসের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডাক্তার সামন্ত লাল সেন বলেছেন, শহরের হাসপাতালগুলোতে চাপ কমাতে প্রান্তিক পর্যায়ের
স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে জরুরি সেবা উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। কোন চিকিৎসকের ওপর হামলা
যেমন আমি মেনে নিব না, তেমনি চিকিৎসায় অবহেলা মেনে নেওয়া হবে না।
বুধবার
দুপুরে কুমিল্লার চান্দিনা সোনাপুর কমিউনিটি ক্লিনিক এর নতুন ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের
এসব কথা বলেন তিনি ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডাক্তার সামন্ত লাল সেন আরও বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে
বিভিন্ন এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে। আমরা চাই সেসব এলাকার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো
আরো উন্নত হোক।
উদ্বোধন
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার চান্দিনা আসনের সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল
দত্ত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
একান্ত সচিব কমল কুমার ঘোষ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সারওয়ার হোসেন, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক
খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, জেলা সিভিল সার্জন ডা.
নাছিমা আক্তার, চান্দিনা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন বক্সী প্রমুখ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সন্ধ্যায় কুমিল্লা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বার্ডে কুমিল্লা অঞ্চলের ছয়টি জেলার সকল
সিভিল সার্জন, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান ও চিকিৎসক নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা সভায়
অংশ নেবেন। তিনি আগামীকাল সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করবেন।
মন্তব্য করুন
ঢাক-ঢোল ও বাঁশি বাজিয়ে বাংলা নববর্ষ বরণে অনুষ্ঠিত হলো আজ শোভাযাত্রা। সকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ডিএমপি কমিশনার শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন।
এর
আগে সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রায়
প্রদর্শনীর জন্য বিভিন্ন মুখোশ, পেঁচা, ঘোড়া, মূর্তি, ট্যাপা পুতুল, নকশি পাখি, বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি শোভাযাত্রার জন্য প্রস্তুত করা হয়।
আজ
মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য ছিল ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী।তার সাথে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রার ৩৫ বছর পূর্তি হলো ।
চারুকলা অনুষদের
উদ্যোগে প্রথমবারের মতো বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা
১৯৮৯ সালে । বাঙালি এ উৎসব
সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়। এরপর থেকে বাংলা বর্ষবরণের অপরিহার্য অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে ।
ইউনেস্কোর
বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ করে ২০১৬
সালের ৩০ নভেম্বর এ
শোভাযাত্রা।
মন্তব্য করুন
আজ বাংলা নববর্ষ । বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যে পহেলা বৈশাখে একটি বিশেষ স্থান দখল
করে আছে।
উৎসবমুখর এই দিনটি উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শুভ নববর্ষ
১৪৩১। বাংলা নববর্ষের এই দিনে আমি দেশবাসীসহ সব বাঙালিকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। পয়লা বৈশাখ বাংলা সনের
প্রথম দিন । এটি সর্বজনীন উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে।
আবহমান কাল ধরে নববর্ষের এই উৎসবে ধর্মবর্ণ-নির্বিশেষে সমগ্র জাতি নতুন অঙ্গীকারে নবপ্রাণ
স্পন্দনে জেগে ওঠে । সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে বাঙালি রচনা করে
সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, আনন্দ ও ভালোবাসার মেলবন্ধন।
নববর্ষ এর সূচনালগ্ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের সূচনা হয় মূলত মোগল সম্রাট
আকবরের সময় থেকে। কৃষিকাজের সুবিধার্থে সম্রাট আকবর ফসলি সন হিসেবে বাংলা সন গণনার
যে সূচনা করেন, তা কালের পরিক্রমায় সমগ্র বাঙালির কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার স্মারক
উৎসবে পরিণত হয়েছে। পয়লা বৈশাখ বাঙালিয়ানার প্রতিচ্ছবি। এই উদ্যাপন আমাদের শিকড়ের
সন্ধান দেয়, এর মধ্য দিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় জাতিসত্তার পরিচয়।
নববর্ষ আর বাঙ্গালি জাতি একই সুতার বাঁধনে বাঁধা । বাঙালির প্রতিটি ঘরে, জনজীবনে
এবং আর্থসামাজিক সংস্কৃতিতে পয়লা বৈশাখ এক অনন্য উৎসব। আজকের এই দিনটিকে কেন্দ্র করে
হালখাতার পাশাপাশি যাত্রাগান, পালাগান, পুতুলনাচ, অঞ্চলভিত্তিক লোকসংগীত, খেলাধুলাসহ
বিভিন্ন পসরা নিয়ে মেলার বর্ণিল আয়োজন হয় ।
এ আয়োজনগুলোর গুরত্ব উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এসবের মধ্য দিয়ে যেমন আমাদের
আবহমান গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি প্রাণ ফিরে পায়, তেমনি দেশের অর্থনীতি তথা ক্ষুদ্র ও
কুটির শিল্প ও সমৃদ্ধ হয়, যার ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসে ।
পয়লা বৈশাখ ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে ধারণ
ও লালন করতে শেখায়। অসাম্প্রদায়িকতার চর্চা ও অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পয়লা বৈশাখকে
গুরত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক অপশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করে আত্মপরিচয় ও স্বীয় সংস্কৃতির শক্তিতে বলীয়ান হয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম মুক্তির সংগ্রামে
আর এভাবেই বিশ্বের বুকে অভ্যুদয় ঘটেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।
ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি লালনের মাধ্যমে বিশ্বসমাজে বাঙালি শ্রেষ্ঠ জাতি হয়ে
উঠবে বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউনেস্কো ২০১৬ সালে পয়লা বৈশাখের মঙ্গল
শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। নববর্ষের এ আন্তর্জাতিক
স্বীকৃতি সারা বিশ্বের বাঙালির জন্য নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক,
উদারনৈতিক, জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রের ভাবাদর্শে আজীবন যে সংগ্রাম করে গেছেন, তার মূলমন্ত্র
জাতিগত ঐতিহ্য ও অহংকার। এ কারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং দেশ পুনর্গঠনে কাজ
করেছে তাঁর অভিন্ন চেতনা। আমরা বীরের জাতি, এ জাতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। কাল
থেকে কালান্তরের পথপরিক্রমায় বাঙালির অর্জন ও অগ্রগতি চির ভাস্বর হয়ে থাকবে, এ আমার
দৃঢ় বিশ্বাস।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত
জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ
করতে সক্ষম হব ইনশা আল্লাহ।
নতুন বছরের সংকল্প নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন, আমরা বিগত বছরের গ্লানি, দুঃখ-বেদনা,
অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে চলি। সুখী, শান্তিময়,
আনন্দপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১-এ এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
মন্তব্য করুন
চাল বিক্রি করার জন্য এখন থেকে বস্তায় ধানের জাত ও মিল গেটের মূল্য লিখতে হবে। সেই সঙ্গে লিখতে হবে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম। এমনকি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান (জেলা ও উপজেলা) উল্লেখ করতে হবে। থাকবে ওজনের তথ্যও। চালের উৎপাদনকারী মিল মালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান/চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য কালি দিয়ে লিখতে হবে।
চাল উৎপাদনকারী মিল মালিকের সরবরাহ করা সব প্রকার চালের বস্তা ও প্যাকেটে ওজন (৫০/২৫/১০/৫/১) উল্লেখ থাকতে হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে মিল গেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে।
এ বিষয়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ শাখা থেকে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়।
এমন নির্দেশনা সোমবার (১৪ এপ্রিল) থেকে কার্যকর হবে।
ইতোমধ্যে নির্দেশনার কপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, সব বিভাগীয় কমিশনার, সব জেলা প্রশাসক, সব জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, সব উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন স্বাক্ষর করা এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে।
চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমতো জাতের ধানের চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজারমূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয় তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ-সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে নির্দেশনায় কয়েকটি বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
এর ব্যত্যয় ঘটলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনটির ধারা-৬-এর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। আর ধারা-৭-এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান।
মন্তব্য করুন