কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
রাজীবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম মুকুলকে গ্রেপ্তার করেছে রাজীবপুর থানার পুলিশ।
কুড়িগ্রাম জেলার রাজীবপুর উপজেলা জামায়াতের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলায় মোঃ রফিকুল ইসলাম মুকুল এর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রাজিবপুর থানা পুলিশ। চর রাজিবপুর উপজেলা বটতলা এলাকায় তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। রাজীবপুর থানা ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় আ`লীগ নেতাকর্মীরা উপজেলা শহরে অবস্থিত জামায়াতে ইসলামীর দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ওই ঘটনায় স্থানীয় এক জামায়াত কর্মী একটি মামলা দায়ের করেন।
আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে রাজীবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, আটককৃত আসামিকে কুড়িগ্রাম জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুড়িগ্রামে দুর্বার তারুণ্য বাংলাদেশের আয়োজনে সকল বয়সের নারী পুরুষদের নিয়ে কুড়িগ্রামে দিনব্যপী ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনব্যপী ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলা দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় করছে।
আজ সকালে কুড়িগ্রাম সদরের বেলগাছা ইউনিয়নে কালে ডাক্তার পাড়া গ্রামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে খেলায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
সকাল থেকেই বেশ কৌতূহল নিয়ে ডাক্তারপাড়া গ্রামে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। শিশু-কিশোর থেকে বৃদ্ধ বয়সী মানুষদের আগমনে মিলন মেলায় পরিণত হয় অনুষ্ঠানটি। এসব খেলা দেখতে এলাকার সব বয়সী মানুষের অংশ গ্রহণে সৃষ্টি হয় এক আনন্দঘন পরিবেশ। কিছুক্ষণের জন্য অনেকে যেন নিজের বয়স ভুলে ফিরে যান অতীতে কিংবা শৈশবে।
গ্রামীণ খেলাধুলার মধ্যে ছিল বিস্কুট দৌড়, হাড়িভাঙ্গা, বালিশ খেলা, সুঁই সুতা, সাঁতার, চোখ বেঁধে হাঁস ধরা, তৈলাক্ত কলা গাছ বেয়ে চড়া, পানিতে বলিশ খেলা ও যেমন খুশি তেমন সাজ। সকল বয়সের শতাধিক নারী পুরুষ ৯টি খেলায় অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিজয়ী ৩০জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ও পিপি এস এম আব্রাহাম লিংকন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি সাঈদ হাসান লোবান, কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান মাসুদ, কুড়িগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক তরুণ কুমার রায়, বেলগাছা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ লিটন মিয়া, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের যুগ্ন সম্পাদক মাহফুজার রহমান খন্দকার, ক্রীড়া সম্পাদক হুমায়ুন কবীর সূর্য, দৈনিক মানবজমিন ও করতোয়ার সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিন্টু, উলিপুর ডট কমের সিনিয়র রিপোর্টার অমিত চন্দ্র পাল প্রমুখ।
খেলা দেখতে আসা মোঃ আব্দুল হাই বলেন, এসব খেলা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। প্রায় ১০-১৫ বছর পর গ্রামের অতীত খেলা দেখে খুবই আনন্দ পেলাম।
শিক্ষার্থী মোঃ নুর মামুন বলেন, টিভিতে মাঝে মধ্যে এসব খেলা দেখি।আজ স্বচোখে দেখে খুব মজা করছি। আগে গ্রাম গঞ্জে বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসে বৈশাখী মেলায় গ্রামে গ্রামে এসব খেলা হতো।এখন এগুলো প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের ও নতুন প্রজন্মদের জন্য এসব খেলা অবহ্যত রাখা উচিৎ।
দুর্বার তারুণ্য বাংলাদেশের সভাপতি রেজওয়ানুল হক নুরনবী বলেন, গ্রামীন ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে এ খেলার আয়োজন করা হয়েছে।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আহবায়ক শ্যামল ভৌমিক বলেন, কালের বিবর্তনে গ্রামীণ খেলাধুলা হারিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক যুগে মোবাইল ইন্টারনেটের কারনে এসব খেলা থেকে মানুষজন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। সরকার ও সচেতন মহলের উচিৎ গ্রামীণ খেলাধুলাকে বাচিয়ে রাখতে সু দৃষ্টি রাখা।
মন্তব্য করুন
আলোচিত টিকটকার মাহিয়া মাহিকে বরিশাল নগরীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দিবাগত মধ্যরাতে নগরীর পোর্ট রোড এলাকার হোটেল রোদেলা থেকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে নগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অভিযান পরিচালনাকালে হোটেল রোদেলার একটি কক্ষ থেকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একজন পুরুষের সাথে সমালোচিত টিকটকার মাহিয়া মাহিকে পাওয়া যায়। এসময় তাদের সহযোগি আরও একজন তরুণীকে আটক করা হয়েছে। স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিলেও টিকটকার মাহিয়া মাহি প্রাথমিকভাবে কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এ কারণে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকের পর তাঁদের কোতোয়ালি মডেল থানায় নেয়া হয়।
টিকটকার মাহিয়া মাহিকে আটকের বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, হোটেল রোদেলা থেকে দুইজন তরুণী ও একজন ছেলেকে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। এরমধ্যে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
প্রায় দেড় যুগ ধরে কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত গ্রামের নারীদের হাতে তৈরি টুপি মধ্য প্রাচ্যে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। বাহারি রঙের সুতা আর রেশমার উপরে আঁকা বিভিন্ন নকশাকৃত বানানো টুপির চাহিদা বেড়েই চলছে। এই টুপি তৈরি করে এখানকার হাজারো নারীদের হয়েছে কর্মসংস্থান, সংসারে ফিরেছে স্বচ্ছলতা। তবে এমন আয় আর সুনামের গল্পের পিছনে মুল নারী উদ্যোক্তা মোর্শেদা বেগমকে পাড়ি দিতে হয়েছে অনেকটা পথ। বেকার নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করায় নারীদের আইকন হিসেবে পরিচিত তিনি। মোর্শেদা বেগম কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার পাতিলাপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিপুণ হস্ত শিল্প সম্ভার নামে টুপি তৈরির প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তিনি।
জানা গেছে মোর্শেদা বেগম যখন দশম শ্রেণির ছাত্রী, তখন তার বিয়ে হয়। সংসারে অভাব থাকায় ১৯৯৫ সালে বিয়ের পর স্বামী জাবেদ আলীর সঙ্গে চলে যান টাঙ্গাইলে।সেখানে একটি টাওয়াল ফ্যাক্টরিতে কাজ নেন। ভাড়া বাসার পাশে পরিচয় হয় প্রতিবেশি কমলা বেগমের সাথে। কমলা বেগমের টুপি তৈরির কাজ দেখে দেখে রপ্ত করেন কলা-কৌশল। দিনে ফ্যাক্টরির কাজ আর রাতে টুপি বানানো শুরু করে প্রথম টুপি তৈরি করে মজুরি পান ৩৫০ টাকা। পরে তার নিখুঁত কাজ দেখে মুগ্ধ হন এক বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা। প্রথম অর্ডারে ৫০টি টুপি তৈরি করে পেয়েছিলেন ১৭ হাজার টাকা। এরপর ২০০৪সালে মোর্শেদা বেগম নিজ গ্রামে ফিরে আসেন।প্রথমে এলাকার ৭ জন নারীকে নিয়ে শুরু করেন দারিদ্র্য জয়ের সংগ্রাম।তার হাতে বানানো টুপি ২০০৮সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানি হচ্ছে। হাতে বানানো টুপি তৈরি করে এখন স্বাবলম্বী মোর্শেদা। তার সফলতার গল্প শুনে দলে দলে অনান্য নারীরা টুপি বানানো কাজে ছুটে আসেন। বর্তমানে তার সাথে প্রায় ৫ হাজার নারী কাজ করছেন।মোর্শেদা বেগম নিজ গ্রাম পাতিলাপুরের নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেন নাই আশপাশে প্রায় ৪০-৫০ টি গ্রামের নারীদের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে।বিভিন্ন বয়সী নারী পাশাপাশি পুরুষরাও এ কাজ করে সংসারের আয় যোগাচ্ছেন ।
মোর্শেদা জানান, ফেনীর দুজন ব্যবসায়ীর কাছে তিনি তৈরি করা টুপি বিক্রি করেন। আর এই টুপি মধ্যপ্রাচ্যের বাহারাইন, সৌদি আরব,দুবাইয়ে বিক্রি হয়। ওই ব্যবসায়ীরা তার কাছে রেশমা সরবরাহ করেন। এরপর তিনি নারীদের সঙ্গে নিয়ে স্রেফ সুঁই সুতা দিয়ে তৈরি করেন নানা ধরনের নকশাখচিত টুপি।টুপি তৈরির দেখভাল করতে বিভিন্ন গ্রামে বেতনভুক্ত প্রায় ১৫ জন সুপার ভাইজার রেখেছেন। হাতে বানানো প্রকার ভেদে প্রতিটি টুপি তৈরির জন্য নারীরা পারিশ্রমিক পান ৮০০/১৬০০ টাকা। এতে সুই সুতার খরচ দেড়শ টাকা। প্রতি টুপিতে তিনি কমিশন পান ৭০/৯০ টাকা। প্রতি মাসে ৮/১০ হাজার টুপি বিক্রি করেন তিনি। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে নিপুণ হস্ত সম্ভারের টুপি তৈরির পরিধি আরো বাড়াতে পারবেন বলে জানান তিনি।পাতিলাপুর গ্রামের হাওয়া বেগম জানান,চার বছর আগে মোর্শেদা বেগমের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে টুপি তৈরির কাজ শুরু করেন।এখন তার আর অভাব নেই। সংসারের স্বাভাবিক কাজের পাশাপাশি টুপি তৈরি করে ভালো আয় করছেন তিনি।অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুক্তা খাতুন বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি আমি মোর্শেদা আন্টির টুপি তৈরির কাজ করি।এখান থেকে যা উপার্জন করি।লেখাপড়ার খরচ মিটিয়ে বাবাকে সহযোগিতা করতে পারি। শুধু আমি না আমার মত বিভিন্ন বয়সের নারীরা এখানে কাজ করে ভালো টাকা পাচ্ছেন।
সাত দরগাহ গ্রামের মৌসুমি বলেন, সারা বছর আমরা টুপি তৈরির কাজ করি।বিশেষ করে রমজান মাস ও কোরবানি ঈদের সময় টুপির চাহিদা বেশি থাকে।এসময় টুপি বানিয়ে জন প্রতি ৮/১০হাজার টাকা পাই। কয়েক বছর ধরে পরিবার নিয়ে খুব সুন্দর ঈদ কাটাতে পারছি।
কুড়িগ্রাম বিসিক এর উপ ব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ জোনায়েদ বলেন,পাতিলাপুর গ্রামের নারী উদ্যোক্তা মোর্শেদা বেগমের টুপি মধ্য প্রাচ যাচ্ছে এটি কুড়িগ্রাম জেলার জন্য ভালো খবর।হাজার হাজার নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন তিনি। সরকারি কোন প্রশিক্ষণ, আর্থিক ঋন অথবা তৈরি টুপির বাজারজাত করণে কোন সহযোগিতার প্রয়োজন হলে কুড়িগ্রাম বিসিক শিল্প মোর্শেদা বেগমকে সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি ।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
সারাদেশের
ন্যায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কুমিল্লা অফিসে অভিযান পরিচালনা করছেন
দুনীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ
বুধবার (৭ মে) দুদক কুমিল্লা আঞ্চলিক অফিসের সহকারী পরিচালক মাসুম আলীর নেতৃত্বে তিন
সদস্যের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এ
সময় কুমিল্লা দুদক সহকারী পরিচালক মাসুম আলী বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ
(বিআরটিএ) কুমিল্লা সার্কেল অফিসে দালাল ছাড়া কোনো কাজ হয় না। এ ছাড়াও বিআরটিএ অফিসে
আসা সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাই। পাশাপাশি আনসার বাহিনীর
সদস্য দায়িত্ব পালনের সময় এসব কাজে সরাসরি জড়িত রয়েছেন।
এসব
অনিয়ম দুনীতির অভিযোগের আলোকে প্রথমে আমরা ছদ্মবেশে অভিযান পরিচালনা করি। আমরা এ অভিযানে
সকল অভিযোগের সত্যতা পাই। অন্যদিকে আনসার বাহিনীর সদস্যদের কোন সত্যতা পাইনি। পাশাপাশি
এ অফিসের কোন কর্মকর্তা এ কাজে জড়িত আছে কি না, আমরা তা খতিয়ে দেখছি।
এ
অফিসের কেউ বাহিরে কাজ করছে কি না তাদের কিছু রেকর্ডপত্র আমরা চেয়েছি। তা পর্যালচনা
করে জানানো হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় নূর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে নির্মাণাধীন ভবন ধসে সাইফুল ইসলাম সাগর নামে ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।
আজ সকালে সদর দক্ষিণ উপজেলার শাকতলা নোয়াগাও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাইফুল ইসলাম সাগর নূর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে শাকতলা এলাকার অলি আহমেদের বড় ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদর দক্ষিণ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূঁইয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নূর আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের টিনশেড বিল্ডিংয়ে ক্লাশ করছিল সাগর ও তার সহপাঠীরা। এ সময় হঠাৎ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নির্মাণাধীন ছয় তলার ওপরের অংশ ভেঙে পড়ে। এ সময় ইট পাথরের নিচে চাপা পড়ে সাগর। স্থানীয়রা সাগরকে উদ্ধার করে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাসেল খান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসক রাসেল জানান, সাগরের মাথায় প্রচণ্ড আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত সাগরের বাবা অলি আহমেদ জানান, সকালে স্কুলের জন্য বাসা থেকে বের হয় সাগর। তারপর লোকমুখে শুনতে পান স্কুলে ভবন ভেঙে পড়ে তার ছেলে মারা যায়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় ভাত খাওয়ার
জন্য সৎ মায়ের কাছে বায়না ধরেছিল ৯ বছরের শিশু আবদুল্লাহ। তাতে সৎমা ফারজানা বিরক্ত
হয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে শিশুটির। এ ঘটনায় সৎমাকে গ্রেফতার করেছে
পুলিশ।
শনিবার (১৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে
উপজেলার ইউসুফপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত শিশু মো: আব্দুল্লাহ উপজেলার ইউসুফপুর
গ্রামের পশ্চিমপাড়ার ঘোড়া গাজী সরকার বাড়ির আমানউল্লাহর ছেলে। সে একই গ্রামের একটি
স্কুলে ২য় শ্রেণিতে ছাত্র।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার থানার
ওসি মো: নয়ন মিয়া।
স্থানীয়রা জানান, তিন বছর আগে আবদুল্লাহর
বাবার সঙ্গে তার মায়ের ডিভোর্স হয়। পরে ফারজানা আক্তারকে বিয়ে করেন। বর্তমানে ফারজানার
আড়াই বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ফারজানার নিজের ছেলে সন্তান হওয়ার পর সৎ ছেলে আবদুল্লাহকে
সহ্য করতে পারছিলেন না। প্রায়ই শিশু আবদুল্লাহকে মারধর ও নির্যাতন করত ফারজানা। শনিবার
সকালে আবদুল্লাহ ফারজানার কাছে ভাত খেতে চাওয়ায় বিরক্ত হয়ে শিশু আবদুল্লাহর গলায় ওড়না
পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ বাড়ির উঠান থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায়
নিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোসলেম উদ্দিন জানান,
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি উঠানে আবদুল্লাহর লাশ পড়ে আছে। গলায় কয়েকটি দাগ পাওয়া
গেছে।
দেবিদ্বার
থানার ওসি নয়ন মিয়া বলেন, নিহত আবদুল্লাহর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত ফারজানাকে
গ্রেফতার করা হয়েছে। ফারজানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
রমজান আলী এশার নামাজ পড়তে গেলে তার
রিকশাটি চুরি হয়ে যায়। অটোরিকশা হারিয়ে অঝোরে কাঁদছেন রমজান আলী। কোনোদিনও ভাবেননি
তার অটোরিকশাটি চুরি হয়ে যেতে পারে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) এশার নামাজ পড়তে গেলে
লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন জামে মসজিদের সামনে থেকে তার রিকশাটি চুরি হয়ে যায়। অটোরিকশা
হারানোর পর থেকে তিনি প্রতিদিনই মসজিদের সামনে এসে কান্নাকাটি করছেন।
রমজান আলী লালমনিরহাট শহরের উত্তর সাপ্টানা
এলাকায় একটি টিনশেড ভাড়াবাড়িতে স্ত্রী, এক ছেলে, এক প্রতিবন্ধী মেয়ে ও বৃদ্ধ মাকে
নিয়ে বসবাস করেন।
রমজান আলী বলেন, সেদিন শহরে ভাড়া নামিয়ে
দিয়ে রেল স্টেশন মসজিদের সামনে অটোরিকশাটি রেখে এশার নামাজ পড়ি। পরে এসে দেখি আমার
অটোরিকশাটি নেই। এ সময় আমি চারদিকে খোঁজাখুঁজি করি। আমার একমাত্র সম্বলটি হারিয়ে
গেল। এই অটোরিকশাটি রেলস্টেশনের জামে মসজিদের ইমাম রমজান আলী হুজুর চাঁদা কালেকশন করে
৩৬ হাজার টাকা দিয়ে আমাকে কিনে দিয়েছিলেন। অটোরিকশাটি হারিয়ে আমি নিস্ব হয়ে গেছি।
এ ঘটনার বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানা
পুলিশের ওসি ওমর ফারুক বলেন, ঘটনাটা স্থানীয়দের কাছে শুনেছি। তবে তিনি এ বিষয়ে থানায়
কোনো জিডি করেননি। থানায় অভিযোগ দিলে রিকশাটি উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিন বাক্কা হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ ও র্যাব-৭, সিপিসি-৩ এর যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম জেলার বায়োজিদ বোস্তামী থানাধীন অনন্যা আবাসিক এলাকা থেকে চৌদ্দগ্রামের যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিন বাক্কা হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ মোশারফ হোসেনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো: কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন কুলাসার গ্রামের মৃত ইসমাইল ভেন্ডার এর ছেলে মোঃ মোশারফ হোসেন (৪৫)।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম জেলার বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ব্রাহ্মণপাড়া থানায় কর্মরত
এসআই (নিরস্ত্র)শফিক উল্লাহ, এএসআই (নিরস্ত্র) মোঃ হেলাল উদ্দিন ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ ব্রাহ্মণপাড়া
থানা এলাকা থেকে ৩৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয় ।
শুক্রবার দিনে গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল ডিউটি করাকালে ব্রাহ্মণপাড়া
থানাধীন ৪নং শশীদল ইউনিয়নের পশ্চিম বাগড়া সাকিনে আছমত আলী বেপারী বাড়ির পুকুরের দক্ষিণ
পাড়ে পৌঁছামাত্রই পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন লোক দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের
মোকাবেলায় আসামীদের ফেলে যাওয়া ১টি সাদা রংয়ের বিশেষ কায়দায় তৈরী মাছ রাখার ড্রাম তল্লাশী
করে ড্রামের ভিতর লুকিয়ে রাখা ১ টি পাটের বস্তার ভিতর থেকে খাকী রংয়ের কসটেপ দিয়ে মোড়ানো
১০টি বান্ডেল গাঁজা উদ্ধার করা হয় যারে মোট পরিমাণ ২০ কেজি গাঁজা ।
আরেকটি সাদা রংয়ের প্লাস্টিকের
বস্তার ভিতর থেকে খাকী রংয়ের কসটেপ দ্বারা মোড়ানো উদ্ধারকৃত ৭টি বান্ডেল গাঁজার ওজন
হয় ১৪ কেজি গাঁজা ।
সর্বমোট ৩৪কেজি উদ্ধারপূর্বক জব্দ তালিকা মূলে জব্দ
করে উক্ত ঘটনায় ব্রাহ্মণপাড়া থানায় এজাহার দায়ের করা হয়।
এদিকে ব্রাহ্মণপাড়া থানার
মামলা নং- ২০/১০৫ তারিখ- ২৭/০৪/২০২৪খ্রিঃ ধারা ৩৬(১) সারনির ১৯(গ) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ
আইন ২০১৮ তে রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
মুরাদুল ইসলাম মুরাদ,কুড়িগ্রাম :
কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলায় অটো রিক্সা চালক আকিদুল হত্যার আসামি সনাক্ত ও গ্রেফতারের দাবিতে উপজেলা রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার দুপুর ১২ টায় রাজিবপুর উপজেলা চত্বরে রাজিবপুর রাষ্ট্র সষ্কার আন্দোলনের সভাপতি আবু সাইদের সভাপতিত্বে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিপন মাহমুদের সঞ্চালনায় বক্তব্যে নিহত আকিদুল ইসলামের মা ভানু বেগম (৪৭) বলেন, অটো রিক্সা চালিয়ে আমাদের সংসার চলত। হঠাৎ একদিন আমার ছেলে বাড়ি ফেরেনি। পরে নদী থেকে আমার ছেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। অটোরিকশাও ফিরে পাইনি। কেন আমার ছেলেটাকে হত্যা করা হলো, কি অপরাধ করেছিল আমার ছেলে। এক মাস হয়ে গেল আমার ছেলে হত্যার কোন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি। আমরা গরিব বলে কি ছেলে হত্যার বিচার পাব না? গ্রেফতার এবং আসামিদের সনাক্তর দাবিতে কান্নার জড়িত কন্ঠে ভানু বেগম বলেন ২০ দিনের মধ্যে আমার ছেলে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও সনাক্ত করার জোর দাবি জানান।
আকিদুল ইসলামের স্ত্রী মরিয়ম খাতুন (২৩) বলেন এক মাস হয়ে গেল আমার স্বামীর হত্যার কোন বিচার পাইনি। কোন আসামিও গ্রেফতার হয়নি। পুলিশে মামলার কোন অগ্রগতি আমাদের জানায়নি। গরিব বলে কি আমরা বিচার পাব না। দয়া করে আমার স্বামীর হত্যাকারীদের শনাক্ত করুন।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের সদস্য সচিব সুজন মাহমুদ, রাজিবপুর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম মুক্তির ডাক আহবায়ক বিদ্যুৎ সরকার প্রমুখ।
মন্তব্য করুন