মৃত্যুর ১৫ বছর পর কবরে মিললো অক্ষত
মরদেহ। চারপাশে চিকচিক করছিল বালু। কাফনের কাপড়টুকুতেও লাগেনি সামান্য দাগ।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেলে রংপুর মহানগরীর নব্দীগঞ্জ গোদা-শিমলা এলাকায় এ ঘটনাটি
ঘটেছে। বিরল এ ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
রংপুর-কুড়িগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে
রংপুর মহানগরীর নব্দীগঞ্জ গোদা-শিমলা এলাকায় গ্যাসের সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ চলছিল।
এ কারণে সেখান থেকে কয়েকটি কবর স্থানান্তরের উদ্যোগ নেন স্বজনরা। দুইদিনে ৪টি কবর স্থানান্তরের
পর আরেকটি কবর খুড়তেই ঘটে আশ্চর্যজনক ঘটনা। দেখা গেল, অক্ষত অবস্থায় ধবধবে সাদা কাপড়
দিয়ে মোড়ানো আছে লাশ।
স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, ২০১০ সালে
সেখানে কবরস্থ করা হয়েছিল মরহুম আব্দুস সামাদকে। ১৫ বছর আগের সেই পুরোনো কবরটি স্থানান্তর
করতে গিয়ে এ ঘটনায় অবাক তারা। দ্বিতীয়বার স্বচোক্ষে অবিকল অভিভাবককে দেখতে পারায় অবাক
মরহুমের স্বজনসহ পুরো গ্রামবাসী।
জানা গেছে, ১০৫ বছর বয়সে সম্পূর্ণ সুস্থ
অবস্থায় নিজ বাড়িতে মারা যান আব্দুস সামাদ। ছিলেন কৃষিকাজের সাথে যুক্ত। তিনি আট ছেলে
ও চার কন্যাসন্তানের জনক। এরমধ্যে তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে মারা গেছেন।
আব্দুস সামাদের ছেলে জানান, আমার বাবা
যেদিন মারা যান, সেদিন বাড়ির পাশের পুকুরে একাই তিনি গোসল করেন। এরপর তিনি পুকুর থেকে
উঠে এসে চেয়ারে বসলে ওই অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি ধার্মিক মানুষ ছিলেন। কবর থেকে
মরদেহ উত্তোলনের পর তাকে পাশে অন্যদের সাথে দাফন করা হয়। তার শরীরের সবকিছুই স্বাভাবিক
মনে হয়েছে। শুধু শরীরের চামড়াটা শুকিয়ে গেছে।
আব্দুস সামাদের আরেক ছেলে জানালেন,
তার বাবার শরীরের কোথাও কোনো পচন ধরেনি। এমনকি কাফনের কাপড়ও নষ্ট হয়নি। তাকে কোনো কিছুই
স্পর্শ করেনি। হজের ইহরামের কাপড় দিয়ে তাকে কবরস্থ করা হয়েছিল। যেভাবে তাকে কিবলামুখী
করে রেখেছিলাম সেভাবেই কবরে ছিল। আলহামদুলিল্লাহ এটা আল্লাহর বান্দার প্রতি তার রহমত
ছাড়া আর কিছুই নয়।
স্থানীয়রা জানান, ১৫ বছর আগে আমরা তাকে
কবরস্থ করার সময় যেভাবে দাফন করেছিলাম। সেদিন ওই অবস্থায় তার লাশ কবর থেকে উত্তোলন
করা হয়। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য লাশের হাত-পায়ের সামান্যতম পরিবর্তন হয়নি।
ধাপ সাতগাড়া বায়তুল মোকাররম মডেল কামিল
মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আনম হাদিউজ্জামান জানান, এ ধরনের ঘটনা অস্বাভাবিক নয়, যারা
দুনিয়াতে সবকিছু ভুলে আল্লাহর আদেশ নিষেধ মেনে চলেন তাদেরকে কবরে সুসংবাদ দেওয়া হয়।
কবর পোকা-মাকড়ের ঘর হলেও তাদের কোনো কিছুই স্পর্শ করে না। শুধু তাই নয় ইসলামের পথে
থাকা ওইসব ব্যক্তির দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ নিজের। আল্লাহ ওই ব্যক্তিকে তার ভালো কাজের
জন্য পুরস্কার হিসেবে এটা দিয়েছেন। কারণ এটা আল্লাহর প্রতিশ্রুতি। আল্লাহ ঘোষণা দিয়েছেন
যারা আল্লাহর হয়ে যান, আল্লাহ তার হয়ে যান।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক প্রবাসীর পরিবারে হামলা চালিয়ে প্রবাসীর মা ফিরোজা
বেগমসহ কয়েকজনকে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার ধুড়িয়ারা গ্রামে
এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার
(২ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুমিল্লা প্রেসক্লাবের হলরুমে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমন অভিযোগ
করেন মির্জা জয়নাল আবদীন হিরণ ও ঘটনার খবর পেয়ে দেশে আসা তার দুই ভাই আবদুল্লাহ মাহবুব
ও রফিকুল ইসলাম।
ভুক্তভোগীরা
অভিযোগ করে বলেন, পার্শ্ববর্তী বাড়ির আজিজুর রহমান লিটনসহ পরিবারের লোকজনের সাথে প্রবাসীর
পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে তারা গত ২৮ জানুয়ারি প্রবাসীর পরিবারের
উপর হামলা চালায় এবং প্রবাসীর মাকে কোদাল দিয়ে চোখের উপরিভাগে গুরুতর আঘাত করে রক্তাক্ত
জখম করে। এদিন প্রবাসীর আহত মা ফিরোজা বেগমকে প্রথমে নাঙ্গলকোট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রতিপক্ষের
হামলা ও হুমকিতে প্রবাসীর পরিবারটি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় আছে বলে তারা জানান। প্রবাসী
আবদুল্লাহ মাহবুব জানান, হামলাকারীরা তার মাকে হত্যার চেষ্টা করলেও তারা এখন ঘটনাটি
ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে অপপ্রচার চালিয়ে হয়রানী
করছে।
নাঙ্গলকোট
থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী জানান, দুইপক্ষের মারামারির
ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত এলাকা থেকে ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শাড়ি, থ্রিপিস ও চাদর জব্দ করেছে সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি)। ভারত থেকে পাচার করে আনা হয়েছিল পোশাকের এ বড় চালানটি।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে কসবা উপজেলার খিরনাল সীমান্ত এলাকা থেকে সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি), চন্ডিদার বিওপি, কুমিল্লা সেক্টর এসব ভারতীয় পণ্য জব্দ করে।
দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৬০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্তের ২০৩৭/৩ এস পিলারের কাছে অভিযান চালানো হয়। এসময় ১১৩৪টি ভারতীয় শাড়ি, ৪৭০টি থ্রিপিস ও ৩৮১টি চাদর জব্দ করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির ২০২৫-২৬ কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে জিটিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি সেলিম রেজা মুন্সী কে সভাপতি এবং দৈনিক কুমিল্লার ডাকের সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী কে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে সর্ব সম্মতিক্রমে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
নতুন কমিটিতে বিভিন্ন পদে নিম্নলিখিত সাংবাদিকরা দায়িত্ব পেয়েছেন : সহ-সভাপতি: আনোয়ার হোসেন (বৈশাখী টিভি), জাকারিয়া মানিক (দৈনিক পূর্বাশা), নেকবর হোসেন (দৈনিক আজকের জীবন)।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: আসিফ মান্না (সাপ্তাহিক মেগোতি), রাসেল সোহেল (ডেইলি বাংলাদেশ মিরর)
সাংগঠনিক সম্পাদক : রেজাউল করিম রাসেল (দৈনিক সংগ্রাম)। কোষাধ্যক্ষ : মাসুদ আলম (এখন টিভি)। দপ্তর সম্পাদক : মহসিন কবির (ঢাকা ট্রিবিউন)। পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক : জসিম উদ্দিন চৌধুরী। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক : ম্যাক রানা (দৈনিক পূর্বাশা)। প্রশিক্ষণ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক : মাহফুজ আনোয়ার সৌরভ (এশিয়ান টিভি)। সমাজকল্যাণ সম্পাদক : আব্দুল মোতালেব নিখিল (মোহনা টিভি)। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক : হাবিবুর রহমান মুন্না (ডেইলি প্রেজেন্ট টাইমস)। আইটি বিষয়ক সম্পাদক : উজ্জ্বল হোসেন বিল্লাল (দৈনিক আজকের কুমিল্লা)। নির্বাহী সদস্য পদে রয়েছেন : জহিরুল হক বাবু (কুমিল্লা নিউজ), আশিকুর রহমান আশিক (জাগরণ টিভি), আরিফ মজুমদার (বাংলা টিভি), আবু সুফিয়ান (এনটিভি), রবিউল বাশার খান (দৈনিক আজকের দর্পণ), তৌহিদ হোসেন সরকার (ডেইলি প্রেজেন্ট টাইমস), আব্দুল্লাহ আল মারুফ (বাংলা ট্রিবিউন), মহিউদ্দিন আকাশ (আকাশ টিভি)
এই কমিটির প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি : মাসুক আলতাফ চৌধুরী। উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য হিসেবে রয়েছেন : হুমায়ুন কবির রনি (একুশে টিভি), মোঃ মোবারক হোসেন (গোমেতি সংবাদ), ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু (দৈনিক আজকের কুমিল্লা), দেলোয়ার হোসাইন আকাইদ (নাগরিক টিভি, আজকের পত্রিকা ও বাসস)
মন্তব্য করুন
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর বাজার সংলগ্ন এলাকার জাকির হোসেন রাব্বি ১৪ বছরে ২৮৬টি বিয়ে করার রেকর্ড গড়ে আলোচনার ঝড় তুলেছেন । তার গ্রামের বাড়ি এলাকায় একজন দানশীল ব্যক্তি নামে পরিচিত ছিলেন। আত্মীয়-স্বজনরা জানতো তিনটি বিয়ের খবর। প্রতিবেশিরাও এতোগুলা বিয়ের খবর শুনে চমকে উঠেছেন।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় জাকিরের।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সরেজমিনে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মৃত পনির হোসেন বেপারীর ছোট ছেলে জাকির হোসেন বেপারী এলাকায় একজন দানশীল ও মার্জিত স্বভাবের ব্যাক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ঢাকায় গিয়ে নাম পরিবর্তন করে জাকির হোসেন বেপারীর স্থলে জাকির হোসেন রাব্বি হয়ে যায়।
জানা যায় তিনি ঢাকায় বড় কোম্পানিতে চাকরি করেন এবং উচ্চ শিক্ষিত বলে পরিচয় দিতেন। ঈদ ও শীতসহ বছরের বিভিন্ন সময় এলাকায় এসে খাদ্যসামগ্রী ও শীতবস্ত্র বিতরণ করতেন। গ্রামের অভাবি মানুষজনকে অর্থ সহায়তাও করতেন। এভাবেই জাকির এক সময় গ্রামের মানুষদের প্রিয় মুখ হয়ে যান।
জাকিরের বহু বিবাহের খবর এলাকাবাসী এখনো অনেকেই জানেন না। পোশাক পরিধানে ফিটফাট থাকা জাকিরের ভিতরের মানুষটিকে কখনোই চিনতে ও জানতে পারেনি এলাকার মানুষজন, এমনকি আত্মীয়-স্বজনও। জাকিরের বহু বিবাহের আড়ালে ছিল অর্থ আয় করা। আর ওই অর্থ দিয়েই গ্রামে গড়ে তোলেন দু’চালা টিনের ঘর থেকে পাকা বাড়ি। বোনদের বিয়ে দেয় ভালো ঘর দেখে। সম্প্রতি বেশ জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান করে ছোট বোনেরও বিয়ে দেন জাকির।
প্রায় ১৪ বছর আগে বাবা পনির হোসেন বেপারীর মৃত্যু হয়। আর ৫ বছর আগে মারা যান তার মা। ৪ ভাই ও ৬ বোনের মধ্যে জাকির ছিল সবার ছোট। বাবা ছিলেন কোর্টের মুহুরি। ৪ ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই মারা গেছেন। এক ভাই ঢাকায় গার্মেন্টের চাকরি করেন। আর এক ভাই গ্রামের বাজারে মুরগীর ব্যবসা করেন। টানাপোড়েন সংসার। এক সময় বাবার আয়েই চলতো পুরো সংসার। দুচালা টিনের ঘরে গাদাগাদি করে থাকতো তারা।বাবা মারা যাওয়ার পর পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়া শোনা করা জাকির এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ঢাকা চলে যায়। এক পর শুরু হয় তার কৌশলী জীবনযাপন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে দেখতে সুর্দশন জাকির নিজেকে বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করে নারীদের আকৃষ্ট করে বিয়ে করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যেতেন। আবার নতুন স্থানে গিয়ে পরিচয় গোপন রাখে, আবারও বিয়ে করে। এভাবেই চলতে থাকে তার প্রতারণার গল্প।
অবশেষে ঢাকা মিরপুরের এক নারীর করা ধর্ষণ মামলায় গত ২০১৯ সালে জাকির হোসেন রাব্বিকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। সেই থেকে জেলেই ছিলেন আলিশান জীবনযাপন করা জাকির। পরে একাধিক নারীর করা মামলায় তাকে রিমান্ডে নিলে জবানবন্দিতে ১৪ বছরে ২৮৬টি বিয়ে করার কথা স্বীকার করেন তিনি। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় খবর প্রচারিত হলে জাকিরের আসল পরিচয় প্রকাশ পায় ।
তবে জাকিরের প্রতিবেশী হিরন প্রামাণিক জানান, জাকিরকে আমরা গ্রামবাসী ভালো মানুষ হিসেবেই জানি। মাঝে মধ্যে এলাকায় এসে গরীব মানুষদের সাহায্য সহযোগিতা করতো। এতোগুলা বিয়ের খবর আমরা বলতে পারি না।
জাকিরের এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য মেহেরুল ইসলাম জানান, জাকির এতোগুলা বিয়ে করেছে, এটি অবিশ্বাস্য। এমন খবর জানা নেই। আমরা জাকিরের ৩টি বিয়ের খবর জানি।
এদিকে গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাকির অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে, সে সুস্থ হলে আবার তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর, ১৮ জানুয়ারি কারাগারে পুণরায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তখন ঢাকা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে আনা হয়। সেখানেই গত ২০ জানুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় জাকির।
মন্তব্য করুন
আর দশজন সাধারণ গৃহবধূর মতই জীবন ছিল মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের সুবিধপুর গ্রামের রেজিয়া খাতুনের। কিন্তু হঠাৎ তার জীবনে নেমে আসে ভয়াবহতা।
৩০ বছর আগে এক রাতে নির্যাতনের পর তাকে অচেতন অবস্থায় সীমান্ত পার করে ভারতে বিক্রি করে দেয়া হয় ।
আর এই দীর্ঘ সময় পরিবার ও গ্রামবাসী জানতেন, রেজিনা মারা গেছেন।
কিন্তু এখন হঠাৎ তিনি ফিরে আসায় তাকে দেখতে বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ।
গত ১০ নভেম্বর ৫০ বছর বয়সী রেজিয়া বাড়ি ফিরে জানতে পারেন মা-বাবা মারা গেছেন। ভাই-বোনরা বৃদ্ধপ্রায়; সন্তানরা সংসার পেতেছেন।এরপর সোমবার তিনি মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দুজনকে আসামি করে মামলা করেন। তারা হলেন- রেজিয়ার দ্বিতীয় স্বামী আজগর আলী এবং তার সহযোগী জয়নাল।
শুনানি শেষে আদালত দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে থানা থেকে বলা হয়েছে।
এদিকে রেজিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৫ বছর বয়সে গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের সাত্তার আলীর সঙ্গে তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। সেই সংসারে এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। পরে সাত্তারের সঙ্গে রেজিয়ার বিচ্ছেদ হয়।
এরপর রেজিয়া নিজ গ্রামের আজগর আলীকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর শুরু হয় রেজিয়ার উপর আজগরের নির্যাতন।
১৯৯৩ সালের এক রাতে নির্যাতনের পর তাকে প্রতিবেশী জয়নালের সহযোগিতায় আজগর সীমান্তের কাঁটাতার পার করে ভারতের কাশ্মিরে নিয়ে যান এবং কোনোকিছু বুঝে উঠার আগেই ফারুক হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন।
রেজিয়া বলেন, ৩০ বছর সীমাহীন কষ্টে বন্দিজীবন পার করেছি। ছেলেমেয়েরা তাদের মায়ের আদর- ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়ে বড় হয়েছে। নিখোঁজ অবস্থায় মা-বাবাকে হারিয়েছি। তাদের মরা মুখটাও আমি দেখতে পাইনি।
আমি চাই না আর কারো জীবন যেন এভাবে ধ্বংস হোক সেজন্য মামলা করেছি। আদালত আমার মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
যদিও রেজিয়ার দ্বিতীয় স্বামী আজগর আলী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।তিনি বলেন, বিয়ে হওয়ার পর কয়েক বছর আমরা সংসার করি। তারপর সামাজিকভাবে রেজিয়ার সঙ্গে আমার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পাচারের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
এদিকে জয়নালের দাবি, যড়যন্ত্র করে রেজিয়ার হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাকে জড়ানো হচ্ছে।
দেশে কীভাবে ফিরে আসলেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিয়া জানান, তিন মাস আগে তিনি ভারতের জম্মু-কাশ্মির থেকে ভারতের নদীয়া জেলার পণ্ডিতপুর গ্রামে পায়ের চিকিৎসা নিতে আসেন। সেখানে কথা হয় সুবিধপুরের পাশের কসবা হিন্দি গ্রামের আমিরুল ইসলাম বাবলুর সঙ্গে।তখন রেজিয়া তাকে পুরো ঘটনা জানান এবং গ্রামে পরিবারের কাছে তার বেঁচে থাকার খবর পৌঁছে দিতে বলেন। পরে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাকে কাশ্মির থেকে মেহেরপুর ফিরিয়ে আনেন।
কসবা হিন্দি গ্রামের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম বাবলু বলেন, রেজিয়ার মুখে সব শুনে মেহেরপুর ফিরে তার ভাইদের সন্ধান করে ঘটনাটি জানান তিনি। পরে রেজিয়ার দেওয়া মোবাইল নম্বর ও কাশ্মিরের ঠিকানা অনুযায়ী সেখানে গিয়ে ফারুকের কাছ থেকে রেজিয়াকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে তার পরিবার।
রেজিয়ার বড় ভাই আনারুল ইসলাম বলেন,রেজিয়ার স্বামী আজগর এতদিন বলেছে, আমার বোন ওই রাতে কাউকে না বলে নিখোঁজ হয়ে যায়। দেশের প্রায় সব জেলায় বোনের সন্ধান করেছি। কিন্তু কোথাও হদিস না পেয়ে ভেবেছি, বোন হয়ত মারা গেছে। তিন মাস আগে পাশের গ্রামের আমিরুলের মাধ্যমে বোনের সন্ধান পেলে আমরা ভারতের কাশ্মিরে গিয়ে বোনকে ফিরিয়ে আনি।
রেজিয়ার মেয়ে সালেহা খাতুন বলেন, মাকে ফিরে পেয়ে জীবন ফিরে পেয়েছি মনে হচ্ছে। যারা আমার মাকে এতদিন আমার কাছ থেকে দূরে রেখেছিল আমি তাদের কঠিন বিচার চাই।”
কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সুমিতপুর গ্রামের ওয়ার্ড সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা জানতাম রেজিয়া মারা গেছে। তার ফিরে আসার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কয়েক গ্রামের মানুষ রেজিয়াকে দেখতে ভিড় করছে। আমরা রেজিয়ার পাশে আছি। তাকে সব ধরনের আইনি সহায়তা করা হবে।
রেজিয়ার দায়ের করা মামলার বিষয়ে মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ কে এম আছাদুজ্জামান জানান, ঘটনাটি মানবপাচার প্রমাণ হলে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে।
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকুরী শেষে
ফেয়ারওয়েল আছে, আছে এককালীন আর্থিক সুবিধা ও পেনশন সহ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা।
কিন্তু যারা আল্লাহর ঘর মসজিদে খেদমতের কাজ করেন, দীর্ঘ দিন কাজ করার পরও তাদের
ভাগ্য জুটে না কোনো বিদায় সংবর্ধনা। তবে এবার স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের
ব্যতিক্রমী উদ্যোগ একই মসজিদে ৩৬ বছর খেদমত শেষে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে একজন
মুয়াজ্জিন পেলেন রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজ শেষে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের নরোত্তমপুর
গ্রামের গুড়াগাজী বেপারী বাড়ি মসজিদে তাকে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।
জানা যায়, গুড়াগাজী জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন হুজুর। তিনি একই
মসজিদে একটানা ৩৬ বছর, ৩ যুগেরও অধিক সময় মুয়াজ্জিন হিসেবে খেদমত করে গেছেন। বয়স
এবং কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ায় দীঘ কর্মজীবন শেষে তিনি অবসর নেন। তার এই দীর্ঘ খেদমত
জীবনকে স্মরণীয় করতে রাখতে মসজিদ কমিটির পরিচালনা পরিষদ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী
সংগঠন মানবতা এক্সপ্রেসের পক্ষ থেকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এ উপলক্ষে এলাকার হাজারো মুসল্লির উপস্থিতিতে তাদের পক্ষ থেকে নগদ এক লাখ
পঞ্চাশ হাজার টাকা সহ পরিবারের সদস্যদের জন্য উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে মুয়াজ্জিনকে।
এই সময় হাজারো মুসল্লি কয়েকটি পিকআপভ্যান এবং ফুলসজ্জিত একটি মাইক্রোবাসে করে
মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ হেলাল হুজুরকে ফুলেল শুভেচ্ছায় পুরো গ্রাম ঘুরিয়ে নিজ বাড়ীতে
পৌঁছে দেন। এইদিকে একজন দীর্ঘদিন মসজিদে খেদমত জীবন শেষে এমন শুভেচ্ছার উদ্যোগকে
স্বাগত জানান এলাকার অনেক উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ।
একজন সাধারণ মুয়াজ্জিন হিসেবে এমন বিরল সম্মান পেয়ে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে
আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ হেলাল হুজুর।
অনুষ্ঠিত সংবর্ধনায় বক্তব্য রাখেন, মসজিদের উপদেষ্টা ও দৈনিক নয়াদিগন্তের নোয়াখালী
অফিস প্রধান মুহাম্মদ হানিফ ভুঁইয়া, সাংবাদিক তাজুল ইসলাম মানিক, স্থানীয় ইউপি
সদস্য জিল্লুর রহমান, সমাজ সেবক শরীফ উল্লাহ, সাংবাদিক মোঃ সুমন ভূঁইয়া,
মানবতা এক্সপেসের মনির হোসেন, মনসাদ আলম প্রমূখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, সরকারি এবং বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী জীবন শেষে
এককালীন আর্থিক সুবিধা ও পেনশন সহ নানা সুযোগ-সুবিধা আছে। কিন্তু আল্লাহর ঘর
মসজিদের খতিব, মুয়াজ্জিনদের জন্য এ সুবিধা না থাকলেও গুড়াগাজী জামে মসজিদের
মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ হেলাল হুজুরের সম্মানজনক রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনার এই উদ্যোগ
আগামীতে অন্যান্য মসজিদের খতিব, মুয়াজ্জিনদের সম্মানে নতুন দিগন্ত উন্মেচিত হবে।
মন্তব্য করুন
মুন্সীগঞ্জে স্বামী ও শাশুড়ির দেওয়া আগুনে ১ মাস ১৬ দিন (৪৭ দিন) চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বর্ণা রানী (২৪) নামের এক গৃহবধূর নিহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করেন নিহতের স্বামী ও শাশুড়ির দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে গৃহবধূ সোমবার (১৬ সেপ্টেমর) বিকেলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়।
নিহত স্বর্ণা টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কামারখাড়া ইউনিয়নের নসংঙ্কর গ্রামের কৃষ্ণ সরকারের মেয়ে। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার গ্রামের বাড়ি টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কামারখাড়া ইউনিয়নের নসংঙ্কর নিয়ে আসে স্বজনরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর উত্তর কামারখাড়া মিজি বাড়ি এলাকার দিলিপ রায়ের ছেলে দিপ্ত রায় পরিবারের অমতে স্বর্ণা রাণীকে বিয়ে করে। দিপ্ত রায় বেকার থাকায় বিয়ের কিছুদিন পর থেকে দিপ্ত ও তার মা ঝর্ণা রানি রায় গৃহবধূ স্বর্ণাকে বাবার বাড়ি হতে যৌতুক এনে দেওয়ার জন্য চাপ ও মারধর করে। স্বর্ণা বিষয়টি তার পরিবার ও আত্নীয় স্বজনকে একাধিকবার জানায়। পরে গত ৩০ জুলাই সকালে যৌতুকের দাবিতে স্বর্ণাকে মারধর করে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় তার স্বামী ও শাশুড়ি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে। সেখানে ১ মাস ১৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে নিহতের বাবা কৃষ্ণ সরকার জানান, আমার মেয়েকে তারা অনেক মারধর করতো। আগুন দেওয়ার ৫ দিন আগে তারা ৪/৫জন মিলে আমার মেয়েকে খুব মেরেছে। পরে গত ৩০ জুলাই মারধর করে রান্না ঘরে নিয়ে তার স্বামী ও শাশুড়ি গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমার মেয়ে মৃত্যুর আগে আমার ছোট মেয়ের কাছে সব বলে গেছে এবং সেটি রেকর্ড রয়েছে। আমি তার স্বামী ও শাশুড়ির বিচার চাই। মেয়ের সৎকাজ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করবো।
এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী থানার ওসি মহিদুল ইসলাম জানান, আমি মৌখিকভাবে শুনেছি। নিহতের পরিবারের অভিযোগ তার স্বামী ও শাশুড়ি নাকি নিহতের শরীরে আগুন দিয়েছে। ওই নারী মারা যাওয়ার পরে আমাকে ঢাকা থেকে ফোন দিয়েছিল। আমি বলেছি যেহেতু পরিবারের অভিযোগ রয়েছে তাই মরদেহ ময়নাতদন্ত করতে হবে। পরে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
কণ্ঠশিল্পী
আসিফ আকবর সম্প্রতি নতুন ফ্ল্যাটে উঠেছেন। তবে নতুন বাসায় উঠেই তার আদরের বিড়াল পুম্বাকে
হারিয়ে ফেলেছেন। পোষ্য প্রাণীটিকে খুঁজে পেতে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
নতুন ফ্ল্যাটের আশপাশে খোঁজার পাশাপাশি সিসি ফুটেজও দেখছেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু
সেই ঘটনার ২ সপ্তাহেও বিড়ালটির খোঁজ পাচ্ছেন না আসিফ। ছোট ছেলে রুদ্রর আগ্রহে বাড়িতে
আনা হয়েছিল পুম্বাকে।
বিড়ালটি
হারানোর পর থানায় জিডিও করেছিলেন, প্রতিদিন খোঁজ করছেন আশপাশে। না পেয়ে অবশেষে ঘোষণা
করলেন পুরস্কার, কেউ পুম্বার হদিস দিতে পারলে দেবেন ৫০ হাজার টাকা।
আসিফ
ফেসবুকে লেখেন, বিড়ালটা বেঁচে আছে, হয়তো কারো বাসায় আছে। তিনি হয়তো মালিক খুঁজে পাচ্ছেন
না। অথবা কেউ নিজের মনে করে লুকিয়ে রেখেছেন এই সম্ভাবনাও নাকচ করছি না। পুম্বা খুব
সুন্দর দেশি ক্যাট, জানি সে ভালো যত্ন-আত্তিতেই আছে। ওকে ইনজেকশন দেওয়ার সময় হয়ে এসেছে।
প্লিজ, পুম্বার সন্ধান দিন, ৫০ হাজার টাকা গিফট পৌঁছে যাবে।
মন্তব্য করুন
মুরাদুল
ইসলাম
মুরাদ,
( কুড়িগ্রাম)
প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামে ভূয়া স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান পরিচয়ে মাদক পাচারের সময় বিপুল পরিমান ফেন্সিডিলসহ তিনজনকে আটক করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে
র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের
একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কুড়িগ্রাম জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল পাচার করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে গাড়ীযোগে গাজীপুরে নিয়ে যাওয়ার জন্য ৩ জন মাদক
চোরাকারবারী শেরপুর জেলার সদর থানাধীন জেলখানার মোড় ’’মের্সাস লামিয়া এন্টারপ্রাইজ’’
দোকানের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর অবস্থান করছে। এ সংবাদ পেয়ে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের
কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর নেতৃত্বে র্যাবের
একটি চৌকস আভিযানিক দল শেরপুর জেলার
সদর থানাধীন জেলখানার মোড় মের্সাস লামিয়া এন্টারপ্রাইজ দোকানের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে আব্দুল আজিজ, মোছাঃ রোকছানা খাতুন ও মোছাঃ জুলি কে আটক করে।
তাদের সাথে থাকা বিভিন্ন ব্যাগ ও বাজারের ব্যাগ তল্লাশী করে ব্যাগের ভিতরে থাকা ৪২৬ বোতল ফেন্সিডিল, ৩ টি মোবাইল সেট (সীমসহ), নগদ-৭৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত আসামীদ্বয় হলেন- ১। আব্দুল আজিজ (৩৪), পিতা- মোঃ আঃ গফুর, সাং-থৈকড়ের পাড়া, থানা-সাঘাটা, জেলা-গাইবান্ধা। ২। মোছাঃ রোকছানা খাতুন (৩৫), স্বামী-মন্টু মিয়া, সাং-নিয়ামতপুর, থানা-করিমগঞ্জ, জেলা-কিশোরগঞ্জ। ৩। মোছাঃ জুলি।
র্যাব জানান, তারা কুড়িগ্রাম জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ফেন্সিডিল পাচার করে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের ভূয়া
পরিচয় দিয়ে ফেন্সিডিল বিক্রয়ের জন্য গাজীপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন স্থানে ফেন্সিডিল ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে
আসছিল। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
উক্ত বিষয়ে আটককৃত আসামীদ্বয় ও আটককৃত আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু‘র বিরুদ্ধে শেরপুর জেলার সদর থানায় মামলা দায়ের করে হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চাদঁপুর জেলার কচুয়া উপজেলার পালাখাল বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের নব নির্বাচিত কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারন সম্পাদক ইউপি সদস্য মো. শাহজালাল মিয়াকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সোমবার এলাকাবাসীর আয়োজনে নব নির্বাচিত কমিটিকে ফুলেল শুভেচ্ছা দেয়া হয়।
এসময় নব নির্বাচিত কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারন সম্পাদক শাহজালাল মিয়া বলেন, মসজিদ হলো আল্লাহর ঘর। আল্লাহ ঘরের খেদমতে যেন সবসময় করতে পারি এজন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করছি। বিশেষ করে মসজিদের উন্নয়ন ও সামগ্রিক বিষয় নিয়ে সেবা দিতে পারি সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
এসময় পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান, বিশিষ্ট সমাজসেবক ছিদ্দিকুর রহমান,শহীদ বেপারী,তাফাজ্জল হোসেন,ব্যবসায়ী মোজাফফর হোসেন,শাহআলম ও সুজন সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন