শেরপুর
জেলায় নিখোঁজের সাত দিন পর নিখোঁজ সেই তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় একাধিক সূত্রের দাবি, গ্রেফতার তরুণীর সঙ্গে নিহত তরুণের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু একটি সম্পর্ক চলাকালে আরেক সম্পর্কে জড়িয়ে
যান ওই তরুণী। তাই ১ম প্রেমিককে সরিয়ে দিতে ২য় প্রেমিকের সহায়তায় তাকে হত্যা করা হয়। তবে পুলিশ বলছে, এ নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে।
গতকাল
সোমবার (১১ নভেম্বর) শহরের কাজীবাড়ি পুকুরপাড় এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নতুন করে আরেক তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন
শেরপুরের পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম ।
নিহত সুমন মিয়া (১৭) পৌরসভার কসবা বারাকপাড়া এলাকার কৃষক মো: নজরুল ইসলামের ছেলে। সে শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, অভিযুক্ত তরুণী আন্নী বেগম (১৭), বাবা আজিম উদ্দিন (৪২) ও দ্বিতীয় প্রেমিক রবিন (১৭)।
জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে প্রথমে পরিচয় এবং পরে প্রেমে জড়ায় শেরপুর পৌরসভার কসবা বারাকপাড়া এলাকার কৃষক নজরুল ইসলামের ছেলে সুমন ও শ্রীবরদীর ভেলুয়া ইউনিয়নের কাউনেরচর এলাকার আজিম উদ্দিনের মেয়ে আন্নী বেগমের। সুমনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে থেকেও সুমনের অপর বন্ধু শেরপুর শহরের সজবরখিলা মহল্লার ফোরকান পুলিশের ছেলে রবিনের সঙ্গে গড়ে ওঠে গভীর প্রেমের সম্পর্ক। রবিন ময়মনসিংহের একটি কলেজের এইচএসসির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। পথের কাটা সুমনকে সরাতে ৪ নভেম্বর বিকেলে সুমনকে বিয়ের কথা বলে রবিনের বাড়িতে ডেকে আনে আন্নী ও রবিন। এরপর তাকে হত্যা করে নিজ উঠানে লাউয়ের মাচার নিচে মাটিতে পুঁতে রাখে সুমনের মরদেহ।
এদিকে রাতে সুমন বাড়ি ফিরে না এলে পরদিন সদর থানায় প্রথমে নিখোঁজ ডায়েরি এবং পরে আন্নী ও তার বাবা-মাসহ কয়েকজনের নামে অপহরণ মামলা দায়ের করে সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম। এ ঘটনায় পুলিশ সোমবার রাতে আন্নী বেগম ও তার বাবাকে গ্রেফতার করে। পরে আন্নীর স্বীকারোক্তিতে তার অপর প্রেমিক রবিনকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রবিনের স্বীকারোক্তিতে তার বাড়ির আঙিনায় মাটিচাপা দেওয়া সুমনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
শেরপুরের পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রথমে মামলা নিয়ে কলেজ শিক্ষার্থী আন্নী ও তার বাবাকে গ্রেফতার করেছি। পরে আন্নীর দেওয়া তথ্যমতে রবিনকে গ্রেফতার করা হয়। রবিনের স্বীকারোক্তিতে তার বাড়ি থেকে মাটিচাপা দেওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়। এর সঙ্গে আর কারা জড়িত তদন্ত করে বের করা হবে।
মন্তব্য করুন
কোরবানির হাট কাঁপাতে প্রস্তুত ‘লালু মাস্তান’। ফ্যান ছাড়া
ঘুমাতে পারে না ৩৬ মণের
‘লালু মাস্তান’। ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড়টির ওজন ৩৬
মণ, বয়স ৪ বছর ৩ মাস।
ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার ৫ নম্বর গাজীভিটা
ইউনিয়নের পূবসমনিয়া পাড়া গ্রামের কৃষক মো: আলম মিয়া এই গরুর মালিক।
গায়ের রং লাল এবং
ছোটবেলা থেকেই চলাফেরায় বেশ ভাবসাব থাকার কারণে কৃষক আলম তার ষাঁড়টির নাম দিয়েছেন লালু মাস্তান।
প্রচণ্ড গরম লাগে এই গরুর। আবার গোসল করাতে হয় দিনে ২ থেকে ৩ বার। ফ্যান ছাড়া ঘুমাতেই পারে না ‘লালু মাস্তান’।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই লালু মাস্তান গত ঈদুল আজহায় ঢাকার উত্তরা দিয়াবাড়ী হাটে উঠেছিল। তখন পৌনে ৭ লাখ টাকা দাম উঠলেও পছন্দসই ক্রেতা না পাওয়ায় বিক্রি হয়নি।
গরুর মালিক জানান, শখের বসে এই লালু মাস্তানকে লালন পালন করা হয়েছে। এখন তার ওজন ৩৬ মণ। ভূট্টা, কুড়া, ভুসি, খড় ও ঘাস লালু মাস্তানের পছন্দের খাবার। তবে মাঝে মাঝে তাকে খাওয়ানো হয় দুই থেকে তিন হালি করে কলা। গরমে দিতে হয় নিয়মিত স্যালাইন। সেই সঙ্গে বেশি গরমে এই গরুটি ফ্যান ছাড়া ঘুমাতে পারে না।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল, কুমিল্লা :
কুমিল্লার বরুড়া ও মুরাদনগর উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় দুই কিশোর ও দুই কৃষকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
আজ সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বরুড়া উপজেলার পয়ালগচ্ছ গ্রামে ঘুড়ি উড়ানোর সময় বজ্রপাতের শিকার হয়ে মারা যায় দুই কিশোর। নিহতরা হলেন- পয়ালগচ্ছ গ্রামের মৃত খোকন মিয়ার ছেলে ফাহাদ হোসেন (১৩) এবং আব্দুল বারেক মিয়ার নাতি সায়মন হোসেন (১৩)। তারা উভয়েই বড় হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
একই দিন দুপুরে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন কোরবানপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ হারান দুই কৃষক। নিহতরা হলেন- কোরবানপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত বীর চরন দেবনাথের ছেলে নিখিল দেবনাথ (৫৫) এবং আন্দিকোট ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের জসিম উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে জুয়েল ভূঁইয়া (৩২)।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সফিকুল ইসলাম জানান, কোরবানপুর পূর্বপাড়া কবরস্থানের পাশের মাঠে কৃষকরা ধান কাটছিলেন। হঠাৎ শুরু হওয়া বৃষ্টির মধ্যে আকস্মিক বজ্রপাতে নিখিল দেবনাথ ও জুয়েল ভূঁইয়া নিহত হন।
বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
২০ কেজি গাঁজাসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
গতকাল
(২ ডিসেম্বর) কোতয়ালী মডেল থানাধীন কান্দিরপাড় পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত এসআই (নিঃ) মফিজুল
ইসলাম খান ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন রাজমঙ্গলপুর পশ্চিম মধ্যপাড়ায়
২০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ সোহেল মিয়া
কে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামি হলো: মোঃ সোহেল মিয়া(২৩), পিতা-মোঃ জামাল ভূইয়া,
মাতা-মৃত-আমেনা বেগম ,স্থায়ী: গ্রাম- রাজমঙ্গলপুর (পোঃ-বিবির বাজার) , উপজেলা/থানা-
কুমিল্লা কোতয়ালী, জেলা –কুমিল্লা।
উক্ত
ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত
আসামী মোঃ সোহেল মিয়া এর বিরুদ্ধে পূর্বের ১টি মাদক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে
।
মন্তব্য করুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মাসুদ হত্যা মামলা ও চাঁদাবাজি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি হালিম মিয়া (৩০) নামে এক আসামি পুলিশের হাতে কামড় দিয়ে পালিয়েছে।
শনিবার (০৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনাটি ঘটে উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের খাগাতুয়া গ্রামে।
আসামি হালিম মিয়া ওই গ্রামের কাদির মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, খাগাতুয়া গ্রামের মাসুদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি হালিম মিয়া। হত্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও চাঁদাবাজি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি ছিলেন হালিম মিয়া। শনিবার সন্ধ্যায় খাগাতুয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে হালিমকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু তার হাতে হাতকড়া পড়ানোর আগেই এএসআই আশরাফুল আরিফের হাতে কামড় দিয়ে আসামি হালিম মিয়া পালিয়ে যান।
পালিয়ে যাওয়া আসামিকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে বলে জানান নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব আলম।
মন্তব্য করুন
পাওনা
৩৬ হাজার টাকা না দেওয়ায় পরকীয়া প্রেমিকের হাতে খুন হয় কুমিল্লা হোমনা উপজেলার বড় ঘাগুটিয়া
ইউনিয়নের ঘাগুটিয়া গ্রামের শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে
সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।
গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহপরানের ঘরে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।
হত্যাকাণ্ডের
পরই রহস্য উদঘাটনে এবং খুনিকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ।
এর একদিন পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে হোমনার শ্রীমদ্দি চরেরগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূলহোতা আক্তার হোসেনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আক্তার হোসেন (২৭) হোমনা শ্রীমদ্দি চরের গাঁও এলাকার হক মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর হত্যাকারী আক্তার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, নিহত মাহমুদার সঙ্গে তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর মাহমুদা তার পরকীয়া প্রেমিক আক্তার হোসেনের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা ধার নিতো। সর্বশেষ আক্তার হোসেনের নিহত মাহমুদার কাছে ৩৬ হাজার টাকা পাওনা ছিল। আক্তার সেই টাকা মাহমুদার কাছে ফেরত চাইলে টাকা ফেরত দেব-দিচ্ছি করে আক্তারকে ঘোরাতে থাকেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কয়েক দফা বাগবিতণ্ডা হয়।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আক্তারকে তার পাওনা টাকা ফেরত দেবেন বলে বাড়িতে ডাকেন মাহমুদা। পরে রাতে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন মাহমুদা, হত্যাকারী আক্তার, মাহমুদার ছেলে সাহাত এবং মাহমুদার ভাতিজি তিশা।
খাওয়া শেষে তিশা ও সাহাত ঘুমিয়ে পড়ে। তখন আক্তার তার পাওনা টাকা ফেরত চাইলে মাহমুদা রাগারাগি করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ফের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে মাহমুদাকে মাথায় আঘাত করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন আক্তার। আর ভাবতে থাকেন তিশা ও সাহাত তো সন্ধ্যায় তাকে দেখেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা যদি আক্তারের কথা বলে দেয় সেই আশঙ্কা থেকে তাদের দুজনকেও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে মরদেহ তিনটি এক খাটের ওপর রেখে পালিয়ে যান তিনি।
হোমনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, তিনজনকে হত্যার ঘটনায় নিহত মাহমুদার বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করার পর ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে নামে পুলিশ। তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ হত্যাকারী আক্তারকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাতে আক্তারকে তার নিজবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার বিকেলে আদালতে তোলা হলে ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহপরানের ঘরে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এর আগে, বুধবার রাতের কোনো একসময় তিনজনকে হত্যা করে মরদেহ একটি খাটের ওপর ফেলে রাখা হয়।
নিহতরা হলেন বড় ঘাগুটিয়া এলাকার মো. শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।
এ
ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতেই নিহত মাহমুদার বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি
হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘাতক আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে শনিবার বিকেলে তাকে আদালতে তোলা হয়।
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জ
জেলায় প্রেমঘটিত কারণে হতাশা থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঘনিষ্ঠ দুই বন্ধু আত্মহত্যা করেছেন।
সোমবার ও মঙ্গলবার (১৩
ও ১৪ মে) জেলার কোটালীপাড়া উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার
(১৪ মে) সকালে গাছে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় যুবক পল্লব বাড়ৈর (২২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি উপজেলার শিকির বাজার গ্রামের গণেশ বাড়ৈর ছেলে।
সোমবার
(১৩ মে) নিজ কক্ষে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় অশ্রু বিশ্বাসের (২৪) মরদেহ উদ্ধার হয়। তিনি উপজেলার ছিকটিবাড়ী গ্রামের আশুতোষ বিশ্বাসের ছেলে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে গাছে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পল্লব বাড়ৈ (২২) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ। এর আগে সোমবার
(১৩ মে) সকালে নিজ কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্র অশ্রু বিশ্বাস (২৪)।
জানা গেছে, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্র পল্লব বাড়ৈর বরিশালের একটি মেয়ের সঙ্গে ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু মেয়েটি হটাৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন পল্লব। সোমবার ভোরে তাকে ঘরে না পেয়ে তাকে খুঁজতে বের হন পরিবারের সদস্যরা।
মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশে একটি গাছে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পাই পরিবারের মানুষ। এরপর পুলিশে খবর দেয় তারা। পুলিশ এসে পল্লব বাড়ৈর মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় তার পকেট থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। সেখানে লেখা ছিল, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।
অন্যদিকে, সোমবার (১৩ মে) ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও পল্লব বাড়ৈর বন্ধু অশ্রু বিশ্বাস গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। প্রতিবেশী এক মেয়ের সঙ্গে তার প্রেমের সর্ম্পক ছিল। মেয়েটির অন্যত্র বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। কিছুদিন ধরে বিয়ের জন্য পরিবারকে চাপ দিচ্ছিলেন অশ্রু বিশ্বাস। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ করতেন তিনি। সোমবার সকালে নিজ কক্ষে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
কোটালীপাড়া থানার এসআই আতাউর রহমান জানান, এ ঘটনায় দুইটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পল্লব বাড়ৈ প্রেমে ব্যর্থ হয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানতে পেরেছি। অপরদিকে, অশ্রু মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।
মন্তব্য করুন
সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কুদরত ই খুদা মিলন নিশ্চিত করে বলেছেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে টানা ৬ দিন বন্ধ থাকছে দেশের উত্তরের একমাত্র চার দেশীয় (বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান) বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দরের সব কার্যক্রম। তবে স্বাভাবিক থাকবে বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার।
তিনি জানান, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আগামী মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) থেকে রোববার (১৪ এপ্রিল) পর্যন্ত এই ৬ দিন এ বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া বন্ধ থাকবে বন্দরের অভ্যন্তরীণ সব কার্যক্রম। আবার সোমবার (১৫ এপ্রিল) থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক হবে।
স্থলবন্দর সূত্র জানা যায়, পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আগামী ৯ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছয় দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়ীরা।
বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ওসি অমৃত অধিকারী জানান, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এই চেকপোস্ট দিয়ে উভয় দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
মন্তব্য করুন
চীনের
দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলের জিয়াংশি প্রদেশে জিনয়ু শহরে দোকানে অগ্নিকাণ্ডে
৩৯ জন নিহত হয়েছেন। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন আরও ৯ জন।ওই প্রদেশটির কর্তৃপক্ষ
এই খবর নিশ্চিত করেছে।
বুধবার(২৪
জানুয়ারি) বিকেলে জিনয়ু শহরে একটি দোকানের বেজমেন্টে আগুন লেগে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে
এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। তবে অন্য একটি সূত্র বলছে ঘটনাটি স্থানীয় সময় বেলা ৩টার দিকে
একটি রাস্তার দোকান থেকে এই আগুন লাগে। (খবর আল আল জাজিরা)
চীনা
টেলিভিশন সিসিটিভি এ ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। যেখানে ভবনের ভেতর থেকে কালো ধোঁয়া
বেরিয়ে আসতে এবং লোকজনকে জানালা দিয়ে লাফ দিতে দেখা যায়।
দুঃখজনক
দুর্ঘটনা উল্লেখ করে কী কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা তদন্ত করে দেখতে বলেছেন চীনের
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
মন্তব্য করুন
ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকদের দাবি দীর্ঘ ৪০ বছর পর পূরণ হতে যাচ্ছে।
এমপিওভুক্তির প্রস্তাবের ফাইলে শেষদিন বুধবার (৫ মার্চ) স্বাক্ষর করে গেছেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। ফলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা এমপিওভুক্ত হচ্ছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রথম ধাপে ১ হাজার ৫১৯ ইবতেদায়ী মাদ্রাসার ৬ হাজারের বেশি শিক্ষকের ভাগ্য খুলছে।
আজ বিদায়ী বক্তব্যে বিষয়টির ইঙ্গিত দিয়ে গেছেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ নিজেই। আজ বুধবার (৫ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শেষ কর্মদিবসে সেই ফাইলে স্বাক্ষর করে গেছেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা। সেই ফাইল এখন প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হবে। তার সম্মতি মিললে মে মাসের মধ্যে শিক্ষকরা বেতন-ভাতা পেতে পারেন।
তিনি বলেন, দেশে অনেক ইবতেদায়ী মাদ্রাসা আছে। এর মধ্যে অনেকগুলো অনানুষ্ঠানিক। কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠানের নথি (রেজিস্ট্রেশন) আছে। সরকারি প্রাথমিক স্কুলের মতো তারা বাংলা, ইংরেজি, গণিত পড়াচ্ছে। অবকাঠোমো, শিক্ষক থাকার পরও তাদের এমপিওভুক্ত করা হয়নি। তাদেরকে এমপিওভুক্ত করা সম্ভব। সেই কাজ আমি করে দিয়েছি।
এদিকে আজ বঙ্গভবনে নতুন শিক্ষা উপদেষ্টার শপথ অনুষ্ঠানে এই শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির বিষয়টি অর্থ বিভাগের সচিবকে অবহিত করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা। এ সময় অর্থ সচিব প্রধান উপদেষ্টার সম্মতি মিললে টাকা ছাড় করার বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন।
মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গত নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস থেকে ইবতেদায়ী শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করার জন্য কাজ করছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ। সারা দেশে এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনাক্তকারী নম্বর আছে (ইআইআইএন) এমন ১ হাজার ৫১৯টি মাদ্রাসাকে এমপিও করার ফাইল প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হবে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম বলেন, বিদায়ী উপদেষ্টা এই ফাইলে স্বাক্ষর করেছেন। ফাইলটি এখন প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের অনুমতির জন্য পাঠানো হবে। তিনি সদয় অনুমতি দিলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করা হবে।
কতদিন লাগতে পারে- জানতে চাইলে সচিব বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় চলতি বছরের বাজেট বরাদ্দ থেকে অর্থ ছাড়ের আশ্বাস দিয়েছেন। মে মাসের বেতন যেন শিক্ষকরা পান সেই চেষ্টা চালাচ্ছি।
মন্তব্য করুন
চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে অর্থ আত্মসাৎকারী সংঘবদ্ধ এই প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।
সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে চাকরির বিজ্ঞাপন প্রকাশের পর সক্রিয় হয়ে উঠতো একটি প্রতারক চক্র। চক্রের সদস্যরা মাঠকর্মী সেজে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে যে কোনো চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিতো। এভাবে প্রার্থীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়ার মাধ্যমে গত কয়েক বছরে চক্রটি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
ডিবি জানিয়েছে, রেলপথ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তর, পররাষ্ট্র অধিদপ্তর, বিআরটিসি, বিএডিসি, সচিবালয়, ব্যাংক, মেট্রোরেল, এয়ারপোর্ট, তিতাস গ্যাস এবং বিশেষ বাহিনীর সিভিল পদে চাকরির বিজ্ঞাপন বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসার পর একটি প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠে। সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করত একটি চক্র। চক্রটি প্রত্যেক চাকরিপ্রত্যাশীর কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও এখন পর্যন্ত কাউকে চাকরি দিতে পারেনি। এভাবে গত কয়েক বছরে তারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. ফরিদুল ইসলাম (২৯), মো. নাসির চৌধুরী (৪৫), মো. নাসিম মাহমুদ (৪৩) ও জুয়েল রানা (৪৫)। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত চারটি মোবাইল ফোন ও বেশ কিছু ভুয়া নিয়োগপত্র, চেক ও স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেফতাররা বেশ কিছুদিন ধরে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে দেখিয়ে প্রদানের মাধ্যমে সাধারণ চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। অনুসন্ধানে এই চক্রের বিভিন্ন ধাপ লক্ষ্য করা যায়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, কোনো চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেই এই চক্রের সদস্যরা মাঠকর্মী সেজে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে যে কোনো চাকরি পাইয়ে দেওয়ার মতো তাদের হাতে লোক রয়েছে বলে আশ্বস্ত করতো। চাকরিপ্রার্থীরা তাদের প্রস্তাবে রাজি হলে ব্লু ব্যাংক চেক, ব্ল্যাংক স্ট্যাম্প ও সিভি সংগ্রহ করার পাশাপাশি প্রত্যেকের কাছ থেকে অগ্রিম হিসেবে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা নিতো।
ডিবিপ্রধান আরো বলেন, মাঠকর্মী তার কমিশনের নির্দিষ্ট টাকা রেখে বাকি টাকা ও সিভি ফিল্ড পর্যায়ের সাব-এজেন্টের কাছে পাঠাতো। এরপর সাব-এজেন্ট সেই টাকা ও সিভি গ্রহণ করে সব চাকরিপ্রার্থীকে নির্দিষ্ট দিনে ভাইভার কথা বলে ঢাকাস্থ এজেন্টের কাছে পাঠাতো। পরে ঢাকাস্থ এজেন্ট আবাসিক হোটেলের রুমে বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আশপাশের কোনো একটি চায়ের দোকানে চাকরিপ্রার্থীদের ভাইভা পরীক্ষা নিতো। ভাইভাতে উত্তীর্ণ হয়েছে বলে প্রার্থীর কাছ থেকে ওইদিন চুক্তির ৫০ শতাংশ টাকা নিয়ে নিতো। এরপর চক্রের আরেক সদস্য চুক্তির বাকি টাকা গ্রহণ করে প্রার্থীকে নির্দিষ্ট চাকরিতে দিনে যোগদানের কথা উল্লেখ করে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একটি ভুয়া আইডি কার্ড দিয়ে পুরো টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা হয়ে যেতো। অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, পরবর্তী সময়ে চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগপত্রে উল্লেখিত তারিখে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগদান করতে গেলে জানতে পারেন, প্রতারক চক্রের দেওয়া নিয়োগপত্র আর আইডি কার্ডটি ভুয়া। ততোদিনে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকার মতো। পরে চক্রটি নিজেদের মধ্যে চুক্তির টাকা ভাগাভাগি করে নিতো।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানায়, চক্রটি গত দু-তিন বছর ধরে এভাবে চাকরিপ্রত্যাশীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। তাদের ব্যবহৃত হোয়াটঅ্যাপ/মেসেঞ্জারে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তারা বিভিন্ন চাকরিপ্রত্যাশীদের বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তর, পররাষ্ট্র অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিআরটিসি, বিএডিসি, এলজিইডি, সচিবালয়, বিভিন্ন ব্যাংক, প্রাথমিকের পিয়ন, মেট্রোরেল, এয়ারপোর্ট, তিতাস গ্যাস ও ওয়াসার আউটসোর্সিং এবং বিশেষ বাহিনীর সিভিল পদে নিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিতো।
গ্রেফতার এ চক্রে জুয়েল রানা ফিল্ড পর্যায়ে মাঠকর্মী, নাসিম মাহমুদ ফিল্ড পর্যায়ের সাব-এজেন্ট ও নাসির চৌধুরী ঢাকাস্থ সাব-এজেন্ট এবং চক্রের মূলহোতা হিসেবে ফরিদুল ইসলামের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।
১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর মামলা করেন এক ভুক্তভোগী । মামলার বাদীকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এমএলএসএস পদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। নিয়োগপত্র নিয়ে তিন মাস পরে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে যোগদানের জন্য গেলে জানতে পারেন নিয়োগপত্রটি ভুয়া। পরবর্তী সময়ে আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করতে গেলে তাদের ব্যবহৃত সব মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। মামলার বাদী প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
ডিবি-সাইবারের অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল হক বলেন, চক্রটি গত কয়েক বছরে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা কারে নিলেও কারও চাকরি দিতে পারেনি। পত্রিকায় চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে শুধু সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করতে হবে। চাকরির ক্ষেত্রে কারও সঙ্গে কোনো লেনদেন করা যাবে না।
তিনি বলেন, গ্রেফতারদের বিরূদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আসামিদের ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন