শেরপুর
জেলায় নিখোঁজের সাত দিন পর নিখোঁজ সেই তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় একাধিক সূত্রের দাবি, গ্রেফতার তরুণীর সঙ্গে নিহত তরুণের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু একটি সম্পর্ক চলাকালে আরেক সম্পর্কে জড়িয়ে
যান ওই তরুণী। তাই ১ম প্রেমিককে সরিয়ে দিতে ২য় প্রেমিকের সহায়তায় তাকে হত্যা করা হয়। তবে পুলিশ বলছে, এ নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে।
গতকাল
সোমবার (১১ নভেম্বর) শহরের কাজীবাড়ি পুকুরপাড় এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নতুন করে আরেক তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন
শেরপুরের পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম ।
নিহত সুমন মিয়া (১৭) পৌরসভার কসবা বারাকপাড়া এলাকার কৃষক মো: নজরুল ইসলামের ছেলে। সে শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, অভিযুক্ত তরুণী আন্নী বেগম (১৭), বাবা আজিম উদ্দিন (৪২) ও দ্বিতীয় প্রেমিক রবিন (১৭)।
জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে প্রথমে পরিচয় এবং পরে প্রেমে জড়ায় শেরপুর পৌরসভার কসবা বারাকপাড়া এলাকার কৃষক নজরুল ইসলামের ছেলে সুমন ও শ্রীবরদীর ভেলুয়া ইউনিয়নের কাউনেরচর এলাকার আজিম উদ্দিনের মেয়ে আন্নী বেগমের। সুমনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে থেকেও সুমনের অপর বন্ধু শেরপুর শহরের সজবরখিলা মহল্লার ফোরকান পুলিশের ছেলে রবিনের সঙ্গে গড়ে ওঠে গভীর প্রেমের সম্পর্ক। রবিন ময়মনসিংহের একটি কলেজের এইচএসসির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। পথের কাটা সুমনকে সরাতে ৪ নভেম্বর বিকেলে সুমনকে বিয়ের কথা বলে রবিনের বাড়িতে ডেকে আনে আন্নী ও রবিন। এরপর তাকে হত্যা করে নিজ উঠানে লাউয়ের মাচার নিচে মাটিতে পুঁতে রাখে সুমনের মরদেহ।
এদিকে রাতে সুমন বাড়ি ফিরে না এলে পরদিন সদর থানায় প্রথমে নিখোঁজ ডায়েরি এবং পরে আন্নী ও তার বাবা-মাসহ কয়েকজনের নামে অপহরণ মামলা দায়ের করে সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম। এ ঘটনায় পুলিশ সোমবার রাতে আন্নী বেগম ও তার বাবাকে গ্রেফতার করে। পরে আন্নীর স্বীকারোক্তিতে তার অপর প্রেমিক রবিনকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রবিনের স্বীকারোক্তিতে তার বাড়ির আঙিনায় মাটিচাপা দেওয়া সুমনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
শেরপুরের পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রথমে মামলা নিয়ে কলেজ শিক্ষার্থী আন্নী ও তার বাবাকে গ্রেফতার করেছি। পরে আন্নীর দেওয়া তথ্যমতে রবিনকে গ্রেফতার করা হয়। রবিনের স্বীকারোক্তিতে তার বাড়ি থেকে মাটিচাপা দেওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়। এর সঙ্গে আর কারা জড়িত তদন্ত করে বের করা হবে।
মন্তব্য করুন
খবর ছড়িয়েছে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন চট্টগ্রামের তরুণ রাজনীতিবিদ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল জনপ্রিয় মানবিক ব্যক্তিত্ব ফারাজ করিম চৌধুরী। এ বিয়ের গুঞ্জন সবদিকে দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ছে।
তবে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠলেও বিশেষ কোনা কারণে মুখ খোলেননি কেউ। এমনকি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পেলেও এ বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফারাজ করিম চৌধুরী'র পক্ষ থেকেও কেউই সাড়া দেননি।
জানা যায়, অনলাইন ফ্ল্যাটফর্মে দেশের বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশ ফারাজ করিম চৌধুরীর সাপোর্টার ও ফলোয়ার্স। কদিন আগেই একটি বিয়ের কার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যার কারণে তার বিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতুহল অনেক বেশি বেড়েছে। গত বছরও একই কাণ্ড ঘটেছিলো।
ছোটবেলা থেকে মানুষের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়ানো এই তরুণকে ঘিরে দেশবাসীর কৌতুহলের শেষ নেই। কেননা, দেশজুড়ে বিভিন্ন দূর্যোগকালীন মুহুর্তে সাহসিকতার সাথে মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে কোটি কোটি সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন তিনি।
১৯৯২ সালে চট্টগ্রামের রাউজানে জন্মগ্রহণ করা ফারাজ করিম চৌধুরীর পিতা এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরী টানা ৫ বারের সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র হতে জানা যায়, ইতোপূর্বে বিয়ে প্রসঙ্গে ফারাজ করিম চৌধুরী বিভিন্ন মিডিয়ায় ঘোষণা দিয়েছিলেন সাদামাটাভাবে মসজিদে শরীয়াহ নিয়ম মেনে বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
সত্যিই কি এমন কিছু ঘটতে থাকে এ জন্য আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে ফারাজ করিম চৌধুরীর ঘনিষ্টদের অনেকেই জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে আশুলিয়া থানা অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস্) আবদুল্লাহিল কাফি জানান, পোশাক কারখানা ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বেতন প্রদানের সময় স্ট্যাম্পের চাহিদার সুযোগ নিয়ে কোটি টাকার জাল স্ট্যাম্প সরবরাহ করে আসছিল একটি চক্র। এমন চক্রের সন্ধান পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে আশুলিয়া থানা পুলিশ আর এ অভিযানে বিপুল সংখ্যক জাল স্ট্যাম্পসহ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-বরিশাল জেলার সদর থানার ব্রাউন কম্পাউন্ড রোড এলাকার মৃত আ. রশিদ হাওলাদারের ছেলে মো. আসিফ ইকবাল (৩৮) ও মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার বাহেরচর গ্রামের হোসেন মোল্লার ছেলে মো. জুয়েল (৪২)। একটি পোশাক কারখানায় জার স্ট্যাম্প বিক্রির সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস্) আবদুল্লাহিল কাফি বলেন, জাল স্ট্যাম্প তৈরির কারখানা আমরা গত ঈদের আগে শনাক্ত করে চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছি। তারা কিন্তু ধরন পরিবর্তন করেছে। পোশাক কারখানার বেতনের সময় ১০ টাকার জাল স্ট্যাম্পের প্রয়োজন হয়। একই সঙ্গে পণ্য শিপমেন্টের সময় ৫০০ টাকার স্ট্যাম্প প্রয়োজন হয়। এ চাহিদাকে চক্রটি কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার ডংলিয়ন পোশাক কারখানায় জাল স্ট্যাম্প বিক্রি করতে আসেন আসামি আসিফ ইকবাল। খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ।
পুলিশের উপস্থিত বুঝতে পেরে তিনি আসিফ ইকবাল পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১০ টাকা মুল্যের ২ লাখ ৯০ হাজার ২০০ টি রিভিনিউ স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার মৌচাক বাজারের ইউনিয়ন ব্যাংকের সামনে থেকে মো. জুয়েল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার কাছ থেকে ১০ টাকা মূল্যের ১০ হাজার ও ৫০০ টাকা মূল্যের ৪০ হাজার স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়। যার মুল্য দুই কোটি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এ জাল স্ট্যাম্পের কারখানার করা হচ্ছে। দ্রুত কারখানাসহ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হবে। গ্রেপ্তারকৃত আসামির রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) বিশেষ টহলদল মাদক ও চোরাচালানবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ২৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় বিভিন্ন প্রকারের ২৫,৮০০ পিস বাজি জব্দ করেছেন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ কটকবাজার পোস্টের বিশেষ টহলদল, হাবিলদার মোঃ মাহাবুবুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালনা করে।
অভিযানে, সীমান্ত পিলার ২১০০/২-এস থেকে প্রায় ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কেকে নগর নামক স্থান থেকে ভারত থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে আনা এই বিপুল পরিমাণ বাজি জব্দ করা হয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধে তাদের কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয়ে নব নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বিদ্যালয় মিলনায়তনে নব নির্বাচিত সভাপতি হাবিবুর রহমান ও অন্যান্য সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। বিদ্যালয়ের নব নির্বাচিত সভাপতি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান, পিটিএ কমিটির সভাপতি ইয়ার আহমেদ মজুমদার,বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য স্বাধীন চন্দ্র চৌধুরী, ছোলাইমান, মাহবুব আলম,বিল্লাল হোসেন,মোহাম্মদ মাসুদুল ইসলাম সরকার,সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রিমা রানী মজুমদার, শিক্ষক প্রতিনিধি সুজন চন্দ্র চৌধুরী,মোহাম্মদ নবীর হোসেন,মারুফ শাকিলা,বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুল খালেক,উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম সৌরভ ও পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন,ছাত্রলীগ নেতা অন্তুর হোসেন,রাফি মজুদারসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে সেফটি ট্যাংক থেকে
প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে গ্রেফতারের
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুড়িচং থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক।
তিনি জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জের
ধরে ২ লাখ টাকা চুক্তিতে খুন করা হয় ফেরদৌসী বেগমকে। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে নিহতের
ঝা সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে আসামীরা আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- দক্ষিণগ্রামের জাহাঙ্গীর
আলমের স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৫০) একই গ্রামের মোঃ সোলাইমান ওরফে তনু মিয়ার ছেলে আনোয়ার
(৩০), মমতাজ উদ্দিনের ছেলে রুবেল আহমেদ মিন্টু (৩১), খোরশেদ আলমের ছেলে মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন
জিল্লু (২৭)।
ওসি জানান, রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ
গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার সৌদি প্রবাসী শামসুল হক আলমের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম নয়ন ও ঝা নুরজাহান
বেগম মধ্যে বাড়ির পাশের একটি জমি নিয়ে পূর্ববিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে কোন প্রকার
সুরহা না হওয়ায় ফেরদৌসী বেগমকে হত্যার পরিকল্পনা করে ঝা নুরজাহান বেগম।
পরিকল্পনা অনুযায়ী পার্শ্ববর্তী এলাকার
মাদকসেবী আনোয়ার হোসেনের সাথে দুই লাখ টাকায় হত্যার চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী
আনোয়ার হোসেন সাথে মমতাজ উদ্দিনের ছেলে রুবেল আহমেদ মিন্টু ও খোরশেদ আলমের ছেলে মোহাম্মদ
মাইনুদ্দিন জিল্লু এই দুজনকে যুক্ত করেন। চুক্তি অনুযায়ী গত ২৭ জুন শুক্রবার সকালে
ফেরদৌসী বেগমকে বাড়ির পাশের একটি নির্জন বাগানে হত্যা করে মরদেহ সেফটি ট্যাংকে ফেলে
দেয়। ফেরদৌসী বেগম নিখোঁজের পর থেকেই পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজিসহ
থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরে মঙ্গলবার সকাল ৮টায় স্থানীয়রা বাড়ি
থেকে ২শ গজ দূরে একটি নির্জন বাগানের সেপটিক ট্যাংকে বস্তাবন্দি লাশের সন্ধান পেয়ে
বুড়িচং থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে বুড়িচং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে
সেফটি ট্যাংক থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে।
এই ঘটনার পর নিহতের ছেলে ইকরামুল হাসান
বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর বুড়িচং থানা পুলিশ
প্রথমে নিহতের ঝা নুরজাহান বেগম আটক করে। পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে একপর্যায়ে হত্যার
ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে আরও তিন আসামিকে গ্রেফতার
করা হয়।এ সময় আসামিদের কাছ থেকে নিহতের কানের দুল, গলার চেইন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বুধবার দুপুরে কুমিল্লা
আদালতে পাঠালে আসামিরা হত্যার ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দী প্রদান করেন। পরবর্তীতে আসামিদের
কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন
যশোরের চৌগাছায় দাঁত দিয়ে কামড়ে স্বামী
সোহাগ হোসেনের (২৪) জিহ্বা কেটে আলাদা করে ফেলেছেন তার স্ত্রী সীমা খাতুন (২৩)।
এ ঘটনায় পরে সোহাগ হোসেনকে হাসপাতালে
নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যশোর প্রেরণ করেন।
সোমবার (১০ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে
উপজেলার পাতিবিলা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
ভুক্তভোগী সোহাগের পিতা মোজাম্মেল হক
ও নানা সিদ্দিকুর রহমান জানান, আনুমানিক দুপুর ১২টার দিকে নিজ বাড়িতে সোহাগ ও সীমার
মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটি চলছিল। একপর্যায়ে স্ত্রী সিমা দাঁত দিয়ে কামড়ে
স্বামী সোহাগের জিহ্বা কেটে আলাদা করে ফেলে। এ সময় বাড়ির লোকজন সোহাগকে উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে নিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট
জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঘটনার পর পরিবারকে ডেকে পুত্রবধূ সীমাকে তার বাবার
বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সুষ্ঠু সমাধানের পর পুনরায় তারা সংসার করবে।
বর্তমানে সোহাগ যশোর জেনারেল হাসপাতালের
সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন বলেও জানান তিনি।
চৌগাছা থানার ডিউটি অফিসার এসআই জারফিন
জানান, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ২০ কেজি গাঁজাসহ দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ।
আজ (১৫ জানুয়ায়ী) সকালে চৌদ্দগ্রাম থানায় কর্মরত এসআই(নিঃ) আবু তাহের ভুইয়া ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন চৌদ্দগ্রাম বাজারস্থ রহমানিয়া হোটেল এর সামনে চট্টগ্রাম—ঢাকাগামী মহাসড়ক এর উপর পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ২ জন ব্যক্তি তাদের হাতে থাকা ২টি চটের বস্তার নিয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে আসামী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সাজু ও শ্রী সুমন চন্দ্র দে সরকার কে ২০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: শেরপুর জেলার শেরপুর থানার চকপাটর এলাকার মোঃ মজিবুর রহমান এর ছেলে মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সাজু এবং একই থানার লছমনপুর এলাকার শ্রী প্রভাত চন্দ্র দে সরকার এর ছেলে শ্রী সুমন চন্দ্র দে সরকার।
উক্ত ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সাজু (৪০) এর বিরুদ্ধে পূর্বের ১টি মাদক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুরের লক্ষ্মীপুর এলাকায় স্যাবলেট বাসা ভাড়া থেকে দম্পতির লাশ উদ্ধার করেছে দাউদকান্দি থানা পুলিশ।
জানা যায়,গতকাল ইফতারের পর থেকে রুমের দরজা দুই দিন ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় স্থানীয়রা জানালা দিয়ে মৃত অবস্থায় দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ দরজা ভেঙে দেখে দম্পতির লাশ উদ্ধার করে এবং দীর্ঘ সময় পরে পুলিশ তাদের পরিচয় উদ্ধারে সক্ষম হয়।
তারা হলেন তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সিনিয়র নার্স মালেকা বেগম (৪০) ও তিতাস উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের ওমরপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান মুন্সির ছেলে ঔষধ দোকানদার আমিনুল ইসলাম (৪৫)।
মান্নান দ্বিতীয় বিয়ে করে স্ত্রী নিয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন মামলায় ১১ আসামিকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
শুক্রবার
রাতভর নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। এ সময় পাচারকালে
আট কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
আজ
শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম।
পুলিশ
ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, নগরীতে অপরাধ দমনে পুলিশের একাধিক টিম শুক্রবার রাতভর
বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় পুলিশ রাজনৈতিক মামলা সংক্রান্তে ৮ জন,
সড়ক দুর্ঘটনার মামলায় দুইজন এবং নিয়মিত মামলায় একজনসহ মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে পাচারকালে উদ্ধার করা হয় ৮ কেজি গাঁজা।
গ্রেফতারকৃতরা
হচ্ছেন, হাসান (২৩), আব্দুল মালেক (৫৯), কামাল (১৯), জসিম (৪৩), মাহবুব খান শোয়েব
(২৬), তাজুল ইসলাম (৫৩), জাহাঙ্গীর আলম জানু (৬৫), সাইফুল হক (৫৮), সাইফুল আরেফিন রাহাত
(৪৩), আব্দুল আজিজ মিঠু (৫৪), আসাদুজ্জামান লাদেন প্রকাশ জামান প্রকাশ আসাদ (২২)।গ্রেফতারকৃতদেরকে
শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন