শেরপুর
জেলায় নিখোঁজের সাত দিন পর নিখোঁজ সেই তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় একাধিক সূত্রের দাবি, গ্রেফতার তরুণীর সঙ্গে নিহত তরুণের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু একটি সম্পর্ক চলাকালে আরেক সম্পর্কে জড়িয়ে
যান ওই তরুণী। তাই ১ম প্রেমিককে সরিয়ে দিতে ২য় প্রেমিকের সহায়তায় তাকে হত্যা করা হয়। তবে পুলিশ বলছে, এ নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে।
গতকাল
সোমবার (১১ নভেম্বর) শহরের কাজীবাড়ি পুকুরপাড় এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নতুন করে আরেক তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন
শেরপুরের পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম ।
নিহত সুমন মিয়া (১৭) পৌরসভার কসবা বারাকপাড়া এলাকার কৃষক মো: নজরুল ইসলামের ছেলে। সে শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, অভিযুক্ত তরুণী আন্নী বেগম (১৭), বাবা আজিম উদ্দিন (৪২) ও দ্বিতীয় প্রেমিক রবিন (১৭)।
জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে প্রথমে পরিচয় এবং পরে প্রেমে জড়ায় শেরপুর পৌরসভার কসবা বারাকপাড়া এলাকার কৃষক নজরুল ইসলামের ছেলে সুমন ও শ্রীবরদীর ভেলুয়া ইউনিয়নের কাউনেরচর এলাকার আজিম উদ্দিনের মেয়ে আন্নী বেগমের। সুমনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে থেকেও সুমনের অপর বন্ধু শেরপুর শহরের সজবরখিলা মহল্লার ফোরকান পুলিশের ছেলে রবিনের সঙ্গে গড়ে ওঠে গভীর প্রেমের সম্পর্ক। রবিন ময়মনসিংহের একটি কলেজের এইচএসসির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। পথের কাটা সুমনকে সরাতে ৪ নভেম্বর বিকেলে সুমনকে বিয়ের কথা বলে রবিনের বাড়িতে ডেকে আনে আন্নী ও রবিন। এরপর তাকে হত্যা করে নিজ উঠানে লাউয়ের মাচার নিচে মাটিতে পুঁতে রাখে সুমনের মরদেহ।
এদিকে রাতে সুমন বাড়ি ফিরে না এলে পরদিন সদর থানায় প্রথমে নিখোঁজ ডায়েরি এবং পরে আন্নী ও তার বাবা-মাসহ কয়েকজনের নামে অপহরণ মামলা দায়ের করে সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম। এ ঘটনায় পুলিশ সোমবার রাতে আন্নী বেগম ও তার বাবাকে গ্রেফতার করে। পরে আন্নীর স্বীকারোক্তিতে তার অপর প্রেমিক রবিনকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রবিনের স্বীকারোক্তিতে তার বাড়ির আঙিনায় মাটিচাপা দেওয়া সুমনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
শেরপুরের পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রথমে মামলা নিয়ে কলেজ শিক্ষার্থী আন্নী ও তার বাবাকে গ্রেফতার করেছি। পরে আন্নীর দেওয়া তথ্যমতে রবিনকে গ্রেফতার করা হয়। রবিনের স্বীকারোক্তিতে তার বাড়ি থেকে মাটিচাপা দেওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়। এর সঙ্গে আর কারা জড়িত তদন্ত করে বের করা হবে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ায় শিক্ষার অন্যতম বিদ্যাপীঠ পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ। এবছর কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে সদ্য প্রকাশিত ফলাফলে জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতে কচুয়া উপজেলা কলেজগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে এই কলেজ। মোট ৪১২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে ৩৮৬জন পরীক্ষার্থী উর্ত্তীণ হয়। তন্মধ্যে জিপিএ৫ পেয়েছে ৫৩জন। পাশের হার শতকরা ৯৩.৬৯%। বিশেষ করে ওই কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৩জন জিপিএ৫ পেয়েছে। শুধু এ বছর নয়, প্রতিবছর এ কলেজ থেকে ভালো ফলাফল অর্জন করে আসছে।
এদিকে ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকগন আনন্দে মেতে উঠেন। পরে কৃতকার্য শিক্ষার্থীরা কলেজের শিক্ষকদের মিষ্টি খাওয়ান। এসময় কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. বিল্লাল হোসেন মোল্লা, আবুল খায়ের, আব্দুল কুদ্দুস, বিল্লাল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, ধনঞ্জয় চক্রবর্তী, প্রভাষক সাইফুল ইসলাম সবুজ, ইউনুছ মোল্লা, ইয়াছিন মিয়া, শিক্ষানুরাগী মাহবুব আলম, ডা. জাহাঙ্গীর, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সৌরভসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম জানান, কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সুনামের সাথে ভালো ফলাফল অর্জন করে আসছে। শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায়, শ্রেনিকক্ষে পাঠদানের কারনে এ বছর ভালো ফলাফল অর্জণ সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে কলেজের শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করেছেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ড. সেলিম মাহমুদ। প্রতিনিয়ত কলেজের শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করছেন তিনি। তাঁর এই প্রচেষ্টাকে শতভাগ ধরে রেখে আমরা মানসম্মত শিক্ষার দিকে নজর দেই। এ কারণেই প্রতি বছর আমরা নিজেদেরকে ছাড়িয়ে যাচ্ছি। শিক্ষকদের পরিশ্রম সাফল্যে উদ্ভাসিত হচ্ছে। আগামীতে এই ধারায় নিজেদেরকে ছাড়িয়ে জেলা ও বিভাগের মধ্যে স্থান করে নিতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
৮০ কেজি গাঁজা’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত ৮ মার্চ ভোরে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া
থানাধীন তেঁতুলতলা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ১। মোঃ আব্দুল
মালেক (৩৮) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৮০ কেজি
গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত ১ টি পিকআপ এবং ১ টি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়। তবে
চালক সহ ২ জন কৌশলে পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। মোঃ আব্দুল মালেক (৩৮) পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার মোস্তফাপুর গ্রামের মৃত আব্দুস
সাত্তার এর ছেলে। আসামী বর্তমানে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিন থানাধীন বিজয়পুর গ্রামে
বসবাস করে।
র্যাব জানান, সে
দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা,
মুন্সিগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা
মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত
অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান
অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা নগরীতে হাতি দিয়ে বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজির সময় দুজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
এসময় দুটি হাতি উদ্ধার করে দেওয়া হয়েছে কোতোয়ালি থানায়। আটক হওয়া দুজনকে পুলিশের
কাছে হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী।
আটককৃতরা হলেন, মৌলভীবাজারের বড়লেখা
উপজেলার মৌলভীবাজার এলাকার মো: ইমরান ও মাদারীপুরের কালকিনি এলাকার চর ঠেংগামারার বাসিন্দা নাজমুল কাজী।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা মো: মাহিনুল ইসলাম জানান, আটক দুজনের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে তাদের নিজ এলাকায়
ফিরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কারণ কুমিল্লা বন বিভাগের কাছে হাতি রাখার মতো কোনো পরিবেশ
নেই। তাই তাদের হাতি দুটি নিয়ে নিজ বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
জানা
যায়, আজ বুধবার বিকেলে কুমিল্লার আরবান ভলেন্টিয়ার্সদের সহযোগিতায় দুটি হাতি ও দুই
মাহুতকে নগরীর কাপ্তানবাজার এলাকা থেকে আটক করে সেনাবাহিনী।
মন্তব্য করুন
জেলার মোল্লাহাটে বিয়ে বাড়িতে কনে পক্ষের হামলায় বরের ভগ্নীপতি আজিজুল হক নিহতের ঘটনায় কনের বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে বিকেলে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আছাদুল ইসলাম আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মোল্লাহাট উপজেলার আংড়া গ্রামে কনে পক্ষের হামলায় বরের দুলাভাই নিহত হন। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে উপজেলার আংড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মোল্লাহাট উপজেলার আংড়া গ্রামের শাহদাত মুন্সি ও তার স্ত্রী পপি বেগম। নিহত আজিজুল হক খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার ইছামতি গ্রামের শাহাদাত মোল্লার ছেলে এবং বরের ভগ্নীপতি।
পুলিশ জানায়, মোল্লাহাট উপজেলার গাংনি গ্রামের মোহাম্মাদ আলী গাজীর ছেলের সঙ্গে আংড়া এলাকার শাহাদাত মুন্সির মেয়ের বিয়ের কথা হয়েছিল। বরের পছন্দ হলে বিয়ে হবে এই শর্তে শুক্রবার সন্ধ্যায় কনের বাড়িতে যায় বর পক্ষ। দাতে সমস্যা থাকায় মেয়ে পছন্দ হয়নি বলে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বর হাফিজুর রহমান গাজীসহ অন্যরা চলে আসার চেষ্টা করে। এ সময় কনে পক্ষের হামলায় বরের ভগ্নীপতি আজিজুল হক নিহত হন। পরে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শীলা বেগম বাদী হয়ে মোল্লাহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
বরের বাবা মোহাম্মাদ আলী গাজী বলেন, মেয়ে পক্ষের সঙ্গে কথা ছিল ছেলের যদি মেয়ে পছন্দ হয় তাহলে বিয়ে করবে। ছেলের যখন মেয়ে পছন্দ হয়নি, তখন চলে আসছিলাম। কিন্তু মেয়ে পক্ষ আমাদের ওপর হামলা করে। তাদের হামলায় আমার বড় জামাতা নিহত হয়েছেন। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আশরাফুল আলম বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় এজাহার নামীয় দুই জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মন্তব্য করুন
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ফেলে যাওয়া সেই কন্যা সন্তানের বাবা-মায়ের সন্ধান মিলেছে। তারা নিজেরাই সন্তানের কাছে ফিরে এসেছেন। প্রশাসনের মাধ্যমে শুক্রবার রাতে কন্যা সন্তানকে ফিরে পান প্রকৃত বাবা-মা। বর্তমানে ওই নবজাতক ও মা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল পৌঁনে ৮টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় পাপিয়া খাতুন। সেখান থেকে তাকে গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ওয়ার্ডে থাকা অবস্থায় বাচ্চাকে পাশের আরেক রোগীর স্বজন বিলকিস বানুর কাছে রেখে পালিয়ে যান মা ও স্বজনরা।
সেসময় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাপিয়া-আলমগীর দম্পতির ঘরে আরও তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এ নিয়ে চতুর্থবার কন্যা সন্তান হওয়া নাবজাতককে পরিত্যাগ করেন তারা। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ, প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদপ্তর নবজাতককে হাসপাতালের তত্বাবধায়নে রাখে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তেই।
এর পরদিন গতকাল শুক্রবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফামেত তুজ জোহরার সাথে যোগাযোগ করেন নাবজাতকের বাবা। পরে সকল প্রক্রিয়া ও যাচাই-বাছাই শেষে নবজাতককে প্রকৃত বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করে প্রশাসন। বর্তমানে নবজাতক ও মা হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন আছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে নিজেদেরকে আলমডাঙ্গা উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের পাপিয়া-আলমগীর দম্পতি হিসেবে পরিচয় দেন। সে পরিচয় অনুসন্ধান করে কাউকে খুঁজে পায়নি পুলিশ। পরে দেখা যায় তাদের নাম ঠিক থাকলেও ঠিকানার তথ্য ভুল দেয়া হয়েছে। তাদের প্রকৃত ঠিকানা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিহি কেষ্টপুর গ্রামে। আর এটি তাদের চতুর্থ কন্যা সন্তান নয়, তৃতীয় কন্যা সন্তান।
নবজাতকের বাবা আলমগীর হোসেন বলেন, গর্ভবতী অবস্থায় আমার স্ত্রী পাপিয়া খাতুন তার মায়ের বাড়ি আলমডাঙ্গার পুটিমারী গ্রামে ছিল। হাসপাতালের আসার সময় তারা আমাকে জানিয়েছে যে, আমার বাচ্চাটি আর বেঁচে নেই। আমি ধরেই নিয়েছি আমার বাচ্চা মরে গেছে।
নবজাতকের মা পাপিয়া খাতুন বলেন, আমার স্বামীকে বোঝানোর জন্য বাচ্চার মৃতের কথা বলেছিলাম। আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা জানান, প্রকৃত অভিভাবকের কাছে নবজাতককে হস্তান্তর করা হয়েছে। এজন্য তাদের কাছ থেকে লিখিত নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ওই নবজাতকের খোঁজখবর রাখবে প্রশাসন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার আদর্শ সদরে সীমান্ত রক্ষী
বাহিনী বিজিবি (১০ ব্যাটালিয়ন) অভিযান চালিয়ে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক চোরাকারবারিকে
আটক করেছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল ৪টায়,
কুমিল্লা সদরের পালপাড়া এলাকায় অভিযানটি পরিচালিত হয়।
আটককৃতরা হলেন, কালীকৃষ্ণনগর গ্রামের
বাসিন্দা আবু ইউসুফের ছেলে মো. রাসেল (২২) এবং একই এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে মো. বাহার
মিয়া (২০)।
বুধবার (২০ নভেম্বর) বিজিবি কুমিল্লা
১০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ইফতেখার হাসান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত
করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে পালপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। অভিযানে ব্যবহৃত
একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাও জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য এবং সিএনজির মোট
বাজারমূল্য প্রায় ৬ লাখ ৫ হাজার টাকা। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের
প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া সীমান্ত এলাকায় মাদক এবং চোরাচালান দমনে বিজিবির এমন অভিযান
নিয়মিত চলবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নগর ভিত্তিক পানিচক্রের টেকসই রূপান্তর নিয়ে পরিকল্পনা কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
সোমবার কুমিল্লার হোটেল এলিট প্যালেসের লোটাস হলে উক্ত পরিকল্পনা কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাক্তার তাহসিন বাহার।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শামসুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট ম্যানেজার পেট্রেসিয়া সোলরঝানো।
বাংলাদেশ নেদারল্যান্ড দূতাবাসের অর্থায়নে নগরভিত্তিক পানিচক্রের টেকসই রূপান্তর
প্রকল্প নিয়ে দুই দিনব্যাপী এই পরিকল্পনা কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
মন্তব্য করুন
চাঁদপুরে মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় ৫ জেলেকে আড়াই হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও ১ লাখ ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ১০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযান শেষে রাত ১০টায় চাঁদপুর কোস্টগার্ড স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেশমা খাতুন।
অর্থদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মনোহরখাদীর লুৎফর রহমান, ইদ্রিস আলী ও কুদ্দুস আলী, মতলব উত্তর উপজেলার আমিরাবাদের মেহেদী হাসান ও লোকমান।
অভিযানে সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান, কোস্ট গার্ড ও নৌ-পুলিশ বিশেষ কম্বিং অপারেশন এই অভিযান পরিচালনা করে।
জব্দকৃত জাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং জব্দ জাটকা গরীব ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন
চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস ব্যবসায়ী ইপিজেট এলাকার শাহআলম হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতার করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইপিজেট পুলিশ ফাঁড়ীর এসআই (নিরস্ত্র) নিয়াজ মোহাম্মদ খাঁন।
গত বুধবার ২৮ ই মার্চ কুমিল্লা জেলার মাসিক অপরাধ সভায় বর্নিত হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন সহ সকল আইনানুগ কার্যক্রম সম্পাদন করার কারনে জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে তাকে পুরষ্কারের ঘোষনা দেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বিপিএম।
এ সময় এসআই (নিরস্ত্র) নিয়াজ মোহাম্মদ খাঁনের হাতে মামলার রহস্য উদঘাটনে শ্রেষ্ঠ অফিসারের পুরস্কার ও সম্মামনা স্বারক তুলে দেন পুলিশ সুপার, কুমিল্লা।পুরস্কার পেয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করে এসআই (নিরস্ত্র) নিয়াজ মোহাম্মদ খাঁন বলেন,
ক্লুলেস মামলায় রহস্য উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদানসহ সার্বিক সহযোগিতা করেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া এবং ইপিজেট পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ মোঃকবির হোসেন । তাদের দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার পেয়েছি।
আজকের এই পুরস্কার সামনের দিকে আমার কাজের স্পৃহাকে আরো বাড়িয়ে দেবে। সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।আমি সবার কাছে দোয়া চাই, যেন আগামীতে দেশ ও মানুষের মানবতার সেবায় কাজ করে যেতে পারি।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া বলেন সৎ ও সাহসি কাজের পুরুষ্কার কাজে গতিপথ বৃদ্ধি করে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এসআই (নিরস্ত্র) নিয়াজ মোহাম্মদ খাঁন এবং তার টিমের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, সদর দক্ষিণ মডেল থানার মামলা নং-২৫ (০২)২০২৪খ্রি. ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড সংক্রান্ত ক্ল-লেস হত্যা মামলার ঘটনায় জড়িত মূল হত্যাকারী আসামী আলাউদ্দিনসহ মোট ০৪ জন আসামীকে গ্রেফতার এবং আসামী আলাউদ্দিন ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি বিজ্ঞ আদালতে গ্রহণের মাধ্যমে মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছেন।
এতে জনমনে কুমিল্লা জেলা পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জল হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মোঃ মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পালাখাল আলিম মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকালে মাদ্রাসা মিলনায়তনে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি আব্দুর রাজ্জাক আনোয়ারীর সভাপতিত্বে ও সহকারি মৌলভী আব্দুল কুদ্দুস খানের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান জয়।
এসময় মাদ্রাসার সাবেক উপাধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হাই, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান সরদার, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান, গিয়াস উদ্দিন প্রধান, সমাজসেবক দেলোয়ার হোসেন ক্যাশিয়ার, নুরুল ইসলাম মোল্লা, জমির হোসেন মিয়াজীসহ মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পরে দাখিল পরিক্ষার্থীদের সফলতা ও দোয়া কামনায় বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন, মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কাশেম ভূইয়া।
মন্তব্য করুন