

বান্দরবনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয় শিক্ষার্থী কুড়িগ্রামের জয়নবের বাড়ীতে শোকের ছায়া।
আজ (২১ জানুয়ারি) সকালে রৌমারী উপজেলার মন্ডল পাড়ার বাড়ীতে তার মরদেহ নিয়ে আসলে পরিবার ও স্থানীয়দের মাঝে শোকের মাতম দেখা যায়।
জয়নব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিদ্যা বিভাগের মাষ্টার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ভ্রমণ করা ছিল তার শখ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভ্রমণপিপাসুদের সংগঠন ভ্রমণকন্যা’র সদস্য তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি ট্যুরিস্ট সাইটে কাজ করতেন তিনি। কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা শহরের মন্ডলপাড়ার আব্দুল জলিল মিয়ার তিন সন্তানের সবার ছোট জয়নব।
অসচ্ছল পরিবারের মেয়ে জয়নব কোনো প্রকার কোচিং, টিউশনি ছাড়াই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায়। পড়া লেখার পাশাপাশি টিউশনি করে পড়ার খরচ চালাতো।
জয়নবের বাবা একজন কাঠ মিস্ত্রি। মেয়েকে উৎসাহ ও সাহস দিতেন। মেয়ের মৃত্যুর খবরে তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। এছাড়া মেয়ের মরদেহ দেখে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা জুলেখা বেগম।
শুক্রবার সকালে ৫৮ জন ভ্রমণকন্যার একটি দল ৫টি জিপ গাড়ি করে রুমা উপজেলায় যায়। ঘোরাফেরা শেষে শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে বান্দরবানের উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র কেওকারাডাং থেকে বান্দরবান সদরে ফেরার পথে বগালেক-কেওকারাডং সড়কের দার্জিলিং পাড়া এলাকায় তাদের বহন করা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে মারা যায় জয়নবসহ দু’জন। এসময় আহত হয় ৮ জন।
নিহত জয়নবের মরদেহ জানাজা শেষে রৌমারী কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
স্থানীয় শিহাব খান নামের একজন বলেন, জয়নব খুবই মেধাবী ছিলেন। অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। তার পরিবার তাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু হঠাৎ সড়ক দুর্ঘটনার তার মৃত্যুতে তার পরিবার খুবই ভেঙে পড়েছে।
রৌমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হীল জামান জানান, রৌমারীর মন্ডল পাড়া এলাকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী জয়নবের মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম ৪ আসনের সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ জানান, আমি পরিবারটির খোঁজখবর নিয়েছি। পরবর্তীতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রান্তিক মৎস্যচাষীদের রুই জাতীয় পোনামাছ অবমুক্তকরণ এবং বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাজস্ব বাজেটের আওতায় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রান্তিক মৎস্যচাষী ৯১ জনের মাঝে ৭৯১ কেজি রুই জাতীয় পোনামাছ অবমুক্তকরণ এবং বিতরণ করা হয়।
এই সময় রুই জাতীয় পোনামাছ অবমুক্তকরণ এবং বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন কুমিল্লা জেলা মৎস্য দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ খালেকুজ্জামান সরকার।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা আদর্শ সদরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা, কুমিল্লা আদর্শ সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার আউলিয়া খাতুন, কুমিল্লা আদর্শ সদরের উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ তানজিলা ফেরদৌসী, কুমিল্লা আদর্শ সদরের সিনিয়র উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা হিজবুল বাহার ভূঁঞা, কুমিল্লা আদর্শ সদরের উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম সহ সুফলভোগী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির এলআইসি ইউনিটের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এক দুর্ধর্ষ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুরের সিআইডি।
গতকাল বুধবার (৮ অক্টোবর) সিআইডির একটি বিশেষ টিম গাজীপুর বাসন থানার তালতলা রোড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) এই তথ্য নিশ্চিত করেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন খান।
আটককৃত হলেন- জয়নাল (৪৩)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি গত ২ অক্টোবর গাজীপুর মহানগরের ধীরাশ্রম এলাকায় ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
সিআইডি জানান, ধীরাশ্রম এলাকায় ডাকাতির ঘটনার পরপরই তারা ছায়া তদন্ত শুরু করে। দ্রুত তৎপরতায় ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ে রহস্য উদঘাটনপূর্বক সিআইডির গাজীপুর জেলা ও মেট্রো টিম এলআইসির সহযোগিতায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৪ অক্টোবর ঢাকার সবুজবাগ থানার নন্দীপাড়া এলাকা থেকে ডাকাত দলের সর্দার মনিরকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে ডাকাতির সময় লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ছয়টি ককটেল, ১১টি টর্চলাইট ও একটি কাটার উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, ডাকাতরা ওই রাতে ধীরাশ্রম এলাকার অধিবাসী মো. আব্দুল সোবহান ও তার পরিবারের বসতবাড়িতে ঢুকে ধারালো রামদা, চাপাতি, কিরিচ, ছোরা, লোহার রড ও বড় আকারের কাটারসহ দেশীয় অস্ত্রসজ্জিত অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের হাত, পা এবং চোখ-মুখ বেঁধে রাখে এবং প্রায় ৩০ মিনিট ধরে লুটপাট চালায়।
এসময় তারা স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোনসহ আনুমানিক ২২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা মূল্যের মালামাল লুট করে এবং পরিবারের কয়েকজন সদস্য ও ভাড়াটিয়াকে শারীরিকভাবে আঘাত করে।
এই ঘটনায় গাজীপুর সদর থানায় নিয়মিত মামলা হয়। বর্তমানে ঘটনাটির তদন্ত কার্যক্রম সিআইডির গাজীপুর মেট্রো এবং জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।
মন্তব্য করুন


রোজায়
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন,
সেনাবাহিনী, ভোক্তা অধিকার ও বিএসটিআইসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর।
সোমবার
বেলা ১১টা থেকে ২টা পযন্ত কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছারের নেতৃত্বে কুমিল্লা
নগরীর রাজগঞ্জসহ খুচরা বাজারে তদারকি এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এসময়
রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা পণ্যের মধ্যে মাছ,মাংস, মুরগি, সয়াবিন তেল ও লেবুসহ
বিভিন্ন পণ্যের ক্রয় ও বিক্রয়ের ভাউচার মনিটরিং করা হয় ।
এসময়
ব্যবসায়ীদের সাবধান করে জেলা প্রশাসক বলেন যাতে অধিক মুনাফার লোভে ভোক্তার সঙ্গে
প্রতারণা না করা হয় ।
জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার
বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে প্রতিদিন দুটি টিম নগরীতে বাজার দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে
কাজ করছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করা
হচ্ছে।
একই সময় খুচরা বাজারের দেশি ও বিদেশী ফল এবং সবজিতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ফরমালিন আছে কিনা তা ভ্রাম্যমাণ ল্যাবের মাধ্যমে পরীক্ষা করেছে বিএসটিআই। যাতে করে রমজান মাসে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয় সেই বিষয়ে এ পরীক্ষা কার্যক্রম বিএসটিআইয়ের।
অভিযানে বিএসটিআই কুমিল্লার উপ-পরিচালক কে এম হানিফ, ভোক্তা অধিকার কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মোঃ কাউছার মিয়াসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় অভিনব কৌশলে পিকআপে করে মাদক পরিবহনকালে ৮৯ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২।
আজ (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল
থানাধীন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে অভিনব কৌশলে পিকআপের
পিছনে মালামাল পরিবহণের ক্যারেটের মধ্যে লুকিয়ে গাঁজা পরিবহণের সময় আসামী ১। জুয়েল
রানা এবং ২। মোঃ আকাশ নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামী’দ্বয়ের
কাছ থেকে ৮৯ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। জুয়েল রানা (৩১) দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর থানার চন্ডীপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম এর ছেলে এবং ২। মোঃ আকাশ (৩২) একই থানার উত্তর বাসুদেরপুর গ্রামের মোঃ খোকন এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে দিনাজপুর সহ অন্যান্য জেলায় মাদক
ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা
বাহিনীর চোখ এড়াতে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিনব কৌশল অবলম্বন করে মাদকদ্রব্য পরিবহণ
করতো। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা
করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত
আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


মোঃ জামাল হোসেন, শাহরাস্তি প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে নোয়াগাঁও টাইগার ক্লাবের উদ্যোগে ২০২৪ মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে পৌর ১২নং ওয়ার্ডের নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নোয়াগাঁও টাইগার ক্লাবের আয়োজনে বিভিন্ন শ্রেণীর ৪০জন মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে এ শিক্ষা উপকরণ বিতরণ হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, নোয়াগাঁও টাইগার ক্লাবের সভাপতি মোঃ জানে আলম ও সদস্য মোঃ রাতুলের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক লুৎফুন্নাহার, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান, সরোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি মোঃ কবির হোসেন, অভিভাবক সদস্য মোঃ মহসিন, মোঃ আলমগীর হোসেনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
আয়োজক সূত্রে জানায় নোয়াগাঁও টাইগার ক্লাবের সদস্য প্রবাসী মোঃ আরিয়ান ফরহাদ, মোঃ শরীফ, সাহারাজ, শাওন, মোঃ নিলয়, হৃদয় হাসান, রায়হানের সার্বিক সহযোগিতায় শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ। সদস্যদের মধ্যে ছিলেন মোঃ রাহাদ, মোঃ রাতুল, মোঃ সোহরাব,মোঃ বিকনসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
সংগঠনের সভাপতি জানে আলম জানায়, প্রতিবছরের ন্যায় নোয়াগাঁও টাইগার ক্লাব বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছেন। এলাকায় মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা করে থাকেন, অসহায় হতদরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণসহ সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছেন বলে জানান এবং এ সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড নোয়াগাঁও টাইগার ক্লাবের ধারাবাহিকতা সবসময় অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানাধীন পদুয়ার বাজার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হতে শনিবার রাতে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: ডিএমপি ঢাকা জেলার মিরপুর থানার ৬৮নং জনতা হাউজিং, শাহ আলীবাগ এলাকার মৃত ওসমান গনির ছেলে মাঃ ইমামুল হক @শুক্কুর এবং কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর থানার পূর্ব মুক্তার পোল, ০৬ নং ওয়ার্ড এর মৃত দানু মিয়ার ছেলে দিদারুল আলম (৫০)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় জানায়, তারা উভয়েই একটি সংঘবদ্ধ মাদক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং তারা সাধারণ পেশার আড়ালে এসকল মাদকদ্রব্যের পরিবহন ও ক্রয়-বিক্রয় পরিচালনা করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত ০১ নং আসামী মোঃ ইমামুল হক শুক্কুর ড্রাইভার পেশার আড়ালে মাদকদ্রব্য সংরক্ষণ ও ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল। এই চক্রটি পারস্পারিক যোগসাজসে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট সহ অন্যান্য মাদকদ্রব্যের বড় আকারের চালান দীর্ঘদিন যাবৎ ট্রাক, পিকআপ, কার্ভাড ভ্যান সহ অন্যান্য যানবাহন ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের পণ্যদ্রব্য পরিবহনের আড়াঁলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কুমিল্লা ও ঢাকা সহ পাশর্^বর্তী জেলা সমূহে সরবরাহ করে থাকে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় আরো জানায় এই বিপুল পরিমান ইয়াবা এর চালান ঢাকাসহ পাশর্^বর্তী বিভিন্ন জেলায় সরবরাহের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। পরবর্তীতে গোয়েন্দা কার্যক্রম ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর আভিযানিক দল মাদক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য মোঃ ইমামুল হক @শুক্কুর ও দিদারুল আলম’দ্বয়কে গ্রেফতার পূর্বক তাদের দেখানো মতে সদর দক্ষিণ থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকার ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়ক হতে গ্রেফতার করে ০১ টি ব্যাগে সর্বমোট ৪০,০০০ পিস উদ্ধার করে যার আনুমানিক মূল্য ০১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে মাদক চোরাচালানের সাথে সম্পৃক্তদের বিষয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এসংক্রান্তে জড়িত অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব-১১ এর গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


পৃথক দুইটি অভিযানে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন নোয়াগাও চৌমুহনী ও পদুয়ার বাজার এলাকা হতে ০৫ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত ৩১ মে ২০২৪ ইং তারিখ বিকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন নোয়াগাও চৌমুহনী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী ১। মোঃ শরীফ হোসেন (২৫), ২। মোঃ শহীদুল ইসলাম (২৬) এবং ৩। মোঃ শিপন মিয়া (২০) নামক ০৩ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীদের হেফাজত হতে চাঁদাবাজির ৬,১৬০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে গত ৩১ মে ২০২৪ ইং তারিখ বিকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী ১। মোঃ নাসির উদ্দিন (৪০) ও ২। মোঃ আব্দুল রহিম (৩৮) নামক ০২ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীদের হেফাজত হতে চাঁদাবাজির ৩,১৬০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ শরীফ হোসেন (২৫) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার দৌলতপুর গ্রামের মোঃ নাসির উদ্দিন এর ছেলে, ২। মোঃ শহীদুল ইসলাম (২৬) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার বাগমারা গ্রামের মৃত জহির মিয়া এর ছেলে, ৩। মোঃ শিপন মিয়া (২০) কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার লক্ষীপুর গ্রামের মোঃ খায়ের মিয়া এর ছেলে, ৪। মোঃ নাসির উদ্দিন (৪০) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত দুলা মিয়া এর ছেলে এবং ৫। মোঃ আব্দুল রহিম (৩৮) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার দুতিয়াপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহিম এর ছেলে।
আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা সকলেই চাঁদাবাজ চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানা ও এর আশ-পাশের বিভিন্ন রাস্তায় অটো, সিএনজি ইত্যাদি পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের নিকট হতে ক্ষয়ক্ষতি ও গুরুতর আঘাতের ভয়ভীতি দেখিয়ে বলপূর্বক টাকা গ্রহণ করে আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলে বাংলাদেশে ২জন নিহত হওয়ার ১২ ঘণ্টা পার না হতেই আবারও বাংলাদেশের ঘুমধুম এলাকায় এক ব্যক্তির বাড়ির উঠানে মিয়ানমারের মর্টার শেল এসে পড়েছে।
মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে মর্টার শেলটি এসে পড়ে ঘুমধুম ইউপির ৪নং ওয়ার্ড মধ্যম পাড়ার সৈয়দ নূরের বাগানে।
ঘুমধুম ইউপির ৫নং ওয়ার্ড সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, গতকাল মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেল বিস্ফোরণে বাংলাদেশে ২জন নিহত হয়। এ ঘটনার পর আজ (মঙ্গলবার) ভোরে মধ্যম পাড়ার সৈয়দ নূরের আম বাগানে বেশ কিছু গুলি ও ১টি মর্টার শেল এসে পড়েছে। এ ঘটনায় নতুন কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান।
মন্তব্য করুন


মুরাদুল
ইসলাম
মুরাদ,
( কুড়িগ্রাম)
প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামে ভূয়া স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান পরিচয়ে মাদক পাচারের সময় বিপুল পরিমান ফেন্সিডিলসহ তিনজনকে আটক করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে
র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের
একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কুড়িগ্রাম জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল পাচার করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে গাড়ীযোগে গাজীপুরে নিয়ে যাওয়ার জন্য ৩ জন মাদক
চোরাকারবারী শেরপুর জেলার সদর থানাধীন জেলখানার মোড় ’’মের্সাস লামিয়া এন্টারপ্রাইজ’’
দোকানের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর অবস্থান করছে। এ সংবাদ পেয়ে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের
কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর নেতৃত্বে র্যাবের
একটি চৌকস আভিযানিক দল শেরপুর জেলার
সদর থানাধীন জেলখানার মোড় মের্সাস লামিয়া এন্টারপ্রাইজ দোকানের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে আব্দুল আজিজ, মোছাঃ রোকছানা খাতুন ও মোছাঃ জুলি কে আটক করে।
তাদের সাথে থাকা বিভিন্ন ব্যাগ ও বাজারের ব্যাগ তল্লাশী করে ব্যাগের ভিতরে থাকা ৪২৬ বোতল ফেন্সিডিল, ৩ টি মোবাইল সেট (সীমসহ), নগদ-৭৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত আসামীদ্বয় হলেন- ১। আব্দুল আজিজ (৩৪), পিতা- মোঃ আঃ গফুর, সাং-থৈকড়ের পাড়া, থানা-সাঘাটা, জেলা-গাইবান্ধা। ২। মোছাঃ রোকছানা খাতুন (৩৫), স্বামী-মন্টু মিয়া, সাং-নিয়ামতপুর, থানা-করিমগঞ্জ, জেলা-কিশোরগঞ্জ। ৩। মোছাঃ জুলি।
র্যাব জানান, তারা কুড়িগ্রাম জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ফেন্সিডিল পাচার করে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের ভূয়া
পরিচয় দিয়ে ফেন্সিডিল বিক্রয়ের জন্য গাজীপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন স্থানে ফেন্সিডিল ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে
আসছিল। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
উক্ত বিষয়ে আটককৃত আসামীদ্বয় ও আটককৃত আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু‘র বিরুদ্ধে শেরপুর জেলার সদর থানায় মামলা দায়ের করে হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর ঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে দুইজন নারী ও একজন পুরুষ রয়েছেন।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, দুপুরে এলাকায় ভারী বৃষ্টি শুরু হলে ভবানীপুর ঘাটে উজানচর-ঘাগুটিয়া খেয়া পারাপারের জন্য কয়েকজন অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় আকস্মিক বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন হোমনা উপজেলার নালা দক্ষিণ গ্রামের মৃত হাজি মতিউর রহমানের মেয়ে মমতাজ বেগম (৩৭) ও জাকিয়া (২৩) এবং অপরজন দুলালপুর ইউনিয়নের পাথালিয়াকান্দি গ্রামের পুরুষ।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় পুলিশ।
মন্তব্য করুন