মোঃ মাসুদ রানা, কচুয়া:
সোনার বাংলাদেশ ও সমৃদ্ধিশালী সমাজ গঠনে জামায়াতে ইসলামীর বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চাঁদপুর জেলা শাখার সাবেক আমীর অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম পাটোয়ারী। তিনি বলেন, বিগতে সময়ে এ দেশের মানুষের উপর নির্যাতন চালিয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকার। আওয়ামী লীগের ইতিহাস চাঁদাবাজি,সন্ত্রাসী ও লুটপাটের ইতিহাস। হাজার হাজার মায়ের বুক খালি করেছে তারা। আজকে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়ার পর ইঁদুরের গর্ত খুজে পাচ্ছে না নেতাকর্মীরা। একটি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার জন্য সৎ ও নিষ্ঠাবান যোগ্য নেতৃত্ব প্রয়োজন। তাই একটি আদর্শ দেশ ও সমৃদ্ধিশালী সমাজ গঠনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলের সক্ষমতা রয়েছে । তিনি শনিবার বিকালে কচুয়া উপজেলা রহিমানগর বিএবি উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে ১১নং গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামী কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
১১নং গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের আমীর মোঃ জাকির হোসেন পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি হেলাল উদ্দিনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,চাঁদপুর জেলা শাখার সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট মাসুদুল ইসলাম বুলবুল,হাজীগঞ্জ আহমাদিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রধান মুহাদ্দিস ও বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আবু নছর আশরাফী,কচুয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আমীর এডভোকেট আবু তাহের মেসবাহ,নায়েবে আমীর মাষ্টার সিরাজুল ইসলাম,সেক্রেটারী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী,বাংলাদেশ ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মোঃ শাহাদাত হোসাইন,বাংলাদেশ মাজলিসুল মোফাচ্ছিরীনের চাঁদপুর জেলা শাখার সহ- সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা মনিরুল ইসলাম মজুমদার,কচুয়া উপজেলা সাবেক আমীর খন্দকার মাওলানা হারুন রশিদ,চাঁদপুর সোনালী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ফিরোজ মামুন সহ আরো অনেকে।
এসময় জামায়াত নেতা ডা. গোলাম সারোয়ার,মাওলানা মিজানুর রহমান সহ গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে কাভার্ডভ্যান-সিএনজি সংঘর্ষে ৫ যাত্রী নিহত হয়েছে।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে কুমিল্লা চাঁদপুর সড়কের মহানন্দ নামক স্থানে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতদের মরদেহ গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মোঃ জামাল হোসেন, শাহরাস্তি চাঁদপুরঃ
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে এক ভিক্ষুক কে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: উপজেলার রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের গ্রামের মৃত আঃ রবের পুত্র বিল্লাল হোসেন (২৮) ও আবুল হোসেনের পুত্র ইমাম হোসেন মিয়াজী (২১)।
শাহরাস্তি মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, কচুয়া উপজেলার গোহট ইউনিয়নের চান্দিয়াপাড়া গ্রামের এক ভিক্ষুক (৪০) গত শনিবার শাহরাস্তি উপজেলার বেরনাইয়া বাজার এলাকায় ভিক্ষা শেষে বেরনাইয়া বাজার থেকে অটোরিক্সাযোগে বাড়ীতে যাওয়ার পথে রঘুরামপুর ব্রীজের উপর পৌঁছলে সন্ধ্যা ০৬ টা ২০ মিনিটের সময় ৪ যুবক তাকে অটোরিক্সা থেকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে রঘুরামপুর গ্রামের আরিফ উল্লাহ পাটওয়ারী বাড়ীর শাহআলমের নির্মানাধীন একতলা বিল্ডিংয়ের ভিতর নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ সময় ভুক্তভোগী চিৎকার দিলে অভিযুক্তরা তার শরীরে আঘাত করে ভিক্ষা করা ৫ হাজার ৭ শত টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে শাহরাস্তি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে শাহরাস্তি থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ১ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে। মামলার অপর আসামীরা হলো, যাদবপুর গ্রামের হাসান আহমেদের পুত্র বেলায়েত হোসেন (৩০) ও মৃত আবুল কাশেমের পুত্র আব্দুল কাদির (২০)।
ঘটনার প্রেক্ষিতে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২ জনকে গ্রেফতার করে।
শাহরাস্তি মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন
খুলনায় ১০ম শ্রেণির ছাত্রী সাথী আক্তার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
শনিবার (১৫ জুন) রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
তবে এ ঘটনার ৪ দিন আগে সাথী আক্তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় ‘আমারে দেখিবার আইসো শেষ জানাজার আগে, যেন পরকালে তোমায় দেখার একটু স্বাদ জাগে’।
নিহত সাথী আক্তার খুলনা জেলার হরিণটানা থানার ঠিকরাবাদ পিপড়ামারী এলাকার বালু ব্যবসায়ী ইউসুফ শেখের বড় মেয়ে। সে প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল।
পুলিশ ও নিহত সাথীর পরিবারের সদস্যরা জানান, সাথী আক্তারের সঙ্গে দেড় বছর আগে স্থানীয় একটি এনজিও’র হিসাবরক্ষক রাজ বিশ্বাসের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সস্প্রতি তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এর জেরে শনিবার রাত ১২টার দিকে রাজ বিশ্বাসের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার পর নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সাথী।
খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাতেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ রোববার (১৬জুন) দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিকেলে জানাজা শেষে মরদেহ দাফন করা হয়।
হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় সাথীর বাবা বাদী হয়ে রোববার দুপুরে থানায় অপমৃত্যু মামলা করেন।
মন্তব্য করুন
সৌদি আরবে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নোয়াখালী, চাঁদপুর ও ফরিদপুরের বিভিন্ন গ্রামে আজ থেকে রোজা শুরু হয়েছে।রবিবার(১০ মার্চ) রাতে তারাবির নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে রোজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছেন এসব গ্রামের বাসিন্দারা।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফের পীরজাদা ড. বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী বলেছেন, আগাম রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মাওলানা ইসহাক (রহ.)। প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন। সৌদি আরবে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার খবর পেয়েছি। আমরা নিজেরাও খোঁজখবর নিয়ে নিশ্চিত হয়েছি। তাই সোমবার থেকে রোজা রাখব আমরা।
হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবারের পীর মাওলানা আরিফ চৌধুরী বলেছেন, সর্বপ্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোজা রাখি এবং ঈদ উদযাপন করি। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলেই আমরা রোজা ও ঈদুল ফিতর পালন করছি। বর্তমানে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর হয়ে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে ঈদ উদযাপন করছে।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলার ৪ গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রেখেছেন।
গতকাল রাতে ২ উপজেলার ৯টি মসজিদে একযোগে পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে তারাবির নামাজের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গ্রামগুলো হলো- নোয়াখালী পৌরসভা লক্ষ্মীনারায়ণপুর এবং হরিণারায়নপুর গ্রাম, বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর গ্রাম।
মসজিদগুলো হলো, বসন্তবাগ পোদ্দার বাড়ি জামে মসজিদ, বসন্তবাগ গ্রামের নগর বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বসন্ত বাগ গ্রামের সিনিয়র মাদ্রাসা জামে মসজিদ, বসন্তবাগ গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, পশ্চিম বসন্তবাগ গ্রামের মুন্সি বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, ফাজিলপুর গ্রামের দায়রা বাড়ির জামে মসজিদ, বেগমগঞ্জের জিরতলী ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের জামে মসজিদ ও নোয়াখালী পৌরসভা লক্ষীনারায়ণপুর গ্রামের দায়রা বাড়ি কাছারিঘর, হরিণারায়নপুর রশিদিয়া রহিমিয়া দরবার শরিফ।
নোয়াখালী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের রশিদিয়া রহিমিয়া দরবার শরিফের মুসল্লি আবু তাহের বলেছেন, আমার দাদারা পালন করেছেন। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আমরা তারাবির নামাজ আদায় করলাম। এটাই আমাদের আনন্দ।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার ১৩ গ্রামের ৩ সহস্রাধিক বাসিন্দা আজ থেকে রোজা শুরু করবেন। রবিবার তারা প্রথম তারাবির নামাজ আদায় করেন।
বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড়, রাখালতলী, বারাংকুলা, দড়ি সহস্রাইল, সহস্রাইল, মাইটকুমড়া, ভুলবাড়িয়া, এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলার ইছাপাশা ও শুকুরহাটাসহ ১৩টি গ্রামের হাজারো মানুষ গতকালের তারাবি নামাজে অংশ নেন।
আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বোয়ালমারীর কাটাগড় গ্রামের বাসিন্দা মাহিদুল হক। তিনিই মূলত এ সম্প্রদায়ের নেতৃত্ব দেন।
তিনি বলেছেন, আমাদের পূর্ব পুরুষ কলকাতার মির্জাখিল পীরের তরিকাপ্রাপ্ত চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার হযরত ইয়াছিন আলী (রহ.) পীরের অনুসারী। যারা মির্জাখিল পীরের অনুসারী তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখা, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। সেই হিসেবে সৌদি আরবে রোজা শুরু হওয়ায় আমাদের তেরো গ্রামেও রোজা শুরু হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে সিএনজি চালক রাসেলকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।
২১ এপ্রিল রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম শুভপুর গ্রামের মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে গিয়াসউদ্দিন প্রঃ ইয়াজ উদ্দিন প্রঃ সালাউদ্দিন (২৩) ও একই জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার গান্দাচী গ্রামের আনা মিয়ার ছেলে অলি উল্লাহ প্রঃ অলি (৩০)।
মামলার বিবরণে জানাযায়- ২০১৯ সালের ১৮ জুন আসামীরা পরষ্পর যোগসাজশে হত্যাকাণ্ডের শিকার সিএনজি চালক রাসেল এর সিএনজি গাড়ীটি রিজার্ভ ভাড়া করে মুন্সিরহাট টু বাঙ্গড্ডা বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু রাসেল রাতে বাড়ীতে ফিরে না আসায় তাঁর স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করার একপর্যায়ে আসামি একরামুল হক পাগলা মোবাইল করে বলে যে, সিএনজিসহ রাসেলকে অজ্ঞাত স্থানে আটক আছে। তাঁকে ছাড়াইতে হলে এক লক্ষ টাকা লাগবে। আরও বলেন এবিষয়ে কাউকে কিছু বলা যাবেনা। তখন বাদী নিরুপায় হতে অনেক কষ্টে ৫০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে একরামুল হক পাগলার বিকাশ নম্বরে পাঠায়। কিন্তু কুমিল্লা রাজাপাড়া মোড়ে রাসেলকে ইয়াবা ট্যাবলেট খাওয়ার কথা বলে বিমানবন্দর এলাকায় জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে আসামি অলি উল্লাহ প্রঃ অলি প্যান্টের বেল্ট খুলে গলায় পেচিয়ে মাটিতে পেলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং কাঁদা মাটি দিয়ে ঢেকে লাশ গুম করে রাখে। পরে তাদের দেখানো মতে পুলিশ রাসেল এর মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। এ ব্যাপারে ভিকটিম রাসেল এর বাবা কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে জয়নাল আবেদীন (৫৫) বাদী হয়ে একই গ্রামের একরামুল হক পাগলার ছেলে মোঃ শাহীন (২৩), মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে গিয়াসউদ্দিন (২১) ও টুংকু মিয়া (১৯) ও একরামুল হক পাগলা (৪৫) সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জনকে আসামি করে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করিলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ হারুনুর রশিদ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি টুংকু মিয়া, গিয়াসউদ্দিন, মোঃ শাহীন ও একরামুলকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করিলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তৎপর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ হারুনুর রশিদ, এসআই সুজন কুমার মজুমদার ও এসআই মিন্টু দত্ত দুটি চার্জশীট দাখিল করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ২৫ জুন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর গ্রামের মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে গিয়াসউদ্দিন ও মহিউদ্দিন @ টুংকু ও মৃত ওসমান আলীর ছেলে একরামুল হক পাগলা ও নাঙ্গলকোট উপজেলার গান্দাচী গ্রামের আনা মিয়ার ছেলে অলি উল্লাহ প্রঃ অলি'র বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধির ১৪৩, ৩৬৪, ৩৮৫, ৩৮৬, ৩৭৯, ৫০৬, ৩০২, ২০১, ৪১১, ১০৯ ও ৩৪ ধারা বিধানমতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর গ্রামের একরামুল হক পাগলার ছেলে মোঃ শাহীন মিয়া (১৭) ও ভিকটিম রাসেলের বড়ভাইয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী আসমা আক্তার সাথী'র বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় সম্পূরক দোষীপত্র দাখিল করেন। তৎপর মামলাটি বিচারে আসিলে ২০১৯ সালের ১২ জুন আসামি গিয়াসউদ্দিন, মহিউদ্দিন @ টুংকু, একরামুল হক পাগলা ও অলি উল্লাহ প্রঃ অলি'র বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগ গঠনক্রমে রাষ্ট্রপক্ষে ১৩জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামীদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামী দ্বয়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি গিয়াসউদ্দিন ও পলাতক আসামী অলি উল্লাহ প্রঃ অলিকে মৃত্যুদণ্ড এবং একই সাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত। আসামি মহিউদ্দিন প্রঃ টুংকু'র বিরুদ্ধে রাষ্টপক্ষে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন এবং আসামি একরামুল হক পাগলা মামলা চলাকালীন সময়ে মৃত্যু বরণ করিয়াছেন।
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ গিয়াসউদ্দিন আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন এবং অপর আসামি অলি উল্লাহ প্রঃ অলি আদালত কাঠগড়ায় অনুপস্থিত ছিলেন।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী অতিঃ পিপি এডভোকেট মোঃ মুজিবুর রহমান বাহার বলেন- আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করবেন।
অপরদিকে, আসামি পক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী বলেন- এ রায়ে আসামিপক্ষ অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ। রায়ের কপি হাতে পেলে শীঘ্রই উচ্চ আদালতে আপীল করবো।
মন্তব্য করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
আইন পেশায় সফলতার নয় বছর অতিক্রম করে দশম বর্ষে পদার্পণ করেছেন অ্যাডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার। কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সুপরিচিত এই সদস্য দীর্ঘদিন ধরে আইনজীবী হিসেবে যেমন সুনাম অর্জন করেছেন, তেমনি গণমাধ্যমকর্মী হিসেবেও তিনি একজন পরিচিত ও সম্মানিত মুখ।
চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নস্থিত লামচরী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেয়া তাপস চন্দ্র সরকার ছোটবেলা থেকেই ছিলেন মেধাবী ও চঞ্চল। ২০১৬ সালের ১৪ মে বার কাউন্সিলের সনদ পাওয়ার পর ৯ জুন কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতিতে যোগ দিয়ে পেশাগত জীবনে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। তবে তার পথচলার শুরু আরও আগেই ২০০০ সাল থেকে সাংবাদিকতা ও সিনিয়র আইনজীবীদের সহকারী হিসেবে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা অর্জন করে গড়ে তুলেছেন নিজেকে একজন দক্ষ আইনজীবী হিসেবে। তাঁর পিতা নিখিল চন্দ্র সরকার ছিলেন একজন আইনজীবী সহকারী। বাবার প্রেরণাতেই ছেলেবেলা থেকে কালো কোর্টের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয় তাপসের। দুঃখের বিষয়, বাবার মৃত্যুর কারণে তিনি ছেলেকে আইনজীবী হিসেবে দেখে যেতে পারেননি। তবে পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পর তাপস চন্দ্র সরকার তার পেশাগত জীবনে সততা, নিষ্ঠা ও মানবসেবাকে রেখেছেন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে।
অ্যাড. তাপস চন্দ্র সরকার বলেন, “যারা শর্টকাট পথে বিশ্বাসী, তাদের জন্য এই পেশা নয়। কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্য আর মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিয়ে এগোলে আইনজীবী হিসেবে সফল হওয়া সম্ভব।” তিনি আরও বলেন, “সেবা দেওয়ার মনোভাব থাকলে এই পেশা অনেক বড় কিছু। এখানে টাকা নয়, আগে দরকার নিষ্ঠা ও প্রতিশ্রুতি।”
আইনজীবী হওয়ার পাশাপাশি তিনি কুমিল্লা ভিত্তিক পাক্ষিক ‘বিবর্তন’ পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন এবং পরে ‘দৈনিক আমাদের কুমিল্লা’য় এক যুগেরও বেশি সময় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেন। তাঁর লেখা সংবাদ ও প্রতিবেদন স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
তাঁর স্ত্রী রিতা রানী মজুমদার কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কেরণখাল ইউনিয়নের ডুমুরিয়া মজুমদার বাড়ির সন্তান। তাঁদের একটি কন্যা ও একটি পুত্র রয়েছে। পরিবার নিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা মহানগরীর কালিয়াজুরী এলাকায় বসবাস করছেন।
অ্যাড. তাপস চন্দ্র সরকার শুধু আইন ও সাংবাদিকতা নয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও সক্রিয়। নিজেকে তিনি সবসময় একজন সেবক হিসেবে দেখতে চান। তাঁর বিশ্বাস, “মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারাটাই প্রকৃত মানবতা।”
মন্তব্য করুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বগুড়ায় সহ-সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করা আহসান হাবিবের বাড়িতে দেয়ালে কে বা কারা লিখে রেখে গেছে—‘মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নাও সমন্বয়ক’।
আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বগুড়া সদর থানার এসআই মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, আমরা খবর পেয়ে আহসান হাবিবের বাড়িতে আসি এবং ‘মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নাও সমন্বয়ক’ লেখাটি দেখতে পাই।
হুমকি পাওয়া আহসান হাবিব (২৪) বগুড়া সদরের নিশিন্দারা ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের গফুর প্রামাণিকের ছেলে। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছোট। আহসান হাবিব সরকারি আজিজুল হক কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বগুড়া জেলার সহ-সমন্বয়ক।
সহ-সমন্বয়ক আহসান হাবিব বলেন, সোমবার রাতের কোনো এক সময় আমার ঘরের দেয়ালে ‘মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নাও সমন্বয়ক’ এমন লেখাটি দেখতে পেয়ে আমার ভাবি আমাকে জানান। বিষয়টি নিয়ে আমি ও আমার পরিবারের লোকজন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। আজ আমাকে হুমকি দিয়েছে, কাল আমার অন্য ভাইকেও হুমকি দিতে পারে। আমি এর সুষ্ঠু বিচারে দাবি জানাচ্ছি।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া মুখপাত্র) সুমন রঞ্জন সরকার জানান, বিষয়টি জানার পর জেলা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
মন্তব্য করুন
নারায়ণগঞ্জের
রূপগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা পাভেল মিয়া (৩০) নিহত হয়েছেন। এ
ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন।
গতকাল
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার চণ্ডিতলা মন্দিরের
সংলগ্ন পৌর কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। কাঞ্চন পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ছিলেন
তিনি।
নিহত পাভেল
মিয়া কাঞ্চন পৌরসভার কৃষ্ণনগর এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে ।
পুলিশ
ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে কাঞ্চন পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক
বায়েজিদ ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এ সময়
পাভেল দুপক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গেলে, পূর্ব শত্রুতার জেরে তার ওপরও হামলা করে বায়েজিদ
গ্রুপের লোকজন। তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। আশপাশের লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায়
তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়। সেখানে চিকিৎসক পাভেলকে মৃত
ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে
নিহত পাভেলের বড় ভাই শাহীন মিয়া বলেন, কাঞ্চন পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক
স্বপনের সঙ্গে ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদের ঝগড়া হয়। এ সময় আমার
ছোট ভাই চণ্ডিতলা মন্দিরের সংলগ্ন পাশে অবস্থান করছিল। পরে উভয় পক্ষের লোকজন পাভেলকে
পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে দ্বায়িত্বরত চিকিৎসকরা
তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আমাদের পরিবার পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আমার
ভাই হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই। কোনো সন্ত্রাসী যেন কাঞ্চনের মাটিতে না থাকতে পারে। আর
যেন কারো ভাই হারাতে না হয়।
এ বিষয়ে
কাঞ্চন পৌর যুবদল নেতা সানাউল্লাহ মান্নান সানী বলেন, সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক
স্বপন ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদের সংঘর্ষ বাধে। সে সময় কাঞ্চন
পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক পাভেল তাদের ঝগড়া থামানোর জন্য এগিয়ে যায়। এ সময় দুপক্ষের
লোকজনের পিটুনিতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে
রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন বলেন, অপরাধী যেই
হোক তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হোক। যাতে করে আর এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি
না ঘটে।
নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম বলেন, মরদেহের প্রাথমিক সুরতাল সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
১,৯৫০ পিস ইয়াবাসহ চারজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১১ জুলাই রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী
মডেল থানাধীন মতিনগর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ কাইয়ুম মিয়া
(২৪), ২। মোঃ লিমন হোসেন (২৪), ৩। মোঃ সোহাগ হোসেন (২৬) এবং ৪। মোঃ ইয়াছিন (২৩) নামক
চারজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ১,৯৫০ পিস ইয়াবা ও মাদক
পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। মোঃ কাইয়ুম মিয়া (২৪) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার মতিনগর গ্রামের মোঃ সাদেক
মিয়া এর ছেলে, ২। মোঃ লিমন হোসেন (২৪) একই গ্রামের মোঃ নুরু মিয়া এর ছেলে, ৩। মোঃ সোহাগ
হোসেন (২৬) কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার তালতলী গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলাম এর ছেলে
এবং ৪। মোঃ ইয়াছিন (২৩) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার বারপাড়া গ্রামের মোঃ হালিম
মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা
দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত মোটরসাইকেল ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য
ইয়াবা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা
মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত
অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান
অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কৃষি জমিতে বোরো চারা রোপনে ব্যস্ততম সময় পার করছেন কৃষকরা। শীতের সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মাঠে মাঠে চলছে হাল-চাষ, জমির আইল নির্মাণ, সেচ, চারা রোপন ইত্যাদি কাজ। আগাম জমি প্রস্তুত করে কে বা কারা আগে ধানের চারা রোপন করবেন এমন প্রতিযোগীতা চলছে কৃষকদের মাঝে। কেউ জমিতে সার-গোবর দিচ্ছেন, কেউ শ্রমিকদের তদারকি করছেন, আবার কেউ চারা রোপন করছেন অনেকে জমির আগাছা বাছাই করে এক স্থানে স্তুপ করে রেখে তা পরিচর্চা করে জমিতে ব্যবহার করছেন।
কচুয়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৩০ হেক্টর। এ পর্যন্ত মোট লক্ষ্যমাত্রার ৭০ ভাগ আবাদ হয়েছে। তবে এখনও যেটুকু সময় বাকি আছে তাতে আশা করা হচ্ছে, এবারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আবাদ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এছাড়াও এবার বোরো ধানের আবাদ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলার প্রায় ৪ হাজার ৬শ বোরো চাষিকে বিনামূল্যে হাইব্রিড বীজসহ নানা ধরনের উপকরণ সহায়তা করা হয়েছে।
দহুলিয়া ও পালাখাল গ্রামের কৃষক কাজল, জসীম উদ্দিন ও জিলহজ জানান, গত বছর ব্যাপকভাবে বোরো ফসল ফলন হলেও পানি সেচ দেয়া নিয়ে অনেক ঘাটতি হয়েছে। এজন্য এবার আগাম জমি প্রস্তুত করে ধানের চারা রোপন শুরু করেছেন। যাতে আগে আগে পানি সেচ দিতে পারেন তারা। অনেক স্বপ্ন নিয়ে চারা রোপন করছেন তারা। এবার উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সরকারিভাবে ধানের বীজ পেয়েছেন বলে তাঁরা সকলেই জানান।
কচুয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মেজবাহ উদ্দিন জানান, এবারের বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১৩ হাজার ৩০ হেক্টর। ইতোমধ্যে ৪ হাজার ৬শ’ কৃষকের মধ্যে হাইব্রীড বীজ ও উপসি বীজ সরকারিভাবে বিতরণ করা হয়েছে। গত মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় এবার স্থানীয় অধিকাংশ কৃষকরা ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশা করা যাচ্ছে গত বছরের তুলনায় এবার বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা অনেক বেশি ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন