

সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের জন্য সীমান্তের এক বাড়িতে এনে রাখা এক নারীকে উদ্ধার করেছে ( বিজিবি) । এ ঘটনায় বাবা-ছেলেকে আটক করা হয়।গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার তুলুইগাছা সীমান্তের কুলিয়াডাঙ্গা গ্রামের একটি বাড়ি থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়।
বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল “মো. আশরাফুল হক “ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
আটক ০২ পাচারকারী হলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুলিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে মো. আবুল কালাম (৭৪) ও আবুল কালামের ছেলে ইমরান হোসেন (২৩)।
বিজিবি সূত্র জানায়, সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ তলুইগাছা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি এক নারীকে ভারতে পাচার করা হবে এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি সদস্যরা বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কুলিয়াডাঙ্গা গ্রামের আবুল কালামের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় ওই বাড়ি থেকে সেতু আক্তার নামের এক নারীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় সেতু আক্তারকে ভারতে পাচারের উদ্দেশে বাড়িতে রাখার অভিযোগে বাড়ির মালিক আবুল কালাম ও তার ছেলে ইমরান হোসেনকে আটক করে বিজিবি সদস্যরা। উদ্ধারকৃত সেতু আক্তার নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার দাশেরডাঙ্গা গ্রামের জিয়া শেকের মেয়ে।
বিজিবির সূত্র আরও জানায়, উদ্ধারকৃত বাংলাদেশি নারী এবং ধৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মানবপাচারকারী মো. আবুল কালাম ও তার ছেলে মো. ইমরান হোসেন এবং মানবপাচার চক্রের আরও ১৫ জন পলাতক আসামির সহায়তায় সেতু আক্তারকে ভারতে পাচার উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। কিন্তু সীমান্তে বিজিবির কঠোর নজরদারি ও টহল তৎপরতায় তারা পাচার করতে না পেরে সুযোগের অপেক্ষায় বাড়িতে এনে রাখে। দ্রুত বাংলাদেশি মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করত ও ভিকটিমকে সাতক্ষীরা সদর থানায় হস্তান্তর এবং মানবপাচারের সাথে জড়িত পলাতক ১৫ জন আসামির নাম উল্লেখ করে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা, কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ায় মিশুক চালক সাব্বির হোসেনকে হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও গ্রেফতারকৃত আসামীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। রবিবার দুপুরে এলাকাবাসীর আয়োজনে কচুয়া-সাচার-গৌরিপুর সড়কের পালাখাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রায় ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাব্বির হত্যার গ্রেফতারকৃত আসামীদের দ্রুত ফাঁসির কার্যকর দাবি জানাচ্ছি। কোনো ভাবে তারা যেন আইনের ফাঁকফোকড় দিয়ে জামিন না পায় তারও দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহতের মা জাহানারা বেগম,উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ডা. মাসুদুর রহমান বাবুল,পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি করেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুুস,যুবলীগ নেতা ইকবাল হোসেন,অহিদ রাজা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারি বুধবার বিকালে মিশুক নিয়ে সাব্বির বাড়ি থেকে বের হলেও আর বাড়ি ফিরেনি। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে পালাখাল-সেঙ্গুয়া সড়কের পাশে ডোবা থেকে মিশুক চালক সাব্বির হোসেনের হাত পা বাধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের মা জাহানার বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করলে তারই প্রেক্ষিতে ৯জন আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন


মাই টিভির ১৫ বছর পদার্পন উপলক্ষে কুমিল্লায় র্যালি, আলোচনা সভা ও কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
মাই টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি আবু মুসার আয়োজনে আজ ১৫ এপ্রিল সোমবার সকালে কুমিল্লা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
কুমিল্লা ফটো সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ওমর ফারুকী তাপসের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাকের কুমিল্লা প্রতিনিধি মো. লুৎফুর রহমান, এটিএন নিউজ ও এটিএন বাংলার কুমিল্লা প্রতিনিধি খায়রুল আহসান মানিক, আরটিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি মো. গোলাম কিবরিয়া, টেলিভিশন, সাপ্তাহিক সীমান্ত সংবাদ ও ডেইলি অবজারভারের প্রতিনিধি মো. নজরুল ইসলাম দুলাল, রূপসী বাংলার প্রতিনিধি অশোক বড়ুয়া, জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি হুমায়ুন কবির রনি, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি ও দৈনিক জনকণ্ঠের কুমিল্লা প্রতিনিধি মীর শাহ আলম, দৈনিক ইনকিলাবের স্টাফ রিপোর্টার সাদিক হোসেন মামুন, কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক বাহার রায়হান, মানবজমিনের কুমিল্লা প্রতিনিধি মো. জাহিদ হাসান, বৈশাখী টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি আনোয়ার হোসাইন, যমুনা টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী খোকন, সমকালের কুমিল্লা প্রতিনিধি কামাল উদ্দিন, দৈনিক আজকের কুমিল্লার সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু, দৈনিক যুগান্তরের কুমিল্লা ব্যুরো আবুল খায়ের, নাগরিক টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি দেলোয়ার হোসেন আকাইদ, ভোরের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার মো. ফিরোজ হোসেন, যায়যায়দিনের কুমিল্লা প্রতিনিধি আব্দুল জলিল, চ্যানেল ২৪ এর কুমিল্লা প্রতিনিধি মো. জাহিদুর রহমান, জাগরনী টিভির জেলা প্রতিনিধি আশিকুর রহমান, আরটিভির প্রতিনিধি মো. সোহরাব সুমন, এনটিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি মাহফুজ নান্টু, আজকের পত্রিকা’র প্রতিনিধি জহিরুল হক বাবু, এশিয়ান টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি মাহফুজ আনোয়ার সৌরভ, চ্যানেল এসের প্রতিনিধি রাজিব সাহা, ঢাকা ট্রিবিউনের কুমিল্লা প্রতিনিধি মহসীন কবির, রূপসী বাংলার নিজস্ব প্রতিনিধি সাইফুল সুমন, দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদের প্রতিনিধি মো. জাকির হোসেন, ডাক্তার ও লেখক ডা. আব্দুল আউয়াল সরকার, দুর্নীতির সন্ধানের প্রতিনিধি ম্যাক রানা, ঢাকা মেইলের কুমিল্লা প্রতিনিধি সাকলাইন জুবায়ের, ইনডিপেনডেন্ট টিভির ক্যামারাপার্সন মো. আমলগীর হোসেন, সদর দক্ষিণ প্রেসক্লাবের সভাপতি হাজী দেলোয়ার মজুমদার, জাতীয় অর্থনীতির কুমিল্লা ব্যুরো মো. শাহিন হোসেন, দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ কুমিল্লা প্রতিনিধি মারুফ কল্প, দৈনিক আমাদের কুমিল্লার স্টাফ রিপোর্টার মোস্তাফিজুর রহমান,ময়নামতি টোয়েন্টি ফোর টিভির গিয়াস উদ্দিন দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের কুমিল্লা প্রতিনিধি এনসি জুয়েল, বিজনেস বাংলাদেশর মহানগর প্রতিনিধি আয়েশা আক্তার, বাংলাদেশ সমাচারের প্রতিনিধি মো. সাফি, দৈনিক আলোকিত সকালের মহানগর প্রতিনিধি হাফেজ তামিম হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন


কক্সবাজারের
টেকনাফে পাহাড় ধসে মাটির দেয়াল চাপায় মা ও ৩ ছেলে-মেয়ে নিহত হয়েছে।
শুক্রবার
ভোর ৪ টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মরিচ্যাঘোনা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা
হলেন, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড মৌলভীবাজার মরিচ্যাঘোনার ফকির আহমদের
স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৫০), ছেলে সাইদুল মোস্তফা (২০) ও ২ মেয়ে সাদিয়া বেগম (১১) ও নিলুপা
বেগম (১৮)।
বিষয়টি
নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী ।
চেয়ারম্যান
রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে থেমে থেমে হালকা
ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এরই মধ্যে হ্নীলা ইউনিয়নের মরিচ্যাঘোনা এলাকায় পাহাড় ধসের
ঘটনা ঘটে। মাটির দেয়াল চাপা পড়ে পাহাড়ের খাদে বসবাস করা একই পরিবারের ৪ জন নিহত হন।
পরে খবর পেয়ে স্থানীয়রা সেখানের মাটি সরিয়ে ৪জনের মরদেহ উদ্ধার করেন।
টেকনাফ
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী জানান, পাহাড়ের একটি অংশ ধসে বাড়ির পাশে
পড়লে দেয়াল ধসে ওই পরিবারের সবাই মাটি চাপা পড়েন। এতে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
নিহতের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসন থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


সাতক্ষীরায় রেস্তোরাঁর বিরিয়ানি খেয়ে একই গ্রামের দুই শতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এদের মধ্য ১৫৬ জন কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
শনিবার (৬ জুলাই) রাতে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের সিংহলাল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে সিংহলাল বাজারে আফতাব উদ্দিন মেম্বারের দোকানে আগাতা ফিড নামে একটি মৎস্য ফিড কোম্পানির সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনার শেষে উপস্থিত ১৫০ জনকে কলারোয়ার নওয়াব বিরিয়ানি রেস্তোরাঁ থেকে আনা বিরিয়ানির প্যাকেট দেয়া হয়। বেশিরভাগ মানুষ সেই বিরিয়ানি বাড়িতে নিয়ে যান। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে সেই বিরিয়ানি খাওয়ার পর বিকেল থেকে অনেকে অসুস্থ হতে শুরু করেন।
কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শফিকুল ইসলাম জানান, রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দুই শতাধিক রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
বর্তমানে হাসপাতালে ৫০ জন রোগী ভর্তি আছেন। বাকি রোগীদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখানে যারা চিকিৎসা নিতে এসেছেন তারা সবাই ওই সেমিনার থেকে পাওয়া বিরিয়ানি খেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নওয়াব বিরিয়ানির মালিক রবিউল ইসলামকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের আপনজনের মঙ্গল কামনায় মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর ২০২৩) দ্বিতীয়দিনে কুমিল্লা মহানগরীর লাকসাম রোডস্থ মহেশাঙ্গণে লোকনাথের আরাধনায় নিমগ্ন থেকে এই ব্রত পালন করেন জেলার বিভিন্ন উপজেলা হতে আগত প্রায় সাড়ে ৮ শতাধিক লোকনাথ অনুসারী ভক্ত ও পূর্ণ্যাথী। এ সময় প্রদীপ, ধুপ, ফল, ফুল সামনে নিয়ে একাগ্রচিত্তে নারী-পুরুষ, শিশু-তরুণ-বৃদ্ধ নির্বিশেষে মগ্ন থাকেন আরাধনায়।
জানা যায়- প্রাণঘাতী রোগ কলেরা-বসন্তের হাত থেকে বাঁচার জন্য কার্তিক মাসে উপবাস পালন এবং আশ্রম প্রাঙ্গণে ঘিয়ের প্রদীপ ও ধূপ-ধুনা জ্বালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বাবা লোকনাথ। সেই থেকে বিপদ-আপদ, রোগবালাই থেকে মুক্তি পেতে ও আপনজনের কল্যাণ কামনা করে লোকনাথ অনুসারী ও ভক্তরা পালন করে থাকেন ‘রাখের উপবাস’। কার্তিক ব্রত কোন কোন স্থানে ‘গোসাইর উপবাস’ নামেও পরিচিত এই ব্রত। প্রতি বছরের ১৫ কার্তিকের পর মাসের বাকি সময়ের প্রতি শনি ও মঙ্গলবার লোকনাথ অনুসারীরা এই ব্রত পালন করেন। প্রতিবছর ঘটা করে এ উৎসব পালিত হয়। বিকেল ৩টা হতেই দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা মহেশাঙ্গণে এসে জড়ো হন।
কুমিল্লা মহেশাঙ্গণ লোকনাথ স্মৃতি তর্পণ সংঘের সাধারণ সম্পাদক হারাধন ভৌমিক ও লোকনাথ যুব সেবা সংঘের সাধারণ সম্পাদক লিটন চন্দ্র দাস এর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই ব্রতের আগের দিন সংযম করতে হয়। তারপর উপবাস থেকে সন্ধ্যায় আগে ধূপ-প্রদীপ ইত্যাদি নিয়ে বসতে হয়। আরাধনায় বসে প্রদীপ জ্বালানোর পর কথা বলা বন্ধ করে দিতে হয়। সংযম, মনোব্রতের মাধ্যমে একাগ্রচিত্তে লোকনাথকে ডাকতে হয়। প্রদীপ আলো নিভে গেলে মন্দির থেকে ফলফলাদি ও চড়ুই প্রসাদ দেওয়া হয় পূণ্যার্থীদের। তারা বলেন- আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি লোকনাথ যুব সেবা সংঘের প্রায় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
মহেশাঙ্গণে আসা একজন ব্রতী/পূর্ণ্যাথী ইতি রাণী ভৌমিক বলেন, আমি আজকে উপবাস থেকে আমার পরিবারের সকলের মঙ্গল কামণাসহ আপনজনের মঙ্গল কামনায় এখানে এসেছি প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করতে।
ওই অনুষ্ঠানে বাবার লোকনাথের পাঁচালী পাঠ করেন অধ্যাপক শ্যামা প্রসাদ ভট্টাচার্য।
এ-সময় উপস্থিত ছিলেন, লোকনাথ স্মৃতি তর্পণ সংঘের সভাপতি ননী গোপাল পাল, সহ-সভাপতি প্রলয় সিংহ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ রায় চৌধুরী পার্থ এবং লোকনাথ যুব সেবা সংঘের সিনিয়র সদস্য এডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার প্রমুখ। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, লোকনাথ স্মৃতি তর্পণ সংঘ ও লোকনাথ যুব সেবা সংঘের সদস্যবৃন্দসহ হাজার হাজার দর্শণ্যার্থী।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা, কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়া পৌর বাজারে সোমবার মধ্যরাতে
ভয়াবহ এক অগ্নিকান্ডে পুড়ল ৮ দোকান। দোকানগুলো
হচ্ছে মহসিনের মুদি দোকান, আরিফ হোসেনের বস্ত্র বিতান, নুরু মিয়ার ঘড়ি দোকান, সালাউদ্দিনের
কসমেটিক্স, আব্দুর রহমানের কসমেটিক্স, বিল্লাল হোসেনের মোবাইল, নুরুল্লাহর টি হাউজ
ও বশির উল্যাহর জুতা দোকানের মালামালসহ প্রায় ১কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
খবর পেয়ে দ্রুত কচুয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন
কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছলেও কাছকাছি পানি না থাকায় প্রায় ৫শ গজ দুরের থানা পুকুর থেকে
পানি এনে, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা প্রায় দুই
ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। অগ্নিকান্ডের সঠিক কারন জানা যায়নি। তবে বৈদ্যুতিক
শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটেছে বলে ধারনা করা হয়। এ ঘটনায় ইউএনও এসহান
মুরাদ অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মন্তব্য করুন


আজ রবিবার (২৯ জুন) দুপুরে কুমিল্লা
জেলা ক্রীড়া সংস্থার এ্যাডহক কমিটির সদস্য সচিব ক্রীড়া অফিসার সুমন কুমার মিত্রের
সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সিতোরিউ কারাতে ফেডারেশন, কুমিল্লা জেলার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
করা হয়।
ঘোষণা কালে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা
দক্ষিণ জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব কুমিল্লা জেলা কারাতে এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক
হাজী মামুন হুদা এবং কুমিল্লা জেলা কারাতে এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোখলেছুর
রহমান আবু।
উক্ত আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক হলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কৃষক দলের যুগ্ন আহবায়ক মোঃ দ্বীন ইসলাম মৈশান এবং যুগ্ন আহবায়ক হিসেবে দ্যা রয়েল কারাতে-দো এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি কামাল আহমেদ এবং সদস্য সচিব হিসেবে দ্যা রয়েল কারাতে-দো এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা মোফাজ্জল মাহিন চৌধুরীকে ঘোষিত করা হয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা নগরীর ১৪ নং ওয়ার্ড মুরাদপুরে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে ইয়াবা, ফেনসিডিল
ও দেশীয় অস্ত্রসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে বউ বাজার এলাকায় এ অভিযান
চালায় সেনাবাহিনীর ২৩ বীরের আওতাধীন একটি আর্মি প্যাট্রল দল।
আটক ব্যক্তিরা হলেন , সোহেল (৩৫), মামুন (৩৫), মো. জুয়েল
(২৫), সোহেল মিয়া (২৪) ও সবুজ আহমেদ (২৮)।
সেনা সূত্রে জানা গেছে, আটককৃতদের মধ্যে দুইজন বিভিন্ন
মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
অভিযানকালে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১ হাজার ৪০০ পিস
ইয়াবা, ২ বোতল ফেনসিডিল, ২টি ওয়াকিটকি সেট, ১১টি মোবাইল ফোন, ৬টি চাইনিজ ছুরি, একটি
চাপাতি, একটি দেশীয় তৈরি ছুরি, ৩টি পেন ড্রাইভ ও ৪টি মেমোরি কার্ড।
অভিযান শেষে সেনাবাহিনী আটককৃতদের মাদক ও অস্ত্রসহ স্থানীয়
থানায় হস্তান্তর করে।
সেনা সূত্র জানায়, জাতীয় নিরাপত্তা ও মাদক নির্মূলের অংশ
হিসেবে তথ্যভিত্তিক এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় রাতের আঁধারে মাছের প্রজেক্টে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার মধ্যরাতে উপজেলার উত্তর ইউনিয়নে নোয়াদ্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে মাছগুলো পানিতে ভেসে উঠলে ভুক্তভোগী মৎস চাষি মানিক ও রাসেল হোসেন বুঝতে পারেন। এতে প্রায় তিন লক্ষ টাকার ক্ষসিাধন হয়েছে বলেও জানান ভূক্তভোগীরা। ওইদিন মানিক মিয়া বাদী হয়ে একই গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মান্নান মিয়া,রুবেল,শামীম হোসেন ও আব্দুল জলিলকে আসামী করে কচুয়া থানায় একটি লিভিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বাদীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কচুয়া উপজেলার ৬নং উত্তর ইউনিয়নের নোয়াদ্দা গ্রামের মানিক মিয়া ও রাসেল হোসেন নামের দুই মামাতো ও ফুফাতে ভাই ওই প্রজেক্টে মাছের চাষ করছেন। স্থানীয় এনজিও থেকে ঋন নিয়ে প্রায় বছর খানেক পূর্বে মাছের পোনা চাষ করেন। কিন্তু রাতের আধাঁরে বিষ প্রয়োগে দুই ভাইয়ের স্বপ্ন এখন ধূলিসাৎ হয়েছে। সম্প্রতি কিছু কুচক্রী ও স্বার্থান্বেষী মহল শুত্রুতার জেরে দিবাগত রাতে মাছের প্রজেক্টে বিষ দেয়। এতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে দাবি ভুক্তভোগী দুই ভাইয়ের।
ভূক্তভোগী মানিক মিয়া ও রাসেল হোসেন বলেন, আমরা গরীব মানুষ। মাছ চাষ করে জীবিকা-নির্বাহ করি। বিষ প্রয়োগে আমাদের সব স্বপ্ন মাটি হয়ে গেছে। গত বছর ব্যাংক ও এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ নেই। এখন আমরা কীভাবে টাকা পরিশোধ করবো, কিছুই বুঝতেছি না। যারা এমন ন্যাক্কারজনক কাজ করেছে তাদের আইনের আওতা এনে শাস্তির দাবি জানাই।
কচুয়া থানার ওসি এম আব্দুল হালিম বলেন, নোয়াদ্দা গ্রামে মাছের প্রজেক্টে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন


শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে স্বাভাবিক উচ্চতা থেকে বঞ্চিত হয়ে ২৮ ইঞ্চিতে আটকে আছেন ১৮ বছর বয়সী নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চরকিং ইউনিয়নের বাসিন্দা তৌহিদ। ২০০৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি হাতিয়া উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ৯নং ওয়র্ডের ফারুক-জাহেদা দম্পতির কোলজুড়ে আসে তোহিদ। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে তৌহিদ সবার ছোট। জন্মের পর থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকা তৌহিদের শারীরিক অক্ষমতা দেখা দেয় তিন বছর বয়সে।
শারীরিক প্রতিবন্ধকতা দেখা দেওয়ার পর স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শে চিকিৎসা নিয়েও কোনো প্রকার কূল-কিনারা পায়নি। পারিবারিক অসচ্ছলতা থাকায় তৌহিদকে উপজেলার বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করানোর অবস্থা ছিল না তার পরিবারের।
স্থানীয়রা বলেন, স্বাভাবিক উচ্চতা থেকে বঞ্চিত হয়েও তৌহিদ এলাকার সবার কাছে অনেক প্রিয় হয়ে উঠেছে। সবাই তাকে নিয়ে খেলাধুলা আর দুষ্টমিতে মেতে থাকে সবসময়। প্রতিবেশীরা একদিন না দেখলে বাড়িতে চলে যান খোঁজ নিতে তার। সেও খুব সহজে সবাইকে আপন করে নেয়।
তৌহিদের বাবা ওমর ফারুক বলেন,তৌহিদের বয়স বর্তমানে ১৮ বছর। শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে স্বাভাবিক উচ্চতা থেকে বঞ্চিত হয়ে ২৮ ইঞ্চিতে আটকে পড়ে আছেন ১৮ বছর বয়সী তৌহিদ। পরিবারের ভরণ-পোষণ ও দুই সন্তানের পড়ালেখার খরচ চালিয়ে তৌহিদের চিকিৎসা চালানোর মতো অবস্থা নেই তাদের। তাই সমাজের বৃত্তবান ও সরকারি সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
হাতিয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, তৌহিদের বিষয়ে আমরা খোঁজ-খবর নিয়েছি। ইতোমধ্যে তার জন্য সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। তাছাড়াও তার পরিবারের পক্ষ থেকে যদি কোনো আবেদন থাকে অথবা সরকারি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যদি তাকে স্বাবলম্বী করা যায় আমরা সে বিষয়ে সহযোগিতা করব।
মন্তব্য করুন