আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সেনাবাহিনী প্রধানের
সাথে সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনার ডেরেক লো সেনাসদরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা পারস্পরিক কুশলাদি বিনিময়
ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও দু'দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা
করেন। বিশেষ করে তাঁরা সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, যৌথভাবে হাসপাতাল নির্মাণ ও
পরিচালনার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন, প্রতিরক্ষা শিল্পে বিনিয়োগ ও সামরিক
প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রশিক্ষনার্থী বিনিময়ের উপর আলোকপাত করেন।
এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ, স্পেশাল ফোর্সেস' অভিযান ইত্যাদি বিষয়ে যৌথ মহড়া পরিচালনার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মৎস্যসম্পদ সুরক্ষায় দেশবাসীকে
পরিবেশের প্রতি সদয় হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, পরিবেশের প্রতি সদয় না হলে বাংলাদেশের
সমৃদ্ধ মৎস্য সম্পদ টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। প্রকৃতির প্রতি নির্দয় আচরণ অব্যাহত
থাকলে একদিন মাছও আমাদের কপাল থেকে হারিয়ে যেতে পারে।
আজ সোমবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে
চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫-এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে
একথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
এবারের মৎস্য সপ্তাহের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে - " অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি"। মৎস্য সপ্তাহ চলবে এক সপ্তাহব্যাপী। প্রদর্শনী, কর্মশালা ও আলোচনা সভার মাধ্যমে চাষাবাদে আধুনিক প্রযুক্তি, মাছের রক্ষণাবেক্ষণ এবং বাজারজাতকরণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবর্গ,
সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাগণ, মৎস্যচাষী, উদ্যোক্তা ও গবেষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, “মাছ আমাদের জন্য প্রকৃতির
উপহার। এটি কোনো কারখানায় উৎপাদিত নয়, বরং আল্লাহর দান। অথচ আমরা এত নির্দয় হয়ে পড়েছি
যে, একদিন মাছও হয়তো আমাদের কপাল থেকে হারিয়ে যাবে। প্রকৃতিকে আঘাত করলে আগামী প্রজন্মও
খাদ্য নিরাপত্তা ও জীবিকার দিক থেকে বঞ্চিত হবে। আমরা নদী শাসনের কথা বলি, কিন্তু নদী
পালনের কথা বলি না। আমরা তাকে শাসন করতে চাই এবং শাসনের নামে তার প্রতি যত নির্দয় হওয়া
যায়, তা করছি। বর্জ্য তো নদীতে দিচ্ছি। নদী-নালা ও জলাশয়ে বর্জ্য ফেলছি, বিষাক্ত রাসায়নিক
ঢুকিয়ে দিচ্ছি। পানিই যদি না থাকে, মাছ কোথা থেকে আসবে?
বাংলাদেশের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য ও জলসম্পদ
মৎস্য উৎপাদনের বিপুল সুযোগ তৈরি করেছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, বর্তমানে
দেশে প্রায় ১২ লাখ নারীসহ লাখ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ খাতের সঙ্গে যুক্ত।
কিন্তু প্রকৃত মৎস্যজীবীরা অনেক সময় প্রতিকূলতার মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, “আমরা শুধু
মাছের দাম বা মাছটা টাটকা কি-না সেটা দেখি, কিন্তু যারা প্রতিদিন শ্রম দিয়ে মাছ আমাদের
কাছে পৌঁছে দেন, তাদের কথা ভুলে যাই। আজকের দিনটা অন্তত তাদের কথা মনে করার দিন। বঙ্গোপসাগর
আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে তার উপহার নিয়ে। এটি শুধু বেশি মাছ ধরার বিষয় নয়, বরং একটি
নতুন শিল্প গড়ে তোলার সুযোগ। এজন্য আমাদের গবেষণা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও বিশ্ববিদ্যালয়
পর্যায়ে পাঠ্যক্রমে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
অবৈধ জাল ব্যবহার ও নির্বিচার মৎস্য
আহরণকে তিনি “প্রকৃতির প্রতি নির্মমতা”
আখ্যা দেন। অধ্যাপক ড. ইউনূস এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন,
এটি ঠেকানো শুধু সরকারের কাজ নয়, বরং নাগরিক দায়িত্বও বটে। আগামী প্রজন্ম যেন এই সম্পদ
থেকে বঞ্চিত না হয়, সেজন্য আমাদের সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে, তিনি যোগ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের প্রতিদিন
সকালে প্রতিজ্ঞা করতে হবে—আমি
আজ প্রকৃতির প্রতি সদয় হব। প্রকৃতির প্রতি সদয় না হলে আমাদের ভবিষ্যৎ টেকসই হবে না।
অনুষ্ঠানে মৎস্য খাতে বিশেষ অবদানের
জন্য নয়টি ক্ষেত্রে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় মৎস্য পদক ২০২৫ প্রদান করা হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা
আখতার এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত সচিব মো. তোফাজ্জেল
হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
মন্তব্য করুন
কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন নিয়ে তাড়াহুড়ার
করছেন, তাড়াহুড়ার প্রয়োজন নেই, সংস্কার শেষ হলেই নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হবে।
নির্বাচন নিয়ে অধৈর্য হওয়ায় সরকারের সংস্কার কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন
অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও
ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে দিনাজপুরের
কাহারোল উপজেলা মিলনায়তনে শীত বস্ত্র বিতরণ এবং উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ফ্যাসিবাদী
ব্যবস্থার বিলোপের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান যেভাবে সংস্কার করা দরকার সেই সংস্কারের
এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে। সংস্কার কমিশন রিপোর্ট দিলে আমরা সে অনুযায়ী কাজ করব। প্রধান
উপদেষ্টা নির্বাচনের একটি রোড ম্যাপ ঘোষণা করেছেন। তবে আগামী নির্বাচন নির্ভর করছে
সংস্কার কার্যক্রমের ওপর। সংস্কার কমিশনগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংস্কারের প্রস্তাব
দেবে। সে রিপোর্টগুলো নিয়ে বিভিন্ন স্টেক হোল্ডার পলিটিক্যাল পার্টিদের সঙ্গে আলোচনা
করা হবে। সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মতবিনিময় শেষে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। এর আগে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে গার্ড
অব অনার প্রধান করা হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলামের
সভাপতিত্বে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার
বিভাগের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক আবু জাফর, উপদেষ্টার একান্ত সচিব আবুল হাসান, পুলিশ
সুপার নাজমুল হাসান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমানসহ বিভিন্ন
কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন
অযৌক্তিক কারণে কেউ নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে, দেশের স্বার্থে তাদের প্রতিহত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধ ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।
আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
সমন্বয়ক সারজিস আলম লিখেছেন, সবার আগে দেশ, দেশের মানুষ, জনগণের সম্পদ। যদি কেউ অযৌক্তিক কারণে বিশৃঙ্খলা বা নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করে, সে যে পরিচয়েরই হোক না কেন। তবে দেশের স্বার্থে তাদের প্রতিহত করে জনমানুষের নিরাপত্তা প্রদান করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধান কাজ ৷
মন্তব্য করুন
শান্তিতে নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বঙ্গভবনের দরবার হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন । শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টা ২০ মিনিটে শপথ নেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ২৮ মিনিটে তিনি তার গাড়িবহর নিয়ে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন।
এর আগে বিএনপির নেতারা, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন।
তার আগে দুপুর ২টা ১১ মিনিটে ড. ইউনূসকে বহনকারী ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় বিমানবন্দরে ড. ইউনূসকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানসহ তিন বাহিনীর প্রধান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা, নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
এরপর বিমানবন্দরে ড. ইউনূস বলেন, আমার ওপর যদি আস্থা এবং বিশ্বাস রাখেন তাহলে এটা নিশ্চিত করতে হবে কারও ওপর কোনো প্রকার হামলা করা যাবে না, বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। যদি বিশৃঙ্খলা করা হয় তাহলে আমি এই দায়িত্বে থাকব না।
নতুন বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন বিজয় দিবস শুরু করল উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, নতুন বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন বিজয় দিবস শুরু করল। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যারা এটি করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, তারা (সমন্বয়করা) দেশকে রক্ষা করেছে।
শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, দেশবাসী কাছে আমার ওপরে বিশ্বাস রাখেন, ভরসা রাখেন, দেশে কারও ওপর কোনো হামলা হবে না।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি করাকে স্বাভাবিক করাকে গুরুত্ব দিয়ে ইউনূস বলেন, যেজন্য আন্দোলন হয়েছে সেটার ফলাফল যেন ব্যর্থ না হয়। পুনর্জন্মে যে বাংলাদেশ পেলাম সে বাংলাদেশ যেন পূর্ণতা পায়। যে বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ নতুন করে বিজয় পেল তা যেন পূর্ণতা পায়।
মন্তব্য করুন
আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে উপদেষ্টা পরিষদের ৩৭তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে এ বছরের মে থেকে জুলাই পর্যন্ত গৃহীত বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন অগ্রগতির প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ৪১টি উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে ১৯৪টির সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়েছে। বৈঠক সমূহে গৃহীত ৩১৫টি সিদ্ধান্তের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে ২৪৭টি। বাস্তবায়ন হার ৭৮ দশমিক ৪১ শতাংশ, যা এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উদ্যোগে গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের ভেটিং-সাপেক্ষে বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়। এছাড়াও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতি বছর ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবসকে ‘গ’ শ্রেণির পরিবর্তে ‘খ’ শ্রেণির দিবস হিসেবে উদযাপনের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
উক্ত
বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উদ্যোগে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কেও উপদেষ্টা পরিষদে পর্যালোচনা হয়।
মন্তব্য করুন
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন পূজা মণ্ডপে হামলাকারীদের দ্রুততম সময়ে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দিনগত রাতে পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারে পূজা মণ্ডপে হামলায় আহতদের দেখতে মিটফোর্ড হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন।
এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা প্রদান করুন। তাদের চিকিৎসার সব খরচ বহন করা হবে। দুর্বৃত্তরা নাশকতা করতে চেষ্টা করছে কিন্তু আমরা সেই সুযোগ তাদের দেব না। দুষ্কৃতকারী যেই হোক তাদের দ্রুততম সময়ে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম আহতদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করার ঘোষণা দেন। এরপর তাঁতীবাজার পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন তিনি।
এদিন রাতে ৪-৫ জন দুষ্কৃতকারী তাঁতীবাজার পূজা মণ্ডপে বোমা মারার চেষ্টা করে। তারা একটা বোমা ছুড়লেও সেটা বিস্ফোরিত হয়নি। বোমা নিক্ষেপকারীকে স্থানীয় জনগণ ধাওয়া দিয়ে ধরে ফেললে হামলাকারী ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে পালিয়ে যায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়ে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি হয়।
মন্তব্য করুন
কিশোরগঞ্জ লাইনচ্যুত হয়েছে এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন। এতে বন্ধ রয়েছে ভৈরব- ময়মনসিংহ রুটে রেল চলাচল।
২৫ নভেম্বর শনিবার বিকেল সোয়া ৪টায় এ ঘটনাটি ঘটে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর গচিহাটা স্টেশন এলাকায়।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান।
কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান জানান, ২৫ নভেম্বর শনিবার বিকেল সোয়া ৪টায় কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি গচিহাটা স্টেশনে প্রবেশের সময় পয়েন্ট ভুল করে অন্য পয়েন্ট চলে যায়। এতে করে ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তবে এ ঘটনায় কোনো যাত্রী হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। খবর পাঠানো হয়েছে। আখাউড়া থেকে রিলিফ ট্রেন এসে উদ্ধার করবে লাইনচ্যুত ইঞ্জিনটি।
মন্তব্য করুন
নিজেদের সংখ্যালঘু হিসেবে নয়, বরং মানুষ
হিসেবে এবং বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করে সাংবিধানিক অধিকার চাওয়ার আহ্বান
জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে হিন্দু
সম্প্রদায়ের ওপর বিভিন্ন হামলার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার
প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী
মন্দিরে সনাতন ধর্মালম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, এমন বাংলাদেশ আমরা করতে যাচ্ছি, যেখানে সবাই এক পরিবার। এটা হলো মূল জিনিস। এখানে
পরিবারের মধ্যে কোনো পার্থক্য করা, বিভেদ করা, এটার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমরা মুসলমান,
হিন্দু, বৌদ্ধ হিসেবে বিবেচিত নই; মানুষ হিসেবে বিবেচিত। আমাদের অধিকারগুলো নিশ্চিত
হোক। আপনারা যদি টেনে টেনে নিয়ে আসেন আমি ওমুক, আমি তমুক, এটা আবার পুরোনো জায়গায় চলে
গেলো। আপনারা বলেন যে আমি মানুষ, আমি বাংলাদেশের মানুষ, আমার সাংবিধানিক অধিকার এই,
আমাকে দিতে হবে। সব সরকারের কাছে এটাই চাইবেন। সব সমস্যার গোড়া হলো আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো
পচে গেছে। এ কারণেই এসব গোলমাল হচ্ছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করতে হবে। ন্যায়বিচার
হলে কে বিচার পাবে না আমাকে বলেন। কোন ধর্মের, কোন জাতের, আইনে কি বলা আছে যে মুসলমান
সম্প্রদায় হলে এই আদালতে হবে, হিন্দু হলে ওই আদালতে যাবে। সবার জন্য আইন একটা, কার
সাধ্য আছে সেখানে বিভেদ করে যে এ রকম একটা, ওই রকম একটা। এটা এমন রোগ, মূলে যেতে হবে।
আপনারা যদি বলেন আমাদের সংখ্যালঘুরা, এটা বললে মূল সমস্যা থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি।
আমাদের বলতে হবে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেটা পেলে বাকস্বাধীনতা
প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটিই হলো আমাদের মূল লক্ষ্য।
সনির্বন্ধ অনুরোধ আপনারা বিভিন্ন খোপের (বিভেদ) মধ্যে চলে যাইয়েন না। এই খোপ হলে, খোপের
মধ্যে মারামারি-কাটাকাটি লেগে যাবে। এক হয়ে আসেন। এক আইন, আমাদের আইনি অধিকার দিতে
হবে। বলেন, আপনারা আইনি অধিকার পান না, বিচার হয় না। এটাই হলো আসল জিনিস। বিচারব্যবস্থা
আমাদের দিকে তাকায় না, পুলিশ আমাদের দিকে তাকায় না। কারণ, আমি অধিকারটা … করতে পারি
নাই। আমাদের নীতিটা আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারি নাই। খোপ খোপ করতে আরম্ভ করবেন, তারাও
মজা পেয়ে যাবে। ওই মজার খেলাতে আমাদের আর নিয়ে যাইয়েন না। আমরা এসেছি, আমরা এক মানুষ,
আমাদের এক অধিকার। এর মধ্যে কোনো পার্থক্য করা যাবে না। একটু সহযোগিতা করেন আমাদের,
একটু ধৈর্য্য ধরেন। কী করতে পারলাম, কী পারলাম না সেটা পরে বিচার কইরেন। যদি না পারি
আমাদের দোষ দেবেন।
এর আগে সনাতন ধর্মের ধর্মীয় নেতারা
বিভিন্ন সময় তাদের ওপর হামলার কথা তুলে ধরেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের কাছে এসব
সমস্যার স্থায়ী প্রতিকার চান। ড. মুহাম্মদ ইউনূস অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায়
প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে তাদের আশ্বাস দেন।
মন্তব্য করুন
প্রয়োজনীয় সব সংস্কার শেষে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
সোমবার (৪ নভেম্বর) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অফিস কক্ষে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকোন অ্যারাল্ড গুলব্রান্ডসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এ কথা জানান।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। ফ্যাসিস্ট সরকার গত ১৬ বছর দেশে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতি করেছে। অন্তর্বর্তী সরকার দেশকে পুনর্গঠন করার কাজ শুরু করেছে। যাতে দেশ ও দেশের মানুষ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারে। দেশ পুনর্গঠনে নরওয়ের পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করেন উপদেষ্টা। সংস্কারের ক্ষেত্রে স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকোন অ্যারাল্ড গুলব্রান্ডসেন বলেন, নরওয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থেকে নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, সরকার উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে নরওয়ের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চায়। পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ও গণমাধ্যমের উন্নয়নে বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে।
রাষ্ট্রদূত সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে আইনটি বাতিল হবে এবং এ আইনের অধীনে যত মামলা হয়েছে সব মামলাও বাতিল হবে। শুধু এ আইন নয়, মত প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করে এমন সব আইন পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নিরাপদে আছে। সর্বশেষ পূজাতে তাদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল, ছুটি বাড়ানো হয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার সংখ্যালঘুদের নিয়ে রাজনৈতিক খেলায় মেতে উঠেছিল। তারা সংখ্যালঘুদের ভোটব্যাংক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। অথচ তাদের আমলেই সংখ্যালঘু নির্যাতনের বড় বড় ঘটনা ঘটলেও তারা বিচার করেনি।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বহির্বিশ্বে নানা রকম নেতিবাচক প্রচারণা করা হচ্ছে উল্লেখ করে এ বিষয়ে সত্য ঘটনা প্রচার করতে নরওয়ের সহযোগিতা কামনা করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, নরওয়ের ডেপুটি হেড অব মিশন মারিয়ান রাবে ন্যাভেলসউরডসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বর থেকে পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযান কার্যক্রম শুরু হবে।
বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আপনি যে দোকানে যান
সে দোকান থেকে পলিথিন ব্যাগ কিনে আনেন। আমি আপনিও বলি না পলিথিন ব্যাগ
দিচ্ছেন কেন, এটা তো নিষিদ্ধ। আমরাও
তো হাতে করে নিয়ে আসি। মার্কেটগুলোতে গিয়ে পলিথিন ব্যাগগুলো প্রথমে আমরা বলব ১৫ থেকে ২০
দিন তারপর আমরা অভিযানে যাব। এগুলো আপাতত সিদ্ধান্ত। এটি তারিখ নির্ধারিত হয়নি। কারণ এর সঙ্গে আরো
কয়েকটি সংস্থা সম্পৃক্ত। এখন সবাই একটা আন্দোলনের মুডে আছে। সবাই সবার দাবি পেশ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওইদিকে ব্যস্ত আছে। তবে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আপনারা কার্যক্রমের শুরু দেখতে পারবেন। বায়ু দূষণ একদিনে সমাধান হবে না, কিন্তু এই শীতের আগে
যেন বায়ু দূষণের কয়েকটি উৎসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, সেজন্য বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা করছি। এখানে মেগা পরিকল্পনা চলছে কিন্তু বায়ুদূষণের ব্যবস্থা নেই, সেই জায়গাটা আমরা ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করব। কনস্ট্রাকশন হবে, কিন্তু বায়ুদূষণ করে কনস্ট্রাকশন হতে পারবে না। স্বল্প ব্যয়েই এটি করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাংক পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়কে এবং পরিবেশ অধিদপ্তরকে কিছু কিছু প্রকল্প সহায়তা দিচ্ছে। সেগুলো নিয়ে আলোচনা হলো। তাদের প্রত্যাশাটা কি, এবং এই প্রত্যাশাটা আমরা যত তাড়াতাড়ি পূরণ করতে পারব ততো তাদের পক্ষে সম্ভব হবে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে আমাদের এই প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে বাজেট সহায়তা দেওয়ার। আমরা বলেছি বাংলাদেশে আইনকানুন, নীতি ভালো আছে। এগুলোকে আরো ভালো করা যায়। কিন্তু সক্ষমতা না বাড়ালে এগুলোর বাস্তবায়নের জন্য তাহলে দূরত্বটা বেড়ে যাবে। মানুষের প্রত্যাশার জায়গাটা পূরণ হবে না। আইনকানুন, নীতি আমরা আরও সময়োপযোগী করব, আরও শক্ত করব। কিন্তু একই সঙ্গে আমাদের কাজে নেমে যেতে হবে। যেমন মানুষকে আমাদের দেখাতে হবে দূষণকারী কয়জন শাস্তি পাচ্ছে, ময়লা আবর্জনা নদীর পাড় থেকে সরছে, কিছু কিছু নদী পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। নতুন করে তাদের (বিশ্বব্যাংক) কাছে নতুন করে প্লাস্টিক, পলিথিন, শব্দ দূষণ ও কয়েকটা নদীতে দূষণ নিয়ে কথা বলেছি, বলেন পরিবেশ উপদেষ্টা।
বিশ্বব্যাংক কী ধরনের সহায়তা দেবে -এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরকে সবচেয়ে দূষিত নদী ও দূষণকারীদের তালিকা করতে বলা হয়েছে। সেগুলো যখন আমরা পাব তখন একটি মনিটরিং প্ল্যান করে ফেলতে পারব। ফলে বিস্তারিত রূপরেখা তৈরি হয়নি। তবে একটি রূপরেখা তো আছেই, সেখানে নতুন নতুন কম্পোনেন্ট যদি যুক্ত করতে পারি সেটি নিয়ে কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছে সর্বাত্মক সহায়তা করার চেষ্টা করবেন।
মন্তব্য করুন