পবিত্র হজ পালনের জন্য এখন পর্যন্ত
সৌদি আরব পৌঁছেছেন ৫১ হাজার ৪০৩ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী।
বৃহস্পতিবার রাত ২টা ৩০ মিনিটে (বাংলাদেশ
সময়) হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বুলেটিনে জানানো হয়, এ পর্যন্ত মোট
১৩১টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৬৪টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ৪২টি এবং
ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত মোট ফ্লাইটের
৬২.২ শতাংশ ফ্লাইট আর মোট হাজীদের মধ্যে ৬২ শতাংশ সৌদি পৌঁছেছেন।
এখন পর্যন্ত সৌদি আরবে হজ পালন করতে
গিয়ে ৮ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে মক্কায় ছয়জন এবং মদিনায় দুজন মারা
যান। সবশেষ গত রোববার ও সোমবার দুজন মক্কায় মারা যান।
মন্তব্য করুন
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নাত ও মিলাদের মাহফিল ‘দাওয়াত-এ ইশক’। এই অনুষ্ঠানে বিতরণের জন্য
তাবারুক রান্নার কাজ শুরু হয়েছে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই
রান্নার কাজ শুরু হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রদের
আয়োজনে অনুষ্ঠানটিতে প্রায় ৫ হাজার প্যাকেট তাবারুক বিতরণ হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রদের
পক্ষে মাহফিল আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ক্রিমিনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী মুহম্মদ মুহিউদ্দিন
রাহাত বলেন, আজ রোববার বাদ মাগরিব থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে ‘দাওয়াত-এ ইশক’
অনুষ্ঠানটি শুরু হবে।
মাহফিল আয়োজক কমিটির সদস্য পদার্থ বিজ্ঞান
বিভাগের শিক্ষার্থী মুহম্মদ ইয়াকুব মজুমদার বলেন, দাওয়াত-এ ইশক একটি সার্বজনীন অনুষ্ঠান।
এ অনুষ্ঠানে দল-মত নির্বিশেষ সবার দাওয়াত থাকবে। আমরা আমাদের নবীজি হজরত মুহাম্মদ
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ভালোবাসি। সেই ভালোবাসা থেকেই এ আয়োজন।
মন্তব্য করুন
ছেড়ে গেল চলতি মৌসুমের হজের দুই ফ্লাইট।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৪টা ৫ মিনিটে
পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দিলেন ৪১৩ বাংলাদেশি হজযাত্রী। এ বছরের
প্রথম ফ্লাইটটি ছিল সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের।
এরপর দ্বিতীয় ফ্লাইটে সকাল ৭টা ২০
মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের প্লেন সৌদি যায় ৪১৯ হজযাত্রী নিয়ে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো
হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার
প্রথম দিনে ৭টি ফ্লাইট ঢাকা থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ
এয়ারলাইন্সের তিনটি ছাড়াও সৌদি এয়ারলাইন্স ও ফ্লাইনাসের দুটি করে ফ্লাইট রয়েছে।
প্রথম দিনের শিডিউল অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার
প্রথম দিনে ৭টি ফ্লাইটে সৌদি আরব যাওয়ার কথা রয়েছে মোট দুই হাজার ৭৮৫ জন হজযাত্রীর।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, চলতি
বছর হজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিবন্ধন করেছেন ৮৩ হাজার ৩১১ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায়
৪ হাজার ৪১৬ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করেছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন।
তবে, বুধবার পর্যন্ত হজে যেতে ভিসা
পেয়েছেন ৪২ হাজার ৮৪৬ হজযাত্রী। অর্থাৎ ৪০ হাজার ৪৬৫ জনের এখনও ভিসা হয়নি।
মন্তব্য করুন
নিজেদের সংখ্যালঘু হিসেবে নয়, বরং মানুষ
হিসেবে এবং বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করে সাংবিধানিক অধিকার চাওয়ার আহ্বান
জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে হিন্দু
সম্প্রদায়ের ওপর বিভিন্ন হামলার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার
প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী
মন্দিরে সনাতন ধর্মালম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, এমন বাংলাদেশ আমরা করতে যাচ্ছি, যেখানে সবাই এক পরিবার। এটা হলো মূল জিনিস। এখানে
পরিবারের মধ্যে কোনো পার্থক্য করা, বিভেদ করা, এটার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমরা মুসলমান,
হিন্দু, বৌদ্ধ হিসেবে বিবেচিত নই; মানুষ হিসেবে বিবেচিত। আমাদের অধিকারগুলো নিশ্চিত
হোক। আপনারা যদি টেনে টেনে নিয়ে আসেন আমি ওমুক, আমি তমুক, এটা আবার পুরোনো জায়গায় চলে
গেলো। আপনারা বলেন যে আমি মানুষ, আমি বাংলাদেশের মানুষ, আমার সাংবিধানিক অধিকার এই,
আমাকে দিতে হবে। সব সরকারের কাছে এটাই চাইবেন। সব সমস্যার গোড়া হলো আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো
পচে গেছে। এ কারণেই এসব গোলমাল হচ্ছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করতে হবে। ন্যায়বিচার
হলে কে বিচার পাবে না আমাকে বলেন। কোন ধর্মের, কোন জাতের, আইনে কি বলা আছে যে মুসলমান
সম্প্রদায় হলে এই আদালতে হবে, হিন্দু হলে ওই আদালতে যাবে। সবার জন্য আইন একটা, কার
সাধ্য আছে সেখানে বিভেদ করে যে এ রকম একটা, ওই রকম একটা। এটা এমন রোগ, মূলে যেতে হবে।
আপনারা যদি বলেন আমাদের সংখ্যালঘুরা, এটা বললে মূল সমস্যা থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি।
আমাদের বলতে হবে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেটা পেলে বাকস্বাধীনতা
প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটিই হলো আমাদের মূল লক্ষ্য।
সনির্বন্ধ অনুরোধ আপনারা বিভিন্ন খোপের (বিভেদ) মধ্যে চলে যাইয়েন না। এই খোপ হলে, খোপের
মধ্যে মারামারি-কাটাকাটি লেগে যাবে। এক হয়ে আসেন। এক আইন, আমাদের আইনি অধিকার দিতে
হবে। বলেন, আপনারা আইনি অধিকার পান না, বিচার হয় না। এটাই হলো আসল জিনিস। বিচারব্যবস্থা
আমাদের দিকে তাকায় না, পুলিশ আমাদের দিকে তাকায় না। কারণ, আমি অধিকারটা … করতে পারি
নাই। আমাদের নীতিটা আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারি নাই। খোপ খোপ করতে আরম্ভ করবেন, তারাও
মজা পেয়ে যাবে। ওই মজার খেলাতে আমাদের আর নিয়ে যাইয়েন না। আমরা এসেছি, আমরা এক মানুষ,
আমাদের এক অধিকার। এর মধ্যে কোনো পার্থক্য করা যাবে না। একটু সহযোগিতা করেন আমাদের,
একটু ধৈর্য্য ধরেন। কী করতে পারলাম, কী পারলাম না সেটা পরে বিচার কইরেন। যদি না পারি
আমাদের দোষ দেবেন।
এর আগে সনাতন ধর্মের ধর্মীয় নেতারা
বিভিন্ন সময় তাদের ওপর হামলার কথা তুলে ধরেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের কাছে এসব
সমস্যার স্থায়ী প্রতিকার চান। ড. মুহাম্মদ ইউনূস অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায়
প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে তাদের আশ্বাস দেন।
মন্তব্য করুন
বিশ্ব
ইজতেমা-২০২৪ এর প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত চলাকালীন ময়দান ও আশপাশের সড়ক ও এলাকার
পরিবেশ ছিল শান্ত। সড়কগুলোতে যে যার মত বসে মোনাজাতে অংশ নেয় ।
দুই
হাত তুলে অনেকেই কেঁদেছেন, কেউ কেউ আল্লাহ আল্লাহ ধ্বনিও উচ্চারণ করেছেন। সবাই নিজেদের
সব গুনাহর জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। আর আমিন আমিন ধ্বনিতে শেষ হয় তবলিগ
জামাতের আন্তর্জাতিক সম্মেলন বিশ্ব ইজতেমার ১ম পর্বের আখেরি মোনাজাত। তারপর থেকে শুরু
হলো মুসল্লিদের বাড়ি ফেরার ঢল।
রোববার
(৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার পর মোনাজাত শেষে ময়দানের আশপাশের সড়কগুলোতে বেড়ে যায়
মুসুল্লিদের ভিড়।
টঙ্গী
সড়কের আব্দুল্লাহপুর, স্টেশন রোড, আব্দুল্লাহপুর স্লুইসগেট ও কামারপাড়াসহ ময়দানের চারপাশে
সড়কে মুসুল্লিদের ঢল নেমেছে।
সড়কে
যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় পায়ে হেঁটে পথ চলাচল করছেন মুসল্লিরা। কারও পিঠে ব্যাগ, কারও
মাথায় বিছানাপত্র। যে যার মাল-সামান নিয়ে হাঁটতে শুরু করেছে।
ট্রাফিক
পুলিশ সদস্যরা মুসল্লিদের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করতেও কাজ করছেন।
এদিকে,
বিশ্ব ইজতেমা ও আখেরি মোনাজাত ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা
রয়েছে। র্যাব, পুলিশ, আনসার ব্যাটালিয়ন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), গোয়েন্দা
পুলিশসহ (ডিবি) বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন।
নিরাপত্তার
স্বার্থে ময়দান ও আশপাশের নজরদারি রাখতে মোড়ে মোড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়। এছাড়াও
র্যাবের হেলিকপ্টার দিয়ে টহল দেওয়া হয় ইজতেমার ময়দানসহ আশপাশের এলাকায়।
মোনাজাত
শেষে মুসল্লিদের নিরাপদ চলাচলের জন্য ময়দানের আশপাশের সড়কগুলোতে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা
হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজের নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ বুধবার(১৫নভেম্বর) থেকে ২০২৪ সালের সরকারি ও বেসরকারি হজযাত্রীদের নিবন্ধন শুরু হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার (হজ এজেন্সি) হজযাত্রীরা ১৫ই নভেম্বর থেকে আগামী ১০ই ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধনের টাকা জমা দিতে পারবেন।
আগামী ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত সব হজযাত্রী নিবন্ধন করতে পারবেন। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সর্বশেষ নিবন্ধনের ক্রমিক হল ৯১০০৯৬।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ই জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এই চলতি বছরের মতো আগামী ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। তার মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটায় ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটায় এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে।
সরকারি ভাবে আগামী বছর হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বিশেষ হজ প্যাকেজের মধ্যমে হজ পালনে খরচ হবে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা।
অপরদিকে বেসরকারি ভাবে এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে সাধারণ প্যাকেজে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ হবে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা। বিশেষ প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা খরচ হবে ।
মন্তব্য করুন
রমজান মাসের পুরোটা জুড়েই রয়েছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত।
নবী রাসুলুল্লাহ (সা.) বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, রমজান মাসের প্রথম ১০ দিন হলো রহমত; তার দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাত; এর শেষ ১০ দিন হলো নাজাত।
আজ রোববার (৩১ মার্চ) শেষ হচ্ছে মাগফিরাতের দ্বিতীয় দশক। সেই সাথে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে রমজান মাসের শেষ দশক ‘নাজাত’।
এই নাজাতের দশকে এমন একটি রাতের কথা বলা হয়েছে, যেই রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম। কারণ, এ রাতেই প্রথম পবিত্র মক্কার হেরা পর্বতের গুহায় মহান আল্লাহ মুহাম্মাদ (সা.)-এর কাছে পবিত্র কোরআন নাজিল করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি একে নাজিল করেছি কদরের রাতে। তুমি কি জানো, কদরের রাত কী? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।’ (সুরা কদর: ১-৩)
তাই আজ রাত থেকে শুরু হচ্ছে শেষ দশকের বেজোড় রাত।
মূলত, ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ এই পাঁচ দিন যদি পূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে কোন বান্দা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত করেন, তাহলে সেই বান্দার ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম হিসেবে মালিক আল্লাহ গ্রহণ করবেন।
‘শবে কদর’ কথাটি ফারসি। শব মানে রাত বা রজনী আর কদর মানে সম্মান, মর্যাদা, গুণাগুণ, সম্ভাবনা, ভাগ্য ইত্যাদি। শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদার রাত বা ভাগ্যরজনী। শবে কদরের আরবি হলো লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত। তবে মর্যাদার রাতটি পাওয়া এতো সহজ নয়। কঠিন কিন্তু ঈমানদারগণ যদি নেক দিলে ইবাদাত করে, মহান আল্লাহ অবশ্যই পুরস্কার দিবেন।
এ রাতটি রমাযানের শেষ দশকে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘‘রমজানের শেষ দশদিনে তোমরা কদরের রাত তালাশ কর।’’ (বুখারী : ২০২০; মুসলিম : ১১৬৯)
মহিমান্বিত এ রাতকে আল্লাহ তাআলা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে সুপ্ত রেখেছেন। তিনি এটাকে সুনির্দিষ্ট করে বলেননি।
তিনি বলেছেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে শবে কদর অনুসন্ধান করো।
মন্তব্য করুন
২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি দমনে পরিচালিত হত্যাকাণ্ডে
শাহাদাতবরণকারী শহিদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠান ২০২৫ গতকাল শুক্রবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞে শহিদ ৫৮ টি পরিবার এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি দমনে পরিচালিত হত্যাকাণ্ডে শহিদ ১৯টি পরিবারের সদস্যদের মাঝে পরিবার প্রতি ১০ লক্ষ টাকা করে, মোট ৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, "শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। ঐতিহাসিক শাপলা চত্বর এবং মোদি বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের আজকের এই স্বীকৃতি তারই প্রমাণ।"
শহীদ পরিবারদেরকে স্বীকৃতি দিতে পেরে সরকার গর্বিত উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ইতিহাস থেকে যেন কেউ ঐতিহাসিক শাপলা চত্বরের শহীদদের নাম মুছতে না পারে, এজন্য শাপলা চত্বরেই খোদাই করে লেখা হবে শহীদদের নাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ডা. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, "শাপলা চত্বর এবং মোদি বিরোধী আন্দোলনে শহিদদের আর্থিক সহায়তা প্রদান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এক ঐতিহাসিক উদ্যোগ।"
এই উদ্যোগের মাধ্যমে দুই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়ার সূচনা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের হত্যাযজ্ঞ এবং ২০২১ সালের মোদি বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে
শাহাদতবরণকারী শহিদ পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে আন্তরিক সাধুবাদ জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, "স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার এই মহতী উদ্যোগে সারা বাংলার আলেম সমাজ সম্মানিত হয়েছে। "
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোঃ শাহজাহান মিয়া।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বৈষম্য বিরোধী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সকল নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি এখন সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের আরাধনা শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। এই দেশ আমাদের সকলের। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এদেশ সকল মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকলের ভাগ্য উন্নয়ন এবং সমান অধিকার সুনিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বাংলাদেশের সকল নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন।
মন্তব্য করুন
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে স্মরণে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষ্যে কুমিল্লায় সংবাদ সম্মেলন করেছে কেন্দ্রীয় ঈদ-ই মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তা'য়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদযাপন কমিটি।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় কুমিল্লা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদ-ই মিলাদুন্নবী(সাঃ) উদযাপন কমিটির অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান।
তিনি বলেন, আগামী ১১ ও ১২ রবিউল আউয়াল শরীফ মোতাবেক ১৫ সেপ্টেম্বর প্রতিবছরের ন্যায় নাতে রাসুল, দরুদ সালামসহ নারায়ে রিসালাত শ্লোগানে মুখরিত হবে কুমিল্লা। কুমিল্লা টাউন হল মাঠ থেকে জশনে জুলুছ ও মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন বাদ আছরের পর টাউনহল মাঠ থেকে কেন্দ্রীয় জুলুছ নগরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করবে। এতে সকলের উপস্থিতি কামনা করেন তিনি।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আরবের মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত কুরাইশ গোত্রে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। অন্ধকার যুগ থেকে মানবজাতির মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতায়ালা রাসুলুল্লাহকে (সা.) প্রেরণ করেন এই ধরাধামে। পবিত্র কোরআন শরিফে বর্ণিত আছে, মহানবীকে (সা.) সৃষ্টি না করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীই সৃষ্টি করতেন না।
এর আগে হাফেজ আমিনুল ইসলাম আকবরীর কোরআন তেলায়তের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
উপস্থিত ছিলেন, জুলুছ সম্পাদক খাদেম মোহাম্মদ ফিরোজ আল মাইজভান্ডারি, দপ্তর সম্পাদক আলহাজ্ব শাহ মোহাম্মদ ইউনুছ গাফ্ফারী বখশী, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা অধ্যক্ষ মো.মাসুম বিল্লাহ,সহ জুলুছ সম্পাদক শাহ- ইত্তেহাদুর রশিদ বীপু বখশী, নবীনগর বিশ্ব এলাহী মন্জিল সাতমোড়া দরবার শরীফের গদ্দিনশীন পীরে তরকিত এডভোকেট শাহ.মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম চিশতী, মহানগর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'ত এর সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, কুমিল্লা ইসলামিয়া আলীয়া কামিল মাদ্রাসার মুদারীস হাফেজ মাওলানা আমিনুল ইসলাম আকবরী, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস ও প্রচার সম্পাদক রায়হান খানসহ অন্যান্যরা।
সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব কাজী এনামুল হক ফারুক। সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
দেশের বিভিন্ন জেলায় ঈদ উদযাপন করছেন মুসল্লিরা। বুধবার সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন তাঁরা। মুসল্লিরা বলছেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ঈদুল ফিতর পালন করছেন তাঁরা।
চাঁদপুর
চাঁদপুরের পাঁচ উপজেলার অর্ধশত গ্রামে বুধবার সকাল থেকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হচ্ছে। সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ও পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে এই ঈদ উদযাপন করে আসছেন বলে জানান মুসল্লিরা।হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফ জামে মসজিদে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এই ঈদ জামাতে ইমামতি করেন পীর মুফতি আল্লামা যাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, শমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, জাকনী, প্রতাপপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, শাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুরের মুসল্লিরা একদিন আগে ঈদ পালন করেন। এ ছাড়া মতলব উত্তর উপজেলার সাড়ে পাঁচানী, দেওয়ানকান্দি পাঁচানী, সাতানী, লতুরদী, মোহাম্মদপুর, মোহনপুর, এখলাশপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রামে একদিন আগে ঈদ উদযাপন করে মুসল্লিরা।
লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুরের ১১টি গ্রামে আজ ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। বুধবার সকালে জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, বিঘা, বারো ঘরিয়া, হোটাটিয়া, শরশোই, কাঞ্চনপুর ও রায়পুর উপজেলার কলাকোপাসহ ১০টি গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক মুসল্লি ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।
ফেনী
ফেনী জেলার বিভিন্নস্থানে বিচ্ছিন্নভাবে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন কাদেরীয়া তরিকার অনুসারীরা। ফেনীর তিনটি স্থানে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানগুলো হলো– ফেনী সদর উপজেলার পূর্ব সুলতানপুর শাহ আমানিয়া জাহাগিরিয়া দরবার শরীফ, পূর্ব সুলতানপুর রশিদিয়া দরবার শরীফ এবং পরশুরাম পৌরসভার কোলাপাড়া ছয়ঘরিয়া এলাকা।
ঝিনাইদহ
প্রতিবারের মতো ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে ঈদুল ফিরতের নামাজ আদায় করেছে কয়েকটি গ্রামে মুসল্লিরা। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় হরিণাকুন্ডু উপজেলা শহরে ফুটবল মাঠ এলাকায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
জামালপুর
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ১৩ গ্রামে ঈদ উদযাপিত হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় সরিষাবাড়ী পৌরসভার বলারদিয়ার মধ্যপাড়া মাস্টারবাড়ি জামে মসজিদ মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার বলারদিয়ার, মূলবাড়ী, সাতপোয়া, সাঞ্চারপাড়, পঞ্চপীর, পাখাডুবি, বনগ্রাম, বালিয়া, বাউসী, হোসনাবাদ, পাটাবুগা, পুঠিয়ারপাড় ও বগারপাড় গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক মানুষ এ নামাজে অংশ নেন।
দিনাজপুর
দিনাজপুর ছয়টি উপজেলায় আজ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিদের একটি অংশ। দিনাজপুর সদর, চিরিরবন্দর, কাহারোল, বোচাগঞ্জ, বিরল ও বিরামপুর উপজেলার কিছু মুসল্লি ঈদে নামাজ আদায় করেছেন। আগাম ঈদের নামাজ আদায়কারী মুসল্লীরা জানান, তাঁরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দীর্ঘদিন থেকে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করে আসছেন।
সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরার কয়েকটি স্থানে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। এসব স্থানে সকালে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাড়ুখালি পাঞ্জাখানা মসজিদে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাওলানা মাহবুবুর রহমান ইমামতি করেন। এ ছাড়া সাতক্ষীরা সদরের বাউকোলা পূর্বপাড়া জামে মসজিদে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। ইমাম ছিলেন মাওলানা মহব্বত আলী।
টাঙ্গাইল
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ঈদ উদযাপন করেছে একটি গ্রামের মানুষ। উপজেলার শশীনাড়া গ্রামের অন্তত ৪০টি পরিবার এ ঈদ উৎসব পালন করছে। আজ বুধবার সকাল ৮টায় স্থানীয় মসজিদ মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
শরীয়তপুর
শরীয়তপুরের ছয় উপজেলার অন্তত ৩০ গ্রামের মানুষ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় জেলার প্রধান ও বড় জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় নড়িয়ার উপজেলার সুরেশ্বর দরবার শরীফ মাঠে। নামাজ শেষে শাহ্ সুরেশ্বরীর (রা.) অনুসারীরাদের নিয়ে বিরানি, সেমাইসহ মিষ্টি জাতীয় খাবার খেয়ে ঈদ উদযাপন করেন।
মুন্সিগঞ্জ
মুন্সিগঞ্জের অন্তত ৯ গ্রামে আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হচ্ছে। বুধবার এসব এলাকা গুলোতে ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপন শুরু হয়। গ্রামগুলো হলো– মুন্সিগঞ্জ সদরের মোল্লা কান্দি ইউনিয়নের আনন্দপুর, শিলই, নায়েবকান্দি, আধারা, মিজিকান্দি, কালিরচর, বাংলাবাজার, বাঘাইকান্দি ও কংসপুরার একাংশ। এসব গ্রামে পাঁচ থেকে ছয় হাজার মানুষ শত বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করে।
পটুয়াখালী
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ৭ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। বুধবার সকাল থেকে শিশু-কিশোরসহ এসব গ্রামের মানুষের মাঝে ঈদের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে।
বরিশাল
বরিশালে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করলেন চট্টগ্রামের চন্দনাইশ এলাহবাদ জাহাগীরিয়া শাহছুফি দরবার শরীফের অনুসারীরা। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁজকাঠী হাজীবাড়ি শাহছুফি জাহাগীরিয়া জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বরিশাল নগরীর তাজকাঠি, জিয়া সড়ক, টিয়াখালী, হরিনাফুলিয়া এবং সদর উপজেলার সাহেবের হাট এলাকায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব হরিনাফুলিয়ার চৌধুরী বাড়ি শাহ মমতাজিয়া জামে মসজিদে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ান হাফেজ মাওলানা মো. আবু জাফর।
নোয়াখালী
নোয়াখালীর চারটি গ্রামের কয়েকশ মানুষ আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় দুই উপজেলার ৮টি মসজিদে একযোগে ঈদের জামাতে অংশ নেন এই চার গ্রামের মুসল্লিরা। স্থানগুলো হলো– বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্ত বাগ গ্রামের সিনিয়র মাদ্রাসা জামে মসজিদ, বসন্তবাগ পোদ্দার বাড়ি জামে মসজিদ, বসন্তবাগ নগর বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, বসন্তবাগ ভূঁইয়া বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, পশ্চিম বসন্তবাগ গ্রামের মুন্সি বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, ফাজিলপুর গ্রামের দায়রা বাড়ির জামে মসজিদ, জিরতলী ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের জামে মসজিদ ও নোয়াখালী পৌরসভার হরিণারায়নপুর রশিদিয়া রহিমিয়া দরবার শরিফ মসজিদ।
মন্তব্য করুন