

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, তার দুই সন্তান—শেখ ফজলে নাশওয়ান ও শেখ ফজলে নাওয়ার—এবং তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে থাকা ২১টি ব্যাংক হিসাব সাময়িকভাবে জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ বিষয়ে আবেদন করলে ২৪ নভেম্বর (সোমবার) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই আদেশ দেন। জব্দ করা হিসাবগুলোতে মোট ১০ কোটি ৩৮ লাখ ৪ হাজার ৭৯৫ টাকা রয়েছে বলে আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন নিশ্চিত করেন।
দুদকের পক্ষে সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস রহমান ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, তাপসের সম্পদের পূর্ণ বিবরণ এখনো শনাক্ত করা যায়নি, তবে তার নিজ নাম, সন্তান এবং স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের নামে মোট ২১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত হয়েছে। এসব হিসাব থেকে সম্পদ যাতে সরানো বা বেহাত হওয়ার আশঙ্কা না থাকে সেজন্যই এগুলো অবরুদ্ধ করার প্রয়োজন দেখা দেয়।
এর আগে ৫ জানুয়ারি, তাপসের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করে। মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৭৩ কোটি ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া ২০১৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট পর্যন্ত নিজের নামে থাকা ২৭টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৩০৪ কোটি ৩৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫২৮ টাকা জমা এবং ২৩৪ কোটি ৮২ লাখ ৬৬ হাজার ৭৫০ টাকা উত্তোলন করেছেন—অর্থাৎ মোট লেনদেনের পরিমাণ ৫৩৯ কোটি ১৬ লাখ ২৫ হাজার ২৭৮ টাকা।
এছাড়া তাপস বৈদেশিক মুদ্রায়ও অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার হিসাবগুলোতে ২ লাখ ৬৩ হাজার ৭৩৬ মার্কিন ডলার জমা এবং ২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৯১ মার্কিন ডলার উত্তোলন করা হয়েছে, যা মিলিয়ে ৫ কোটি ১৭ লাখ ৫২৭ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ লেনদেন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী তার মন্ত্রণালয়ের
কর্মকর্তাদের আইন মেনে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ
সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক
মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
স্বরাষ্ট্র
উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, কাজ করতে গেলে
ভুল হতে পারে। কিন্তু ইচ্ছাকৃত ভুল করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি এ সময় সবাইকে মিলেমিশে
আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
স্বরাষ্ট্র
উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, যেসব কর্মকর্তা সত্যিকার অর্থেই বঞ্চিত
ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে। কিন্তু দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত
হলে তা আমলে নেয়া হবে না।
মতবিনিময়
সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান,
জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন, জননিরাপত্তা বিভাগের সদ্য বিদায়ী
সিনিয়র সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক মো. ময়নুল ইসলামসহ
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার প্রধান ও মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন
পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর
আগে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছলে মন্ত্রণালয়ের
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান। এরপর উপদেষ্টাকে গার্ড অব অনার প্রদান
করা হয়।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আগামী শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন।
আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানিয়ে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হবে।
চার দিনের সফরে আগামীকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশ আসবেন।
মন্তব্য করুন


গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই সঙ্গে
নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪০৩ জন।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত একদিনে ডেঙ্গু নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ১১৭ জন ছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৩৫ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগে ৯২ জন, ঢাকা বিভাগে ৩৬ জন, খুলনা বিভাগে ১৫ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
অন্যদিকে গত একদিনে মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুইজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা। এছাড়া ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া অপরজন খুলনা বিভাগের বাসিন্দা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম দিন থেকে শনিবার পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এই সময়ে মশাবাহিত রোগটি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫ হাজার ২০৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুমুক্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২৫২ জন। মোট ছাড়প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ১৩ হাজার ৬০৩ জন।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ-ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্তত ছয় দেশে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১১ মিনিটের দিকে এই কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস।
ইউএসজিএস বলেছে, রোববার মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে দক্ষিণ এশিয়ার ছয় দেশ। বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত, মিয়ানমার, ভুটান ও চীনে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।রোববার স্থানীয় সময়
বিকেল ৫টা ১১ মিনিটের দিকে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের ঢেকিয়াজুলিতে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার ভূগর্ভে উৎপত্তি হওয়া এই ভূমিকম্পে ভারতসহ ছয় দেশ কেঁপে উঠেছে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তি বেশি গভীরে না হওয়ায় ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলে তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে।
এদিকে, জার্মানির ভূতাত্ত্বিক গবেষণা সংস্থা জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড) বলছে, রোববার উত্তর-পূর্ব ভারতে ৫.৭১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার (৬.২১ মাইল)।
তবে এই ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ
ও পাকিস্তানের মধ্যে নবম যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) বৈঠকে পাকিস্তানি বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার
চেয়েছে ঢাকা। অন্যদিকে বাংলাদেশ করাচি বন্দর ব্যবহার করতে পারবে বলে সম্মতি দিয়েছে পাকিস্তান।
সোমবার
(২৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা কমিশনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত
হয়।
বৈঠকে
কৃষি গবেষণা, হালাল ফুড, তথ্যপ্রযুক্তি ও নৌপরিবহণসহ কয়েকটি
বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
প্রায়
তিন ঘণ্টার বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং পাকিস্তানের জ্বালানিমন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক।
সভা
শেষে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আজকে আমরা বাংলাদেশ পাকিস্তান নবম জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশনের একটা সভা করেছি। এইটা দুই যুগ পরে হয়েছে। এটা একটা রিমার্কেবল ব্যাপার। ২০০৫ সালের পরে এমন সভা আর হয়নি। অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ একটা মিটিং করেছি।
পাকিস্তানের
জ্বালানিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে
এ আলোচনার কারণে দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বাড়বে, এ কারণে দ্বিপাক্ষিক
সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। বাংলাদেশ থেকে পাট, ওষুধ নেওয়ার বিষয়ও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন


স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল
(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত দ্রুতই
শুরু হবে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তর পরিদর্শনের
পর এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর
আলম বলেন, ‘বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত অবশ্যই হতে হবে। আর সেটা দ্রুতই হবে।’বি
জিবি সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সীমান্তে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে
না। চোরাচালান যেন না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখতে হবে।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার
পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে (বর্তমান নাম বিজিবি) বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ
৭৪ জন নিহত হন। এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস
বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে মুক্তি আটকে আছে ৪৬৮ বিডিআর সদস্যের।
মন্তব্য করুন


প্রচণ্ড গরমে দেশব্যাপী জারি রয়েছে তিন দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট
অ্যালার্ট। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে যশোরে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা
মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। অন্যদিকে রাজধানী ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও এদিন ছিল
৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দাবদাহে দেশের বিভিন্ন
স্থানে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। তীব্র দাবদাহের কারণে হিটস্ট্রোক বা
সানস্ট্রোকে সারা দেশে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই যখন অবস্থা, তখন গরমের দেশ সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এদিন
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর
কোনোটিরই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ছিল না।
এছাড়া ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে ২১ ডিগ্রি, বাহরাইনের রাজধানী মানামার
তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি, ইরানের তেহরানে ২৬ ডিগ্রি, সিরিয়ার আলেপ্পোতে ২৫ ডিগ্রি,
তুরস্কের আঙ্কারায় ১১ ডিগ্রি, ইরাকের বসরাতে ৪০ ডিগ্রি, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে
২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সৌদির জেদ্দাতে ৩৩ ডিগ্রি, কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটিতে ৩৬
ডিগ্রি, ওমানের মাস্কাটে ২৮ ডিগ্রি, ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে ২৫ ডিগ্রি এবং
ইসরায়েলের তেলআবিবে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াভিত্তিক অ্যাপ ‘অ্যাকুওয়েদার’-এর তথ্য অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব
আমিরাতের আবুধাবিতে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জর্ডানের রাজধানী
আম্মানের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি, ইরাকের বাগদাদের তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি, লেবাননের
রাজধানী বৈরুতের তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি, কাতারের দোহারে তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি,
তুরস্কের ইস্তাম্বুলের তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ
অন্য সময়ের রেকর্ড ভাঙতে যাচ্ছে। এপ্রিলের পাশাপাশি এবার মে মাসও উষ্ণতম মাস হতে
যাচ্ছে। মে মাসে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে
দেশের আবহাওয়া বিভাগ।
একনজরে দেখে নিন হিটস্ট্রোকের লক্ষণগুলো
প্রচণ্ড মাথাব্যথা : হিটস্ট্রোকের ঝুঁকিতে থাকলে প্রচণ্ড মাথাব্যথা শুরু হতে পারে। এ
ছাড়া গরমে মানুষের মাইগ্রেন ট্রিগার করতে পারে। এটি হিটস্ট্রোকের অন্যতম একটি
লক্ষণ হতে পারে।
বেশি তৃষ্ণা অনুভব ও অতিরিক্ত ঘামানো : হিটস্ট্রোকের আগে অনেক বেশি তৃষ্ণা অনুভব হবে, সেইসঙ্গে
ডিহাইড্রেটেড এবং আড়ষ্টতা অনুভব হতে পারে। শরীর নিজেকে ঠান্ডা করার জন্য অতিরিক্ত
ঘাম তৈরি করতে পারে।
হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি পাওয়া : হিটস্ট্রোকের আগে হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেতে পারে।
শ্বাসকষ্ট : হিটস্ট্রোকের অন্যতম লক্ষণ হলো শ্বাসকষ্ট এবং দ্রুত ও ভারী
শ্বাস-প্রশ্বাসও।
দুর্বলতা ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়া : তীব্র গরমের কারণে শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কাজ করে। এতে শরীরে
ক্লান্তি ও দুর্বলতা তৈরি হয়। ব্যক্তি অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে। এগুলো হিটস্ট্রোকের
লক্ষণ।
পেশিতে ব্যথা : হিটস্ট্রোকের আগ মুহূর্তে পেশিতে ব্যথা অনুভব হতে পারে। যদিও
সাধারণ ব্যথা ভেবে অনেকে এটাকে তেমন গুরুত্ব দেয় না।
কথা জড়িয়ে যাওয়া : হিটস্ট্রোকের আগে যেসব লক্ষণ দেখা যায়, তারমধ্যে একটি হলো কথা
জড়িয়ে যাওয়া। ব্যক্তি অসংলগ্ন কথা বলতে শুরু করতে পারে।
বমি বমি ভাব : মাথাব্যথা, দ্রুত হৃৎস্পন্দন ও হাইপারভেন্টিলেশন থেকে অক্সিজেনের
অভাব ইত্যাদির কারণে হিটস্ট্রোকের আগে বমি বমি ভাব হতে পারে।
বিরক্তি-বিভ্রান্তি : মাত্রাতিরিক্ত গরমের কারণে হিটস্ট্রোকের আগে মানুষ বিরক্ত বোধ
করতে পারে, রাগান্বিত হতে পারে, অযৌক্তিক কথা বলতে পারে এবং এমনকি প্রলাপ বকতে
করতে পারে।
ঘাম না হওয়া : হিটস্ট্রোকের আরেকটি লক্ষণ হলো প্রচণ্ড গরমেও ঘাম না হওয়া।
সাধারণত এর মানে হচ্ছে, শরীরে ঘাম হওয়ার মতো পানি আর নেই বা শরীরের প্রাকৃতিক শীতল
প্রক্রিয়াটি কাজ করছে না।
চিকিৎসকদের মতে, হিটস্ট্রোক এড়াতে শরীর হাইড্রেট রাখার কোনো বিকল্প
নেই। তাপমাত্রা বেশি হলে ঢিলেঢালা এবং হালকা রঙের পোশাক পরে ঘরের বাইরে যেতে হবে।
সূর্যের আলো থেকে চোখকে রক্ষা করতে সানগ্লাস ব্যবহার করা। প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ
পানি পান করতে হবে। তবে কৃত্রিম চিনিযুক্ত পানীয় থেকে দূরে থাকতে হবে।
মন্তব্য করুন


রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে গতকাল রোববার ( ২৬ অক্টবর )মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় “আবুল কালাম আজাদ” নামের এক পথচারীর মৃত্যু হয়। এরপর দীর্ঘ ২৩ ঘণ্টা পর ফার্মগেট স্টেশন দিয়ে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়। তবে, নিরাপত্তার স্বার্থে বিজয় সরণি-ফার্মগেট-বিজয় সরণি অংশে মেট্রোরেল ধীরগতিতে চলছে।
আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) মেট্রো ভ্রমণকারী কয়েকজন যাত্রী এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেন। এমআরটি লাইন-৬ এর একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে বিজয় সরণি-ফার্মগেট-বিজয় সরণি অংশে মেট্রোরেলের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ফেসবুকে জুবায়ের আবদুল্লাহ নামের একজন পোস্ট দেন, ‘মেট্রোরেল ফুল ফাংশনিং! উত্তরা উত্তর-মতিঝিল-উত্তরা উত্তর সম্পূর্ণরুটে চলছে! আপাতত অস্থায়ী সমাধান হিসেবে, এই পদ্ধতি এপ্লাই করা হয়েছে। খামারবাড়ির মোড়ে খুবই ধীর গতিতে চলছে!’
উত্তরা থেকে মতিঝিল রুটে মেট্রো চালুর বিষয়ে ডিএমটিসিএল জানায়, মেট্রোরেলের সম্মানিত যাত্রী সাধারণের জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে, আজ বেলা ১১টা থেকে উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল সেবা নিরবচ্ছিন্নভাবে পুনরায় চলছে। সাময়িক অসুবিধার জন্য মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
উল্লেখ্য, গতকাল (রোববার) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিয়ারিং প্যাড খসে পড়লে আবুল কালাম নামের এক যুবক মারা যান। এ ঘটনার পরপরই মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বিকেল থেকে আগারগাঁও-উত্তরা অংশে এবং সন্ধ্যায় শাহবাগ-মতিঝিল অংশে ট্রেন চলাচল করতে দেখা যায়। তবে দুর্ঘটনার পর থেকেই আগারগাঁও থেকে শাহবাগ অংশে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
এর আগে, গত বছরের (১৮ সেপ্টেম্বর) একই এলাকায় বিয়ারিং প্যাড পড়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হলেও সেবার কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।
কমল মেট্রোরেলের গতি
ফার্মগেট এলাকার কাছে রোববার (২৬ অক্টোবর) মেট্রোরেল লাইনের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড পড়ে যাওয়ার সাড়ে ২৩ ঘণ্টা পর পুরো রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে সোমবার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১১টায়। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে বিজয় সরণি-ফার্মগেট-বিজয় সরণি অংশে ট্রেন ধীরগতিতে চলছে বলে জানা গেছে।যার তথ্য মেট্রোতে ভ্রমণ করা যাত্রীদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে।
যাত্রী ‘‘গোলাম রাব্বি ” বলেন, মিরপুর থেকে ভালো গতিতেই আগারগাঁও পর্যন্ত এসেছে ট্রেন। এরপর থেকে ধীরে ধীরে গতি কমতে থাকে। বিজয় সরণি পার হওয়ার পর গতি আরও কমে যায়। মনে হয়েছে এসময় ট্রেন ( ১০-১৫) কিলোমিটার বেগে চলেছে।
তবে, এমআরটি লাইন-৬ এর দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে, এই অংশে (বিজয় সরণি-ফার্মগেট-বিজয় সরণি) ট্রেন গতি কমিয়ে চলছে, এটা সত্য। নিরাপত্তার জন্যই আপাতত এই সেকশনে গতি কমিয়ে চালানো হচ্ছে। বাকি সেকশনগুলো আগের মতোই চলছে।
এর আগে গত রোববার দুপুরে মেট্রোরেলের ৪৩৩ নম্বর পিলার থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড নিচে পড়ে একজন পথচারী নিহত ও দুজন আহত হন। এরপর নিরাপত্তার জন্য পুরো পথে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
পরে বিকেল ৩টার দিকে আগারগাঁও-উত্তরা সেকশনে এবং সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে মতিঝিল-শাহবাগ সেকশনে মেট্রো চলাচল শুরু হয়। তবে শাহবাগ-আগারগাঁও সেকশনে মেট্রো চলাচল বন্ধ থাকে।
মন্তব্য করুন


প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ
হাইকমিশনার সারাহ কুক।
আজ
বুধবার (৪ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তিনি সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাৎকালে
হাইকমিশনার কুক সম্মানজনক কিং চার্লস হারমনি পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য অধ্যাপক ড. ইউনূসকে
অভিনন্দন জানান।
পুরস্কারের
কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটি একটি মহান সম্মানের বিষয়।
অধ্যাপক
ড. ইউনূস ৯ জুন ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং ১৩ জুন ফিরে আসবেন। সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা ঊর্ধ্বতন
ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধান
উপদেষ্টা ও ব্রিটিশ হাইকমিশনারের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট
বিভিন্ন বিষয়, যেমন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিমান চলাচল সংক্রান্ত সহযোগিতা, অভিবাসন এবং
অন্তর্বর্তী সরকারের সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়াও
অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কারমূলক উদ্যোগ ও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি
নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস হাইকমিশনারকে জানান, জাতীয় ঐকমত্য গঠনে গঠিত কমিশন এবং
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় দফার আলোচনা এ সপ্তাহে শুরু হয়েছে এবং শিগগির তা শেষ
হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
অধ্যাপক
ড. ইউনূস বাংলাদেশের সামুদ্রিক গবেষণা কার্যক্রম আরও উন্নত করতে যুক্তরাজ্যের কারিগরি
সহায়তা এবং ব্রিটিশ গবেষকদের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সাক্ষাতে
উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া
মোরশেদ এবং ব্রিটিশ উপহাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যান।
মন্তব্য করুন


জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র সংস্কারে দলের
প্রস্তাব প্রকাশ করেছেন। দলটি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য
রাখা, পুলিশের জন্য স্বাধীন কমিশন গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে। এ সময় রাষ্ট্র
সংস্কারে সেক্টর অনুযায়ী আলাদা আলাদা ১০টি প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে দলটি।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত 'রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবনা' শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রস্তাব তুলে ধরেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
এর আগে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন,
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এ সময় গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অবদানের
কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন তিনি। নিহত এবং আহতদের জন্য দোয়া কামনা করেন। অনুষ্ঠান
পরিচালনা করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সম্পাদক মতিউর রহমান
আকন্দ।
জামায়াতে ইসলামী জানিয়েছে, এই ১০ প্রস্তাব শুধুমাত্র অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য। নির্বাচিত কোনো সরকারের জন্য নয়।
এই সরকারের কাছে তাদের মোট ৪১টি প্রস্তাব
আছে, যার মধ্যে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব গণমাধ্যমে তুলে ধরা হয়।
জামায়াতের
সংস্কারের প্রস্তাবগুলো হলো--
১.
আইন ও বিচার
● উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগের জন্য
সুষ্ঠু ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
● বিচার বিভাগ থেকে দ্বৈত শাসন দূর
করতে হবে।
● বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে
পৃথকীকরণের কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
● আইন মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা করে সুপ্রিম
কোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
● ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার স্বার্থে
বিদ্যমান আইনসমূহের প্রয়োজনীয় সংশোধনী ও গণমানুষের মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্যশীল আইন
প্রণয়ন করতে হবে।
● ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ওসকল কালো আইন বাতিল করতে হবে।
● বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা কমাতে বিভাগীয়
পর্যায়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
● নিম্ন আদালতের যথাযথ স্বাধীনতা নিশ্চিত
করার জন্য পৃথক বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করতে হবে।
● সকল ফৌজদারি মামলা তদন্তের জন্য স্বাধীন
তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
● দেওয়ানি মামলার জন্য সর্বোচ্চ ৫
বছর এবং ফৌজদারি মামলাসমূহ সর্বোচ্চ ৩ বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি করার বিধান করতে হবে।
২.
সংসদ বিষয়ক সংস্কার
● সংসদের প্রধান বিরোধীদল থেকে একজন
ডেপুটি স্পিকার মনোনীত করতে হবে।
● সংসদীয় বিরোধী দলীয় নেতার নেতৃত্বে
ছায়া মন্ত্রিসভা গঠনের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
● সংসদে বিরোধী দলীয় সদস্যদের পর্যাপ্ত
সময় দিতে হবে।
৩. নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার
● জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক
ব্যবস্থা (Proportional Representation-PR) চালু করতে হবে।
● সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত
করার লক্ষ্যে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে স্থায়ীভাবে সন্নিবেশিত করতে হবে।
● নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার
জন্য বিভিন্ন দেশে প্রত্যাখ্যাত ইভিএম ভোটিং ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে।
● কোনো সরকারি চাকরিজীবী তাদের চাকরি
ছাড়ার কমপক্ষে ৩ বছরের মধ্যে কোনো ধরনের নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
● স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে
সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করতে হবে।
● অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার
জন্য সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ২০০৮ সালে প্রবর্তিত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রথা বাতিল
করতে হবে।
● নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনার
নিয়োগের জন্য প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা ও প্রধান বিচারপতির সমন্বয়ে সার্চ কমিটি
গঠিত হবে।
● জাতীয় সংসদ নির্বাচন একাধিক দিনে
অনুষ্ঠিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
● ঘওউ- ব্যবস্থাপনা নির্বাচন কমিশনের
অধীনে আনতে হবে।
৪. আইনশৃঙ্খলা সংস্কার
ক) পুলিশ বাহিনীর সংস্কার
● ১৮৬১ সালে ব্রিটিশ সরকার প্রণীত পুলিশ
আইন পরিবর্তন এবং পুলিশের জন্য একটি পলিসি গাইডলাইন তৈরি করতে হবে।
● পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি
এবং চাকরিচ্যুতির জন্য স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করতে হবে।
● নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি এবং চাকরিচ্যুতির
ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক ব্যক্তির সুপারিশের সুযোগ রাখা যাবে না তথা সর্বপ্রকার
দলীয় ও ব্যক্তিগত প্রভাব বা হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।
● পুলিশ ট্রেনিং ম্যানুয়ালের মধ্যে
ধর্মীয় শিক্ষা ও নৈতিক অনুশাসন অন্তর্ভুক্ত
করতে হবে।
● পুলিশের মধ্যে মারণাস্ত্রের ব্যবহার
বাতিল করতে হবে।
● রিমান্ড চলাকালে জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে
আসামি পক্ষের আইনজীবীর উপস্থিতি এবং মহিলা আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাদের অভিভাবকের
উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
● বিচার বিভাগীয় সদস্যদের দ্বারা পুলিশ
ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান থাকতে হবে।
● পুলিশের ডিউটি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা
উন্নত করতে হবে।
● ‘পুলিশ আইন’ পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জনের
মাধ্যমে আধুনিকায়ন করতে হবে।
খ)
র্যাব বিষয়ক সংস্কার
● র্যাব ও অন্যান্য বিশেষায়িত বাহিনীর
প্রতি জনসাধারণের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে।
● গত সাড়ে ১৫ বছর যারা র্যাবে কাজ
করেছে তাদেরকে স্ব স্ব বাহিনীতে ফিরিয়ে আনতে হবে এবং তাদেরকে পুনরায় র্যাবে নিয়োগ
দেয়া যাবে না।
● বিচারবহির্ভূত সকল প্রকার হত্যাকাণ্ড-
বন্ধ করতে হবে।
● র্যাবের সামগ্রিক কার্যক্রম মনিটরিং-এর
জন্য সেল গঠন করতে হবে। কোনো র্যাব সদস্য আইনবহির্ভূত কোনো কাজে জড়িত হলে এই সেল তার
বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করবে।
● মিডিয়ার ক্ষেত্রে নীতিমালা প্রণয়ন
ও অনুসরণ নিশ্চিত করতে হবে।
৫. জনপ্রশাসন সংস্কার
● জনবল নিয়োগ, বদলি, পদায়নে তদবির,
সুপারিশ ও দলীয় আনুগত্যের পরিবর্তে যোগ্যতা, দক্ষতা ও সততাকে প্রাধান্য দিতে হবে।
● যে কোনো চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি থেকে
শুরু করে নিয়োগ পর্যন্ত সময়ক্ষেপণ না করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
● সরকারি চাকরিতে আবেদন বিনামূল্যে
করতে হবে।
● চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আগামী ২
বছরের জন্য ৩৫ বছর ও পরবর্তী বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩৩ বছর এবং অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর
নির্ধারণ করতে হবে।
● চাকরির আবেদনে সকল ক্ষেত্রে বয়সসীমার
বৈষম্য নিরসন করতে হবে।
● সকল সরকারি দপ্তরে দুর্নীতি নিরোধকল্পে
বিশেষ ব্যবস্থা তৈরি করা যাতে করে কেউ দুর্নীতি করার সুযোগ না পায়। এ জন্য প্রয়োজনীয়
মনিটরিং-এর ব্যবস্থা করতে হবে।
● চাকরিতে বিরাজমান আন্তঃক্যাডার বৈষম্য
দূর করতে হবে।
● বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে সরকারি
চাকরিতে যারা প্রশ্নপত্র ফাঁস, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও দলীয় বিবেচনায় চাকরি পেয়েছে তাদের
নিয়োগ বাতিল করতে হবে।
৬.
দুর্নীতি
● দুর্নীতি দমন কমিশনে পরীক্ষিত সৎ,
ন্যায়পরায়ণ, দক্ষ ও যোগ্য লোক নিয়োগ দিতে হবে।
● রাষ্ট্রের সকল সেক্টরে জবাবদিহিতা
নিশ্চিত করতে হবে।
● দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করে
নিরপেক্ষভাবে কাজ করার স্বাধীনতা দিতে হবে।
● বিগত সরকারের আমলে দেশ থেকে পাচারকৃত
অর্থ ফেরত আনার উপযুক্ত বিধান প্রণয়ন ও তা কার্যকর করার পদক্ষেপ নিতে হবে।
● মন্ত্রণালয় ভিত্তিক দুর্নীতি দমন
কমিশন গঠন করতে হবে।
● দুর্নীতি দমন কমিশনের আইন সংস্কার,
জনবল ও পরিধি বৃদ্ধি করতে হবে।
● রাষ্ট্রীয় ও জনগণের সম্পদ অবৈধভাবে
ভোগ দখলকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সুস্পষ্ট আইন প্রণয়ন করতে হবে।
৭.
সংবিধান সংস্কার
● রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে
ক্ষমতার ভারসাম্য রাখার বিধান সংযুক্ত করতে হবে।
● একই ব্যক্তি পরপর দুই মেয়াদের বেশি
প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না।
৮.
শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংস্কার
ক) বিরাজমান সমস্যার আলোকে শিক্ষা সংস্কার
প্রস্তাব
● ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মাধ্যমিক
এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিকে উচ্চমাধ্যমিক হিসেবে বলবৎ রাখতে হবে। অষ্টম শ্রেণির পাবলিক
পরীক্ষা বাতিল করে পূর্বের পরীক্ষা পদ্ধতি ফিরিয়ে আনতে হবে।
● পাঠ্যপুস্তকে ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের
বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস গুরুত্বের সাথে তুলে ধরতে হবে।
● সকল শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে ধর্মীয়
মূল্যবোধবিরোধী উপাদান বাদ দিতে হবে।
● সকল শ্রেণিতে নবী করিম সা. এর জীবনীসহ
মহামানবদের জীবনী সংবলিত প্রবন্ধ সংযোজন করতে হবে।
● স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা
করতে হবে। বিদ্যমান স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলোকে সরকারীকরণ করতে হবে।
● প্রতিটি জেলায় কমপক্ষে একটি করে কামিল
মাদরাসাকে সরকারীকরণ করতে হবে।
● কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষাকে সাধারণ
শিক্ষার মূলধারায় যুক্ত করতে হবে।
● Department of Higher Education নামে
একটি স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠন করতে হবে।
● শিক্ষা সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত শিক্ষা
কমিশনের সকল ধারা তথা সাধারণ, আলিয়া, কওমীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
খ)
সংস্কৃতি সংস্কার
● জাতির ঐতিহাসিক আন্দোলন-সংগ্রাম ও
মূল্যবোধের আলোকে বিভিন্ন ধরনের চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে।
● জাতির ঐতিহাসিক দিনগুলোকে স্মরণীয়
করার লক্ষ্যে বিশেষ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় তা পালনের ব্যবস্থা
করতে হবে।
● নাটক, সিনেমাসহ বিভিন্ন বিনোদনমূলক
অনুষ্ঠানগুলো অশ্লীলতামুক্ত করতে হবে। নাটক, সিনেমা ও বিভিন্ন কন্টেন্টে বিভিন্ন ধর্ম,
বিশেষ করে ইসলামকে হেয় করা থেকে বিরত থাকার বিধান প্রণয়ন করতে হবে।
● প্রাণীর মূর্তিনির্ভর ভাস্কর্য নির্মাণ
না করে দেশীয় প্রকৃতি, ঐতিহ্যকে বিভিন্ন চিত্রাঙ্কন-ভাস্কর্যে তুলে আনতে হবে।
● সকল গণমাধ্যমে শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম
প্রচার নিশ্চিত করতে হবে।
৯.
পররাষ্ট্র বিষয়ক সংস্কার
● পররাষ্ট্রীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে সকল
গণতান্ত্রিক দেশের সাথে সাম্য ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রাখতে
হবে।
● জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় চীন, নেপাল,
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার আন্তর্জাতিক নদীসমূহের পানিবণ্টন চুক্তির উদ্যোগ নিতে হবে।
● আসিয়ানভুক্ত দেশসমূহের সাথে বাণিজ্যিক
সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হবে।
● অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে বিগত সরকারের
আমলে সম্পাদিত সকল চুক্তি রিভিউ করতে হবে। এক্ষেত্রে একটি রিভিউ কমিশন গঠন করতে হবে।
● বাংলাদেশকে আসিয়ান জোটভুক্ত করার
উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
● শক্তিশালী SAARC পুনর্গঠনের উদ্যোগ
গ্রহণ করতে হবে।
● কোনো দেশের সাথে চুক্তি অথবা সমঝোতা
চুক্তি হলে পরবর্তী সংসদ অধিবেশনে সেসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক উত্থাপন করে বিস্তারিত
আলোচনা পূর্বক তা অনুমোদন করতে হবে।
১০. ধর্ম মন্ত্রণালয় সংস্কার
● ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশকে (ইফাবা)
রাষ্ট্রের কল্যাণে অর্থবহ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
● ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিকে স্বতন্ত্র
সংস্থা বা দপ্তরে রূপান্তর করতে হবে, যাতে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।
● ইসলামিক মিশনকে সরাসরি মন্ত্রণালয়ের
অধীনে স্বতন্ত্র সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
● হজ ব্যবস্থাপনার জন্য স্বতন্ত্র অধিদপ্তর
প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
● হজ্জ ও উমরার খরচ কমানোর জন্য কার্যকর
উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
● ইসলামিক ফাউন্ডেশনে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান
প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যেখানে দেশের বরণ্যে আলেমগণ সম্পৃক্ত থাকবেন।
● বিতর্কিত সকল বই বাতিল ও প্রকাশনা
বন্ধ করতে হবে।
● সকল ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় কার্যক্রম
পরিচালনার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয়
নেতা অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, আ ন ম শামসুল ইসলাম, এটিএম মাছুম, সাইফুল আলম খান মিলন,
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, এহসানুল মাহবুব
জুবায়ের, নূরুল ইসলাম বুলবুল, মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন