

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটে ফুয়েল লোডিং শুরু হলে চলতি বছরের শেষ দিকেই স্টার্ট-আপ প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ফিজিক্যাল স্টার্ট-আপ (অর্থাৎ জ্বালানি প্রবেশ করানো) প্রস্তুতি যাচাই করতে বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (বায়েরা), রাশিয়ার ভিও সেফটি এবং রাশিয়ার অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার একটি বিশেষজ্ঞ দল ৭ থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রকল্প এলাকায় বিস্তৃত পরিদর্শন পরিচালনা করে।বায়েরা চেয়ারম্যান মো. মাহমুদুল হাসান ২৬ নভেম্বর ইত্তেফাক ডিজিটালকে পরিদর্শন কার্যক্রমের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, সাধারণত এ ধরনের পরিদর্শনের চার থেকে ছয় সপ্তাহ পরে জ্বালানি লোডিংয়ের অনুমোদন মিলতে পারে। সে অনুযায়ী ডিসেম্বরের তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহে ইউনিট-১–এ পারমাণবিক জ্বালানি লোড করা সম্ভব হতে পারে। ফলে বছর শেষেই রূপপুর প্রকল্পের স্টার্ট-আপ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (এনপিসিবিএল)–এর মানবসম্পদ, প্রকল্পে ব্যবহৃত সরঞ্জাম, বিভিন্ন কারিগরি সিস্টেম ও ফ্যাসিলিটি এবং পরিচালন-সংক্রান্ত নথি বিশেষজ্ঞ দল বিশদভাবে পরীক্ষা করেছে।
এছাড়া কমিশনিং অগ্রগতি, স্থাপনা পরিদর্শন, স্টার্ট-আপ প্রটোকল, সমন্বয় নথি ও সনদপত্রও তারা মূল্যায়ন করেন।
ফিজিক্যাল স্টার্ট-আপ প্রক্রিয়া দেখভাল করেন এনপিসিবিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জাহেদুল হাসান এবং পুরো পরিদর্শন কার্যক্রম সমন্বয় করেন সংস্থার প্রধান পরিদর্শক মো. ইয়ামিন আলী।
এ পর্যায়েই প্রথমবারের মতো রিয়্যাক্টরে পারমাণবিক জ্বালানি স্থাপন করা হয়। এরপর ধাপে ধাপে পাওয়ার স্টার্ট-আপ প্রক্রিয়া শুরু হয়—যার মাধ্যমে রিয়্যাক্টরের বিভিন্ন সিস্টেম পরীক্ষা, নিরাপত্তা যাচাই এবং সীমিত পর্যায়ে পারমাণবিক বিক্রিয়া চালানো হয়. এছাড়া এনপিসিবিএল ও রসএনার্গোএটম নিয়মিতভাবে স্ব-মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।বিশেষজ্ঞ দল সামগ্রিক অগ্রগতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও নিরাপত্তা ও সুরক্ষা আরও জোরদার করার জন্য কয়েকটি সুপারিশ দিয়েছে বলে জানা গেছে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন শেষ হলে প্রতিবেদন বায়েরা-কে পাঠানো হবে, যেটি সন্তোষজনক মনে হলে ফিজিক্যাল স্টার্ট-আপ ও ফুয়েল লোডিংয়ের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে।বায়েরা চেয়ারম্যানের মতে, সর্বোচ্চ নিরাপত্তা অগ্রাধিকার রেখে ফিজিক্যাল স্টার্ট-আপ প্রস্তুতি যাচাই করা হয়েছে। রাশিয়ার রেগুলেটরি অথরিটি এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সুপারিশ পাওয়ার পরই বায়েরা চূড়ান্ত অনুমতি দেবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, জ্বালানি লোডিংয়ের জন্য বায়েরা ছাড়াও রুশ জেনারেল ডিজাইনার, রিয়্যাক্টর প্ল্যান্ট ডিজাইনার (Hydropress), রাশিয়ার জাতীয় পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র ‘কুরচাতভ ইনস্টিটিউট’ এবং ভিও সেফটি-র মূল্যায়ন প্রতিবেদন অপরিহার্য।
মন্তব্য করুন


মন্ত্রীর নির্দেশনা এবং গ্রাহকদের অসন্তোষ মধ্যে মোবাইল অপারেটরগুলো ইন্টারনেটের খরচ কমিয়েছে।
কোনো অপারেটর তিন দিনের দামে সাত দিনের প্যাকেজ ডিজাইন করেছে, আবার কোনোটি সরাসরি দামও কমিয়ে ফেলেছে।
গত ১৫ অক্টোবর থেকে মোবাইল ইন্টারনেটের নতুন প্যাকেজ কার্যকর হওয়ায় তিন দিনের প্যাকেজ তুলে দেওয়া হয়। অপারেটররা বলে আসছিল, তিন দিনের প্যাকেজ তুলে দিলে দাম বেড়ে যাবে। কারণ, তিন দিনের প্যাকেজটির চাহিদাই সব থেকে বেশি।
তিন দিনের প্যাকেজ তুলে দিয়ে নতুন নির্দেশনা কার্যকর হওয়ার পর দাম বেড়ে যাওয়ায় গ্রাহক এবং অপারেটরদের মধ্যেও অস্বস্তি ছিল। পরে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ১০ নভেম্বরের মধ্যে দাম কমানোর নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
ইন্টারনেট প্যাকেজের খরচ কমানোর নির্দেশনায় প্রথমেই সাড়া দেয় রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটক। এরপর অন্যান্য অপারেটরও প্যাকেজ রিডিজাইন করছে বলে জানিয়েছে অপারেটরগুলো।মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এমটব) ইন্টারনেটের দাম কমানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এক বিবৃতিতে এমটব জানায়, গত ১৫ অক্টোবর নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশাবলী অনুযায়ী নানাবিধ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অপারেটররা তাদের ইন্টারনেট প্রোডাক্ট পোর্টফোলিও আপডেট করে। দুর্ভাগ্যবশত এর মাত্র ১৫ দিন পরে আবারও প্রোডাক্ট পোর্টফলিও পরিবর্তন করতে নতুন নির্দেশনাবলী দেওয়া হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা ইতোমধ্যেই এই জটিল পোর্টফোলিও পরিবর্তন করেছি।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে কার্যকর সমন্বয়ের মাধ্যমে কোটি কোটি বাংলাদেশির জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করে এমটব।
মন্তব্য করুন


ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সহকারী শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্ত ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদনের শুনানির জন্য ২ মার্চ দিন ধার্য করেন আদালত।
সোমবার (৩ মার্চ) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি সুপারিশপ্রাপ্ত এ শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মেধার ভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
গত
বছরের ৩১ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও
চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ
হন ৬ হাজার ৫৩১ জন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
মন্তব্য করুন


রাজধানীর
উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মারা
গেছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মাহিয়া (১৫)।
আজ
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের
আইসিইউতে মারা যায় শিশুটি।
বিষয়টি
নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা.
শাওন বিন রহমান।
তিনি
বলেন, আজ বিকেলের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহিয়া আইসিইউতে মারা যায়। শিশুটির শরীরের
৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
এর
আগে আমাদের জাতীয় বার্নে আরও ১২ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ঢাকা মেডিকেল বার্নেও
একজন মারা যায়। এখন পর্যন্ত জাতীয় বার্ন ও ঢাকা মেডিকেল বার্ন মিলে ১৪ জনের মৃত্যু
হয়েছে— বলেন আবাসিক সার্জন।
মাহিয়ার মা আফরোজা বেগম বলেন, আমার মেয়ে মাইলস্টোন স্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে লেখাপড়া করত। তিন মেয়ের মধ্যে মাহিয়া ছিল মেজ। পাঁচ বছর আগে ওর বাবা মারা যায়।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী
বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের
প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি
ভবন যমুনায় ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য (এমইপি) মুনির সাতোরির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের
সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা প্রতিনিধিদলকে জানান, আমরা ইতিমধ্যেই
নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করেছি। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ফেব্রুয়ারির শুরুতে, রমজানের
ঠিক আগে।
তিনি উল্লেখ করেন, জনসাধারণ বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে
নির্বাচনী উৎসাহ বাড়ছে, কারণ দীর্ঘদিন পর-কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দশকেরও বেশি সময়
পর-ছাত্র সংসদ নির্বাচন আবার শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু,
স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর।
তিনি যোগ করেন, কিছু শক্তি এখনো নির্বাচন বিলম্বিত
করার চেষ্টা করছে, তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে
দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, তরুণ ভোটাররা এবার
রেকর্ড সংখ্যায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে, কারণ ১৫ বছরেরও বেশি সময় পর অনেকেই প্রথমবারের
মতো ভোট দেবে।
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য
এক নতুন সূচনা বয়ে আনবে। এটি আমাদের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে-জাতির জন্য
এক নতুন যাত্রা।
এক ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা ও ইউরোপীয়
আইনপ্রণেতারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক
রূপান্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অব্যাহত সমর্থন এবং চলমান রোহিঙ্গা মানবিক সংকট নিয়ে মতবিনিময়
করেন।
আগামী নির্বাচন বাংলাদেশে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত
হয়ে উঠতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন ইউরোপীয় আইনপ্রণেতারা। একজন আইনপ্রণেতা প্রধান উপদেষ্টা
ও তাঁর সরকারের গত ১৪ মাসের ‘অসাধারণ’ প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
একজন ডাচ আইনপ্রণেতা মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ কতিপয়
দেশের মধ্যে অন্যতম, যেখানে ‘ঘটনাগুলো সঠিক পথে এগোচ্ছে।’
প্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবিচল সমর্থনের
জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর
জন্য বাড়তি তহবিল প্রদানের আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন


সাধারণত নারী ও শিশু নির্যাতন
দমন আইনের মামলায় বাদী নিজস্ব কোনো আইনজীবী নিয়োগের প্রয়োজন হয়না। কেননা ফৌজদারি কার্যবিধির
৪৯২ ধারা অনুযায়ী তিনি সরকারের পক্ষ থেকে আইনজীবী পেয়ে থাকেন। তবে বাদী যদি নিজে আইনজীবী
নিয়োগ দিতে চান সে ক্ষেত্রে আইনগত কোন বাধা নেই।
বিষয়টি স্পষ্ট করতে হাইকোর্ট
বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) এসকে. এম. তোফায়েল হাসানের সই করা একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। যা সুপ্রিম কোর্টের
ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তির ভাষ্য মতে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে
অভিযোগকারী/ভিকটিমের পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পক্ষগণ
বিভিন্ন সমস্যা বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন আইন,
২০০০ এর ২৫ ধারায় বর্ণিত বিধানাবলী মোতাবেক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে
কোনো অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার ও নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির
বিধানাবলী প্রযোজ্য হয় এবং ট্রাইব্যুনালে অভিযোগকারীর পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী ব্যক্তি
পাবলিক প্রসিকিউটর বলে গণ্য হন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নারী
ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগকারী (ভিকটিম) ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৩ এবং
৪৯৫ ধারার বিধানাবলী অনুসরণ করে ভিকটিম বা অভিযোগকারী তার পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী
নিযুক্ত করে মামলা পরিচালনা করতে পারবেন বলে বিষয়টি স্পষ্ট করা হলো।
মন্তব্য করুন


রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে গঠিত ছয় সংস্কার কমিশনের প্রধানদের সঙ্গে আজ সোমবার ঢাকায় তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে ছয় সংস্কার কমিশন প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে কমিশন প্রধানরা সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। তারা জানান সংস্কার কমিশনের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে।
বৈঠকে নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন প্রধান চিারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দূর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন প্রধান ইফতেখারুজ্জামান এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ অংশগ্রহণ করেন।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস তার ভাষণে বলেন, তারা সংস্কার চান। সংস্কারের মাধ্যমে জাতি হিসেবে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করতে চান। আর সংস্কারের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ছয়টি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পরবর্তীতে ছয় জন বিশিষ্ট নাগরিককে কমিশনের প্রধান করে ছয় কমিশন গঠন করা হয়। গত মাস থেকে কমিশনগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কার্যক্রম শুরু করে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত মাহতাবের বাড়িতে এসে স্বজনদের সাথে দেখা করেছেন বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল।
রোববার দুপুরে মাহতাবের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের উখারী গ্রামে আসেন তারা৷ বিমান বাহিনী প্রধানের পক্ষ থেকে আসা প্রতিনিধি দল নিহত মো. মাহতাব রহমান ভুইয়ার সমাধীতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার মো. আতিক হাসান পিএসসি, মাহতাবের বাবা মো. মিনহাজুর রহমান ভুইয়া।
উইং কমান্ডার আতিক হাসান বলেন, বিমান বাহিনী এবং বিমান বাহিনীর প্রধানের পক্ষ থেকে প্রয়াত মাহাতাবের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়েছে। আমরা শোকাহত। সারাদেশবাসী দোয়া করছি যেন এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারি। যারা আহত আছেন তারাও যেন দ্রুত আরোগ্য লাভ করতে পরে আমরা দোয়া করছি।
মন্তব্য করুন


সেনাসদর মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল
স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মতৎপরতায়
ঢাকাসহ সারাদেশে মব জাস্টিস, চাঁদাবাজি ও হত্যার ঘটনা আগের চেয়ে কমেছে ।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গত ৫০ দিনে সেনাবাহিনীর কার্যক্রমের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, অপরাধের হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। হটস্পটগুলো সার্বক্ষণিক ২৪ ঘণ্টা নজরদারির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
সারাদেশে মব জাস্টিসের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে
কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, শুধু মব জাস্টিস নয়, চাঁদাবাজি, চুরি, রাহাজানি ও হত্যা
আগের চাইতে কমেছে। গত দুই মাস আগে চাঁদাবাজির অভিযোগ ছিল ২৫০টি, কিন্তু বর্তমানে
কমে ১২০টিতে নেমেছে। চুরি ৮৫০টির মতো হতো, বর্তমানে ৬০০টির নিচে নেমে এসেছে। হত্যা
সাড়ে তিনশো ছিল, বর্তমানে ১২০-তে নেমেছে। সেনাবাহিনীর কর্মতৎপরতাও অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকার মোহাম্মদপুর ও বনানীতে সেনাবাহিনীর কিছু
বিপথগামী সদস্য এবং কিছু অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাদের
বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত
কমিটি গঠন করা হয়েছে। জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। আর যারা অবসরপ্রাপ্ত
সদস্য তাদের দেশের প্রচলিত আইনে বিচার করা হবে। কোনো অন্যায়কে সেনাবাহিনী কখনো
প্রশ্রয় দেয় না। সেনাবাহিনী সবসময় সততার সঙ্গে আছে এবং থাকবে। জনগণের আস্থার জায়গায়
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে পাশে পাবেন।
সেনাবাহিনী মাঠে কাজ করতে গিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জের
সম্মুখীন হচ্ছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী কোনো চ্যালেঞ্জ ফেস করছে
না। তবে আমরা দীর্ঘ ছয় মাস বাইরে নিয়োজিত রয়েছি। অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর
সঙ্গে সমন্বয় করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।
তিনি বলেন, ২৮ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি
পর্যন্ত ৫০ দিনে সেনাবাহিনীর কার্যক্রমের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ১৭২টি অবৈধ অস্ত্র এবং ৫২৭ রাউন্ড গোলাবারুদ
উদ্ধার করেছে।
এই সময়কালে দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে (মূলত
গাজীপুর, আশুলিয়া ও সাভার এলাকায়) ৮৮টি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং এ ধরনের
পরিস্থিতি থেকে উদ্ভুত ৩০বার মূল সড়ক অবরোধ নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী সক্রিয় ভূমিকা
রেখেছে। কারখানাগুলোকে চালু রাখার জন্য মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ, সংশ্লিষ্ট
মন্ত্রণালয়, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, বিজিএমইএসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বয়ে পদক্ষেপ
নিয়েছে। ফলে বর্তমানে দেশের ২ হাজার ৯৭টি পোশাক কারখানার মধ্যে গুটিকয়েক
(বেক্সিমকো গ্রুপ, সাউদার্ন ডিজাইনার'স লিমিটেড, স্বাধীন গার্মেন্টস প্রাইভেট
লিমিটেড এবং সেলফ ইননোভেটিভ ফ্যাশন লিমিটেড) ছাড়া সকল কারখানাই চালু রয়েছে।
শিল্পাঞ্চল ছাড়াও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গত এক
মাসে ৪২টি বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে, যার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
সংক্রান্ত ঘটনা ছিল ১৪টি, সরকারি সংস্থা/অফিস সংক্রান্ত তিনটি, রাজনৈতিক কোন্দল
৯টি এবং অন্যান্য ঘটনা ছিল ১৬টি।
বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ইজতেমা ময়দানে তুরাগ নদীর ওপর ৫টি ব্রিজ স্থাপন, বোম ডিসপোজাল
দলসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল মোতায়েন ও পর্যাপ্ত সংখ্যক সেনাসদস্য যে কোনো উদ্ভূত
পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া রাজধানীর সংস্কার
কর্মকাণ্ড যেমন- অ্যান্টি পলিঘিনি অপারেশন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে
পরিচালিত খাল পুনরুদ্ধার অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়েছে।
সেনাসদরের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা
রক্ষার পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন সময় যারা আহত হয়েছেন, তাদের
সুচিকিৎসার জন্য সেনাবাহিনী আজ পর্যন্ত তিন হাজার ৮৫৯ জনকে দেশের বিভিন্ন সিএমএইচে
চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে, যার মধ্যে ৪১ জন এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি বলেন, দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, দেশের জনগণের জানমাল এবং রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ও স্থাপনার নিরাপত্তা প্রদানসহ সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে এ সমন্বয় ও পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করে কর্মধারা অব্যাহত রাখতে সেনাবাহিনী অঙ্গীকারবদ্ধ বলেও উল্লেখ করেন কর্নেল শফিকুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন


অবশেষে উপ-সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন
একসময়ের আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।
নিজের পদোন্নতির বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে সারওয়ার আলম নিজেই জানিয়েছেন।
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, তিনবার বঞ্চিত
হওয়ার পর আজ উপসচিব পদে পদোন্নতি পেলাম। আলহামদুলিল্লাহ্। সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর
যিনি সর্বোত্তম ফয়সালাকারী।
২০২১ সালের ৭ মার্চ প্রশাসনের ৩৩৭ জন
সিনিয়র সহকারী সচিবকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেয় সরকার। কিন্তু পদোন্নতিবঞ্চিত হন ২৭তম
বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের আলোচিত এ কর্মকর্তা।
বিসিএস ২৭তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডার
হিসেবে ২০০৮ সালের নভেম্বরে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন সারোয়ার আলম। ২০১৪ সালের ১ জুন
সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি। সে অনুযায়ী এ পদে প্রায় সাত বছরসহ মোট
১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রশাসন ক্যাডার হিসেবে কর্মরত থাকলেও সেসময় পদোন্নতিবঞ্চিত
হন সারওয়ার আলম।
২০২২ সালে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার
কারণে তিরস্কার সূচক লঘুদণ্ডের শাস্তি পেয়েছিলেন সেসময়ের র্যাবের আলোচিত এ নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট। এর আগে ২০২১ সালের ৩০ জুন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয় এবং তার কাছে
কৈফিয়ত তলব করা হয়। তবে সারওয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনে কোনো লিখিত বক্তব্য দেননি।
তার পদোন্নতি না পাওয়ার ঘটনাটি ওই সময়ের
বেশ আলোচিত বিষয় ছিল। তখন মো. সারওয়ার আলম বলেছিলেন, আমার পদোন্নতি না হওয়ার বিষয়টি
বিশ্বাস করতে পারছেন না বলে অনেক সরকারি কর্মকর্তা আমাকে জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তারা
অবাক হয়েছেন। তবে এটাই বাস্তবতা।
এদিকে আজ (মঙ্গলবার) সারোয়ার আলমসহ
উপসচিব পদে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি পেয়েছেন ১১৭ কর্মকর্তা।
সারওয়ার আলম ২৭তম বিসিএসে ক্যাডার সার্ভিসে
যোগদান করেন। এর আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে পড়াশোনা শেষ
করেন। ছয় ভাই বোনের মধ্যে সবার বড় সারওয়ার।
সৎ ও মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত
পাওয়া সারওয়ার আলম র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নে (র্যাব) যোগদানের পর থেকে সব সময়
আলোচিত ছিলেন। কর্মদক্ষতা আর নিষ্ঠার পরিচয় দিয়ে গেছেন বারংবার। ব্যক্তিস্বার্থ নয়,
বরং তিনি প্রাধান্য দিয়েছেন দেশ ও জনগণের স্বার্থকে। স্বার্থান্বেষী মহল তার কাজে অসন্তুষ্ট
থাকলেও জনগণ তাকে অফুরান ভালোবাসা দিয়ে বরণ করে নিয়েছে।
১৯৮৩ সালে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় বাড়ির
পাশের ইসমাইল মেমোরিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। ১৯৯৩ সালে পাকুন্দিয়া পাইলট
উচ্চবিদ্যালয় (বর্তমান পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়) থেকে এসএসসি পরীক্ষায় প্রথম
বিভাগ পেয়ে ভর্তি হয় কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজে।
১৯৯৫ সালে কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি
কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ অর্জন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন প্রাণিবিদ্যা
বিভাগে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে ২০০৫ সালে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতকোত্তর
পাস করেন তিনি। সারওয়ার আলম ২০০৮ সালে ২৭তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে যোগ দেন প্রশাসনে।
মন্তব্য করুন


শৈত্য প্রবাহের কারণে কমছে না শীতের দাপট। পৌষ মাসের শেষ দিনে হাড় কাঁপানো শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশায় দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ, মাঘ মাসের শুরুতেও কমেনি শীতের দাপট। তীব্র শীতে জবুথবু পাবনা সহ উত্তর অঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলা।
ঘন কুয়াশায় মেঘাচ্ছন্ন আকাশে সূর্যের দেখা না মেলায় দিনের বেলাতেও হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে পাবনা সহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের পাশাপাশি পাবনা, কুষ্টিয়া নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের কয়েক জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ: যা অব্যাহত থাকতে পারে আরও এক-দুই দিন।
রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনাও। শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে সকাল থেকেই কুয়াশায় আচ্ছন্ন পাবনা সহ উত্তর অঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলা। ঘন কুয়াশার কারণে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো না থাকায় কিছুদিন ধরে দিনে ও রাতের
তাপমাত্রার প্রায় একই রকম থাকায় শীতের অনুভূতি অনেকটাই বেড়ে গেছে। এটা প্রতিবছরই জানুয়ারি মাসে মাঝেমধ্যেই হয় এবং টানা তিন-চার দিন থাকে।এবছরও তার ব্যতিক্রম নয়, এই অবস্থা আরো
এক-দুই দিন থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ধারণা। তীব্র শীতে উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।
সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ।ঘন কুয়াশা এবং মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে উত্তরের জেলাগুলোতে ছয় দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। এ ছাড়া তীব্র শীতে শীতজনিত রোগের
প্রকোপ বেড়েছে বহুগুণে। তীব্র শীতের কারণে বেশি বিপাকে আছে হতদরিদ্রর ও ছিন্নমূল জনগোষ্ঠী, শীতবস্ত্রের অভাবে দুর্বিষহ তাদের জীবন। কুয়াশার কারণে ব্যাহত হচ্ছে
কাজিরহাট টু আরিচা, নাজিরগঞ্জ টু ধাওয়াপাড়া নৌ রুটের ফেরি সহ বিমান ও যান চলাচলে।
মন্তব্য করুন