জোটের শরিক ১৪ দল নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে বৈঠকটি শুরু হয়।
বৈঠকে রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, নজিবুল বশর মাইজভান্ডারিসহ ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত আছেন।
১৪ দল সূত্র জানায়, এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় আসন্ন নির্বাচনে শরিকদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে।
সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি জাতীয় কাউন্সিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি কারিগরি ও সমন্বয় কমিটি এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ভিত্তিক একটি বাস্তবায়ন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
মন্তব্য করুন
আমরা বিশ্বাস করি, তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের অগ্রগতি। আমরা সেই তারুণ্যকেই স্মার্ট তরুণ সমাজ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়তে চাই। কারণ আমাদের লক্ষ্য আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মাদারীপুর জেলার কালকিনি জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দিন বদলের সনদ দিয়েছিলাম। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেকে শুরু করে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সবদিকে আজ বাংলাদেশ উন্নয়ন করেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলবো। একটা স্মার্ট পপুলেশন, আমাদের সরকার হবে স্মার্ট, আমাদের ইকোনমি হবে স্মার্ট, আমাদের সমাজ হবে স্মার্ট।'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষা-দীক্ষায় এ দেশের জনগণ যেন প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যেতে পারে। আর আজকের তরুণরাই হবে ২০৪১ সালের সৈনিক। তারাই চালাবে এই দেশ। সেভাবেই নিজেদের তৈরি করে তুলতে হবে।
নতুন ভোটারদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা এবার প্রথমবারের মতো ভোটার হয়েছে তাদের আমি অনুরোধ করবো, নৌকা মার্কায় ভোট দিতে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যাতে অব্যাহত থাকে। এটাই আমাদের লক্ষ্য।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মাদারীপুরে আমাদের যারা প্রার্থী তাদের ভোট দেবেন। আমি নৌকা মার্কায় ভোট চাই। কারণ, নৌকাই উন্নয়ন, নৌকাই দেবে সব। নৌকা ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই। এই নৌকা নূহু নবীর নৌকা। যে নৌকা মহাপ্লাবন থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করেছিল। এই নৌকায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এই নৌকাই বাংলাদেশের উন্নয়নের একমাত্র হাতিয়ার।'
মন্তব্য করুন
শান্তি ফর্মুলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের সাইড লাইনে বৈঠকে তিনি এই সহযোগিতা চান।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে কনফারেন্স ভেন্যু হোটেল বেইরিশার অব-এ অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি বাংলাদেশের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদের সঙ্গে দেখা করেছি। আমরা শান্তি ফর্মুলার ওপর ভিত্তি করে একটি ন্যায়সঙ্গত শান্তির জন্য ইউক্রেনের দৃষ্টিভঙ্গি, সেইসঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছি।
তিনি আরো বলেন, আমি বাংলাদেশকে ফর্মুলা বাস্তবায়ন এবং গ্লোবাল পিস সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন ২০২৪-এ যোগ দিতে তিন দিনের এক সরকারি সফরে ১৫ ফেব্রুয়ারি মিউনিখে পৌঁছেন। সফর শেষে ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
সব
দলকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে
আওয়ামী লীগ এর সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,
নির্বাচনের দরজা সবার জন্য
উন্মুক্ত।
১৭
নভেম্বর (শুক্রবার) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী
লীগের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম সভায় বক্তৃতায় তিনি
এ আহ্বান জানান।
সব
রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের
আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,
নির্বাচনের শিডিউল (তফসিল) ঘোষণা হয়েছে। সবাই আসেন, ইলেকশনে
অংশগ্রহণ করেন, ইলেকশনে জনগণের কাছে গিয়ে জনগণের
ভোট চান। এই যে
অপরাধ করেছেন জনগণের কাছে, বিশেষ করে জামায়াত-বিএনপি,
অগ্নিসংযোগ করে জনগণকে হত্যা
ও জানমালের ক্ষতি করেছেন, সেজন্য জাতির কাছে মাফ চেয়ে
তারপর নির্বাচনে আসেন, সেটাই আমরা চাই। নির্বাচনের
দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত।
আন্দোলন
করে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না
মন্তব্য করে শেখ হাসিনা
বলেন, আগুন নিয়ে খেলছে।
বিএনপি এবং তাদের যে
জোট আছে, তাদের শুধু
একটা কথা বলবো- এই
আগুন নিয়ে খেলা বাংলাদেশের মানুষ
কখনো মেনে নেবে না।
(অতীতে) তারা নির্বাচন বানচাল
করতে চেয়েছে, এটাও তারা বানচাল
করতে পারবে না।
তফসিল
ঘোষণার জন্য নির্বাচন কমিশনকে
ধন্যবাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,
ধন্যবাদ জানাই আমাদের নির্বাচন কমিশনকে। তারা অন্তত এ
জ্বালাও-পোড়াওয়ে ভীত না হয়ে,
সাংবিধানিক নিয়ম মেনে সময় মতো
নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা আরও বলেন,
এখন নির্বাচন যেন যথাসময়ে সুষ্ঠুভাবে
হয় সেজন্য জনগণ ও দেশবাসীর
সহযোগিতা আমি চাই। নির্বাচন
জনগণের অধিকার, এটা তাদের সাংবিধানিক
অধিকার। সময় এসেছে নির্বাচন
হবে। জনগণ ভোট দেবে।
কারও যদি সাহস থাকে
এসে ইলেকশন করবে। জনগণের ভোট পাওয়ার অবস্থা
যদি থাকে তাহলে ভোট
পাবে। জনগণ যাকে ভোটে
নির্বাচিত করবে সেই সরকার
গঠন করবে।
আওয়ামী
লীগ এর সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম সভায় দলটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ওবায়দুল কাদেরসহ
আওয়ামী লীগ ও সহযোগী
সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
আসন্ন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটদানে বাধা দিলে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল
কাদের বলেন, ৭ জানুয়ারি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়া হবে। ভোট দিতে
কেউ বাধা দিলে তাদের প্রতিহত করা হবে।
শুক্রবার
(৫ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দলটির তেজগাঁও কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে
এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল
কাদের বলেন, হরতাল হলো একটা মরিচা ধরা হাতিয়ার, এ অস্ত্র বিএনপি আগেও ব্যবহার করেছে।
তাতে লাভ হয়নি। এবারও হবে না৷ ৭ জানুয়ারি সবাই ভোটকেন্দ্রে আসবে। তারা নির্ভয়ে ভোট
দেবে। ওইদিন যারাই বাধা দেবে তাদেরই প্রতিরোধ করা হবে। কত আসন পাবে তা এখনই বলতে চাই
না। তবে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে। আর ভোটের ফলই বলে দেবে কারা বিরোধী দলে যাবে।
মন্তব্য করুন
আগামী ৫ বছরের জন্য টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শপথ নিতে যাচ্ছেন নতুন মন্ত্রিসভার ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে টেলিফোন পেলেন যারা- আ ক ম মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কাদের, নূরুল মজিদ হুমায়ূন, আসাদুজ্জামান খান কামাল, ডা. দীপু মনি, মো. তাজুল ইসলাম, মুহাম্মদ ফারুক খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ, মো. আব্দুস শহীদ, সাধন চন্দ্র মজুমদার, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মো. আব্দুর রহমান, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, আব্দুস সালাম, মহিবুল হাসান চৌধুরী, ফরহাদ হোসেন, মো. ফরিদুল হক খান, মো. জিল্লুল হাকিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাজমুল হাসান, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, সামন্ত লাল সেনকে মন্ত্রী পদে শপথ নিতে কল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার তারা বঙ্গভবনে শপথ নেবেন।
স্থপতি ইয়াফেস ওসমান ও সামন্ত লাল সেন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন।
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন যারা- সিমিন হোমেন রিমি, নসরুল হামিদ, জুনাইদ আহমেদ পলক, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মো. মহিববুর রহমান, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাহিদ ফারুক, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রুমানা আলী, শফিকুর রহমান চৌধুরী, আহসানুল ইসলাম (টিটু)।
বুধবার (জানুয়ারি ১০) রাতে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এসব নাম ঘোষণা করেন। শপথ নেওয়ার পর পরই তাদের দপ্তর বণ্টনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
মন্তব্য করুন
বিদ্যুৎ ও পানির ভর্তুকি থেকে সরে আসার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আয় অনুযায়ী ফি নির্ধারণ করতেও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড.শামসুল আলম,পরিকল্পনা সচিব সত্যজিৎ কর্মকারসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা ।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় ৪৪টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৩৯ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবি ৩০ হাজার ১২৩ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৭৬৮ কোটি টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে বলেন,রাজধানীতে উঁচু ভবন নির্মাণে সতর্ক থাকতে একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক ৪ দিনের সফরে আগামীকাল সোমবার ঢাকায় আসছেন।
সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল ১০টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাজার পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এ সময় রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও ফার্স্ট লেডি গান স্যালুট ও গার্ড অব অনার দিয়ে রাজাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যাবেন রাজা ওয়াংচুক।
এসময় সোমবার বিকেলে ভুটানের রাজা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করবেন এবং তাদের দুজনের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠকের পর দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ রাজার সঙ্গে তার অবস্থানকালীন আবাসস্থলে সাক্ষাৎ করবেন।
মঙ্গলবার রাজা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করবেন। সেসময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
পরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করবেন ভুটানের রাজা। এরপর তিনি বঙ্গভবন পরিদর্শন করবেন, সেখানে রাষ্ট্রপতি ও ফার্স্ট লেডি তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজা। রাষ্ট্রপতি সফররত রাজপরিবারের সম্মানে ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করবেন।
বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে ভুটানের রানী জেটসুন পেমা ওয়াংচুক ও ভুটানের নির্বাচিত প্রতিনিধি দলের সদস্যরা একটি বিশেষ ফ্লাইটে ভুটানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বিমানবন্দরে তাদের বিদায় জানাবেন।
ভুটানের রাজা পদ্মা সেতু ও বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ পরিদর্শন করবেন। বৃহস্পতিবার রাজা কুড়িগ্রামের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে সোনাহাট স্থলবন্দর হয়ে আসামের গোলকগঞ্জের উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী তাকে বিদায় জানাবেন।
মন্তব্য করুন
অবৈধ মজুদদারি এবং চাঁদাবাজি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (ফেব্রুয়ারি ১০) গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই বর্ধিত সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, অবৈধ মজুদদারি, চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। আমরা চাই কৃষক ভালো দাম পাবে। কিন্তু অবৈধ মজুদদারি এবং চাঁদাবাজি বন্ধে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।
দলীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সব জায়গায় চাঁদাবাজি এবং মজুতদারি বন্ধ করতে হবে। আপনারা বিভিন্ন এলাকার প্রতিনিধি, এতে আপনাদের নজর দিতে হবে। কৃষক যাতে প্রকৃত মূল্য পায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। চাঁদাবাজি ও মজুতদারির জন্য যাতে পণ্যের দাম না বাড়ে সেটি দেখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এবারের নির্বাচনে আমি স্বতন্ত্র উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। এছাড়া আমাদের উপায় ছিল না। ভোট কেন্দ্রে যাতে ভোটার আসে। নির্বাচন যেন উৎসবমুখর হয়, সেদিকে নজর রেখে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। আমাদের অনেকেই নির্বাচন করেছে। এ নিয়ে অনেকের মধ্যে মন কষাকষি আছে। দূরত্ব তৈরি হয়েছে। যা হয়ে গেছে, হয়ে গেছে। এখন এক হয়ে কাজ করতে হবে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে আমরা সমাধান করবো। কিন্তু নিজেরা আত্মঘাতী সংঘাতে লিপ্ত হওয়া যাবে না। এবার নৌকার জোয়ার ছিল, এ জোয়ারেও জিততে না পেরে একে ওকে দোষারোপ করে লাভ নেই।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, থাইল্যান্ডের
সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ
করে। এ দেশের মানুষের মুক্তির জন্যই আওয়ামী লীগের জন্ম হয়।
বৃহস্পতিবার (২ মে) থাইল্যান্ড সফর
নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর
সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রধানমন্ত্রী
থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে ২৯ এপ্রিল ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরেছেন। সফরকালে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে (থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) থাই প্রধানমন্ত্রী
স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ
ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত
বিষয় এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়।
কৃষি উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে কৃষিখাতে
পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা থাইল্যান্ডের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা
কাজে লাগিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা সুদৃঢ় করতে পারি। এজন্য থাইল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা
বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারে
আলোচনা করি। থাইল্যান্ডকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগেরও আহ্বান জানাই।
পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী
দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন
ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রাণী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ
করেন। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে
ব্যাংককে পৌঁছেন শেখ হাসিনা। ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
দেওয়া হয়।
থাইল্যান্ডের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের
৫২ বছরে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান পর্যায়ে এটাই ছিল প্রথম সফর।
থাইল্যান্ড সফর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
বলেন, ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর মনোনিবেশের অংশ হিসেবেই তার এই সফর। আর এ সফর
দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে।
একই সময়ে তিনি ব্যাংককের জাতিসংঘ সম্মেলন
কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের
(ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন।
ভাষণে তিনি বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে যুদ্ধকে
‘না’ বলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা।
একইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের
নির্বাহী সচিব আরমিডা সালসিয়াহ আলিশাবানা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
মন্তব্য করুন
সদ্যসমাপ্ত বেলজিয়াম সফর নিয়ে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলন করে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন থামাতে পারবে না। ২০১৩-তেও পারেনি, ‘১৮-তেও পারেনি, এবারও পারবে না।
আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন হবে এবং সময়মতোই হবে। কে চোখ রাঙালো আর কে চোখ বাঁকালো, ওটা নিয়ে আমরা পরোয়া করি না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নির্বাচন এভাবে আন্দোলন করে তারা থামাতে পারবে না। ’১৩-তেও পারেনি, ১৮-তেও পারেনি, এবারও পারবে না। ইনশাল্লাহ নির্বাচন যথাসময়ে হবে। তারা তো চাচ্ছে এটাই (নির্বাচন বন্ধ করা), সেটা করতে পারবে না।
আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। জনগণ ওদের সঙ্গে নাই। জনগণকে কষ্ট দিয়ে রাজনীতি হয় না। রাজনীতি তো জনগণের জন্য।
বিএনপি একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি আসলে নির্বাচনই চায় না।
আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সব পক্ষকে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংলাপ নিয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কার সঙ্গে সংলাপ, খুনিদের সঙ্গে কীসের সংলাপ, কীসের আলোচনা। খুনিদের সঙ্গে সংলাপ, এটা বাংলাদেশের জনগণও চায় না।
মন্তব্য করুন