

৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের আশায় জীবিত
রাসেল ভাইপার সাপ নিয়ে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে গেলেন রেজাউল খান নামের এক কৃষক।
কৃষক রেজাউলের বাড়ি ফরিদপুর শহরতলীর
আলিয়াবাদ ইউনিয়নের কাদেরের বাজার এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মনোরুদ্দিন খানের ছেলে।
শনিবার (২২ জুন) রাতে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের
সামনে এসে জীবিত রাসেল ভাইপারটি সাংবাদিকদের দেখান কৃষক রেজাউল (৩২)।
এ সময় প্রেসক্লাবের সদস্যরাসহ ফরিদপুর
পৌরসভার ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ আওয়াল হোসেন তনু ও স্থানীয় অন্যান্য লোকজন
উপস্থিত ছিলেন।
কৃষক রেজাউল খান বলেন, শনিবার বিকেলে
জেলা সদরের আলিয়াবাদ ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এলাকার ফসলি জমিতে চাষ করার সময় এই রাসেলস
ভাইপারটি দেখতে পাই। পরবর্তীতে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় সাপটিকে অ্যালুমিনিয়ামের
পাতিলে ভরে ফেলি। পরে প্লাস্টিকের নেটের আবরণ দিয়ে পাতিলের মুখ বন্ধ করে দিই। স্থানীয়দের
কাছে জেনেছি, জীবিত রাসেলস ভাইপার সাপ ধরতে পারলে ফরিদপুরের নেতারা পুরস্কার দেবেন।
এ কারণেই জীবিত সাপটি ধরে এনেছি।
প্রসঙ্গত, গত ২০ জুন জেলা আওয়ামী লীগের
একটি মিটিংয়ে রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে আলোচনা হলে জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক শাহ মো.
ইশতিয়াক আরিফ রাসেলস ভাইপার সাপ মারতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেন।
সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার একদিন পরেই সেই
অবস্থান থেকে সরে আসেন তিনি। পরদিন ২১ জুন এক সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি দেন, সেখানে তিনি উল্লেখ
করেন, কেউ যদি রাসেলস ভাইপার সাপ জীবিত ধরতে পারেন তাহলে তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার
দেওয়া হবে।
আগের বক্তব্যটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে
বিকৃত করে প্রকাশ হয়েছে বলেও ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ৬৪৮ বোতল ফেন্সিডিল আটক করেছে ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)।
অদ্য ০৫ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর অধীনস্থ লক্ষীপুর পোষ্ট এর টহলদল মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে বিজিবি টহলদল কর্তৃক সীমান্ত পিলার ২০৮৫/১০-এস হতে ৬০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মান্দারি নামক স্থান হতে ৬৪৮ বোতল ফেন্সিডিল আটক করে।
আটককৃত ফেন্সিডিল এর আনুমানিক মূল্য ২,৫৯,২০০/- (দুই লক্ষ ঊনষাট হাজার দুইশত) টাকা।
মন্তব্য করুন


মুরাদুল ইসলাম কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামে কলা গাছের ভেলায় ভেসে এলো ভারতীয় এক শিশুর লাশ। রবিবার (২৭ জুলাই)সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের দুধকুমার নদে গারুহারা ঘাটে ভেলাটি ভাসতে দেখে স্থানীয় মানুষজন। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কলা গাছের কয়েকটি গুঁড়ি দিয়ে তৈরিকৃত একটি ভেলায় চাটাইয়ের ওপর প্রায় ৬ বছর বয়সী একটি শিশুর মরদেহ ভাসতে দেখেন তারা। মরদেহটি চাদর, মশারি এবং পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা। শুধু মুখটা দেখা যায়। সেখানে শিশুটির ছবি সম্বলিত নাম ঠিকানা ও একটি ফোন নম্বর উল্লেখ করা ছিল।
উল্লেখিত ঠিকানায় দেখা যায়, শিশুটির নাম সুমীত দাস, তার পিতার নাম আকুমনি দাস, মায়ের নাম পদ্মা দাস। সেখানে ঠিকানা উল্লেখ করা ছিল ডেকাবঘাট লালবাড়ি আসাম।
যাত্রাপুরের গারুহারা এলাকার কলেজ শিক্ষার্থী ফারুক খান বলেন, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কলা গাছের ভেলায় একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে আমি সেখানে যাই। পরে লাশের সঙ্গে একটি চিরকুট দেখতে পাই। ওই চিরকুটে একটি ভারতীয় ফোন নম্বর ছিল। ওই নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ যোগাযোগ করলে অপরপ্রান্ত থেকে সাড়া পাই। অনকু দাস নামে এক ব্যক্তি শিশুটির মামা পরিচয় দেন।। পরে তিনি জানান 'গত ১০ জুলাই শিশুটি সাপের কামড়ে মারা গেলে তাকে কলা গাছের ভেলায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়।'
এ বিষয়ে যাত্রাপুর ইউপি চেয়ারম্যার আব্দুল গফুর বলেন, শুনেছি শিশুটি নাকি সাপের কামড়ে মারা গেছে। তার স্বজনরা তাকে একটি কলা গাছের ভেলায় ভাসিয়ে দেয়। তবে ভেলাটি কেউ আটকায়নি। দুুপুরের পর জানতে পেরেছি ভেলাটি ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসতেছিল।
মন্তব্য করুন


সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরায় সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি কোপের শিকার মেহেবুল হাসান ও মোছা. নাসরিন আক্তার ইপ্তির সম্পর্ক গণমাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে প্রকাশ করা হলেও মূলত তারা স্বামী-স্ত্রী নন।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রকৃত স্ত্রী দাবি করে গণমাধ্যমে এমনটি জানিয়ে এক নারী সাংবাদিকদের বলেন, উত্তরায় হামলার শিকার মেহেবুল হাসান আমার স্বামী। পাশে থাকা ওই নারীকে (ইপ্তি) আমি চিনি না। তবে কিছুদিন ধরে বুঝেছি আমার স্বামী অন্য কারও সঙ্গে কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় এ ঘটনা ঘটে। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। হামলায় আহতরা হলেন মেহেবুল হাসান (৩৬) ও মোছা. নাসরিন আক্তার ইপ্তি (৩০)। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মেহেবুলের আঘাত গুরুতর হলেও আশঙ্কামুক্ত।
আর হামলা করা নিয়ে নারী বলেন, যেহেতু ওখানে আমি ছিলাম না, সেহেতু ওই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আমার স্বামীর সঙ্গে কারও বিরোধের কথাও জানি না। কারণ তিনি (স্বামী) আমার কাছে কোনো কিছুই শেয়ার করতেন না।
নাসরিন আক্তার ইপ্তির সঙ্গে মেহেবুল হাসানের কোনো বিয়ের ঘটনা ঘটেনি জানিয়ে ওই নারী জানান, আমার স্বামী গোপনে ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। তবে ওই ঘটনার পর থেকে তারা নিজের স্বামী-স্ত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন। ওই ঘটনা যখন আমি ফেসবুকে দেখেছি, সঙ্গে সঙ্গে তাকে কল দিই। কিন্তু তিনি কোনো রেসপন্স করেনি। পরে হাসপাতালে গিয়ে তার সঙ্গে আমার কথা হয়। তিনি আমাকে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ওই নারী তার শাশুড়ির সঙ্গে লাউড স্পিকারে ফোনে কথা বলেন। তিনি দাবি করেন, আমার শ্বশুর-স্বামী সবাই আমাকে ভয় দেখাচ্ছে। আমার স্বামী আমাকে বলছে, সে সুস্থ হলে আমাকে দেখে নেবে।
ওই দিন রাতেই ঘটনার বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, মোটরসাইকেলে উচ্চশব্দ করে দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা একটি শিশুকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। পাশ দিয়ে আরেকটি মোটরসাইকেলে যাওয়া দম্পতি প্রতিবাদ করে। এরপর কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাদের লোকবল ডেকে দম্পতির ওপর রামদা দিয়ে হামলা চালায়।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় ওই নারীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে মো. মোবারক হোসেন (২৫) ও রবি রায় (২২) নামে কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্য ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা দুজনকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
মন্তব্য করুন


রাজশাহীতে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের কষ্টের কথা জানিয়ে রহিমা আক্তার নামের এক গৃহবধূ গলায়
ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’
করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) ভোরে রাজশাহীর চারঘাট পৌর এলাকার হলের মোড়ের একটি ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
গৃহবধূ রহিমা আক্তার (২৪) এর স্বামী সায়েম ইসলাম সাগর একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। তারা পুঠিয়া উপজেলার বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চারঘাট থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমান।
তিনি জানান, রহিমা আক্তারের বাবার সঙ্গে মায়ের ছাড়াছাড়ি হলে তিনি আরও একটি বিয়ে করেন। এতে একা হয়ে পড়েন রহিমা আক্তার। এ নিয়ে তিনি বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। মঙ্গলবার ভোরে তিনি ফেসবুক লাইভে আসেন। এ সময় তিনি দুঃখের কথাগুলো বলেন। বাবা-মাকে নিয়ে অনেক কথাও বলেছেন তিনি। লাইভ শেষে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। পরে সকালে পুলিশ পাঠিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তার পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


ফরিদপুরে জীবন্ত রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপ ধরে বনবিভাগে জমা দেওয়ার পর
আওয়ামী লীগের ঘোষিত পুরস্কারের অর্থ পেয়েছেন দুই ব্যক্তি।
এ দুজন ছাড়াও আরও একজনকে পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো.
ইশতিয়াক আরিফ জীবিত রাসেলস ভাইপার ধরা দুজনকে ৫০ হাজার করে ১ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার
বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুরস্কারের অর্থের চেক পাওয়া আজাদ শেখ বলেন, আমি জেলা আওয়ামী লীগের ঘোষিত পুরস্কারের
৫০ হাজার টাকা পেয়েছি। ধন্যবাদ জেলা আওয়ামী লীগ, তাদের কথা রাখার জন্য।
সোমবার দিবাগত রাতে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ব্যক্তিগত অফিসে
দুজনের হাতে পুরস্কারের অর্থের চেক তুলে দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ
মো. ইশতিয়াক আরিফ।
পুরস্কার পাওয়া ব্যাক্তিরা হলেন—ফরিদপুর সদরের রেজাউল করিম ও আজাদ শেখ। শাহজাহান
নামের আরও একজনকে পরে পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ বলেন, আমাদের
ঘোষণা অনুযায়ী তিন ব্যক্তিকে পুরস্কার বাবদ ৫০ হাজার করে টাকা দেওয়ার কথা। আমরা ঘোষণা
অনুযায়ী দুজনকে সোমবার রাতে আমার ব্যক্তিগত অফিসে ৫০ হাজার করে এক লাখ টাকা দিয়েছি।
আর একজনকে আমরা পুরস্কার দেব। সেটা দুই-একদিনের মধ্যে দিয়ে দেব। জেলা আওয়ামী লীগ তাদের
কথা রেখেছে।
প্রসঙ্গত, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন উপেক্ষা করে প্রথমে রাসেলস ভাইপার মারতে পারলে
গত ২০ জুন ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
শাহ মো. ইশতিয়াক। এ নিয়ে সমালোচনা হওয়ার একদিন পরে ২১ জুন জেলা আওয়ামী লীগ ওই ঘোষণা
থেকে কিছুটা সরে এসে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নিজে সুরক্ষিত থেকে জীবিত রাসেলস
ভাইপার ধরে বনবিভাগে জমা দেওয়া হলে তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হব। তবে জেলা
আওয়ামী লীগের এ সংশোধিত ঘোষণাও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের পরিপন্থি। এ ঘোষণার পর রাসেলস
ভাইপার জীবিত ধরার জন্য তোড়জোর শুরু হয়ে যায় ফরিদপুর সদরসহ বিভিন্ন গ্রামে।
ইশতিয়াক আরিফ আরও বলেন, মৃত রাসেলস ভাইপার সাপ আনতে পারলে ও পরবর্তীতে জীবিত
রাসেলস ভাইপার ধরতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। তবে প্রথমে মৃত রাসেলস ভাইপারের পুরস্কারের
কথাটা আমরা একটু ইমোশনাল হয়েই বলেছিলাম। তবে, এ ব্যাপারে নানা জনের নানা কথা শুনতে
হয় আমাদের, পরবর্তীতে জীবিত রাসেলস ভাইপার সাপ ধরতে পারলে পুরস্কারের ঘোষণা করেও নানা
কথা শুনতে হয় এবং আইনগত সমস্যা আছে বলে জানানো হয়। পরে আমরা উভয় পুরস্কারের ঘোষণা প্রত্যাহার
করে নিয়েছি। এরপর থেকে জীবিত কিংবা মৃত রাসেলস ভাইপারের জন্য কাউকে কোনো পুরস্কার দেওয়া
হবে না।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিক্টোরিয়া কলেজের একজন শিক্ষার্থীর মার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইন্টার্নি ডাক্তার,
ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত প্রায় এগারটায় সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
ওই সময় উত্তেজিত সংঘর্ষকারীরা সেনাবাহিনীর দিকে ধেয়ে আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য
সেনাবাহিনী ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে উত্তেজিত লোকদের ছাত্র ভঙ্গ করে।
এতে করে দুই পক্ষের লোকজন ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়। সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পন্ন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা,কচুয়া ॥
চুরি,ছিনতাই,ডাকাতি ও মাদক নির্মূলে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিরর লক্ষে মতবিনিময় করেছেন কচুয়া থানার ওসি এম আব্দুল হালিম। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের দোয়াটি মবিন মার্কেট এলাকায় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে এ মতবনিমিয় সভা করা হয়। এসময় কচুয়া-সাচার-গৌরিপুর সড়কে চুরি,ছিনতাই ও ডাকাতি রোধে রাস্তার দু’পাশের আগাছা পরিস্কার,মাদক প্রতিরোধে নিয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা করা হয়।
স্থানীয় বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন প্রধানের পরিচালনায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কচুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এম আব্দুল হালিম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন স্বপন,ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস,ইউপি সদস্য মামুনুর রশিদ,বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুল মবিন,মাহবুব আলম প্রমুখ। এসময় কচুয়া থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন,মোশাররফ হোসেন,বিএনপি নেতা মোজাফফর হোসেন সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম উত্তর প্রতিনিধি:
"মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করি, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ি” এই স্লোগানকে সামনে রেখে কুড়িগ্রামের ফুলবাডীতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৫ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেহেনুমা তারান্নুমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন,উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকবর কবির,উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মজিবর রহমান, ফুলবাড়ী থানার এস আই আব্দুর রশিদ, পশ্চিম পানিমাছকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামছুল হক,নাওডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাদা মিয়া, বাইতারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আয়শা বেগম,ফুলবাড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও এশিয়ান টিভির ফুলবাড়ী উপজেলা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলমসহ আরো অনেকে।
এ সময় বক্তারা মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
মন্তব্য করুন


খুলনার কয়রায় ৪৮ কেজি হরিণের মাংসসহ ০১ শিকারিকে গ্রেপ্তার করেছে বনরক্ষীরা।
আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে সুন্দরবন থেকে অবৈধভাবে হরিণ শিকার করে মাংস পাচারের সময় ৪নং কয়রা সংলগ্ন শাকবাড়িয়া নদীতে এ বিশেষ অভিযান চালানো হয়। কাশিয়াবাদ স্টেশন কর্মকর্তা “ মো. নাসির উদ্দী “ এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ২টি নৌকা, ১১৫ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও হরিণ ধরার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। আটক দিদারুল ইসলাম (৩৫) কয়রা উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের হামিদ গাজীর ছেলে।
খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) “ মো. শামীম রেজা মিঠু “ বলেন, এ ব্যাপারে ০২ জনের নাম উল্লেখ করে বন্যপ্রাণী আইনে মামলা করা হয়েছে। জব্দ হরিণের মাংস ও মাছ পচনশীল হওয়ায় আদালতের অনুমতিক্রমে মাটিতে পুঁতে বিনষ্ট করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হরিণ শিকারিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কয়রা উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন


হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
থেকে ওমান প্রবাসী ছোট ভাইয়ের মরদেহ আনতে যাওয়ার পথে বাসে স্ট্রোক করে মারা যান বড়
ভাই। বুধবার (১০ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টায় বড় ভাইয়ের মৃত্যু হয়।
মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে দুই ভাইয়ের
মৃত্যুতে আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় লোকজনের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে ছোট ভাইয়ের
মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে বড় ভাইয়ের জানাজা
শেষে উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের আনন্দীপুর গ্রামের সরওয়ার্দী পাটোয়ারী বাড়ির পারিবারিক
কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
মো. দ্বীন ইসলাম (৫৮) ও তাজুল ইসলাম
(৫৫) নোয়াখালী সোনাইমুড়ীর জয়াগ ইউনিয়নের আনন্দীপুর গ্রামের সরওয়ার্দী পাটোয়ারী বাড়ির
সিদ্দীক উল্যাহ মিয়ার ছেলে।
জয়াগ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি
সদস্য মো. মাকছুদুর রহমান জানান, গত ২০ বছর ধরে তাজুল ইসলাম জীবন জীবিকার তাগিদে ওমানে
বসবাস করছিলেন। পাঁচ দিন আগে তিনি ওমানে স্ট্রোক করে মারা যান। শুক্রবার (১২ জুলাই)
সকালে তার মরদেহ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসার কথা ছিল। এজন্য বড় ভাই দ্বীন
ইসলাম দুই দিন আগে ঢাকা চলে যান। যাত্রা পথে তিনি বাসে স্ট্রোক করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে
পড়েন। পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দ্বীন ইসলামও দীর্ঘ দিন ওমানে ছিলেন। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে দেড় বছর আগে
দেশে ফিরে আসেন। পরে তার সন্তানরা তাকে আর ওমান যেতে দেয়নি।
জয়াগ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত
আকবর জানান, শুক্রবার সকালে তাজুলের মরদেহ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
এরপর তার স্বজনেরা মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দেন।
মন্তব্য করুন