

দেশে ফিরছেন হেঁটে হজে যাওয়া
কুমিল্লার ছেলে আলিফ মাহমুদ আদিব।
রোববার (৭ জুলাই) দেশে ফেরার
কথা জানান আলিফ মাহমুদ।
সোমবার (৮ জুলাই) বেলা সাড়ে
১২টায় রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা তার।
২০২৩ সালের ৮ জুলাই কুমিল্লার
নাঙ্গলকোট উপজেলার নিজ গ্রাম বাতাবাড়িয়া থেকে আলিফ রওনা দেন পবিত্র নগরী মক্কার উদ্দেশ্যে।
নানা বাধা পেরিয়ে দীর্ঘ ৯ মাস হেঁটে ৭ হাজার ৮০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তিনি পবিত্র
হজ পালন করেন। তিনি জানান, ২০২৩ সালের ৮ জুলাই কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার নিজ গ্রাম
বাতাবাড়িয়া থেকে হেঁটে রওনা দেন পবিত্র নগরী মক্কার উদ্দেশে। দীর্ঘ ৯ মাসের পথচলায়
ভারত, পাকিস্তান, ইরান, ইরাক, দুবাই হয়ে পৌঁছান সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে।
হেঁটে সৌদি আরব গিয়ে হজ পালনের
সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে আলিফ জানান, হাজার বছর আগের ধর্ম প্রচার, ব্যবসা-বাণিজ্যের এই একমাত্র
পথ আকৃষ্ট করে তার ভ্রমণ পিপাসু মনকে। শুরুতে সাইকেলে চড়ে মক্কায় যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও,
পরে হেঁটে যাওয়ার সংকল্প করেন।
এদিকে হেঁটে হজে যাওয়ায় আলিফ
মাহমুদের ভূয়সী প্রশংসা করছেন সৌদি আরবে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যে যেভাবে
পেরেছেন তাকে সহযোগিতা করেছেন। তার থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাসহ নানাভাবে এগিয়ে এসেছেন প্রবাসী
বাংলাদেশিরা।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা নিয়ে
মাহমুদ বলেন, ইচ্ছে আছে আরো বহু দেশ ভ্রমণ করবো, নিজের মত করে একটি মাদরাসা ও মসজিদ
প্রতিষ্ঠা করবো, অসহায় গরীবদের পাশে দাঁড়াবো। পথশিশুদের জন্য কিছু করবো।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, এ বছর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নির্বিঘ্নে দুর্গাপূজা পালন করতে পারবেন। উৎসব ঘিরে সারাদেশে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পুরান ঢাকার বাংলাবাজার এলাকার একটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দুর্গাপূজা সার্বজনীন উৎসব। মানুষ যেন ভয়ভীতি ছাড়াই আনন্দের সঙ্গে পূজা করতে পারে, সে জন্য সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশের দায়িত্ব হলো সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
আইজিপি জানান, পূজার প্রস্তুতি পর্বে কিছু এলাকায় প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে এবং কয়েকটি ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা কোনো কিছু অবহেলা করছি না। এ ধরনের ঘটনা ঘটলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি পূজায় কোনো বিশৃঙ্খলা ঘটাতে পারে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বাহারুল আলম বলেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। রাজধানীসহ সারাদেশের পূজা কমিটির সঙ্গে ইতোমধ্যেই মতবিনিময় হয়েছে। ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের মাধ্যমে আগাম তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
মন্তব্য করুন


শনিবার রাত ১২টার পর বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস ও টঙ্গীর স্টেশন রোড থেকে কামারপাড়া পর্যন্ত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার ইব্রাহিম শনিবার সকালে ইজতেমা ময়দানে সাংবাদিকদের বলেন, ইজতেমার আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে জিএমপির ট্রাফিক বিভাগকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। যেহেতু দূর-দূরান্ত থেকে মোনাজাতে অংশগ্রহণের জন্য মুসল্লিরা আসবেন, সেহেতু শনিবার (৩ জানুয়ারি) রাত ১২টার পর থেকে কয়েকটি সড়ক বন্ধ রাখা হবে।
তিনি আরো জানান, আখেরি মোনাজাতে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নেবেন। এ কারণে তাদের সুবিধার জন্য শনিবার রাত ১২টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজধানীর আবদুল্লাহপুর থেকে গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস, আবদুল্লাহপুর থেকে কামারপাড়া রোড হয়ে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী স্টেশন রোড পর্যন্ত সড়ক, আবদুল্লাহপুর থেকে আশুলিয়ার বাইপাইল পর্যন্ত এবং মিরের বাজার থেকে টঙ্গী পর্যন্ত সড়কে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
পুলিশের উপকমিশনার আরো বলেছেন, সেক্ষেত্রে ঢাকাগামী লোকজন ও যানবাহনগুলোকে ভোগড়া বাইপাস দিয়ে তিনশো ফিট রাস্তা ব্যবহার করে চলাচল করতে বলা হয়েছে। যেসব লোকজন ময়মনসিংহ বা গাজীপুর যাবেন, তারা বাইপাইল থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা হয়ে চলে যেতে পারবেন।
মন্তব্য করুন


সৌদি আরবে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নোয়াখালী, চাঁদপুর ও ফরিদপুরের বিভিন্ন গ্রামে আজ থেকে রোজা শুরু হয়েছে।রবিবার(১০ মার্চ) রাতে তারাবির নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে রোজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছেন এসব গ্রামের বাসিন্দারা।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফের পীরজাদা ড. বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী বলেছেন, আগাম রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মাওলানা ইসহাক (রহ.)। প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন। সৌদি আরবে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার খবর পেয়েছি। আমরা নিজেরাও খোঁজখবর নিয়ে নিশ্চিত হয়েছি। তাই সোমবার থেকে রোজা রাখব আমরা।
হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবারের পীর মাওলানা আরিফ চৌধুরী বলেছেন, সর্বপ্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোজা রাখি এবং ঈদ উদযাপন করি। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলেই আমরা রোজা ও ঈদুল ফিতর পালন করছি। বর্তমানে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর হয়ে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে ঈদ উদযাপন করছে।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলার ৪ গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রেখেছেন।
গতকাল রাতে ২ উপজেলার ৯টি মসজিদে একযোগে পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে তারাবির নামাজের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গ্রামগুলো হলো- নোয়াখালী পৌরসভা লক্ষ্মীনারায়ণপুর এবং হরিণারায়নপুর গ্রাম, বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর গ্রাম।
মসজিদগুলো হলো, বসন্তবাগ পোদ্দার বাড়ি জামে মসজিদ, বসন্তবাগ গ্রামের নগর বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বসন্ত বাগ গ্রামের সিনিয়র মাদ্রাসা জামে মসজিদ, বসন্তবাগ গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, পশ্চিম বসন্তবাগ গ্রামের মুন্সি বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, ফাজিলপুর গ্রামের দায়রা বাড়ির জামে মসজিদ, বেগমগঞ্জের জিরতলী ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের জামে মসজিদ ও নোয়াখালী পৌরসভা লক্ষীনারায়ণপুর গ্রামের দায়রা বাড়ি কাছারিঘর, হরিণারায়নপুর রশিদিয়া রহিমিয়া দরবার শরিফ।
নোয়াখালী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের রশিদিয়া রহিমিয়া দরবার শরিফের মুসল্লি আবু তাহের বলেছেন, আমার দাদারা পালন করেছেন। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আমরা তারাবির নামাজ আদায় করলাম। এটাই আমাদের আনন্দ।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার ১৩ গ্রামের ৩ সহস্রাধিক বাসিন্দা আজ থেকে রোজা শুরু করবেন। রবিবার তারা প্রথম তারাবির নামাজ আদায় করেন।
বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড়, রাখালতলী, বারাংকুলা, দড়ি সহস্রাইল, সহস্রাইল, মাইটকুমড়া, ভুলবাড়িয়া, এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলার ইছাপাশা ও শুকুরহাটাসহ ১৩টি গ্রামের হাজারো মানুষ গতকালের তারাবি নামাজে অংশ নেন।
আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বোয়ালমারীর কাটাগড় গ্রামের বাসিন্দা মাহিদুল হক। তিনিই মূলত এ সম্প্রদায়ের নেতৃত্ব দেন।
তিনি বলেছেন, আমাদের পূর্ব পুরুষ কলকাতার মির্জাখিল পীরের তরিকাপ্রাপ্ত চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার হযরত ইয়াছিন আলী (রহ.) পীরের অনুসারী। যারা মির্জাখিল পীরের অনুসারী তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখা, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। সেই হিসেবে সৌদি আরবে রোজা শুরু হওয়ায় আমাদের তেরো গ্রামেও রোজা শুরু হয়েছে।
মন্তব্য করুন


সৌদি আরবে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর
মৃত্যু হয়েছে।
তার নাম মো: আসাদুজ্জামান (৫৭)। পাসপোর্ট
নম্বর- এ১৩৫৬১০৪৩৪।
মদিনায় তার মৃত্যু হয় বলে শনিবার (১৮
মে) হজ পোর্টালের সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, পবিত্র হজ পালন করতে
এখন পর্যন্ত (১৭ মে রাত ১টা ৫৯ মিনিট) সৌদি পৌঁছেছেন ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী। মোট
৬৮টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি
ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২৩ হাজার ৩৬৪ জন। এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার ১টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।
সৌদি আরবের চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে প্রদত্ত
স্বয়ংক্রিয় চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র সংখ্যা ১ হাজার ৫১৩টি।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বৈষম্য বিরোধী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সকল নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি এখন সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের আরাধনা শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। এই দেশ আমাদের সকলের। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এদেশ সকল মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকলের ভাগ্য উন্নয়ন এবং সমান অধিকার সুনিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বাংলাদেশের সকল নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন।
মন্তব্য করুন


রমজান মাসের পুরোটা জুড়েই রয়েছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত।
নবী রাসুলুল্লাহ (সা.) বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, রমজান মাসের প্রথম ১০ দিন হলো রহমত; তার দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাত; এর শেষ ১০ দিন হলো নাজাত।
আজ রোববার (৩১ মার্চ) শেষ হচ্ছে মাগফিরাতের দ্বিতীয় দশক। সেই সাথে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে রমজান মাসের শেষ দশক ‘নাজাত’।
এই নাজাতের দশকে এমন একটি রাতের কথা বলা হয়েছে, যেই রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম। কারণ, এ রাতেই প্রথম পবিত্র মক্কার হেরা পর্বতের গুহায় মহান আল্লাহ মুহাম্মাদ (সা.)-এর কাছে পবিত্র কোরআন নাজিল করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি একে নাজিল করেছি কদরের রাতে। তুমি কি জানো, কদরের রাত কী? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।’ (সুরা কদর: ১-৩)
তাই আজ রাত থেকে শুরু হচ্ছে শেষ দশকের বেজোড় রাত।
মূলত, ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ এই পাঁচ দিন যদি পূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে কোন বান্দা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত করেন, তাহলে সেই বান্দার ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম হিসেবে মালিক আল্লাহ গ্রহণ করবেন।
‘শবে কদর’ কথাটি ফারসি। শব মানে রাত বা রজনী আর কদর মানে সম্মান, মর্যাদা, গুণাগুণ, সম্ভাবনা, ভাগ্য ইত্যাদি। শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদার রাত বা ভাগ্যরজনী। শবে কদরের আরবি হলো লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত। তবে মর্যাদার রাতটি পাওয়া এতো সহজ নয়। কঠিন কিন্তু ঈমানদারগণ যদি নেক দিলে ইবাদাত করে, মহান আল্লাহ অবশ্যই পুরস্কার দিবেন।
এ রাতটি রমাযানের শেষ দশকে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘‘রমজানের শেষ দশদিনে তোমরা কদরের রাত তালাশ কর।’’ (বুখারী : ২০২০; মুসলিম : ১১৬৯)
মহিমান্বিত এ রাতকে আল্লাহ তাআলা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে সুপ্ত রেখেছেন। তিনি এটাকে সুনির্দিষ্ট করে বলেননি।
তিনি বলেছেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে শবে কদর অনুসন্ধান করো।
মন্তব্য করুন


দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর দুষ্কৃতকারীদের হামলা ও নির্যাতনের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী।
একই সঙ্গে শক্তিশালী কমিশন গঠনের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে হামলার বিচারও দাবি করেছে সংগঠনটি।
সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কার্যালয়ে আয়োজিত হিন্দু-বৌদ্ধসহ ভিন্ন ধর্মাবলম্বী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জামায়াতের পক্ষ থেকে এসব দাবি উপস্থাপন করেন দলটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, হিন্দুদের সুরক্ষায় জামায়াত দুটি দাবি নিয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথম দাবি হলো: রাষ্ট্রীয়ভাবে হিন্দু সম্প্রদায়কে সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। কোনো একটা দল বা কোনো একটা লোক দাড়ি-টুপি পরে লাঠি হাতে মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকাটা খুবই বেমানান দেখায়। আমরা মনে করি এখন যেহেতু সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজে ফিরেছে, এখন সরকারের উদ্যোগে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক। আমাদের দ্বিতীয় দাবি হলো: স্বাধীন কমিশন করে হিন্দুদের ওপর হামলা-নির্যাতনের বিচার দাবি জামায়াতের। জামায়াতে ইসলামীকে হিন্দুবিদ্বেষী দল বলে ধারণা করা হয়। এটা এক ধরনের অপপ্রচার ছাড়া কিছুই না। পাশাপাশি হিন্দুদের ব্যবহারেও একটি অপপ্রচার দেশে আছে, সেটি হলো হিন্দু মানেই মনে করা হয় আওয়ামী লীগ। জামায়াতকে যেমন হিন্দুবিরোধী অপপ্রচার দেওয়া হয়েছে, তেমনি হিন্দুদেরও আওয়ামী লীগের একটা ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এজন্য হিন্দুদেরও যেমন জামায়াতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধে কাজ করতে হবে, তেমনি জামায়াতকেও হিন্দু মানেই আওয়ামী লীগ ‘তকমা’ দূরীকরণে কাজ করতে হবে। জামায়াত হিন্দুদের ওপর আঘাতে বিশ্বাস করে না। আঘাত হিন্দু হোক, মুসলমান হোক দুই ধর্মেই নিষিদ্ধ। আমি নিজে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকার এমপি ছিলাম। আমাকে হিন্দুরাও অনেক ভোট দিয়েছিল, তারা আমাদের বিশ্বাস করে। আমাদের ওপর তাদের পুরোপুরি আস্থা আছে। এটা আমার আদর্শিক দায়িত্ব।
হিন্দু-বৌদ্ধসহ অন্যান্য ধর্মীয় নেতাদের উদ্দেশে জামায়াতের এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বাইরেও যদি আপনারা আপনাদের নিরাপত্তায় জামায়াতকে প্রয়োজন মনে করেন, রাত ৩টা বা ৪টা যেকোনো সময়েই আমাদেরকে ফোন করবেন, আমরা আপনাদের পাশে দাঁড়াব।
মন্তব্য করুন


নিজেদের সংখ্যালঘু হিসেবে নয়, বরং মানুষ
হিসেবে এবং বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করে সাংবিধানিক অধিকার চাওয়ার আহ্বান
জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে হিন্দু
সম্প্রদায়ের ওপর বিভিন্ন হামলার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার
প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী
মন্দিরে সনাতন ধর্মালম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, এমন বাংলাদেশ আমরা করতে যাচ্ছি, যেখানে সবাই এক পরিবার। এটা হলো মূল জিনিস। এখানে
পরিবারের মধ্যে কোনো পার্থক্য করা, বিভেদ করা, এটার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমরা মুসলমান,
হিন্দু, বৌদ্ধ হিসেবে বিবেচিত নই; মানুষ হিসেবে বিবেচিত। আমাদের অধিকারগুলো নিশ্চিত
হোক। আপনারা যদি টেনে টেনে নিয়ে আসেন আমি ওমুক, আমি তমুক, এটা আবার পুরোনো জায়গায় চলে
গেলো। আপনারা বলেন যে আমি মানুষ, আমি বাংলাদেশের মানুষ, আমার সাংবিধানিক অধিকার এই,
আমাকে দিতে হবে। সব সরকারের কাছে এটাই চাইবেন। সব সমস্যার গোড়া হলো আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো
পচে গেছে। এ কারণেই এসব গোলমাল হচ্ছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করতে হবে। ন্যায়বিচার
হলে কে বিচার পাবে না আমাকে বলেন। কোন ধর্মের, কোন জাতের, আইনে কি বলা আছে যে মুসলমান
সম্প্রদায় হলে এই আদালতে হবে, হিন্দু হলে ওই আদালতে যাবে। সবার জন্য আইন একটা, কার
সাধ্য আছে সেখানে বিভেদ করে যে এ রকম একটা, ওই রকম একটা। এটা এমন রোগ, মূলে যেতে হবে।
আপনারা যদি বলেন আমাদের সংখ্যালঘুরা, এটা বললে মূল সমস্যা থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি।
আমাদের বলতে হবে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেটা পেলে বাকস্বাধীনতা
প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটিই হলো আমাদের মূল লক্ষ্য।
সনির্বন্ধ অনুরোধ আপনারা বিভিন্ন খোপের (বিভেদ) মধ্যে চলে যাইয়েন না। এই খোপ হলে, খোপের
মধ্যে মারামারি-কাটাকাটি লেগে যাবে। এক হয়ে আসেন। এক আইন, আমাদের আইনি অধিকার দিতে
হবে। বলেন, আপনারা আইনি অধিকার পান না, বিচার হয় না। এটাই হলো আসল জিনিস। বিচারব্যবস্থা
আমাদের দিকে তাকায় না, পুলিশ আমাদের দিকে তাকায় না। কারণ, আমি অধিকারটা … করতে পারি
নাই। আমাদের নীতিটা আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারি নাই। খোপ খোপ করতে আরম্ভ করবেন, তারাও
মজা পেয়ে যাবে। ওই মজার খেলাতে আমাদের আর নিয়ে যাইয়েন না। আমরা এসেছি, আমরা এক মানুষ,
আমাদের এক অধিকার। এর মধ্যে কোনো পার্থক্য করা যাবে না। একটু সহযোগিতা করেন আমাদের,
একটু ধৈর্য্য ধরেন। কী করতে পারলাম, কী পারলাম না সেটা পরে বিচার কইরেন। যদি না পারি
আমাদের দোষ দেবেন।
এর আগে সনাতন ধর্মের ধর্মীয় নেতারা
বিভিন্ন সময় তাদের ওপর হামলার কথা তুলে ধরেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের কাছে এসব
সমস্যার স্থায়ী প্রতিকার চান। ড. মুহাম্মদ ইউনূস অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায়
প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে তাদের আশ্বাস দেন।
মন্তব্য করুন


হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিরাপত্তা রক্ষায় দেশব্যাপী জেলায় জেলায় সেনাবাহিনী
মোতায়েন থেকে পূজামন্ডপ সমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সদা তৎপর রয়েছে। হিন্দু
ধর্মাবলম্বী প্রত্যেক বাংলাদেশী অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে উৎসবমুখর পরিবেশে
শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করবেন এবং অন্যান্য সকল ধর্মাবলম্বীগণ সহযোগিতা ও
সম্প্রীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের
শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন সার্থক ও সুন্দর করে তুলবেন- এই প্রত্যাশা বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীর।
মন্তব্য করুন


ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন
বলেছেন, দেশের দুর্যোগ দুর্দিনে এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশবাসীর কল্যাণে পাশে আছে
এবং থাকবে। বন্যায় যাদের ঘর ভেসে গেছে, তাদের নতুনভাবে ঘর করে দেওয়া হবে।
আজ (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুর
জেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমটুয়া আল আরাবিয়া দারুল উলুম মাদরাসা মাঠে বানভাসিদের
মাঝে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, বন্যায় যারা অত্যন্ত
ক্ষতিগ্রস্ত, যাদের ঘর পানিতে মিশে গেছে, যারা রাস্তার ওপর থাকছেন তাদের ছোটখাটো বাড়ি
করে দেওয়া হবে।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, লক্ষ্মীপুর,
ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যাদুর্গতদের সাহায্যে আলেম সমাজ ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তারা মাঠে ময়দানে
গিয়ে সাহায্য করছেন। ফেনী মুহুরি নদীর দিকে বেসরকারি উদ্যোগে এক কোটি টাকা খরচ করে
বাঁধ তৈরি করা হচ্ছে। সরকারি উদ্যোগেও কাজ চলছে। ইনশাআল্লাহ, আমরা এ বিপদ থেকে উদ্ধার
হতে পারবো। আমরা আল্লাহর সাহায্য কামনা করি।
আল-মানাহিল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ আয়োজন
করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রামের জামিয়া ইসলামিয়া জিরির মুতামিম মাওলানা
খোবাইন বিন তৈয়ব, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ
তারেক বিন রশিদ ও কমলনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ
প্রমুখ।
আয়োজকরা জানায়, আল-মানাহিল ফাউন্ডেশনের
উদ্যোগে বন্যায় দুর্গত ৫০০ পরিবারে মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে দুই শতাধিক
মানুষের মাঝে শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন