

দেশে ফিরছেন হেঁটে হজে যাওয়া
কুমিল্লার ছেলে আলিফ মাহমুদ আদিব।
রোববার (৭ জুলাই) দেশে ফেরার
কথা জানান আলিফ মাহমুদ।
সোমবার (৮ জুলাই) বেলা সাড়ে
১২টায় রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা তার।
২০২৩ সালের ৮ জুলাই কুমিল্লার
নাঙ্গলকোট উপজেলার নিজ গ্রাম বাতাবাড়িয়া থেকে আলিফ রওনা দেন পবিত্র নগরী মক্কার উদ্দেশ্যে।
নানা বাধা পেরিয়ে দীর্ঘ ৯ মাস হেঁটে ৭ হাজার ৮০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তিনি পবিত্র
হজ পালন করেন। তিনি জানান, ২০২৩ সালের ৮ জুলাই কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার নিজ গ্রাম
বাতাবাড়িয়া থেকে হেঁটে রওনা দেন পবিত্র নগরী মক্কার উদ্দেশে। দীর্ঘ ৯ মাসের পথচলায়
ভারত, পাকিস্তান, ইরান, ইরাক, দুবাই হয়ে পৌঁছান সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে।
হেঁটে সৌদি আরব গিয়ে হজ পালনের
সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে আলিফ জানান, হাজার বছর আগের ধর্ম প্রচার, ব্যবসা-বাণিজ্যের এই একমাত্র
পথ আকৃষ্ট করে তার ভ্রমণ পিপাসু মনকে। শুরুতে সাইকেলে চড়ে মক্কায় যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও,
পরে হেঁটে যাওয়ার সংকল্প করেন।
এদিকে হেঁটে হজে যাওয়ায় আলিফ
মাহমুদের ভূয়সী প্রশংসা করছেন সৌদি আরবে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যে যেভাবে
পেরেছেন তাকে সহযোগিতা করেছেন। তার থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাসহ নানাভাবে এগিয়ে এসেছেন প্রবাসী
বাংলাদেশিরা।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা নিয়ে
মাহমুদ বলেন, ইচ্ছে আছে আরো বহু দেশ ভ্রমণ করবো, নিজের মত করে একটি মাদরাসা ও মসজিদ
প্রতিষ্ঠা করবো, অসহায় গরীবদের পাশে দাঁড়াবো। পথশিশুদের জন্য কিছু করবো।
মন্তব্য করুন


দেশের আকাশে হিজরি শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে শবে বরাত পালিত হবে বলে জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায়। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুঃ আঃ আউয়াল হাওলাদার সভাটির সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে জানানো হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহাঃ বশিরুল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. কাউসার আহামদ, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমীন, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিনুর রহমানসহ আরও অনেকে।
মন্তব্য করুন


মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে আজ শুরু হয়েছে সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসবের। কাঁসর, ঘণ্টা, শঙ্খ আর উলুধ্বনিতে ভোর থেকেই মন্দিরগুলোতে চলছে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। পাঁচ দিনের এ উৎসব শেষ হবে আগামী ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শ্রীপঞ্চমীতে দেবীর বোধন (জাগ্রত) সম্পন্ন হওয়ার পর আজ রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) শুরু হয়েছে মহাষষ্ঠী।
গতকাল ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বোধনের নিয়মাবলি যথাযথভাবে অনুসরণ করে এই বন্দনা পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বোধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন তিনজন পুরোহিত। তারা হলেন, মন্দিরের উপদেষ্টা পুরোহিত প্রণব চক্রবর্তী এবং অন্যতম পুরোহিত বরুণ চক্রবর্তী ও ধর্মদাস মুখোপাধ্যায়।
পুরোহিত প্রণব চক্রবর্তী বলেন, দেবীর বোধন হয় ষষ্ঠীতে সায়ংকালে অর্থাৎ সূর্যাস্তের পরে, এটাই নিয়ম। শনিবার সকাল ৯টা ১৮ মিনিট পর্যন্ত পঞ্চমী ছিল। এরপর থেকে ষষ্ঠী শুরু হয়েছে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত আছে। তা ছাড়া রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) ষষ্ঠী শেষ হয়ে যাবে বেলা ১১টা ১২ মিনিটে। তারপর সপ্তমী শুরু হয়ে যাবে। ফলে রোববার সন্ধ্যাকালে আর ষষ্ঠী পাওয়া যাবে না। সেজন্যই আজকে দেবীর বোধন সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বোধনের নিয়মটা হচ্ছে বিল্ববৃক্ষ তলে পূজাটা হয়। কারণ, বিল্ববৃক্ষে দেবী দুর্গা ছোট্ট শিশু কুমারীরূপে অবস্থান করেন। দক্ষিণায়নের কারণে দেবী যেহেতু নিদ্রিত থাকেন, তা থেকে তাকে জাগরিত করার জন্য এই বন্দনা পূজা করা হয়। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণে বেলগাছের তলে দুর্গাপূজার বোধনের নিয়মাবলি অনুসরণ করে এই পূজাটা করা হয়েছে।
নিয়মঅনুযায়ী, আজ ষষ্ঠীতে দুর্গা দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস সম্পন্ন হয়েছে। সকালে বেলগাছ তলে (বিল্ববৃক্ষের নিচে) দেবীর আবাহন, সংকল্প এবং ‘ত্রিনয়নী’ দুর্গা দেবীর নিদ্রা ভাঙিয়ে পূজার্চনার মাধ্যমে তাকে বরণ করা হয়। এ বছর দেবী দুর্গা এসেছেন গজে (হাতি) চড়ে। গজে আগমনের অর্থ শান্তি, সমৃদ্ধি ও শস্য-শ্যামলার প্রতীক। পূজা শেষে দেবীর প্রস্থান হবে দোলায় (পালকি) চড়ে, যা মহামারী বা মড়কের ইঙ্গিত বহন করে। আগামীকাল মহাসপ্তমীর দিন থেকে শুরু হবে দুর্গোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা।
ঢাকায় এবার ৭টি বেড়ে মোট ২৫৯টি মন্দির-মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর সারা দেশে মোট মন্দির-মণ্ডপের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৩৫৫টি, যা গতবারের তুলনায় হাজারখানেকের বেশি।
মন্তব্য করুন


বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের সাদাকাতুল ফিতরের (ফিতরা) হার নির্ধারণ করা হয়।
রমজানে এ বছর বাংলাদেশে ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর (২০২৩) সর্বোচ্চ ফিতরা ২ হাজার ৬৪০ টাকা, তবে সর্বনিম্ন ফিতরা ১১৫ টাকাই ছিল।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন। এতে ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট আলেমরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সাংবাদিকদের ফিতরার হার জানান।
সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয় যে, ইসলামী শরীয়াহ মতে মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী গম, আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের যে কোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজার মূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করতে পারবেন। এসব পণ্যের বাজার মূল্য হিসাব করে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়। গম ও আটার ক্ষেত্রে এর পরিমাণ এক কেজি ৬৫০ গ্রাম (অর্ধ সা’)। খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের (এক সা’) মাধ্যমে সাদকাতুল ফিতর (ফিতরা) আদায় করতে হয়।
হাফেজ মুফতি মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন জানান, উন্নতমানের আটা বা গমের ক্ষেত্রে ফিতরা এক কেজি ৬৫০ গ্রাম (অর্ধ সা’) বা এর বাজার মূল্য ১১৫ টাকা। যবের ক্ষেত্রে (এক সা’) ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৪০০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।
এছাড়া ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম কিসমিস বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ১৪৫ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে। খেজুরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ৪৭৫ টাকা ও পনিরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৯৭০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করতে হবে বলে জানান কমিটির সভাপতি।
ফিতরার পণ্যের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। সে অনুযায়ী স্থানীয় মূল্য পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে বলেও জানান মাওলানা রুহুল আমিন।
নেছাব পরিমাণ (সাড়ে ৭ তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ তোলা রুপার সমপরিমাণ) মালের মালিক হলে মুসলমান নারী পুরুষের ওপর ঈদের দিন সকালে সাদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব হয়। ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে ফিতরা আদায় করতে হয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ বা ১১ এপ্রিল মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
মন্তব্য করুন


রমজান মাসের পুরোটা জুড়েই রয়েছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত।
নবী রাসুলুল্লাহ (সা.) বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, রমজান মাসের প্রথম ১০ দিন হলো রহমত; তার দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাত; এর শেষ ১০ দিন হলো নাজাত।
আজ রোববার (৩১ মার্চ) শেষ হচ্ছে মাগফিরাতের দ্বিতীয় দশক। সেই সাথে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে রমজান মাসের শেষ দশক ‘নাজাত’।
এই নাজাতের দশকে এমন একটি রাতের কথা বলা হয়েছে, যেই রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম। কারণ, এ রাতেই প্রথম পবিত্র মক্কার হেরা পর্বতের গুহায় মহান আল্লাহ মুহাম্মাদ (সা.)-এর কাছে পবিত্র কোরআন নাজিল করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি একে নাজিল করেছি কদরের রাতে। তুমি কি জানো, কদরের রাত কী? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।’ (সুরা কদর: ১-৩)
তাই আজ রাত থেকে শুরু হচ্ছে শেষ দশকের বেজোড় রাত।
মূলত, ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ এই পাঁচ দিন যদি পূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে কোন বান্দা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত করেন, তাহলে সেই বান্দার ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম হিসেবে মালিক আল্লাহ গ্রহণ করবেন।
‘শবে কদর’ কথাটি ফারসি। শব মানে রাত বা রজনী আর কদর মানে সম্মান, মর্যাদা, গুণাগুণ, সম্ভাবনা, ভাগ্য ইত্যাদি। শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদার রাত বা ভাগ্যরজনী। শবে কদরের আরবি হলো লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত। তবে মর্যাদার রাতটি পাওয়া এতো সহজ নয়। কঠিন কিন্তু ঈমানদারগণ যদি নেক দিলে ইবাদাত করে, মহান আল্লাহ অবশ্যই পুরস্কার দিবেন।
এ রাতটি রমাযানের শেষ দশকে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘‘রমজানের শেষ দশদিনে তোমরা কদরের রাত তালাশ কর।’’ (বুখারী : ২০২০; মুসলিম : ১১৬৯)
মহিমান্বিত এ রাতকে আল্লাহ তাআলা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে সুপ্ত রেখেছেন। তিনি এটাকে সুনির্দিষ্ট করে বলেননি।
তিনি বলেছেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে শবে কদর অনুসন্ধান করো।
মন্তব্য করুন


১৪৪৫ হিজরির পবিত্র হজ মৌসুমের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুর ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব।
সম্প্রতি জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হজ ও ওমরাহ সম্মেলনে দেশটির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. তাওফিক আল-রাবিয়াহ এ ঘোষণা দেন।
সারা বিশ্বের মুসলিমদের হজযাত্রা স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে এবং হজযাত্রীদের মধ্যে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা তৈরি করতে জেদ্দায় তিন দিনব্যাপী হজবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত চার দিনব্যাপী এ সম্মেলনে অংশ নেয় বিভিন্ন দেশের ৮০ জন মন্ত্রী ও হজ প্রতিনিধিদলের প্রধান, ২৭টি সরকারি এজেন্সি এবং দুই শতাধিক সেবাপ্রদানকারী সংস্থা। সৌদি ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সম্মেলনে ৭৬টি দেশের সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে হজবিষয়ক ২২০টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পাশাপাশি এ সম্মেলনে ৫০টির বেশি ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়।
তা ছাড়া ১৯৩৮ সালের তৈরি পবিত্র কাবাঘরের একটি কিসওয়া (গিলাফ) প্রদর্শন করা হয়, যা প্রয়াত বাদশাহ আবদুল আজিজ বিন আবদুর রহমান আল-সৌদের নামে উৎসর্গ করা হয়।
উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১ মার্চ হজের ভিসা ইস্যু শুরু হবে এবং ২৯ এপ্রিল শেষ হবে। এরপর ৯ মে থেকে সৌদি আরবে হজযাত্রীদের গমন শুরু হবে।
গত বছর বিভিন্ন দেশ থেকে ১৩ কোটি ৫৫ লাখের বেশি মুসলিম ওমরাহ পালন করে, যা ছিল সৌদি আরবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যা।
মন্তব্য করুন


আগামীকাল জানা যাবে এ বছর বাংলাদেশে ফিতরার হার কত । ১৪৪৫ হিজরি সনের (২০২৪) সাদাকাতুল ফিতরের হার নির্ধারণে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটি সভায় বসছে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমীন জানিয়েছেন রাজধানীর বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে বিশিষ্ট মুফতি ও আলেমদের নিয়ে গঠিত জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সদস্যরা থাকবেন ।
সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটির সভাপতি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
ইসলামী শরীয়াহ মতে, মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী আটা, গম, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের যে কোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজার মূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করেন।
নেছাব পরিমাণ (সাড়ে ৭ তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ তোলা রুপার সমপরিমাণ) মালের মালিক হলে মুসলমান নারী পুরুষের ওপর ঈদের দিন সকালে সাদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব হয়। ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে ফিতরা আদায় করতে হয়।
গত বছর (২০২৩ সাল) এর নির্ধারিত ফিতরার হার ছিল উন্নতমানের আটা বা গমের ক্ষেত্রে ১১৫ টাকা, যবের ক্ষেত্রে ৩৯৬ টাকা, কিসমিসের ক্ষেত্রে এক হাজার ৬৫০ টাকা, খেজুরের ক্ষেত্রে এক হাজার ৯৮০ টাকা ও পনিরের ক্ষেত্রে ২ হাজার ৬৪০ টাকা। অর্থাৎ গত বছর বাংলাদেশে ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন


হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে স্মরণে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষ্যে কুমিল্লায় সংবাদ সম্মেলন করেছে কেন্দ্রীয় ঈদ-ই মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তা'য়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদযাপন কমিটি।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় কুমিল্লা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদ-ই মিলাদুন্নবী(সাঃ) উদযাপন কমিটির অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান।
তিনি বলেন, আগামী ১১ ও ১২ রবিউল আউয়াল শরীফ মোতাবেক ১৫ সেপ্টেম্বর প্রতিবছরের ন্যায় নাতে রাসুল, দরুদ সালামসহ নারায়ে রিসালাত শ্লোগানে মুখরিত হবে কুমিল্লা। কুমিল্লা টাউন হল মাঠ থেকে জশনে জুলুছ ও মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন বাদ আছরের পর টাউনহল মাঠ থেকে কেন্দ্রীয় জুলুছ নগরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করবে। এতে সকলের উপস্থিতি কামনা করেন তিনি।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আরবের মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত কুরাইশ গোত্রে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। অন্ধকার যুগ থেকে মানবজাতির মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতায়ালা রাসুলুল্লাহকে (সা.) প্রেরণ করেন এই ধরাধামে। পবিত্র কোরআন শরিফে বর্ণিত আছে, মহানবীকে (সা.) সৃষ্টি না করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীই সৃষ্টি করতেন না।
এর আগে হাফেজ আমিনুল ইসলাম আকবরীর কোরআন তেলায়তের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
উপস্থিত ছিলেন, জুলুছ সম্পাদক খাদেম মোহাম্মদ ফিরোজ আল মাইজভান্ডারি, দপ্তর সম্পাদক আলহাজ্ব শাহ মোহাম্মদ ইউনুছ গাফ্ফারী বখশী, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা অধ্যক্ষ মো.মাসুম বিল্লাহ,সহ জুলুছ সম্পাদক শাহ- ইত্তেহাদুর রশিদ বীপু বখশী, নবীনগর বিশ্ব এলাহী মন্জিল সাতমোড়া দরবার শরীফের গদ্দিনশীন পীরে তরকিত এডভোকেট শাহ.মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম চিশতী, মহানগর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'ত এর সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, কুমিল্লা ইসলামিয়া আলীয়া কামিল মাদ্রাসার মুদারীস হাফেজ মাওলানা আমিনুল ইসলাম আকবরী, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস ও প্রচার সম্পাদক রায়হান খানসহ অন্যান্যরা।
সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব কাজী এনামুল হক ফারুক। সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশের
আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে রমজান মাস শুরু।
সোমবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শেষে এ কথা জানান ধর্মমন্ত্রী
ফরিদুল হক খান।
আজ
রাতেই এশার নামাজের পর ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা তারাবির নামাজ আদায় শুরু করবেন এবং শেষরাতে
সাহরি খাবেন।
তার
আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠক
করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী ও কমিটির সভাপতি
মো. ফরিদুল হক খান। সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র
রমজান মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়,
বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন
প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে চাঁদ দেখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
মন্তব্য করুন


সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি আজ (৫ অক্টোবর ২০২৪) দুর্গাপূজা উদযাপনে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা অবলোকনে ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সকলকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
এ সময় তিনি উপস্থিত মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এর সভাপতি ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে মতবিনিময় করেন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনে সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে সারা দেশব্যাপী জেলায় জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন থেকে পূজামন্ডপ সমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সদা তৎপর রয়েছে।
সেই সাথে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রত্যেক বাংলাদেশী অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করবেন।
পাশাপাশি, তিনি অন্য সকল ধর্মাবলম্বীদের সহযোগিতা ও সম্প্রীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনে এগিয়ে আসার আহব্বান জানান।
মন্তব্য করুন


মুরাদুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারী রাজীবপুর উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্মিলিতভাবে পর্যবেক্ষণ করছে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর ) দিনব্যাপী কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী ও রাজীবপুর থানাধীন বিভিন্ন পূজা মন্ডপসমূহ সরজমিনে পরিদর্শন করেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক জনাব নুসরাত সুলতানা ও পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুর রহমান।
জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে পূজা মন্ডপ পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে নিরাপত্তা সহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন ও উপস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এছাড়াও পূজা চলাকালীন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন যাতে অটুট থাকে সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান সহ সকলকে সরকারি নির্দেশনা সমূহ মেনে চলার আহ্বান জানান। পাশাপাশি যথাসময়ে পূজা বিসর্জনের মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব সমাপ্তির আহ্বান সহ সকল পূজা মন্ডপ শতভাগ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
পূজা মন্ডপ পরিদর্শনের পাশাপাশি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয় রাজীবপুর উপজেলায় বডার হাট পরিদর্শন করেন।
এ সময় রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সার্কেল অফিসার মমিনুল ইসলাম রাজীবপুর অফিসার ইনচার্জ, বিজিবি,রাজীবপুর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঃ হাই সরকার, বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান মন্ডল, রাজীবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরুন মোহাম্মদ ইলিয়াস, রাজীবপুর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক রস্তম মাহমুদ লিখন,সহ আনসার বাহিনী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন