নড়াইলের নড়াগাতি থানার মহাজন গ্রামের
মালোপাড়ায় অতিরিক্ত মদ্যপানে পূজা নামে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে
ছাত্রীর মৃত্যু হলেও আজ বুধবার দুপুরে বিষয়টি জানাজানি হয়। মৃত পূজা গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি
উপজেলার ভাটিয়াপাড়া গ্রামের ননী বিশ্বাসের মেয়ে।
এ ঘটনায় আরেক স্কুলছাত্রী ত্রিনয়নী
বিশ্বাসকে (১৫) অসুস্থ অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ত্রিনয়নী রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার আবাশপুর গ্রামের পলাশ বিশ্বাসের মেয়ে।
মৃতের স্বজনদের থেকে জানা যায়, কার্তিয়ানী
পূজা উপলক্ষে পূজা ও তার খালাতো বোন ত্রিনয়নী মহাজন গ্রামে তাদের নানা মৃত দিল্লীশ্বরের
বাড়িতে বেড়াতে আসে। মঙ্গলবার দু’জনে মদ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনরা তাদের লোহাগড়া
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানে চিকিৎসক পূজাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের
কর্তব্যরত চিকিৎসক খালিদ সাইফুল্লাহ বেলাল জানান, পূজাকে মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে
হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। স্বজনদের বরাতে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পূজা অতিরিক্ত
মদ্যপানে মারা গেছে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) আশিকুর রহমান জানান, বিষয়টির ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে দুইটি ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রাম লণ্ডভণ্ড হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ে শতাধিক বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে চলতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে এলাকা বিদ্যুতবিহীন হয়ে পড়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার পাচুড়িয়া ও বানা ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে অসংখ্য গাছপালা ভেঙে এবং উপড়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় সড়কের উপরে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে অন্ধকার হয়ে যায় দুটি ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রাম।
বানা ইউনিয়নের কঠুরাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ইমরান হোসেন জানান, বানা ইউনিয়নের শিরগ্রাম, গড়ানিয়া, পাকুড়িয়া, টাবনী, টোনাপাড়া, শিয়ালদি চরপাড়া, জয়দেবপুর, আউশির হাট, কঠুরাকান্দি, মাজপাড়া, আড়পাড়া গ্রামে ঝড় আঘাত হানে। ঝড়ে কাচাঁ-আধাপাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা, পেঁয়াজ, রসুন, মশুরি, ধনিয়া, ধান, গমসহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গ্রামগুলোতে বিদ্যুত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেছে।
পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আমিনুর রহমান বলেন, ঝড়ে আমার ঘরবাড়ি, ফসলি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও যুগীবরাট, ভাটপাড়া, চাদড়া, পাচুড়িয়া, দেউলি, চরনারানদিয়া, ধুলজুড়ি, চরভাটপাড়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, বুধবার রাত একটার দিকে ঘূর্ণিঝড়ে দুই ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক কাঁচাপাকা বাড়িঘর ও কয়েকশ গাছপালা উপড়ে যায়। বিস্তীর্ণ জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নেন। ঘটনাস্থলে পোঁছে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করা হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুত সমিতির আলফাডাঙ্গা সাব জোনাল অফিসের এজিএম ফাহিম হাসান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সেখানে কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের তাঁর ছিড়ে গেছে, কয়েকটি খুঁটি ভেঙ্গে অনেকগুলো আঁকাবাঁকা হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে কাজ চলছে।
এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমীন ইয়াছমীনের মোবাইল নম্বারে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।
মন্তব্য করুন
মুরাদুল ইসলাম মুরাদ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
নীলফামারী জেলার সদরে সম্পত্তির ভাগ না পাওয়ায় বাবার কবরে শুয়ে মরদেহ দাফনে বাধা দিয়েছে নিহত ব্যক্তির আপন ছেলে।
শুক্রবার দুপুরে সদরের চাওড়া সরঞ্জাবাড়ি ইউনিয়নের বাটুল টারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মৃত ব্যক্তির তৃতীয় ছেলে নওশাদ আলী, বাবার মরদেহ দাফন ঠেকাতে কবরে শুয়ে পড়েন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, চাওড়া সরঞ্জাবাড়ি ইউনিয়নের বাটুল টারি গ্রামের বাসিন্দা চার সন্তানের জনক মজিবর রহমান। বৃহস্পতিবার রাতে হটাৎ মজিবর রহমান মারা যান। তবে মৃত্যুর পূর্বে নওশাদ আলী ছাড়া মজিবর রহমান বাকি তিন ছেলেকে সব সম্মত্তি লিখে দেন। ফলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃতীয় সন্তান নওশাদ। পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাবার মরদেহ দাফনে বাধা দেন তিনি। পরে পুলিশেই সহযোগিতায় মরদেহ দাফন করেন স্বজন ও স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম কবির শাহ বলেন, মৃত্যু মজিবর রহমান এর তৃতীয় ছেলেকে জমি লিখে না দেওয়ার কারণে তৃতীয় ছেলে বাবার দাফনে বাধা দেয়। পরে স্থানীয়রা সবাই মিলে পুলিশের সহায়তায় অন্য জায়গায় কবর খুড়ে মরদেহ দাফন করা হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে অন্য জায়গায় কবর খুড়ে দাফন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কিশোরগঞ্জে ভৈরবের মেঘনা নদীতে নৌকাডুবির
ঘটনায় নিহত পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা, তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে পাশাপাশি কবরে দাফন
করা হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।
এতে নয় জনের মৃত্যু হয়। জীবিত উদ্ধার হয়েছিল ১১ জন।
সোমবার (২৫মার্চ) কুমিল্লার দেবিদ্বার
উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামে সোহেল রানার বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর পাশে তাদের দুই সন্তানকে
সমাহিত করা হয়।
আজ সকালে সোহেল ও তার ছেলে রায়সুলের
মরদেহ উদ্ধার হয়। গত শনিবার সোহেলের স্ত্রী মৌসুমী আক্তার ও গতকাল রোববার মেয়ে মাহমুদার
মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সোহেল কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের আব্দুল আলিমের
ছেলে।
সোহেলের সর্বশেষ কর্মস্থল ছিল কিশোরগঞ্জ
জেলার ভৈরব হাইওয়ে থানা।
এদিকে সোমবার বিকালে সোহেলের বাড়িতে
গিয়ে দেখা যায়, সবাই মরদেহের অপেক্ষায় আছেন। তিনজনের মরদেহ বাড়িতে আনার খবরে ভিড় করেন
এলাকার লোকজন। সন্ধ্যার কিছু আগে অ্যাম্বুলেন্সে সোহেল ও তার দুই সন্তানের মরদেহ গ্রামের
বাড়িতে আনা হয়। বাদ মাগরিব জানাজা শেষে বাবা-মায়ের কবরের সাথে দুই শিশু সন্তানকে পাশাপাশি
কবরে দাফন করা হয়। এর আগে রোববার একই স্থানে মৌসুমী আক্তারের মরদেহ দাফন করা হয়।
গত শুক্রবার বিকেলে সোহেল তার স্ত্রী,
দুই সন্তান ও ভাগনি মারিয়াকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের সোনারচর দ্বীপ গ্রাম দেখতে
গিয়েছিলেন। ফেরার পথে নৌকায় থাকা অন্য পরিবারের লোকজন ছবি তোলার জন্য মাঝিকে অনুরোধ
করলে মাঝি তার হাতের বৈঠা ছেড়ে ছবি তুলে দিচ্ছিলেন। এ সময় নৌকাটি কিছুটা নিয়ন্ত্রণহীন
হয়ে পড়ে। তখন বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবাহী একটি বাল্কহেড ট্রলারটিকে ধাক্কা দিলে নৌকা
উল্টে যায়।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনার কুমিল্লা জেলার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জনশুমারির কুমিল্লা জেলার রিপোর্ট ও বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার)।
কুমিল্লা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. অমৃত কুমার দেবনাথ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা এবং স্বাগত বক্তব্যসহ জনশুমারির জেলার তথ্য তুলে ধরেন জেলা পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান।
পরে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান জনশুমারি ও গৃহগণনার কুমিল্লা জেলার রিপোর্টের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। জেলা প্রশাসক অনুষ্ঠানে উপস্থিত সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীলদের বইটি ব্যবহারের ওপর গুরত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে জনশুনানির রিপোর্টে বলা হয়, ২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী কুমিল্লার বর্তমান জনসংখ্যা ৬২ লাখ ১২ হাজার ২শ ১৬ জন। জনসংখ্যায় পুরুষের তুলনায় নারী সংখ্যা বেশি।
বর্তমানে কুমিল্লা মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার কারী ৭১ দশমিক ৪২ ভাগ। এর মধ্যে নারী চেয়ে পরুষ ব্যবহারকারী সংখ্যা বেশী। ইন্টারনেট ব্যবহার কারী কুমিল্লায় ৫০ দশমিক ২৯ ভাগ।নারী চেয়ে পুরুষ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেশী।
এদিকে কুমিল্লায় বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন জেলার ৯৯ দশমিক ৩৪ ভাগ মানুষ। যেখানে ১৯৯১ সালে ছিলো ১২ দশমিক ১৪ ভাগ। এছাড়াও জনশুমারিতে উঠে আসা জেলার নানা তথ্য তুলে ধরা হয় এই রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ মিয়া,কচুয়া:
ইউটিউব দেখে ড্রাগন চাষ করে সফল হয়েছে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা বিতারা গ্রামের যুবক আক্তার বেপারী। প্রথমে ৬০টি ড্রাগন চারা রোপন করে বছর খানেক পর ২ লক্ষ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি করেছেন। একদিকে পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মেটাচ্ছেন অপরদিকে বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন। প্রথমে একটু কষ্ট ও পরিশ্রম হলেও এখন সফলতার স্বপ্ন দেখছেন।
জানা যায়, বিতারা গ্রামের অধিবাসী ইসমাইল বেপারীর ছেলে আক্তার বেপারী ৩ বছর পূর্বে প্রথমে ইউটিউব দেখে যশোরের বেনাপোল থেকে সখের বশে ড্রাগন চারা ক্রয় করে বাড়ির আঙ্গিনা রোপন করেন। পরে নিজেই এবং শ্রমিকদের দিয়ে পরিচর্চা করেন। বছর খানেক যেতেই ফল ধরা শুরু হয়। এতে নিজের পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন তিনি। তার এ ড্রাগন বাগান থেকে এলাকার স্থানীয়রা চারা সংগ্রহ করছেন।
ড্রাগন চাষী যুবক আক্তার বেপারী বলেন, প্রথমে অনেকের ভুল ধারনা থাকলেও এখন আর নেই। পরিশ্রম ও পরিচর্চার কারনে প্রতি বছর ভালো ফলন আসছে। গত বছর প্রায় ২লক্ষ টাকা বিক্রি করেছি। আশা করছি চলতি মৌসুমে ভালো ফলন হবে। তাছাড়া অনেক যুবক বেকার না থেকে ইচ্ছা ও উদ্যমী হলে ড্রাগন ফল চাষ করলেও তারা লাভবান হতে পারবেন।
মন্তব্য করুন
মেঘনা নদীর চাঁদপুরের হাইমচর ঈশানবালা নামক স্থান থেকে কাঠবডি ট্রলারে থাকা ৮৫ মণ জাটকা জব্দ করেছে জেলা টাস্কফোর্স। কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি এ ঘটনায়।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরিশালের হিজলা থানা থেকে ৮৫ মণ জাটকা বোঝাই ট্রলারটি ইশানবালার দিকে যাওয়ার সময় আটক করা হয়।
অভিযানে অংশগ্রহণকারী চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বলেন, বিকেল ৪টায় চাঁদপুর জেলা সদর থেকে জেলা টাস্কফোর্স সদস্যরা মেঘনা নদীতে অভিযানে চালায়। এরমধ্যে একটি দল মেঘনা মোহনা এলাকায় অভিযান চালায়। অপর দলটি অভিযান চালিয়ে ঈশানবালা থেকে টলারসহ ৮৫ মণ জাটকা জব্দ করে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে নিয়ে আসে। তবে ট্রলারে থাকা জাটকার মালিক পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা সম্ভব হয়নি তাকে।
এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে কোস্টগার্ড স্টেশনে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আখতার জাহান সাথীর উপস্থিতিতে স্থানীয় এতিমখানায় জব্দকৃত জাটকাগুলো বিতরণ করা হয়।
অভিযানে মৎস্য বিভাগ, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় অভিন্ন মানদণ্ডে হবিগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মাসুক আলী।
মঙ্গলবার (১১জুন ) সকালে জেলা পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ সুপার মো: আক্তার হোসেন কর্মক্ষেত্রের কৃতিত্ব স্বরূপ তাঁহাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।
নবীগঞ্জ থানায় যোগদানের পর থেকে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মাসুক আলী পেশাদার অপরাধী ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি, চোর, ডাকাত ও মাদক মামলার আসামি গ্রেফতার, জুয়াড়ি, দেশীয় অস্ত্র, বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্য উদ্ধার, চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি গ্রেফতার, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা, কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমসহ নানা ধরণের কাজের মাধ্যমে পেশাদারিত্ব, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে সার্বিক বিষয়ে অবদান রাখায় ১১ জুন মাসে হবিগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন। স্বীকৃতি স্বরূপ পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর (সার্কেল) মো: খলিলুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (নবীগঞ্জ -বাহুবল সার্কেল) আবুল খায়ের,সহকারি পুলিশ সুপার (মাধবপুর সার্কেল)নির্মেলেন্দু চক্রবতী। এছাড়াও হবিগঞ্জ জেলার অফিসার ইনচার্জগণ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও অন্যান্য অফিসার ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।
নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মাসুক আলী, পুলিশ সুপার মো: আক্তার হোসেন প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, স্যারের কাছ থেকে সম্মাননা স্মারক পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত ও গর্বিত। এ পুরস্কার আমাদেরকে কাজের স্পিহা ও দায়িত্ববোধ বাড়িয়ে তুলেছে। থানার সংশ্লিষ্ট সকলের দায়িত্বশীলতায় ও ভালোবাসায় আমি পুরস্কৃত হয়েছি। আমরা চেষ্টা করবো অর্পিত দায়িত্ব এবং কর্তব্য যেন সততার সহিত পালন করতে পারি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে এই অভিযান চলছিল।
অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন দাউদকান্দি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলাম।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়াটগঞ্জ দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ও পুলিশের এক সদস্য আহত হয়েছেন।
হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাঈমা ইসলাম।
আহতরা হলেন: দাউদকান্দির সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন ও দাউদকান্দি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহসীন হোসেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলাম বলেন, দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি। এ সময় কয়েকজন এসে আমাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা করে। এতে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন ও দাউদকান্দি থানার একজন উপপরিদর্শক মহসীন হোসেন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েদ চৌধুরী বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় দাউদকান্দি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলামসহ সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেদওয়ান ইসলামকে বাঁচাতে গিয়ে দাউদকান্দি থানার উপপরিদর্শক মহসীন হোসেন ও সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন আহত হন। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাঈমা ইসলাম বলেন, দুর্বৃত্তরা সরকারি কাজে বাধা প্রদান করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৬১০ কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের আড়ালে ধ্বংস করা হয়েছে শতবর্ষী ২টি পুকুর ও ২২ একর প্রাকৃতিক জলাশয়। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও পলাতক, হত্যা মামলার আসামী আবু জাহের রাতের আঁধারে গোমতী নদীর মাটি কেটে এই জলাধার ও পুকুর ভরাট করেন—যা পরিবেশ আইন ও প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইনের সরাসরি লঙ্ঘন।
আইনের অপমান
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এবং প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন ২০০০ অনুযায়ী, কোনো পুকুর, খাল, নদী কিংবা প্রাকৃতিক জলাশয় ভরাট করা সম্পূর্ণ বেআইনি। কিন্তু কারাগারের অভ্যন্তরের পুকুরসহ ২২ একর জলাশয় বুলডোজারের নিচে চাপা পড়েছে নিরব প্রত্যক্ষদর্শীদের সামনে।
ঐতিহাসিক জলাধার, আজ শুধু স্মৃতি
ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৬৭ একর জমির মধ্যে দুটি পুকুর ও একটি ২২ একরের বিশাল জলাশয় রয়েছে। একসময় এ জলাশয়ে হাজারো অতিথি পাখির সমাগম হতো। পুকুরে বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছিল। এসব পুকুরে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দও গোসল করেছিলেন—স্মৃতি হিসেবে সেই ছবিও সংরক্ষিত আছে।
কিন্তু এখন সেই পুকুরগুলোর দুটি সম্পূর্ণভাবে ভরাট, অপরটি আংশিকভাবে ভরাটের প্রক্রিয়ায়। আর বিশাল জলাশয়টি রাতারাতি মাটি ফেলে সমতল করা হয়েছে।সেখানে গড়ে উঠেছে দশতলা চারটি ভবন।
ক্ষমতার ছত্রছায়ায় কাজ
সূত্র মতে, কারাগারের এই উন্নয়ন কাজটি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় প্রভাব খাটিয়ে সাবেক এমপি আবু জাহের ও তার ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জলাধার ভরাটের ঠিকাদার ছিলেন আবু জাহের নিজেই। অভিযোগ রয়েছে, প্রকল্পের অধিকাংশ অর্থাৎ কোটি কোটি টাকার কাজ তিনি নিজের প্রভাব খাটিয়ে দখলে রেখেছেন।অধিকাংশ কাজ এখনো চলমান রয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর নির্লিপ্ত?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের কুমিল্লা অঞ্চলের উপ-পরিচালক মুসাব্বির হোসেন মোহাম্মদ রাজিব জানান, “আমরা কারা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদ পর্যন্ত গিয়েছে। কাজ বন্ধের সিদ্ধান্ত আছে, তবে তারা আমাদের অনুমতি না নিয়েই জলাশয় ভরাট করেছে।”
গণপূর্ত বিভাগ দায় এড়ালো
গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ৬১০ কোটি টাকার প্রকল্পটি তাদের তত্ত্বাবধানে হলেও জলাধার ভরাটের বিষয়ে তিনি বলেন,খতিয়ান নাল জমি উল্লেখ আছে। “পুকুর ভরাটের জায়গার কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে, তবে কারা কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে।”
কর্তৃপক্ষের নীরবতা
সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুনের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে রিজার্ভ গার্ডের প্রধান কারারক্ষী জানান, তিনি ব্যস্ত। পরে তাঁর সরকারি নম্বরে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। একইভাবে জেলার আব্দুল্লাহ আল-আমিনের নম্বরেও যোগাযোগ করা হলে সাড়া মেলেনি।
এই অবৈধ কর্মকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনা এবং প্রাকৃতিক জলাধার রক্ষার দাবিতে পরিবেশবাদী ও সচেতন মহল সরব হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মন্তব্য করুন
মো মিজানুর রহমান মিনু, চৌদ্দগ্রাম:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম এর নির্দেশনায় ১৪ জুলাই রাত ২ টার সময় চৌদ্দগ্রাম থানায় কর্মরত এস আই সুজন কুমার চক্রবর্তী সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানার চিওড়া ইউনিয়নের ঘোষতল রাস্তার উপর থেকে ০১টি সিএনজি গাড়ী তল্লাশী করে ১টি স্কুল ব্যাগ ও ১টি প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতরে থেকে মোট ২৫ কেজি গাঁজা ও ০১টি নাম্বার বিহীন সিএনজি অটোরিক্সা উদ্ধার করে।
এ সময় সি এন জি তে থাকা দুইজন আসামী ইউসুফ (৪৫) ও কাজী মোঃ লিটন (৩২)কে মাদকদ্রব্য সহ আটক করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আর একজন আসামী মোঃ ইউনুছ আলী দৌড়ে পালিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে চৌদ্দগ্রাম থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলা করা হয়।
মন্তব্য করুন