নারায়ণগঞ্জের
সোনারগাঁওয়ের কাঁচপুরে একটি কোল্ড স্টোরেজ থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ১৪ টন খেজুর জব্দ করেছে
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। জব্দকৃত খেজুরের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায়
সাড়ে ২৩ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার
(১২ মার্চ) দুপুরে উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় অবস্থিত কোল্ড স্টোরেজে অভিযান চালিয়ে বিপুল
পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ এ খেজুরগুলো জব্দ করা হয়।
অভিযানের
নেতৃত্ব দেন, ভোক্তা অধিদপ্তর ঢাকা মেট্রোপলিটন কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জের উপ-পরিচালক মো.
সেলিমুজ্জামান।
ভোক্তা
অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জের উপ-পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামান জানান, বিপুল পরিমাণ
এ খেজুরের পুরোটাই মেয়াদোত্তীর্ণ। আমরা অভিযান পরিচালনা করে এটি জব্দ করেছি। এখানকার
মালিক আসার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
বর্তমানে বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান মে দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের প্রসারে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিনা পয়সায় বই দিই, সাথে সাথে কারিগরি শিক্ষা ও ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। যেন কর্মক্ষেত্রে তারা সুযোগ পায়। কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য ব্যাপক হারে বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। যেটা আগে ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকার আসার পরে যেটা আমরা করেছি, যাতে আরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। আজকে আমাদের বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশে নেমে এসেছে। যা প্রায় ২/৩ গুণ বেশি ছিল। কর্মসংস্থান ব্যাংক করে দিয়েছি। যেকোনো যুবক সেখানে বিনা জামানতে ঋণ নিতে পারে। ঋণ নিয়ে নিজের ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারে। সেই সুযোগটা আমরা তৈরি করে দিয়েছি।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান নৌকা
প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন ।
২৬
নভেম্বর (রোববার) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ঘোষণা দেন।
অনুষ্ঠানে
নির্বাচনের অন্য আসনগুলোতেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। আসন্ন জাতীয় সংসদ
নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেতে ৩০০ আসনের বিপরীতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন
মোট ৩ হাজার ৩৬৯ জন।
মন্তব্য করুন
মহান মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকার রূপকার বীর মুক্তিযোদ্ধা কুমিল্লার কৃতি সন্তান শিব নারায়ন দাস (৭৮) মারা গেছেন।
আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে তিনি রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের আইসিইউতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
আগামীকাল (২০ এপ্রিল) শনিবার বিকাল ৪ টায় কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ন দাসের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ রাখা হবে।
কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এক শোকবার্তায় শিবনারায়ণ দাসের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
কুমিল্লার সর্বস্তরের সকল শ্রেনী পেশার মানুষকে কুমিল্লা টাউন মাঠে উপস্থিত হয়ে প্রয়াত শিব নারায়ন দাসের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।
শিবনারায়ণ দাসের জন্ম কুমিল্লায়। তাঁর পিতা সতীশচন্দ্র দাস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা তাঁকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। শিবনারায়ণ দাসের স্ত্রীর নাম গীতশ্রী চৌধুরী এবং তাঁদের সন্তান অর্ণব আদিত্য দাস।
শিবনারায়ণ দাস ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন অংশগ্রহণ করে কারাবরণ করেন। তিনি ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও নেতা ছিলেন। ১৯৭০ সালের ৭ জুন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশ গ্রহণের কথা ছিল। এ লক্ষ্যে ছাত্রদের নিয়ে একটি বাহিনী মতান্তরে ‘ফেব্রুয়ারি-১৫ বাহিনী’ গঠন করা হয়। ছাত্রনেতারা এই বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।
এ লক্ষ্যে ১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ১০৮ নম্বর কক্ষে ছাত্রলীগ নেতা আ স ম আবদুর রব, শাহজাহান সিরাজ, কাজী আরেফ আহমদ, মার্শাল মনিরুল ইসলাম পতাকার পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা স্বপন কুমার চৌধুরী, জগন্নাথ কলেজের ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা শিবনারায়ণ দাশ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ সাধারণ সম্পাদক হাসানুল হক ইনু ও ছাত্রনেতা ইউসুফ সালাউদ্দিন।
সভায় কাজী আরেফের প্রাথমিক প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে আলোচনা শেষে সবুজ জমিনের ওপর লাল সূর্যের মাঝে হলুদ রঙের বাংলার মানচিত্র খচিত পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। কামরুল আলম খান তখন ঢাকা নিউমার্কেটের এক বিহারি দরজির দোকান থেকে বড় এক টুকরো সবুজ কাপড়ের মাঝে লাল একটি বৃত্ত সেলাই করে আনেন।
এরপর প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিতুমীর হলের ৩১২ নম্বর কক্ষের এনামুল হকের কাছ থেকে অ্যাটলাস নিয়ে ট্রেসিং পেপারে আঁকা হলো পূর্ব পাকিস্তানের মানচিত্র। শিবনারায়ণ দাস পরিশেষে নিপুণ হাতে মানচিত্রটি এঁকে দেন লাল বৃত্তের মাঝে। তারপরে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে পটুয়া কামরুল হাসান বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার নতুন রূপ দেন।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এক শোকবার্তায় শিবনারায়ণ দাসের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)গত ৩১ মার্চ বেসরকারি
স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিলো
এ ধাপে এবার মোট ৯৬ হাজার ৭৩৬ পদের বিপরীতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে
স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৪৩ হাজার ২৮৬ পদে এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার
৪৫০ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে অনলাইনে শিক্ষক নিয়োগের
আবেদন শুরু হয়েছে। আবেদন গ্রহণ চলবে ৯ মে পর্যন্ত। আর ১০ মে রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদনের
ফি দেওয়া যাবে।
অনলাইনে আবেদন ফি দেওয়া সংক্রান্ত নিয়ম টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড
এর http://ngi.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে এবং এনটিআরসিএ এর www.ntrca.gov.bd ওয়েবসাইটে
স্বতন্ত্রভাবে প্রদর্শন করা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জারিকৃত
সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে। প্রার্থীকে কেবলমাত্র
তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত বিষয় সংশ্লিষ্ট পদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে
পারবে।
কিন্তু আবেদনকারী মিথ্যা তথ্য প্রদান করলে চূড়ান্ত সুপারিশ বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে
আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নীতিমালা অনুযায়ী আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স ১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে ৩৫ বছর বা
তার কম হতে হবে।
প্রত্যেক আবেদনকারী নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী একই পর্যায়ে (স্কুল/কলেজ) একটি মাত্র
আবেদন করতে পারবেন। একজন প্রার্থী শূন্য পদের তালিকা থেকে তার আবেদনে সর্বোচ্চ ৪০টি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পছন্দ দিতে পারবেন। এই পছন্দ প্রদানের পর কোন প্রার্থী যদি তার
পছন্দ বহির্ভূত দেশের যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে ইচ্ছুক হন তবে তাকে
e-Application ফরমে প্রদর্শিত Other Option নামক বক্সে Yes Click করতে হবে। যদি ইচ্ছুক
না হন তবে No Click করতে হবে।
কোনো প্রার্থীর যদি স্কুল ও কলেজ উভয় পর্যায়ের সনদ থাকে এবং তিনি যদি উভয়
পর্যায়ের পদে আবেদন করেন তবে প্রথমে তাকে কলেজ পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে
নির্বাচিত না হলে স্কুল পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে নির্বাচিত হলে স্কুল
পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে না।
সব আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে নির্ধারিত এক হাজার টাকা ফি প্রদান করতে হবে। নির্ধারিত
ফি পরিশোধ না করলে আবেদনটি বাতিল বলে গণ্য হবে।
তবে যারা একবার ইতিমধ্যে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন তারা পরবর্তীতে আর দেশের কোন
স্কুলে (এমপিওভুক্ত/ইনডেক্সধারী) সমপদে আবেদন করার সুযোগ পাবেন না।
তবে স্কুল পর্যায়ে যদি কোনো নিবন্ধন সনদধারী (এমপিওভুক্ত/ইনডেক্সধারী) প্রাপ্ত
প্রার্থীর কলেজ পর্যায়ের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ থাকে এবং তিনি যদি কলেজ পর্যায়ে এমপিওভুক্ত
না হন তবে তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত কলেজ পর্যায়ের পদে ও প্রতিষ্ঠানে আবেদন
করতে পারবেন।
মন্তব্য করুন
হাইকোর্ট এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫ লাখের বেশি শিক্ষক ও কর্মচারীকে ৬ মাসের মধ্যে অবসর ভাতা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে ।
বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই রায় বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
রায়ে হাইকোর্ট বলেছে, এটা চিরন্তন সত্য যে শিক্ষকরা রিটায়ারমেন্ট বেনিফিট পেতে বছরের পর বছর ঘুরতে হয়। এই হয়রানি থেকে তারা কোনভাবেই পার পান না। একজন প্রাথমিকের শিক্ষক কত টাকা বেতন পান, সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে। এজন্য তাদের অবসরভাতা ৬ মাসের মধ্যে দিতে হবে আর এই অবসরভাতা পাওয়ার জন্য শিক্ষকরা বছরের পর বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরতে পারে না। যেখানে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের প্রতি সহানুভূতিশীল। প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব ইতিবাচক দৃষ্টিতে নিয়েই শিক্ষকদের অবসর ভাতা কিভাবে দ্রুত দেওয়া যায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মাথায় রাখতে হবে।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট প্রবিধানমালা, ১৯৯৯ এর প্রবিধান-৬ এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা প্রবিধানমালা, ২০০৫ এর প্রবিধান-৮ অনুযায়ী শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ২ ভাগ এবং ৪ ভাগ কর্তনের বিধান ছিল। যার বিপরীতে শিক্ষকদের ট্রাস্টের তহবিল হতে শিক্ষক ও কর্মচারীদের কিছু আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হতো। কিন্তু ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল উল্লিখিত প্রবিধানমালাগুলোর শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ২ ভাগ এবং ৪ ভাগ কর্তনের বিধানগুলো সংশোধন করে তা ৪ ভাগ এবং ৬ ভাগ করে দুইটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ২ ভাগ এবং ৪ ভাগ কর্তনের পরিবর্তে ৪ ভাগ এবং ৬ ভাগ কর্তনের বিধান করা হলেও উক্ত অতিরিক্ত অর্থ কর্তনের বিপরীতে শিক্ষক ও কর্মচারীদের কোন বাড়তি আর্থিক সুবিধা প্রদানের বিধান করা হয়নি।
এই অতিরিক্ত অর্থ কর্তনের বিপরীতে কোন আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধি না করায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষক ও কর্মচারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। এই অতিরিক্ত অর্থ কর্তনের আদেশ বাতিলের জন্য শিক্ষক-কর্মচারীরা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি। পরে শিক্ষকরা মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচী পালন করে। এতেও কর্তৃপক্ষ নীরব থাকেন। এরপর শিক্ষক ও কর্মচারীগণ ২০১৯ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
প্রাথমিক শুনানি শেষে ওই বছরের ১৫ এপ্রিল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবেনা তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে। পরে আরেকটি সম্পুরুক আবেদনে ২০১৭ সালে জারি করা দুটি প্রজ্ঞাপানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করলে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেন। এসব রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করে দেয় হাইকোর্ট।
এদিকে পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষক ও কর্মচারীর বেতনের ১০ ভাগ কর্তনের বিপরীতে আর্থিক সুবিধা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালত বলেছে, দশ ভাগ কর্তন করলে সে পরিমাণ সুবিধা শিক্ষকদের দিতে হবে। একেক সময় একেক ধরনের সিদ্ধান্ত কাম্য নয়। আদালতে শিক্ষকদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রিটকারীদের পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া রায়ের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় ধাপে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সই করা এ নির্দেশনায় বলা হয়, সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় গ্রুপের (রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগ) লিখিত পরীক্ষা আগামী ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত আবেদনকারীদের নিজ নিজ জেলায় অনুষ্ঠিত হবে আর পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
প্রার্থীদের আবেদনে উল্লিখিত মোবাইল নম্বরে যথাসময়ে ০১৫৫২-১৪৬০৫৬ নম্বর থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের এসএমএস পাঠানো হবে।
আর প্রার্থীরা শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে admit.dpe.gov.bd-ওয়েবসাইটে Username এবং Password দিয়ে অথবা এসএসসি-এর রোল, বোর্ড ও পাশের সন দিয়ে লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে রঙিন প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করতে পারবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদের অবশ্যই ডাউনলোডকৃত প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট এবং নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র (মূল এনআইডি/স্মার্ট কার্ড) সঙ্গে আনতে হবে। পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য প্রবেশপত্রে পাওয়া যাবে।
তবে পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোনো কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা ঘড়িজাতীয় বস্তু, ইলেকট্রনিক হাতঘড়ি বা যে কোন ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, কমিউনিকেটিভ ডিভাইস, জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) ব্যতীত কোনো প্রকার ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড অথবা অন্যকোনো কার্ড বা এ জাতীয় বস্তু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করা বা সঙ্গে রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যদি কোনো পরীক্ষার্থী উল্লিখিত দ্রব্যাদি সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে তবে তাকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারসহ সংশ্লিষ্টের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় ধাপে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মন্ত্রণালয় আরো জানায়, দ্বিতীয় পর্বে মোট পরীক্ষার্থী ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ জন, কেন্দ্রের সংখ্যা ৬০৩টি, কক্ষের সংখ্যা ৯ হাজার ৩৫৭টি। তিন বিভাগের ২২টি জেলাশহরে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দ্রব্যমূল্য
বেড়েছে, যার প্রভাব আছে, বিশেষ করে যারা সীমিত আয়ের, তাদের কষ্ট হচ্ছে। তবে গ্রামে
যারা নিজেরা উৎপাদন করতে পারেন বা করছেন, তাদের জন্য খুব একটা কষ্ট নেই, হাহাকারও নেই।
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এসব কথা জানান।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ অধিবেশনে
সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, টিসিবিতে
যে লোকবল আছে, তা দিয়েই আমরা এখন মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। আর সাধারণ মানুষের যাতে
কষ্ট না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমাদের সবসময় প্রচেষ্টা, দ্রব্যমূল্য
যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে। যে পণ্যের প্রয়োজন, আমরা দেশে যেমন উৎপাদন বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছি,
তেমনি আমদানিও করে যাচ্ছি, যত টাকা-ই লাগুক। আমরা কিন্তু খরচ করে যাচ্ছি, যার জন্য
আমাদের রিজার্ভেও চাপ পড়ছে। রিজার্ভে চাপ পড়লেও মানুষের কল্যাণই হলো সবচেয়ে বড় কথা।
সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি। আমরা যে পারিবারিক কার্ড দিয়েছি, তাতে স্বল্পমূল্যে চালসহ
অন্যান্য পণ্য কেনারও সুযোগ করে দিয়েছি। আবার যারা আরও দরিদ্র, তাদের জন্য আরও কমমূল্যে
চাল বিক্রির ব্যবস্থা করেছি। আবার যারা হতদরিদ্র, তাদের বিনামূল্যে চাল দিচ্ছি। টিসিবির
এখন যে জনশক্তি আছে, সেই জনশক্তি দিয়েই কিন্তু আমরা যথাযথভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে
সক্ষম হচ্ছি।
মন্তব্য করুন
আজ রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ।
সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন প্রার্থীরা।
তফশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি বাছাই হবে। প্রত্যাহার করা যাবে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আর ভোটের তারিখ ১৪ মার্চ।
নির্বাচন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলে ভোটের প্রয়োজন হবে না। তাই এরই মধ্যে দলগুলো তাদের প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেছে। এতে ভোট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সম্প্রতি জানিয়েছেন, ৫০টি সংরক্ষিত আসনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৪৮টি আসন পাবে। আর জাতীয় পার্টি পাবে দুটি আসন।
মন্তব্য করুন
সারাদেশে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্র উত্তম ও সেলিম সিন্ডিকেটের মূলহোতাসহ ১৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ।
কয়েকটি চক্র রেলস্টেশনে কর্মরত অসাধু কর্মচারী, সহজ ডটকমের অসাধু কর্মকর্তা, সার্ভার রুম ও আইটি সদস্যদের সহযোগিতায় ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করতো । এছাড়া সংরক্ষণ করা জনসাধারণের এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে এমনকি সার্ভার ডাউন করে অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতো এসব চক্র।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর কমলাপুর ও বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব -৩।
গ্রেফতাররা হলেন- ট্রেনের টিকেট কালোবাজারির সেলিম সিন্ডিকেটের মূলহোতা মো. সেলিম (৫০), তার প্রধান সহযোগী মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে কাশেম (৬২), অবনী সরকার সুমন (৩৫), মো. হারুন মিয়া (৬০), মো. মান্নান (৫০), মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে ডাবলু (৫০), মো. ফারুক (৬২), মো. শহীদুল ইসলাম বাবু (২২), মো. জুয়েল (২৩) ও মো. আব্দুর রহিম (৩২)।তাদের তথ্যের ভিত্তিতে বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উত্তম সিন্ডিকেটের মূলহোতা উত্তম চন্দ্র দাস (৩০), তার প্রধান সহযোগী মো. মোর্শিদ মিয়া ওরফে জাকির (৪৫), আব্দুল আলী (২২) ও মো. জোবায়েরকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় এক হাজার ২৪৪টি আসনের টিকিট, ১৪টি মোবাইল ফোন এবং টিকিট বিক্রির নগদ ২০ হাজার টাকা।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।তিনি বলেন, অনলাইনে বা রেল স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে টিকিট পাওয়া না গেলেও কালোবাজারে বেশি দামে টিকিট বিক্রি হতে দেখা যায়। টিকিট কালোবাজারিরা বিভিন্ন কৌশলে ট্রেনের টিকিট অগ্রিম সংগ্রহ করে অবৈধভাবে নিজেদের কাছে মজুত করে রেখে সাধারণ যাত্রীদের কাছ দেড় থেকে দুই গুণ বেশি দামে টিকিট বিক্রি করছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে সরাসরি ট্রেন চলাচল শুরু হয় এবং এই রুটে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস নামের দুটি ট্রেন যাত্রা শুরু করে। দীর্ঘ এই ভ্রমণে নিরাপদ ও আরামদায়ক যাত্রার জন্য এ রুটে ট্রেনের টিকিটের ব্যাপক চাহিদা দেখা দেয়। টিকেটের চাহিদা বেশি থাকায় টিকিট কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্যও বেড়ে যায়; অনলাইনে বা কাউন্টারে টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়ে যায় এই রুটের ট্রেনের টিকিট। কিন্তু কালোবাজারিদের কাছে ২-৩ গুণ দামে টিকিট বিক্রি হতে দেখা যায়।চাহিদা অনুযায়ী টিকিট না পাওয়ার এবং টিকিট কালোবাজারিরা বেশি দামে টিকিট বিক্রির বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচিত হয়। ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধ ও কালোবাজারিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে ১৪ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে কিছু তথ্য প্রদান করেছে ।
স্টেশনে কুলি, টোকাই, রিকশাওয়ালা ও দিনমজুরদের লাইনে দাঁড় করিয়ে টিকিট সংগ্রহ:
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, কমলাপুর রেলস্টেশনে সেলিম সিন্ডিকেটের মূলহোতা সেলিম এবং বিমানবন্দর রেলস্টেশনে উত্তম সিন্ডিকেটের মূলহোতা উত্তমের নেতৃত্বে এ চক্রটি সংঘবদ্ধভাবে দীর্ঘদিন ধরে মহানগর প্রভাতী, তূর্ণা নিশিথা, চট্টলা এক্সপ্রেস, উপবন এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, উপকূল এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, কালনী এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে আসছিল। গ্রেফতার সেলিম এবং উত্তমের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা প্রথমত ট্রেনের কাউন্টারে বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ যাত্রী, রেলস্টেশনের কুলি, স্টেশনের আশেপাশের এলাকার টোকাই, রিকশাওয়ালা ও দিনমজুরদের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে টিকিট সংগ্রহ করত।
যাত্রীদের এনআইডি সংগ্রহ করে পরবর্তীতে সেগুলো ব্যবহার করে কাটা হতো টিকিট:
এক্ষেত্রে তাদের প্রত্যেককে চারটি করে টিকিট সংগ্রহ করার বিনিময়ে ১০০ টাকা করে দেওয়া হতো। এছাড়াও কাউন্টারে থাকা কিছু অসাধু টিকিট বুকিং কর্মচারীদের দিয়ে বিভিন্ন সাধারণ যাত্রীদের টিকিট কাটার সময় এনআইডি সংগ্রহ করে রাখে এবং পরবর্তীতে সেগুলো ব্যবহার করে সংরক্ষণকৃত প্রতিটি এনআইডি দিয়ে চারটি করে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করে থাকে।
প্রতিদিন ৫০০ টিকিট সংগ্রহ করতো তারা:
এভাবে তারা প্রতিদিন প্রায় পাঁচ শতাধিক টিকিট সংগ্রহ করতো। অনেক ক্ষেত্রে টিকিট কাউন্টারে নিজেরা লাইনে দাড়িয়ে এবং কৌশলে লাইনে অপেক্ষমান টিকিটপ্রত্যাশী সাধারণ যাত্রীদের এনআইডি ব্যবহার করে চারটি টিকিট কিনে তিনটি টিকিট নিজেরা তার কাছ থেকে টাকা দিয়ে টিকিটগুলো কিনে নিতো।
সার্ভার ডাউন করে তারা অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ:
র্যাবের মুখপাত্র বলেন, ঈদ, পুজা, সাপ্তাহিক ছুটিসহ বিশেষ ছুটির দিনকে উপলক্ষ করে গ্রেফতাররা রেলস্টেশনে কর্মরত কিছু অসাধু কর্মচারী এবং অনলাইনে টিকিট ক্রয়ের জন্য ব্যবহৃত ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান সহজ ডটকমের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও সার্ভার রুম ও আইটি সদস্যদের সহযোগিতায় তাদের কাছে সংরক্ষিত জনসাধারণের এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে এমনকি সার্ভার ডাউন করে তারা অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতো।
শিক্ষার্থীদের দিয়ে অনলাইনে টিকিট কাটানো হতো:
কমান্ডার মঈন বলেন, পাশাপাশি গ্রেফতাররা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দিয়ে অনলাইনে টিকিট কেটে সেগুলো তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতো। গ্রেফতাররা স্টেশনে থাকা তাদের সিন্ডিকেটের সদস্যদের দিয়ে কাউন্টার থেকে স্ট্যান্ডিং টিকেট সংগ্রহ করতো। এসব টিকিটের মূল্য কাউন্টারের বুকিং কর্মচারীদের সঙ্গে তারা ভাগ করে নিতো। ফলে রেলওয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এভাবে গ্রেফতাররা অবৈধভাবে বিভিন্ন পন্থায় বিপুল সংখ্যক ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতো।
গ্রেফতারকৃত সেলিম ও উত্তমের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা উপযুক্ত সময় বুঝে সংগ্রহকৃত টিকিট নিয়ে রেলস্টেশনের ভেতরে অবস্থান করে। রেলস্টেশনে এসে টিকিট না পাওয়া সাধারণ যাত্রীদের কাছে গ্রেফতাররা টিকিট বিক্রির জন্য ঘুরাঘুরি করে এবং বেশি দামে টিকিট বিক্রি করে। এছাড়াও ট্রেন ছাড়ার সময় যত সন্নিকটে আসতে থাকে তাদের মজুত করা কালোবাজারি টিকিটের দাম তত বাড়তে থাকে এবং সুযোগ বুঝে অনেক ক্ষেত্রে টিকিটের দাম দিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে দেয়।
ঈদের সময় ৪ গুণ দামে টিকিট বিক্রি:
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক বলেন, ঈদের ছুটিসহ বিভিন্ন ছুটিকে কেন্দ্র করে গ্রেফতাররা প্রতিটি টিকেট ৩-৪ গুণ বেশি মূল্যে বিক্রি করে। প্রতিটি টিকিট তারা দেড় গুণ থেকে দুই গুণে বিক্রি করে এই লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ পায় গ্রেফতাররা নিতো এবং বাকি ৫০ শতাংশ কাউন্টারে থাকা বুকিং কর্মচারী ও তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সহজ ডটকমের কর্মচারী-কর্মকর্তা ও আইটি বিশেষজ্ঞদের দেওয়া হতো।
৩৫ বছর ধরে টিকিট কালোবাজারি করেছে সেলিম:
কমান্ডার মঈন জানান, গ্রেফতার সেলিম দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর ধরে টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত। তিনি কমলাপুর রেলস্টেশনে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি সেলিম সিন্ডিকেটের মূলহোতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় টিকিট কালোবাজারির দায়ে সাতটি মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগও করেছেন তিনি। সে জামিনে মুক্তি পেয়ে পুনরায় আবার টিকিট কালোবাজারির কার্যক্রমে লিপ্ত হয়।
১৫ বছর ধরে টিকিট কালোবাজারিতে জড়িত কাশেম:
তিনি বলেন, গ্রেফতার আনোয়ার হোসেন ওরফে কাশেম প্রায় ১৫ বছর ধরে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত। তিনি গ্রেফতার সেলিমের অন্যতম প্রধান সহযোগী। মূলত তার দায়িত্ব ছিল কাউন্টার থেকে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করা। এর আগে তিনি মাদক মামলাসহ একাধিক মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেছেন।
এছাড়াও গ্রেফতার অবনী সরকার ও হারুন মিয়ার দায়িত্ব ছিল চট্টগ্রাম এলাকার কাস্টমার সংগ্রহ করা। একইভাবে মান্নান এবং আনোয়ার ওরুফে ডাবলুর দায়িত্ব ছিল সিলেট এলাকার কাস্টমার সংগ্রহ করা। ফারুক এবং শহীদুল ইসলাম বাবুর দায়িত্ব ছিল ভৈরব ও কিশোরগঞ্জের কাস্টমার দেখাশোনা করা। জুয়েল এবং আব্দুর রহিমের দায়িত্ব ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও আখাউড়ার যাত্রী সংগ্রহ করা। এছাড়াও গ্রেফতারদের সবার বিরুদ্ধে টিকিট কালোবাজারির মামলা রয়েছে।
১৫ বছর ধরে টিকিট কালোবাজারি করেছে উত্তম:
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেফতার উত্তম প্রায় ১৫ বছর ধরে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত। তিনি বিমানবন্দর রেলস্টেশনের টিকিট কালোবাজারি চক্র উত্তম সিন্ডিকেটের মূলহোতা। তার সহযোগী গ্রেফতার আলী ও ফারুকসহ রাজধানীর আশকোনা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় অবস্থান করে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করত। তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং এই সহানুভূতিকে কাজে লাগিয়ে রেলস্টেশন এলাকায় সবসময় অবস্থান করে টিকিট কালোবাজারি চক্র গড়ে তোলে।
উত্তমের বিরুদ্ধে টিকিট কালোবাজারির দায়ে চারটি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তিনি বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেছেন।পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারও টিকিট কালোবাজারির কাজে লিপ্ত হন।
মন্তব্য করুন
যৌতুকের
টাকা না পাওয়ায় ৪০ জন বরযাত্রী নিয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষে বিয়ের আসর থেকে বর নিয়ে চলে যাওয়ার
অভিযোগ উঠেছে। বিয়ের বর ছিলেন, নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের বামনগাঁও
গ্রামের মো. শরীফ মিয়ার ছেলে মো: হাসেন মিয়া (২৫)।
এ
ঘটনায় আজ (১/১২/২৩) দুপুরে ভুক্তভোগী কনের বাবা বাদী হয়ে বর ও বরের বাবাসহ ৩ জনকে অভিযুক্ত
করে কলমাকান্দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১/১২/২৩) বিকেলে নেত্রকোনার
কলমাকান্দায় রংছাতি ইউনিয়নের বটতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ
ও স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ১ সপ্তাহ আগে বামনগাঁও গ্রামের মো: হাসেন মিয়ার বিয়ে ঠিক
হয় পার্শ্ববর্তী রংছাতি ইউনিয়নের বটতলা গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে। বিয়ে ঠিক হওয়ার সময়
কনের বাবা বিয়ের খরচ বাবদ বরের পরিবারকে ৪০ হাজার টাকা দেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে
এ বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বর তার আত্মীয়-স্বজনসহ ৪০ জন বরযাত্রী নিয়ে আসেন। খাওয়া-দাওয়া
শেষে বিয়ের কার্যক্রম শুরু হলে বরের পক্ষ থেকে আরো ৭০ হাজার টাকা যৌতুক চাওয়া হয়। কনের
পরিবার যৌতুকের টাকা দিতে রাজি না হলে বিয়ের আসর থেকে বরের লোকজন বরকে নিয়ে চলে যান।
এ
বিয়ে উপলক্ষে দুই লাখ টাকা খাওয়া-দাওয়া ও ডেকোরেশন বাবদ খরচ হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ
করেন কনের বাবা।
কলমাকান্দা থানার ওসি আবুল
কালাম গণমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার দুপুরে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন