

শীত শেষ বাড়ছে দিনের তাপমাত্রা।
শুক্রবার রাতে দেওয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরেরে এক পূর্বাভাসে জানা গেছে আগামী ৫ দিনে বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। আর মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপের অবস্থান দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।
এ অবস্থায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
আর বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই সময়ের শুরুতে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
মন্তব্য করুন


হাসপাতালের সাদা অ্যাপ্রন গায়ে, গলায় ঝোলা স্টেথোস্কোপ—দেখলে সাধারণ চিকিৎসকের মতোই মনে হয় তাঁকে। কিন্তু তাঁর চলাফেরা, চোখেমুখের উত্তেজনা এবং রোগীদের প্রতি আলাদা দায়িত্ববোধ তাঁকে বাকিদের থেকে খানিকটা আলাদা করে দেয়। গুজরাতের ভাবনগর জেলায় স্যার টি জেনারেল হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে নতুন রোগী আনা মাত্রই ছোট্ট শরীরে দ্রুত পদক্ষেপে এগিয়ে গেলেন তিনি। স্ট্রেচারের পাশে দাঁড়িয়ে নিজে দেখার বদলে দুই ইন্টার্ন ডাক্তারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে দিলেন, তারপর ধীরগতিতে নিজের চেম্বারের দিকে রওনা হলেন।এই সময় রোগীর স্বজনদের মধ্যে কৌতূহল ছড়িয়ে পড়ে। কারণ সবার চোখে একই বিস্ময়—ডাক্তারটির উচ্চতা স্ট্রেচারের উচ্চতার চেয়েও কম! কিন্তু তাঁদের বিস্ময় বা সংশয়কে গুরুত্ব দেওয়ার ফুরসত না নিয়েই তিনি নিজের কাজে ফিরে যান। তিনি গণেশ বরইয়া—মাত্র ২৫ বছর বয়সী, উচ্চতা তিন ফুট, তবু নামের পাশে গর্বের সঙ্গে লেখা ‘এমবিবিএস’। জন্মগতভাবে শারীরিকভাবে ৭২ শতাংশ অক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও সম্প্রতি চিকিৎসা বিজ্ঞানে ডিগ্রি অর্জন করেছেন। নিরক্ষর কৃষক বাবার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন তিনি পূরণ করেছেন নিজের অধ্যবসায় ও মনোবলের জোরে।ভাবনগরের গোরখি গ্রামের দরিদ্র পরিবারে জন্ম গণেশের। বাবা-মায়ের অষ্টম সন্তান এবং পরিবারের প্রথম ছেলে হওয়ায় জন্মের পর থেকেই তাকে ঘিরে নানা আশা ছিল। কিন্তু জন্ম থেকেই তিনি বামনত্বে (dwarfism) ভুগছিলেন; গ্রোথ হরমোনের ঘাটতিতে হাঁটাচলাতেও ছিল সমস্যা। রোগ ধরা পড়ার পর অনেকে মনে করেছিলেন—গণেশের ভবিষ্যৎ হয়তো খুব সীমিত। তবু পরিবার তাঁকে কখনো ছাড়েনি, ভালোবাসায় আচ্ছন্ন রেখেছিল সবসময়।শৈশবের এক ভয়ংকর ঘটনাও আজও তাঁর মনে গেঁথে আছে। যখন তাঁর বয়স মাত্র ১০, কয়েকজন সার্কাসকর্মী এসে পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে তাঁকে কিনে নিতে চেয়েছিল। যুক্তি ছিল—গণেশের ভবিষ্যৎ সার্কাসেই সীমাবদ্ধ, অন্য কোথাও তার জায়গা নেই। কিন্তু তাঁর বাবা দৃঢ়ভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেন। ছেলে যেন পৃথিবীর আলো ছায়ায় নিজের পথ তৈরি করতে পারে—এই বিশ্বাসেই তিনি সার্কাসদলকে তাড়িয়ে দেন। এরপর গণেশকে আরও বেশি আগলে রাখেন পরিবার। দিদিরা কোলে করে স্কুলে নিয়ে যেত, বাবা মাঝে মাঝে কাঁধে বসিয়ে পথ চলতেন। ছোট বয়সেই গণেশ বুঝে যায়—অক্ষমতা তার জীবনের অংশ হলেও তা তাকে থামাতে পারবে না। উচ্চতা না বাড়লেও তাকে ‘বড়’ হতেই হবে।তিনি নিজেই বলেন, “জীবনের পথে এগোতে অনেকের সহায়তা আমার প্রয়োজন ছিল, তা ছোটবেলাতেই বুঝেছিলাম। অনেকেই আমাকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের স্নেহ ও সাহায্য ছাড়া আমি এতটা দূর আসতে পারতাম না।”
আজ গণেশ বরইয়া সেই প্রমাণ যে শারীরিক সীমাবদ্ধতা নয়, মানুষের মনোবলই নির্ধারণ করে তার সাফল্যের পথ। তাঁর তিন ফুট শরীর হলেও স্বপ্নের বিস্তার আকাশছোঁয়া।
মন্তব্য করুন


শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা জানান, হাদির মাথায় গুলির আঘাত রয়েছে এবং মাথা লক্ষ্য করেই হামলা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে তিনি ওসেক ইউনিটে চিকিৎসাধীন।মতিঝিল বিভাগের ডিসি হারুন অর রশিদ বলেন, ঘটনাস্থল হিসেবে বিজয়নগর এলাকা শোনা যাচ্ছে, তবে পুলিশ টিম যাচাই করছে।হাদিকে হাসপাতালে নেওয়া মিসবাহ জানান, জুমার নামাজের পর বিজয়নগর কালভার্ট এলাকার কাছে মোটরসাইকেলে আসা দু’জন হামলাকারী গুলি ছোড়ে। গুলিটি হাদির বাম কানের নিচে লাগে। পরে রিকশায় করে হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি অত্যন্ত সংকটাপন্ন অবস্থায় আছেন এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে।
জানা যায়, গত নভেম্বর মাসে হাদি বিভিন্ন দেশি-বিদেশি নম্বর থেকে নিয়মিত হুমকি পাচ্ছিলেন। তিনি সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, তাকে হত্যা, পরিবারকে আক্রমণ এবং বাড়িতে আগুন দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল।
মন্তব্য করুন


জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ভাষণে ফিলিস্তিনের
নির্যাতিত মানুষের পক্ষে সোচ্চার বক্তব্য রাখায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ
ইউনূসের প্রশংসা করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান।
আজ মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সৌজন্য সাক্ষাতে
এ প্রশংসা করেন তিনি। বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি
বৈশ্বিক সমর্থন, গাজায় গণহত্যা এবং মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা হয়।
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান
জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রশংসা করে বলেন, ‘সময়োপযোগী এবং ফিলিস্তিন
ইস্যুতে একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় স্পটলাইট তৈরি করেছে।’
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে
শিক্ষা গ্রহণকারী প্রায় ৬০ ফিলিস্তিনি চিকিৎসক এখন গাজায় রোগীদের সেবা করছেন।’ আরও দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী
বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র
ও এর জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি
জনগণের সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’ফিলিস্তিনের
জনগণ তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীন রাষ্ট্র পাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মন্তব্য করুন


রাজধানীর
কামরাঙ্গীরচরে মুজিবরের ঘাট এলাকার একটি
বাসার ছাদে ফানুস ওড়ানোর
সময় ৩ জন দগ্ধ
হয়েছেন। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দিনরাত
সোয়া ১২টার দিকে এ ঘটনা
ঘটে। তারা হলেন- মো.
সিয়াম (১৬), মো. রাকিব
(১৮) ও মো. রায়হান
(১৬)।
পরে
দগ্ধ অবস্থায় রাত দেড়টার দিকে
তাদের ৩ জনকে শেখ
হাসিনা জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক ও সার্জারি ইনস্টিটিউটের
জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
দগ্ধ
সিয়ামের বাবা স্বপন জানান,
নতুন বছর উপলক্ষে বাসার
ছাদে ফানুসে আগুন দেওয়ার সময়
ছেলে সিয়াম ও আমার ২
ভাই আগুনে দগ্ধ হয়। বর্তমানে
তিনজন চিকিৎসাধীন।
ঢাকা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ
ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো: বাচ্চু মিয়া
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি
জানান, তাদের মধ্যে সিয়ামের শরীরে বেশি অংশ পুড়ে
গেছে ও বাকি ২জনের
শরীরের সামান্য কিছু অংশ পুড়েছে।
তাদের জরুরি বিভাগের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নির্বাচন
পর্যবেক্ষণের সময় শতভাগ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রতি
আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন।
তিনি
বলেন, যারা মাঠপর্যায়ে কাজ করবেন, অনুগ্রহ করে তারা শতভাগ নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করবেন।
একই সঙ্গে আপনাদের পক্ষে যারা কাজ করবেন তাদেরকেও এ কথা জানিয়ে দেবেন। নির্বাচন কমিশনের
একটাই এজেন্ডা-আর তা হল জাতিকে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়া। তাই
সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কাজ করা সকলের জাতীয় দায়িত্ব।
আজ
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর ) সকালে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৪০টি পর্যবেক্ষক
সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ চলাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান
নির্বাচন কমিশনার স্বচ্ছতার সঙ্গে সকলকে রিপোর্ট করার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন,
নির্বাচনে কমিশনের নিজস্ব সুপারভাইজারি মেকানিজম থাকবে, অফিশিয়াল মেকানিজম থাকবে। কিন্তু
আপনাদের চোখ দিয়েও আমরা এই নির্বাচনকে দেখতে চাই। যারা মাঠপর্যায়ে কাজ করবেন, তারা
নির্বাচন সংক্রান্ত কাজগুলো স্বচ্ছভাবে হচ্ছে কিনা এবং আচরণ বিধিমালা ও আইনগুলো সঠিকভাবে
পালন করা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে আমাদের জানাবেন।
সিইসি
বলেন, যাদেরকে নিয়োগ করবেন তারা যাতে দলীয় প্রচার-প্রচারণা করে কাউকে প্রভাবিত করতে
না পারেন, সে বিষয়টা খেয়াল করবেন। মনে রাখবেন, তাদের দায়িত্ব হবে পর্যবেক্ষণ করা; নির্বাচনে
হস্তক্ষেপ করা নয়।
তিনি
বলেন, আপনাদেরকে সহযোগী হিসেবে পেতে চাই। আমরা জাতিকে ওয়াদা দিয়েছি একটি সুষ্ঠু, সুন্দর
এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়ার। কিন্তু এটা ইলেকশন কমিশনের একার পক্ষে সম্ভব
নয়। অতীতের ভুলভ্রান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।
নির্বাচনের
প্রতিটি স্তরে পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা থাকবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, প্রচারকালীন পরিস্থিতি,
কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা বা প্রিজাইডিং অফিসার ও পুলিশের দায়িত্ব পালন এবং ভোটারদের কেন্দ্রে
আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে কিনা-ইত্যাদি সম্পর্কে তারা রিপোর্ট দেবেন। তবে সেটি হতে হবে
শতভাগ সত্যনির্ভর। কেননা এই রিপোর্টের ওপরই অনেক কিছু নির্ভর করবে।
এএমএম
নাসির উদ্দিন বলেন, নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি বিচ্যুতি থাকলে তাও সংশোধন
করা হবে। এ বিষয়েও আপনারা সুপারিশ দিতে পারবেন। আমরা স্বচ্ছতার সঙ্গে ভোটারবান্ধব পরিবেশে
নির্বাচনের আয়োজন করতে চাই।
সংলাপে
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ, আব্দুর রহমানেল
মাছউদ, তাহমিদা আহমেদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদসহ কমিশনের
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে ।
সোনার দাম কমিয়ে দেশের মানুষের
জন্য সুখবর দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) এবং নতুন নির্ধারণ করা এ দাম
যা আজ থেকেই কার্যকর করা হবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) বাজুসের
স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর
রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতি গ্রাম সোনার দাম ১০ হাজার ২৭৫ টাকা
থেকে কমিয়ে ১০ হাজার ১৮৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে আর এই হিসেবে ২২ ক্যারেটের এক ভরি
এদিকে সোনার দাম পরিবর্তন
করা হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম।
মন্তব্য করুন


কিশোরগঞ্জের
ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে নৌপথ অবরোধ করা হয়েছে। কর্মসূচি শেষে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) একযোগে
সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের
ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার
(২৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয়ে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলে নৌপথ অবরোধ।
এ
বিষয়ে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আবু ইউসুফ জানান, ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন জংশনে আন্দোলনকারীরা উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে রাখে। এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ে । আন্দোলনের একপর্যায়ে
ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করে ট্রেনের ক্ষতি সাধন করে। শুধু তাই নয় এ সময়
যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
এদিকে
জেলা বাস্তবায়নের দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে বিক্ষোভ সমাবেশ করে আন্দোলনকারীরা। এ সময় গণঅধিকার
পরিষদের মুখ্য সংগঠক ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল, জেলা বাস্তবায়ন মঞ্চের নেতা সাইদুর রহমান শাহরিয়ারসহ বক্তারা জানান, তাদের কর্মসূচি বাতিলের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাধা প্রদান করা হয়েছে এবং তাদেরকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে।
এ
বিষয়ে ভৈরব নৌ- থানার( ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান জানান, ভৈরব থেকে বিভিন্ন রুটে নৌ-চলাচল স্বাভাবিক
আছে। কোনো সমস্যা নেই। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।
মন্তব্য করুন


পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রশিক্ষণার্থীদের
সঙ্গে ভার্চুয়ালি মতবিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শিক্ষা, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিকভাবে
পার্বত্য অঞ্চলকে এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সম্পদে
পরিপূর্ণ পার্বত্য জেলাগুলো বাংলাদেশের সবচাইতে উন্নত অঞ্চল হতে পারতো, কিন্তু সবচেয়ে
পেছনে পড়ে আছে। এটা হওয়ার কথা না। আপনাদের ফসল, ফল-ফলাদি, ঐতিহ্যবাহী পণ্য দিয়ে অর্থনীতিতে
আপনাদের এগিয়ে যাওয়ার কথা। পার্বত্য এলাকাগুলো দুর্গম, সেজন্য যোগাযোগ করা কঠিন হয়।
আর এ কারণেই সেখানে প্রযুক্তির প্রসার দরকার। প্রযুক্তি দিয়ে এই দূরত্ব জয় করা যাবে।
পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও
সদস্যবৃন্দের জন্য আয়োজিত 'পার্বত্য জেলা পরিষদ ব্যবস্থাপনা' শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি
রাজধানীর পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ
দিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
নারী ফুটবল টিমে পার্বত্য জেলা থেকে
আসা খেলোয়াড়দের সঙ্গে বৈঠকের স্মৃতিচারণ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের মেয়েরা ফুটবলে বিশ্বের
অন্যান্য দেশের টিমকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। আপনাদের এলাকার মেয়েরা কী দুর্দান্ত
খেলল! কীভাবে বলবেন পিছিয়ে আছে? যারা আপনাদের এলাকা থেকে এসেছে তাদের সাথে আমি কথা
বলেছি। কী কঠিন পরিস্থিতি! কত কষ্ট করে পাহাড় ভেঙে বাড়িতে পৌঁছাতে হয়! বাবা মা ঢাকায়
আসলে কত কষ্ট করে তাদের আসতে হয়। এই প্রতিকূলতার মধ্যেই কিন্তু তারা বিশ্বজয় করে এসেছে।’
পার্বত্য এলাকার তরুণরা যেন বিশ্ব নাগরিক
হয়ে গড়ে ওঠে এ আশাবাদ ব্যক্ত করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আপনাদের মেয়েরা ফুটবলে বিশ্বজয়
এনে দিয়েছে। তরুণরা শুধু বাংলাদেশের নাগরিক না, বিশ্ব নাগরিক হতে হবে। দুর্গম এলাকা
বলে পিছিয়ে থাকলে হবে না। সীমাবদ্ধতা থাকবে, কিন্তু মনের সীমারেখাকে বাড়িয়ে দিতে হবে।
সারা দুনিয়ার মানুষের কাছে নিজ কৃতিত্ব দিয়ে পৌঁছে যেতে হবে।’ জানুয়ারিতে তারুণ্যের উৎসবে পার্বত্য
অঞ্চলের তরুণদের অংশ নেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আপনাদের শিশুদের, তরুণদের
এ উৎসবে যোগ দিতে উৎসাহ দিন। স্থানীয় খেলা হোক, রচনা প্রতিযোগিতা, গান-নাচ তারা যা
পারে, যা চায় তা নিয়ে যেন অংশ নেয়। এটা সবার উৎসব। উৎসবটি বৈচিত্রময় হোক। সরকারি নির্দেশ
তাই অংশ নেবে এরকম না। তাদেরকে আপনারা উৎসাহ দিন, যেন নিজ থেকেই তারা উদ্যমী হয়ে এ
উৎসবে অংশ নেয়।
পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থার
সংস্কার ও সঠিক পদ্ধতি, প্রশিক্ষণের গুরুত্ব নিয়েও কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি
আরও বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এক কঠিন সংকটে আছে। আপনাদের অঞ্চলে এটা আরও বেশি কঠিন।
শিক্ষকদের কষ্ট হয়, ছাত্র-ছাত্রীদের কষ্ট হয়। আপনাদের পড়াশোনার দিকে মনোযোগী হতে হবে।
আমরাও চেষ্টা করব রাষ্ট্রীয় দিক থেকে কীভাবে কী করা যায়। পার্বত্য জেলার তরুণরা দুর্গম
অঞ্চলে আছে বলে বড় শহর থেকে লেখাপড়ায় পিছিয়ে থাকবে সেটা হতে দেওয়া যাবে না। লেখাপড়ায়
তাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা সংরক্ষিত নারী আসনের
সাবেক সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী
লীগের সহ-সভাপতি এবং লক্ষীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি
কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলামকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর
গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। শুক্রবার রাতে গুলশানের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা
হয়।
আজ শনিবার (১০
মে) সকালে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ
রবিউল হোসেন ভূঁইয়া।
তিনি জানান, কুমিল্লা সংরক্ষিত নারী আসনের
সাবেক সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গেছে, সেলিনা ইসলাম আলোচিত অর্থ ও
মানবপাচার মামলায় কুয়েতে সাজাপ্রাপ্ত আসামি লক্ষীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি কাজী শহীদ
ইসলাম পাপুলের স্ত্রী। সেলিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধ সম্পদ অর্জন ও
মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চলছিল।
তিনি একাদশ জাতীয় সংসদের
সংরক্ষিত মহিলা আসন-৪৯ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ
সদস্য ছিলেন।
মন্তব্য করুন


পবিত্র হজ পালন শেষে এখন
পর্যন্ত ৫১ হাজার ৯৮১ জন হাজি দেশে ফিরেছেন।
শুক্রবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের
হজ পোর্টালের সর্বশেষ বুলেটিনে এই তথ্য এর পাশাপাশি আরো জানানো হয়, চলতি বছর ৬০ জন
বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ইসমাইল হোসেন (৬৪) নামে একজন হাজি
মারা গেছেন।
সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, মৃত্যুবরণকারী এসব হাজির মরদেহ সৌদি আরবেই দাফন করা হবে। প্রখর
তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমে চলতি বছর রেকর্ডসংখ্যক হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী,
মারা যাওয়া ৬০ জনের মধ্যে ৪৭ জন পুরুষ এবং ১৩ জন নারী। এর মধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা
শুরুর আগে ১৭ জন, বাকি ৪৩ জন হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর পর মারা গেছেন। সবার নাম-পরিচয়
প্রকাশ করেছে হজ পোর্টাল। এসব হজযাত্রীর মধ্যে ৪৭ জন মক্কায় মারা গেছেন।
মসজিদুল হারামে তাদের জানাজা
অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া হজ পালনের বিভিন্ন পর্যায়ে মদিনায় চারজন, মিনায় সাতজন ও জেদ্দায়
দুজন মারা গেছেন।
অন্যদিকে, মোট ১২৭টি ফ্লাইটে
৫০ হাজারের বেশি হাজি দেশে ফেরার তথ্য জানানো হয় বুলেটিনে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ
এয়ারলাইনস ৫৩টি, সৌদি এয়ারলাইনস ৪৮টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২৬টি ফ্লাইটে হজ পালন
শেষে তারা দেশে ফেরেন।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) সৌদি আরবে হজ পালন
করতে যান।
মন্তব্য করুন