

গাজায় মানবিক সহায়তা নিয়ে যাওয়া ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ আটকে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ সময় জলযানগুলোতে থাকা সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ অন্যান্য অ্যা স্বেচ্ছাসেবীদের আটক করা হয়। তাদের ইসরায়েলের একটি বন্দরে নিয়ে যাচ্ছে দখলদার বাহিনী। খবর আলজাজিরার।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নৌবহর থেকে আটক গাজার কর্মীরা নিরাপদ ও সুস্থ আছেন। নৌবাহিনীর কমান্ডোরা সমুদ্রে তাদের আটক করার পর কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়নি। আটক গাজা কর্মীরা ২ ঘণ্টার মধ্যে আশোদ বন্দরে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এখন আটককৃতদের ইসরায়েল থেকে ইউরোপে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
গত রাত থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার উপর ভয়াবহ অবরোধ ভাঙার আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় ইসরায়েল ৪৪টি মানবিক ত্রাণ বহনকারী নৌকার মধ্যে কমপক্ষে ২১টি আটক করে। এ নিয়ে বিশ্বে নিন্দার ঝড় উঠলেও ইসরায়েল পাত্তা দিচ্ছে না।
ঘটনার আগে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সেসকা আলবানিজে এবং কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো ফ্লোটিলাটিকে বাধাহীনভাবে যেতে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, ফ্লোটিলার সরবরাহকৃত সহায়তা মানবিক আইনের আওতায় বৈধ। তবে ইসরায়েল বলছে, ফ্লোটিলার স্বেচ্ছাসেবীরা ‘আইনসংগত নৌ অবরোধ ভাঙার চেষ্টা’ করছে। তবে আন্তর্জাতিক আইন মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর অনুমতি দেয় বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে হাজারো মানুষের মৃত্যু ও অবরোধ চলমান থাকায় এই ফ্লোটিলা মানবিক সহায়তা ও সংহতির অংশ হিসেবে রওনা হয়েছিল।
আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে স্পেনের ৩০ জন, ইতালির ২২ জন, তুরকির ২১ জন এবং মালয়েশিয়ার ১২ জন রয়েছেন। কর্মীরা বলছেন, গ্রেপ্তার অভিযান চললেও ফ্লোটিলার মিশন থেমে যায়নি। এখনো কয়েকটি জাহাজ ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে গাজার উপকূলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।
মন্তব্য করুন


চীনের
দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলের জিয়াংশি প্রদেশে জিনয়ু শহরে দোকানে অগ্নিকাণ্ডে
৩৯ জন নিহত হয়েছেন। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন আরও ৯ জন।ওই প্রদেশটির কর্তৃপক্ষ
এই খবর নিশ্চিত করেছে।
বুধবার(২৪
জানুয়ারি) বিকেলে জিনয়ু শহরে একটি দোকানের বেজমেন্টে আগুন লেগে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে
এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। তবে অন্য একটি সূত্র বলছে ঘটনাটি স্থানীয় সময় বেলা ৩টার দিকে
একটি রাস্তার দোকান থেকে এই আগুন লাগে। (খবর আল আল জাজিরা)
চীনা
টেলিভিশন সিসিটিভি এ ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। যেখানে ভবনের ভেতর থেকে কালো ধোঁয়া
বেরিয়ে আসতে এবং লোকজনকে জানালা দিয়ে লাফ দিতে দেখা যায়।
দুঃখজনক
দুর্ঘটনা উল্লেখ করে কী কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা তদন্ত করে দেখতে বলেছেন চীনের
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
মন্তব্য করুন


এ বছর পবিত্র হজ করতে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন
৩৮ হাজার ৯৯০ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী।
শুক্রবার (২৪ মে) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের
হজবিষয়ক প্রতিদিনের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বুলেটিনের তথ্য মতে, পবিত্র হজ পালন
করতে সৌদি আরব পৌঁছেছেন ৩৮ হাজার ৯৯০ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী। মোট ৯৮টি ফ্লাইটে তারা
সৌদিতে পৌঁছেন। সৌদি আরবে পৌঁছা হজযাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৭৪৭
ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩৫ হাজার ২৪৩ জন। তা ছাড়া এখন পর্যন্ত ৮৪ হাজার ৫৪৫টি ভিসা
ইস্যু করা হয়েছে।
এছাড়া সৌদি আরব গিয়ে আরো একজন হজযাত্রী
মারা গেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ মে) মক্কায় মো. মুরতাজুর রহমান খান
নামে এ হজযাত্রী মারা যান। তাঁর বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত পাঁচজন বাংলাদেশি
হজযাত্রী সৌদি আরবে মারা গেলেন।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে হজ করবেন ৮৫ হাজার
১১৭ জন।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে
টেকসই সংহতি এবং বর্ধিত সহায়তার জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, এমন
সহায়তার প্রয়োজন যাতে আর্থিক সংকট লাঘব করা যায় এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর
জন্য বাংলাদেশের সহায়তা আরো জোরদার করা যায়।
আজ
মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন
লুইস প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎকালে
তাঁরা রোহিঙ্গা সংকট এবং রোহিঙ্গাদের জন্য আর্থিক সহায়তার চলমান চ্যালেঞ্জ নিয়ে গুরুত্ব
সহকারে আলোচনা করেন।
তাঁরা
উভয়ে অর্থায়নের ব্যাপক কাটছাঁটে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন, যা ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর
শিক্ষা ও অন্যান্য জরুরি কার্যক্রমে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
আবাসিক
সমন্বয়ক গোয়েন লুইস অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে দৃঢ় সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং উভয়
নেতা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
তাঁরা
সরকারের উচ্চাকাঙ্ক্ষী সংস্কার কার্যক্রম শক্তিশালী করতে জাতিসংঘ কীভাবে ব্যাপক সহায়তা
দিতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করেন।
আবাসিক
সমন্বয়ক বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের জন্য একটি নির্বিঘ্ন
রূপান্তর নিশ্চিত করতে গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন।
আবাসিক
সমন্বয়কারী বাংলাদেশের সংস্কার ও সংস্কারপ্রক্রিয়ার সঙ্গে তার অবিচল সংহতি পুনর্ব্যক্ত
করেন এবং টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে জাতিসংঘের সমর্থনের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন।
মন্তব্য করুন


এ পৃথিবীতেই সেই রাস্তা রয়েছে যা শেষ হয়ে গিয়েছে এবং মিশে গিয়েছে অসীমে।
শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও ভূ-বিজ্ঞানীরা দিলেন সেই রাস্তার হদিশ। যেখানে স্বপ্ন এসে মিশে যায়।
পৃথিবীর সেই শেষ রাস্তার ঠিকানা হল ইউরোপের ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’যেটি অবস্থিত নরওয়ে-তে।
সেই রাস্তায় ভূ-বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এখানে ভয়ানক গতিতে বাতায় বইতে থাকে। আর তেমনই ঠান্ডা। এতটাই ঠান্ডা যে গ্রীষ্মকালেও এখানে বরফ পড়ে। আর শীতকালে এই রাস্তা তুষারে ঢাকা থাকে। বন্ধ থাকে রাস্তা। অতিরিক্ত তুষারপাত, বৃষ্টির সঙ্গে যখন তখন সেখানে ঝড় উঠে। আবহাওয়ার কোনও পূর্বাভাসই এখানে কাজ করে না। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জন্য এখানে একা যাওয়া নিষিদ্ধ।
ঠিকানা যখন রয়েছে পৃথিবীর শেষ রাস্তার তখন অ্যাডভেঞ্চারের সাক্ষী থাকতে নিশ্চয়ই একবার যেতে মন কাঁদবে অনেকেরই।নরওয়ের ওই ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’তে পৃথিবীর শেষ রাস্তা দিয়ে অন্তত একবার হাঁটার শখ অনেকেরই।
পৃথিবীর এই শেষ রাস্তাটি উত্তর গোলার্ধে অর্থাৎ নিরক্ষরেখার ঠিক উপরের দিকে।
রাস্তাটিকে কেন পৃথিবীর শেষ রাস্তা বলা হয়, তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন ভূ-বিজ্ঞানীরা। সেখানে কি কেউ যেতে পারেন, কীভাবে যাওয়া সম্ভব সেখানে, তাও ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
নরওয়ের ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’ উত্তর মেরুর গা ঘেঁষে চলে গিয়েছে। এই রাস্তা উত্তর ইউরোপের নর্ডক্যাপকে সংযুক্ত করেছে নরওয়ের ওল্ডাফিউওর্ড গ্রামের সঙ্গে। এই ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’র দূরত্ব ১২৯ কিলোমিটার। পাঁচটি ট্যানেল পার হয়ে ওই রাস্তা অতিক্রম করতে হয়। এর মধ্যে সবথেকে যে লম্বা ট্যানেলটি রয়েছে তা হল ‘নর্থ কেপ’। ওই ‘নর্থ কেপ’-এর ৬.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ।এই ‘নর্থ কেপ’ ট্যানেলটি গিয়ে পৌঁছয় সমুদ্রতলের ২১২ মিটার নিচে। সেখানেই শেষ রাস্তা। ওই রাস্তায় যাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম না মানলে ওই রাস্তায় যাওয়ার অনুমতি মিলবে না, নিয়ম না মানলে ভয়ঙ্কর বিপদ লুকিয়ে রয়েছে ওই রাস্তার পরতে পরতে। তাই ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’তে একা যাওয়ার কোনও অনুমতি নেই।
মন্তব্য করুন


পৃথিবীকে জলবায়ু বিপর্যয় থেকে রক্ষা করার জন্য ‘শূন্য বর্জ্য ও শূন্য কার্বন’-এর ওপর ভিত্তি করে একটি নতুন জীবনধারা গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ
বুধবার (১৩
নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ২৯-এর ওয়ার্ল্ড লিডারস ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি আহ্বান করেন।
একটি নতুন পৃথিবী গড়ার লক্ষে তিনটি শূন্যভিত্তিক তার দীর্ঘ দিনের স্বপ্নের কথাও উপস্থাপন করেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, বেঁচে থাকার জন্য, আমাদের আরেকটি সংস্কৃতি গঠন করতে হবে। একটি ভিন্ন জীবনধারার ওপর ভিত্তি করে আরেকটি পাল্টা সংস্কৃতি গড়তে হবে। এটি হবে শূন্য বর্জ্যের ওপর ভিত্তি করে। এ সংস্কৃতি নিত্য পণ্যের ব্যবহারকে সীমিত করবে, কোন বর্জ্য অবশিষ্ট রাখবে না। এ জীবনযাত্রাও হবে শূন্য কার্বনের ওপর ভিত্তি করে যেখানে কোনো জীবাশ্ম জ্বালানি থাকবে না, শুধুমাত্র পুনঃনবায়নযোগ্য শক্তি থাকবে। এতে এমন একটি অর্থনীতি হবে যা প্রাথমিকভাবে সামাজিক ব্যবসার মতো ব্যক্তিগত পর্যায়ে শূন্য মুনাফার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হবে। সামাজিক ব্যবসার একটি বিশাল অংশ পরিবেশ ও মানবজাতির সুরক্ষায় মনোযোগ দেবে। সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের জীবন কেবল সুরক্ষিতই হবে না, গুণগতভাবে উন্নত হবে। এটি যুবকদের জন্য উদ্যোক্তা হওয়ার পথ সহজতর করবে। উদ্যোক্তা হওয়ার নতুন শিক্ষার মাধ্যমে তরুণরা প্রস্তুত হবে। চাকরিপ্রার্থী তৈরির শিক্ষা উদ্যোক্তা-কেন্দ্রিক শিক্ষা দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে।
পরিবেশের সুরক্ষার জন্য একটি নতুন জীবনধারার প্রয়োজন উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, নতুন জীবনধারা চাপিয়ে দেয়া হবে না, এটি হবে পছন্দ বেছে নেওয়া। তরুণরা সে জীবনধারাকে পছন্দ হিসেবে বেছে নেবে। প্রতিটি যুবক তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে উঠবে। এগুলো হচ্ছে- শূন্য নেট কার্বন নির্গমন, শুধুমাত্র সামাজিক ব্যবসা গড়ে তোলার মাধ্যমে শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ ও নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে পরিণত করার মাধ্যমে শূন্য বেকারত্ব। প্রত্যেক মানুষ তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে উঠবে এবং সারাজীবন তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে থাকবে। এটি নতুন সভ্যতা গড়ে তুলবে। এটা করা যেতে পারে আমাদের যা করতে হবে তা হল এ গ্রহের নিরাপত্তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি নতুন জীবনধারা গ্রহণ করা যেখানে সবাই বসবাস করে। আজকের তরুণ প্রজন্ম বাকিটা করবে। তারা তাদের আমাদের গ্রহকে ভালোবাসে। আমি আশা করি আপনারা এ স্বপ্ন দেখায় আমার সাথে যোগ দেবেন। আমরা যদি একসাথে স্বপ্ন দেখি তবে তা সম্ভব হবে। জলবায়ু সংকট তীব্রতর হচ্ছে এবং সে কারণে মানব সভ্যতা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। মানুষ আত্ম-বিধ্বংসী মূল্যবোধের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আত্ম-রক্ষাত্মক ও আত্ম-শক্তিবর্ধক একটি নতুন সভ্যতার ভিত্তি স্থাপনের জন্য আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক, আর্থিক ও যুব শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। আমরা, এই গ্রহের মানব বাসিন্দারা এই গ্রহের ধ্বংসের কারণ। মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে এটি করছে এবং তারা এমন একটি জীবনধারা বেছে নিয়েছে যা পরিবেশের বিরুদ্ধে কাজ করে। তারা এটিকে একটি অর্থনৈতিক কাঠামো দিয়ে ন্যায্যতা দেয়, যা এ গ্রহ ব্যবস্থার মতো প্রাকৃতিক হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অর্থনৈতিক কাঠামো সীমাহীন খরচের ওপর ভিত্তি করে চলছে। আপনি যত বেশি ব্যবহার করবেন তত বেশি প্রবৃদ্ধি পাবেন। যত বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবেন, তত বেশি অর্থ উপার্জন করবেন। সর্বাধিক মুনাফা অর্জনকে সিস্টেমের সবকিছুকে আমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ভূমিকা পালনের শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মন্তব্য করুন


আজারবাইজান ও জর্জিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় তুরস্কের একটি সামরিক মালবাহী বিমান দুর্ঘটনায় পড়েছে। বুধবার রাতে এই ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, বিমানে অন্তত ২০ জন আরোহী ছিলেন। তবে হতাহতদের সংখ্যা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি কর্তৃপক্ষ।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি সি–১৩০ মডেলের একটি পরিবহন বিমান, যা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের বিমানবাহিনী ব্যবহার করে থাকে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি আজারবাইজান থেকে তুরস্কের উদ্দেশে উড্ডয়ন করেছিল। পথে জর্জিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশের পরপরই রাডার থেকে এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, জর্জিয়ার সিগনাঘি শহরের কাছাকাছি, আজারবাইজান সীমান্ত থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যে উদ্ধার ও অনুসন্ধান অভিযান চলছে। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরোহীদের সন্ধানে কাজ করছেন। বিমানে ফ্লাইট ক্রু ছাড়াও কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন বলে জানা গেছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।” তিনি উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও এক বার্তায় শোক প্রকাশ করে তুরস্কের জনগণ ও সরকারের প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের তুরস্কে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ পোস্ট দিয়ে বলেন, “এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। নিহতদের পরিবার ও তুর্কি সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা রইল।
মন্তব্য করুন


টালিউডে নতুন জ্যোতির্ময়ী, প্রথম সিনেমাতেই দেবের সঙ্গে জুটি
টালিউডে নতুন মুখ জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডু। প্রথম সিনেমাতেই তিনি পেয়েছেন সময়ের আলোচিত নায়ক দেবের বিপরীতে অভিনয়ের সুযোগ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, দেবের নাম প্রথম শুনে তার গায়ে শিহরণ জাগেছিল। আর দেবকে সরাসরি দেখার দিনটিও ছিল কিছুটা ভয়ের—কিন্তু তা শীঘ্রই উচ্ছ্বাসে পরিণত হয়।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে দ্বিতীয় গান প্রকাশের পর জ্যোতির্ময়ীর উচ্ছ্বাস যেন সীমাহীন। নতুন সিনেমা শুরুতে বিশ্বাস করাও কঠিন ছিল। তিনি জানান, অনুভূতি এতটাই চরম যে ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তিনি আরও বলেন, “লোকে আমার মুখ দেখে বোঝে না আমি খুশি নাকি দুঃখ পেয়েছি। পর্দায় দেবের বিপরীতে রোম্যান্স করলেও তিনি বুঝতে পারেননি আমার অনুভূতি।”
জ্যোতির্ময়ী বলেন, দেবের সঙ্গে প্রথম দেখা ততদিনের স্মৃতিতে অদ্ভুত। “সেই সময় দেবদা ওজন একটু বাড়িয়েছেন, মুখে দাড়ি-গোঁফ ছিল। প্রথমে একটু ভয় লেগেছিল। কিন্তু পর কিছু দিনের মধ্যে দেখলাম—এটাই আমার পর্দার ‘পাগলু’ দেবদা।” পরিচালক অভিজিৎ সেনের কাছে তার কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন।
লন্ডনে দীর্ঘ শুটিং চলাকালীন অভিনেত্রী এবং দেবের কাজের ফাঁকে ঘুরাফিরা, খাওয়াদাওয়া এবং কেনাকাটা করাও স্মরণীয় হয়ে গেছে। দেবের জন্য কি কিনলেন—এই প্রশ্নে প্রথমে থমকে গেলেও পরে হেসে বলেন, “ওর পছন্দ কী করে জানব, সারাক্ষণ তো ওর সঙ্গে থাকি।”
অভিনেত্রী আরও উচ্ছ্বাসে জানান, মিঠুন চক্রবর্তী এই সিনেমায় আছেন। প্রথম সিনেমা তার জন্য অনেক নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছে—‘প্রজাপতি ২’ তার অনেক ‘প্রথম’ স্মৃতি হিসেবে থাকবে। একই সঙ্গে ছোটপর্দার ধারাবাহিক ‘বঁধুয়া’র চরিত্র ‘পেখম’ তাকে দেবের সঙ্গে কাজের পথে নিয়ে এসেছে।
জ্যোতির্ময়ী হেসে বলেন, “পর্দায় এক মেয়ের বাবা হলেও দেবদার সঙ্গে রোম্যান্সে আমার কোনো আপত্তি নেই। বাস্তবে অবশ্য নয়—বাস্তবে দেবকে আমি খুবই শ্রদ্ধা করি।”
যদি ভবিষ্যতে পরিস্থিতি উল্টো হয়, অর্থাৎ দেব ছোটপর্দায় নায়ক হন, জ্যোতির্ময়ী খুশি কণ্ঠে বলেন, “তাহলে আমাদের কে ‘পাগলু’ উপহার দেবে?”
ছোটপর্দার নায়িকাদের বড়পর্দায় সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে তার মন্তব্য, “দেবদার মতোই সবার উচিত এমন ভাবা। প্রযোজক অতনু রায়চৌধুরীও এর পক্ষে। মাধ্যম দেখে নয়, অভিনেতা-অভিনেত্রীর প্রতিভা মাপা উচিত।” ভবিষ্যতে ছোটপর্দায় ফিরতে রাজিও জ্যোতির্ময়ী।
এবং পরিশেষে, নিজের ‘প্রজাপতি’ কবে বসবে—এই প্রশ্নে প্রাণখোলা হাসি দিয়ে বলেন, “আরও ১০–১২ বছর অপেক্ষা, তারপর বসুক।”
মন্তব্য করুন


সৌদি
আরবের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই আগামীকাল (মঙ্গলবার) ৩০ রমজান
পূর্ণ হবে। তাই দেশটিতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে বুধবার।
আজ
সোমবার (৮ এপ্রিল) ইনসাইড দ্য হারামাইনের ফেসবুক পেজে চাঁদ উঠার এই তথ্য জানানো হয়।
তবে
আগেই সৌদি আরবের চাঁদ দেখার দায়িত্বে থাকা প্রধান জ্যোতির্বিদ আব্দুল্লাহ আল খুদাইরি
জানিয়েছিলেন, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় চাঁদ দেখা খুব কঠিন হয়ে যাবে।
মন্তব্য করুন


বাড়িতে লজেন্স খাচ্ছিলেন মৌসুমী মুখোপাধ্যায়।
হঠাৎ সেটা তার গলায় আটকে যায়। দমবন্ধ হয়ে কথা বলার শক্তিও চলে যায় তার। মাকে ওই অবস্থায়
দেখে প্রাথমিক ভাবে ঘাবড়ে গেলেও অসুবিধা বুঝতে দেরি করেনি দুই মেয়ে।
গ্রামের একটি অনুষ্ঠানে খেলার ছলে দুই
বোন শিখেছিলেন হাইমলিখ কৌশল। সেটাই যে এ ভাবে কাজে লেগে যাবে, কে জানত! আচমকা অসুস্থ
হয়ে পড়া মাকে সুস্থ করে তুললেন কলেজপড়ুয়া দুই বোন। শনিবার (১৩ জুলাই) বাঁকুড়ার সোনামুখী
ব্লকের পাথরমোড়া গ্রামের ঘটনা।
বৃষ্টি মুখোপাধ্যায় এবং চতুর্থী মুখোপাধ্যায়
নামে দুই মেয়ের জন্য প্রাণে বাঁচলেন তাদের মা মৌসুমী মুখোপাধ্যায়।
মায়ের উপর হাইমলিখ কৌশল প্রয়োগ করেন
তারা। বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা চালানোর পর মায়ের গলা থেকে লজেন্সের টুকরো বার করে আনতে
সমর্থ হন বৃষ্টি এবং চতুর্থী। কোনও চিকিৎসকের সাহায্য ছাড়াই মাকে সুস্থ করে তুলতে পেরে
খুশি দুই বোন।
বৃষ্টি বলেন, মা আমাদের সঙ্গে বসে গল্প
করছিলেন। মুখে একটা লজেন্স ছিল। হঠাৎ কথা বন্ধ হয়ে যায় মায়ের। গলা থেকে অদ্ভুত একটা
শব্দ বার হতে থাকে। ধীরে ধীরে জিভ বার হয়ে আসছিল। বুঝতে পেরেছিলাম মা সাধারণ বিষম খাননি।
শ্বাসনালীতে লজেন্স আটকে শ্বাসরোধ হয়েছে। দ্রুত আমরা দুই বোন মায়ের উপর হাইমলিখ পদ্ধতি
প্রয়োগ করে লজেন্স বার করে আনি। মা আবার স্বাভাবিক হন।
চতুর্থী বলেন, ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী
সমিতির রাধানগর শাখা বেশ কিছু দিন আগে আমাদের গ্রামে একটি অনুষ্ঠান করেছিল। সেই অনুষ্ঠানেই
আমরা হাইমলিখ কৌশল শিখেছিলাম। ওই কৌশল শেখা না থাকলে জানি না মায়ের কী হত! আগামিদিনে
যাতে এই কৌশল অন্যদেরও শেখাতে পারি, সেই চেষ্টা করব।”
মৌসুমী মুখোপাধ্যায় বলেন, দুই মেয়ে
এই কৌশল না জানলে হয়তো মারাই যেতাম গতকাল।
ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির
কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৌম্য সেনগুপ্ত বলেন, খাবার বা পানীয় আমাদের গলা দিয়ে পেটে
যাওয়ার সময় একটি মাংসপেশি আমাদের শ্বাসনালী আটকে দেয়। শ্বাস নেওয়ার সময় তা খোলা থাকে।
কিন্তু খাবার সময় কথা বললে বা মাংসের হাড় থেকে মজ্জা জোরে শুষে খাওয়ার সময় কিছু ক্ষেত্রে
খাবার শ্বাসনালীতে গিয়ে শ্বাসরোধ করে দেয়। ফলে রোগীর তীব্র শ্বাসকষ্ট হয়। কথা বলার
শক্তিও থাকে না তখন। অল্প সময়ের মধ্যে রোগী ছটফট করতে করতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারেন।
এই সময় রোগীর শ্বাসনালী থেকে খাবার বার করে আনার জন্য হাতে সময় থাকে মাত্র ৪ মিনিট।
ফলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়টুকুও থাকে না। এ ক্ষেত্রে আশপাশে থাকা লোকেদের সাহায্যে
বিশেষ কৌশলে ফুসফুসে চাপ দিয়ে খাবারের অংশ বার করে আনার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী
কৌশল ‘হাইমলিখ’।
এই কৌশল ব্যবহার করে সারা পৃথিবীতে লক্ষাধিক রোগীকে সুস্থ করা সম্ভব হয়েছে। বৃষ্টি
আমাদের অনুষ্ঠানে ‘হাইমলিখ’কৌশল
রপ্ত করে রাখায় তার মাকে সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন।
মন্তব্য করুন


পশ্চিমবঙ্গে এক চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদ এবং বিচারের দাবিতে ভারতজুড়ে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
গত সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হন এক ইন্টার্ন চিকিৎসক। সেই ঘটনার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে পুরো ভারত।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের চিকিৎসকদের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) জানিয়েছে, আগামীকাল শনিবার থেকে ২৪ ঘণ্টা কর্মবিরতি কার্যকর হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে আইএমএ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আইএমএ জানিয়েছে, ১৭ আগস্ট শনিবার সকাল ৬টা থেকে রোববার ১৮ আগস্ট সকাল ৬টা পর্যন্ত কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন আইএমএ। আইএমএ এ বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এ সময় জরুরি সেবা চালু থাকলেও বহির্বিভাগসহ অন্য সব সেবা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
এর আগে, গত ৯ আগস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক শিক্ষানবিশ ডাক্তারকে (৩১) ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এই নৃশংস ঘটনার প্রভাবে সারা ভারতে জ্বলছে বিক্ষোভের আগুন। চলছে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ও সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ-প্রতিবাদ।
গত শুক্রবার আরজি কর মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগের চারতলায় রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় নারী চিকিৎসকের দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে। খুন ও ধর্ষণের অভিযোগ তুলে আন্দোলনে শামিল হন আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসকেরা। পরে সেই আন্দোলনে যোগ দেন অন্য চিকিৎসকেরা। তবে সেই আন্দোলন শুধু আরজি করের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন