মো: মাসুদ রানা,কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ায় ঈদ পূনর্মিলনী ও গুণীজন সম্মাননা উপলক্ষে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। রবিবার বিকালে আশারকোটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আশারকোটা সোস্যাল এক্টিভিটিসের উদ্যোগে সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপার মো. নবীর হোসেনকে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক নবাবপুর শাখার ম্যানেজার ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মোহাম্মদ রমিজ উদ্দিন আহমেদ।
আশারকোটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুর রহমান মাষ্টারের সভাপতিত্বে ও আবরাহুল খাদেমের পরিচালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কচুয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মবিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মজুমদার,ঢাকা মাতুয়াল শিশু হাসপাতালের ডা. মো. আসিফ ইকবাল সহ আরো অনেকে।
এসময় ইউপি সদস্য বাচ্চু বেপারী,যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্টার রিয়াজ উদ্দিন,বিশিষ্ট সমাজসেবক মোতালেব হোসেন,হারুন অর রশিদ,আব্দুল মতিন,আব্দুল খালেক,আরিফুল ইসলাম,খতিব সোলাইমান,সাবেক শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ,ইসমাইল মিয়া,আওয়ামী লীগ নেতা অলিউল্যাহ প্রধান সহ সুশীল সমাজ,আশারকোটা সোস্যাল এক্টিভিটিসের সদস্যবৃন্দ ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অর্পিত ক্ষমতাবলে এবং চাঁদপুর জেলা প্রশাসক এর সার্বিক নির্দেশনা মোতাবেক চাঁদপুর পুরান বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছেন চাঁদপুর জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ মোতাবেক লঙ্ঘনজনিত অপরাধে চাঁদপুর শহরের পুরান বাজারে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে মিষ্টি তৈরি, রসমালাইয়ে মেয়াদ না থাকা ও রঙ মেশানো ঘি পাওয়ার অপরাধে মীম বনফুলকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করেন চাঁদপুর জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল ইমরান।
যৌথবাহিনী ও জেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর মোঃ নজরুল ইসলাম এবং চাঁদপুর পৌর স্যানেটারী ইন্সপেক্টর মোঃ রাজু মিয়ার সার্বিক সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় উক্ত প্রতিষ্ঠানটির মালিক বাদশা মিয়া পূণরায় এ ধরনের অনিয়ম করা থেকে বিরত থাকবেন বলে অঙ্গীকার করেন। এছাড়াও এদিন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও সতর্ক করে দেওয়া হয়।
এ অভিযান পরিচালনাকালে আবদুল্লাহ আল ইমরান বলেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্য হতে বিরত থাকার জন্য লিফলেট ও পাম্পলেট বিতরণ করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে সকল ব্যবসায়ীদের দৃশ্যমান স্থানে পণ্যের মূল্য তালিকা টাঙানো, ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি করা, ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ করা, নকল ও ভেজাল পণ্য/ঔষধ বিক্রয় থেকে বিরত থাকা এবং অবৈধ মজুদদারী করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার
পর কুমিল্লার ১৮টি থানার কার্যক্রম সোমবার শুরু হয়।
কর্মবিরতিতে থাকা পুলিশ
কর্মকর্তা ও সদস্যরা কাজে যোগ দেওয়ায় থানার কার্যক্রমে গতি এসেছে আর এদিকে১ যঙয ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের উপস্থিতিতে সড়কে
দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থী ও আনসার সদস্য কমতে শুরু করেছে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৩
আগষ্ট) কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান জানান, গতকাল (সোমবার) থেকে
জেলার ১৮ থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রায় সব পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তাগণ ডিউটি
করছেন। সেবা গ্রহীতাদের তারা বিভিন্ন সেবা প্রদান করা শুরু করেছেন।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, আমরা ইতোপূর্বে
থানার অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমগুলো শুরু করেছি। আমাদের কোতোয়ালি মডেল থানায় ১০৪ জন
অফিসার ফোর্স কর্মরত আছেন সবাই কাজে যোগদান করেছেন । সোমবার ও আজ মঙ্গলবার এ দুই
দিনে ৬টি অভিযোগ এবং ১৯টি জিডি করা হয়েছে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায়। যেকোনো
সেবা প্রত্যাশীরা জিডি কিংবা অভিযোগ অনায়াসেই আমাদের ডিউটি অফিসারের কাছে গিয়ে
করতে পারবেন। আমি এবং আমার ডিউটি অফিসাররা এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছি।
থানার সেবা আমরা চালু করেছি। কোতোয়ালি মডেল থানার কোন হামলা হয়নি।
মন্তব্য করুন
পৃথক দুইটি অভিযানে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন পাঁচথুবি ও চৌদ্দগ্রাম থানাধীন সৈয়দপুর এলাকা হতে ৬১ কেজি গাঁজা’সহ চারজন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
নিয়মিত টহলের অংশ হিসাবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ০২ ডিসেম্বর শনিবার রাতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন পাঁচথুবি এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ১১ কেজি গাঁজা’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী হলো: কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার উত্তর রাচিয়া গ্রামের মৃত চারু মিয়া এর ছেলে মোঃ তোতা মিয়া (৬৫)।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ০২ ডিসেম্বর শনিবার রাতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন সৈয়দপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ৫০ কেজি গাঁজা’সহ তিনজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলো: ১। বরগুনা জেলার সদর থানার হাজারবিঘা গ্রামের মোঃ কুদ্দুস হাওলাদার এর ছেলে মোঃ সজল (২০); ২। সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার ব্রাহ্মণগাও গ্রামের মোঃ জোয়াদ আলী এর ছেলে মোঃ ইলিয়াস (২০) এবং ৩। লক্ষীপুর জেলার রামগতি থানার চর আফজল গ্রামের মোঃ কামাল এর ছেলে মোঃ শাকিল (১৯)। এসময় মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ বরগুনা, সুনামগঞ্জ, লক্ষীপুর, কুমিল্লা’সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাঁজা’সহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামী তোতা মিয়া’এর বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় এবং সজল (২০), ইলিয়াস (২০) এবং শাকিল (১৯) দের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
৬৪ কেজি গাঁজাসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশ।
আজ
(১৯ ফেব্রুয়ারি) ব্রাহ্মণপাড়া
থানায় কর্মরত এসআই শাহাবুর আলম ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
ব্রাহ্মণপাড়া থানাধীন ১নং মাধবপুর ইউপিস্থ মাধবপুর বাজার এলাকায় কুমিল্লা টু সিলেট
মহাসড়কের পূর্ব পাশে পাকা রাস্তার উপর চেকপোস্ট ডিউটি করাকালে ১টি পিকআপ গাড়ি থেকে
৬৪ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী ওয়াহিদুন নবী ও মোঃ তপন মিয়া কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত
আসামী হলো:১. ওয়াহিদুন নবী (২৭), পিতা-মোঃ মোসলেম উদ্দিন, সাং-মাধবপুর(দক্ষিণপাড়া),
থানা- ব্রাহ্মনপাড়া, জেলা: কুমিল্লা। ২. মোঃ তপন মিয়া (১৯), পিতা-মোঃ কানু মিয়া, সাং-মাধবপুর,
পোঃ-মাধবপুর, ১নং মাধবপুর ইউপি, উপজেলা/থানা- ব্রাহ্মনপাড়া, জেলা: কুমিল্লা।
উক্ত
ঘটনায় ব্রাহ্মনপাড়া থানার মামলা রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন লামপুর এলাকায় ৮ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারী) রাতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন লামপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৮ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী হলোঃ কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার দক্ষিণ রামপুর গ্রামের মোঃ হোসেন আলী এর ছেলে মোঃ হাফিজ উল্লাহ (৩৮)।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লার
সদর দক্ষিণ উপজেলায় অতিরিক্ত বাস ভাড়া নেওয়ার অভিযোগে দুটি পরিবহন সার্ভিসকে জরিমানা
করেছে কুমিল্লা ভোক্তা অধিদপ্তর।
সোমবার
(২৬ মে) বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত উপজেলার ঢুলিপাড়া এলাকায় এই অভিযান চালান ভোক্তা
অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া।
ভোক্তা
অধিদপ্তর,কুমিল্লা জানায়- আজ সকাল থেকে দুপুর পযর্ন্ত কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার
ঢুলিপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। কুমিল্লা থেকে রংপুর, পঞ্চগড়গামী (দূরপাল্লা)
পরিবহনের কাউন্টারগুলোতে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানের সময় সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এসব বাস কাউন্টারে নির্ধারিত ১ হাজার
২৮০ টাকার স্থলে অগ্রিম প্রতি টিকিট বিক্রি করছে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায়। অতিরিক্ত
৬০০-৭০০ টাকা বেশি নেওয়ায় এলআরবি পরিবহনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ২০ হাজার টাকা
ও নুর স্পেশাল পরিবহনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে কুমিল্লা বাস মালিক
সমিতি, জেলা পুলিশসহ অন্যরা সহযোগিতা করেন।
ভোক্তা
অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক কাউছার মিয়া বলেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী
সেবা নিশ্চিত করতে এবং ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকতে বিভিন্ন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা
দেওয়া হয়েছে। ভোক্তাদের স্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় নিত্যপণ্যের
বাজারে তদারকি অভিযান পরিচালনা করে তিন প্রতিষ্ঠানকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে
২টা পর্যন্ত কুমিল্লা নগরীর নিউমার্কেট ও এর আশেপাশের এলাকায় পরিচালিত এ অভিযানে
চাল, ডাল, আটা, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ডিম, মাংস, সবজি, তেলসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের
ক্রয় ভাউচার ও বিক্রয়ের তথ্য যাচাই করা হয়।
এরই সাথে দৃশ্যমান স্থানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন ও সেখানে তথ্যের গরমিল আছে কিনা সেটিও যাচাই করা হয়।
পাশাপাশি অনুমোদনহীন শিশু খাদ্য ও কসমেটিকস বিক্রি হচ্ছে কিনা সেটিও তদারকি করা হয় ।
অভিযান পরিচালনা শেষে অতিরিক্ত মূল্যে চিনি বিক্রি ও মূল্য তালিকায়
গরমিল থাকায় মেসার্স তুহিন স্টোরকে ৫ হাজার টাকা, অনুমোদনহীন রং ও শিশু খাদ্য
বিক্রয় করায় মেসার্স মা-মনি স্টোরকে ১০ হাজার টাকা এবং অনুমোদনহীন বিদেশী কসমেটিকস
বিক্রি এবং ইচ্ছেমাফিক
মূল্যের স্টিকার লাগানোর অভিযোগে মেসার্স মামুন এন্টারপ্রাইজকে ৩০ হাজার টাকা
জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও বুধবার আয়োজিত এ অভিযানে
ভোক্তা অধিকার বিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের অভিযোগে অধিদপ্তরের প্রশাসনিক এখতিয়ারে
তিনটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয় এবং তদারকি করা হয় অন্তত ৩০টি প্রতিষ্ঠান।
আজকের এ অভিযান পরিচালনা
করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো:
আছাদুল ইসলাম। সহযোগিতা করেন জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ইসরাইল হোসেন।
অিভিযান পরিচালনা করার সময়
নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
জনস্বার্থে এ ধরণের কার্যক্রম
অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ভূমিকম্প চলাকালীন
হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে ২ শতাধিক গার্মেন্টস কর্মী আহত হয়েছেন।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল
৯টা ৩৫ মিনিটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ছুপুয়া এলাকায় অবস্থিত
আমির শার্ট গার্মেন্টেস এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চৌদ্দগ্রাম
উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া জানিয়েছেন, আহতদের সেবায় আমাদের একাধিক
টিম কাজ করছে। এ পর্যন্ত কতজন ভর্তি হয়েছেন সেটার সঠিক সংখ্যা বলা যাচ্ছে না। তবে এ
সংখ্যা দুই শতাধিক হবে। এছাড়া একের পর এক আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।
আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) ত্রিনাথ সাহা বলেন, ভূমিকম্পে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে অনেকে আহত হয়েছেন
বলে শুনেছি।
এদিকে, ভূমিকম্পের ঘটনায়
কুমিল্লা ইপিজেড ও কুমিল্লা মহিলা কলেজে আহত হয়ে ৪জন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের
পরিচালক আজিজুর রহমান সিদ্দিকী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দক্ষিণে বন্যাকবলিত এলাকার বাজারগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ফুরিয়ে আসছে ।
আর উঁচু জায়গার বাজারগুলোতে গত কয়েকদিন ধরে শুকনো খাবারের চাহিদা বেড়ে গেছে। আর এতে টান পড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল, ডাল, আলু, তেল, পেঁয়াজ, রসুনসহ প্রায় সব পণ্যের। বন্যার কারণে সরবরাহ ঠিকমতো নেই। সে কারণে বাজারগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নেই বললেই চলে।
এছাড়াও জরুরি ওষুধের সংকটও দেখা দিয়েছে। যার কারণে দূর-দূরান্তের বাজারগুলো থেকে চড়া দামে খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ করতে হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক এবং সাধারণ মানুষদের।
চৌদ্দগ্রামের বসুয়ারা গ্রামের আবুল বাশার জানান, এ উপজেলা ফেনী লাগোয়া। কুমিল্লায় সবচেয়ে বেশি বন্যাকবলিত এলাকা চৌদ্দগ্রাম। এখনো ৮০ শতাংশ গ্রাম পানির নিচে। ফেনীর উত্তরাংশ লাগোয়া অনেক গ্রামে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের জীবন কীভাবে চলছে বোঝা যাচ্ছে না। ওইসব এলাকার বাজারগুলোও পানির নিচে। টাকা থাকলেও তারা আজ অসহায়।
নাঙ্গলকোটের করপাতি গ্রামের আরিফ হোসেন বলেন, কোনো বাজারেই খাবার নেই। অনেক দূরে লাকসাম বাজারে গিয়ে শুকনো খাবার সংগ্রহ করছি। সেখানেও চড়া দাম। নাঙ্গলকোটের অনেক দুর্গম এলাকায় ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না। প্রবাসী ও স্থানীয় পেশাজীবীরা সহযোগিতা করছেন। এক সপ্তাহ ধরে মানুষ পানিবন্দি। বাজারেও পণ্য না থাকলে এভাবে আর চালিয়ে নেওয়া যাবে না।
এ উপজেলার আইটপাড়া গ্রামের জাবেদ হোসেন বলেন, শহরের কাছাকাছি এলাকায় মানুষ যথেষ্ট ত্রাণ পাচ্ছেন। আমাদের এলাকা দূরবর্তী হওয়ায় বাইরে থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি না। আমাদের অনেক অনেক ত্রাণ দরকার।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কুমিল্লার লাকসাম, নাঙ্গলকোট, চৌদ্দগ্রাম ও মনোহরগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। প্রায় পাঁচ সেন্টিমিটারের মতো পানি কমেছে ওইসব এলাকায়। অপরদিকে গোমতীর বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বুড়িচংয়ের পর ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। গোমতীর পানি ঢুকছে দেবিদ্বার উপজেলাতেও।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন,কুমিল্লা:
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে কুমিল্লায় বর্ণাঢ্য প্রতীকী ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শুক্রবার সকালে নগরীর শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে এ প্রতীকী ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ।
আনুষ্ঠানিকভাবে ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়াসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ম্যারাথনটি শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়ে নগরীর প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে পুনরায় স্টেডিয়ামে এসে শেষ হয়। হাতে ব্যানার, ফেস্টুন আর মুখে গণচেতনার স্লোগান—এমন প্রাণবন্ত অংশগ্রহণে মুখর হয়ে ওঠে পুরো আয়োজন।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, এই প্রতীকী ম্যারাথনের মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্ম ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস, তাৎপর্য ও মূল্যবোধ সম্পর্কে জানতে পারবে এবং দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় নিজেদের সচেতন ভূমিকা রাখতে উদ্বুদ্ধ হবে।
মন্তব্য করুন