মুরাদুল ইসলাম মুরাদ,কুড়িগ্রাম:
সারাদেশের ন্যায় কুড়িগ্রাম জেলার চর রাজীবপুর উপজেলায় জাসাসের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।। সাথে জাসাসের নতুন কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে রাজিব পুর উপজেলা জাসাসের উদ্যোগে শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজীবপুর উপজেলা জাসাসের আহবায়ক আকবর হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই সরকার, সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাহবুবুর রশিদ মন্ডল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, উপজেলা কৃষক দল সভাপতি সূরমান আলী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তফা কামাল বিএসসি, যুবদল আহবায়ক প্রভাষক রোস্তম মাহমুদ লিখন ,জাসাসের যুগ্ম আহ্বায়ক রনজু হাসান ও ছাত্র দল সভাপতি মোখলেছুর রহমান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
রফিকুল ইসলাম বাবু , চাঁদপুর :
চাঁদপুর জেলায় পরপর চারবার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হলেন মতলব দক্ষিণ থানার চক্ষুষ অফিসার ইনচার্জ মোঃ সালেহ আহাম্মদ । আগষ্ট ,সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের ২০২৪ এর পরপর টানা চারবার জেলায় শ্রেষ্ঠ অর্জন করেন।
৭ ডিসেম্বর চাঁদপুর পুলিশ লাইন সম্মেলন কক্ষে মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ সভায় পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল রকিব পিপিএম সালেহ আহমেদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল ইয়াসিন আরাফাত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) রাশেদুল হক চৌধুরী , সিনিয়র সহকারী পুলিশ,সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, মতলব সার্কেল, মোঃ খাইরুল কবির, হাজিগঞ্জ সার্কেল পংকজ কুমার, কচুয়া সার্কেল, সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, কোর্ট ইন্সপেক্টর, অফিসার ও পুলিশ সদস্যরা।
উল্লেখ্য,সালেহ আহাম্মদ দির্ঘদিন যাবত মতলব দক্ষিণ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গত ২০ আগস্ট একই থানায় তাকে অফিসার হিসাবে পদোন্নতি দেওয়া হয়। তিনি আগষ্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে পর পর টানা চারবার জেলায় শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসাবে নির্বাচিত হন। এ বিষয়ে মতলব দক্ষিন থানার অফিসার ইনচার্জ সালেহ আহম্মেদ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম ও সিনিয়র অফিসারসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লা
সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় যৌথভাবে একটি চেকপোস্ট স্থাপন করেছে।
এ সময় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে দুটি মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
এ
সময় মোট ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
আজ
সোমবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে এত তদারকি অভিযান পরিচালিত হয়।
যৌথভাবে
পরিচালিত এই চেকপোস্টে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। যান চলাচলে শৃঙ্খলা নিশ্চিত
ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর এই তৎপরতা স্থানীয়দের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
মন্তব্য করুন
শ্বশুর-শাশুড়ির সেবা করায় ১২ পুত্রবধূকে সম্মাননা দেওয়া হয়। মাদারীপুরে ব্যতিক্রমধর্মী এ সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘পাশে আছি মাদারীপুর’নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। পুত্রবধূরা সম্মাননা পুরস্কার পেয়ে
খুবই আনন্দিত। আয়োজকদের দাবি, সমাজে বর্তমানে পারিবারিক বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করতে এ ব্যতিকর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
আজ শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে মাদারীপুর সমন্বিত সরকারি অফিস ভবনের জেলা শিশু একাডেমির হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। ‘পুত্রবধূ ও শ্বশুর-শাশুড়ির ঐকান্তিক অনবদ্য ও চিরায়ত সম্পর্কের বন্ধনে’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে সেরা ১২ পুত্রবধূকে সম্মাননা দিয়েছে সংগঠনটি।
উক্ত অনুষ্ঠানে পাশে আছি মাদারীপুরের প্রতিষ্ঠাতা বায়জীদ মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম মুন্সী, আবৃত্তি সংগঠন মাত্রা’র সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন লিটন, নিরাপদ চিকিৎসা চাই এর মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান পারভেজ।
জানা যায়, মাদারীপুর ডাসার উপজেলার পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামের মৃত জোনাব আলী হাওলাদার ও মেহেরুন্নেসা বেগমের ছেলে মৃত অহিদুল হাওলাদারের স্ত্রী মোসা. মরিয়ম অহিদ। তিনি জনপ্রতিনিধি। ডাসার উপজেলার কাজীবাকাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মহিলা সংরক্ষিত আসন ১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। স্বামী মারা গেলেও শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়েই এক সঙ্গে থেকে তিনি তাদের সেবা যত্ন করছেন।
মাদারীপুর শহরের ২ নম্বর শকুনি এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন খান ও মৃত রিজিয়া সুলতানার ছেলে রাজন মাহমুদের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা আকাশী। তিনি একজন মিডিয়াকর্মী। তিনি নিজের কাজের পাশাপাশি শ্বশুরকে নিজ হাতে খাওয়ানোসহ সব সেবা যত্ন করে থাকেন।
অন্য সম্মননাপ্রাপ্ত পুত্রবধূরা হলেন, মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের মধ্য পেয়ারপুর গ্রামের সৈয়দ আলী মাস্টার ও মাহমুদা বেগমের ছেলে মাসুদুর রহমানের স্ত্রী রাবেয়া রহমান মুক্তা, মাদারীপুর শহরের মাস্টার কলোনি এলাকার আনোয়ার হোসেন ও রাশিদা বেগমের ছেলে রেজওয়ানের স্ত্রী রিমা, মাদারীপুর শহরের উকিলপাড়া এলাকার আশ্রাফ আলী ও সাহানা বেগমের ছেলে এহসানুল হক মামুনের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার, মাদারীপুর সদর উপজেলার চরমুগরিয়া এলাকার আ. রব জমাদার ও শামীমা বেগমের ছেলে আরাফাত ইসলামের স্ত্রী সামসুন নাহার, মাদারীপুর শহরের ২ নম্বর শকুনি এলাকার কাজী হাফিজুর রহমান ও রহিমা খাতুনের ছেলে কাজী হাবিবুর রহমানের স্ত্রী আরিফা আফরোজ অন্তরা, মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের মুক্তিসেনা রোড এলাকার হায়দার আলী খান ও কহিনুর বেগমের ছেলে সাকিন খানের স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া, মাদারীপুর সদর উপজেলার গৌরবর্দী এলাকার আ. আজিজ মিয়া ও ফিরোজা বেগমের ছেলে বি এম মহিউদ্দিনের স্ত্রী মিসেস ফারজানা, মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের পূর্ব পাচখোলা গ্রামের আলী আকবর মোড়ল ও নাদিরা বেগমের ছেলে আ. সোবহান মোড়লের স্ত্রী আছমা খাতুন, মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার চর বদরপাশা গ্রামের মো. নওসের ও আম্বিয়া বেগমের ছেলে মো. আমির এর স্ত্রী সাবিকুন্নাহার আক্তার, মাদারীপুর শহরের মাস্টার কলোনির শেফালী বেগমের ছেলে আজাদ চৌকিদারের স্ত্রী লাবনী আক্তার আশা। তারা সবাই গৃহিণী।
আয়োজক বায়জীদ মিয়া জানান, বর্তমানে আমাদের সমাজে পরিবারগুলো ব্যক্তি কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। আবহমান বাংলার যে ঐতিহ্য একান্নবর্তী পরিবার সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতেই এই বিশেষ সম্মাননা পুরস্কারের আয়োজন করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই কমিটি মাদারীপুরের ২৩ জন পুত্রবধূর মধ্যে থেকে সেরা ১২ জন পুত্রবধূকে মনোনীত করে। আজ এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই সেরা ১২ পুত্রবধূকে সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
সেরা পুত্রবধূ লাবণী আক্তার আশা বলেন, এই সম্মাননা স্মারক পেয়ে আমরা আনন্দিত। আগামীতে আমরা শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের সবার প্রতি আরও যত্নবান হবো। এ পুরস্কার প্রাপ্তি দেখে সমাজের অন্যান্য গৃহবধূরাও অনুপ্রাণিত হবেন বলে আশা করছি।
সম্মাননাপ্রাপ্ত আরিফা আক্তার অন্তরার শ্বশুর কাজী হাফিজুর রহমান বলেন, এই সম্মাননার আয়োজন করায় আমরা খুব খুশি। শুধু পুত্রবধূদের একার দায়িত্ব না, শ্বশুর-শাশুড়ি-পুত্রবধূ-ছেলে সবাই মিলেমিশে যে যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করাই হচ্ছে সবার কর্তব্য। আমার পুত্রবধূ সব সময় আমাদের খেয়ার রাখেন, যত্ন নেন। আমরা এক সঙ্গে থাকি। তবে বর্তমান সমাজে শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে কেউ থাকতে চান না। ছেলের বিয়ের পর আলাদা হয়ে যায়। তাই এ আয়োজনের মাধ্যমে অন্যপুত্রবধূরাও উৎসাহ পাবেন। তারা তাদের শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে এক সঙ্গে থেকে তাদের দায়িত্ব কর্তব্য পালন করবেন। আশা করছি এই আয়োজন প্রতিবছরই অনুষ্ঠিত হবে।
সম্মাননাপ্রাপ্ত সামসুন নাহারের শাশুড়ি শামীমা বেগম বলেন, পুত্রবধূ সম্মাননার মতো এমন আয়োজন আর কোথাও করতে শুনিনি। এটি ব্যতিক্রম আয়োজন। তবে বর্তমান সমাজে এ আয়োজনের দরকার আছে। কারণ বর্তমানে কেউ শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে এক সঙ্গে থাকতে চান না। কোনো না কোনো উসিলা দিয়ে আলাদা হয়ে যায়। এটা একজন মা-বাবার জন্য কতাটা কষ্টকর, তা বোঝানো যাবে না। তবে আমরা সবাই এক সঙ্গে থাকি। তাই এই আয়োজন দেখে সমাজের আরও পুত্রবধূরা শ্বশুর-শাশুড়িকে সেবা করবেন, যত্ন নেবেন, এক সঙ্গে থাকবে বলে আশা করছি।
আয়োজক বায়জীদ মিয়া জানান, বর্তমানে আমাদের সমাজে পরিবারগুলো ব্যক্তি কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। আবহমান বাংলার যে ঐতিহ্য একান্নবর্তী পরিবার সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতেই এ বিশেষ সম্মাননা পুরস্কারের আয়োজন করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই কমিটি মাদারীপুরের ২৩ জন পুত্রবধূর মধ্যে থেকে সেরা ১২ জন পুত্রবধূকে মনোনীত করে। আজ এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই সেরা ‘১২ পুত্রবধূকে সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তারুণ্য পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা সোহাগ হাসান জানান, মাদারীপুরে এই সেরা ১২ জন পুত্রবধূকে সম্মাননা পেতে দেখে অন্যান্য পুত্রবধূ ও শশুর শাশুড়িরাও অনুপ্রাণিত হবেন। তাই এই ব্যতিক্রম আয়োজনকে সাধুবাদ জানাই।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া ॥
নতুন বছরের শুরুতে বই পেয়ে খুশি কোমলমতি
শিক্ষার্থীরা। বই পেয়ে আনন্দে মেতে উঠেন মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে। কোমলমতি
শিক্ষার্থীদের হাতে বই দেখে উচ্ছাসিত ও আনন্দমুখর সময় কাটান মাদ্রাসার শিক্ষক ও
অভিভাবক। মঙ্গলবার সকালে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার দহুলিয়া গ্রামে অবস্থিত জামি’আ
দারুত তাওহীদ মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হয়।
তাওহীদ একাডেমী এন্ড ইসলামিক সেন্টারের আয়োজনে এসব বই বিতরণ করা হয়েছে।
এসময় মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ
আকরামুজ্জামান,সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল মালেক মিয়াজী, রিয়াজ হোসেন, তাওহীদ একাডেমী এন্ড
ইসলামিক সেন্টারের সেক্রেটারী হাজী মো. দুলাল মিয়া,সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান,রাসেল
হোসেন,শাহ জালাল মিয়া,মাদ্রাসার শিক্ষক,অভিভাবক ও শিক্ষার্থী সহ আরো অনেকে উপস্থিত
ছিলেন। এদিকে নতুন বই পেয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা খুশি।
মন্তব্য করুন
পাওনা
৩৬ হাজার টাকা না দেওয়ায় পরকীয়া প্রেমিকের হাতে খুন হয় কুমিল্লা হোমনা উপজেলার বড় ঘাগুটিয়া
ইউনিয়নের ঘাগুটিয়া গ্রামের শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে
সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।
গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহপরানের ঘরে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।
হত্যাকাণ্ডের
পরই রহস্য উদঘাটনে এবং খুনিকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ।
এর একদিন পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে হোমনার শ্রীমদ্দি চরেরগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূলহোতা আক্তার হোসেনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আক্তার হোসেন (২৭) হোমনা শ্রীমদ্দি চরের গাঁও এলাকার হক মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর হত্যাকারী আক্তার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, নিহত মাহমুদার সঙ্গে তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর মাহমুদা তার পরকীয়া প্রেমিক আক্তার হোসেনের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা ধার নিতো। সর্বশেষ আক্তার হোসেনের নিহত মাহমুদার কাছে ৩৬ হাজার টাকা পাওনা ছিল। আক্তার সেই টাকা মাহমুদার কাছে ফেরত চাইলে টাকা ফেরত দেব-দিচ্ছি করে আক্তারকে ঘোরাতে থাকেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কয়েক দফা বাগবিতণ্ডা হয়।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আক্তারকে তার পাওনা টাকা ফেরত দেবেন বলে বাড়িতে ডাকেন মাহমুদা। পরে রাতে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন মাহমুদা, হত্যাকারী আক্তার, মাহমুদার ছেলে সাহাত এবং মাহমুদার ভাতিজি তিশা।
খাওয়া শেষে তিশা ও সাহাত ঘুমিয়ে পড়ে। তখন আক্তার তার পাওনা টাকা ফেরত চাইলে মাহমুদা রাগারাগি করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ফের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে মাহমুদাকে মাথায় আঘাত করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন আক্তার। আর ভাবতে থাকেন তিশা ও সাহাত তো সন্ধ্যায় তাকে দেখেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা যদি আক্তারের কথা বলে দেয় সেই আশঙ্কা থেকে তাদের দুজনকেও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে মরদেহ তিনটি এক খাটের ওপর রেখে পালিয়ে যান তিনি।
হোমনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, তিনজনকে হত্যার ঘটনায় নিহত মাহমুদার বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করার পর ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে নামে পুলিশ। তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ হত্যাকারী আক্তারকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাতে আক্তারকে তার নিজবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার বিকেলে আদালতে তোলা হলে ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহপরানের ঘরে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এর আগে, বুধবার রাতের কোনো একসময় তিনজনকে হত্যা করে মরদেহ একটি খাটের ওপর ফেলে রাখা হয়।
নিহতরা হলেন বড় ঘাগুটিয়া এলাকার মো. শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।
এ
ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতেই নিহত মাহমুদার বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি
হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘাতক আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে শনিবার বিকেলে তাকে আদালতে তোলা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৭৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গতকাল (৫ ফেব্রুয়ারী) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন চান্দুল এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ সোহেল রানা (২৪) নামক ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৭৫ বোতল ফেন্সিডিল ও একটি ব্যাটারীচালিত অটো টমটম উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সোহেল রানা (২৪) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন যগুপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের আলী আজম এর ছেলে।
র্যাব জানা, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক দ্রব্য ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খুলনায় ১০ম শ্রেণির ছাত্রী সাথী আক্তার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
শনিবার (১৫ জুন) রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
তবে এ ঘটনার ৪ দিন আগে সাথী আক্তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় ‘আমারে দেখিবার আইসো শেষ জানাজার আগে, যেন পরকালে তোমায় দেখার একটু স্বাদ জাগে’।
নিহত সাথী আক্তার খুলনা জেলার হরিণটানা থানার ঠিকরাবাদ পিপড়ামারী এলাকার বালু ব্যবসায়ী ইউসুফ শেখের বড় মেয়ে। সে প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল।
পুলিশ ও নিহত সাথীর পরিবারের সদস্যরা জানান, সাথী আক্তারের সঙ্গে দেড় বছর আগে স্থানীয় একটি এনজিও’র হিসাবরক্ষক রাজ বিশ্বাসের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সস্প্রতি তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এর জেরে শনিবার রাত ১২টার দিকে রাজ বিশ্বাসের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার পর নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সাথী।
খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাতেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ রোববার (১৬জুন) দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিকেলে জানাজা শেষে মরদেহ দাফন করা হয়।
হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মনিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় সাথীর বাবা বাদী হয়ে রোববার দুপুরে থানায় অপমৃত্যু মামলা করেন।
মন্তব্য করুন
‘বিয়ের
গোসল টাও পেলাম না। শেষ গোসল টাও পাব না। জানাজাও পাব না। আমার ঠিকানা হবে জাহান্নাম।
অনেক ভালোবাসি তোমাকে শিপন। কিন্তু তুমি শেষ পর্যন্ত তোমার সঙ্গে থাকতে দিলা না। ’
চিঠিতে এমন অনেক কথা লিখে আত্মহত্যা করেছেন জান্নাতুল ফেরদৌসী সুমাইয়া (১৯) নামের এক
গৃহবধূ।
ফেসবুকে
প্রেম ভালোবাসা ও অভিভাবকের অমতে বিয়ে করে যৌতুকের চাপে সংসারে বনিবনা না হওয়ায় অবশেষে
গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন জান্নাতুল ফেরদৌসী সুমাইয়া।
শনিবার
(১৩ জুলাই) রাত ১০ টার দিকে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের বিশগিরি
পাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
রবিবার
(১৪ জুলাই) সকালে গৃহবধূ সুমাইয়ার মরদেহ ও চিঠি উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি
করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহতের
পরিবার জানায়, গত ৮ মাস আগে শেরপুর সদর উপজেলার সাপমারী এলাকার শিপন নামের এক যুবককের
সঙ্গে ফেসবুকে প্রেম ভালোবাসার মাধ্যমে বিয়ে হয় নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের
আবুবকর সিদ্দিকের কন্যা জান্নাতুল ফেরদৌসী সুমাইয়ার। এদিকে অভিভাবকের অসম্মতিতে বিয়ে
হওয়ায় মেনে নিচ্ছিল না স্বামী শিপনের পরিবার। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রী ও পরিবাবের লোকজনদের
মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় প্রায়ই ঝগড়াঝাটি লেগে থাকত। এমন কী শিপন বিয়ের পর ৮ লাখ টাকার
যৌতুকের জন্য সুমাইয়াকে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করতো। এসব বিষয় নিয়ে রাগারাগি করে গত রোজার
ঈদের সময় সুমাইয়া তার বাবার বাড়িতে চলে এসে সেখানেই থাকছিলেন।
শনিবার
(১৩ জুলাই) রাতে সুমাইয়া মনের ক্ষোভে ৭ পৃষ্ঠার চিঠি লিখে শয়নকক্ষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে
আত্মহত্যা করেন। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
চিঠিতে
জান্নাতুল ফেরদৌসী সুমাইয়া আরো লিখেন, আমি চাইলে দ্বিতীয় বিয়ে করে জীবনটা ভালোভাবে
চালাতে পারতাম। কিন্তু আমি চাই না দ্বিতীয় কেউ আমাকে উপভোগ করুক।
বাবা
মাকে উদ্দেশ্য করে সুমাইয়া লিখেন, তোমরা মনে কষ্ট নিও না। শিপনকে সুখে রাখার জন্য আমি
চলে যাচ্ছি। আমার মুখ তাকে দেখতে দিও না। আমার শরীরটা কাটতে (পোস্ট মর্টেম) দিও না।
আমি তাহলে কষ্ট পাব।
নালিতাবাড়ী
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল আলম ভুঁইয়া জানান, নিহত সুমাইয়ার মরদেহ ও
চিঠি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর
জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুরে
অবৈধভাবে রাস্তা দখল করে সেপটি ট্যাংক নির্মাণ করায় মজিবুর রহমান ফারুক নামে এক ব্যক্তিকে
ভ্রাম্যমাণ আদালত ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন।
বুধবার
(২৪ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান
চালিয়ে এ দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত
মজিবুর রহমান ফারুক সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের উত্তর করইতলা গ্রামের খলিলুর রহমানের
ছেলে। ফারুক ওই এলাকার মোল্লার হাটে সরকারি রাস্তা দখল করে সেপটি ট্যাংক নির্মাণ করছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, অবৈধভাবে সড়ক দখল করে সেপটি ট্যাংক নির্মাণ করায় পরিবেশ আইনে
ফারুকের ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কবিরহাট চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে নৈশপ্রহরীকে হত্যা করে দুটি স্বর্ণের দোকান লুট করেছে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল।
ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ৭ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে লুন্ঠিত ৬০ ভরি স্বর্ণ, ১৬০ ভরি রুপা, স্বর্ণ বিক্রির ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, একটি দেশীয় তৈরী পাইপগান, দুই রাউন্ড কার্তুজ, একটি গ্যাস সিলিন্ডার ও একটি পাইপ।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন, নোয়াখালীর পুলিশ সুপার এসপি মো.শহীদুল ইসলাম। এর আগে, গত শুক্রবার ৮ ডিসেম্বর ভোর রাতের দিকে কবিরহাট ডাকাতির ঘঠনা ঘটে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন,গত শুক্রবার ১০-১৫ জনের একটি ডাকাত দল রাত ৩টার পর চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে প্রবেশ করেন। ওই সময় অস্ত্রের মুখে নৈশপ্রহরীসহ অন্যান্য চলাচলকারী লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এরপর প্রায় দুই ঘন্টা ডাকাতি সংঘটন করে। এ সময় ডাকাত দলকে বাধা দিলে নৈশ প্রহরী শহীদুল্লাহকে মাথায় আঘাত করলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
মন্তব্য করুন