

মো: মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ার হরিপুর গ্রামে শুক্রবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নবীর হোসেন নামের এক প্রবাসীর ৪টি ছোট-বড় ঘর, ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর জন্য জমারাখা নগদ ৬ লক্ষ টাকা ও পাসপোর্ট সহ মূল্যবান মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রবাসীর স্ত্রী পারভীন বেগম জানান নগদ টাকাসহ প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে তাদের।
সরেজমিনে স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার মধ্যরাতে প্রবাসীর বসতঘরে আগুনের লেলিহান দেখে প্রবাসীর স্ত্রীর ডাক চিৎকার দিলে লোকজন ছুটে এসে প্রায় ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রন আনলেও ততক্ষনে নগদ টাকা, মূল্যবান কাগজপত্রসহ আসবাবপত্র পুড়ে যায়। আগুন নিভাতে গিয়ে প্রবাসীর স্ত্রী পারভীন বেগম, প্রতিবেশী শওকত হোসেন সহ ৫জন গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে কচুয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মীরা প্রায় ঘন্টা পর ঘটানাস্থলে পৌছানোর আগেই এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
অগ্নিকান্ডের সঠিক কারন জানা না গেলেও ক্ষতিগ্রস্থ প্রবাসীর স্ত্রী পারভীন বেগম একই বাড়ির সফিউল্যা’র স্ত্রী সায়েরা বেগমের গোয়াল ঘরে কয়েলের আগুন থেকে এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে দাবি করেন। এদিকে সফিউল্লাহর স্ত্রী সায়েরা বেগম ওই রাতে তাদের গোয়াল ঘরে মশার কয়েল জ¦ালানোর কথা শিকার করলেও কিভাবে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে তা বলতে পারেননি। তাদেরও একটি গরু ওই অগ্নিকান্ডে মারা যায় এবং অপর একটি গরু অগ্নিদগ্ধ হয় বলে জানান।
কচুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি এবং অগ্নিকান্ডের রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন


মুরাদুল ইসলাম মুরাদ, কুড়িগ্রাম:
কুড়িগ্রাম জেলার রাজীবপুর উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬-তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়। রাজীবপুর উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাজমুল মাহমুদের সঞ্চালনায় জাতীয় সংগীত এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে রাজীবপুরে ছাত্রদলের ৪৬ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করে। রাজীবপুর উপজেলাসহ তিনটি ইউনিয়নের সহ কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাজীবপুর উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় একটি মিছিল প্রদক্ষিণ করেন। মিছিল শেষ করে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এ সময় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা তাছাড়া দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্যে ও দেশবাসীর জন্য দোয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬-তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সফল করে রাজীবপুর উপজেলা ছাত্রদল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাজীবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান, এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজীবপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই সরকার, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যক্ষ মাহবুবুর রশিদ মন্ডল, যুগ্ম সম্পাদক সাব্বির হোসেন মন্ডল, যুগ্ম সম্পাদক হাফিজুর রহমান(অবঃ আর্মি) উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক কামাল বিএসসি, উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব আবু সাঈদ কাশেম, রাজীবপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক রোস্তম মাহমুদ লিখন,রাজীবপুর সদর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মনির চৌধুরী,সদস্য সচিব আল-আমিন,রাজীবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্র দলের আহ্বায়ক পলাশ মাহমুদ,কোদাল কাটি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান,মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মাহমুদুল হাসান মেহেদীসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে প্রবাসী লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছে।
আজ শনিবার বিকেলে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্স যোগে সৌদি প্রবাসী রুবেলের মরদেহ নিয়ে ফটিকছড়ি যাচ্ছিল নিহত রুবেলের আপন ভাই বাবুল (৩২) ও তাহার প্রতিবেশীরা।
লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানার দক্ষিণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাতিসা (কালিকাপুর) পৌঁছা মাত্রই ১৪ চাকার বড় লড়ির পিছনে ধাক্কা দেয়। এতে নিহত প্রবাসী রুবেলের বড় ভাই বাবুল (৩২), প্রতিবেশী ওসমান মিয়া (৪০) ঘটনাস্থলে নিহত হন এবং অপর প্রতিবেশী বশির মিয়া (৩০) গুরুতর আহত হয়ে মহাসড়কের পরে।
কালিকাপুর গ্রামের স্থানীয়রা দুর্ঘটনায় আহত ব্যাক্তি বশির মিয়াকে প্রথমে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহাবুদ্দিন জানান, লাশবাহী গাড়িটি বেপরোয়া গতিতে চট্টগ্রামমুখী ১৪ চাকার লড়ির পিছনে ধাক্কা দেয়, এতে ঘটনাস্থলে ২ জন নিহত ও গুরুতর একজন আহত হন। লাশবাহী এম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত সকলের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার বুঝপুর গ্রামের বাসিন্দা। গত এক বছর পূর্বে সৌদি আরবে রুবেল মারা যায়। আইনী পক্রিয়া শেষে আজ সকালে রুবেলের মরদেহ ঢাকা এসে পৌছায়। পরবর্তীতে প্রবাসী রুবেলের মরদেহ সংগ্রহ করে বাড়ি ফেরার পথিমধ্যে এ দুর্ঘটনার শিকার হন। ঘটনার পর থেকে লাশবাহী এম্বুলেন্সের ড্রাইভার পলাতক রয়েছে।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা, কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় তিন দোকানদারকে নিষিদ্ধ পলিথিন রাখার অপরাধে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে কচুয়া পৌর বাজারের কাঁচাবাজার ও বিশ্বরোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে মুদি ব্যবসায়ী মফিজ হোসেন, সেলিম ও আলাউদ্দিনকে মোট ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেন সহকারী কমিশনার ভূমি বাপ্পি দত্ত রনি।
পরে নিষিদ্ধ পলিথিন না রাখা, বিকল্প উপায়ে পণ্য বিক্রি এবং দোকানে দৃশ্যমান স্থানে মূল্য তালিকা রাখার পরামর্শ দেন এসিল্যান্ড বাপ্পি দত্ত রনি। এসময় ওই তিন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৬০০ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়।
এবিষয়ে কচুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি বাপ্পি দত্ত রনি বলেন, সারা দেশে পলিথিন কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। পাশাপাশি কচুয়া উপজেলায় নিষিদ্ধ পলিথিন বন্ধে অভিযান চলবে এবং নিয়মিত বাজার মনিটরিংসহ এইরকম অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এসময় চাঁদপুরের পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


খাতুনগঞ্জের তিনটি কারখানায় অভিযান
চালিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। অভিযানের সময় দেখা যায় করাতকলের কাঠের মিহি
গুঁড়ার সঙ্গে রং, মরিচ, হলুদ মিশিয়ে বাজারজাত করা হচ্ছে।
বুধবার (৫ জুন) দুপুরে খাতুনগঞ্জের
সেবা গলিতে এ অভিযান চালানো হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আব্দুস
সোবহানের নেতৃত্বে অভিযানে সহায়তা করেন মহানগর পুলিশের একটি টিম। এসময় উপস্থিত ছিলেন
নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহম্মেদ।
উক্ত অভিযানের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
জানান, কাঠের ভুষি, ক্ষতিকর রং মিশিয়ে মরিচের গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া তৈরি করছে মনে হয়েছে।
নমুনা সংগ্রহ করেছি আমরা। তিনটি কারখানার মালিক পলাতক। তাই কারখানায় আমরা তালা মেরে
দিয়েছি। এ বিষয়ে মামলাসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


হৃদয় চন্দ্র দাস:
কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়ে খন্দকার
হক টাওয়ার মার্কেটে জমকালো আয়োজনে শুভ উদ্বোধন হলো oppo এক্সক্লুসিভ শো-রুম। শুভ
উদ্বোধন উপলক্ষে মাসব্যাপী প্রত্যেকটি মডেলের সাথে থাকছে আকর্ষণীয় গিফট অফার। তাই
দেরি না করে আজই যোগাযোগ করুন এবং বুঝে নিন আপনার পছন্দের ডিভাইসের সাথে আকর্ষণীয়
সব গিফট অফার।
মন্তব্য করুন


শ্বশুর-শাশুড়ির সেবা করায় ১২ পুত্রবধূকে সম্মাননা দেওয়া হয়। মাদারীপুরে ব্যতিক্রমধর্মী এ সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘পাশে আছি মাদারীপুর’নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। পুত্রবধূরা সম্মাননা পুরস্কার পেয়ে
খুবই আনন্দিত। আয়োজকদের দাবি, সমাজে বর্তমানে পারিবারিক বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করতে এ ব্যতিকর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
আজ শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে মাদারীপুর সমন্বিত সরকারি অফিস ভবনের জেলা শিশু একাডেমির হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। ‘পুত্রবধূ ও শ্বশুর-শাশুড়ির ঐকান্তিক অনবদ্য ও চিরায়ত সম্পর্কের বন্ধনে’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে সেরা ১২ পুত্রবধূকে সম্মাননা দিয়েছে সংগঠনটি।
উক্ত অনুষ্ঠানে পাশে আছি মাদারীপুরের প্রতিষ্ঠাতা বায়জীদ মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম মুন্সী, আবৃত্তি সংগঠন মাত্রা’র সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন লিটন, নিরাপদ চিকিৎসা চাই এর মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান পারভেজ।
জানা যায়, মাদারীপুর ডাসার উপজেলার পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামের মৃত জোনাব আলী হাওলাদার ও মেহেরুন্নেসা বেগমের ছেলে মৃত অহিদুল হাওলাদারের স্ত্রী মোসা. মরিয়ম অহিদ। তিনি জনপ্রতিনিধি। ডাসার উপজেলার কাজীবাকাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মহিলা সংরক্ষিত আসন ১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। স্বামী মারা গেলেও শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়েই এক সঙ্গে থেকে তিনি তাদের সেবা যত্ন করছেন।
মাদারীপুর শহরের ২ নম্বর শকুনি এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন খান ও মৃত রিজিয়া সুলতানার ছেলে রাজন মাহমুদের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা আকাশী। তিনি একজন মিডিয়াকর্মী। তিনি নিজের কাজের পাশাপাশি শ্বশুরকে নিজ হাতে খাওয়ানোসহ সব সেবা যত্ন করে থাকেন।
অন্য সম্মননাপ্রাপ্ত পুত্রবধূরা হলেন, মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের মধ্য পেয়ারপুর গ্রামের সৈয়দ আলী মাস্টার ও মাহমুদা বেগমের ছেলে মাসুদুর রহমানের স্ত্রী রাবেয়া রহমান মুক্তা, মাদারীপুর শহরের মাস্টার কলোনি এলাকার আনোয়ার হোসেন ও রাশিদা বেগমের ছেলে রেজওয়ানের স্ত্রী রিমা, মাদারীপুর শহরের উকিলপাড়া এলাকার আশ্রাফ আলী ও সাহানা বেগমের ছেলে এহসানুল হক মামুনের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার, মাদারীপুর সদর উপজেলার চরমুগরিয়া এলাকার আ. রব জমাদার ও শামীমা বেগমের ছেলে আরাফাত ইসলামের স্ত্রী সামসুন নাহার, মাদারীপুর শহরের ২ নম্বর শকুনি এলাকার কাজী হাফিজুর রহমান ও রহিমা খাতুনের ছেলে কাজী হাবিবুর রহমানের স্ত্রী আরিফা আফরোজ অন্তরা, মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের মুক্তিসেনা রোড এলাকার হায়দার আলী খান ও কহিনুর বেগমের ছেলে সাকিন খানের স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া, মাদারীপুর সদর উপজেলার গৌরবর্দী এলাকার আ. আজিজ মিয়া ও ফিরোজা বেগমের ছেলে বি এম মহিউদ্দিনের স্ত্রী মিসেস ফারজানা, মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের পূর্ব পাচখোলা গ্রামের আলী আকবর মোড়ল ও নাদিরা বেগমের ছেলে আ. সোবহান মোড়লের স্ত্রী আছমা খাতুন, মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার চর বদরপাশা গ্রামের মো. নওসের ও আম্বিয়া বেগমের ছেলে মো. আমির এর স্ত্রী সাবিকুন্নাহার আক্তার, মাদারীপুর শহরের মাস্টার কলোনির শেফালী বেগমের ছেলে আজাদ চৌকিদারের স্ত্রী লাবনী আক্তার আশা। তারা সবাই গৃহিণী।
আয়োজক বায়জীদ মিয়া জানান, বর্তমানে আমাদের সমাজে পরিবারগুলো ব্যক্তি কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। আবহমান বাংলার যে ঐতিহ্য একান্নবর্তী পরিবার সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতেই এই বিশেষ সম্মাননা পুরস্কারের আয়োজন করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই কমিটি মাদারীপুরের ২৩ জন পুত্রবধূর মধ্যে থেকে সেরা ১২ জন পুত্রবধূকে মনোনীত করে। আজ এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই সেরা ১২ পুত্রবধূকে সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
সেরা পুত্রবধূ লাবণী আক্তার আশা বলেন, এই সম্মাননা স্মারক পেয়ে আমরা আনন্দিত। আগামীতে আমরা শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের সবার প্রতি আরও যত্নবান হবো। এ পুরস্কার প্রাপ্তি দেখে সমাজের অন্যান্য গৃহবধূরাও অনুপ্রাণিত হবেন বলে আশা করছি।
সম্মাননাপ্রাপ্ত আরিফা আক্তার অন্তরার শ্বশুর কাজী হাফিজুর রহমান বলেন, এই সম্মাননার আয়োজন করায় আমরা খুব খুশি। শুধু পুত্রবধূদের একার দায়িত্ব না, শ্বশুর-শাশুড়ি-পুত্রবধূ-ছেলে সবাই মিলেমিশে যে যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করাই হচ্ছে সবার কর্তব্য। আমার পুত্রবধূ সব সময় আমাদের খেয়ার রাখেন, যত্ন নেন। আমরা এক সঙ্গে থাকি। তবে বর্তমান সমাজে শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে কেউ থাকতে চান না। ছেলের বিয়ের পর আলাদা হয়ে যায়। তাই এ আয়োজনের মাধ্যমে অন্যপুত্রবধূরাও উৎসাহ পাবেন। তারা তাদের শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে এক সঙ্গে থেকে তাদের দায়িত্ব কর্তব্য পালন করবেন। আশা করছি এই আয়োজন প্রতিবছরই অনুষ্ঠিত হবে।
সম্মাননাপ্রাপ্ত সামসুন নাহারের শাশুড়ি শামীমা বেগম বলেন, পুত্রবধূ সম্মাননার মতো এমন আয়োজন আর কোথাও করতে শুনিনি। এটি ব্যতিক্রম আয়োজন। তবে বর্তমান সমাজে এ আয়োজনের দরকার আছে। কারণ বর্তমানে কেউ শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে এক সঙ্গে থাকতে চান না। কোনো না কোনো উসিলা দিয়ে আলাদা হয়ে যায়। এটা একজন মা-বাবার জন্য কতাটা কষ্টকর, তা বোঝানো যাবে না। তবে আমরা সবাই এক সঙ্গে থাকি। তাই এই আয়োজন দেখে সমাজের আরও পুত্রবধূরা শ্বশুর-শাশুড়িকে সেবা করবেন, যত্ন নেবেন, এক সঙ্গে থাকবে বলে আশা করছি।
আয়োজক বায়জীদ মিয়া জানান, বর্তমানে আমাদের সমাজে পরিবারগুলো ব্যক্তি কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। আবহমান বাংলার যে ঐতিহ্য একান্নবর্তী পরিবার সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতেই এ বিশেষ সম্মাননা পুরস্কারের আয়োজন করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই কমিটি মাদারীপুরের ২৩ জন পুত্রবধূর মধ্যে থেকে সেরা ১২ জন পুত্রবধূকে মনোনীত করে। আজ এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই সেরা ‘১২ পুত্রবধূকে সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তারুণ্য পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা সোহাগ হাসান জানান, মাদারীপুরে এই সেরা ১২ জন পুত্রবধূকে সম্মাননা পেতে দেখে অন্যান্য পুত্রবধূ ও শশুর শাশুড়িরাও অনুপ্রাণিত হবেন। তাই এই ব্যতিক্রম আয়োজনকে সাধুবাদ জানাই।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় ৪৭ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি।
আজ সোমবার কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার চাঁনপুর এলাকা থেকে এসব পণ্য জব্দ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১০ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর আলী এজাজ ।
জানা গেছে, সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার চাঁনপুর এলাকায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে বিজিবি। এসময় সীমান্তবর্তী চাঁনপুর এলাকায় বিজিবির অভিযান টের পেয়ে সড়কের পাশে সিএনজি ভর্তি শাড়ি রেখে পালিয়ে যায় চোরাকারবারীরা। পরে একটি সিএনজিকেসহ ৪৫৫ পিস বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় শাড়ি আটক করে। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে জানিয়েছে বিজিবি।
১০ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর আলী এজাজ জানান, বিজিবির উদ্ধার করা ৪৫৫টি ভারতীয় শাড়ির আনুমানিক মূল্য সাতচল্লিশ লাখ নব্বই হাজার টাকা। আটককৃত পণ্য কাস্টমস এ জমা করার প্রক্রিয়া চলমান।
মন্তব্য করুন


মা ইলিশ রক্ষায় সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে মা ইলিশ শিকারের দায়ে ৯ জেলেকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
গতকাল , মঙ্গলবার (০৭ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় পদ্মা নদীর কলাবাগান এলাকা থেকে ৬ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও আনুমানিক ১০ কেজি মা ইলিশ জব্দ করা হয়। পরে ইলিশ স্থানীয় দৌলতদিয়া খানকা শরিফের এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ “ ত্রিনাথ সাহা” বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় পদ্মা নদীতে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছি। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ জেলেকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন মতে ২টি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের আদালত পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে উদ্ধাকৃত জালগুলো আলামত হিসেবে রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা চকবাজার এলাকায় সাধারণ পোলাও
এর চালকে "চাষী ভাই সুগন্ধি চিনিগুড়া চাল" ব্রান্ডের নামে প্যাকেটে
ভরে বিক্রি করা সময় ভোক্তা অধিদপ্তরের তদারকি টিমের হাতে ধরা পড়ল।
আজ (৩০মে) কুমিল্লার চকবাজার এলাকায়
অভিযানের সময় দেখা যায়, মেসার্স এস আর রাইছ এজেন্সি নামের একটি প্রতিষ্ঠান বাজার
থেকে কেনা মদিনাসহ অন্যান্য সাধারণ চিনিগুড়া চাল স্কয়ার কোম্পানির "চাষী"
ব্রান্ডের আদলে "চাষী ভাই" নামের প্যাকেটে নিজেরাই মোড়কীকরণ করে
বিক্রয় করছে। ভোক্তাদের সাথে এমন প্রতারণা করায় প্রতিষ্ঠানটিকে ৬০ হাজার টাকা
জরিমানা করা হয়। এ সময় অনুমোদনহীন নকল মোড়ক জব্দ করা হয়। উক্ত প্রতিষ্ঠানটি এমন
কাজ আর করবেন না মর্মে লিখিত অঙ্গীকার করেন।
এছাড়াও কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে
আজ চকবাজার এলাকার বিভিন্ন মসলার বাজারও তদারকি করা হয়। নানা অনিয়মের অভিযোগে
মোট তিন প্রতিষ্ঠানকে ৬৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলাম।
অভিযান পরিচালনা করার সময় চকবাজার মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এবং জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন,
কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় পুলিশ
নারী কল্যাণ সমিতির
উদ্যোগে ফল উৎসব
অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২১
জুন) সকালে কুমিল্লা
পুলিশ লাইন্সের শহীদ
আর আই এ
বি এম আব্দুল
হালিম মিলনায়তনে ফল
উৎসবের উদ্বোধন করেন
জেলা পুলিশ সুপার
মো. নাজির আহমেদ
খান।
এ সময়
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী
(অর্থ ও প্রশাসন),
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
(ডিএসবি) শামীম ইসলাম,
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
(সদর সার্কেল) সাইফুল
মালিকসহ পুলিশের বিভিন্ন
পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত
ছিলেন।
এছাড়াও সকল
প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক
মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত
ছিলেন।
পরে বিভিন্ন
ফলের স্টল পরিদর্শন
করেন পুলিশ সুপার
নাজির আহমেদ খান।
পরিদর্শন শেষে
তিনি জানান, দেশীয়
ফল সম্পর্কে জ্ঞান
অর্জন করে, গুণগত
মান সম্পর্কে জেনে
ফল খেতে সকলে
আগ্রহী হয় সেজন্য
প্রতিবছর এই ফল
উৎসব আয়োজন করা
হয়।
এছাড়াও তিনি
আরো বলেন, আমাদের
উদ্দেশ্য শুধু আনন্দই
নয়, বরং পুলিশ
পরিবারের মধ্যে সৌহার্দ্য,
ভ্রাতৃত্ব ও স্বাস্থ্যসচেতনতা
বাড়ানো।
মন্তব্য করুন