

মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় বাক প্রতিবন্ধী রাসেল হোসেন নামের যুবকের মরদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার বিকালে উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই বাক প্রতিবন্ধী রাসেল হোসেন একই গ্রামের চৌধুরী বাড়ির ইমান হোসেন চৌধুরী ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান,বুধবার সকাল ১১টার সময়ে বাড়ির পাশে একটি পুকুরে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় সে। পরে বিকাল ৪টায় ঘন্টা খানেক চেষ্টা চালিয়ে ওই পুকুরে ডুবন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করেন তার জেঠা মাষ্টার কামরুল হাসান চৌধুরী । তার মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকাবাসী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং তার এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না পরিবার ও এলাকাবাসী।
স্থানীয় অধিবাসী ও নিহতের জেঠা মাষ্টার কামরুল হাসান চৌধুরীসহ অন্যান্যরা জানান, রাসেল হোসেন একজন সহজ সরল প্রকৃতির লোক ছিলেন। বুধবার সকালে নিখোঁজ হয় সে। পুকুরে ঘন্টা খানেক খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে সে বড়। তার এমন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
মন্তব্য করুন


জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম উত্তর প্রতিনিধি
:
কুড়িগ্রামের
জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানার জরুরী নির্দেশনা ও তার তত্ত্বাবধানে ২৭.২ বর্গ কিলোমিটার
আয়তনের কুড়িগ্রাম পৌরসভাকে জলজট মুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে
জানা গেছে- ১৯৭২ সালে কুড়িগ্রাম পৌরসভা প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর এ পর্যন্ত পৌরসভার ভিতর
৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। যুগের পর যুগ ধরে নির্মিত ড্রেনগুলির
প্রয়োজনীয় সংস্কার না করায় অধিকাংশ ড্রেন ভঙ্গুর অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কিছু ড্রেনের
উচ্চতা রাস্তার থেকে নিচু হওয়ায় ড্রেনগুলি মাটি দ্বারা ভরাট হয়েছে। এছাড়াও ড্রেনগুলির
উপর অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠায় ড্রেনগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করা যাচ্ছে না। এমন আরো নানামুখী
পুঞ্জিভূত সমস্যার কারণে সামান্য বৃষ্টিপাতে পৌর এলাকার অধিকাংশ অফিস পাড়া সহ বেশকিছু
গুরুত্বপূর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এতে ভোগান্তির শিকার হয় পৌরসভার সাধারণ নাগরিক।
সংশ্লিষ্ট
সূত্র জানিয়েছে-জনদুর্ভোগের এই বিষয়টি কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানার
নজরে আসলে তিনি সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য অধিকতর তৎপর হয়ে ওঠেন। ইতোমধ্যে ড্রেন
সংস্কার এবং প্রয়োজনীয় নতুন ড্রেন নির্মাণের জন্য ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকার বরাদ্দ এসেছে।
বরাদ্দ প্রাপ্ত এই অর্থ দ্বারা সার্কিট হাউস থেকে টিটিসির মোড় পর্যন্ত, কলেজ মোড় থেকে
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস পর্যন্ত ভায়া সরকারী মহিলা কলেজ, পলিটেকনিক কলেজ মোড় হতে
বালাটারী রেললাইন পর্যন্ত মোট ১ দশমিক ৩২৮ কিলোমিটার ড্রেনের কাজ করা হবে। এরমধ্যে
শূন্য দশমিক ৭৭৮ কিলোমিটার নতুন ড্রেন নির্মাণ এবং শূন্য দশমিক ৫৫০ কিলোমিটার পুরাতন
ড্রেন সংস্কার করা হবে। এই কাজ বাস্তবায়ন হতে সময় লাগবে নূন্যতম ৬ মাস। কাজটি বাস্তবায়ন
হলে মাঝারি কিংবা ভারী বৃষ্টিপাতে জেলা প্রশাসক কার্যালয় এবং তার আশপাশ এলাকায় আর
জলজটের সৃষ্টি হবে না।
সূত্র
জানায়- উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভঙ্গুর ড্রেন সংস্কার এবং প্রয়োজনীয় নতুন ড্রেন নির্মাণের
জন্য আরো প্রায় বিশ কোটি টাকার বরাদ্দ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। মোদ্দা কথা আগামী এক
বছরের মধ্যে ড্রেনেজ সমস্যার স্থায়ী সমাধান আসবে বলে সূত্রটি আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
সূত্রটি
আরো জানায়- "রংপুর বিভাগের ৯ পৌরসভার ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের" আওতায়
কুড়িগ্রাম পৌরসভার অনুকূলে ১০০ কোটি টাকার বরাদ্দ রয়েছে। আগামী ২০২৬ সালের ৩১শে ডিসেম্বর
প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করার টার্গেট নেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় কুড়িগ্রাম পৌরসভা
এলাকার ড্রেন, সড়ক এবং বাজার উন্নয়নের কাজ করার কথা রয়েছে।
এ
ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদুন্নবী জানান-আপাতত তিনটি ড্রেনের
কাজ করা হবে। তারপর পর্যায়ক্রমে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ড্রেনের সংস্কার কাজ করার উদ্যোগ
রয়েছে।
কুড়িগ্রাম
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন- কুড়িগ্রাম পৌরসভার ড্রেনের সমস্যাগুলো
আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি। খুব শীঘ্রই সমাধান আসবে।
কুড়িগ্রাম
পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন- আমাদের সামনে বড়
চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ড্রেনের উপর অবৈধ স্থাপনাগুলি। অবৈধ স্থাপনাগুলি সরিয়ে
নেয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে যদি কাজ না হয় তাহলে আমরা উদ্যোগ নিয়ে অবৈধ
স্থাপনাগুলি সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।
কুড়িগ্রাম
পৌরসভার নবাগত প্রশাসক মো: আসাদুজ্জামান বলেন- ইতোমধ্যে ডিসি স্যারের সাথে আমাদের একটি
সভা হয়েছে। ওই সভায় ড্রেনের সমস্যাগুলি নিয়ে কথা হয়েছে। ডিসি স্যারের দিকনির্দেশনা
মেনে ড্রেনের সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা দ্রুত গতিতে কাজ এগিয়ে নিচ্ছি। আমাদের কাজ
শেষ হলে পৌরসভার নাগরিকদের আর জলজটের ভোগান্তি থাকবে না।
মন্তব্য করুন


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাম্য হত্যাকান্ডের ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, ইতিমধ্যে সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে এক আতঙ্কের স্থান থেকে ধীরে ধীরে একটি নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক স্থানে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় সরকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে।
দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহত হওয়ার ঘটনায় রাত আটটার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধসহ সাতটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া অপর এক পোস্টে জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
বৈঠকে নেওয়া অন্য সিদ্ধান্তগুলো হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট স্থায়ীভাবে বন্ধ করা, উদ্যানে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ, মাদক ব্যবসা বন্ধ এবং পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা। নিয়মিত মনিটরিং ও অভিযানের জন্য সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটি কমিটি গঠন, উদ্যানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা ও ক্লোজড সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরা স্থাপন এবং সেগুলোর নিয়মিত মনিটরিং করা; উদ্যানে একটি ডেডিকেটেড পুলিশ বক্স স্থাপন এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও রমনা পার্কের মতো সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা চালু করা।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার। তিনি স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল খুনীদের অবিলম্বে গ্রেফতারসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
মন্তব্য করুন


জামালপুর
জেলায় চার বছরের দাম্পত্য জীবন ছেড়ে আয়েশা খন্দকার (২২) নামে এক গৃহবধূ স্বর্ণালংকার
ও নগদ টাকা নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এ
ঘটনায় স্ত্রীর খোঁজে দিশেহারা স্বামী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আজ
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে জামালপুর পৌর শহরের পাথালিয়া বকুলতলা এলাকায়
এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে স্বামী তানজিদ ইসলাম অন্তর স্ত্রীকে ফিরে পেতে কান্নায়
ভেঙে পড়েন, সবার কাছে স্ত্রী ফিরে আসার দোয়া চাইলেন।
প্রায়
চার বছর আগে পারিবারিকভাবে আয়েশা ও অন্তরের বিয়ে হয়। শুরুতে সম্পর্ক ছিল সুখকর। তবে
বিয়ের দুই বছরের মধ্যে আয়েশার জীবনে অন্য পুরুষের উপস্থিতিতে পরিবারে অশান্তি দেখা
দেয়। ধীরে ধীরে সেই পুরুষের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যার প্রেক্ষিতে সে পালিয়ে
যায়।
বুধবার
রাতে স্বাভাবিকভাবে খাবার খেয়ে ঘুমানোর পর বৃহস্পতিবার সকালে অন্তর দেখেন, স্ত্রী বিছানায়
নেই। স্ত্রী ও কথিত প্রেমিকের মোবাইলও বন্ধ রয়েছে।
অন্তর
অভিযোগ করে বলেন, আমি তাকে পড়াশোনা করাতে চাইনি, শুধু কলেজে ভর্তি করাই। এরপর থেকেই
সে এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক শুরু করে। গত দুই বছর ধরে মানসিকভাবে আমাকে নির্যাতন
করছে এবং শারীরিক সম্পর্ক এড়াচ্ছে নানা অজুহাতের আশ্রয় নিয়েছে। আমি তাকে এতটা ভালোবেসেছি
যে, যখন যা চেয়েছে আমি তাই করেছি।
এ
বিষয়ে জামালপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু ফয়সল মো. আতিক বলেন, একটি লিখিত
অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত এখনও চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের নাগাইশ এলাকার ঘুঙুর নদীতে জাল ফেলেন এক জেলে। পরে জাল টানলে উঠে আসে একটি মর্টার শেল সদৃশ বস্তু। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।
আজ রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুরে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট মর্টার শেলটি উদ্ধার করেন।
পরে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে ক্যাপ্টেন কেএম তামীম রহমান ও ক্যাপ্টেন মুসতাহসিনা মোকাদ্দেস হৃদির নেতৃত্বে নিরাপদ স্থানে মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করা হয়।
এ সময় নিরাপত্তার স্বার্থে এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এর আগে গত ১২ আগস্ট সকালে উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের নাগাইশ এলাকার জেলে কামাল হোসেনের বাড়ি থেকে মর্টার শেলটি উদ্ধার করেছিল ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১২ আগস্ট সকালে স্থানীয় জেলে কামাল হোসেন ও তার সহযোগীরা বাড়ির পাশের ঘুঙুর নদীতে মাছ ধরতে যান। এ সময় তাদের জালে উঠে আসে একটি মর্টার শেল সদৃশ বস্তু। এ সময় তারা বিষয়টি ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং এটি উদ্ধার করে। পরে পুলিশ বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানায়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) টমাস বড়ুয়া জানান, উপজেলার নাগাইশ এলাকা থেকে মর্টার শেলটি উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। আজ কুমিল্লা থেকে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এসে মর্টার শেলটিকে নিষ্ক্রিয় করেছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে শেখ কামাল অনূর্ধ্ব-১৮ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ফাইনালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুমিল্লা জেলা দল।
১ ডিসেম্বর শুক্রবার কুমিল্লা স্টেডিয়ামে এ ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয় কুমিল্লাা জেলা দল ও ফেনী জেলা দলের মধ্যে।
উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ফেনী জেলা দলকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৮ ক্রিকেটে বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় উচ্ছাসিত ও আনন্দিত কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়বৃন্দ। এর অগে গত মঙ্গলাবার প্রথম সেমি ফাইনালে চট্টগ্রাম জেলা দলকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে কুমিল্লা জেলা দল।
শুক্রবার ফাইনালে ফেনী জেলা দল টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ৪২ ওভার ৩ বল খেলে ৯২ রানে অলআউট হয় ফেনী জেলা দল। কুমিল্লা জেলার পক্ষে মুশফিকুর ৯ ওভার বল করে ১৬ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নেয়। ৯৩ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১৯ ওভার ৪ বল খেলে ৫ উইকেটে জয় পায় কুমিল্লা জেলা দল। ম্যান অফ দ্যা ফাইনাল হয় কুমিল্লা জেলা দলের মুশফিকুর।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় ও কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে শেখ কামাল অনূর্ধ্ব-১৮ জোনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৩-২৪ এর কুমিল্লা ভেন্যুর খেলা গত ১৫ নভেম্বর কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে উদ্বোধন হয়।
খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা জেলা দল ও রানার্সআপ ফেনী জেলা দলের খেলোয়াড়দের হাতে ট্রফি তুলে দেন এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারন সম্পাদক খায়রুল আলম সোহাগ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সিলেক্টর শামিম ফারুকী, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কোচ ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স, ফেনী জেলা দলের কোচ রিয়াজ উদ্দিন রবিন, কুমিল্লা জেলা দলের কোচ হাবিব মোবাল্লেগ জেমস, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য দেলোয়ার হোসেন জাকির। ফাইনাল ম্যাচে আম্পায়ার ছিলেন, কাজী শামিম ও আল আমিন ভূইয়া।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা দাউদকান্দিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাঁশ বোঝাই মিনি ট্রাক সেতুর রেলিংয়ে ধাক্কা দিলে ট্রাক থেকে ছিটকে সেতুর নিচে পড়ে বাঁশ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত একজন আহত হয়েছেন।
সোমবার রাত ১১টায় (২৫আগষ্ট) ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি-গোমতী সেতুর উপরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন(৪৫) গাজীপুর জেলার সদর উপজেলার লাগালিয়া গ্রামের মৃত ইসমাইল ভুইয়ার ছেলে।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, গাজীপুর থেকে ছেড়ে আসা কুমিল্লাগামী বাঁশ বোঝাই মিনি ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর রেলিংয়ে ধাক্কায় ভিতরে থাকা ব্যবসায়ী ছিটকে সেতুর নিচে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। আর ট্রাকটির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনার পর চালক পলাতক।
মন্তব্য করুন


মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপিতে ২টি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় এতে হুরমত আলী (৫০) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের আমঝুপি বীজ খামারের সামনে।
মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের মোল্লাপাড়া এলাকার বাসিন্দা নিহত হুরমত আলী।
এই তথ্য নিশ্চিত করেন মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কনি মিয়া।
মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, সার বিষ কেনার জন্য মোটরসাইকেলযোগে মেহেরপুর শহরে আসছিলেন নিহত হুরমত আলী। আমঝুপি বীজ খামারের নিকট এলে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দিলে রাস্তার পাশে পড়ে যায় হুরমত আলী। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক হুরমত আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন


নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে রাতের আঁধারে বাল্বহেড চালানোর দায়ে ১৫টি বাল্কহেডসহ ২৩ শ্রমিককে আটক করেছে নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান পি পি এম।
রোববার (২৩জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে চাঁদপুর নৌ-থানার অফিসার ইনচার্জ মুনিরুজ্জামান জানান, শনিবার বিকাল থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো: মো. শাহীন(৩২), মো. দিদার(২২), মো. শরিফ(৩২), মো. সোহেল(৩০), মো. মাঈন উদ্দিন (২৮), মো. শহিদুল(৪২), মো. আরিফুল হোসেন (৩৩), মো. শহিদুল ইসলাম (৫০), মো. আল আমিন (৩৮), মো. আমির হোসেন গাজী (৬৫), মো. স্বপন(২৮), মো. গিয়াস উদ্দিন (২৮), মো. ফিরোজ (২৭), মো. মিজান (৩৫) ও মো. সুমন (২৮)।
তারা নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, চাঁদপুর ও বরগুনার বাসিন্দা।
নৌ ওসি মুনিরুজ্জামান মনির জানান, ঈদুল আজহায় যাত্রীবাহী লঞ্চের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিতে বাল্বহেডে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। সে মোতাবেক মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে নৌ পুলিশ। আটকৃতদের বিরুদ্ধে বাল্বহেড গুলোর কাগজপত্র গরমিল ও চলাচলের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ জুন থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত বাল্কহেড চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বিআইডব্লিউটিএ।
মন্তব্য করুন


সারাদেশের মতো কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের
অধীনে ৬ জেলার কলেজগুলোতে আজ রোববার (৩০ জুন) অনুষ্ঠিত হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট
(এইচএসসি) পরীক্ষা।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে,
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষায়
৬ টি জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ১৩ হাজার ২৯০ জন। এর মধ্যে ছেলে পরীক্ষার্থী
৪৮ হাজার ৪৭১ জন এবং মেয়ে পরীক্ষার্থী ৬৪ হাজার ৮১৯ জন। এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ছেলেদের
তুলনায় মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৩৪৮ জন বেশি।
কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর,
চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৪৩২টি কলেজের শিক্ষার্থীরা ১৯৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষায়
অংশগ্রহন করেছেন।
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক
শিক্ষা বোর্ডের প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে পাওয়া গেছে, বোর্ডে সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থীর
সংখ্যা কুমিল্লা জেলায়। এখানে ১৬৩টি কলেজের ৩৯ হাজার ৪৯২ জন। নোয়াখালী জেলায় ৫৫টি কলেজের
পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৯হাজার ৭৮৯ জন, ফেনী জেলায় ৪২ কলেজের ১১ হাজার ৮০ জন, লক্ষ্মীপুর
জেলায় ৪০টি কলেজের ১১ হাজার ৩৪৮ জন, চাঁদপুর জেলায় ৬৭টি কলেজের ১৬ হাজার ২৩২ জন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জেলায় ৬৫টি কলেজের ১৫ হাজার ৩৫৯ জন শিক্ষার্থী এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষায় এই তিন বিভাগের মধ্যে মানবিকে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক
পরীক্ষার্থী এবার অংশ নিচ্ছেন। মানবিক বিভাগে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫২ হাজার ৪১৪ জন,
বিজ্ঞান বিভাগে ২৮ হাজার ৯২ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৩২ হাজার ৭৪৮ জন।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা
নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ৬ জেলায়
ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে। পরীক্ষার্থী কিংবা পরীক্ষক যারাই কোনো অনিয়মের সঙ্গে
জড়িত হবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক
শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. নিজামুল করিম বলেন, নানা সামাজিকও আর্থিক
কারণে মেয়ে পরীক্ষার্থী বেড়েছে এবং ছেলে পরীক্ষার্থী সংখ্যা কমেছে। বিশেষ করে এখন ছেলেরা
কম বয়সেই এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেই কর্মসংস্থানে যুক্ত হচ্ছে আবার অনেকে বিদেশ চলে
যাচ্ছে। আর এসব কারণেই মেয়েদের অংশগ্রহণ বেশি।
মন্তব্য করুন


তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা:
ভাই-বোনের সম্পর্ক মজবুত করতে রাখতে থালায় রাখি, মিষ্টি, প্রদীপ, সিঁদুর, লাল সুতো, ধান ও দূর্বা দিয়ে সাজিয়ে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দুদের শ্রেষ্ঠ সামাজিক অনুষ্ঠান রাখি বন্ধন উৎসব পালিত হয়। শনিবার (৯ আগস্ট ২০২৫) সন্ধ্যায় কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরীতে জেলা আইনজীবী সমিতির পরিচিত মুখ অ্যাডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার এর বাসায় ঘরোয়া পরিবেশে এ উৎসব পালিত হয়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়- জেলা আইনজীবী সমিতির পরিচিত মুখ অ্যাডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার এর একমাত্র মেয়ে অর্পিতা সরকার রাখি বন্ধনের মাধ্যমে তাঁর ছোটভাই অরন্য সরকার প্রিন্স এর দীর্ঘায়ু ও সৌভাগ্য কামনা করেন। তদ্রুপ ভাইও বোনকে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেন। এদিন পরিবারের সকলে একত্রে মিলিত হয়ে বিভিন্ন মুখরোচক খাবার দাবার ও উপহারের ব্যবস্থা করা হয়। রাখি উৎসবকে ঘিরে পরিবারের সব্বাই মিলে আনন্দ ফুর্তিতে মেতে ওঠে।
জানা যায়- প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের শুক্লা পক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। হিন্দু ধর্মে ভাই-বোনের ভালবাসার প্রতীক এই উৎসব। এই পবিত্র দিনে বোন ভাইকে রাখী বেঁধে দেয় এবং ভাই বোনকে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এরফলে ভাই-বোনের মধ্যে ভালোবাসা ও স্নেহের বন্ধনকে দৃঢ় শক্তিশালী ও পুনরুজ্জীবিত করে তোলে। রাখিবন্ধন অনুষ্ঠানে ভাইদের পাশাপাশি বোনরা নতুন পোশাক পরিধান করে এবং মিষ্টি মুখ করানোর মধ্যদিয়ে ভাইয়ের হাতে রঙ বেরঙের সুতো বা রাখি বেঁধে দেয়। পরিবর্তে ভাই বোনদেরকে উপহার দিয়ে থাকে। এই দিনে ভাই-বোনের সম্পর্ক আজীবন রক্ষা করার উদ্দেশ্যে ভাইয়ের ডান হাতের কব্জিতে বোনেরা পবিত্র সুতো বেঁধে দেয়।
আরও জানা যায়- রাখি বন্ধন বা রাখি পূর্ণিমা উৎসবটি ভাই-বোনদের পবিত্র সম্পর্কের এক নিবিড় উদযাপন। তবে বর্তমানে শুধুই ভাই-বোনদের মধ্যে এই উৎসব সীমাবদ্ধ নেই। জাতি বর্ণ ধর্ম র্নিবিশেষে পারষ্পারিক সৌহার্দ্য-সৌভ্রাতৃত্ব বৃদ্ধির জন্যেও রাখি পূর্ণিমা পালিত হয় থাকে। রাখি পূর্ণিমার ঠিক পাঁচদিন আগে ঝুলন পূর্ণিমা শুরু হয় এবং রাখি পূর্ণিমার সাতদিন পর জন্মাষ্টমী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর শ্রীকৃষ্ণের এই দুই লীলার মাঝে শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে রাখি পূর্ণিমা অনুষ্ঠিত হয় বলে এর আরেক নাম শ্রাবণী পূর্ণিমা। এই দিনটির জন্য প্রত্যেক ভাইবোন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে। বোন ভাইয়ের হাতে রাখি পরিয়ে দেয় আর ভাই বোনকে রক্ষার অঙ্গীকার বদ্ধ হয়। এই ভাবেই এই অনুষ্ঠিত যুগের পর যুগ ধরে পালিত হয়ে আসছে। রাখি বন্ধন মূলত বিহারী সংস্কৃতি হলেও পরবর্তীকালে এই অনুষ্ঠান বাঙালি সংস্কৃতির সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে পরে।
মহাভারতে বর্ণিত, এক যুদ্ধে কৃষ্ণের কবজিতে আঘাত লেগে রক্তপাত শুরু হলে পঞ্চপাণ্ডবের স্ত্রী দ্রৌপদী তাঁর শাড়ির আঁচল খানিকটা ছিঁড়ে কৃষ্ণের হাতে বেঁধে দেন। ফলতু দ্রৌপদী তাঁর অনাত্মীয়া হলেও, তিনি দ্রৌপদীকে নিজের বোনের মর্যাদা দেন। এই উৎসবটি ভাই-বোনের সম্পর্ককে আরও মধুর করে তোলে এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
মন্তব্য করুন