মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় বাক প্রতিবন্ধী রাসেল হোসেন নামের যুবকের মরদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার বিকালে উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই বাক প্রতিবন্ধী রাসেল হোসেন একই গ্রামের চৌধুরী বাড়ির ইমান হোসেন চৌধুরী ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান,বুধবার সকাল ১১টার সময়ে বাড়ির পাশে একটি পুকুরে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় সে। পরে বিকাল ৪টায় ঘন্টা খানেক চেষ্টা চালিয়ে ওই পুকুরে ডুবন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করেন তার জেঠা মাষ্টার কামরুল হাসান চৌধুরী । তার মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকাবাসী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং তার এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না পরিবার ও এলাকাবাসী।
স্থানীয় অধিবাসী ও নিহতের জেঠা মাষ্টার কামরুল হাসান চৌধুরীসহ অন্যান্যরা জানান, রাসেল হোসেন একজন সহজ সরল প্রকৃতির লোক ছিলেন। বুধবার সকালে নিখোঁজ হয় সে। পুকুরে ঘন্টা খানেক খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে সে বড়। তার এমন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
মন্তব্য করুন
মুকুল বসু , বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের একটি গ্রামের কৃষকেরা চোর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। রাতে ওই গ্রামের বিভিন্ন মাঠ থেকে সেচ মোটর চুরি হওয়ার পর অনেক কৃষক চোরের ভয়ে সেচ মোটর মাঠ থেকে খুলে এনে বাড়িতে রেখে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত দুই মাসে ময়না ইউনিয়নের কেওয়াগ্রাম থেকেই চুরি হয়েছে ২০-২২টি বৈদ্যুতিক সেচ মোটর। এসব বৈদ্যুতিক সেচ মোটর নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ওই গ্রামের শতাধিক কৃষক। ভুক্তভোগী কৃষক ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, যারা পুরাতন মোটর ক্রয়-বিক্রয় করে তাদের কাছে চুরির সাথে জড়িতদের তথ্য থাকতে পারে। এছাড়া বৈদ্যুতিক কাজে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন লোকও এই চুরির কাজে জড়িত থাকতে পারে। ময়না ইউনিয়নের কেওয়াগ্রামের কৃষক হামিদুল্লাহ সিকদার বলেন, গত ১৬ এপ্রিল আমার সেচ পাম্পটি চুরি হয়ে যায়। এতে আমার কয়েক বিঘার জমিতে সেচ নিয়ে সমস্যায় পড়েছি। দিনদিন সেচ মোটর চুরি বেড়েই চলেছে। আমরা এর প্রতিকার চাই। একই গ্রামের আরেক কৃষক রেজাউল করিম বলেন, ‘পানি সেচ দেওয়া নিয়ে ভয়ে আছি। মোটর সংযোগ করলেই নিয়ে যাচ্ছে চোর চক্র। কিছুদিন আগে আমাদের একটি মোটর নিয়ে যায় চোর। ওই সেচ পাম্পের আওতায় থাকা কয়েক একর জমিতে বোরো ধানের আবাদে পানি সেচ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এতে কৃষি কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা হোসেন মৃধা বলেন, 'আমাদের কেওয়াগ্রামের নূর ইসলাম, মুনাফ সিকদার, ওমর মোল্যা, শাফি শিকদার, ওসমান মৃধাসহ গত দুই মাসে অন্তত ২০টি বৈদ্যুতিক সেচ মোটর চুরি হয়েছে। এতে কৃষকেরা চরম বেকায়দায় পড়েছেন। আমরা চোরের উপদ্রব থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এ ব্যাপারে ময়না ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক মৃধা বলেন, 'বিষয়টি আমার জানা নেই। চুরির ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগও করেনি।
মন্তব্য করুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খাল থেকে এক নবজাতককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে জেলা শহরের পূর্ব মেড্ডার (পুরাতন সেকশনের) পাশে খাল থেকে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় নবজাতকটিকে উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে খবর নিয়ে জানা যায়, জেলা শহরের পৌর এলাকার পূর্ব মেড্ডার পাশে খাল থেকে স্থানীয়রা প্রথমে কান্নার শব্দ শুনতে পান। পরে স্থানীয় সোহাগ মিয়া ৯৯৯-এ কল করে পুলিশকে বিষয়টি জানান। পুলিশ এসে নবজাতককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
নবজাতকটি পলিথিনে মোড়ানো ছিল। ইঁদুর নবজাতকের এক পাশের গাল কামড়ে ক্ষত করে ফেলেছে। এতে বাচ্চাটি কান্না করছিল। নবজাতকটি বাচ্চা মেয়ে । পরে পুলিশ নবজাতকটিকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসা চলছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, ৯৯৯ কল পেয়ে নবজাতটিকে খাল থেকে উদ্ধার করা হয়। কেউ অবৈধ গর্ভপাত করে নবজাতকটিকে খালে ফেলে গেছে। শিশুটিকে হাসপাতালে রেখে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে দাউ দাউ করে গাছটি পুড়তে দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পথচারীদের মধ্যে।
আর এ আগুন হেয়ার রোডের বড় একটি গাছে ধরেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে ।
সে এলাকার ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাফি আল ফারুক বলেন, সোমবার বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে কাকরাইল মোড় থেকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলগামী সড়কের বাম পাশে একটি গাছে আগুন লেগেছে। আমাদের দুটি ইউনিট কাজ করছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পাশে থাকা বিদ্যুতের খুঁটি থেকে গাছটিতে আগুন ধরেছে।
মন্তব্য করুন
জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম উত্তর প্রতিনিধি:
সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার টার্গেট নেয়া হয়েছে। তারও আগে কুড়িগ্রামকে তামাকমুক্ত ঘোষণা করার জন্য প্রত্যেকের স্ব-স্ব অবস্থান থেকে সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। আজ শনিবার (৩১ মে) সকাল ১০টায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা এ কথা বলেন।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন এবং জেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন টাস্কফোর্স কমিটি কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান বলেন- সোশ্যাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ধূমপানের পরিমাণ অনেকাংশে কমে এসেছে। এছাড়াও ধূমপানবিরোধী বিভিন্ন উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যেমন একটি গোল্ডলিফ সিগারেটে যে ক্ষতি হয় তার বিপরীতে ২০টি ওরিস সিগারেটে সমপরিমাণ ক্ষতি হয়। তারমানে সিগারেট কোম্পানিগুলোও এখন সচেতন হচ্ছে। আগের সিনেমাগুলোতে সিগারেট ধুমপানের অভিনয় দেখা যেত। এখনকার সিনেমাগুলোতে সিগারেট ধূমপানের অভিনয় থাকলেও সেখানে লেখা থাকে "ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর"। এটিও এক ধরনের ধূমপান বিরোধী ক্যাইম্পেন।
আলোচনা সভায় ধূমপানের ক্ষতিকর দিক এবং বিভিন্ন পরিসংখ্যান ডিজিটাল স্কিনে প্রেজেন্ট্রেশন করেন কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা: স্বপন কুমার বিশ্বাস। সভায় উপস্থাপনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) উত্তম কুমার রায় এবং এনডিসি সায়েখুল হাসান খাঁন।
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ হাবিবুর রহমান, কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির ১ নং যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু , যুগ্ন আহবায়ক অধ্যাপক হাসিবুর রহমান হাসিব, কুড়িগ্রাম জেলা সম্মিলিত শ্রমিক- কর্মচারী ঐক্য জোটের সদস্য সচিব ও জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান, কুড়িগ্রাম পৌর জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোঃ মতিউর রহমান ও কুড়িগ্রাম জেলা এবি পার্টির আহবায়ক ডা: মোঃ নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ।
আলোচনা সভায় কুড়িগ্রাম জেলা রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়কে ধুমপানমুক্ত ঘোষণা করায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধন্যবাদ জানানো হয়।
এছাড়াও বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ চারজন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা।
আলোচনা সভার আগে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানার নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়।
মন্তব্য করুন
১৭৫ জন বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে আসেন
বর। কিন্তু খাওয়া-দাওয়া শেষে বিয়ে না করেই বিয়ের আসর থেকে চলে গেলেন বর।
গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার সাধারচর ইউনিয়নের কালুয়ারকান্দ গ্রামে এ ঘটনা ঘটলেও আগামী
রোববার সবার উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংসা করার সিদ্ধান্ত হয়।
বিয়েতে বর ছিলেন উপজেলার আয়ূবপুর ইউনিয়নের
ঘাসিরদিয়া গ্রামের আলতাব হোসেন সরকারের ছেলে সাব্বির হোসেন সরকার (৩০)।
কনের মা সেলিনা বেগম জানান, আলোচনা
করেই গত এক সপ্তাহ আগে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হয়েছে। সময়মতো বর তার আত্মীয়স্বজনসহ ১৭৫
জন বরযাত্রী নিয়ে আসেন। খাওয়া-দাওয়া শেষে বিয়ের কাবিননামায় স্বাক্ষর করবে এমন সময় বরের
বড় বোন সাবিনা ও ছোট বোন নিপা বলেন, কনের আগে বিয়ে হয়েছে দুই বাচ্চা রয়েছে— এই বিয়ে হবে না। সেসময় কনের গায়ের
জামাকাপড় জোর করে খুলে নিয়ে বিয়ের আসর থেকে বরের লোকজন বরকে নিয়ে চলে যান। কনের আগে
বিয়ে হয়েছে এটা জানতো তারা; কিন্তু দুই বাচ্চা আছে এটা মিথ্যা কথা বলেছে। ঘটনার পরে
বরের বাড়ির এলাকার চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান সরকারকে জানালে তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।
এ বিয়ে উপলক্ষে আড়াই লাখ টাকা খাওয়া-দাওয়া ও ডেকোরেশন বাবদ খরচ হয়।
বরের বড় বোন সাবিনা বলেন, কনের আগে
বিয়ে হয়েছে আর বাচ্চা আছে এটা আমরা আগে জানতাম না।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান সরকার
বলেন, আমি বর পক্ষের লোকজনকে বলেছিলাম বসে মীমাংসা করতে। তারা আসেনি।
শিবপুরের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র
সমন্বয়ক আসিফ, রাকিব, সুমনা ও সাহেদের কাছে কনের মা অভিযোগ করলে তারা বরের বাড়িতে
গেলে বর ও বরের বাবাকে না পেয়ে বরের মামাকে থানায় নিয়ে আসেন। থানার ওসি উপস্থিত না
থাকায় আগামী রোববার সবার উপস্থিতিতে বসে মীমাংসা করা হবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে শিবপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আফজাল হোসেন জানান, শিবপুরের ছাত্র সমন্বয়করা বরের বাড়িতে গেলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
মোঃ ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর(দিনাজপুর):
সারাদিনের মধ্যে ভাপা পিঠার প্রয়োজনীয় সব কিছু জোগাড় করে বিকেল থেকে দিনের আলোয় কাজ করছেন মমতাজ বেগম। আর সন্ধ্যা নামতেই কৃত্রিম আলো জ্বালানো হলে পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পিঠার দোকানের কাছেই ক্রেতারা অপেক্ষা করছেন। দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের বিরামপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এলাকায় এভাবে গরম চুলোয় পিঠা তৈরি করে বিক্রয় করতে দেখা যায়।
দেশের উত্তরাঞ্চলসহ কয়েকটি জেলায় শীতের প্রকোপ বেশি হয়ে থাকে। শীতের আগমনী বার্তা পেয়ে পিঠা বিক্রেতাদের
পরিবারে সুখের দিন ফিরে আসে। ভোররাত
থেকে কুয়াশার সঙ্গে কিছুটা শীত এবং বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যার আগে শীত অনুভব করা যায়। তারপরও শীতের এই আমেজকে ভিন্ন মাত্রা এনে দেয় পিঠা। পিঠা বাঙালি সংস্কৃতির এক অংশ। শীতের সকাল ও সন্ধ্যায় পিঠা খাওয়া গ্রামের চিরায়ত দৃশ্য হলেও এমন দৃশ্য পৌরশহরে চোখে পড়ে। ব্যস্ত শহুরে জীবনে ঘরে পিঠা তৈরি করা কষ্টসাধ্য হলেও রাস্তার পাশে ও মোড়ের দোকানে পিঠা পাওয়া যায়। তাই শীত মৌসুমে পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকায় পিঠার দোকান গড়ে ওঠে।
এ বছরও শীতকে ঘিরে পৌরশহরে মৌসুমি পিঠা বিক্রেতাদের প্রস্তুতির কমতি নেই। দিনভর পিঠার আটাসহ অন্যান্য উপকরণ তারা তৈরি করেন। আর বিকেল হলেই রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ
স্থানে হরেক রকমের পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। রাত ১০টা পর্যন্ত সেই পিঠা বিক্রি চলে। আর পিঠা বিক্রির আয়েই এসব খেটে খাওয়া মানুষের সংসার চলে। বলা যায়, শীত মৌসুমে তিন মাস পিঠা বিক্রি করেই তারা উপার্জন করে থাকেন।
বিরামপুর উপজেলার, কলাবাগান মোড়, হাসপাতাল মোড় , মহাসড়কের পাশে মুক্তিযোদ্ধা
কমপ্লেক্স এর পশ্চিমে,অবসর সিনেমা মোড়, পশু হাটের মোড়, থানার রাস্তার মোড়সহ পূর্ব পাড়া,ইসলাম পাড়ার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন অলিতে গলিতে বিকেল থেকেই পিঠা বিক্রেতারা রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ
স্থানে অবস্থান করেন। কেউ ভ্যানে করে আবার কেউ নির্দিষ্ট স্থানেই শীত মৌসুমে পিঠা বিক্রি করেন। পরিবারের কাজকর্ম শেষ করে বেশিরভাগ অসহায় দরিদ্র পরিবারের নারীরা এ পেশায় ব্যাস্ত হয়ে পড়েন।পিঠা বিক্রির টাকায় এ স্বল্প আয়ের মানুষগুলোর সংসার চলে। শীত শেষ হলে অনেকে অটোরিকশা চালানো কিংবা অন্য কোনো দিন মজুরির কাজে যুক্ত হয়ে পড়েন।
স্বামী সন্তান সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় পিঠা বিক্রি করছেন জাহানারা ।এসব নারীদের কারোর স্বামী নেই আবার স্বামী থাকলেও অসুস্থ। তাই সংসার চালাতে শীত মৌসুমে পিঠা বিক্রি করছেন। এসব দোকানে শীতের বিভিন্ন প্রকারের পিঠা দেখা যায়। এর মধ্যে ভাপা আর চিতই পিঠার দোকানই বেশি চোখে পড়ে। এর পাশাপাশি সিদ্ধ ডিম,পিঁয়াজু,পাটিশপটা,মুগের ডালের পাঁপড় ভাজা, তেল পিঠাসহ হরেকরকম পিঠার পসরা সাজিয়ে রেখেছেন।চিতই পিঠা খাওয়ার জন্য ভর্তা হিসেবে রয়েছে তিল,ঝাল, বাদাম ও ধনা পাতার এছাড়াও রয়েছে গুঁড়।
পৌরশহরে সন্ধ্যা নামতেই পিঠার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে। অনেক সময় একজনের পক্ষে পিঠা তৈরি করে বিক্রি করতে হিমশিম খেতে হয়। একাধিক চুলায় পিঠা তৈরি করেও ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ কঠিন হয়ে যায়। এ সময় পিঠা বিক্রেতা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে অনুরোধও করেন। অনেকে বাড়ির সদস্যদের জন্যও পিঠা নিয়ে যান। আর বেশিরভাগ ক্রেতাই গরম পিঠা খাওয়ার জন্য দাবি করেন বলে তাদেরকে অপেক্ষা করতে হয়। এসব পিঠার দোকানে রিকশাচালক থেকে শুরু করে দিনমজুর, শিশু-কিশোর, চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী সব শ্রেণি-পেশার মানুষই আসেন।
পিঠা বিক্রেতারা জানান, চালসহ অন্যান্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি হলেও পিঠার দাম বাড়েনি।
কলাবাগান মোড়ের পিঠা বিক্রেতা নওশাদের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত একশ থেকে ১৫০টি পিঠা বিক্রি করা যায়। প্রতিদিন একইরকম বিক্রি হয় না। কোনোদিন একশটি পিঠাও বিক্রি করা কঠিনে হয়ে যায়। এখন তো সবখানেই পিঠা পাওয়া যায়।
পিঠার দামের বিষয়ে এ বিক্রেতা বললেন, সাধারণত ১০টাকা দামেই পিঠা বিক্রি করি। কেউ কেউ ২০ টাকার পিঠার কথা বললে সেটাও তৈরি করি। তবে ১০টাকার পিঠাই বেশি বিক্রি করি। দিনে এক থেকে দেড় হাজার টাকার পিঠা বিক্রি হলে পাঁচ থেকে সাতশ টাকা লাভ থাকে। কোনো কোনো দিন আবার পাঁচশ টাকাও হয় না।
কয়েকজন অটোরিকশা চালক পিঠা খেতে এসেছেন বিরামপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এর পশ্চিমে। পিঠার দোকানের সামনে তাদের সঙ্গে কথা হয়। অটোরিকশা চালক হারুন বলেন, সন্ধ্যা হলেই বাইরে বের হই আমরা। এখন শীতের সময় ভাড়া মারার ফাঁকে সময় করে পিঠা খেতে আসি। এছাড়াও জিনিস পত্রের যে দাম বাসায় তৈরি করে খাওয়ার তেমন সুযোগ হয়না তাই এই পিঠার দোকানই শেষ ভরসা। পিঠা ভালো লাগলে যে যার মতো করে আমরা পিঠা খাই। তারপরও বাড়িতে তৈরি পিঠার স্বাদ এখানে পাওয়া যায় না।
পরিবারের সাথে পিঠা কিনতে আসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী রোখসানা বলেন, গ্রামে বেড়াতে গেলে নানীর হাতের পিঠা খেতাম। কিন্তু শহরে সেই সুযোগ আর কোথায়। প্রায়ই বাবার সঙ্গে বাহিরে শীতের সময়ে পিঠা খাওয়া হয়।
বিরামপুর উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মোশাররত জাহান এর সাথে মুঠোফোনে নারীদের স্বাবলম্বী করে তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন নারীরা তো আর পিছিয়ে নেই। শীতকালে নিজ এলাকায় বিভিন্ন ধরনের পিঠার দোকান দিয়ে তাঁরা আয় করছেন। সরকারের পক্ষ থেকে যদি তাঁদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে আরও কোনো সুযোগ তৈরি করা যায়, তাহলে সেটি আরও ভালো হবে বলে তিনি জানান।
মন্তব্য করুন
কিশোরগঞ্জের হাওরের মিঠামইন জিরোপয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত ১৪
কিলোমিটার অলওয়েদার সড়কে একটি আলপনা আঁকা হয়েছে।
এশিয়াটিক এক্সপেরিয়েনশিয়াল মার্কেটিং লিমিটেড, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস
লিমিটেড ও বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগের এই আয়োজনের নাম দেওয়া হয়েছে
‘আল্পনায় বৈশাখ ১৪৩১’।
গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) শুরু হওয়া এই বৈশাখী আলপনা অঙ্কন শেষ হয় রোববার (১৪
এপ্রিল)।
আর এই বৈশাখী আলপনা অঙ্কন করেছেন প্রায় ৭০০ জন শিল্পী।
কিশোরগঞ্জের হাওরের মিঠামইনে ১৪ কিলোমিটার সড়কে বৈশাখী আলপনা ঘুরে দেখলেন ডাক,
টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং রোববার
(১৪ এপ্রিল) সকালে মিঠামইন উপজেলার অলওয়েদার সড়কের জিরো পয়েন্টে প্রধান অতিথি হিসেবে
উপস্থিত থেকে তুলির আঁচড়ের মাধ্যমে বৈশাখী আলপনার সমাপ্তি করেন।
একটি মোটরসাইকেল নিজেই চালিয়ে মিঠামইন অলওয়েদার সড়কের জিরো পয়েন্টে থেকে ঘুরতে
বের হন প্রতিমন্ত্রী। এসময় তার পেছনে বসা ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম
উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী পহেলা বৈশাখের আলপনার উৎসব আবার
ফিরে আসায় বাঙালি চেতনার উদযাপন তার চেনা রূপ লাভ করেছে। আয়োজকদের প্রতি আমি শুভকামনা
জানাচ্ছি । এ আয়োজন ইতিহাসের পাতায় নাম লেখাবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা
অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স
অফিসার তাইমুর রহমান প্রমুখসহ সংশ্লিষ্ট আরো অনেকেই।
এই সড়কের আলপনা আঁকার পর বিশ্বরেকর্ড হিসেবে গিনেস বুকে নথিভুক্ত করার উদ্যোগ
নেবেন আয়োজকরা।
মন্তব্য করুন
মো. মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়া পৌরসভার কড়ইয়া বটতলা এলাকায় মাস ব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলার বর্ণাঢ্য উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার কচুয়া পৌরসভার আয়োজনে এ মেলায় ভার্চুয়ালী প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ।
কচুয়া পৌর মেয়র নাজমুল আলম স্বপনের সভাপতিত্বে এসময় উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন ভূঁইয়া, আহসান হাবিব জুয়েল, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ডা. মাসুদুর রহমান বাবুল, কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রিয়তুষ পোদ্দার, সাবেক সভাপতি মানিক ভৌমিক, কাউন্সিলর তাজুল ইসলাম রাজু, সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার
পর কুমিল্লার ১৮টি থানার কার্যক্রম সোমবার শুরু হয়।
কর্মবিরতিতে থাকা পুলিশ
কর্মকর্তা ও সদস্যরা কাজে যোগ দেওয়ায় থানার কার্যক্রমে গতি এসেছে আর এদিকে১ যঙয ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের উপস্থিতিতে সড়কে
দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থী ও আনসার সদস্য কমতে শুরু করেছে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৩
আগষ্ট) কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান জানান, গতকাল (সোমবার) থেকে
জেলার ১৮ থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রায় সব পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তাগণ ডিউটি
করছেন। সেবা গ্রহীতাদের তারা বিভিন্ন সেবা প্রদান করা শুরু করেছেন।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, আমরা ইতোপূর্বে
থানার অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমগুলো শুরু করেছি। আমাদের কোতোয়ালি মডেল থানায় ১০৪ জন
অফিসার ফোর্স কর্মরত আছেন সবাই কাজে যোগদান করেছেন । সোমবার ও আজ মঙ্গলবার এ দুই
দিনে ৬টি অভিযোগ এবং ১৯টি জিডি করা হয়েছে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায়। যেকোনো
সেবা প্রত্যাশীরা জিডি কিংবা অভিযোগ অনায়াসেই আমাদের ডিউটি অফিসারের কাছে গিয়ে
করতে পারবেন। আমি এবং আমার ডিউটি অফিসাররা এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছি।
থানার সেবা আমরা চালু করেছি। কোতোয়ালি মডেল থানার কোন হামলা হয়নি।
মন্তব্য করুন
রফিকুল ইসলাম বাবু, চাঁদপুর:
চাঁদপুরে হরিণা দিয়ে ফেরিতে
উঠার
সময়
সময়
প্রাইভেট কারের
ভিতরে
অভিনব
কাদায়
খুলনায় ৪৪
কেজি
গাজা
নেওয়ার সময়
চাঁদপুরে যৌথ
বাহিনীর অভিযানে একটি
প্রাইভেটকার বুঝাই
গাঁজাসহ রুবেল
হালদার
(৪২)
নামে
চালককে
আটক
করা
হয়েছে।
চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের হরিণা
ফেরিঘাট এলাকায়
গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদপুর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনা
বাহিনী,
মাদক
নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও
পুলিশ
যৌথ
ভাবে
মাদক
বিরোধী
অভিযান
পরিচালনা করে।
এসময়
প্রাইভেটকারের পিছনের
বেকডালি তল্লাশি করে
তাতে
৪৪
কেজি
গাঁজা
উদ্ধার
করা
হয়েছে।
জানা যায়, খুলনার
বাগেরহাট মোড়লগঞ্জের বারইখালি গ্রামের হাওলাদার বাড়ির
মৃত
মোজাম্মেল হাওলাদারের ছেলে
প্রাইভেটকার চালক
রুবেল
হাওলাদার (৪২)
কে
খুলনার
মাদক
কারবারি রিংকু
গাড়ি
ভাড়া
করে
কুমিল্লার বুড়িচং
এলাকায়
নিয়ে
আসে। ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বুড়িচং
এলাকার
ভারতীয়
সিমান্ত এলাকায়
গিয়ে
৪৪
কেজি
গাঁজা
প্রাইভেটকারের (ঢাকা
মেট্রো
গ-১৪-৩৭৩৬) পেছনের
ডেকে
করে
চাঁদপুর সদর
উপজেলা
হরিনা
ফেরিঘাট হয়ে
খুলনা
নিয়ে
যাচ্ছিল। চাঁদপুর জেলা
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আহসান
হাবীব
গোপন
সংবাদের খবর
পেয়ে
যৌথ
বাহিনী
সহায়তায় সকাল
থেকে
দুপুর
পর্যন্ত হরিনা
ফেরিঘাট এলাকায় উৎ
পেতে
থাকে।
দুপুরের দিকে
জেলা
প্রশাসক কার্যালয়ের নেচজারত ডেপুটি
কালেক্টর ( এনডিসি)
আসাদুজ্জামান, সেনাবাহিনী চাঁদপুরের দায়িত্বে থাকা
ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ রিফাত
আল
সামিউল,
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোহাম্মদ আহসান
হাবীব,
চাঁদপুর মডেল
থানার
উপ-পরিদর্শক ফেরদৌস ও সহকারী
পরিদর্শক মিজানুর রহমান
সহ
সঙ্গীয়
সদস্যরা যৌথ
ভাবে
মাদকবিরোধী অভিযান
পরিচালনা করে।
এসময়
৪৪
কেজি
গাঁজা
প্রাইভেটকার (ঢাকা
মেট্রো
গ
১৪-৩৭৩৬) থেকে ৪০
কেজি
গাঁজাসহ প্রাইভেটকার চালক
রুবেল
হাওলাদার (৩৮)
কে
আটক
করে।
মন্তব্য করুন