

মো: মাসুদ রানা,কচুয়া ॥
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল গ্রামে অবস্থিত মাদরাসাতুল কুরআন ওয়াসসুন্নাহ ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের সবক প্রদান ও দোয়া অনুষ্ঠান হয়েছে। বুধবার মাদ্রাসা মিলনায়তনে কুরআনের পাখিদের দ্বীনি শিক্ষার আলোকে তাদের সবক প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের সবক প্রদান করেন, মুন্সীগঞ্জ দারুত তাকওয়া আরাবিয়া কাহেতারা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা মাহমুদুল হাসান।
মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ ক্বারী শিব্বির আহমেদের সার্বিক পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বয়ান রাখেন, নারায়নগঞ্জ জামিয়া আবু বকর ইসলামিয়া মক্কিনগর মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা আশেক এলাহী ও ঢাকার ডেমরার দাওয়াতুল কুরআন মাদরাসার শিক্ষক মো. ইব্রাহিম সহ আরো অনেকে। এসময় কচুয়া ডাকবাংলো ঈদগাঁ বড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সানি ইমাম আবু বকর সিদ্দিক সহ মাদ্রাসার শিক্ষক,অভিভাবক,শিক্ষার্থীসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পরে সবক শেষে মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
উল্লেখ্য যে, শিক্ষার্থীদের উদ্ধুদ্ধ করতে মাদ্রাসার আয়োজনে এমন উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও জানান মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন


রাজধানীর তুরাগ এলাকায় পারিবারিক কলহের জের ধরে বিথী আক্তার ওরফে বিলকিস (৩৫) নামে এক নারীকে হত্যার ঘটনায় স্বামীসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তুরাগ থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন- নিহত বিথীর স্বামী মো. বাবুল মিয়া (৪৭) ও তার বন্ধু মো. সম্রাট (২০)।
আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিন্টোরোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মুহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গত রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে বিথী আক্তার নিখোঁজ হন। তার মা মনোয়ারা বেগম ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তুরাগ থানাধীন রাজউকের ১৭ নম্বর সেক্টরের খেলার মাঠে কাশবনের মধ্যে একজন অজ্ঞাতপরিচয় নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। নিহত বিথীর মা মনোয়ারা বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারেন ওই মরদেহ তুরাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি তুরাগ থানায় গিয়ে মরদেহের ছবি দেখে তার মেয়ে বিথীকে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা মনোয়ারা বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে তুরাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। মামলার পর তুরাগ থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। গত শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর আনুমানিক ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে পল্লবী থানা পুলিশের সহায়তায় মিরপুর ডিওএইচএস এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিথীর স্বামী বাবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই দিন বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে মিরপুর-১২ কালাপানি এলাকা থেকে তার বন্ধু সম্রাটকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রেপ্তাররা পারিবারিক কলহের জেরে ধরে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। নিহতের স্বামী বাবুল আমাদের জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে প্রায় দীর্ঘ ছয় বছর ধরে দাম্পত্য কলহ চলছে। কলহের পেছনে বড় কারণ হচ্ছে তিনি এবং তার স্ত্রী প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা মানুষের কাছ থেকে সুদের ওপরে গ্রহণ করেছেন। এ টাকার অনেক সুদ তাকে দিতে হয়। বাবুল চাকরি করে ঢাকার একটি ওয়ার্কশপে। তিনি মাসে ৩১ হাজার টাকার মতো বেতন পান। প্রতি মাসে সুদের টাকা দিতে গিয়ে তাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তিনি যখন বাসায় যাচ্ছেন তার স্ত্রী বলেন যে, মানুষ সুদের টাকার জন্য সবসময় আসছে। এতে তিনি ঘুমাতে পারেন না, খেতে পারেন না। সবসময় পাওনাদাররা আসেন তার বাসায়। এটা নিয়ে তার স্ত্রী খুব বকাবকি করেন এবং এসব নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চরম পর্যায়ে পৌঁছায়।
তিনি আরও বলেন, গত দুই থেকে তিন মাস আগে বাবুল স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেছেন। হত্যার সময় তার সঙ্গে তার চারজন বন্ধু ছিলেন। এর একজন সম্রাট। বাকি দুজনের নামও আমাদের কাছে রয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম এখন আমরা প্রকাশ করছি না।
স্ত্রী হত্যায় যারা তার সঙ্গে ছিল তারা কি ভাড়াটে হিসেবে কাজ করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ডিসি বলেন, এ ঘটনায় সম্রাট ছিলেন বলে বাবুল জানিয়েছেন। বাবুল স্ত্রীকে হত্যার জন্য তাদের ৫০ থেকে এক লাখ টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লা-৯ (লাকসাম মনোহরগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী, বিএনপির কেন্দ্রীয় শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম বলেছেন, দেশে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমার দল জাতীয়তাবাদী দল কুমিল্লা ৯ আসনে আমাকে ধানের শীষের প্রতীকের সালাম নিয়ে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছে। দীর্ঘদিন লড়াই-সংগ্রাম করার পরে ধানের শীষ আমার হাতে দিল, ধানের শীষের পবিত্রতা রাখতে হবে। ইনশাআল্লাহ আমরা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের কাছে ওয়াদাবদ্ধ আপনার আমানত এই লাকসাম মনোহরগঞ্জের মানুষ অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে। সততা-নিষ্ঠার সহিত কাজ করে প্রমাণ করে দেবো যে আমরা আমানতের খেয়ানত করি না।
আজ শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে লাকসামের কাঠালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মুদাফফরগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের ৪, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা দলের উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আবুল কালাম বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের ওপর যে জুলুম-নির্যাতন করেছে, সরকার পতনের পর আমরা কিছুই করিনি। আমাদের কোনো কর্মী কারও কোনো ক্ষতি করেনি। আমরা হিংসাত্মক রাজনীতি করি না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এতবড় বিশ্বাসঘাতক, নিজের প্রতিও তাদের কোনো বিশ্বাস ছিল না। না থাকার ফলশ্রুতিতে, তারা দিনের ভোট রাতে, রাতের ভোট দিনে, আমি- ডামি ইলেকশন করেছে। আওয়ামী লীগ যারা করে তারাও কিন্তু ভোট দিতে পারেনাই।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে হিন্দুরা তাদের কেনা গোলাম। হিন্দু মানেই নৌকায় ভোট দিবে, এটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা। কে কোথায় ভোট দেবে এটা আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার, আপনার চিন্তা-চেতনা, আপনার বিচার-বিশ্লেষণ। আমি যদি আপনাকে বুঝাতে পারি তাহলে আপনি আমাকে ভোট দিবেন।
বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, আরেকটি দল (জামায়াত) বলে যে আমরা আপনাদেরকে নিরাপদ রাখবো। হিন্দুদের জন্ম যেখানে আমার জন্ম সেখানে, পাশাপাশি জন্ম। তাহলে তুমি কে হিন্দু কে নিরাপদ রাখার? হিন্দু বাড়ি পাশে মুসলমান বাড়ি হয়ে আমরা তো থাকতেছি। যুগ যুগ ধরে বছরের পর বছর, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। এখন একটি দল বলে আমরা আপনাদেরকে দেখে রাখবো ভোট দেন। এগুলো ডাহা মিথ্যা কথা। তাদের কথায় বিভ্রান্ত হবেন না।
মুজাফফরগঞ্জ উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাজী আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে এসময় ইউনিয়ন মহিলা দলের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


গত ৯ই-১২ই ফেব্রুয়ারি ভারতের নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয় ৬ষ্ঠ এশিয়ান সাবাতে চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৫। প্রতিযোগিতায়ে এশিয়ার প্রায় ১৬ টি দেশ অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ থেকে ১২ জনের একটি টিম প্রতিযোগিতায়ে অংশগ্রহণ নেয়ে। উক্ত প্রতিযোগিতায় রৌপ্য পদক অর্জন করে বাংলাদেশের সুনাম বয়ানে কুমিল্লার কৃতি সন্তান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সত্যায়িত সংগঠন ওয়াইকসের যুব ও প্রিয়া সম্পাদক, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মার্শাল-আর্ট টিম কোচ, বর্তমানে কুমিল্লা সরকারি কলেজের অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী মোফাজ্জাল মাহিন চৌধুরী। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে রৌপ্য পদক অর্জনকারী মাহিন কে সম্পূর্ণ রূপে সহযোগিতা করে দিঘির চাপ, আফসু ডেভলপারস লিমিটেড।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা:
কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় সেনাবাহিনীর এর বিশেষ অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ কামাল হোসেন (৫৭) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ১৯ আগস্ট মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় তার কাছ থেকে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৮টি ছুরি, ৫টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন এবং ৩টি বাটন মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ঈশ্বরদী-ঢাকা রেলরুটের পাবনার চাটমোহর রেলস্টেশনে অভিযান চালিয়ে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের মূলহোতাসহ ৬ জনকে চাটমোহর রেলস্টেশন থেকে আটক করেছে র্যাব।
আটককৃতরা হলো: শরিফুল ইসলাম (৩৮), আরিফুল ইসলাম (৩২), আব্দুল জলিল (৪৫), জাহিদুল ইসলাম (৩৪), হাবিবুর রহমান (২২) ও আনিসুর রহমান (২৮)।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, র্যাব-১২, সিপিসি-২ পাবনার কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান।
র্যাব জানায়, একটি চক্র পাবনার চাটমোহর রেলস্টেশনে দীর্ঘদিন ধরে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে আসছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে বিকেলে অভিযান চালিয়ে টিকিট কালোবাজারি চক্রের মূলহোতা শরিফুল ইসলামসহ উল্লেখিত ৬ জনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় বিভিন্ন ট্রেনের ৩৬টি টিকিট, টিকিট বিক্রির নগদ ১৫ হাজার টাকা ও ৭টি মোবাইল ফোন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানায়, চাটমোহর রেলস্টেশনে টিকিট কালোবাজারি সিন্ডিকেটের মূলহোতা শরিফুলের নেতৃত্বে এই চক্রটি সংঘবদ্ধভাবে দীর্ঘদিন ধরে চাটমোহর স্টেশন থেকে রাজশাহী-ঢাকাগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, পদ্মা এক্সপ্রেস ও ধূমকেতু এক্সপ্রেস এবং খুলনা-ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস, দিনাজপুর-ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে আসছিলেন। এ ঘটনায় আটককৃতদের নামে মামলা দায়ের করে চাটমোহর থানায় সোপর্দ করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন


অসহায় বাবা-মায়ের জন্য আট টাকার শাড়ি লুঙ্গীর
হাট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কুড়িগ্রামে শতাধিক দুঃস্থ অসহায় বাবা মায়ের জন্য
ভ্রাম্যমান শাড়ি লুঙ্গীর হাটের আয়োজন করে স্থানীয় সামাজিক সংগঠন ফাইট আনটিল লাইট
(ফুল)নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ভ্রাম্যমান এ হাটে আট টাকা দরে একটি শাড়ি,
একটি লুঙ্গি এবং দু' টাকায় একটি ব্লাউজের পিস বিক্রি করা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) কুড়িগ্রাম সদর
উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের কুমোরপুর দাখিল উলুম মাদ্রাসা মাঠে নাম মাত্র মূল্যে
এসব শাড়ি,লুঙ্গী বিক্রি করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের
চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান,সিনিয়র গণ মাধ্যমকর্মী শফি খান, স্থানীয় ইউপি সদস্য
হামিদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য সহকারি আতাউর রহমান ও স্বাস্থ্যকর্মী লেলিনসহ অনেকে।
আট টাকায় শাড়ি পেয়ে বৃদ্ধ আমেনা বেওয়া বলেন, বর্তমানে
বাজারে একটা শাড়ির দাম নিম্নে ৩০০ টাকা। সেই শাড়ি আট টাকায় পেয়ে খুব উপকার হলো।
লুঙ্গী পেয়ে হামিদ মিয়া বলেন, হামার ৬৫ বছর বয়সে
কোন দিন দেহি নাই আট টাহায় এহান(একটা) লুঙ্গি পাওয়া যায়। আইজ সেই আট টাহায় লুঙ্গি
কিনলং। খুব খুশি নাগছে।
ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব
সাইদুর রহমান বলেন, ফুল দীর্ঘদিন ধরে জেলায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অসহায় বাবা মা কে
নিয়ে কাজ করে আসছে। ফুলের আজকের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
ফাইট আনটিল লাইট ফুল এর নির্বাহী পরিচালক আব্দুল
কাদের বলেন, কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সামাজিক সংগঠন ফুল শহর গ্রাম ও
প্রত্যান্ত চরাঞ্চলের মানুষ মাঝে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নে এক
যুগের বেশি সময় ধরে কাজ করে আসছে। আমরা ত্রানে নয় বিনিময়ে উপহার দিয়ে মানুষের
মানসিকতার পরিবর্তন আনতে চাই।তাই অসহায় বাবা মায়ের কাছে মাত্র ৮ টাকার
বিনিময়ে শাড়ি লুঙ্গি বিক্রি করার ব্যবস্থা করছি।
মন্তব্য করুন


জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম উত্তর :
মা বাবার বুকের ধন ছোট্ট শিশু ফরহাদ। ছয় মাস বয়সের দুধের শিশু। ফুটফুটে এ শিশুটি জন্ম থেকেই পায়ুপথের সমস্যায় ভুগছেন। সংকীর্ণ পায়ুপথের বাঁধায় নিয়মিত পায়খানা হয় না ।পেট ফুলে যায়। ৮-১০দিন পরপর ওষুধ দিয়ে পায়খানা করাতে হয়। যন্ত্রণায় ছটফট করে সারাক্ষণ কাঁদে শিশুটি। মা বাবা ব্যস্ত হয়ে পড়েন শিশুটিকে নিয়ে। কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে বাড়ির পরিবেশ । চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই মা বাবার। চিকিৎসকরা তিনটি অপারেশনের পরামর্শ দিয়েছেন। এদের মধ্যে ধার দেনা ও সর্বস্ব বিক্রি করে দেড় লক্ষ টাকায় একটি অপারেশন করিয়েছেন। তাতে সুস্থ হয়নি শিশুটি। আরো দুটি অপারেশন দরকার। এর জন্য প্রয়োজন ৫ লাখ টাকা। কিন্তু কোথায় পাবেন এ টাকা। এর চিন্তাই নির্ঘুম রাত কাটে বাবা মায়ের।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের বালাটারি গ্রামের মোকছেদুল হক ও ফরিদা বেগম দম্পতির সন্তান ফরহাদ। বাবা রিক্সা চালাতেন। ছেলে চিকিৎসার জন্য তাও বিক্রি করে দিয়েছেন। এখন রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তার আয়ে ৪ সদস্যের পরিবার চলে। এখন ছেলের চিন্তায় কাজও ঠিকমতো করতে পারেন না। সম্বল বলতে তিন শতক জমির উপরে হাফ ওয়াল করে টিনশেডের দুই রুমের বাড়ি। ছেলের চিন্তায় অস্থির। তার ওপর মেয়ে বড় হচ্ছে। মহা বিপাকে দম্পতি। কি করবেন, কোথায় যাবেন। কুলকিনারা পাচ্ছেন না। শিশু সন্তানকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান মানুষের সাহায্য চান। তাদের সাহায্যে চিকিৎসায় বেঁচে যেতে পারে তাদের বুকের ধন। শিশু ফরহাদের চিকিৎসার জন্য সাহায্য পাঠানোর জন্য তার বাবা মোকছেদুল হকের বিকাশ নাম্বার ০১৭৯৫৭০৬৯২৫।
এলাকাবাসী আশরাফুল হক, ইমান আলী ও আকলিমা বেগম জানান, শিশু ফরহাদের বাবা-মা গরিব মানুষ কোনভাবে কাজ কামাই করে সংসার চালায়,তাদের শিশু সন্তানটি জন্ম থেকে অসুস্থ,তাকে তো করতে অনেক টাকার প্রয়োজন, আমার সবার কাছে তাকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
ফরহাদের বাবা ও মা জানান,আমাদের কোন জমা জমি নেই মাত্র তিন শতাংশ জমির উপর একটি ঘর করে বসবাস করে আসছি,আমাদের শিশু সন্তানটি জন্মের পর থেকে অসুস্থ, তাকে সুস্থ করতে ধারদেনা করে একটি অপারেশন করেছি, ডাক্তার বলেছে আরও দুটি অপারেশন করতে হবে, একটি অপারেশন করতেই ধার-দেনা করেছি, বাকি দুটি অপারেশন করতে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা লাগবে আমরা এত টাকা কোথায় পাবো, তাই সমাজের সকলের কাছে আবেদন সকলে যদি আমাদেরকে একটু সহযোগিতা করত তাহলে আমাদের শিশু সন্তানকে বেঁচে যেত।
এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ওয়ালীউল্লাহ মন্ডল জানান, বাচ্চাটাকে দেখে মনে হচ্ছে বাচ্চাটা খুব অসুস্থ, তাদের পরিবার খুব গরিব তারা আবেদন করলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হবে।
মন্তব্য করুন


পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সংবাদকর্মীদের ভ্রাতৃত্ব বন্ধন দৃঢ় রাখার প্রত্যয়ে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন দৈনিক আজকের জীবন পত্রিকার কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি ও কুমিল্লা প্রেসক্লাবের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নেকবর হোসেন।
শনিবার (২২মার্চ) সন্ধ্যায় কুমিল্লা প্রেসক্লাবে এ ইফতার মাহফিল সম্পন্ন হয়।
ইফতার মাহফিলে সাংবাদিকরা বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও নেকবর যে আয়োজন করেছে, এতে আমাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন আরও দৃঢ় হবে। সবাই একে অন্যের সাথে সম্পর্ক বজায় রেখে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তুলে ধরব।
সিনিয়র সাংবাদিক এটিএন বাংলার ষ্টাফ রিপোর্টার খায়রুল আহসান মানিকের সভাপতিত্বে ও প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ জিতুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন দৈনিক আজকের জীবন পত্রিকার কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি ও কুমিল্লা প্রেসক্লাবের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নেকবর হোসেন।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান, দৈনিক পূর্বাশা পত্রিকার সিনিয়র প্রতিবেদক সহিদ উল্লাহ,দৈনিক শিরোনামের পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মোতায়ের হোসেন মাহবুব, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ও সময় টিভির প্রতিনিধি বাহার রায়হান, দৈনিক ভোরের সূর্যোদয় পত্রিকার সম্পাদক মোঃ ফিরোজ মিয়া,সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ওমর ফারুকী তাপস, বৈশাখী টেলিভিশনের কুমিল্লা প্রতিনিধি আনোয়ার হোসাইন, গোমতির সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক মোবারক হোসেন,প্রথম আলো কুমিল্লা প্রতিনিধি আবদুর রহমান,কুমিল্লা ডাকের সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন যমুনা টিভি কুমিল্লা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী খোকন, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক দপ্তর সম্পাদক জাহিদুর রহমান, মাই টিভি কুমিল্লার প্রতিনিধি আবু মুছা, নাগরিক টিভি কুমিল্লা প্রতিনিধি দেলোয়ার হোসাইন আকাইদ,বুড়িচং প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বাবু, এশিয়ান টিভি কুমিল্লা প্রতিনিধি, মাহফুজ আনোয়ার সৌরভ, দৈনিক সমকালের ফটো সাংবাদিক এন কে রিপন, সমতটের কাগজের সম্পাদক জামাল উদ্দিন দামাল, সাংবাদিক কল্যান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন,দৈনিক আজকের কুমিল্লা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার রাসেল আহমেদ, জাগরণীর টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি আশিকুর রহমান আশিক,খোলা কাগজের কুমিল্লা প্রতিনিধি শাহ ইমরান,পেশাজীবী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা মজুমদার,দৈনিক ভোরের কলাম পত্রিকার সম্পাদক তৌহিদ মামুদ অপু,জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সাবেক সভাপতি রবিউল বাসার খান,আমাদের কুমিল্লা স্টাফ রিপোর্টার সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ, দুর্নীতি সন্ধানের জেলা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম (মেক রানা) সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম সুমন, দৈনিক বাংলাদেশ কন্ঠর কুমিল্লা প্রতিনিধি ইয়াসিন মিয়া,চেতনা৭১ সম্পাদক মাইনুল হক স্বপন, দৈনিক সমাচার কুমিল্লা প্রতিনিধি মোঃ শাফি,দৈনিক আজকের কুমিল্লা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হাবিবুর রহমান মুন্না,কুমিল্লা ডাকের স্টাফ রিপোর্টার সুমন, ,কুমিল্লা 24 বিপ্লব,আজকের কুমিল্লা স্টাফ রিপোর্টার উজ্জল,আজকের জীবন মহানগর প্রতিনিধি মজিবুর রহমান চৌধুরী,বিশিষ্ট সমাজ সেবক আনোয়ার হোসেনসহ কুমিল্লা কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
ইফতার মাহফিলে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার প্রতিনিধি মাওলানা আবু হানিফ।
মন্তব্য করুন


শ্বশুর-শাশুড়ির সেবা করায় ১২ পুত্রবধূকে সম্মাননা দেওয়া হয়। মাদারীপুরে ব্যতিক্রমধর্মী এ সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘পাশে আছি মাদারীপুর’নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। পুত্রবধূরা সম্মাননা পুরস্কার পেয়ে
খুবই আনন্দিত। আয়োজকদের দাবি, সমাজে বর্তমানে পারিবারিক বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করতে এ ব্যতিকর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
আজ শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে মাদারীপুর সমন্বিত সরকারি অফিস ভবনের জেলা শিশু একাডেমির হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। ‘পুত্রবধূ ও শ্বশুর-শাশুড়ির ঐকান্তিক অনবদ্য ও চিরায়ত সম্পর্কের বন্ধনে’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে সেরা ১২ পুত্রবধূকে সম্মাননা দিয়েছে সংগঠনটি।
উক্ত অনুষ্ঠানে পাশে আছি মাদারীপুরের প্রতিষ্ঠাতা বায়জীদ মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম মুন্সী, আবৃত্তি সংগঠন মাত্রা’র সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন লিটন, নিরাপদ চিকিৎসা চাই এর মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান পারভেজ।
জানা যায়, মাদারীপুর ডাসার উপজেলার পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামের মৃত জোনাব আলী হাওলাদার ও মেহেরুন্নেসা বেগমের ছেলে মৃত অহিদুল হাওলাদারের স্ত্রী মোসা. মরিয়ম অহিদ। তিনি জনপ্রতিনিধি। ডাসার উপজেলার কাজীবাকাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মহিলা সংরক্ষিত আসন ১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। স্বামী মারা গেলেও শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়েই এক সঙ্গে থেকে তিনি তাদের সেবা যত্ন করছেন।
মাদারীপুর শহরের ২ নম্বর শকুনি এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন খান ও মৃত রিজিয়া সুলতানার ছেলে রাজন মাহমুদের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা আকাশী। তিনি একজন মিডিয়াকর্মী। তিনি নিজের কাজের পাশাপাশি শ্বশুরকে নিজ হাতে খাওয়ানোসহ সব সেবা যত্ন করে থাকেন।
অন্য সম্মননাপ্রাপ্ত পুত্রবধূরা হলেন, মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের মধ্য পেয়ারপুর গ্রামের সৈয়দ আলী মাস্টার ও মাহমুদা বেগমের ছেলে মাসুদুর রহমানের স্ত্রী রাবেয়া রহমান মুক্তা, মাদারীপুর শহরের মাস্টার কলোনি এলাকার আনোয়ার হোসেন ও রাশিদা বেগমের ছেলে রেজওয়ানের স্ত্রী রিমা, মাদারীপুর শহরের উকিলপাড়া এলাকার আশ্রাফ আলী ও সাহানা বেগমের ছেলে এহসানুল হক মামুনের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার, মাদারীপুর সদর উপজেলার চরমুগরিয়া এলাকার আ. রব জমাদার ও শামীমা বেগমের ছেলে আরাফাত ইসলামের স্ত্রী সামসুন নাহার, মাদারীপুর শহরের ২ নম্বর শকুনি এলাকার কাজী হাফিজুর রহমান ও রহিমা খাতুনের ছেলে কাজী হাবিবুর রহমানের স্ত্রী আরিফা আফরোজ অন্তরা, মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের মুক্তিসেনা রোড এলাকার হায়দার আলী খান ও কহিনুর বেগমের ছেলে সাকিন খানের স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া, মাদারীপুর সদর উপজেলার গৌরবর্দী এলাকার আ. আজিজ মিয়া ও ফিরোজা বেগমের ছেলে বি এম মহিউদ্দিনের স্ত্রী মিসেস ফারজানা, মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের পূর্ব পাচখোলা গ্রামের আলী আকবর মোড়ল ও নাদিরা বেগমের ছেলে আ. সোবহান মোড়লের স্ত্রী আছমা খাতুন, মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার চর বদরপাশা গ্রামের মো. নওসের ও আম্বিয়া বেগমের ছেলে মো. আমির এর স্ত্রী সাবিকুন্নাহার আক্তার, মাদারীপুর শহরের মাস্টার কলোনির শেফালী বেগমের ছেলে আজাদ চৌকিদারের স্ত্রী লাবনী আক্তার আশা। তারা সবাই গৃহিণী।
আয়োজক বায়জীদ মিয়া জানান, বর্তমানে আমাদের সমাজে পরিবারগুলো ব্যক্তি কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। আবহমান বাংলার যে ঐতিহ্য একান্নবর্তী পরিবার সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতেই এই বিশেষ সম্মাননা পুরস্কারের আয়োজন করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই কমিটি মাদারীপুরের ২৩ জন পুত্রবধূর মধ্যে থেকে সেরা ১২ জন পুত্রবধূকে মনোনীত করে। আজ এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই সেরা ১২ পুত্রবধূকে সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
সেরা পুত্রবধূ লাবণী আক্তার আশা বলেন, এই সম্মাননা স্মারক পেয়ে আমরা আনন্দিত। আগামীতে আমরা শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের সবার প্রতি আরও যত্নবান হবো। এ পুরস্কার প্রাপ্তি দেখে সমাজের অন্যান্য গৃহবধূরাও অনুপ্রাণিত হবেন বলে আশা করছি।
সম্মাননাপ্রাপ্ত আরিফা আক্তার অন্তরার শ্বশুর কাজী হাফিজুর রহমান বলেন, এই সম্মাননার আয়োজন করায় আমরা খুব খুশি। শুধু পুত্রবধূদের একার দায়িত্ব না, শ্বশুর-শাশুড়ি-পুত্রবধূ-ছেলে সবাই মিলেমিশে যে যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করাই হচ্ছে সবার কর্তব্য। আমার পুত্রবধূ সব সময় আমাদের খেয়ার রাখেন, যত্ন নেন। আমরা এক সঙ্গে থাকি। তবে বর্তমান সমাজে শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে কেউ থাকতে চান না। ছেলের বিয়ের পর আলাদা হয়ে যায়। তাই এ আয়োজনের মাধ্যমে অন্যপুত্রবধূরাও উৎসাহ পাবেন। তারা তাদের শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে এক সঙ্গে থেকে তাদের দায়িত্ব কর্তব্য পালন করবেন। আশা করছি এই আয়োজন প্রতিবছরই অনুষ্ঠিত হবে।
সম্মাননাপ্রাপ্ত সামসুন নাহারের শাশুড়ি শামীমা বেগম বলেন, পুত্রবধূ সম্মাননার মতো এমন আয়োজন আর কোথাও করতে শুনিনি। এটি ব্যতিক্রম আয়োজন। তবে বর্তমান সমাজে এ আয়োজনের দরকার আছে। কারণ বর্তমানে কেউ শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে এক সঙ্গে থাকতে চান না। কোনো না কোনো উসিলা দিয়ে আলাদা হয়ে যায়। এটা একজন মা-বাবার জন্য কতাটা কষ্টকর, তা বোঝানো যাবে না। তবে আমরা সবাই এক সঙ্গে থাকি। তাই এই আয়োজন দেখে সমাজের আরও পুত্রবধূরা শ্বশুর-শাশুড়িকে সেবা করবেন, যত্ন নেবেন, এক সঙ্গে থাকবে বলে আশা করছি।
আয়োজক বায়জীদ মিয়া জানান, বর্তমানে আমাদের সমাজে পরিবারগুলো ব্যক্তি কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। আবহমান বাংলার যে ঐতিহ্য একান্নবর্তী পরিবার সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতেই এ বিশেষ সম্মাননা পুরস্কারের আয়োজন করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই কমিটি মাদারীপুরের ২৩ জন পুত্রবধূর মধ্যে থেকে সেরা ১২ জন পুত্রবধূকে মনোনীত করে। আজ এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই সেরা ‘১২ পুত্রবধূকে সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তারুণ্য পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা সোহাগ হাসান জানান, মাদারীপুরে এই সেরা ১২ জন পুত্রবধূকে সম্মাননা পেতে দেখে অন্যান্য পুত্রবধূ ও শশুর শাশুড়িরাও অনুপ্রাণিত হবেন। তাই এই ব্যতিক্রম আয়োজনকে সাধুবাদ জানাই।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা, কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক বিরোধী কর্মকান্ডে নৈতিকতার অবক্ষয় ও বিপদগামিতা রোধকল্পে যুবকদের ভূমিকা শীর্ষক জনসচেতনতামূলক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজেনে পরিষদের হলরুমে এ প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হয়।
এসিল্যান্ড ইবনে আল জায়েদ হোসেনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান শিশির।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুব উল আলম, সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মফিজুর রহমান, মো. শাহজাহান হোসেন, তথ্য আপা রুবাইয়রা খাতুন সহ আরও অনেকে।
মন্তব্য করুন