

মোঃ ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর(দিনাজপুর):
সারাদিনের মধ্যে ভাপা পিঠার প্রয়োজনীয় সব কিছু জোগাড় করে বিকেল থেকে দিনের আলোয় কাজ করছেন মমতাজ বেগম। আর সন্ধ্যা নামতেই কৃত্রিম আলো জ্বালানো হলে পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পিঠার দোকানের কাছেই ক্রেতারা অপেক্ষা করছেন। দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের বিরামপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এলাকায় এভাবে গরম চুলোয় পিঠা তৈরি করে বিক্রয় করতে দেখা যায়।
দেশের উত্তরাঞ্চলসহ কয়েকটি জেলায় শীতের প্রকোপ বেশি হয়ে থাকে। শীতের আগমনী বার্তা পেয়ে পিঠা বিক্রেতাদের
পরিবারে সুখের দিন ফিরে আসে। ভোররাত
থেকে কুয়াশার সঙ্গে কিছুটা শীত এবং বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যার আগে শীত অনুভব করা যায়। তারপরও শীতের এই আমেজকে ভিন্ন মাত্রা এনে দেয় পিঠা। পিঠা বাঙালি সংস্কৃতির এক অংশ। শীতের সকাল ও সন্ধ্যায় পিঠা খাওয়া গ্রামের চিরায়ত দৃশ্য হলেও এমন দৃশ্য পৌরশহরে চোখে পড়ে। ব্যস্ত শহুরে জীবনে ঘরে পিঠা তৈরি করা কষ্টসাধ্য হলেও রাস্তার পাশে ও মোড়ের দোকানে পিঠা পাওয়া যায়। তাই শীত মৌসুমে পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকায় পিঠার দোকান গড়ে ওঠে।
এ বছরও শীতকে ঘিরে পৌরশহরে মৌসুমি পিঠা বিক্রেতাদের প্রস্তুতির কমতি নেই। দিনভর পিঠার আটাসহ অন্যান্য উপকরণ তারা তৈরি করেন। আর বিকেল হলেই রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ
স্থানে হরেক রকমের পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। রাত ১০টা পর্যন্ত সেই পিঠা বিক্রি চলে। আর পিঠা বিক্রির আয়েই এসব খেটে খাওয়া মানুষের সংসার চলে। বলা যায়, শীত মৌসুমে তিন মাস পিঠা বিক্রি করেই তারা উপার্জন করে থাকেন।
বিরামপুর উপজেলার, কলাবাগান মোড়, হাসপাতাল মোড় , মহাসড়কের পাশে মুক্তিযোদ্ধা
কমপ্লেক্স এর পশ্চিমে,অবসর সিনেমা মোড়, পশু হাটের মোড়, থানার রাস্তার মোড়সহ পূর্ব পাড়া,ইসলাম পাড়ার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন অলিতে গলিতে বিকেল থেকেই পিঠা বিক্রেতারা রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ
স্থানে অবস্থান করেন। কেউ ভ্যানে করে আবার কেউ নির্দিষ্ট স্থানেই শীত মৌসুমে পিঠা বিক্রি করেন। পরিবারের কাজকর্ম শেষ করে বেশিরভাগ অসহায় দরিদ্র পরিবারের নারীরা এ পেশায় ব্যাস্ত হয়ে পড়েন।পিঠা বিক্রির টাকায় এ স্বল্প আয়ের মানুষগুলোর সংসার চলে। শীত শেষ হলে অনেকে অটোরিকশা চালানো কিংবা অন্য কোনো দিন মজুরির কাজে যুক্ত হয়ে পড়েন।
স্বামী সন্তান সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় পিঠা বিক্রি করছেন জাহানারা ।এসব নারীদের কারোর স্বামী নেই আবার স্বামী থাকলেও অসুস্থ। তাই সংসার চালাতে শীত মৌসুমে পিঠা বিক্রি করছেন। এসব দোকানে শীতের বিভিন্ন প্রকারের পিঠা দেখা যায়। এর মধ্যে ভাপা আর চিতই পিঠার দোকানই বেশি চোখে পড়ে। এর পাশাপাশি সিদ্ধ ডিম,পিঁয়াজু,পাটিশপটা,মুগের ডালের পাঁপড় ভাজা, তেল পিঠাসহ হরেকরকম পিঠার পসরা সাজিয়ে রেখেছেন।চিতই পিঠা খাওয়ার জন্য ভর্তা হিসেবে রয়েছে তিল,ঝাল, বাদাম ও ধনা পাতার এছাড়াও রয়েছে গুঁড়।
পৌরশহরে সন্ধ্যা নামতেই পিঠার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে। অনেক সময় একজনের পক্ষে পিঠা তৈরি করে বিক্রি করতে হিমশিম খেতে হয়। একাধিক চুলায় পিঠা তৈরি করেও ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ কঠিন হয়ে যায়। এ সময় পিঠা বিক্রেতা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে অনুরোধও করেন। অনেকে বাড়ির সদস্যদের জন্যও পিঠা নিয়ে যান। আর বেশিরভাগ ক্রেতাই গরম পিঠা খাওয়ার জন্য দাবি করেন বলে তাদেরকে অপেক্ষা করতে হয়। এসব পিঠার দোকানে রিকশাচালক থেকে শুরু করে দিনমজুর, শিশু-কিশোর, চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী সব শ্রেণি-পেশার মানুষই আসেন।
পিঠা বিক্রেতারা জানান, চালসহ অন্যান্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি হলেও পিঠার দাম বাড়েনি।
কলাবাগান মোড়ের পিঠা বিক্রেতা নওশাদের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত একশ থেকে ১৫০টি পিঠা বিক্রি করা যায়। প্রতিদিন একইরকম বিক্রি হয় না। কোনোদিন একশটি পিঠাও বিক্রি করা কঠিনে হয়ে যায়। এখন তো সবখানেই পিঠা পাওয়া যায়।
পিঠার দামের বিষয়ে এ বিক্রেতা বললেন, সাধারণত ১০টাকা দামেই পিঠা বিক্রি করি। কেউ কেউ ২০ টাকার পিঠার কথা বললে সেটাও তৈরি করি। তবে ১০টাকার পিঠাই বেশি বিক্রি করি। দিনে এক থেকে দেড় হাজার টাকার পিঠা বিক্রি হলে পাঁচ থেকে সাতশ টাকা লাভ থাকে। কোনো কোনো দিন আবার পাঁচশ টাকাও হয় না।
কয়েকজন অটোরিকশা চালক পিঠা খেতে এসেছেন বিরামপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এর পশ্চিমে। পিঠার দোকানের সামনে তাদের সঙ্গে কথা হয়। অটোরিকশা চালক হারুন বলেন, সন্ধ্যা হলেই বাইরে বের হই আমরা। এখন শীতের সময় ভাড়া মারার ফাঁকে সময় করে পিঠা খেতে আসি। এছাড়াও জিনিস পত্রের যে দাম বাসায় তৈরি করে খাওয়ার তেমন সুযোগ হয়না তাই এই পিঠার দোকানই শেষ ভরসা। পিঠা ভালো লাগলে যে যার মতো করে আমরা পিঠা খাই। তারপরও বাড়িতে তৈরি পিঠার স্বাদ এখানে পাওয়া যায় না।
পরিবারের সাথে পিঠা কিনতে আসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী রোখসানা বলেন, গ্রামে বেড়াতে গেলে নানীর হাতের পিঠা খেতাম। কিন্তু শহরে সেই সুযোগ আর কোথায়। প্রায়ই বাবার সঙ্গে বাহিরে শীতের সময়ে পিঠা খাওয়া হয়।
বিরামপুর উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মোশাররত জাহান এর সাথে মুঠোফোনে নারীদের স্বাবলম্বী করে তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন নারীরা তো আর পিছিয়ে নেই। শীতকালে নিজ এলাকায় বিভিন্ন ধরনের পিঠার দোকান দিয়ে তাঁরা আয় করছেন। সরকারের পক্ষ থেকে যদি তাঁদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে আরও কোনো সুযোগ তৈরি করা যায়, তাহলে সেটি আরও ভালো হবে বলে তিনি জানান।
মন্তব্য করুন


বরগুনার সদর উপজেলায় জাল টাকাসহ ইমরান (২৫) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। (৬ ফেব্রুয়ারি)মঙ্গলবার দুপুরে বরগুনা সদর উপজেলা চত্বর থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক জেলা সদর উপজেলার ৬ নম্বর বুড়িরচর ইউনিয়নের বুড়িরচর গ্রামের খলিল খাঁর ছেলে ইমরান।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে প্রতারক চক্রের এক সদস্যের কাছে টাকা পাঠাতে যান ইমরান। কুরিয়ার সার্ভিসের সদস্যরা সন্দেহজনকভাবে তার হাতে থাকা পার্সেল খুলে জাল টাকা দেখতে পান। টাকার সম্পর্কে জানতে চাইলে যুবক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় উপজেলা পরিষদ চত্বরে গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় তাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। ইমরানের কাছ থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকার জাল নোট জব্দ করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি জাল টাকা প্রতারক চক্রের একজন সদস্য। তার বিরুদ্ধে জাল মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হবে।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ায় চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
এদিকে ফলন কাটতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে এবার এ উপজেলা ৪ হাজার ৮শ ৭৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ১৮০ হেক্টর। লক্ষমাত্রার চেয়ে এ বছর ৩০৫ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে আমন ধানের। ইতিমধ্যে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর আমন ধান কর্তনের শুভ উদ্বোধন করেছেন। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের বিভিন্ন ধানক্ষেত ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ ক্ষেতের ধানই পেকে গেছে। অনেকে আবার আগাম লাগানো রোপা ধান কাটা-মাড়াই শুরু করেছেন।
জানা যায়, কচুয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে মূলত আগাম ধান লাগানো হয়। সাধারণত এসব অঞ্চলের মাটিতে বছরে ৩-৪টি ফসল চাষাবাদ করেন কৃষকরা। এবার নানান প্রতিকূলতার মধ্যে আমন ধান লাগাতে হয়েছে। সময়মতো বর্ষার পানি না পাওয়া এবং তেলের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছিলেন তারা। এতে খরচ বেশি হয়েছে। তবে ফলন ভালো হওয়ায় আশায় বুক বাধছেন কৃষকরা।
আমন ধান কাটার পরে এই জমিতে আলু চাষ করা হবে। দোয়াটি গ্রামের কৃষক বাবুল ও সজিব হোসেন বলেন, এবার ধান চাষের সময় বৃষ্টির পানি না পাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ে চারা রোপণ করতে পারিনি। তারপরও ফলন ভালো হয়েছে। প্রায় জমির ধান পেকে গেছে। কয়েক দিনের মধ্যে ধান কাটা-মাড়াই শুরু করবো।
পালাখাল গ্রামের কৃষক ওমর ফারুক, শাহজালাল, ইমান হোসেন বলেন, জমিতে আমন ধান চাষ করেছি। শুরুর দিকে বর্ষার পানি ছিল না। পরে আমন চাষের জন্য যথেষ্ট পানি পেয়েছি। আল্লাহর রহমতে ফসল খুব ভালো হয়েছে।
কচুয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, কচুয়ায় চলতি মৌসুমে রোপা ও বোনা আমন ধান লক্ষমাত্রা হেক্টর চেয়ে বেশি চাষাবাদ করেছে কৃষকরা। ইতিমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে। এ বছর কচুয়াতে আমান ধানের ভালো ফলন হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায়
অপহরণ করে চাঁদা আদায়ের চক্রকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ।
গতকাল (২৮
মার্চ) বিকেলে সুমন (৩৪) নামক ব্যক্তি কোতোয়ালি থানায় উপস্থিত হয়ে
জানান, তার
ভাই আলাউদ্দিন রং মিস্ত্রির কাজ করে। কাতার যাওয়ার জন্য (২৮
মার্চ) সকাল ১১ টায় তার নিজ বাসা থেকে রেইসকোর্সে
এলাকায় প্রবাসী জনশক্তি অফিসে ফিঙ্গার প্রিন্ট দেওয়ার জন্য বাহির হলে
কে বা কারা তাকে অপহরণ পূর্বক আটকে রেখে আটক ব্যক্তির নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বিভিন্ন
প্রকার হুমকি ধমকী দিয়ে ১,০০,০০০ (এক
লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করে এবং চাঁদা না দিলে ভিকটিমের নামে
মিথ্যা মামলা দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরাইয়া দিবে বলে হুমকী দিচ্ছে।
সংবাদ
পেয়ে সম্মানিত পুলিশ সুপার,
কুমিল্লার নির্দেশনায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ উক্ত ব্যক্তিকে উদ্ধারে কাজ
শুরু করে।
কোতয়ালী
মডেল থানার এস.আই জীবন রায় চৌধুরী তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আটক রাখার স্থান
সনাক্ত করে অভিযান পরিচালনা
করে ভিকটিম আলাউদ্দিনকে রাতে উত্তর রেইসকোর্স,
ধানমন্ডি রোড(বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মজুমদার এর মাজেদা কুটির নামীয়
৬ষ্ঠ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং এর ৪র্থ তলায় ২ নং আসামীর ভাড়া বাসা থেকে ঘটনায় জড়িত
চক্রের দুই নারী এবং একজন পুরুষ সদস্যকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত
আসামীরা হলো-
১।
পারভীন আক্তার @ হুমায়রা(২৮), পিতা-মৃত
শানু মিয়া, মাতা-মৃত
হাসেনা বেগম, সাং-চারিপাড়া(উত্তর পাড়া, হারুন মেম্বারের বাড়ী), থানা-ব্রাহ্মনপাড়া,
জেলা-কুমিল্লা, এ/পিসাং-নানুয়া
দিঘীর দক্ষিন পাড়(মনির হোসেন এর ৬ তলা ভবনের ৩য় তলার ভাড়াটিয়া), থানা-কোতয়ালী
মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
২।
শাহেনা বেগম(৩৮), স্বামী-কবির
আহমদ, সাং-ধান্যদৌল(কাজী
বাড়ী), ৫নং
ওয়ার্ড, থানা-ব্রাহ্মনপাড়া, জেলা-কুমিল্লা, এ/পি সাং-উত্তর
রেইসকোর্স, ধানমন্ডি
রোড(বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মজুমদার এর মাজেদা কুটির নামীয় ৬ষ্ঠ তলা
বিশিষ্ট বিল্ডিং এর ৪র্থ তলার ভাড়াটিয়া),
থানা-কোতয়ালী মডেল,
জেলা-কুমিল্লা।
৩।
মোঃ মশিউর রহমান টিপু(৪৫),
পিতা-মৃত আব্দুর রশিদ,
মাতা-ফাতেমা বেগম,
সাং-কাপ্তান বাজার(বেপারী পুকুর পাড়,
বড় বাড়ী), থানা-কোতয়ালী
মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
পুলিশ
জানান, উক্ত চক্রটি দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন ব্যক্তিকে টার্গেট করে
প্রলোভনের মাধ্যমে নিজেদের নির্ধারিত স্থানে নিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে চাদা আদায় করে
আসছিলো।
উক্ত
ঘটনায় কুমিল্লা এর কোতয়ালী মডেল থানায় প্রতারণামূলক চাদাবাজির মামলা দায়ের
করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ১২ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক
ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী
মডেল থানাধীন তেলিকোনা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী শাহীন নামক একজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১২ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহন
কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী শাহীন (৬০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার গাজীপুর গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত
সিএনজি ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে
কুমিল্লাসহ অন্যান্য জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে
বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান
পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত
থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল,প্রতিবেদক:
পবিত্র ঈদুল আজহার দিন যখন সারাদেশের মানুষ পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছেন, ঠিক তখনই মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্ব পালন করেছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
প্রতিবছর ঈদে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে পুলিশ। এ সকল পুলিশ সদস্যদের মাঝে ঈদ আনন্দ ছড়িয়ে দেয়ার প্রয়াসে উন্নত মানের খাবারের আয়োজন করেন কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন।
তিনি ফোর্সের সাথে বড়খানা অংশগ্রহণ করেন এবং সকল ফোর্সদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
পুলিশ সুপারের এমন উদ্যোগ ছুটি বঞ্চিত পুলিশ সদস্যদের ঈদের দিনটিকে আনন্দঘন করেছে।
মন্তব্য করুন


রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে সিলিংয়ের রড কেটে ভেতরে প্রবেশ করে স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দোকানে থাকা ১৩১ ভরি রুপা ও মোবাইল চুরি করে নিয়ে যায়।
এ চুরির ঘটনায় ভুক্তভোগী দোকানের মালিক কার্ত্তিক কুমার পাল বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে চোরাইকৃত মালামালসহ পেশাদার এক চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তাপস কুমার পাল। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. শিমুল হোসেন (২৬)। তিনি জেলার কালুখালী উপজেলার পাতুরিয়া গ্রামের মো. লাল চাঁদের ছেলে।
জানা গেছে, বালিয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন রিত্তিকা জুয়েলার্সে গত ১৩ অক্টোবর রাত ১০টা থেকে ১৪ অক্টোবর বেলা ১১টার যে কোনো সময়ে অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা দোকানের উপরের চালের টিন ও টিনের নিচে সিলিংয়ের রড কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। সেসময় ২০ জোড়া পায়ের নূপুর, ১৫টি গলার চেন, ২০টি ব্রেসলেট, ১০ জোড়া হাতের বেবি চুড়ি, ৫ জোড়া হাতের বড় চুড়ি, ৮টি হাতের বাজু, ১৬টি আংটিসহ সর্বমোট ১৩১ ভরি রুপা ও একটি টেকনো অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলসহ আনুমানিক ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরদের আসামি করে দোকানের মালিক কার্ত্তিক কুমার পাল বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর বালিয়াকান্দি থানার একটি চৌকস টিম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত এক চোরকে শনিবার ভোর ৬টার দিকে ঢাকার সাভার থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আসামির দেখানো মতে কালুখালী থানার সাওরাইল ইউনিয়নের পাতুরিয়া বিলের মধ্যে আসামির মাছের ঘেরের ভেতর থাকা ছোট্ট টঙ ঘরের খাটের নিচে প্লাস্টিকের বাজারের ব্যাগে রাখা মোবাইলসহ ১০৩ ভরি রুপা উদ্ধার করা হয়। বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)“ জামাল উদ্দিন” জানান , গ্রেপ্তারকৃত শিমুল একজন পেশাদার চোর। তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরির মামলা রয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী তেগুরিয়া ওবায়েদুল হক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বার্ষিক ক্রীড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য ও পুরস্কার বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয়ের সভাপতি মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু তাহের পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক ইব্রাহিম খলিল স্বপনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন পাটওয়ারী,উপজেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক সাইফুল পাটোয়ারী,বিতারা ইউনিয়ন পশ্চিম ছাত্রদলের আহ্বায়ক দেলোয়ার পাটোয়ারী,যুগ্ন আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর সরকারসহ আরো অনেকে।
এসময় বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মামুনুর রশিদ,সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী,আব্দুল মালেক,আমেনা আক্তার,রামকৃষ্ণ,যুবদল নেতা কাদির পাটোয়ারী,সোহেল পাটোয়ারীসহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক,অভিভাবক ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যালয়ের বার্ষিক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা সাহিত্য, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক পর্বের মধ্যে বক্তৃতা, দৌড় প্রতিযোগিতা,দেশাত্মবোধ, পল্লীগীতি, রবিন্দ্রসংগীত, নজরুলগীতি, আধুনিক গাণ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করে। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন


মোঃ ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর(দিনাজপুর):
সারাদিনের মধ্যে ভাপা পিঠার প্রয়োজনীয় সব কিছু জোগাড় করে বিকেল থেকে দিনের আলোয় কাজ করছেন মমতাজ বেগম। আর সন্ধ্যা নামতেই কৃত্রিম আলো জ্বালানো হলে পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পিঠার দোকানের কাছেই ক্রেতারা অপেক্ষা করছেন। দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের বিরামপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এলাকায় এভাবে গরম চুলোয় পিঠা তৈরি করে বিক্রয় করতে দেখা যায়।
দেশের উত্তরাঞ্চলসহ কয়েকটি জেলায় শীতের প্রকোপ বেশি হয়ে থাকে। শীতের আগমনী বার্তা পেয়ে পিঠা বিক্রেতাদের
পরিবারে সুখের দিন ফিরে আসে। ভোররাত
থেকে কুয়াশার সঙ্গে কিছুটা শীত এবং বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যার আগে শীত অনুভব করা যায়। তারপরও শীতের এই আমেজকে ভিন্ন মাত্রা এনে দেয় পিঠা। পিঠা বাঙালি সংস্কৃতির এক অংশ। শীতের সকাল ও সন্ধ্যায় পিঠা খাওয়া গ্রামের চিরায়ত দৃশ্য হলেও এমন দৃশ্য পৌরশহরে চোখে পড়ে। ব্যস্ত শহুরে জীবনে ঘরে পিঠা তৈরি করা কষ্টসাধ্য হলেও রাস্তার পাশে ও মোড়ের দোকানে পিঠা পাওয়া যায়। তাই শীত মৌসুমে পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকায় পিঠার দোকান গড়ে ওঠে।
এ বছরও শীতকে ঘিরে পৌরশহরে মৌসুমি পিঠা বিক্রেতাদের প্রস্তুতির কমতি নেই। দিনভর পিঠার আটাসহ অন্যান্য উপকরণ তারা তৈরি করেন। আর বিকেল হলেই রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ
স্থানে হরেক রকমের পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। রাত ১০টা পর্যন্ত সেই পিঠা বিক্রি চলে। আর পিঠা বিক্রির আয়েই এসব খেটে খাওয়া মানুষের সংসার চলে। বলা যায়, শীত মৌসুমে তিন মাস পিঠা বিক্রি করেই তারা উপার্জন করে থাকেন।
বিরামপুর উপজেলার, কলাবাগান মোড়, হাসপাতাল মোড় , মহাসড়কের পাশে মুক্তিযোদ্ধা
কমপ্লেক্স এর পশ্চিমে,অবসর সিনেমা মোড়, পশু হাটের মোড়, থানার রাস্তার মোড়সহ পূর্ব পাড়া,ইসলাম পাড়ার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন অলিতে গলিতে বিকেল থেকেই পিঠা বিক্রেতারা রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ
স্থানে অবস্থান করেন। কেউ ভ্যানে করে আবার কেউ নির্দিষ্ট স্থানেই শীত মৌসুমে পিঠা বিক্রি করেন। পরিবারের কাজকর্ম শেষ করে বেশিরভাগ অসহায় দরিদ্র পরিবারের নারীরা এ পেশায় ব্যাস্ত হয়ে পড়েন।পিঠা বিক্রির টাকায় এ স্বল্প আয়ের মানুষগুলোর সংসার চলে। শীত শেষ হলে অনেকে অটোরিকশা চালানো কিংবা অন্য কোনো দিন মজুরির কাজে যুক্ত হয়ে পড়েন।
স্বামী সন্তান সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় পিঠা বিক্রি করছেন জাহানারা ।এসব নারীদের কারোর স্বামী নেই আবার স্বামী থাকলেও অসুস্থ। তাই সংসার চালাতে শীত মৌসুমে পিঠা বিক্রি করছেন। এসব দোকানে শীতের বিভিন্ন প্রকারের পিঠা দেখা যায়। এর মধ্যে ভাপা আর চিতই পিঠার দোকানই বেশি চোখে পড়ে। এর পাশাপাশি সিদ্ধ ডিম,পিঁয়াজু,পাটিশপটা,মুগের ডালের পাঁপড় ভাজা, তেল পিঠাসহ হরেকরকম পিঠার পসরা সাজিয়ে রেখেছেন।চিতই পিঠা খাওয়ার জন্য ভর্তা হিসেবে রয়েছে তিল,ঝাল, বাদাম ও ধনা পাতার এছাড়াও রয়েছে গুঁড়।
পৌরশহরে সন্ধ্যা নামতেই পিঠার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে। অনেক সময় একজনের পক্ষে পিঠা তৈরি করে বিক্রি করতে হিমশিম খেতে হয়। একাধিক চুলায় পিঠা তৈরি করেও ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ কঠিন হয়ে যায়। এ সময় পিঠা বিক্রেতা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে অনুরোধও করেন। অনেকে বাড়ির সদস্যদের জন্যও পিঠা নিয়ে যান। আর বেশিরভাগ ক্রেতাই গরম পিঠা খাওয়ার জন্য দাবি করেন বলে তাদেরকে অপেক্ষা করতে হয়। এসব পিঠার দোকানে রিকশাচালক থেকে শুরু করে দিনমজুর, শিশু-কিশোর, চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী সব শ্রেণি-পেশার মানুষই আসেন।
পিঠা বিক্রেতারা জানান, চালসহ অন্যান্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি হলেও পিঠার দাম বাড়েনি।
কলাবাগান মোড়ের পিঠা বিক্রেতা নওশাদের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত একশ থেকে ১৫০টি পিঠা বিক্রি করা যায়। প্রতিদিন একইরকম বিক্রি হয় না। কোনোদিন একশটি পিঠাও বিক্রি করা কঠিনে হয়ে যায়। এখন তো সবখানেই পিঠা পাওয়া যায়।
পিঠার দামের বিষয়ে এ বিক্রেতা বললেন, সাধারণত ১০টাকা দামেই পিঠা বিক্রি করি। কেউ কেউ ২০ টাকার পিঠার কথা বললে সেটাও তৈরি করি। তবে ১০টাকার পিঠাই বেশি বিক্রি করি। দিনে এক থেকে দেড় হাজার টাকার পিঠা বিক্রি হলে পাঁচ থেকে সাতশ টাকা লাভ থাকে। কোনো কোনো দিন আবার পাঁচশ টাকাও হয় না।
কয়েকজন অটোরিকশা চালক পিঠা খেতে এসেছেন বিরামপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এর পশ্চিমে। পিঠার দোকানের সামনে তাদের সঙ্গে কথা হয়। অটোরিকশা চালক হারুন বলেন, সন্ধ্যা হলেই বাইরে বের হই আমরা। এখন শীতের সময় ভাড়া মারার ফাঁকে সময় করে পিঠা খেতে আসি। এছাড়াও জিনিস পত্রের যে দাম বাসায় তৈরি করে খাওয়ার তেমন সুযোগ হয়না তাই এই পিঠার দোকানই শেষ ভরসা। পিঠা ভালো লাগলে যে যার মতো করে আমরা পিঠা খাই। তারপরও বাড়িতে তৈরি পিঠার স্বাদ এখানে পাওয়া যায় না।
পরিবারের সাথে পিঠা কিনতে আসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী রোখসানা বলেন, গ্রামে বেড়াতে গেলে নানীর হাতের পিঠা খেতাম। কিন্তু শহরে সেই সুযোগ আর কোথায়। প্রায়ই বাবার সঙ্গে বাহিরে শীতের সময়ে পিঠা খাওয়া হয়।
বিরামপুর উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মোশাররত জাহান এর সাথে মুঠোফোনে নারীদের স্বাবলম্বী করে তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন নারীরা তো আর পিছিয়ে নেই। শীতকালে নিজ এলাকায় বিভিন্ন ধরনের পিঠার দোকান দিয়ে তাঁরা আয় করছেন। সরকারের পক্ষ থেকে যদি তাঁদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে আরও কোনো সুযোগ তৈরি করা যায়, তাহলে সেটি আরও ভালো হবে বলে তিনি জানান।
মন্তব্য করুন


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খাল থেকে এক নবজাতককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে জেলা শহরের পূর্ব মেড্ডার (পুরাতন সেকশনের) পাশে খাল থেকে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় নবজাতকটিকে উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে খবর নিয়ে জানা যায়, জেলা শহরের পৌর এলাকার পূর্ব মেড্ডার পাশে খাল থেকে স্থানীয়রা প্রথমে কান্নার শব্দ শুনতে পান। পরে স্থানীয় সোহাগ মিয়া ৯৯৯-এ কল করে পুলিশকে বিষয়টি জানান। পুলিশ এসে নবজাতককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
নবজাতকটি পলিথিনে মোড়ানো ছিল। ইঁদুর নবজাতকের এক পাশের গাল কামড়ে ক্ষত করে ফেলেছে। এতে বাচ্চাটি কান্না করছিল। নবজাতকটি বাচ্চা মেয়ে । পরে পুলিশ নবজাতকটিকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসা চলছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, ৯৯৯ কল পেয়ে নবজাতটিকে খাল থেকে উদ্ধার করা হয়। কেউ অবৈধ গর্ভপাত করে নবজাতকটিকে খালে ফেলে গেছে। শিশুটিকে হাসপাতালে রেখে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ৭০ বোতল ফেন্সিডিলসহ স্বামী-স্ত্রীকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের চন্দনী গ্রাম থেকে ফেন্সিডিলসহ স্বামী-স্ত্রীকে আটক করে পুলিশ। আটকৃতরা হলো: চন্দনী গ্রামের মোশাররফ হোসেন (৪৫) ও তার স্ত্রী হেনা বেগম (৩৫)। এ ঘটনায় মাদক মামলা প্রক্রিয়াধীন।
থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বুধবার বিকেলে বোয়ালমারী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মোশাররফ হোসেনের রান্না ঘর থেকে ৭০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করেন। এ সময় ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে পুলিশ মোশাররফ ও তার স্ত্রী হেনাকে আটক করেন।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সাদিক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ফেন্সিডিলসহ তাদের আটক করা হয়। মোশাররফ একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় থানায় মাদক মামলা প্রক্রিয়াধীন। আসামীদের বৃহস্পতিবার ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন