মোঃ ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর(দিনাজপুর):
সারাদিনের মধ্যে ভাপা পিঠার প্রয়োজনীয় সব কিছু জোগাড় করে বিকেল থেকে দিনের আলোয় কাজ করছেন মমতাজ বেগম। আর সন্ধ্যা নামতেই কৃত্রিম আলো জ্বালানো হলে পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পিঠার দোকানের কাছেই ক্রেতারা অপেক্ষা করছেন। দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের বিরামপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এলাকায় এভাবে গরম চুলোয় পিঠা তৈরি করে বিক্রয় করতে দেখা যায়।
দেশের উত্তরাঞ্চলসহ কয়েকটি জেলায় শীতের প্রকোপ বেশি হয়ে থাকে। শীতের আগমনী বার্তা পেয়ে পিঠা বিক্রেতাদের
পরিবারে সুখের দিন ফিরে আসে। ভোররাত
থেকে কুয়াশার সঙ্গে কিছুটা শীত এবং বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যার আগে শীত অনুভব করা যায়। তারপরও শীতের এই আমেজকে ভিন্ন মাত্রা এনে দেয় পিঠা। পিঠা বাঙালি সংস্কৃতির এক অংশ। শীতের সকাল ও সন্ধ্যায় পিঠা খাওয়া গ্রামের চিরায়ত দৃশ্য হলেও এমন দৃশ্য পৌরশহরে চোখে পড়ে। ব্যস্ত শহুরে জীবনে ঘরে পিঠা তৈরি করা কষ্টসাধ্য হলেও রাস্তার পাশে ও মোড়ের দোকানে পিঠা পাওয়া যায়। তাই শীত মৌসুমে পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকায় পিঠার দোকান গড়ে ওঠে।
এ বছরও শীতকে ঘিরে পৌরশহরে মৌসুমি পিঠা বিক্রেতাদের প্রস্তুতির কমতি নেই। দিনভর পিঠার আটাসহ অন্যান্য উপকরণ তারা তৈরি করেন। আর বিকেল হলেই রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ
স্থানে হরেক রকমের পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। রাত ১০টা পর্যন্ত সেই পিঠা বিক্রি চলে। আর পিঠা বিক্রির আয়েই এসব খেটে খাওয়া মানুষের সংসার চলে। বলা যায়, শীত মৌসুমে তিন মাস পিঠা বিক্রি করেই তারা উপার্জন করে থাকেন।
বিরামপুর উপজেলার, কলাবাগান মোড়, হাসপাতাল মোড় , মহাসড়কের পাশে মুক্তিযোদ্ধা
কমপ্লেক্স এর পশ্চিমে,অবসর সিনেমা মোড়, পশু হাটের মোড়, থানার রাস্তার মোড়সহ পূর্ব পাড়া,ইসলাম পাড়ার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন অলিতে গলিতে বিকেল থেকেই পিঠা বিক্রেতারা রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ
স্থানে অবস্থান করেন। কেউ ভ্যানে করে আবার কেউ নির্দিষ্ট স্থানেই শীত মৌসুমে পিঠা বিক্রি করেন। পরিবারের কাজকর্ম শেষ করে বেশিরভাগ অসহায় দরিদ্র পরিবারের নারীরা এ পেশায় ব্যাস্ত হয়ে পড়েন।পিঠা বিক্রির টাকায় এ স্বল্প আয়ের মানুষগুলোর সংসার চলে। শীত শেষ হলে অনেকে অটোরিকশা চালানো কিংবা অন্য কোনো দিন মজুরির কাজে যুক্ত হয়ে পড়েন।
স্বামী সন্তান সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় পিঠা বিক্রি করছেন জাহানারা ।এসব নারীদের কারোর স্বামী নেই আবার স্বামী থাকলেও অসুস্থ। তাই সংসার চালাতে শীত মৌসুমে পিঠা বিক্রি করছেন। এসব দোকানে শীতের বিভিন্ন প্রকারের পিঠা দেখা যায়। এর মধ্যে ভাপা আর চিতই পিঠার দোকানই বেশি চোখে পড়ে। এর পাশাপাশি সিদ্ধ ডিম,পিঁয়াজু,পাটিশপটা,মুগের ডালের পাঁপড় ভাজা, তেল পিঠাসহ হরেকরকম পিঠার পসরা সাজিয়ে রেখেছেন।চিতই পিঠা খাওয়ার জন্য ভর্তা হিসেবে রয়েছে তিল,ঝাল, বাদাম ও ধনা পাতার এছাড়াও রয়েছে গুঁড়।
পৌরশহরে সন্ধ্যা নামতেই পিঠার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে। অনেক সময় একজনের পক্ষে পিঠা তৈরি করে বিক্রি করতে হিমশিম খেতে হয়। একাধিক চুলায় পিঠা তৈরি করেও ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ কঠিন হয়ে যায়। এ সময় পিঠা বিক্রেতা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে অনুরোধও করেন। অনেকে বাড়ির সদস্যদের জন্যও পিঠা নিয়ে যান। আর বেশিরভাগ ক্রেতাই গরম পিঠা খাওয়ার জন্য দাবি করেন বলে তাদেরকে অপেক্ষা করতে হয়। এসব পিঠার দোকানে রিকশাচালক থেকে শুরু করে দিনমজুর, শিশু-কিশোর, চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী সব শ্রেণি-পেশার মানুষই আসেন।
পিঠা বিক্রেতারা জানান, চালসহ অন্যান্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি হলেও পিঠার দাম বাড়েনি।
কলাবাগান মোড়ের পিঠা বিক্রেতা নওশাদের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত একশ থেকে ১৫০টি পিঠা বিক্রি করা যায়। প্রতিদিন একইরকম বিক্রি হয় না। কোনোদিন একশটি পিঠাও বিক্রি করা কঠিনে হয়ে যায়। এখন তো সবখানেই পিঠা পাওয়া যায়।
পিঠার দামের বিষয়ে এ বিক্রেতা বললেন, সাধারণত ১০টাকা দামেই পিঠা বিক্রি করি। কেউ কেউ ২০ টাকার পিঠার কথা বললে সেটাও তৈরি করি। তবে ১০টাকার পিঠাই বেশি বিক্রি করি। দিনে এক থেকে দেড় হাজার টাকার পিঠা বিক্রি হলে পাঁচ থেকে সাতশ টাকা লাভ থাকে। কোনো কোনো দিন আবার পাঁচশ টাকাও হয় না।
কয়েকজন অটোরিকশা চালক পিঠা খেতে এসেছেন বিরামপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এর পশ্চিমে। পিঠার দোকানের সামনে তাদের সঙ্গে কথা হয়। অটোরিকশা চালক হারুন বলেন, সন্ধ্যা হলেই বাইরে বের হই আমরা। এখন শীতের সময় ভাড়া মারার ফাঁকে সময় করে পিঠা খেতে আসি। এছাড়াও জিনিস পত্রের যে দাম বাসায় তৈরি করে খাওয়ার তেমন সুযোগ হয়না তাই এই পিঠার দোকানই শেষ ভরসা। পিঠা ভালো লাগলে যে যার মতো করে আমরা পিঠা খাই। তারপরও বাড়িতে তৈরি পিঠার স্বাদ এখানে পাওয়া যায় না।
পরিবারের সাথে পিঠা কিনতে আসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী রোখসানা বলেন, গ্রামে বেড়াতে গেলে নানীর হাতের পিঠা খেতাম। কিন্তু শহরে সেই সুযোগ আর কোথায়। প্রায়ই বাবার সঙ্গে বাহিরে শীতের সময়ে পিঠা খাওয়া হয়।
বিরামপুর উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মোশাররত জাহান এর সাথে মুঠোফোনে নারীদের স্বাবলম্বী করে তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন নারীরা তো আর পিছিয়ে নেই। শীতকালে নিজ এলাকায় বিভিন্ন ধরনের পিঠার দোকান দিয়ে তাঁরা আয় করছেন। সরকারের পক্ষ থেকে যদি তাঁদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে আরও কোনো সুযোগ তৈরি করা যায়, তাহলে সেটি আরও ভালো হবে বলে তিনি জানান।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
আজ (৫/১২/২০২৩) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে কুমিল্লার বালুতুপা ও চৌয়ারা বাজারে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
এ সময় নানা অনিয়মের অভিযোগে ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয় এবং অন্যদের সতর্ক করা হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের
সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত এ কার্যক্রমে জেলা স্যানিটারি
ইন্সপেক্টর ইসরাইল হোসেন এবং জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
মন্তব্য করুন
পুলিশ দেখে দূরপাল্লার বাস থেকে নেমে দৌড়ে পালানোর সময় ২ কেজি গাঁজাসহ একাধিক মাদক মামলার আসামি খোসবার মন্ডল (৫২) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামী গাংনী উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামের মৃত দেলবার মন্ডলের ছেলে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকালে জেলার সদর উপজেলার আমঝুপিতে মেহেরপুর-ঢাকা রুটে চলাচল করা গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস থেকে আটক করা হয় তাকে। তার কাছে থাকা ব্যাগের মধ্যে থেকে গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
মেহেরপুরের জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রত্নেশ্বর কুমার মন্ডলের নেতৃত্বে উপ-পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ মোস্তফা তার দল নিয়ে অভিযান চালান।
মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমঝুপিতে চেকপোস্ট স্থাপন করে বাসে তল্লাশি শুরু করলে মাদক কারবারি খোসবার মন্ডল বাস থেকে নেমে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় তাকে ধরে ফেলে পুলিশ। তার কাছ থেকে ২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামি খোসবার মন্ডলের বিরুদ্ধে মেহেরপুর সদর ও গাংনী থানায় মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মেহেরপুর সদর থানায় গ্রেফতারকৃত আসামি খোসবার মন্ডলের নামে নতুন ১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
তেজগাঁও থানা পুলিশ রাজধানীতে গাঁজা বিক্রির অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে । এসময় তাদের কাছ থেকে এক হাজার পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- আব্দুল আজিজ (২৮), মো. সাহিদুল ওরফে জাহিদুল ইসলাম (৩০) এবং মো. রমজান আলী (৪৫)। এদের মধ্যে আজিজ ও জাহিদুল সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। এছাড়া রমজান ও আজিজ পরস্পর বেয়াই।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্তরা বাদাম বিক্রির আড়ালে গাঁজা বিক্রি করতেন । বাদামের প্যাকেটের মতো করেই এসব গাঁজা প্যাকেটজাত করা হতো ।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, গ্রেফতার তিনজনই তেজগাঁওয়ের চিহ্নিত মাদক কারবারি। তারা শুধু গাঁজা বিক্রি করতেন। গ্রেফতার আজিজের বিরুদ্ধে ২৮টি, রমজানের বিরুদ্ধে ৭টি এবং জাহেদুলের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা রয়েছে।
ওসি আরো বলেন,সাধারণত বাদাম বিক্রির আড়ালেই এসব গাঁজা বিক্রি করা হয়। তারা তেজকুনি পাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় গোপনে গাঁজার ব্যবসা করতেন। গাঁজা ক্রেতা-বিক্রেতার কাছে সেই বাসা গাঁজার আড়ৎ নামে পরিচিত। তারা সেখানে গাঁজাকে বাদামের প্যাকেটের মতো করেই এসব প্যাকেটজাত করে রাখতেন। এরপর খুচরা বিক্রেতারা এখান থেকে কিনে নিতেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে আনুমানিক ২ কেজি পরিমাণের এক হাজার পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওসি মহসীন।
মন্তব্য করুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ কুমিল্লার সাব্বির হোসেন ৪০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে মারা গেছেন।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে দেবিদ্বার ভিংলাবাড়ি এলাকায় তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহত সাব্বির হোসেনের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল এলাকার হলেও তিনি ছোটবেলা থেকেই নানাবাড়ি দেবিদ্বারের ভিংলাবাড়িতে মায়ের সঙ্গে থাকতেন।
সাব্বিরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো: শাহিনুল ইসলাম।
পুলিশ পরিদর্শক শাহিনুল ইসলাম বলেন, সাব্বিরের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর আমরা তার বাড়িতে যাই। সেখানে গিয়ে তার মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু স্থানীয় লোকজন আমাদের বাধা সৃষ্টি করে বলেন- তারা ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করবেন। পরে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সাব্বিরের মরদেহ দাফনের অনুমতি দিয়ে থানায় ফিরে আসি।
নিহত সাব্বির হোসেন(১৯) তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার বড়। বছর তিনেক আগে তার বাবার মৃত্যুর পর সাব্বির সংসারের হাল ধরতে অটোরিকশা চালানো শুরু করেন। তার মৃত্যুতে পরিবারটি এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এএফএম তারেক মুন্সির বরাত দিয়ে উত্তর জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান তামিম বলেন, নিহত সাব্বির আমাদের দলের একজন একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। দলীয় পদ-পদবি না থাকলেও তিনি আমাদের দলীয় প্রতিটি প্রোগ্রামে অংশ নিতেন। আমাদের কাছে তার ছবি আছে। সে ছাত্র আন্দোলনের সময় সক্রিয়ভাবে মাঠে ছিল। আমরা তার হত্যার বিচার চাই। দলীয়ভাবে আমরা তার পরিবারের পাশে দাঁড়াব ইনশাআল্লাহ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
নোয়াখালীতে বন্যার ভয়াবহতা কাটিয়ে ১৮৩টি মন্ডপে ষষ্ঠী পুজার মাধ্যমে সাদামাটা ভাবে পূজা উদযাপন শুরু হয়েছে , প্রশাসনের পক্ষ থেকে দূর্গাপূজা নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে পালন করতে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। সনাতন ধর্মলম্বীদের নির্ভয়ে পূজা উদযাপনে প্রশাসনের পাশা পাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের প্রতিটি মন্দিরে সার্বিক পাহারা সহ নিরাপত্তা সহযোগিতায় নেতা কর্মীদের প্রস্তুতি রয়েছে।
বুধবার দিনব্যাপী ষষ্ঠী পুজায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যা বুলু শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষ্যে নোয়াখালীর চৌমুহনী শ্রী শ্রী রাম চন্দ্র দেবের সমাধি ক্ষেত্রে বেগমগঞ্জ ও চৌমুহনী পৌরসভার ২৫টি পূজা মন্ডপে আর্থিক অনুদান, খাদ্য ঔষধ সামগ্রী বিতরন এবং বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরির্দশন করেন।
নোয়াখালীতে সৃষ্ট বন্যার পানি এখনো না শুকানোর কারন ও অন্যান্য কারনে এবারের পূঁজা অতি সাধারন ভাবে উদযাপিত হচ্ছে বলে জানান, সনাতনী ধর্মালম্বীরা।
মন্তব্য করুন
রফিকুল ইসলাম বাবু, চাঁদপুর:
চাঁদপুরে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
রবিবার সকালে রেলী শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আয়োজনে প্রধান অতিথি বক্তব্য প্রদান করেন, জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সিভিল সার্জন মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একরামুল ছিদ্দিক ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান।
পরে চিত্রাঙ্গন ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের খবর শুনে রাফেয়া আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূ গলায়
ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
তিনি উপজেলার জগন্নাথদিঘী ইউনিয়নের আতাকরা গ্রামের প্রবাসী ওবায়দুল ইসলামের স্ত্রী।
আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে
ঘটনাটি ঘটেছে।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবুল হাসেম সবুজ।
স্বাস্থ্য কপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেল ৩ টায় রাফেয়া আক্তারকে তার স্বামী ওবায়দুল ইসলাম ও প্রতিবেশী এক নারীসহ হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ সময় তার গলায় কালো জখমের চিহ্ন দেখা যায়। ডাক্তার পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাফেয়ার স্বামী ওবায়দুল ইসলাম গত ৯ সেপ্টেম্বর স্ত্রীকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। আর স্বামীর বিয়ের খবর প্রথম স্ত্রী রাফেয়া সোমবার দুপুরে জেনে যায়। ক্ষোভে তিনি বসতঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
রাফেয়ার চাচা শ্বশুর খোকন মিয়া বলেন, ওবায়দুল ইসলাম ১৫ দিনের ছুটিতে ওমান থেকে দেশে আসে। দেশে আসার আগে ওবায়দুল মুঠোফোনে ঢাকার এক মেয়েকে বিয়ে করে।
বিষয়টি সোমবার তার প্রথম স্ত্রী জেনে যায়। আমরা তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলি এই বাড়িতে তুমি ছাড়া অন্য কোনো নারী আসতে পারবে না। তারপরও সে সবার অজান্তে স্বামীর ওপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক আবুল হাসেম সবুজ বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই রাফেয়ার মৃত্যু হয়। তার গলায় কালো জখমের দাগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি গলায় ফাঁস দেওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ টি এম আক্তার উজ জামান জানান, গলায় ফাঁস দিয়ে এক গৃহবধূর আত্মহত্যার সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১০০ কেজি গাঁজা এবং মাদকের কাজে ব্যবহৃত ১টি এ্যাম্বুলেন্স সহ ২জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
বৃহস্পতিবার কোতয়ালী মডেল থানাধীন ২নং উত্তর দূর্গাপুর এর নিশ্চিন্তপুর গ্রামের ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় অবস্থিত ঢাকা বাসষ্ট্যান্ড নামক স্থানে ঢাকাগামী মহাসড়কের উপর হতে ১টি পুরাতন এ্যাম্বুলেন্স এর ভিতরে ১০০ কেজি গাঁজা সহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গেফতার করা হয় ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো -ভোলা সদরের ধনীয়া গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে মো. রুবেল (২১) এবং গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার ঠাকুরতলা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৪৯)।
আসামি সাইদুলের বিরুদ্ধে আগে আটটি ও রুবেলের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে।
বর্ণিত ঘটনায় আসামীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা এর কোতয়ালী মডেল থানাধীন আইনানুগ ব্যবস্হা প্রয়োগ করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
১টি পিস্তল ও ২টি ম্যাগজিনসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে চান্দিনা থানার পুলিশ।
আজ
(১৯ ফেব্রুয়ারি) চান্দিনা থানায় কর্মরত এসআই মোহাম্মদ জহির উদ্দিন ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানাধীন ৫নং কেরনখাল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড
ছয়ঘরিয়া সাকিনস্হ এইচএনবি ব্রীক ফিল্ডের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনের
দক্ষিন পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর চেকপোস্ট ডিউটি করাকালে ১টি মিয়ামী বাস সংকেত দিয়ে
থামিয়ে গাড়ীর সিটে বসা একজন যাত্রীর দেহ তল্লাশী করে তার ডান হাতে ধরা ১টি কালো রংয়ের
ব্যাগ থেকে ২টি ম্যাগজিনসহ ১টি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এ সময় আসামি মোঃ কামাল হোসেন
কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী হলো: মোঃ কামাল হোসেন (৪৭), পিতা-মৃত করিম উল্ল্যাহ,
মাতা-মৃত সফিয়া প্রঃ সাফিয়া খাতুন, সাং-তুলাপুষ্কুরনী, পো-কাদের বাজার, থানা-চৌদ্দগ্রাম,
জেলা-কুমিল্লা।
উক্ত
ঘটনায় চান্দিনা থানার মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন আছে।
মন্তব্য করুন