নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে শান্ত মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তির কান কামড়ে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছেন তার স্ত্রী। শান্ত মিয়াকে দ্রুত উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলেও কানের বিচ্ছিন্ন অংশ আর স্থাপন করতে পারেনি চিকিৎসকরা। পরে তাকে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে এখানেই ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মোহনগঞ্জ পৌরশহরের উত্তর দৌলতপুরে এ ঘটনা ঘটে। মো. শান্ত মিয়া মোহনগঞ্জ পৌরশহরের উত্তর দৌলতপুরের বাসিন্দা। শান্ত মিয়ার স্ত্রীর নাম রাহেলা বেগম।
ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নানা বিষয় নিয়ে শান্ত মিয়া ও তার স্ত্রীর মধ্যে মাঝে মধ্যেই ঝগড়া লেগে থাকে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লাগে। একপর্যায়ে রাহেলা ক্ষিপ্ত হয়ে শান্ত মিয়ার কানে জোরে কামড় দেয়। এতে কান প্রায় পুরোটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দ্রুত শান্ত মিয়াকে উদ্ধার করে মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মমেক হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক। এসময় বিচ্ছিন্ন কানের অংশটুকুও নিয়ে যাওয়া হয়। তবে মমেকের চিকিৎসকরা চেষ্টা করে কানের অংশ স্থাপন করতে পারেননি। চিকিৎসা শেষে শুক্রবার তাকে ফের মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শান্ত মিয়া বলেন, আমার কান পুরোটা কামড়ে ছিড়ে ফেলেছে। ময়মনসিংহ গিয়েও আর লাগানো যায়নি। স্ত্রীর সঙ্গে প্রায় ৩০ বছরের সংসার জীবন। সবসময় ঝগড়া করে। কিছুদিন আগে বড় ছেলে আমাকে না জানিয়ে বিয়ে করে ফেলেছে। কষ্ট করে ছেলেকে পড়াশোনা করিয়েছি তাই তার ভালোমন্দ জানার অধিকার আমার আছে। এসব জিজ্ঞাসা করতে গেলে আমার স্ত্রী আর ছেলে মিলে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে চাইছে। এখনো থানা–পুলিশে অভিযোগ করিনি। একটু সুস্থ হই পরে যা যা করা দরকার সব করব।
মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) পার্থ সরকার জানান, শান্ত মিয়ার কানের সিংগভাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শুধু নিচের কিছু অংশ রয়েছে। এটা একটা অঙ্গহানির ঘটনা। মমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল কিন্তু সেখানেও কানের কাটা অংশ স্থাপন করা যায়নি। এখন আর কিছু করার নেই। তার সুস্থ হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো: দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় কেই এখনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
মোঃ মাসুদ রানা,কচুয়াঃ
চাঁদপুরের কচুয়ায় নিখোঁজের ৫দিন পর বিলের ডোবা থেকে তানভীর খান নামের ৫বছর বয়সী এক শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার উপজেলা বাইছারা নোয়াপাড়া বিল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। শিশু তানভীর খান একই গ্রামের সোলাইমান মিয়ার ছেলে।
শিশুর বাবা সোলাইমান মিয়া জানান, গত মঙ্গলবার আমি বিলে ধান কাটার কাজ করছিলাম। এদিন বিকেলে আমার পুত্র তানভীর বাড়ি থেকে মাঠের উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেনি। আত্মীয় স্বজন সহ সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজ করেও তার সন্ধান মিলেনি।
এঘটনায় শিশুটিকে ফিরে পেতে গত বুধবার বিকেলে কচুয়া থানায় নিখোঁজ ডায়রী করা হয়। শনিবার ডোবাতে ছেলের লাশ দেখে স্থানীয়রা খবর দিলে লাশ সনাক্ত করা হয়। এব্যাপারে কারো প্রতি কোন অভিযোগ নেই বলে জানান তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন ও শিল্পি বেগম জানান,নিখোঁজের ৫দিন পর ফসলি জমির পাশে একটি ডোবাতে তানভিরের অর্ধগলিত মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই।
এঘটনায় চাঁদপুরের পুলিশ সুপার,কচুয়া থানা পুলিশ,সার্কেল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মন্তব্য করুন
তাপস চন্দ্র সরকার,প্রতিবেদক:
আগামীকাল সোমবার (৬ জানুয়ারি) হতে বুধবার (৮ জানুয়ারি) পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপী চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলাধীন সুলতানাবাদ ইউনিয়নস্থিত কোয়রকান্দি যুব সংঘের আয়োজনে প্রয়াত সুভাষ মাষ্টার বাড়ীতে স্থাপিত শ্রী শ্রী রাধা-গোবিন্দ মন্দির প্রাঙ্গণে দেশমাতৃকা ও বিশ্ব জননীর সকল সন্তানের শান্তি ও মঙ্গল কামনায় ১৬ প্রহর ব্যাপী শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্তন, লীলা কীর্তন ও মহোৎসব।
তদুপলক্ষে রবিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মন্দির প্রাঙ্গণে মতলব উত্তর উপজেলাধীন তিতারকান্দি হতে আগত শ্রী হরিপদ গোস্বামীর পরিচালনায় শুভ অধিবাস কীর্তন ও মঙ্গলঘট প্রতিষ্ঠা শেষে নরসিংদী থেকে আগত শ্রী অজিত চক্রবর্তী'র পরিবেশনায় শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ এবং সোমবার (৬ জানুয়ারি) ব্রহ্মমূহুর্ত হতে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) অরুণোদয় পর্যন্ত শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম হরিনাম মহাযজ্ঞ।
শেষদিন বুধবার (৮ জানুয়ারী) দুপুর ১২টায় মহাপ্রভুর ভোগরাগ অন্তে ভোগারতি এবং শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দের লীলাকীর্তন ও মহোৎসব শেষে বিকেলে উৎসবে আগত ভক্ত শ্রোতার মাঝে মহাপ্রসাদ বিতরণ। সবশেষে নগর কীর্তন, কুঞ্জভঙ্গ, জলকেলি ও মহন্ত বিদায়।
এতে নামসূধা পরিবেশন করবেন- বরিশাল হতে আগত শ্রী শ্রী বৃন্দাজি সম্প্রদায়, সাতক্ষীরা শ্রী শ্রী ব্রজগোপি সম্প্রদায়, নীলফামারী শ্রী শ্রী সোনার গৌর সম্প্রদায়, গোপালগঞ্জ শ্রী শ্রী মা বিজয় লক্ষ্মী সম্প্রদায়, সাতক্ষীরা শ্রী শ্রী ব্রজ সখী সম্প্রদায় ও শ্রী শ্রী কৃষ্ণ কাঙ্গাল সম্প্রদায় এবং স্থানীয় শ্রী শ্রী লোকনাথ যুব সেবা সংঘ।
ওই অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্বে সকলের উপস্থিতি ও আর্থিক সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করেছেন আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
সাজেকের কয়েকটি রিসোর্ট আগুনে পুড়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার পর্যটন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মেঘছোঁয়া রিসোর্টের পাশে স্থানীয়রা কাঠ পুড়িয়ে আগুন পোহানোর সময় রিসোর্টে আগুন লেগে যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় সেনাবাহিনী দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভায়। আগুনে দুটি রিসোর্ট, একটি বাড়ি ও একটি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
এ ঘটনায় সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি চাইথুয়াং অং চৌধুরী বলেন, মেঘছোঁয়া রিসোর্ট থেকে আগুন লেগে পাশের ফড়িংগি রিসোর্ট, স্থানীয় ভূবন ত্রিপুরার বাড়ি ও একটি দোকান পুড়ে গেছে। তবে রিসোর্টে অবস্থানরত পর্যটকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সাজেক থানার সার্কেল এএসপি আব্দুল আওয়াল বলেন, বিষয়টি আমরা দেখছি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারবো ।
মন্তব্য করুন
মো মিজানুর রহমান মিনু:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ছকিনা বেগম ও রেনু বেগম নামে ২ নারীসহ ৩ জন নিহত হয়েছে।
ছকিনা বেগম ও রেনু বেগম উভয়ে চাচাতো বোন মঙ্গলবার দুপুরে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে দু’জনে কুমিল্লায় যায় রাত সাড়ে নয়টায় কুমিল্লা থেকে ফিরে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিয়াবাজারে সড়ক পারাপার হচ্ছিল এ সময় চট্টগ্রামমুখী তিশা প্লাটিনাম পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় তারা ছিটকে পড়ে এতে ঘটনাস্থলে ছকিনা বেগম নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় রেনু বেগমকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারও মৃত্যু হয়।
এদিকে প্রবাসী ছেলের বিয়ের জন্য মেয়ে দেখে ফেরার পথে উজিরপুর ইউনিয়নের বেলঘর রাস্তার মাথায় সিএনজি ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে আবদুর রশিদ মারা যান।
মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার ইনচার্জ এস এম লোকমান হোসাইন বলেন, এ ঘটনায় ওই যাত্রীবাহী বাসটি জব্দ করে ফাঁড়িতে নিয়ে গেছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন
ভুয়া র্যাব পরিচয়ে ডাকাতি
ও অপহরণের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০।
ফরিদপুরের নগরকান্দায় অভিযানে
উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃত দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ী এবং ভুয়া র্যাব চক্রের ব্যবহৃত সরঞ্জাম
ও একটি মাইক্রোবাস।
আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই)
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান
র্যাব-১০-এর অধিনায়ক এডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- দিদার
(২৯), মো. সাইফুল ইসলাম (৩০), মিন্টু গাজী (৪৫), মো. জামিল (৩২) এবং স্বপন খান (৪৫)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে জব্দ
করা হয় ৪টি ‘র্যাব’ লেখা জ্যাকেট, ৩টি র্যাব ক্যাপ, ২ জোড়া হাতকড়া, ১টি স্টেনগান,
১টি পিস্তল সদৃশ গ্যাস লাইট, ২টি ওয়াকি-টকি সেট, ১টি পিস্তল কাভার, মোবাইল ফোন এবং
একটি মাইক্রোবাস।
তিনি জানান, ভুক্তভোগী জয়দেব
আধ্য (৫৩) ও বিশ্বনাথ আধ্য (৫৭) সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা। তারা রাজধানীর তাঁতীবাজার
থেকে জুয়েলারি তৈরির যন্ত্রাংশ কিনে সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে টুঙ্গিপাড়া
এক্সপ্রেসে করে সাতক্ষীরার উদ্দেশে রওনা দেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফরিদপুরের নগরকান্দার
জয়বাংলা মোড়ে পৌঁছালে একটি মাইক্রোবাস র্যাব পরিচয়ে বাসটি থামিয়ে দেয়। মাইক্রোবাস
থেকে র্যাব লেখা জ্যাকেট পরা ৩-৪ জন ব্যক্তি বাসে উঠে দুই ভাইকে জোরপূর্বক নামিয়ে
মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এরপর তাদের চোখ গামছা দিয়ে বেঁধে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়।
পাশাপাশি ছিনিয়ে নেওয়া হয় তাদের সঙ্গে থাকা নগদ ২,৭০০ টাকা ও কেনা যন্ত্রাংশ।
র্যাব-১০ এর একটি দল ঘটনাস্থলে
অভিযান চালিয়ে ডাকাতি ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে এবং অপহৃত দুই ভাইকে
অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। অভিযানের সময় সাইফুল ইসলাম ও স্বপন খান পালানোর চেষ্টা করলে
উত্তেজিত জনতা তাদের ধরে ফেলে এবং গণপিটুনি দেয়। পরে র্যাব সদস্যরা তাদের সেখান থেকে
উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার
দিদারের বিরুদ্ধে রয়েছে ৮টি মামলা, মিন্টু গাজীর বিরুদ্ধে ৩টি, সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে
৩টি, জামিলের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা এবং স্বপন খানের বিরুদ্ধে রয়েছে চুরি, ডাকাতি,
অস্ত্র ও ৪টি হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১০
অধিনায়ক কামরুজ্জামান বলেন, বাসে ভ্রমণের সময় যাত্রা শুরু ও গন্তব্যস্থলে ভিডিও ধারণ
বা সিসিটিভি স্থাপন করলে এ ধরনের অপরাধ রোধ করা সম্ভব।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে কেউ সন্দেহজনক আচরণ করলে সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯ নম্বরে কল করতে হবে অথবা নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি ও প্রত্নতত্ত্ব
বিভাগের যৌথ উদ্যোগে প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১৬ মে) সকাল ১০ টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সম্মেলন শুরু হয়। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের হল রুমে দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান চলবে।
সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য
অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর
ড. মোহাম্মদ সোলায়মান। আরও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব
উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সুরমা জাকারিয়া চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম।
সম্মেলনে উপস্থিত গুণী ও পণ্ডিত ব্যক্তিদের স্বাগত জানিয়ে প্রধান অতিথির
বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কেবল শিক্ষাদানের
জায়গা নয়। এখানে দুটি কাজ হয়, একটি জ্ঞান সৃষ্টি, আরেকটি জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়া। আজকের
আয়োজন জ্ঞান সৃষ্টি ও ছড়িয়ে দেওয়া। এর মাধ্যমে উপকৃত হবে আমাদের ছাত্র ও উপস্থিত সকলেই।
তিনি আরও বলেন, প্রত্নতত্ত্ব কেবলমাত্র অতীতের উপাত্ত সংগ্রহের একটি
পন্থা নয়, বরং এটি আমাদের সভ্যতার ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং সামাজিক বিকাশের এক অমূল্য
দৃষ্টান্ত। আমাদের দেশের সমৃদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যকে চিহ্নিত করা এবং তা বিশ্বমঞ্চে
তুলে ধরা আমাদের সকলের একান্ত দায়িত্ব।
ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, পুরনোকে নতুনভাবে উপস্থাপন
না করে, পুরনোকে পুরনোভাবে রেখে ইতিহাসকে খোঁজা, সহযাত্রী হওয়া, শিক্ষা নেওয়া, উপস্থাপন
করা, লালন করা এবং আত্মস্থ করা প্রত্নতত্ত্বের জ্ঞান। আমরা ছাত্রজীবনে এই পাঠগুলো পাইনি,
যার ফলে একটা বড় গোষ্ঠী এগুলো নিয়ে সচেতন নয়। আমরা জাতি হিসাবে পিছিয়ে আছি, কেননা আমাদের
এই জিনিসগুলো নিয়ে আমরা সচেতন নই।
তিনি আরও বলেন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এক যুগ পূর্তিতে এই আয়োজন আন্তর্জাতিক
মানসম্পন্ন জ্ঞান বিনিময় প্লাটফর্ম তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে শুধু
গবেষণার গুণগত মানই বৃদ্ধি পাবে না, বরং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে দেশি এবং বিদেশি
গবেষকদের আন্তঃসম্পর্ক তৈরি করবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম বলেন, আমার কাছে মনে হয়,
ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে কষ্টিপাথরে যাচাই করা জ্ঞান সৃষ্টি করে প্রত্নতত্ত্ব। আমরা
যদি ইতিহাসকে বিভিন্ন লেয়ারে ভাগ করি, প্রাচীণ, মধ্য, আধুনিক, তাহলে ফাউন্ডেশন লেয়ারে
আমরা প্রত্নতত্ত্বকে পাবো।
তিনি আরও বলেন,বাংলাদেশে ময়নামতি সংক্রান্ত বিষয় জানতে পারার জন্য ময়নামতির
কাছে এসে এই সম্মেলন হওয়ায় আমরা কৃতার্থ। এই যে
ল্যান্ড অফ ভ্যারাইটিজ যেখানে বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিষয় আছে, সেখানে আসতে পেরে
আমরা আসলেই গর্বিত।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী অধ্যাপক মুতাসিম বিল্লাহ এবং অনুষ্ঠানে
স্বাগত বক্ত্য রাখেন বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সুরমা জাকারিয়া
চৌধুরী।
উল্লেখ্য, সম্মেলনে দেশি-বিদেশি শিক্ষক, প্রত্ন-গবেষক ও শিক্ষার্থীদের
শতাধিক প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় নৌকা ডুবিতে
সামিয়া আক্তার এবং সামিয়া ইসলাম নামের দুই স্কুল ছাত্রী নিহত হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার
রামকৃষ্ণপুর কানাই শাহ ঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সামিয়া ইসলাম (১২) বাঞ্ছারামপুর
উপজেলার চরলহনীয়া গ্রামের আবু মুছার মেয়ে ও সামিয়া আক্তার (১২) একই গ্রামের গোলাম মোস্তফার
মেয়ে। তারা উভয়েই রামকৃষ্ণপুর কামাল স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে স্কুল
ছুটি হলে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চরলহনীয়া ও কলাকান্দি কানাই লাল সাহার খেয়া ঘাট দিয়ে
৩০ থেকে ৩২ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে একটি নৌকা ছেড়ে যায়। চরলহনীয়া গ্রামের কাছাকাছি গেলে
একটি বালুবাহী ট্রলারের ঢেউ লেগে নৌকাটি ডুবে যায়।
অনেকে সাঁতার কেটে পাড়ে পৌঁছালেও সামিয়া
আক্তার এবং সামিয়া ইসলাম নদীতে তলিয়ে যায়। পরে দু'জন কে উদ্ধার করে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষেমালিকা
চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নিহতদের লাশ স্বজনদের কাছে
হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০.২০ টায় কালো ব্যাজ ধারণ ও শোক র্যালি, সকাল ১০.৪০ টায় বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা এবং বাদ যোহর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
শহীদ মিনারে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাসুদা কামাল বলেন, আজকের দিনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সাধারণভাবে জানি, সমাজের দু’টি শ্রেণি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি হচ্ছে ধনী শ্রেণি, আরেকটি হচ্ছে জ্ঞানী বা বুদ্ধিজীবী শ্রেণি যাদেরকে সাধারণ মানুষ অনুসরণ করে। বুদ্ধিজীবীরাই একটি সমাজ ও জাতির বিবেককে জাগ্রত করে রাখেন। আমাদের শত্রুরা পরিকল্পনা করেছিলেন, এই দুই শ্রেনিকে ধ্বংস করে দিতে পারলেই একটি জাতি ও সমাজকে ধ্বংস করে দেয়া যাবে।আমরা সেই সকল বুদ্ধিজীবী যাদেরকে ৭১-এ হত্যা করা হয়েছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
এই দুই শ্রেণি ছাড়াও আরও একটি শ্রেণি আছে, সেটি হলো যুব সমাজ যেটি আমরা জুলাই বিপ্লবে দেখলাম। তারা ঐক্যবদ্ধভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে আমাদের সমাজের পরিবর্তন এনেছে। সেই সকল শহীদদের প্রতিও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছি এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
শোক র্যালি ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম সহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় জুয়া খেলায়
বাধা দেওয়ায় তিনজনকে অস্ত্রাঘাতে আহত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাতে পৌর এলাকার
খড়মপুরে এ ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে একজনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন- মো. রিফাত ,আশীষ খাদেম
আমজাদ। তারা সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের মধ্যে আশীষ খাদেমকে
জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুজন আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা
নিয়েছেন।
ছাত্র আন্দোলনকারীদের সূত্রে জানা গেছে,
খড়মপুর মাজার শরিফের পশ্চিম পাশে ঢাকা-সিলেট রেলপথে জুয়ার আসর বসার খবরে ছাত্ররা ছুটে
যান। সেখানে গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাওয়ামাত্রই তাদের ওপর হামলা হয়। একদল লোক সংঘটিত হয়ে
তাদের ওপর হামলা করে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
আহত আমজাদ জানান, মাজারের পশ্চিম পাশে
রেলপথে জুয়ার আসর বসছে জেনে আমরা ১০-১২ জন ওখানে যাই। আমাদের দেখেই ৫০-৬০ জন লোক আমাদের
ওপর চড়াও হয়। আমিসহ তিনজন আহত হয়েছি। পরে স্থানীয় লোকজন আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে
নিয়ে এসেছে।
এ বিষয়ে আখাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ
সোহেল বলেন, খবর পেয়ে সেনাবাহিনীসহ আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা
প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের কানাইপুরের দিকনগর এলাকায় বাস-পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষের দুর্ঘটনা ঘটে।
মুখোমুখি এ সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন।
নিহতদের মধ্যে আলফাডাঙ্গা এ.জেড. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফরিদের ফ্যামিলির সদস্য মা, বড় মেয়ে, ভাই মিলন, মিলনের স্ত্রী ও ছেলে মেয়েসহ মোট ৬ জন রয়েছে তবে বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাতজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার পথে একজন ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান। বাকি পাঁচজনের চিকিৎসা চলছে।
মুখোমুখি সংঘর্ষের দুর্ঘটনা নিয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা এবং আহতদের প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা করে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।
ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা থেকে মাগুরার উদ্দেশে যাচ্ছিল।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন