

জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম উত্তর প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামে সেনাবাহিনীর টহল জোরদার হওয়ায় এখন অপরাধ জগত কাঁপছে। বিশেষ করে দায়িত্বরত সেনাবাহিনী মব ভায়োলেন্স এবং চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়ায় চিহ্নিত অপরাধীরা লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে। ফলে জেলার সাধারণ মানুষ সেনাবাহিনীর প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছে।
কুড়িগ্রামের সেনাক্যাম্প সূত্র জানিয়েছে- আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনুকূলে রাখতে এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সেনাবাহিনী সর্বদাই প্রস্তুত রয়েছে। কুরবানীর পশুর হাটগুলিকে শতভাগ নিরাপদ রাখার জন্য নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কুরবানী ঈদকে সামনে রেখে বাড়ি ফেরা মানুষগুলো যাতে এতটুকু ভোগান্তির শিকার না হয় সেদিকেও বিশেষ দৃষ্টি রাখা হয়েছে। এছাড়াও অবৈধ মাদক পাচার, পেশি শক্তির ভয় দেখিয়ে অবৈধ দখল দারিত্ব ও টেন্ডারবাজি সহ স্পর্শকাতর সকল ধরনের অপরাধ দমনের জন্য জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে কুড়িগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী।
কুড়িগ্রাম জেলা সম্মিলিত শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্যজোটের আব্বায়ক মো: আয়নাল হক সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, আমাদের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে সাধারণ শ্রমিকরা সুখে- শান্তিতে কাজ করতে পারবে। সেনাবাহিনীর মহতি উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সহকারি অধ্যাপক অনিরুদ্ধ রেজা জানান, সেনাবাহিনী অপরাধীদের বিরুদ্ধে শক্তপোক্ত অবস্থান নেয়ায় একদিকে যেমন অপরাধের মাত্রা কমিয়ে এসেছে, অন্যদিকে আমরা সাংবাদিকগণ নির্বিঘ্নে এবং নির্ভয়ে সব ধরনের সংবাদ পরিবেশন করতে পারবো।
কুড়িগ্রাম সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার জানান- অপরাধী যেই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে অথেনটিক ইনফরমেশন পেলে আমরা তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আমাদের প্রধানতম দায়িত্ব হচ্ছে কুড়িগ্রামকে অপরাধমুক্ত করে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা।
মন্তব্য করুন


খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী সীমান্ত
এক্সপ্রেস ট্রেনে মা-মেয়েকে জুস খাইয়ে অচেতন করেন এক অজ্ঞান পার্টির সদস্য। তাদের কানের
দুল ও নাকের ফুল খুলে নেওয়ার সময় পাশের এক যাত্রী বিষয়টি আঁচ করতে পারেন। পরে সেই সদস্যকে
আটক করে তার ব্যাগে থাকা জুস পান করানো হলে অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনিও।
আজ শনিবার (৩০ আগস্ট) ভোরে বিরামপুর-সৈয়দপুর
রেলপথে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ফুল মিয়া (৫৫) রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার আব্দুল্লাপুর
এলাকার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী যাত্রী দুজন ঠাকুরগাঁওয়ের
পীরগঞ্জ উপজেলার করনাই গ্রামের কৌশিলা রায় (৫০) ও তার মেয়ে বীথি রানী (২৮)।
এ বিষয়ে রেলওয়ে পুলিশ জানায়, বিরামপুর
থেকে ট্রেনে ওঠেন কৌশিলা ও তার মেয়ে। তাদের পাশের আসনে ছিলেন ফুল মিয়া। আলাপের একপর্যায়ে
তিনি জুস খেতে দেন মা-মেয়েকে। জুস খাওয়ার পরপরই তারা অচেতন হয়ে পড়েন। এ সময় তাদের অলংকার
খুলে নেন তিনি। পাশের আসনের যাত্রী অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বিষয়টি
বুঝতে পেরে ফুল মিয়াকে আটক করেন। অভিযোগ অস্বীকার করলে যাত্রীরা তাকে তার ব্যাগে থাকা
জুস পান করান। কিছুক্ষণ পর ফুল মিয়া নিজেও অচেতন হয়ে পড়েন। পরে ট্রেনে দায়িত্বরত পুলিশকে
খবর দেওয়া হলে রেলওয়ে পুলিশ ভুক্তভোগী মা-মেয়েসহ ফুল মিয়াকে সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালে
ভর্তি করে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা মাহমুদ-উন নবী বলেন, ভুক্তভোগী ও আসামির জ্ঞান এখনো পুরোপুরি ফেরেনি। ভুক্তভোগীর
ছেলে রবীন্দ্র নাথ রায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ফুল মিয়ার নামে দেশের বিভিন্ন রেলওয়ে
থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন


যৌতুকের
টাকা না পাওয়ায় ৪০ জন বরযাত্রী নিয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষে বিয়ের আসর থেকে বর নিয়ে চলে যাওয়ার
অভিযোগ উঠেছে। বিয়ের বর ছিলেন, নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের বামনগাঁও
গ্রামের মো. শরীফ মিয়ার ছেলে মো: হাসেন মিয়া (২৫)।
এ
ঘটনায় আজ (১/১২/২৩) দুপুরে ভুক্তভোগী কনের বাবা বাদী হয়ে বর ও বরের বাবাসহ ৩ জনকে অভিযুক্ত
করে কলমাকান্দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১/১২/২৩) বিকেলে নেত্রকোনার
কলমাকান্দায় রংছাতি ইউনিয়নের বটতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ
ও স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ১ সপ্তাহ আগে বামনগাঁও গ্রামের মো: হাসেন মিয়ার বিয়ে ঠিক
হয় পার্শ্ববর্তী রংছাতি ইউনিয়নের বটতলা গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে। বিয়ে ঠিক হওয়ার সময়
কনের বাবা বিয়ের খরচ বাবদ বরের পরিবারকে ৪০ হাজার টাকা দেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে
এ বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বর তার আত্মীয়-স্বজনসহ ৪০ জন বরযাত্রী নিয়ে আসেন। খাওয়া-দাওয়া
শেষে বিয়ের কার্যক্রম শুরু হলে বরের পক্ষ থেকে আরো ৭০ হাজার টাকা যৌতুক চাওয়া হয়। কনের
পরিবার যৌতুকের টাকা দিতে রাজি না হলে বিয়ের আসর থেকে বরের লোকজন বরকে নিয়ে চলে যান।
এ
বিয়ে উপলক্ষে দুই লাখ টাকা খাওয়া-দাওয়া ও ডেকোরেশন বাবদ খরচ হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ
করেন কনের বাবা।
কলমাকান্দা থানার ওসি আবুল
কালাম গণমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার দুপুরে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মাসুদ হত্যা মামলা ও চাঁদাবাজি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি হালিম মিয়া (৩০) নামে এক আসামি পুলিশের হাতে কামড় দিয়ে পালিয়েছে।
শনিবার (০৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনাটি ঘটে উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের খাগাতুয়া গ্রামে।
আসামি হালিম মিয়া ওই গ্রামের কাদির মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, খাগাতুয়া গ্রামের মাসুদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি হালিম মিয়া। হত্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও চাঁদাবাজি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি ছিলেন হালিম মিয়া। শনিবার সন্ধ্যায় খাগাতুয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে হালিমকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু তার হাতে হাতকড়া পড়ানোর আগেই এএসআই আশরাফুল আরিফের হাতে কামড় দিয়ে আসামি হালিম মিয়া পালিয়ে যান।
পালিয়ে যাওয়া আসামিকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে বলে জানান নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব আলম।
মন্তব্য করুন


১৭৫ জন বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে আসেন
বর। কিন্তু খাওয়া-দাওয়া শেষে বিয়ে না করেই বিয়ের আসর থেকে চলে গেলেন বর।
গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার সাধারচর ইউনিয়নের কালুয়ারকান্দ গ্রামে এ ঘটনা ঘটলেও আগামী
রোববার সবার উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংসা করার সিদ্ধান্ত হয়।
বিয়েতে বর ছিলেন উপজেলার আয়ূবপুর ইউনিয়নের
ঘাসিরদিয়া গ্রামের আলতাব হোসেন সরকারের ছেলে সাব্বির হোসেন সরকার (৩০)।
কনের মা সেলিনা বেগম জানান, আলোচনা
করেই গত এক সপ্তাহ আগে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হয়েছে। সময়মতো বর তার আত্মীয়স্বজনসহ ১৭৫
জন বরযাত্রী নিয়ে আসেন। খাওয়া-দাওয়া শেষে বিয়ের কাবিননামায় স্বাক্ষর করবে এমন সময় বরের
বড় বোন সাবিনা ও ছোট বোন নিপা বলেন, কনের আগে বিয়ে হয়েছে দুই বাচ্চা রয়েছে— এই বিয়ে হবে না। সেসময় কনের গায়ের
জামাকাপড় জোর করে খুলে নিয়ে বিয়ের আসর থেকে বরের লোকজন বরকে নিয়ে চলে যান। কনের আগে
বিয়ে হয়েছে এটা জানতো তারা; কিন্তু দুই বাচ্চা আছে এটা মিথ্যা কথা বলেছে। ঘটনার পরে
বরের বাড়ির এলাকার চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান সরকারকে জানালে তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।
এ বিয়ে উপলক্ষে আড়াই লাখ টাকা খাওয়া-দাওয়া ও ডেকোরেশন বাবদ খরচ হয়।
বরের বড় বোন সাবিনা বলেন, কনের আগে
বিয়ে হয়েছে আর বাচ্চা আছে এটা আমরা আগে জানতাম না।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান সরকার
বলেন, আমি বর পক্ষের লোকজনকে বলেছিলাম বসে মীমাংসা করতে। তারা আসেনি।
শিবপুরের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র
সমন্বয়ক আসিফ, রাকিব, সুমনা ও সাহেদের কাছে কনের মা অভিযোগ করলে তারা বরের বাড়িতে
গেলে বর ও বরের বাবাকে না পেয়ে বরের মামাকে থানায় নিয়ে আসেন। থানার ওসি উপস্থিত না
থাকায় আগামী রোববার সবার উপস্থিতিতে বসে মীমাংসা করা হবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে শিবপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আফজাল হোসেন জানান, শিবপুরের ছাত্র সমন্বয়করা বরের বাড়িতে গেলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


সাম্প্রতিক বন্যায় কুমিল্লা জেলার বুড়িচং এলাকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।বন্যার পানি কমে এলেও এখনো দুর্ভোগ শেষ হয়নি সাধারণ অসহায় মানুষের।
তাইতো কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার হরিপুর গ্রামের বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বিবেক।
বিবেক হচ্ছে একটি সামাজিক সংগঠন। সমাজের মানুষের সহযোগিতার কল্যাণে যে প্রতিষ্ঠানটি সার্বক্ষণিক কাজ করে আসছে।
উক্ত প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান হলেন ইউসুফ মোল্লা টিপু যিনি কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব।
শনিবার ৭ সেপ্টেম্বর বিবেকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এর উদ্যোগে বিবেকের একটি টিম বুড়িচং এলাকায় হরিপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে বন্যার্তদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে।
বন্যা
দুর্গতদের পাশে সহযোগিতার হাত নিয়ে বিবেকের এই উদ্যোগ সামনের দিনগুলোতেও চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন


সবুজের মাঝে ফুটে আছে গোল গোল ফুল। কোনোটি হলুদ, কোনোটি বেগুনি রঙের। কাছে গেলে ভুল ভাঙে। কারণ এগুলো রঙিন ফুলকপি। কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার শিবপুর গ্রামের মাঠে এই দৃশ্য দেখা যায়। এই জেলার ১৭টি উপজেলায় জনপ্রিয় হচ্ছে রঙিন ফুলকপি চাষ। চাহিদা বেশি ও স্বাদ ভালো হওয়ায় ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষক। আগামীতে তারা আরও বেশি জমিতে চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন।
শিবপুর মাঠে গিয়ে দেখা যায়, পাশের গ্রামের উৎসুক মানুষ রঙিন ফুলকপির জমির পাশে ভিড় করছেন। কেউ ফুলকপি কিনতে এসেছেন। কেউ জানতে এসেছেন কোথায় এর বীজ পাওয়া যায়। অনেকে ফুলকপি ধরে দেখছেন। হাত দিয়ে পরীক্ষা করছেন- রং আসল না কৃত্রিম!
শিবপুর গ্রামের কৃষক খলিলুর রহমান বলেছেন, দেড় যুগ ধরে সবজি চাষ করি। এ্ই প্রথমবার ১৫ শতক জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করেছি। প্রথমে মানুষ হাসাহাসি করেছে, ভালো ফলন হবে না বলে মন্তব্য করেছে। ফলন দেখে এখন অনেকে চাষের আগ্রহ প্রকাশ করছেন। প্রতিটি ফুলকপি বড়গুলো ৭০-৮০ টাকা, ছোটগুলো ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি। বৃষ্টিতে কিছু সমস্যা হয়েছে, না হলে আরও ভালো ফলন পেতাম।
স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেছেন, শিবপুরে প্রথম রঙিন ফুলকপির চাষ হয়েছে। এ চাষ দেখে অন্য কৃষকরাও আগ্রহ প্রকাশ করছেন। সাধারণ ফুলকপির চেয়ে এর দাম ভালো পাচ্ছেন কৃষক।
উপজেলা কৃষি অফিসার বানিন রায় বলেছেন, আমরা কয়েকজন কৃষককে রঙিন ফুলকপির বীজ দিয়েছি। তার মধ্যে শিবপুরের মাঠে ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকদের মধ্যে রঙিন ফুলকপি চাষের আগ্রহ বাড়ছে।
মন্তব্য করুন


ভৈরবে অটোরিকশার যাত্রী সেজে সোনার চেইন ছিনতাই করতে গিয়ে দুই নারী আটক হয়েছেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে শহরের রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজ রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার তামান্না বেগম (২৬) ও ফাতেমা বেগম (২২)।
মন্তব্য করুন


মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দেশের কিছু জায়গায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া কমে যেতে পারে চলমান শৈত্যপ্রবাহও।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) আবহাওয়া অফিস এমন পূর্বাভাস দিয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা জানান, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত আছে।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
এছাড়া মৌলভীবাজার, কুমিল্লা, ফেণী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল এবং ভোলা জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত ফরিদপুর অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি/গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত খুলনা, ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে।
মন্তব্য করুন


৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের আশায় জীবিত
রাসেল ভাইপার সাপ নিয়ে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে গেলেন রেজাউল খান নামের এক কৃষক।
কৃষক রেজাউলের বাড়ি ফরিদপুর শহরতলীর
আলিয়াবাদ ইউনিয়নের কাদেরের বাজার এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মনোরুদ্দিন খানের ছেলে।
শনিবার (২২ জুন) রাতে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের
সামনে এসে জীবিত রাসেল ভাইপারটি সাংবাদিকদের দেখান কৃষক রেজাউল (৩২)।
এ সময় প্রেসক্লাবের সদস্যরাসহ ফরিদপুর
পৌরসভার ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ আওয়াল হোসেন তনু ও স্থানীয় অন্যান্য লোকজন
উপস্থিত ছিলেন।
কৃষক রেজাউল খান বলেন, শনিবার বিকেলে
জেলা সদরের আলিয়াবাদ ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এলাকার ফসলি জমিতে চাষ করার সময় এই রাসেলস
ভাইপারটি দেখতে পাই। পরবর্তীতে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় সাপটিকে অ্যালুমিনিয়ামের
পাতিলে ভরে ফেলি। পরে প্লাস্টিকের নেটের আবরণ দিয়ে পাতিলের মুখ বন্ধ করে দিই। স্থানীয়দের
কাছে জেনেছি, জীবিত রাসেলস ভাইপার সাপ ধরতে পারলে ফরিদপুরের নেতারা পুরস্কার দেবেন।
এ কারণেই জীবিত সাপটি ধরে এনেছি।
প্রসঙ্গত, গত ২০ জুন জেলা আওয়ামী লীগের
একটি মিটিংয়ে রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে আলোচনা হলে জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক শাহ মো.
ইশতিয়াক আরিফ রাসেলস ভাইপার সাপ মারতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেন।
সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার একদিন পরেই সেই
অবস্থান থেকে সরে আসেন তিনি। পরদিন ২১ জুন এক সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি দেন, সেখানে তিনি উল্লেখ
করেন, কেউ যদি রাসেলস ভাইপার সাপ জীবিত ধরতে পারেন তাহলে তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার
দেওয়া হবে।
আগের বক্তব্যটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে
বিকৃত করে প্রকাশ হয়েছে বলেও ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য করুন


সংস্কারের নাম করে অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচন বিলম্বিত করতে চায় বলে মন্তব্য করে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশে এক ডলারও বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত হবে না। মব সন্ত্রাস করে যে মানুষ হত্যা চলছে তাও বন্ধ করা যাবে না। সুতরাং প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের উচিত খালেদ জিয়ার প্রতি সম্মান দেখিয়ে তাঁর প্রত্যাশা অনুযায়ী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা।
শনিবার বিকেলে বরুড়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির দ্বি -বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আমলে বাংলাদেশ থেকে ৩০ লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। বিএনপি নির্বাচিত হলেই এইসব পাচার হওয়া টাকা আবার বাংলাদেশে ফেরত আনা হবে। যে কারণেই একটি সুষ্ঠ নির্বাচন দ্রুত প্রয়োজন।
সম্মেলনে উদ্বোধক ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক এমপি জাকারিয়া তাহের সুমন।
অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান বক্তা বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় বিএনপির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম, কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাবেক ভিপি আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু ,জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক নজরুল ইসলাম ভূইয়া ,মহানগর বিএনপি নেতা আমিরুজ্জামান আমির,জেলা বিএনপি নেতা মোস্তফা জামান, সরওয়ার জাহান দোলন বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন