ফেনী
জেলার পরশুরাম উপজেলায় হাত-পা ও মুখ বেঁধে উম্মে সালমা লামিয়াকে (৭) হত্যাকাণ্ডের নতুন
তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। শিশুটির সৎ মা রেহানা আক্তারকে ফাঁসাতে আপন মা আয়েশা আক্তার হত্যাকাণ্ডের
পরিকল্পনা করেছিলেন। আয়েশা আক্তার কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ
জানিয়েছে, মেয়েকে হত্যার ঘটনায় আয়েশা নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন। বৃহস্পতিবার
(৮ ফেব্রুয়ারি) তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক কারাগারে পাঠান।
পরশুরাম
মডেল থানার ওসি মো. শাহাদাত হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
গতকাল
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ফেনী জেনারেল হাসপাতালে লামিয়ার ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে পরশুরামের
বাঁশপদুয়া গ্রামে তার দাফন করা হয়।
ওসি
মো: শাহাদাত হোসেন জানান, গত মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) হত্যার শিকার হয় শিশু লামিয়া।
রাতে তার বাবা মো: নূর নবী বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে পরশুরাম থানায় একটি মামলা দায়ের
করেন। সে রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের মা আয়েশা আক্তার ও সৎ মা রেহানা আক্তারকে
হেফাজতে নেয় পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদ
শেষে বৃহস্পতিবার সকালে আয়েশাকে গ্রেপ্তার দেখায় পরশুরাম মডেল থানা।
ওসি
শাহাদাত হোসেন আরও জানান, শিশু লামিয়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তার আপন ও সৎ মাকে
জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় নূর নবীর প্রথম স্ত্রী ও নিহত লামিয়ার মা আয়েশা আক্তার হত্যাকাণ্ডে
জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে নূর নবীর করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গত
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে হেলমেট পরা ২ যুবক পরশুরাম পৌরসভার পশ্চিম বাঁশপদুয়া এলাকার
এয়ার আহামদের ভাড়া বাসায় এসে নিজেদের পল্লী বিদ্যুতের লোক দাবি করে দরজা খুলতে বলে।
লামিয়া দরজা খুলে দিলে তারা ঘরের ভেতরে ঢুকে তাকে টেপ দিয়ে হাত-মুখ-পা বেঁধে হত্যা
করে। লামিয়ার বড় বোন ফাতেমা আক্তার নিহা (১২) এ ঘটনা দেখে পালিয়ে পাশের একটি বাড়িতে
আশ্রয় নেয়। তবে ওই ২ যুবককে এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। হেফাজতে নেওয়ার পর নূরের ২য়
স্ত্রী রেহানাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ঘটনার সঙ্গে তার জড়িত থাকার বিষয়ে কোনো তথ্য
পাওয়া যায়নি। যে কারণে রেহানাকে বাদীর জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের
মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলেও জানান ওসি শাহাদাত।
নিহত
লামিয়ার বাবা নূর নবী বলেন, বিচ্ছেদের পরও আমার সাবেক স্ত্রী আয়েশার সাথে বিরোধ চলে
আসছিল। আমাকে ও আমার বর্তমান স্ত্রীকে ফাঁসাতেই আয়েশা এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন।
তিনি
আয়েশার শাস্তি দাবি করেছেন।
মন্তব্য করুন
পুশির
হাতে কামড় দিয়ে ও ধস্তাধস্তি করে হাতকড়া নিয়েই দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি
এক ডাকাতের।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার
নাসিরনগরে ছদ্মবেশে জীবন মিয়া নামে এক ডাকাতকে ধরে কাঁধে করে থানায় নিয়ে আসেন পুলিশ।
ডাকাত জীবন মিয়া ছাড়া পাওয়ার জন্য পুলিশের হাতে কামড় দিতে থাকলেও হাল ছাড়েননি এসআই
রুপন নাথ।
শুক্রবার
(২৩ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের একটি জমি থেকে তাকে গ্রেফতার করা
হয়।
গ্রেফতারকৃত
জীবন মিয়া হরিপুর গ্রামের হুরন আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে থানায় একাধিক ডাকাতি
মামলা রয়েছে। সম্প্রতি সে মাধবপুর-হরিপুর সড়কে ডাকাতি করে আসছিলেন।
পুলিশ
জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জীবন মিয়ার অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে পুলিশ। জীবনকে
গ্রেফতারের দায়িত্বে থাকা নাসিরনগর থানা পুলিশের এসআই রুপন নাথ আরও একজন কর্মকর্তা
ও তিন পুলিশ কনস্টেবলকে নিয়ে হরিপুরে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন জীবন তার সঙ্গীদের
দিয়ে একটি জমিতে বসে ইয়াবা সেবন করছিলেন। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা গিয়ে জীবন ও তার
সঙ্গীদের কাছে ইফতার করার জন্য পানি চান। তখন একপর্যায়ে জীবনকে আটক করে পড়ানো হয় হাতকড়া।
এসময় জীবন মিয়া পুলিশ কনস্টেবল রানার হাতে কামড় দিয়ে ও ধস্তাধস্তি করে হাতকড়া নিয়েই
দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পুলিশ সদস্যরাও ছুটে গিয়ে আবার তাকে আটক করে। একপর্যায়ে
এএসআই মো. কামরুল ডাকাত সদস্যকে কাঁধে তুলেনেন। কিছুদূর আনার পর তাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায়
করে কড়া পুলিশ পাহারায় থানায় নিয়ে আসা হয়।
এ
ব্যাপারে এসআই রূপন নাথ সাংবাদিকদের জানান, পাঁচজন মিলে এ অভিযান চালানো হয়। ডাকাত
জীবন খুবই চতুর। সে পালানোর চেষ্টা করেছিল। একপর্যায়ে তাকে বাধ্য হয়ে কাঁধে তুলে নিয়ে
আসা হয়। এ ঘটনায় রানা নামে এক পুলিশ কনস্টেবল আহত আহত হন।
এ
ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ওসি মো. সোহাগ রানা বলেন, ডাকাত জীবন খুবই চতুর প্রকৃতির।
তাকে গ্রেফতার করা যাচ্ছিল না। শনিবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
মন্তব্য করুন
অভিনব
কায়দায় কুমড়া শাকের আড়ালে গাঁজা পাচারকালে ডিএনসি- কুমিল্লার হাতে ১৩ কেজি গাঁজাসহ
আটক দুই নারী।
ডিএনসি
কুমিল্লার উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এরঁ সার্বিক তত্বাবধানে ও উপ-পরিদর্শক মো:
মুরাদ হোসেন এর নেতৃত্বে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১৩ কেজি গাঁজাসহ দুজন নারী
মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।
আজ
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন নিমসার বাজারস্থ গাড়ীচালকদের
বিশ্রামাগারের সামনে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা হতে ঢাকাগামী Asia Aircon নামের
বাসে তল্লাশি করে ৭ কেজি গাঁজাসহ জাহানারা (৫০) নামের একজন আসামিকে আটক করা হয়। আটককৃত
আসামি কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার কাশিপুর গ্রামের মৃত শরীফ আলীর মেয়ে। একই বাস তল্লাশি
করে ৬ কেজি গাঁজাসহ জুবেদা বেগম (৪৭) নামের একজন আসামিকে আটক করা হয়। উক্ত আসামি গোপালগঞ্জ
জেলার মকসুদপুর থানাধীন গোবাহাড়া এলাকার মৃত ইয়াদ আলী মোল্লার মেয়ে।
আসামীদের
বিরুদ্ধে উপপরিদর্শক মোঃ মুরাদ হোসেন বাদী
হয়ে বুড়িচং থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মন্তব্য করুন
দীর্ঘ ৪১ বছরের কর্মময় জীবন শেষে মসজিদের
ইমামকে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে বিদায় জানালেন গ্রামবাসী। সে সাথে তার হাতে তুলে দিলেন নগদ
পৌনে এক লাখ টাকা এবং উপহার সামগ্রী।
শুক্রবার (৩১ মে) জুমার নামাজ শেষে
ব্যতিক্রমী এ ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের বাগাতিপাড়ার ক্ষিদ্রমালঞ্চি গ্রামে। বিদায়ী ইমাম
মো. মুনসুর আলী পার্শ্ববর্তী শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, ক্ষিদ্রমালঞ্চি কেন্দ্রীয়
জামে মসজিদের ইমাম মো. মুনসুর আলী ১৯৮৩ সালে ইমামের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। একই মসজিদে
দীর্ঘ ৪১ বছর দায়িত্ব পালনের পর বয়সজনিত কারণে তিনি অবসর নেন। আর প্রিয় ইমামের অবসরজনিত
বিদায় জানাতে গ্রামবাসীরা ওই মসজিদে বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মসজিদ কমিটির
সভাপতি আরশেদ আলীর সভাপতিত্বে এবং আব্দুল হালিমের পরিচালনায় ইমাম মুনসুর আলীর কর্মময়
জীবনের ওপর আলোকপাত করে বক্তব্য দেন মসলেম উদ্দিন, আলাউদ্দিন, আসমত আলী, সেলিম রেজা,
আব্দুল আজিজ, সাইদুর রহমান প্রমুখ। শেষে ওই মসজিদসহ আশেপাশের ৫ মসজিদের অধীনের গ্রামবাসীরা
পৌনে এক লাখ টাকা ও উপহার সামগ্রী প্রদান করেন। এছাড়াও ইমামের বিদায় উপলক্ষে মসজিদে
উপস্থিত মুসুল্লিদের মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়। শেষে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে পুরো এলাকা
ঘুরিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় ইমাম মুনসুর আলীকে। এসময় গ্রামের সকল নারী-পুরুষরা রাস্তার
পাশে দাঁড়িয়ে বিদায় জানান প্রিয় ইমামকে। ব্যক্তিগত জীবনে মুনসুর আলী ৩ কন্যা ও ২ ছেলের
পিতা।
এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি আরশেদ
আলী বলেন, অন্যান্য চাকরি শেষে চাকুরিজীবীদের জাঁকজমক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিদায় দেওয়া
হয়। তাছাড়াও তারা পেনশন পান। কিন্তু মসজিদের ইমামের বিদায়ে তা করা হয় না। এ কারণেই
গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় ইমামের বিদায়ে এই আয়োজন করা হয়েছে।
বিদায়ী ইমাম মো. মুনসুর আলী বলেন, জীবনের
শুরুতে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের মুহুরীর কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু দুই-তিন দিন পর ভালো
না লাগায় সেকাজ ছেড়ে এসে এই মসজিদে ইমামতি শুরু করেন। দীর্ঘদিন পর অবসর নেওয়ায় গ্রামবাসীর
এমন বিদায়ে তিনি মুগ্ধ।
তবে তিনি কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন
গড়া এবং ইমান ও আমলের ওপর জীবনকে পরিচালিত করার আহবান জানান।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে ৷ এতে দায়িত্ব পেয়েছে কুমিল্লা কৃতি সন্তান সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী চাকসু’র সাবেক ভিপি জসিম উদ্দিন সরকারকে সহ-সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক, হিসাবে অধ্যাপক রেজাউল করিমকে। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দকে বৃহত্তর কুমিল্লার চাবিয়ানরা অভিনন্দন জানান।
জানা যায়, শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে নগরের লালখান বাজারস্থ চট্টগ্রাম ক্লাবে এক সাধারণ সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়।
এতে চাকসুর সাবেক ভিপি এসএম ফজলুল হককে সভাপতি এবং এনবিআর-এর কমিশনার ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকীকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণ করা হয়।
কমিটিতে এ এস এম শামসুজ্জামান হীরা, মজহারুল হক শাহ্ চৌধুরী, সিরাজ উদ্দিন মিয়া, স ম নজরুল ইসলাম, একরামুল করিম, চাকসু’র সাবেক ভিপি জসিম উদ্দিন সরকারকে সহ-সভাপতি, মোস্তফা কামাল উদ্দিন, মো. মহিউদ্দিন বাদল, খন্দকার রেজাউল করিমকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মোহাম্মদ রেজাউল করিমকে সাংগঠনিক সম্পাদক, মোহাম্মদ আসিফ চৌধুরী সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরীকে কোষাধ্যক্ষ, সাংবাদিক সালাউদ্দিন মোহাম্মদ রেজাকে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, সাইফুদ্দিন আহম্মদ সাকিকে দপ্তর সম্পাদক, সাবেক কাউন্সিল শামসুজ্জামান হেলালিকে সমাজ কল্যাণ সম্পাদক,দিদারুল আলমকে সহকারী কোষাধ্যক্ষ, মনোনীত করা হয়।
এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন, উপ-উপাচার্য ড. শামীম উদ্দিন খান, প্রফেসর ড. আরিফ মঈনুদ্দিন, প্রফেসর ড. তোফায়েল আহম্মদ, লায়ন,আ ন ম সামসুল ইসলাম, মো. আসলাম চৌধুরীকে উপদেষ্টা করা হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. তোফায়েল আহম্মদ, চাকসু’র সাবেক ভিপি এস.এম ফজলুল হক, মজহারুল হক শাহ্ চৌধুরী, রাজনীতিবিদ একরামুল করিম, সাবেক ভিপি জসিম উদ্দিন সরকার, সাবেক সাংসদ আব্দুল ওয়াদুদ ভূইয়া প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা
উত্তর জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য তানিয়া আক্তার বিথিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ
শনিবার (৮ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় দেবীদ্বার পৌরসভার ছোটআলমপুরের নিজ বাড়ি থেকে তাকে
গ্রেপ্তার করা হয়।
বিথি
দেবীদ্বার পৌরসভার ছোটআলমপুরের মোখলেছুর রহমানের মেয়ে।
পুলিশ
জানান, গত ৪ আগস্ট আন্দোলনে নিহত আব্দুর রাজ্জাক রুবেল ও ৫ আগস্ট আমিনুল ইসলাম
সাব্বির হত্যাসহ মোট ৬টি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
৪
আগস্ট ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় বিথির সরাসরি যুক্ত থাকার
একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুদ্দীন
মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, শনিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলাসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর
হামলা ও মারধরের ঘটনায় মোট ৬টি মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর
ইউনিয়নের পাঁচোড়া গ্রামে পুকুরে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত
করেছেন পাঁচোড়া গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শাহাজাহান।
নিহত দুই বোন হলো: হাফেজ ঘটক মিয়ার
মেয়ে উম্মে কুলছুম তামান্না (৯) ও খাদিজা আক্তার (৭)। নিহত উম্মে কুলছুম তামান্না পাঁচোড়া
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী ও নিহত খাদিজা আক্তার একই বিদ্যালয়ের
৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার
(২২ মে) বিকেলে উপজেলার পাঁচোড়া দক্ষিণ কালেম পাড়া মসজিদ সংলগ্ন পুকুরে গোসল করতে নামে
ওই দুই বোন। এক সময় তারা পানিতে ডুবে যায়। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর
পুকুরে নেমে তাদের দুই বোনকে উদ্ধার করে। পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে
কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। তাদের মৃত্যুতে মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন,
বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) আবুল হাসানাত খন্দকার জানান, পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছি। পরিবারের
পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আসন্ন
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরোশন (মসিক) নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র
আগামী ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রস্তুতের জন্য নির্দেশনা দিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শনিবার
(২৭ জানুয়ারি) ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব রৌশন আরা বেগম জানিয়েছেন।
তিনি
আরও জানান, ইতোমধ্যে নির্দেশনাটি মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায়
বলা হয়েছে, আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় মসিকের সাধারণ নির্বাচন, কুসিকের মেয়র, ঢাকা দক্ষিণ
সিটি করপোরেশনের ১১ নম্বর সাধারণ আসনের কাউন্সিলর, বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর
ও ২২ নম্বর সাধারণ আসনের কাউন্সিলরের শূন্য পদে উপ-নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের
লক্ষ্যে ‘স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা
নীতিমালা’ অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত করে প্রস্তুতকৃত তালিকার ২ প্রস্থ
হার্ড কপি (সফ্ট কপিসহ) সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে বিশেষ দূত
মারফত আগামী ১ ফেব্রুয়ারি মধ্যে নির্বাচন সাপোর্ট-১ শাখায় প্রেরণের জন্য সংশ্লিষ্ট
সিনিয়র জেলা /জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে অনুরোধ করা হলো।
উপরিউক্ত
সাধারণ/উপ-নির্বাচন উপলক্ষে ভোটকেন্দ্রের তালিকা এ সময়ের মধ্যে ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট
সিস্টেমে এন্ট্রি সম্পন্ন করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
নির্দেশনায়
আরো বলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্র স্থাপনের ক্ষেত্রে-যতদূর সম্ভব সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান
অবকাঠামোর সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে স্থায়ী ভোটকক্ষ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ এবং ভবনের
অবকাঠামোর অভ্যন্তরে ভোটকক্ষ স্থাপন করা গেলে সেক্ষেত্রে অস্থায়ী ভোটকক্ষ স্থাপনের
প্রস্তাব পরিহারপূর্বক ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
সিনিয়র
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা যথাসম্ভব ভোটকেন্দ্রগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করবেন এবং ভোটকেন্দ্র
পরিবর্তন,নতুন ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র এবং ভোটকক্ষ স্থাপনের প্রতিটি
ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে প্রত্যয়ন দেবেন।
মন্তব্য করুন
ভারী বৃষ্টিতে কক্সবাজারে পৃথক স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে জেলা সদরের ঝিলংজায় একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে পাহাড় ধসে দুই শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে পাহাড় ধসের পৃথক দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
দিবাগত রাত ২টার দিকে ঝিলংজার ২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ ডিককুলে এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন, দক্ষিণ ডিককুলের মিজানুর রহমানের স্ত্রী আঁখি আকতার (২৫) এবং তার দুই শিশু কন্যা ময়না আকতার (৭) ও মায়া আকতার (২)।
নিহতের স্বজনরা জানান, ভারী বর্ষণের কারণে গভীর রাতে মিজানুরের বাড়ির ওপর পাহাড়ের একটি অংশ ধসে পড়ে। মিজানকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও তার স্ত্রী ও দুই সন্তান মাটি চাপা পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় তাদের মরদেহ বের করে আনা হয়।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার দোলন আচার্য বলেন, তিনজনের মরদেহ বের করে আনা হয়েছে।
রাতে উখিয়ার হাকিমপাড়া ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের ব্লক ই-২ তে পাহাড় ধসে দুই শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- আব্দুর রহিম (৩০) আব্দুল হাফেজ (১০) ও আব্দুল ওয়াছেদ (৮)।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসে তিনজন নিহত হয়েছেন। এখানে দুইজন শিশু রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, কক্সবাজারে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি মৌসুমে এক দিনে সর্বোচ্চ।
মন্তব্য করুন
নোয়াখালী টু ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের সেতু ভাঙ্গা পশ্চিম বাজার দানবাক্স এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক আয়ুবের্দিক চিকিৎসকের মৃত্যু ঘটে।
নিহত চিকিৎসক আবু নুর মোহাম্মদ মাসুম (৩৮) লক্ষীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম সৈয়দপুর গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে। এ দুর্ঘটনায় নিহতের ভাই মাসুদ রানা (৫০) আহত হয়।
আজ সকালে নোয়াখালী টু ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের সেতু ভাঙ্গা পশ্চিম বাজার দানবাক্স এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত মাসুমের অনেক জায়গায় আয়ুবের্দিক চিকিৎসার চেম্বার ছিল। সকালে তারা দু'ভাই অ্যাম্বুলেন্সযোগে ফেনীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। যাত্রা পথে অ্যাম্বুলেন্সটি নোয়াখালী টু ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের সেতু ভাঙ্গা পশ্চিম বাজার দানবাক্স এলাকায় পৌঁছলে অ্যাম্বুলেন্সের সামনে থাকা ব্যানারটি তাদের গাড়ির চাকায় পেঁচিয়ে পুরো রাস্তাজুড়ে মাঝামাঝি ভাবে দাঁড়িয়ে যায়। ওই সময় পিছনে থাকা ক্যাভার্ড ভ্যানটি তাদের অ্যাম্বুলেন্সে সজোরে ধাক্কা মারে। ধাক্কা মারার তীব্রতা এত বেশি ছিল যে অ্যাম্বুলেন্সটি উড়ে গিয়ে রাস্তার উল্টো পাশে পড়ে নোয়াখালী মুখি হয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে চিকিৎসকের মৃত্যু হয়।
উক্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন চন্দ্র হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুর মোহাম্মদ।
তিনি বলেন ঘটনার পরপরই ঘাতক কাভ্যার্ড ভ্যানটি পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন