উজান থেকে নেমে
আসা
পাহাড়ি
ঢল
ও
অতিবৃষ্টির কারণে
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও
দুধকুমার নদীর
পানি
বিপদসীমার উপর
দিয়ে
প্রবাহিত হওয়ায়
সাময়িক
বন্যা
পরিস্থিতি সৃষ্টি
হয়েছে।
এতে
প্রায়
৫০
হাজার
মানুষ
পানিবন্দী হয়েছে
বলে
জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
বন্যা পরিস্থিতির অবনতির
ফলে
গত
তিনদিন
ধরে
ঘরের
ভিতর
মাচা
ও
চৌকি
উঁচু
করে
আশ্রয়
নিয়েছে
বানভাসি মানুষ।
চৌকিতে
রান্না-বান্না, চৌকিতেই রাত
কাটছে
তাদের।
বাড়ির
চারপাশে থৈথৈ
পানিতে
অসহায়
দিন
কাটছে
নারী,
শিশু
ও
প্রতিবন্ধী মানুষের।
উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বালাডোবা গ্রামের আসমত ও নুরবানু জানান,
গত
তিনদিন
ধরে
পানিবন্দী অবস্থায় আছি।
ছেলে
মেয়েকে
উঁচু
জায়গায়
রেখে
গরু-ছাগল পাহারা দিচ্ছি। এখনো
কেউ
খোঁজখবর নিতে
আসেনি।
একই ইউনিয়নের ফকিরের
চর
গ্রামের রমিচন
জানান,
ঘরে
পানি।
রান্না
করতে
সমস্যা
হচ্ছে।
গরুকেও
কিছু
খাইতে
দিতে
পারছি
না।
বাচ্চারা কান্নাকাটি করছে।
একই গ্রামের ফরিদা
জানান,
চারটে
ভাত
ফুটাচ্ছি। তরকারি
নাই।
লবন
দিয়া
খাইতে
হইবো।
ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাইদুর রহমান জানান,
আমার
ইউনিয়নের ১০
টি
গ্রামের প্রায়
এক
হাজার
মানুষ
পানিবন্দি রয়েছে।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল
গফুর
জানান,
আমার
ইউনিয়নে ১৫শ
মানুষের বাড়িঘর
তলিয়ে
গেছে।
এছাড়াও
৮
হাজার
মানুষ
পানিবন্দী হয়ে
আছে।
বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল
হামিদ
শেখ
জানান,
আমার
ওয়ার্ডে দেড়শ
ঘরে
পানি
উঠেছে।
এছাড়াও
এই
ইউনিয়নে প্রায়
৮শ'
পরিবার
পানিবন্দী অবস্থায় আছে।
ফকিরের চরে একটি
আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায়
৮০টি
পরিবার
আশ্রয়
নিলেও
তারা
বিশুদ্ধ পানি
ও
ল্যাটিন সমস্যায় ভুগছেন।
এ ব্যাপারে উলিপুর
উপজেলা
নির্বাহী অফিসার
আতাউর
রহমান
জানান,
আমি
বিষয়টি
জানলাম। এখনেই
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের মাধ্যমে লোকজনকে পাঠাচ্ছি সমাধানের লক্ষে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাফসান জানি জানান,
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্রের নুনখাওয়া পয়েন্টে ১৮
এবং
ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী নৌবন্দর পয়েন্টে ১৯
এবং
পাটেশ্বরী রেল
সেতু
পয়েন্টে দুধকুমার নদীর
পানি
০১
সেন্টিমিটার বিপদসীমার ওপর
দিয়ে
প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল
আরিফ
জানান,
বন্যা
কবলিত
কুড়িগ্রাম সদর,
চিলমারী, উলিপুর
ও
নাগেশ্বরীতে খোঁজখবর নেয়ার
পাশাপাশি ইতিমধ্যে দুর্গত
এলাকায়
এক
হাজার
২শত
পরিবারকে ১০
কেজি
করে
চাল
সহ
অন্যান্য বিতরণ
করা
হয়।
এর
মধ্যে
উলিপুর
উপজেলার থেতরাই
ইউনিয়নে ১০০
জনের
মাঝে
১০
কেজি
হারে
চাল
বিতরণ
চলছে।
চিলমারী উপজেলার রমনা,
নয়ারহাট ও
চিলমারী প্রত্যেকটি পয়েন্টে ১০
কেজি
হারে
মোট
৬
মেট্রিক টন
চাল
বিতরণ
হয়,
উপকারভোগীর সংখ্যা
৬শত।
কুড়িগ্রাম সদর
উপজেলার বিকালে
চরভগবতীপুর, খেয়ার
আলগা,
কালীর
আলগা,
পোরার
চরে
১৫০
প্যাকেট ত্রাণ
বিতরণ
করা
হয়
(প্রতি
প্যাকেটে থাকবে
১০কেজি
চাল,
ডাল
ও
তেল)। নাগেশ্বরী উপজেলার গরুভাসার চর,
ফকিরগঞ্জ, নুনখাওয়ার চরকাপনা ও
নুনখাওয়া পয়েন্টে ২০০শ পরিবারের মাঝে
পরিবার
প্রতি
১০
কেজি
হারে
চাল,
১
কেজি
ডাল,
১লি:
তেল
ও
১
কেজি
লবণ
বিতরণ
হয়।
এছাড়া
ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটায় ১৫০
জন
পরিবারকে ১০
কেজি
করে
চাল
বিতরণ
করা
হয়।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের নবনির্বাচিত নির্বাহী কমিটির
অভিষেক ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত
হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন, কুমিল্লার জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির
আহমেদ খাঁন।
অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত সভাপতি সারা বাংলা ও দৈনিক পূর্বাশার
প্রতিনিধি মো. রাসেল ও সাধারণ সম্পাদক এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি মাহফুজ আনোয়ার সৌরভ
এবং সাংগঠনিক সম্পাদক বার্তা ২৪ প্রতিনিধি মঈন নাসের খান রাফি আনুষ্ঠানিকভাবে
দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁরা তাদের বক্তব্যে সাংবাদিকদের পেশাদারিত্ব,
ঐক্য এবং দায়িত্বশীল ভূমিকার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ
জিতুর সঞ্চালনায় অভিষেক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও
উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক আহ্বায়ক নীতিশ সাহা,
এটিএন বাংলার স্টাফ রিপোর্টার খায়রুল আহসান মানিক,
দৈনিক রূপসী বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার বাবু অশোক বড়ুয়া,
কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম দুলাল,
দৈনিক বাংলার আলোড়নের প্রধান সম্পাদক রফিকুল ইসলাম,
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান,
কুমিল্লা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সহিদ উল্লাহ,
কুমিল্লা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আব্দুল্লাহ,
দৈনিক জনকন্ঠের স্টাফ রিপোর্টার মীর শাহলম,
আরটিভির প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া,
দৈনিক ইনকিলাবের স্টাফ রিপোর্টার সাদিক মামুন,
প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি মাহাবুব আলম বাবু,
দৈনিক পূর্বাশার সিনিয়র রিপোর্টার মামশাদ কবির, কুমিল্লা
সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দিলীপ মজুমদার, সিটিভির সম্পাদক ওমর ফারুকী তাপস,
ভোরের সূর্যোদয়ের সম্পাদক এম ফিরোজ,
দৈনিক আমার দেশের দক্ষিণ প্রতিনিধি শাহ আলম সফি, বৈশাখী টিভির প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন,
প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ তাওহিদ হোসেন মিঠু,
প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক এন কে রিপন,
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নেকবর হোসেন,
বাসস প্রতিনিধি দেলোয়ার হোসাইন আকাঈদ,
দেশ টিভির প্রতিনিধি সুমন কবির,
নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় মুখ্য সমন্বয়ক নাভিদ রওশন শাহ,
নাগরিক পার্টির কুমিল্লার অন্যতম সংগঠক ফারহা ইম্পা,
নেতা জিসান, অনিক, অনন্যা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী নাছির
প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক
মাহফুজ আনোয়ার সৌরভ। শুভেচ্ছা বক্তব্য শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন
রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মো: রাসেল।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, গ্লোবাল টিভির প্রতিনিধি সাইফ উদ্দিন রণী, আজকের
পত্রিকার প্রতিনিধি জহিরুল হক বাবু, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির তানভীর দীপু,
এনটিভির মাহফুজ নান্টু, সময় টিভির প্রতিনিধি ইসতিয়াক আহমেদ,
দৈনিক পূর্বাশার ডেস্ক ইনচার্জ সাবিয়া সুলতানা,
স্টাফ রিপোর্টার মো: আলাউদ্দিন,
স্টাফ রিপোর্টার ম্যাক রানা, নিউজটোয়েন্টি ফোর টিভির প্রতিনিধি এইচ এম মহিউদ্দিন,
বাংলা টিভির প্রতিনিধি
আরিফ মজুমদার, আজকের কুমিল্লার বার্তা সম্পাদক নাছরিন আক্তার, জাগো নিউজ ও কালের কন্ঠের প্রতিনিধি জাহিদ পাটোয়রি,
জাগরনী টিভির প্রতিনিধি আশিকুর রহমান আশিক,
মাই টিভির প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন জসিম,
ইয়ুথ জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাহ
ইমরান, মেগোতীর
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আসিফ মান্না, ঢাকা মেইলের সাকলাইন জোবায়ের, এটিএন নিউজের আনোয়ার হোসেন, রাইজিং বিডির রুবেল মজুমদার, বাংলা ভিশন টিভির আবুল খায়ের আশিক,
জিটিভির মাইন উদ্দিন ও মহিউদ্দিন,
ভোরের কলামের সম্পাদক তৈৗহিদ অপু,
আলোকিত কুমিল্লার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুমন,
রুপসী বাংলার ফারুক আজম, মোহনা টিভির
আব্দুল মোতালেব নিখিল,
চ্যানেল এস টিভির প্রতিনিধি রাজিব সাহা,
কুমিল্লা টোয়েন্টি ফোর টিভির মজিবুর রহমান পাবেল,
সাইদুর রহমান,
বাংলাদেশ কন্ঠের ইয়াছিন, মিলেনিয়াম টিভির হাবিবুর রহমান মুন্না,
আজকের কুমিল্লার উজ্জ্বল হোসেন বিল্লাল, বুড়িচং
প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন, কুমিল্লার ডাকের রিপোর্টার রুহুল আমিন সুমন,
গ্লোবাল টিভির প্রতিনিধি পলাশ,
জাগরণী ২৪ এর আয়েশা, ডিবিসির ক্যামেরাপার্সন বিপ্লব,
সাংবাদিক জাবিউল মাহিন প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা
হয়। এতে স্থানীয় শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। দর্শক-শ্রোতারা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায়
মুগ্ধ হয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। গিটারিস্ট সোহেল, ভুষণের সমন্বয়ে একটি টিম সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উপহার দেন।
মন্তব্য করুন
প্রচণ্ড গরমে দেশব্যাপী জারি রয়েছে তিন দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট
অ্যালার্ট। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে যশোরে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা
মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। অন্যদিকে রাজধানী ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও এদিন ছিল
৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দাবদাহে দেশের বিভিন্ন
স্থানে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। তীব্র দাবদাহের কারণে হিটস্ট্রোক বা
সানস্ট্রোকে সারা দেশে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই যখন অবস্থা, তখন গরমের দেশ সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এদিন
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর
কোনোটিরই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ছিল না।
এছাড়া ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে ২১ ডিগ্রি, বাহরাইনের রাজধানী মানামার
তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি, ইরানের তেহরানে ২৬ ডিগ্রি, সিরিয়ার আলেপ্পোতে ২৫ ডিগ্রি,
তুরস্কের আঙ্কারায় ১১ ডিগ্রি, ইরাকের বসরাতে ৪০ ডিগ্রি, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে
২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সৌদির জেদ্দাতে ৩৩ ডিগ্রি, কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটিতে ৩৬
ডিগ্রি, ওমানের মাস্কাটে ২৮ ডিগ্রি, ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে ২৫ ডিগ্রি এবং
ইসরায়েলের তেলআবিবে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াভিত্তিক অ্যাপ ‘অ্যাকুওয়েদার’-এর তথ্য অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব
আমিরাতের আবুধাবিতে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জর্ডানের রাজধানী
আম্মানের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি, ইরাকের বাগদাদের তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি, লেবাননের
রাজধানী বৈরুতের তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি, কাতারের দোহারে তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি,
তুরস্কের ইস্তাম্বুলের তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ
অন্য সময়ের রেকর্ড ভাঙতে যাচ্ছে। এপ্রিলের পাশাপাশি এবার মে মাসও উষ্ণতম মাস হতে
যাচ্ছে। মে মাসে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে
দেশের আবহাওয়া বিভাগ।
একনজরে দেখে নিন হিটস্ট্রোকের লক্ষণগুলো
প্রচণ্ড মাথাব্যথা : হিটস্ট্রোকের ঝুঁকিতে থাকলে প্রচণ্ড মাথাব্যথা শুরু হতে পারে। এ
ছাড়া গরমে মানুষের মাইগ্রেন ট্রিগার করতে পারে। এটি হিটস্ট্রোকের অন্যতম একটি
লক্ষণ হতে পারে।
বেশি তৃষ্ণা অনুভব ও অতিরিক্ত ঘামানো : হিটস্ট্রোকের আগে অনেক বেশি তৃষ্ণা অনুভব হবে, সেইসঙ্গে
ডিহাইড্রেটেড এবং আড়ষ্টতা অনুভব হতে পারে। শরীর নিজেকে ঠান্ডা করার জন্য অতিরিক্ত
ঘাম তৈরি করতে পারে।
হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি পাওয়া : হিটস্ট্রোকের আগে হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেতে পারে।
শ্বাসকষ্ট : হিটস্ট্রোকের অন্যতম লক্ষণ হলো শ্বাসকষ্ট এবং দ্রুত ও ভারী
শ্বাস-প্রশ্বাসও।
দুর্বলতা ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়া : তীব্র গরমের কারণে শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কাজ করে। এতে শরীরে
ক্লান্তি ও দুর্বলতা তৈরি হয়। ব্যক্তি অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে। এগুলো হিটস্ট্রোকের
লক্ষণ।
পেশিতে ব্যথা : হিটস্ট্রোকের আগ মুহূর্তে পেশিতে ব্যথা অনুভব হতে পারে। যদিও
সাধারণ ব্যথা ভেবে অনেকে এটাকে তেমন গুরুত্ব দেয় না।
কথা জড়িয়ে যাওয়া : হিটস্ট্রোকের আগে যেসব লক্ষণ দেখা যায়, তারমধ্যে একটি হলো কথা
জড়িয়ে যাওয়া। ব্যক্তি অসংলগ্ন কথা বলতে শুরু করতে পারে।
বমি বমি ভাব : মাথাব্যথা, দ্রুত হৃৎস্পন্দন ও হাইপারভেন্টিলেশন থেকে অক্সিজেনের
অভাব ইত্যাদির কারণে হিটস্ট্রোকের আগে বমি বমি ভাব হতে পারে।
বিরক্তি-বিভ্রান্তি : মাত্রাতিরিক্ত গরমের কারণে হিটস্ট্রোকের আগে মানুষ বিরক্ত বোধ
করতে পারে, রাগান্বিত হতে পারে, অযৌক্তিক কথা বলতে পারে এবং এমনকি প্রলাপ বকতে
করতে পারে।
ঘাম না হওয়া : হিটস্ট্রোকের আরেকটি লক্ষণ হলো প্রচণ্ড গরমেও ঘাম না হওয়া।
সাধারণত এর মানে হচ্ছে, শরীরে ঘাম হওয়ার মতো পানি আর নেই বা শরীরের প্রাকৃতিক শীতল
প্রক্রিয়াটি কাজ করছে না।
চিকিৎসকদের মতে, হিটস্ট্রোক এড়াতে শরীর হাইড্রেট রাখার কোনো বিকল্প
নেই। তাপমাত্রা বেশি হলে ঢিলেঢালা এবং হালকা রঙের পোশাক পরে ঘরের বাইরে যেতে হবে।
সূর্যের আলো থেকে চোখকে রক্ষা করতে সানগ্লাস ব্যবহার করা। প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ
পানি পান করতে হবে। তবে কৃত্রিম চিনিযুক্ত পানীয় থেকে দূরে থাকতে হবে।
মন্তব্য করুন
কুড়িগ্রামে বিশ্ব ইজতেমার উদ্দেশ্যে মুসল্লিদের নিয়ে ছেড়ে যাওয়া একটি রিজার্ভ বাসে মুসল্লি সেজে মাদক পাচারের সময় গাঁজাসহ আঙুর হোসেন নামের এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাগেশ্বরী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপ কুমার সরকার।
এর আগে গতকাল (বুধবার) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, নাগেশ্বরী থানা পুলিশের একটি টিম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাতে নাগেশ্বরী বাসস্ট্যান্ড থেকে ছন্মবেশে বিশ্ব ইসতেমার রির্জাভ বাসে মুসল্লি সেজে মাদক পরিবহন করে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় ওই বাসের মুসল্লিদের সহায়তায় নাগেশ্বরীর আঙ্করনগর (নতুন বাজার) গ্রামের মাদক কারবারি মোঃ আঙ্গুল হোসেন (৩০) কে সাড়ে ১০ কেজি গাঁজাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন
১
কোটি টাকা অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে আওয়ামী দোসরদের নিয়ে কুমিল্লা কেমিস্ট অ্যান্ড
ড্রাগিস্ট সমিতি কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা,
মাদক ব্যবসায়ী, আওয়ামী রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িতরা কমিটিতে স্থান পেয়েছে।
কেন্দ্রীয় কমিটিতে এখনো আওয়ামী দোসররা বসে আছে। তাই এ কমিটিও দোসরমুক্ত হয়নি।
শনিবার
(৩১ মে) দুপুরে কুমিল্লা সদরের আলেখারচর বিশ্বরোড এলাকার মেডিসিন কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে
সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন সদ্য ঘোষিত কমিটির সহ-সভাপতি মোরশেদুল হক খোকন।
লিখিত
বক্তব্যে খোকন আরো বলেন, সম্প্রতি আওয়ামী
দোসরদের একটি অংশ তাদের অপকর্ম ঢাকার জন্য মিথ্যে তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেছেন- কুমিল্লায় দুই ব্যক্তির কাছে ঔষধ ব্যবসায়ীরা জিম্মি ।
প্রকৃতপক্ষে চিত্রটা ভিন্ন। সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের পরিবার। তারা যাচাই-বাছাই করে মামলা দায়ের করেছেন। এতে আমাদের কোন হাত নেই। কারণ এখানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা রয়েছে, রয়েছে প্রশাসন। তাই এখানে অন্য কেউ চাইলেও কাউকে আসামি করতে পারবে না। ফলে তাদের এই অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আওয়ামী দোসররা মেডিসিন ব্যবসায়ী শিল্পী ও রুবেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। প্রকৃতপক্ষে তারাই অবৈধ মেডিসিন ব্যবসার সাথে জড়িত। ব্যবসার আড়ালে মাদক ব্যবসাও করছেন। বিভিন্ন সময় অবৈধ মেডিসিন ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেছে। মূলত সদ্য ঘোষিত কমিটিতে আটজন আওয়ামী লীগের দোসর রয়েছে, যারা প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগে রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তারা আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা, সভা- সমাবেশে উপস্থিত থাকতেন। বিভিন্ন এমপি সাথে বিভিন্ন প্রোগ্রামে তাদের ছবি রয়েছে। সেই অপবাদ ঢাকার জন্য তারা এখন শিল্পী ও রুবেলের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনেছেন। যা নিন্দনীয়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
সদ্য
ঘোষিত কমিটিতে সভাপতি পদে থাকা মো: আব্দুল আলীম ভূইয়ার সাথে কুমিল্লা সদরের সাবেক সংসদ
সদস্য হাজী বাহার ও চান্দিনা সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রাণ গোপালের জনসভা এবং
স্থানীয় সাবেক কুসিক কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদের সুসম্পর্ক ছিল। তাদের সাথে মো: আব্দুল আলীম ভূইয়ার উপস্থিতির ছবি রয়েছে। ১৯৯৬
সালে রেইসকোর্সে অবস্থিত গ্লাক্সো ফার্মাসিটিক্যালস এর ২০ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের মূল
পরিকল্পনাকারী ও ১৭ বছর আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ও আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতাকারি
আব্দুল আলীম।”
এই
কমিটির সিনিয়র সভাপতি মো: নুরুল আলম চৌধুরীর ( নোমান) মা নাজমা আক্তার চান্দিনা উপজেলা
পরিষদের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান ছিলেন।
কমিটির
সহ-সভাপতি মেসার্স লাবোনি মেডিকেল হলের মালিক এ.কে.এম মোস্তাফিজুর রহমান (শাহজাহান)
আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ছিলেন। এছাড়া তিনি সদরের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী বাহার
ও চান্দিনার সাবেক সংসদ সদস্য প্রাণ গোপাল, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ নিয়াজ
পাভেলের কাছের মানুষ ছিলেন। এই কমিটির সদস্য মেসার্স নিউ গ্রিণ ফার্মেসীর মালিক এনায়েত
উল্লাহ মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালিন কমিটিতে সদস্য ছিলেন। সর্বশেষ মহানগর আওয়ামী
লীগের কমিটিতে উপদেষ্টা পদ পান তিনি। কমিটির সদস্য মেসার্স নাড়িখান মেডিকেল হলের মালিক
মো: শামীম আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ছিলেন।
সদস্য
মেসার্স নিউ মেডিকেল হলের মালিক বাবু ধনঞ্জয় কুমার দত্ত আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন।
স্থানীয় কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদের রাজনীতিতে অর্থ যোগান দিতেন বলে জানা গেছে।
সদস্য মেসার্স যমুনা মেডিকেল হলের মালিক নিখীল চন্দ্র দত্ত আওয়ামী সমর্থক ছিলেন এবং
সদস্য মেসার্স রিয়া মেডিকেল হলের মালিক প্রহল্লাদ চন্দ্র দত্তের বিরুদ্ধে মেডিসিন ব্যবসায়
নানা অনিয়ম করেছে।
আওয়ামী
দোসর, অর্থ যোগানদাতা ও মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যা নিন্দনীয়।
এই ঘটনা ২৪ এর আন্দোলন কে কলঙ্কিত করেছে। আমরা চাই অতিসত্বর এই দোসরদের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হোক।
সংবাদ
সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মেডিসিন ব্যবসায়ী আবু বকর সিদ্দিক শিল্পী ও রুবেল
সহ আরো অনেকে। সংবাদ সম্মেলন শেষে মেডিসিন কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
হয়।
মন্তব্য করুন
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে কোরবানির মাংস গলায় আটকে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৭ জুন) বিকাল ৪টার দিকে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে।
মৃত ইমরান হোসেন (২৭) বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের বিলটাকাপোড়া আবুল কাসেমের ছেলে ও নারুয়া বাজারের ব্যবসায়ী।
স্থানীয় বাসিন্দা রিপন হোসেন জানান, কোরবানির মাংস খাওয়ার সময় ইমরানের গলায় আটকে যায়। তাকে দ্রুত বালিয়াকান্দি উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বালিয়াকান্দি থানার ডিউটি অফিসার এসআই মো: নাসির উদ্দীন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলায় টাকা না পেয়ে মাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ ছেলেকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার লাকসাম পূর্ব ইউনিয়নের উত্তর এলাইস গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন লাকসাম থানার ওসি শাহাবুদ্দিন।
নুরজাহান বেগম (৮০) ওই গ্রামের পশ্চিম পাড়া মিয়াজি বাড়ির মৃত হাবিবুর রহমানের স্ত্রী। এই দম্পতির সাত ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সবার বড় আসাদুজ্জামান বাহারের (৫০) বিরুদ্ধে মাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
লাকসাম পূর্ব ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হানিফ সরকার জানান, বাহার প্রায় ২০ বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। বিষয়টি আমরা সবাই জানি। বেকার অবস্থায় নিজ বাড়িতে মায়ের সঙ্গেই থাকত সে। প্রায়ই টাকার জন্য ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করত। শুক্রবার দুপুরে টাকা চেয়ে না পাওয়ায় মাকে হত্যা করেছে সে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. তাজুল ইসলাম জানান, বাহার ছোটকাল থেকেই মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। এ কারণে বিয়ের পরপরই তার স্ত্রীও তাকে তালাক দিয়ে চলে যায়।“আমরা তাকে ‘পাগলা বাহার’ নামে ডাকি। সবসময় তার মাথা গরম থাকে। একটু এদিক-সেদিক হলেই সে পাগলামী শুরু করে। ”
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) শাহাবুদ্দিন জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ছেলে আসাদুজ্জামান
বাহারকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের
মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কক্সবাজারের পাবলিক হলে আয়োজিত দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি নির্মূলে ছাত্র-নাগরিকের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একটি সুষ্ঠু ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনে প্রশাসন, চিকিৎসকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন উল্লেখ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ দাবি বা প্রত্যাশা পূরণে ‘দাদাগিরি’র মতো প্রশাসন বা চিকিৎসকদের ওপর চাপ প্রয়োগ না করার আহ্বান জানিয়েছেন।
হাসনাত বলেন, ‘যখন ভাঙার সময় আসে তখন আমরা এক
হয়ে যাই। যেমন ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময়, একাত্তরের যুদ্ধে, নব্বইয়ের অভ্যুত্থানে
কিংবা ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে আমরা সবাই এক হয়ে লড়েছিলাম। এসময় আমরা কাউকে জিজ্ঞেস
করিনি কে সরকারি চাকরি করে- কে করে না, কে বিসিএস ক্যাডার- কে ক্যাডার না। এভাবে
পৃথিবীর সবকিছুতেই ভাঙার সময় এক হয় মানুষ, কিন্তু যখন গড়ার সময় আসে তখন বিভাজন
সৃষ্টি হয়। ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত আমাদের মাঝে কোনো বিভেদ
ছিল না। যখন রাষ্ট্র সংস্কার ও পুনর্গঠনের সময় এসেছে তখনই বিভাজন তৈরি করছি। এই
জায়গা থেকে আমাদের বের হতে হবে। বাংলাদেশের প্রশ্নে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ’
ফ্যাসিস্টদের সরাতে শত শত ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন উল্লেখ করে এ সমন্বয়ক আরও বলেন, ‘তারা তো কোনো পদ-পদবি চাননি। আন্দোলন শেষে আমরা যখন রাষ্ট্র ও সরকার মেরামতের কাজে হাত দিয়েছি, তখন অনেকেই পদ-পদবির জন্য উঠে-পড়ে লেগেছেন।
মতবিনিময় সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের
চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি, কক্সবাজারের সমন্বয়ক শাহেদ ওয়াহেদ,
শাহেদ মাহমুদ লাদেস, সাহাব উদ্দিন চৌধুরী, ফাহমিদা হাসানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
মোঃ জামাল হোসেন, শাহরাস্তি প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে নোয়াগাঁও টাইগার ক্লাবের উদ্যোগে ২০২৪ মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে পৌর ১২নং ওয়ার্ডের নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নোয়াগাঁও টাইগার ক্লাবের আয়োজনে বিভিন্ন শ্রেণীর ৪০জন মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে এ শিক্ষা উপকরণ বিতরণ হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, নোয়াগাঁও টাইগার ক্লাবের সভাপতি মোঃ জানে আলম ও সদস্য মোঃ রাতুলের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক লুৎফুন্নাহার, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান, সরোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি মোঃ কবির হোসেন, অভিভাবক সদস্য মোঃ মহসিন, মোঃ আলমগীর হোসেনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
আয়োজক সূত্রে জানায় নোয়াগাঁও টাইগার ক্লাবের সদস্য প্রবাসী মোঃ আরিয়ান ফরহাদ, মোঃ শরীফ, সাহারাজ, শাওন, মোঃ নিলয়, হৃদয় হাসান, রায়হানের সার্বিক সহযোগিতায় শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ। সদস্যদের মধ্যে ছিলেন মোঃ রাহাদ, মোঃ রাতুল, মোঃ সোহরাব,মোঃ বিকনসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
সংগঠনের সভাপতি জানে আলম জানায়, প্রতিবছরের ন্যায় নোয়াগাঁও টাইগার ক্লাব বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছেন। এলাকায় মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা করে থাকেন, অসহায় হতদরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণসহ সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছেন বলে জানান এবং এ সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড নোয়াগাঁও টাইগার ক্লাবের ধারাবাহিকতা সবসময় অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
সিলেট মহানগরের ৩৫নং ওয়ার্ডের মেজরটিলার
চামেলীবাগ আবাসিক এলাকায় টিলার মাটি ধসে একই পরিবারের ৩ জন মাটি চাপা পড়ে মারা গেছেন।
মাটি চাপা পড়ার ৬ ঘণ্টা পর তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
সোমবার ভোর ৬টায় চামেলীবাগ এলাকার ২
নম্বর রোডের ৮৯ নম্বর বাসাটি মাটির নিচে চাপা পড়ে।
নিহতরা হলেন, আগা করিম উদ্দিন (৩১),
তার স্ত্রী শাম্মী আক্তার রুজি (২৫) ও ছেলে নাফজি তানিম (২)।
আগা করিম ওই এলাকার মৃত আলাউদ্দিনের
ছেলে। দুর্ঘটনায় মাটিচাপা পড়েছিলেন একই পরিবারের মোট ৯ জন। ৩ জন ছাড়া বাকিদের উদ্ধার
করা হয় ঘটনার পরপর। তাদের মধ্যে ৩ জন আহত হন। আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন
সিসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি চুয়াডাঙ্গা ইউনিট অসহায় ও দরিদ্র শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
গতকাল আলমডাঙ্গা জেলা পরিষদ ডাকবাংলো চত্বরে শতাধিক শীতার্তদের মাঝে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এসময় বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের সেক্রেটারী শহিদুল ইসলাম সাহান, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাড. রফিকুল ইসলাম, হাবিবুল্লাহ জোয়ার্দ্দার ছটি, আব্দুল কাদের, আজীবন সদস্য সিরাজুল ইসলাম, মাহমুদুল কাওনাইন, আব্দুল জব্বার, যুব রেডক্রিসেন্টের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম ও উপজেলা যুব সদস্য শাহেদ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে কার্পাসডাঙ্গায় ঠাণ্ডা বাতাসের দাপট আর মাঝে মাঝে অসময়ের বৃষ্টি মিলে শীত জেঁকে বসেছে। হিম হিম ঠাণ্ডা আর কুয়াশায় নাকাল জনজীবন। শীতের এই তীব্রতা বেশি কাবু করেছে নিম্ন আয়ের মানুষকে। শীতার্ত অসহায় ও দুস্থ মানুষের উষ্ণতা দিতে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার শীতার্ত মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে ৬০ জন ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত কম্বল বিতরণের সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রোকসানা মিতা বলেন, সরকারি সহায়তার পাশাপাশি সামর্থবানরা এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের একটু সহায়তা লাঘব করতে পারে শীতার্তদের কষ্ট এবং দুর্বিষহ জীবন।
এ সময় শীতবস্ত্র বিতরণকালে আরো উপস্থিত ছিলেন, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ. করিম বিশ্বাস, প্যানেল চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মণ্টু, বিল্লাল হোসেন, দেলোয়ারা খাতুন, আলমগীর হোসেন, আ. রাজ্জাক, সাজিবার রহমান, আ. সালাম, ইউপি সচিব হাসানুজ্জামান, সহকারী হিসাব রক্ষক মতিউর রহমান, উদ্যোক্তা হারুনার রশীদ ও মেদুল হক সহ সকল ইউপি সদস্য।
মন্তব্য করুন