

নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লা শহরের আদর্শ সদর উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে এক মানবপাচারকারী ও পাসপোর্ট দালালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১টা ৩০ মিনিটে কুমিল্লা আদর্শ সদর ক্যাম্পের সেনা টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. সাজেদুল ইসলাম (৩৫)। তিনি কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার হালিমা নগর নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
এ সময় তার কাছ থেকে ৫২টি পাসপোর্ট, অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ৩টি, বাটন মোবাইল ফোন ১টি উদ্ধার করা হয়।
সাজেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানবপাচার, পাসপোর্ট জালিয়াতি, চাঁদাবাজি, অপহরণ এবং অস্ত্র রাখাসহ নানা অপরাধে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যেই তার বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
সেনাবাহিনী জানায়, অভিযান শেষে গ্রেপ্তার আসামি ও জব্দ সামগ্রী কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন আমতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে আসামী মোঃ ওয়াসিম (৩০) এবং মোঃ সবুজ (৩৮) নামক ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব। এ সময় আসামীদ্বয়ের হেফাজত হতে ৩৬ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ ওয়াসিম (৩০) বি.বাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার লালপুর গ্রামের মোঃ বিল্লাল হোসেন এর ছেলে এবং মোঃ সবুজ (৩৮) নওগাঁ জেলার সদর থানার দশপাইকা গ্রামের মোঃ আশরাফুল ইসলাম এর ছেলে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত ট্রাক ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে।
র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল:
শুকনা খাবারসহ নিত্যপণ্যের বাজারে
ভোক্তা অধিদপ্তরের তদারকি অভিযান, চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।
কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় সৃষ্ট বন্যার প্রেক্ষিতে শুকনা খাবারসহ নিত্যপণ্যের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে এমন তথ্যা পাওয়ায় নগরীর বৃহৎ পাইকারি বাজার চকবাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিশেষ তদারকি অভিাযান পরিচালনা করা হয়। চিড়া, মুড়ি, গুড়, গ্যাস সিলিন্ডারসহ নিত্যপণ্যের দোকানে এ তদারকি কার্যক্রম চলে। অভিাযানে অনিয়ম পাওয়ায় চার প্রতিষ্ঠানকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানাকৃত প্রতিষ্ঠানগুনলো যথাক্রমে বেশি দামে চিড়া বিক্রি করায় আনোয়ার স্টোরকে ১০ হাজার, ক্রয়ের ভাউচার না রেখে বেশি দামে মিষ্টি বিস্কুট বিক্রি করায় লক্ষণ স্টোরকে ৫ হাজার, বেশি দামে পেয়াজ বিক্রির প্রস্তাব করায় নারায়ণ চন্দ্র চৌধুরীকে ২ হাজার এবং অতিরিক্ত মূল্যে পেয়াজ বিক্রি এবং মূল্য উল্লেখ না করে ইচ্ছে মাফিক দামে বিক্রির সুযোগ করে দেওয়ায় শাহ পরান ট্রেডার্সকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ আজ মোট চার প্রতিষ্ঠাকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তদারকি করা হয় অন্তত অর্ধ শতাধিক নিত্যেপণ্যের দোকান। বেলা ১১টা থেকে সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলামের নেতৃত্বে চলা এ তদারকি কার্যক্রমে উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর একেচ আজাদ এবং কোতয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা:
কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় সেনাবাহিনীর এর বিশেষ অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ কামাল হোসেন (৫৭) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ১৯ আগস্ট মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় তার কাছ থেকে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৮টি ছুরি, ৫টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন এবং ৩টি বাটন মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


সুজন মজুমদার, বরুড়া:
কুমিল্লা জেলা বরুড়া উপজেলায় ১০০ জন প্রান্তিক মাছ চাষীকে দেওয়া হয়েছে বিনামূল্যে ১০০০ কেজি কার্প মিশ্র মাছের পোনা।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার (১৭ ও ১৮ অক্টোবর) সকালে উপজেলা মৎস্য দপ্তর আয়োজনে উপজেলার পরিষদ ও পয়ালগাছা স্থানে মোট ১০০০কেজি কার্প মিশ্র পোনা (রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউশ) ১০০ জন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক মাছ চাষিদের মাঝে এ পোনা বিতরণ করা হয়।
উপজেলা মৎস কর্মকর্তা সুরাইয়া জাহান নিতু নেতৃত্বে ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহমেদ হাছানের সভাপতিত্বে দুইদিন ব্যাপি প্রান্তিক মাছ চাষীদের মাঝে বিনামূল্যে পোনা মাছ বিতরণ করা হয়।
প্রান্তিক মাছ চাষীদেরকে পোনামাছ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা মৎস্য অফিসার বেলাল হোসেন। তিনি বলেন, মৎস্য অধিদপ্তরের রাজস্ব বাজেটের আওতায় ২০২৪ সালের বন্যায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের অনেক মৎস্য চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ওই সময় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষিদের তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠিয়েছিলাম। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মৎস্য অধিদপ্তরের রাজস্ব বাজেটের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০০ মৎস্য চাষিকে প্রণোদনার অংশ হিসেবে ১০০০ কেজি পোনা বিতরণ করা হয়েছে।
প্রান্তিক মাছ চাষী হেলেনা আক্তার বলেন, পোনা পেয়ে অনেক খুশি। বন্যার কারনে পুকুরের সব মাছ চলে যায়। আজ মাছ নিয়ে পুকুরে মাছ পেলে চারপাশে বাঁধ তৈরি করি।
অন্য আরেকজন মাছ চাষী মিজানুর রহমান বলেন, লাখ লাখ টাকার মাছ চলে গেছে, সেখানে কি আর ১০কেজি পোন মাছে পৌষবে?
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী পরিচালক (জেলা মৎস্য অফিস) অশোক কুমার দাস, উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা মৎস্য অফিসার (রিজার্ভ) জনাব সুদীপ্ত মিশ্র, লালমাই উপজেলা মৎস্য অফিসার হাবিবুর রহমান ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি;
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে কুমিল্লা জেলায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পূজা উৎসবকে ঘিরে উদ্ভূত যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন শ্রী শ্রী রাজরাজেশ্বরী কালী বাড়ি মন্দির প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে।
মেজর সাদমান বলেন, “পূজা মণ্ডপে র্যাবের নিয়মিত টহল, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি, সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ এবং জরুরি প্রয়োজনে মোবাইল টহল পরিচালনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কুমিল্লা শহরসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিশেষ টহলের ব্যবস্থা থাকবে।”
মেজর সাদমান আরও জানান, ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় র্যাব সবসময় অঙ্গীকারবদ্ধ। পূজার সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে সেজন্য র্যাবের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। এখানে সব ধর্মের মানুষ যেন নির্বিঘ্নে ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারে, সেটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
এবারের দুর্গাপূজায় কুমিল্লা জেলার ৮১২টিরও বেশি পূজা মণ্ডপ বসছে। প্রতিটি মণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাবের সদস্যরা নিয়মিত টহল ও পর্যবেক্ষণে থাকবেন। পাশাপাশি, গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপে থাকবে কন্ট্রোল রুম, মেটাল ডিটেক্টর এবং হ্যান্ডহেল্ড স্ক্যানার।
সাংবাদিকদের মাধ্যমে মেজর সাদমান কুমিল্লার সাধারণ জনগণকে আহ্বান জানান, পূজার সময়ে সন্দেহজনক কিছু দেখলে বা কেউ বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করলে সাথে সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাতে। “নিরাপত্তা শুধু বাহিনীর একার পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য জনগণের সচেতনতা ও সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেন তিনি জানান ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৬৪ কেজি গাঁজা ও ৯৬ বোতল ফেন্সিডিলসহ
তিনজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গতকাল (২৯ জুন) দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন বসন্তপুর এলাকায় মাদক
বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ৬৪
কেজি গাঁজা, ৯৬ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত দুইটি প্রাইভেটকার
উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- ১। মোঃ আবু জোবায়ের হোসেন (৩৮) কুমিল্লা
জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার বসন্তপুর গ্রামের হাফেজ নুর আহম্মদ এর ছেলে, ২। মোঃ ইসমাইল
হোসেন (২৫) একই গ্রামের শরীফ মোঃ ইউসুফ এর ছেলে এবং ৩। কবির হোসেন (৪২) কুমিল্লা
জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার কুড়িয়াপাড়া গ্রামের মৃত চেরু মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত প্রাইভেটকার দুইটি ব্যবহার
করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা ও ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে
কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয়
করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান
পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান
অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ
প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


ডিএনসি
কুমিল্লা মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করেছে ।
শনিবার বিকেলে মাদকবিরোধী এ টাস্কফোর্স অভিযানে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ ১ জনকে আটক করা হয়
।
আদর্শ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি)মো: মেহেদী হাসান এর নেতৃত্বে ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এর নির্দেশনায় এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক কাজী দিদারুল আলম এর সার্বিক তত্বাবধানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতয়ালী মডেল থানাধীন নিশ্চিন্তপুর বাজারে পরিচালিত এ টাস্কফোর্স অভিযানে ডিএনসি-কুমিল্লা, পুলিশ ও বিজিবির সদস্যদের অংশগ্রহণে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানাধীন মোসা: মিলন বিবি (৬৩) কে ৩৯৫ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয় ।
আসামীর
বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান ।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
গত বছরের ১৫ মার্চ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা আত্মহত্যা করেন। তার আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় অব্যহতি পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম।
তদন্তে অভিযোগ প্রমাণ না মেলায় অন্যহতি দেওয়া হয় বলে জানা যায়। তবে সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকীকে (আম্মান) অভিযুক্ত করা হয়।রোববার (১০ আগস্ট) কুমিল্লার আদালতে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা, কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মিজানুর অভিযোগ পত্র জমা দেন।
প্রায় দেড় বছর পর কুমিল্লার আদালতে রোববার (১০ আগস্ট) অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ওসি তদন্ত মিজানুর রহমান বলেন, অবন্তিকার মা সহপাঠী আম্মান ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে আসামি করে মামলাটি করেছিলেন। মামলাটি তদন্তে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাসহ ২৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অবন্তিকার মোবাইল ফোনে থাকা বেশ কিছু ছবি, স্ক্রিন শট, মেসেঞ্জার ও হোয়াটস অ্যাপের কিছু ক্ষুদে বার্তা জব্দ করা হয়। তার ফেসবুকে দেওয়া ‘সুইসাইড নোট’ পর্যালোচনা করা হয়েছে। মোবাইলটি ফরেনসিক ল্যাবে পাঠিয়ে প্রতিবেদন আনা হয়। আম্মান বিভিন্নভাবে অবন্তিকাকে মানসিকভাবে হয়রানি করতেন। মোবাইলে এমন কিছু ক্ষুদে বার্তাও পাওয়া গেছে। এসব হয়রানির কারণে অবন্তিকা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। সেসব উল্লেখ করেই অভিযোগ পত্র দেওয়া হয়েছে।গত বছরের ১৫ মার্চ রাতে কুমিল্লা নগরীর একটি ভাড়া বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা। এর আগে ফেসবুক পোস্টে শিক্ষক দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ করেন তিনি পরদিন ১৬ মার্চ তার মা তাহমিনা শবনম দুজনকে আসামি করে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন।
অবন্তিকার মা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মেয়ের মৃত্যুর নেপথ্যে জড়িতরা শাস্তি পাবে কিনা শুরু থেকেই সন্দেহ ছিল। যে জবি প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও মেয়েকে বাঁচাতে পারিনি, সেই প্রশাসন কীভাবে দায় এড়াতে পারে?’
তিনি আরও বলেন, ‘অবন্তিকার মতো অসংখ্য মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়রানির শিকার হয়। কেউ নীরবে সহ্য করে, কেউ প্রতিবাদ করে মৃত্যুর মুখে পড়ে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার ১৭টি উপজেলায় এ বছর ৭শ ৭৭টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর সবচেয়ে বেশি পুজামন্ডপ রয়েছে মুরাদনগর উপজেলায় ১শ ৪৪টি। সবচেয়ে কম পূজামন্ডপ রয়েছে মেঘনা উপজেলায় ৯টি। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখা সূত্রে এসব তথ্য জানা গিয়েছে।
জানা যায়, কুমিল্লা মহানগরীতে ৬৮টি পূজা মন্ডপ রয়েছে, আদর্শ সদর উপজেলায় পূজা মন্ডপ রয়েছে ২৬টি, সদর দক্ষিন উপজেলায় ৩০টি, লালমাই উপজেলা ১৮টি, বরুড়া উপজেলায় ৯১টি, লাকসাম উপজেলায় ৩৫টি, মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ১২টি, নাঙ্গলকোট উপজেলায় ১১টি, চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ২২টি, বুড়িচং উপজেলায় ৩৬টি, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় ১৩টি, চান্দিনা উপজেলায় ৬৫টি, দেবিদ্বার উপজেলায় ৯৫টি, দাউদকান্দি উপজেলায় ৪০টি, হোমনা উপজেলায় ৪৯টি এবং তিতাস উপজেলায় ১৩টি।
পূজাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনী নানা উদ্যোগ গ্রহন করেছে। দুর্গোৎসবকে সফলভাবে সম্পন্ন করতে আর যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সদা তৎপর থাকবে।
আর এসব বিষয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় শারদীয় দুর্গাপূজা নিয়ে সতর্ক অবস্থানে আছে প্রশাসন উল্লেখ করে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কুমিল্লা সেনানিবাসের ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উৎসবমুখর দুর্গাপূজা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই। কিন্তু আমরা সতর্ক আছি। আমি আপনাদের এই বার্তা দিতে এসেছি যে আমি আপনাদের সাথে আছি। আপনাদের সাথে সেনা বাহিনীর প্রতিটি সৈনিক আছে, প্রতিটি অফিসার আছে। আপনারা শুধু আমাদের তথ্য দিবেন-আমরা সঠিক ব্যবস্থা গ্রহন করবো। আমরা প্রতিটি জিনিস ঠিক করার চেষ্টা করবো। এ সময় জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সারের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা, মহানগর ও বিভিন্ন উপজেলার পুজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ।
এসময় আগত অতিথিরা সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে পুজা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে পরামর্শ ও নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। জেলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে দুর্গোৎসব সবার মাঝে আনন্দ আর ভ্রাতৃত্বের বন্ধন বাড়িয়ে তুলবে বলে প্রত্যাশা সবার।
মন্তব্য করুন


শিক্ষার্থীদের সৎ ও ভাল মানুষ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেছেন, দুর্নীতি এবং অপরাধের বিরুদ্ধে সচেতনতা এখন থেকেই তৈরি করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার কুমিল্লার দেবিদ্বার সরকারি রেয়াজউদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায়ী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন,গত ১৬ বছরে আমাদের দেশে এমন কোনো সেক্টর নেই যেখানে দুর্নীতি ঘটেনি। অফিস-আদালতে ঘুষ আর দুর্নীতি একটি প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মন্ত্রী ও এমপিরা দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। যারা এসব করছে, তারা একসময় তোমাদের মতোই ছিল। কিন্তু তারা সঠিক শিক্ষা পাননি। কোনো শিক্ষক তার ছাত্রদের অন্যায় শিক্ষা দেয় না। তোমরা যারা এখানে আছো, তোমাদের নিজেদের আগে দুর্নীতিমুক্ত এবং সৎ মানুষ হতে হবে। যোগ্যতা থাকুক বা না থাকুক, তবে আগে তোমাদের ভালো মানুষ হতে হবে। আমাদের দেশে যারা দুর্নীতিবাজ, তারা বেশিরভাগই শিক্ষিত এবং ভালো ফল অর্জনকারী। তারা ভালো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছে। কিন্তু তারা সঠিক শিক্ষা না পাওয়ায় দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে। একজন রিক্সাওয়ালা পদ্মাসেতুতে দুর্নীতি করতে পারে না, কারণ তার কাছে সেই সুযোগ নেই। সুযোগ না থাকার কারণে দুর্নীতি না করা এবং সুযোগ পেয়েও দুর্নীতি না করা এক নয়। যারা সুযোগ পেয়েও দুর্নীতি থেকে দূরে থাকে, তারা আসল সমাজ সেবক। দুর্নীতি ও অপরাধ না করার চর্চাগুলো এখন থেকেই তোমাদের শুরু করতে হবে।
মন্তব্য করুন