

নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দির গৌরীপুরে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রন হারিয়ে
খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় সাইফুল ইসলাম (৪২) নামে একজন নিহত হয়। তার বাড়ি কুমিল্লা নগরীর
পুলিশ লাইন এলাকায়।
আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটায় এ দূর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে
থানার ইনচার্জ মোঃ রুহুল আমিন।
তিনি জানান, দূর্ঘটনার পর সাইফুল ইসলামকে
গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে
মরদেহ ও দূর্ঘটনা কবলিত প্রাইভেটকার থানায় নিয়ে আসে। বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে আইননানুগ
প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে কিভাবে দূর্ঘটনাটি ঘটেছে
এ বিষয়ে জানে না পুলিশ।
এদিকে এক প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রাইভেটকারটি
ঢাকামূখী ছিলো। উল্টোদিক থেকে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে পাশ কেটে যাওয়ার সময় প্রাইভেটকারটি
খাদে গিয়ে পরে। খাদে প্রচুর পানি ও কচুরীপানা থাকায় সেখান থেকে উদ্ধার করতে দেরি হয়ে
যায়।
এদিকে নিহত সাইফুলের স্বজনরা দাবি করেন,
জরুরী কাজে সাইফুল ঢাকা যাচ্ছিলো। পথে দূর্ঘটনায় তিনি মারা যান। তার সাথে বেশ কিছু
টাকা ছিলো। সেগুলো আর পাওয়া যায়নি।
এদিকে সাইফুলের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে
আসে। নিহত সাইফুল স্ত্রী ও এক ছেলে এক মেয়ে
রয়েছে। তিনি ফিউরিয়াস মটো ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় তদারকি অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়।
শনিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার ধনপুর ও কাশিনাথপুর এলাকায় একটি শিশু খাদ্য প্রস্তুতকারক ও একটি খাদ্য পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে এ অভিযান চলে।
উক্ত অভিযানে দেখা যায়, ধনপুর এলাকার মেসার্স টি জে ফুড প্রোডাক্টস নামের একটি প্রতিষ্ঠান শিশু খাদ্য জিওজিও ও ছুটি নামের দুটি ব্রান্ডের চিপস প্রস্তুত ও মোড়কজাত করছে। কিন্তু চিপসের প্যাকেটের গায়ে উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ করছে না। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ফ্লোরে বসেই উৎপাদন ও মোড়কীকরণ করা হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার বিরোধী এমন কর্মকাণ্ডের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটি ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অন্যদিকে কাশিনাথপুর এলাকায় মেসার্স হাফসা সুইটস এন্ড বেকারিতে দেখা যায়, রং মিশ্রিত করমচাকে চেরি ফল বলে কেকে ব্যবহার করা হচ্ছে, বার্থডে কেকে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণের মেয়াদ নেই, অনুমোদনহীন বিদেশী উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিএসটিআই এর অনুমোদন না থাকলেও প্যাকেটে বিএসটিআই এর লোগো ব্যবহার করা হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার বিরোধী এমন কর্মকাণ্ডের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং অনুমোদনহীন পণ্য জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর একে আজাদ ও জেলা পুলিশের একটি টিম।
মন্তব্য করুন


সবুজের মাঝে ফুটে আছে গোল গোল ফুল। কোনোটি হলুদ, কোনোটি বেগুনি রঙের। কাছে গেলে ভুল ভাঙে। কারণ এগুলো রঙিন ফুলকপি। কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার শিবপুর গ্রামের মাঠে এই দৃশ্য দেখা যায়। এই জেলার ১৭টি উপজেলায় জনপ্রিয় হচ্ছে রঙিন ফুলকপি চাষ। চাহিদা বেশি ও স্বাদ ভালো হওয়ায় ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষক। আগামীতে তারা আরও বেশি জমিতে চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন।
শিবপুর মাঠে গিয়ে দেখা যায়, পাশের গ্রামের উৎসুক মানুষ রঙিন ফুলকপির জমির পাশে ভিড় করছেন। কেউ ফুলকপি কিনতে এসেছেন। কেউ জানতে এসেছেন কোথায় এর বীজ পাওয়া যায়। অনেকে ফুলকপি ধরে দেখছেন। হাত দিয়ে পরীক্ষা করছেন- রং আসল না কৃত্রিম!
শিবপুর গ্রামের কৃষক খলিলুর রহমান বলেছেন, দেড় যুগ ধরে সবজি চাষ করি। এ্ই প্রথমবার ১৫ শতক জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করেছি। প্রথমে মানুষ হাসাহাসি করেছে, ভালো ফলন হবে না বলে মন্তব্য করেছে। ফলন দেখে এখন অনেকে চাষের আগ্রহ প্রকাশ করছেন। প্রতিটি ফুলকপি বড়গুলো ৭০-৮০ টাকা, ছোটগুলো ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি। বৃষ্টিতে কিছু সমস্যা হয়েছে, না হলে আরও ভালো ফলন পেতাম।
স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেছেন, শিবপুরে প্রথম রঙিন ফুলকপির চাষ হয়েছে। এ চাষ দেখে অন্য কৃষকরাও আগ্রহ প্রকাশ করছেন। সাধারণ ফুলকপির চেয়ে এর দাম ভালো পাচ্ছেন কৃষক।
উপজেলা কৃষি অফিসার বানিন রায় বলেছেন, আমরা কয়েকজন কৃষককে রঙিন ফুলকপির বীজ দিয়েছি। তার মধ্যে শিবপুরের মাঠে ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকদের মধ্যে রঙিন ফুলকপি চাষের আগ্রহ বাড়ছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর পৃথক অভিযানে ৪০ কেজি গাঁজা’সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার।
আজ (২৬ এপ্রিল) সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন বানাশুয়া এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে মোঃ এমরান (৪৬) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে আজ দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন বানাশুয়া এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে সাইফুল (৩০) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ এমরান (৪৬) কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী থানার ফুলদি গ্রামের মোঃ সিরাজ এর ছেলে এবং ২। সাইফুল (৩০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার বানাশুয়া গ্রামের শাহজাহান এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে সেফটি ট্যাংক থেকে
প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে গ্রেফতারের
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুড়িচং থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক।
তিনি জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জের
ধরে ২ লাখ টাকা চুক্তিতে খুন করা হয় ফেরদৌসী বেগমকে। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে নিহতের
ঝা সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে আসামীরা আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- দক্ষিণগ্রামের জাহাঙ্গীর
আলমের স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৫০) একই গ্রামের মোঃ সোলাইমান ওরফে তনু মিয়ার ছেলে আনোয়ার
(৩০), মমতাজ উদ্দিনের ছেলে রুবেল আহমেদ মিন্টু (৩১), খোরশেদ আলমের ছেলে মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন
জিল্লু (২৭)।
ওসি জানান, রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ
গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার সৌদি প্রবাসী শামসুল হক আলমের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম নয়ন ও ঝা নুরজাহান
বেগম মধ্যে বাড়ির পাশের একটি জমি নিয়ে পূর্ববিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে কোন প্রকার
সুরহা না হওয়ায় ফেরদৌসী বেগমকে হত্যার পরিকল্পনা করে ঝা নুরজাহান বেগম।
পরিকল্পনা অনুযায়ী পার্শ্ববর্তী এলাকার
মাদকসেবী আনোয়ার হোসেনের সাথে দুই লাখ টাকায় হত্যার চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী
আনোয়ার হোসেন সাথে মমতাজ উদ্দিনের ছেলে রুবেল আহমেদ মিন্টু ও খোরশেদ আলমের ছেলে মোহাম্মদ
মাইনুদ্দিন জিল্লু এই দুজনকে যুক্ত করেন। চুক্তি অনুযায়ী গত ২৭ জুন শুক্রবার সকালে
ফেরদৌসী বেগমকে বাড়ির পাশের একটি নির্জন বাগানে হত্যা করে মরদেহ সেফটি ট্যাংকে ফেলে
দেয়। ফেরদৌসী বেগম নিখোঁজের পর থেকেই পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজিসহ
থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরে মঙ্গলবার সকাল ৮টায় স্থানীয়রা বাড়ি
থেকে ২শ গজ দূরে একটি নির্জন বাগানের সেপটিক ট্যাংকে বস্তাবন্দি লাশের সন্ধান পেয়ে
বুড়িচং থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে বুড়িচং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে
সেফটি ট্যাংক থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে।
এই ঘটনার পর নিহতের ছেলে ইকরামুল হাসান
বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর বুড়িচং থানা পুলিশ
প্রথমে নিহতের ঝা নুরজাহান বেগম আটক করে। পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে একপর্যায়ে হত্যার
ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে আরও তিন আসামিকে গ্রেফতার
করা হয়।এ সময় আসামিদের কাছ থেকে নিহতের কানের দুল, গলার চেইন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বুধবার দুপুরে কুমিল্লা
আদালতে পাঠালে আসামিরা হত্যার ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দী প্রদান করেন। পরবর্তীতে আসামিদের
কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা বাদশা মিয়ার
বাজার ও চকবাজারে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে
নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১১ নভেম্বর) এ অভিযানে দুটি
দোকানের বিরুদ্ধে দুটি মামলায় মোট ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং প্রায় ২০২
কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগ জব্দ করা হয়েছে।
অভিযানে মোবাইল কোর্টের দায়িত্ব পালন
করেন, কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
মো: ফরিদুল ইসলাম এবং মাহমুদা আক্তার জ্যোতি।
অভিযানে প্রসিকিউশনের দায়িত্ব পালন
করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট মোঃ রায়হান মোর্শেদ
এবং পরিদর্শক চন্দর বিশ্বাস।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উক্ত কার্যালয়ের
হিসাবরক্ষক তোফায়েল আহমেদ মজুমদার এবং জেলা পুলিশের সদস্যবৃন্দ।
পরিবেশ সুরক্ষায় এ ধরনের কার্যক্রম
ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ২,০০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ
দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
২৬ সেপ্টেম্বর রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক
দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন পাঁচথুবী ইউ.পির শাহপুর
এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ সোহেল (২৪) এবং ২। মোঃ মিজানুর
রহমান আলীম (৪০) নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে
২,০০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সোহেল (২৪) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী
মডেল থানার জালুয়াপাড়া গ্রামের মোঃ মফিজ এর ছেলে এবং আসামী মোঃ মিজানুর রহমান আলীম
(৪০) একই গ্রামের নুরুল হক এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার মামলা রুজু করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে অটো মিশুক চালক সৈকত হত্যার ঘটনা জড়িত অন্যতম আসামি তুহিন মজুমদারকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২ সদস্যরা।
গ্রেফতার হওয়া তুহিন মজুমদার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের বাবুল মজুমদারের ছেলে। ৭ আগস্ট রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ৩ জুলাই রাতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বাহেরগড়া এলাকার নাঙ্গলিয়া খাল পাড়ে সৈকত (১৯) নামে এক অটোমিশুক চালক নৃশংসভাবে খুন হয়।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ভিকটিম তাফরুল ইসলাম সৈকত (১৯) অটো মিশুক চালানোর উদ্দেশ্যে গত ০২ জুলাই বিকাল ৫ টায় বাড়ী থেকে বের হয়। রাত ১১ টা অতিবাহিত হওয়ার পরও সৈকত বাড়ীতে না ফেরায় তার পরিবার তাকে বিভিন্ন স্থানে খোজ করতে থাকে। পরবর্তীতে বিকাল সাড়ে ৫ টায় চৌদ্দগ্রামের মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বাহেরগড়া এলাকার নাঙ্গলিয়া খাল পাড়ে ভিকটিম সৈকত (১৯) এর লাশ পাওয়া যায়।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-০৭। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি ও ছায়াতদন্ত শুরু করে।
গোয়েন্দা নজরদারী ও ছায়াতদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত অন্যতম আসামী তুহিন মজুমদার (৩২) এর অবস্থান চৌদ্দগ্রাম থানা এলাকায় শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ০৭ আগষ্ট রাতে র্যাবের অভিযানে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন বসন্তপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অন্যতম আসামী তুহিন মজুমদারকে (৩২) গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী সহ অন্যান্য আসামীদের সাথে ভিকটিমের সু-সম্পর্ক ছিল। সে সূত্র ধরে গত ০১ জুলাই রাতে গ্রেফতারকৃত আসামী সহ তার অন্যান্য সহযোগী আসামীরা একত্রে মিলিত হয়ে ভিকটিমকে হত্যা করে তার অটো মিশুকটি ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে। তারই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন ০২ জুলাই রাত ১১ টায় আসামীরা অটো মিশুকসহ ভিকটিমকে নিয়ে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন মুন্সীরহাট ইউনিয়নের বাহেরগড়া এলাকার নাঙ্গলিয়া খাল এলাকায় গিয়ে সবাই মিলে বসে গল্প করে। এক পর্যায়ে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক গ্রেফতারকৃত আসামীর নির্দেশে ঘটনাস্থলের পাশে লুকিয়ে রাখা চাপাতি দিয়ে অন্যান্য আসামীরা ভিকটিমকে কুপিয়ে হত্য করে ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে ভিকটিমের কাছে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল এবং অটো মিশুকটি নিয়ে লাশ খালে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-১১, সিপিসি ২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার গাইনি চিকিৎসক ডা. ফাহমিদা আজিম কাকলী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।চিকিৎসকের বড় ভাই মনজুরুল আজীম পলাশ এই মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কয়েক দিন আগে ডা. কাকলী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। এ সময় তার কিডনি ও লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গতকাল শনিবার অবস্থার দ্রুত অবনতি হলে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হঠাৎ রক্তচাপ কমে যাওয়ায় তাকে আইসিইউ থেকে ভেন্টিলেশনে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই আজ সকালে তিনি মারা যান।
ডা. কাকলীর মৃত্যুতে কুমিল্লায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি কুমিল্লা ময়নামতি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং নগর মাতৃসদন কুমিল্লার কনসালট্যান্ট ছিলেন। বহু দরিদ্র রোগীর বিনামূল্যে সিজার করিয়েছেন বলে মানবিক চিকিৎসক হিসেবে তার পরিচিতি ছিল।
স্বজনরা জানিয়েছেন, তার মরদেহ আপাতত হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত তার একমাত্র কন্যা তুর্ণা দেশে ফিরলে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হবে
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার চান্দিনায় কাভার্ডভ্যানের
পেছনে ট্রাকের ধাক্কায় মো. নাজমুল (৫০) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মহাসড়কের
উভয় পাশে অন্তত ১০ কিলোমিটার জুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়।
আজ রোববার (২৪ আগস্ট) ভোরে ঢাকা-চট্রগ্রাম
মহাসড়কের চান্দিনার ছয়ঘড়িয়া এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নাজমুল চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার
শিবগঞ্জ উপজেলার শরতনগর গ্রামের মৃত সেকান্দার আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রোববার ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনের ছয়ঘড়িয়া এলাকায় একটি মালবোঝাই কাভার্ডভ্যানকে পেছন থেকে ধাক্কা
দেয় অপর একটি ট্রাক। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রাকে থাকা ব্যবসায়ী নাজমুল নিহত হয়। এ ঘটনায়
মহাসড়কের উভয় পাশে যানজট সৃষ্টি হয়। সকাল ১১টায় হাইওয়ে পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক
ও কাভার্ডভ্যান উদ্ধার করে। তারপর থেকে ধীর গতিতে
যান চলাচল শুরু করে। দুপুর ১টায় মহাসড়কে
যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন- এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও চিকিৎসাধীন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সাথে মতবিনিময় করেছেন ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম।
আজ রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩ টায় প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় সমন্বয়ক, আহত ও চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীরা তাদের স্মৃতিচারণ করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন দাবী উপস্থাপন করেন।
ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের সকল কথা শুনেছি। সকল দাবীই যৌক্তিক। আমাদের এসব দাবী পূরণের তীব্র ইচ্ছা থাকলেও সক্ষমতা কম রয়েছে। দুটি হলের নাম অফিসিয়ালি পরিবর্তন করতে একটু সময়ের দরকার। আবদুল কাইয়ুমের স্মৃতি স্মরণীয় করে রাখার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার ইচ্ছা থাকলেও আমাদের সক্ষমতা সীমিত। কারণ এসব চিকিৎসা অনেক ব্যয় বহুল। তবে আমরা আহতদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করে চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার জন্য উপদেষ্টাদের কাছে তা পাঠিয়ে দেবো। সেখান থেকে তাঁরা সাহায্য করবেন বলে আমরা আশাবাদী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সকল দাবী পূরণে চেষ্টা করবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আহসান উল্যাহ।
মন্তব্য করুন