

কুমিল্লার তিন উপজেলা থেকে একদিনে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেলের মধ্যে জেলার লাকসাম, লালমাই ও আদর্শ সদর উপজেলা থেকে এই মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ জন যুবক ও ১ জন মাদরাসাছাত্র বলে জানা গেছে।
আদর্শ সদর উপজেলার ছত্রখিল পুলিশ ফাঁড়ি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুরে উপজেলার দুতিয়ার দিঘিরপাড় থেকে সামিউল বাসির (১১) নামে এক মাদরাসাছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সামিউল সদর দক্ষিণ উপজেলার আবু ইউসুফের ছেলে এবং দিঘিরপাড় এলাকার গাউছিয়া হাফেজিয়া সুন্নিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায় লেখাপড়া করতেন।
সামিউলের স্বজনরা জানান, ২৭ অক্টোবর দুপুরের পর থেকে তারা সামিউলের খোঁজ পাচ্ছিলেন না। এ নিয়ে আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি। ছত্রখিল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক “মো. মমিরুল হক” বলেন, বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে সামিউলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, লাকসাম পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গাজীমুড়া উত্তরপাড়ায় নিখোঁজের ৩ দিন পর সাব্বির হোসেন (২২) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকালে গাজীমুড়া বড় মসজিদের পাশের একটি পরিত্যক্ত আইসক্রিম কারখানার ভেতর থেকে দুর্গন্ধ আসছিল। আশপাশের লোকজন গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানার ভেতরে সাব্বিরের মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেন। নিহত সাব্বির ওই এলাকার সৈয়দ আহমেদের ছেলে।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) “নাজনীন সুলতানা” বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে, সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের লালমাই উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের হরিশ্চর এলাকা থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের (৩০) মরদেহ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
লাকসাম রেলওয়ে থানার (ওসি) “মো. জসিম উদ্দিন” বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ভোররাতের পর কোনো একসময় চট্টগ্রামগামী ট্রেনের ধাক্কায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শরীর ও মাথায় গুরুতর জখমের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল সীমান্ত এলাকা থেকে প্রায় তিন কোটি টাকার অধিক মূল্যের ভারতীয় উন্নতমানের শাড়ি জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আজ সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সুলতানপুর ৬০ বিজিবি এসব শাড়ি জব্দ করে।
বিজিবির সূত্রে জানা যায়, অভিযান চালিয়ে একটি পিকআপসহ বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার করে। এসব শাড়ির আনুমানিক বাজারমূল্য ৩ কোটি টাকারও বেশি বলে জানায় বিজিবি।এ বিষয়ে সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জিয়াউর রহমান বলেন, সীমান্ত নিরাপত্তা ও চোরাচালান প্রতিরোধে ৬০ বিজিবির অভিযান সর্বোতভাবে অব্যাহত রয়েছে এবং থাকবে। সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাচালান দমনে বিজিবি শূন্য সহনশীল নীতি অনুসরণ করছে। জব্দকৃত মালামাল পরবর্তী আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হবে বলে বিজিবি সূত্রে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২০০ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন ।
শুক্রবার (২৩ আগষ্ট) রাতে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা জগন্নাথপুর ইউনিয়নে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান ও আবু রায়হানের নেতৃত্বে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মিলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের শুকনা খাবার বিতরণ করেন।
বন্যার্তদের মাঝে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়ক রাশেদুল হাসান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীরা মিলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এগিয়ে এসেছি। আমরা এখানে ২০০ পরিবারকে সাহায্য করেছি।
আরেকজন সমন্বয়ক আবু রায়হান বলেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে আমাদের
শিক্ষার্থীদেরকেই মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা মানুষদেরকে সাহায্য করতে এগিয়ে
এসেছি। আমাদের মত সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে আমরা বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে
পারবো। বিপদে আমরা সবাই একসাথে মানুষদের পাশে দাঁড়াবো।
মন্তব্য করুন


ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনালে বাংলাদেশের সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয় ৩য় রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। এসোসিয়েশন অব ইউনির্ভাসিটিজ অব এশিয়া এন্ড প্যাসিফিক এর আয়োজনে গত ৮ ও ৯ এপ্রিল দ্বিতীয় আন্তার্জাতিক ইংলিশ স্টুডেন্ট ডিবেট কম্পিটিশনের আয়োজন করা হয় ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অবস্থিত রিজাল টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে। প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ এশিয়ার ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের মোট ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করেন।
কুমিল্লার সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান মনির হোসেনের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো: আরাফাত কবির, তাফহিমুল ইসলাম স্বপ্ন এবং মাহির তাজওয়ার আকাশ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে ফিলিপাইনে পদার্পন করেন। প্রথমবার অংশগ্রহন করেই নামকরা ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে লড়াই করে সেরা পাঁচ-এ অবস্থান করে নেন কুমিল্লার সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইনালে শেষ পর্যন্ত ৩য় রানার আপের গৌরব অর্জন করেন টিম-সিসিএন।
বুধবার অনুষ্ঠিত ফাইনাল রাউন্ডে প্রথম স্থান অর্জন করেন ফিলিপাইনের রিজাল টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি, ফার্স্ট রানার আপ ফিলিপাইনের ভিসায়াস স্টেট ইউনিভার্সিটি, দ্বিতীয় রানার আপ বাংলাদেশের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৩য় রানার আপ কুমিল্লার সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। কুমিল্লার সবুজে ঘেরা কোটবাড়ি এলাকায় অবস্থিত সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অর্জনে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শুভাকাঙ্খীরা আনন্দিন, উচ্ছ্বসিত। বিশ্ব জয় করার এ যেন অনন্য প্রেরণা।
সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ড. তারিকুল ইসলাম চৌধুরী অনুভূতি ব্যাক্ত করে জানান, সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আন্তর্জাতিক মানের সিলেবাসে পাঠদান করে আসছি। ফিলিপাইনে আমাদের বিতার্কিক টিমটির আজকের অর্জিত সফলতা তারই অংশ বিশেষ। সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক মানের বেশ কয়েকটি সেমিনার করে থাকি এবং আমাদের শিক্ষার্থীরাও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করে আসছে। সর্বোপরি আমরা সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণামূলক করে একাডেমিক সিলেবাস সাজিয়েছি এবং তা বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। তিনি আরো বলেন-আজকের অর্জন অনাগত দিনে বিশ্বপরিমন্ডলে সিসিএন-এর বিচরণ বৃদ্ধি পাবে, সফলতার ঝুলি আরও পূর্ণ হবে। আমাদের স্বপ্ন আকাশ সমান। সিসিএন-ইউএসটি ডিবেট টিম সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিশেষত তিনজন বিতার্কিক নিহাদ, স্বপ্ন ও আকাশের প্রতি আমাদের অশেষ শুভকামনা ও কৃতজ্ঞতা।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন , কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় অটোরিকশা চালক মাঈন উদ্দিন (১৭) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল আসামি রফিককে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১।
কক্সবাজারের ঈদগাঁও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, গত ১৬ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ সকালে বুড়িচং থানাধীন ষোলনল ইউনিয়নের ভান্তি এলাকায় গোমতী বেড়িবাঁধের সুইচগেটের পশ্চিম পাশে মাঈন উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশ হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, নিহত মাঈন উদ্দিন ১৫ নভেম্বর বিকাল ৫টার দিকে সাতরা চম্পকনগর এলাকার একটি গ্যারেজ থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হন। রাত ৮টার পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরদিন সকাল সাড়ে ৭টায় ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরপরই আসামিদের গ্রেফতারে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি ও ছায়াতদন্ত শুরু করে।
গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-১১ জানতে পারে, হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি মোঃ রফিক (৪০) কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও থানায় আত্মগোপনে রয়েছে। পরে ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে কক্সবাজারের ঈদগাঁও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মোঃ রফিক (৪০) গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার মাঠের হাট এলাকার মৃত ফখর উদ্দিনের ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। সে জানায়, ১৫ নভেম্বর রাতে অটোরিকশা চালানোর সময় সে ও তার সহযোগীরা মাঈন উদ্দিনের পথরোধ করে দুই হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গেঞ্জি দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়। পরে তারা অটোরিকশা থেকে পাঁচটি ব্যাটারি নিয়ে পালিয়ে যায়।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে বুড়িচং থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানা এলাকায় বিষাক্ত মদপানে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৩ আগস্ট বুধবার উপজেলার রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের বাখরাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তারা হলেন- রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের দক্ষিণ বাখরাবাদ গ্রামের প্রয়াত মহাদেব সরকারের ছেলে তপন চন্দ্র সরকার (৫০) ও একই গ্রামের প্রয়াত নিত্যন চক্রবর্তীর ছেলে পলাশ চক্রবর্তী (৩৮)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভোর রাতে স্পিরিট জাতীয় বিষাক্ত অ্যালকোহল (মদ) খেয়ে তপন চন্দ্র সরকার ও পলাশ চক্রবর্তী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদেরকে পরিবারের লোকজন মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে পলাশ চক্রবর্তীকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। অপরজন তপন চন্দ্র সরকারের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। কুমিল্লা নেওয়ার পথে তপন চন্দ্র সরকার মারা যান। আজ বুধবার বিকেলে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ পলাশের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ আসার পূর্বেই তপনের লাশ দাহ করা হয়।
বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি হোমিওপ্যাথি দোকানের স্পিরিট জাতীয় অ্যালকোহল (মদ) পানে ২ জন মারা গেছেন। পলাশের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তপনের লাশ দাহ করে ফেলায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পলাশের লাশ ময়না তদন্তের জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মুরাদনগরের কড়ইবাড়িতে মা, ছেলে ও মেয়েসহ তিনজনকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার দুই দিন পর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাতে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তাররা হলেন— কড়ইবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মো. সবির আহমেদ (৪৮) ও মো. নাজিমউদ্দীন বাবুল (৫৬)।
শুক্রবার (৪ জুলাই) দিবাগত রাতে নিহতের মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদি হয়ে ৬৩ জনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেন। বাঙ্গরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পুলিশ শুক্রবার বিকেল ৫টার পর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে লাশ তিনটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর রাত সাড়ে ৮টার পর পুলিশি পাহারায় নিহতদের বাড়ির পশ্চিম পাশে কড়ইবাড়ি কবরস্থানে লাশগুলো দাফন করা হয়। তবে এই সময় হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া তাদের জানাজায় এলাকাবাসী কিংবা আত্মীয়-স্বজন কাউকে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। পরে রাতে নিহত রুবির মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাঙ্গরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, নিহত তিনজনের লাশ দাফনের পর রাতে রুবির মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় রাতে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুরাদনগরের কড়ইবাড়ি গ্রামে এলাকাবাসী একটি মোবাইল ফোন চুরি ও মাদক ‘ব্যবসার’ অভিযোগ তুলে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন- কড়ইবাড়ি গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা আক্তার রুবি (৫৮), তার ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) এবং মেয়ে জোনাকি আক্তার (৩২)। ওই সময় হামলায় আহত হন রুবির আরেক মেয়ে রুমা আক্তার (২৫)। তিনি বর্তমানে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মন্তব্য করুন


পরকীয়া প্রেমে বাঁধা দেওয়ায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণে রাজ গোয়ালি মোঃ ইয়াছিন মিয়া (২৫) কে ছুরিকাঘাতে হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপরজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খান।
মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ শাহজাহান মিয়া (৩৭) ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি সেলিম মিয়া (৪৭) হলেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন জোলাই কুড়িয়াপাড়া (ফকিরমূড়া) গ্রামের মৃত আলী মিয়ার ছেলে।
রায় ঘোষণাকালে দন্ডপ্রাপ্ত উভয় আসামি আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে ও আদালত সূত্রে জানা যায়- নিহতের খালাতো ভাইয়ের স্ত্রী মোসাঃ জেসমিন আক্তার (৩৭) এর সহিত আসামি মোঃ শাহজাহান মিয়া'র পরকীয়া প্রেম বাধা দেওয়ায় আসামিরা পরষ্পর যোগসাজশে ২০২০ সালের ১৮ মে দিবাগত রাত সোয়া ৯টায় স্থানীয় মসজিদে নামাজ পড়ে বাড়ী ফেরার সময় প্রথমে ভিকটিমের বড়ভাই বাদী মোঃ মিজানুর রহমানকে ধারালো চুরি দিয়ে ঘাই মারে পরে ভিকটিম ইয়াছিন মিয়ার বুকে ধারালো অস্ত্র ছুরিকাঘাতে হত্যা করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর নিহতের স্বজনরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ইয়াছিনকে উদ্ধার করে কুমেক হসপিটাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরদিন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন জোলাই কুড়িয়াপাড়া (ফকিরামূড়া) গ্রামের মোঃ শাহজাহান খানের ছেলে নিহতের বড়ভাই মোঃ মিজানুর রহমান (৩৫) বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত আলী মিয়ার তিন ছেলেসহ ৫ জনকে আসামি করে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) মোঃ জসিম উদ্দিন ও কুমিল্লা পিবিআই এসআই (নিঃ) আব্দুর রজ্জাক সর্দার তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার ৩ দিনপর অর্থাৎ ২০২০ সালের ২১ মে আসামি মোঃ শাহজাহান ও ১১ জুন আসামি সেলিম মিয়াকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করে দন্ডিত আসামিদ্বয়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর দণ্ডবিধির ৩৪১/৩২৪/৩০২/৩৪ ধারার বিধানমতে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি বিচারে আসলে ২০২৩ সালের ২৩ মার্চ আসামিদ্বয়ের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় চার্জ গঠনক্রমে রাষ্ট্রপক্ষে ৯জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে এবং আসামি মোঃ শাহজাহান মিয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামিদ্বয়কে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারার বিধানমতে দোষী সাবস্ত ক্রমে আসামি মোঃ শাহজাহান মিয়াকে মৃত্যু দণ্ড এবং আসামি মোঃ সেলিম মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড: সেই সাথে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন আদালত।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্তীয় কৌশলী অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট নুরুল ইসলাম বলেন আমরা আশাবাদী শীঘ্রই উচ্চ আদালত রায় বহাল রেখে দ্রুত কার্যকর করবেন।
এদিকে, এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসামি পক্ষে নিযুক্তীয় কৌশলী এডভোকেট জালাল উদ্দীন টিপু বলেন রায়ের কপি হাতে পেলে শীঘ্রই উচ্চ আদালতে আপীল করবো।
মন্তব্য করুন


সাইদুর রহমান, প্রতিবেদক:
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর সহকারী পরিচালক
ডাঃ নিশাত সুলতানা কে উপ-পরিচালক হিসাবে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ
মন্ত্রণালয়াধীন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির সুপারিশ এবং মহামান্য
রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ফিডার পদে অভিজ্ঞতার শর্ত প্রমার্জনের পরিপ্রেক্ষিতে বিসিএস (স্বাস্থ্য)
ক্যাডারের নিম্নোক্ত ৪৪ জন কর্মকর্তাকে উপ-পরিচালক/সমমান পদে পদোন্নতি প্রদান সম্পর্কে
এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
উক্ত পদোন্নতি পেয়ে ডাঃ নিশাত সুলতানা কুমিল্লা
টুয়েন্টিফোর টেলিভিশনকে জানান - পদোন্নতি পাওয়া আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের
মুহূর্ত। এটি শুধু ব্যক্তিগত সাফল্য নয় বরং আমার দীর্ঘদিনের পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধের
স্বীকৃতি। এই অর্জন আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করেছে ভবিষ্যতে আরও দায়িত্বশীলভাবে কাজ করতে
এবং প্রতিষ্ঠানকে আরও এগিয়ে নিতে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে
নিয়ে তার পরবর্তী পরিকল্পনা - আমার মূল লক্ষ্য হলো হাসপাতালের
সেবার মান আরও উন্নত করা এবং রোগীসেবাকে আরও মানবিক ও দক্ষ করা। এজন্য আমি কয়েকটি দিককে
অগ্রাধিকার দিতে চাই —
চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন: আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন, নিয়মিত প্রশিক্ষণ এবং সঠিক তদারকির মাধ্যমে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় আরও নির্ভুলতা আনা।
মানবিক সেবা: চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীদের মধ্যে সহানুভূতি
ও নৈতিকতা জাগ্রত করে রোগীদের প্রতি যত্নশীল মনোভাব বৃদ্ধি করা।
গবেষণা ও শিক্ষা: চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের
বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ বাড়ানো।
পরিচ্ছন্নতা ও ব্যবস্থাপনা: হাসপাতালের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন
রাখা এবং ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সেবা সহজলভ্য করা।
কমিউনিটি সংযোগ: সাধারণ জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য
সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা কার্যক্রম জোরদার করা।
আমার বিশ্বাস, এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলে
আমাদের হাসপাতাল একটি আদর্শ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ১টি বিদেশী পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন,
২ রাউন্ড গুলি ও ১টি মোটর সাইকেলসহ তিনজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী মডেল থানা।
বৃহস্পতিবার রাতে কোতয়ালী মডেল থানার
এসআই (নিঃ) মো: মনির হোসেন সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন
২নং দূর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের আড়াইওড়া ভোলানগর গ্রামে রুপা ব্রিক ফিল্ডের পাশে সেলিম
মিয়ার মুদি দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপরে ১টি মোটর সাইকেলযোগে তিনজন ব্যক্তি চেকপোষ্টের
কাছাকাছি পৌঁছে পুলিশের উপস্থিতি দেখে মোটর সাইকেল দ্রুতগতিতে চালিয়ে পালানোর চেষ্টা
করলে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তিদেরকে দেহ তল্লাশী করে মোঃ মোজাম্মেল এর প্যান্টের
নিচে কোমরে গোজা অবস্থায় ১টি বিদেশী পিস্তল ও ওমর ফারুক এর প্যান্টের ডান পকেট থেকে
১টি ম্যাগজিন ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: কুমিল্লা
জেলার আড়াইওড়া এলাকার আব্দুল আউয়াল এর ছেলে মো. মোজাম্মেল (২৯), বুড়িচং উপজেলার মোকাম
গ্রামের ইয়াছিন মিয়ার ছেলে ওমর ফারুক(৩২), একই এলাকার মোঃ তাজুল ইসলাম এর ছেলে শাহপরান
সোহাগ (৩০)।
উক্ত ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা
দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


ডিএনসি কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী
ইমরুল হাসান এরঁ সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও উপপরিদর্শক মো: মুরাদ হোসেন এর নেতৃত্বে আজ
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন নিমসার বাজারের
পশ্চিমে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ পার্শ্বে গাড়ি চালকদের বিশ্রামাগারের পাশে রাস্তার উপর ঢাকা অভিমুখী হানিফ-পাহাড়িকা ডিলাক্স
নামক বাস তল্লাশী করে ১৫ কেজি গাঁজাসহ মোসা: কল্পনা আক্তার (৩০) ও কুলসুম আক্তার (২৪)
নামীয় দুইজন আসামিকে আটক করা হয়।
আসামী মোসা: কল্পনা আক্তার ও কুলসুম
আক্তার দুটি কাপড়ের ব্যাগে ৭.৫ কেজি করে মোট ১৫ কেজি গাঁজা নিয়ে কুমিল্লার নিমসার বাজার থেকে হানিফ-পাহাড়িকা ডিলাক্স
নামক বাসে ওঠেন।
আসামিরা জানান যে, সংসার চালানোর জন্য
টাকার বিনিময়ে এটি ঢাকায় পৌঁছে দিবেন।
আটককৃত আসামি মোসা: কল্পনা আক্তার
(৩০) কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার বুরবুরিয়া
গ্রামের মো: মাসুদ রানার স্ত্রী। অপর আসামি কুলসুম আক্তার (২৪) কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার দুর্গাপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদের
স্ত্রী।
আসামীদের বিরুদ্ধে উপপরিদর্শক মো: মুরাদ
হোসেন বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন