

কুমিল্লায় একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে খিচুড়ি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শালধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আল-আমিনকে হত্যার দায়ে মোঃ নেয়ামত উল্লাহ নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরবেলা কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছা: ফরিদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন: কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন শালধর (সামারচর) গ্রামের মোঃ মোসলেম সরদারের ছেলে মোঃ নেয়ামত উল্লাহ (১৮)।
মামলার বিবরণে জানাযায়, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী মাগরিবের নামাজের শেষে শালধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ভিকটিম আল-আমিন (৯) মাহফিলের কথা বলে বাড়ীতে ফিরে না আসায় তাঁর পিতাসহ আত্মীয় স্বজন বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করে না পেয়ে পরদিন কোতয়ালী মডেল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে পরেরদিন শালধরের জৈনক দেলোয়ার হোসেন এর বাগানের পাশে পুকুরে ছোট শিশুর মরদেহ ভাসতে দেখে শোর চিৎকার করে মোঃ আল আমিন এর পিতা। আল-আমিন এর মরদেহ পুকুর থেকে উপরে তুলে দেখেন আল-আমিনের ঘাড়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এ ব্যাপারে ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী ভিকটিম মোঃ আল আমিন এর পিতা বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী থানাধীন শালধর গ্রামের মৃত মালু মিয়ার ছেলে মোঃ ফয়েজ আহমেদ ও অজ্ঞাতনামা আসামি করে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সারওয়ার আলম তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি মোঃ নেয়ামত উল্লাহ (১৮) ও মোঃ শাহ জাহানকে আটক করে।
পরবর্তীতে মামলাটি বিচারে আসলে রাষ্ট্রপক্ষে ১৫জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামি মোঃ নেয়ামত উল্লাহ এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার বিধানমতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০১ ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী এপিপি মোঃ জাকির হোসেন বলেন, আশা করছি উচ্চ আদালত উক্ত রায় বহাল রাখবেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ১৫ কেজি গাঁজা’সহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারী) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী ১। মোঃ শাহাদাৎ হোসেন (৩১) ও ২। মোঃ রুবেল (৩০) নামক ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীদ্বয়ের হেফাজত হতে ১৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- ১। মোঃ শাহাদাৎ হোসেন (৩১) চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার উত্তর চাঁদপুর গ্রামের মৃত নূরুল হক কারী এর ছেলে এবং ২। মোঃ রুবেল (৩০) কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার লক্ষীপুর গ্রামের মোঃ সাত্তার এর ছেলে।
আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
আজ
মঙ্গলবার (৩ জুন) কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার ইসলামপুর এলাকায় ভোক্তা অধিদপ্তর, কুমিল্লা অভিযান
পরিচালিত হয়েছে। এই সময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ফুড কালার দিয়ে বেকারী
পন্য ও পার্টি কেক তৈরী করায় মাঈনউদ্দিন বেকারিকে ভোক্ত অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনুযায়ী
২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যকর
পরিবেশে বেকারি পণ্য তৈরী ও বাজারজাত করতে ভবিষ্যতে আরো সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দেয়া
হয়েছে।
ভোক্তাদের
স্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


জেলা তথ্য অফিস, কুমিল্লার আয়োজনে লাকসাম উপজেলার দৌলতগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ)’র আওতায় স্মার্ট বাংলাদেশ ও ভিশন: ২০৪১, সরকারের অর্জিত সাফল্য ও উন্নয়ন পরিকল্পনা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের গুরুত্ব এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধ, মাদক, গুজব, সাম্প্রদায়িকতা, অপপ্রচার, অপরাজনীতি এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ বিষয়ে বুধবার (২৪ জানুয়ারি) নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সহকারী তথ্য অফিসার মোহাম্মদ রাশেদুল হক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আব্দুল হাই সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: মাজহারুল ইসলাম, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুমন চন্দ্র দেবনাথ ও দৌলতগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুল কমিটির সভাপতি মো: আবুল কাশেম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৌলতগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্ব জিত চন্দ্র সাহা। নারী সমাবেশের পূর্বে চলচ্চিত্র প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তাগন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মান করতে সক্ষম হয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল আপনারা পাচ্ছেন। এখন স্কুল-কলেজে ভর্তির জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম যেতে হয় না। বাড়িতে বসে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়। মোবাইল এ্যাপসের মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা চলে আসে, স্কুলে উপবৃত্তির টাকা মোবাইলে চলে আসে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারী সমাজের ভূমিকা অপরিসীম, শিক্ষার ক্ষেত্রেও নারীর ভূমিকা অপরিসীম। অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে গুজব, সাম্প্রদায়িকতা, অপরাজনীতি, অপপ্রচারকে প্রতিরোধ করতে হবে। উন্নত রাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলন ও বিনা মূল্যে বই বিতরণসহ শিক্ষা ক্ষেত্রে বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের উপযোগী মানুষ হিসেবে সন্তানদের গড়ে তোলার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। বক্তাগন মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ এর প্রতি জিরো টলারেন্সের কথা উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে মানুষকে এই অপারাধ গুলির বিরুদ্ধে জোরালো ভূমিকা রাখার অনুরোধ করেন।
মন্তব্য করুন


আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) কুমিল্লা প্রেসক্লাব সংলগ্ন সড়কে হেযবুত তওহীদ কুমিল্লা জেলা শাখার উদ্যোগে সংগঠনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ফিলিস্তিনে গণহত্যার বন্ধ করার দাবীতে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- হেযবুত তওহীদ চাঁদপুর জেলা সভাপতি মোঃ ওমর ফারুক,হেযবুত তওহীদ কুমিল্লা জেলা বাণিজ্য সম্পাদক তসলিমা মোবারক আজাদ, হেযবুত তওহীদ লাকসাম উপজেলা সভাপতি মোঃ ফয়সাল মোহাম্মদ,হেযবুত তওহীদ সদর উপজেলা সভাপতি সুজন আলী, হেযবুত তাওহীদ কুমিল্লা জেলা সদস্য ইয়াসিন আরাফাত সহ আরও অনেকে।
বক্তাগণ বলেন, ৭৫ বছরের হত্যাযজ্ঞের পরে এবার ইসরায়েল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এই ভূমিতে আর কোনো একজন মুসলমানকেও থাকতে দেওয়া হবে না। এ হৃদয়বিদারক, ন্যাক্কারজনক ও পৈশাচিক ঘটনার সাক্ষী সমগ্র বিশ্ব। এমন একটি পরিস্থিতিতেও গোটা মুসলিম বিশ্বের সরকারগুলো, বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা, জাতিসংঘ, ওআইসি, আরব লীগ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানগুলো নীরব। প্রতিবেশী আরব রাষ্ট্রগুলোও যেন চোখে ঠুলি পরে আছে। এই বিপর্যয় থেকে মুক্তির উপায় হচ্ছে, জাতির মধ্যে বিরাজিত সব ফেরকা, মাজহাব, দলাদলি এই মুহূর্ত থেকে বাদ দিয়ে আমাদেরকে আল্লাহর তওহীদের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা ১০ বিজিবি সদস্যরা মাদক ও
চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে সর্বমোট ১ কোটি ২৯ লক্ষ ২২ হাজার ৯৬০ টাকা মূল্যের
ভারতীয় বাজি উদ্ধার করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর ) কুমিল্লা
ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) বিশেষ টহলদল এ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে কুমিল্লার
পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডের ফুট ওভার ব্রিজের নিচ হতে বিজিবি টহলদল ৫ লক্ষ ৭০ হাজার ৬৪০
পিস ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার বাজি উদ্ধার করে।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি)
অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এ এম জাহিদ পারভেজ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে প্রেমঘটিত বিরোধের জেরে মুক্তার মিয়া (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে চাতলপাড় ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মুক্তার মিয়া চাতলপাড়ের কাঠালকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ইসলাম উদ্দিনের ছেলে। ঘটনার পর তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে মুক্তারের সঙ্গে কচুয়া গ্রামের রাব্বান মিয়ার মেয়ে শেউলা আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। সম্পর্কের বিষয়টি দুই পরিবারের কাছে প্রকাশ পেলে মুক্তারের পরিবার বিয়ের প্রস্তাব দেয়, কিন্তু মেয়ের পরিবার তা মানতে রাজি হয়নি। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা ও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।ঘটনার দিন মুক্তার অটোরিকশায় চাতলপাড় বাজার থেকে কচুয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে শেউলার বড় ভাই শাহালমের নেতৃত্বে ১০–১৫ জন তাকে আটকিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। হাত, পা ও পেটে গুরুতর আঘাত পেয়ে মুক্তার ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিলেও চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নাসিরনগর থানার ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, হত্যাকাণ্ডের পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন , কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় সৎ মাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শাহিন মুন্সি (২৫) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাত সোয়া ১১টার দিকে উপজেলার বাতাঘাসী ইউনিয়নের সব্দলপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত হালিমা খাতুন (৩৪) সব্দলপুর গ্রামের এমদাদুল হক মুন্সির দ্বিতীয় স্ত্রী। অভিযুক্ত শাহিন মুন্সি এমদাদুল হক মুন্সির চতুর্থ ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে প্রথম স্ত্রীর মৃত্যু হলে চার ছেলে ও তিন মেয়ের বাবা ৭৫ বছর বয়সী এমদাদুল হক মুন্সি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দুই মাস আগে তিনি দাউদকান্দির জয়নগর এলাকার হালিমা খাতুনকে বিয়ে করে ঘরে তোলেন। চার ছেলে সৌদিপ্রবাসী হলেও ছোট ছেলে শাহিন মুন্সি আট মাস আগে দেশে ফেরেন এবং বাড়িতেই থাকছিলেন।
এমদাদুল হক মুন্সি বলেন, ‘রাত ১১টার দিকে আমি শৌচাগারে যাই। ফিরে এসে দেখি স্ত্রী বিছানায় কাতরাচ্ছে, আর চারদিকে রক্ত ছড়িয়ে আছে। ডাকচিৎকার দিলে পরিবারের লোকজন ছুটে আসে। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে কুমিল্লা মেডিকেলে নিয়ে যাই। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
পুত্রবধূ শিরিনা আক্তার বলেন, ‘আমরা পাশের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ শ্বশুরের চিৎকার শুনে ছুটে এসে দেখি, শাহিন ঘর থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। আর সৎ শাশুড়ি রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে।’
বাতাঘাসী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান সিরাজ জানান, এমদাদুলের দ্বিতীয় বিয়েকে পরিবার মেনে নিয়েছিল। কেন শাহিন এমন ঘটনা ঘটাল, তা কেউ বলতে পারছে না। ঘটনার পর থেকে শাহিন পলাতক।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর পর বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। নিহত নারীর স্বামী এমদাদ মুন্সি অভিযোগ করেছেন। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ‘আশা’র প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট প্রয়াত মো. সফিকুল হক চৌধুরীর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে উদ্যোগে পৃথক পৃথক স্থানে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে বিভিন্ন বয়সের তিন শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল নগরীর রেইসকোর্স ও শহরতলীর আড়াইওরা এলাকায় চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি কুমিল্লার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. রেজা মো. সারোয়ার আকবর।
আশা আড়াইওড়া সমন্বিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ইব্রাহিম ইবনুল আবিদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ডা. এ কে এম আবদুস সেলিম, আশার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক সেলিম উদ্দিন, জেলা ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম, শাখা ব্যবস্থাপক গোবিন্দ সাহাসহ আরো অনেকে।
পরে দুইটি ক্যাম্পে বিনামূল্যে এক শতাধিক রোগীর ডায়াবেটিকসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ২শ রোগীকে ফিজিওথেরাপী দেওয়াসহ চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়। দিনব্যাপী আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়ার পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি, ব্লাড সুগার পরীক্ষাসহ কিছু রোগীকে ব্লাড প্রেসার নিরুপণের মেশিন প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘আশা’র প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট প্রয়াত মো. সফিকুল হক চৌধুরীর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় এবং সফিকুল হক চৌধুরীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ২০ কেজি গাঁজাসহ দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ।
আজ (১৫ জানুয়ায়ী) সকালে চৌদ্দগ্রাম থানায় কর্মরত এসআই(নিঃ) আবু তাহের ভুইয়া ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন চৌদ্দগ্রাম বাজারস্থ রহমানিয়া হোটেল এর সামনে চট্টগ্রাম—ঢাকাগামী মহাসড়ক এর উপর পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ২ জন ব্যক্তি তাদের হাতে থাকা ২টি চটের বস্তার নিয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে আসামী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সাজু ও শ্রী সুমন চন্দ্র দে সরকার কে ২০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: শেরপুর জেলার শেরপুর থানার চকপাটর এলাকার মোঃ মজিবুর রহমান এর ছেলে মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সাজু এবং একই থানার লছমনপুর এলাকার শ্রী প্রভাত চন্দ্র দে সরকার এর ছেলে শ্রী সুমন চন্দ্র দে সরকার।
উক্ত ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সাজু (৪০) এর বিরুদ্ধে পূর্বের ১টি মাদক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন


মন্তব্য করুন