কুমিল্লায়
২০ কেজি গাঁজাসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে কুমিল্লা জেলা
গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
আজ
(১৮জানুয়ারী) জেলা গোয়েন্দা শাখায়
কর্মরত এসআই মোঃ আহসান
হাবিব, এএসআই আব্দুল্লাহ, এএসআই সাইদুর রহমান ও সঙ্গীয় ফোর্স
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দাউদকান্দি মডেল থানাধীন দাউদকান্দি
পৌরসভার চট্টগ্রাম-টু-ঢাকা গামী
মহাসড়কের দক্ষিণ পাশ্বে বিআরটিসি বাস কাউন্টারের সামনে
পাকা রাস্তার উপর পৌঁছে ঢাকা
মেট্রো-ন-১৭-৯৯৫১ রেজিঃ
নম্বরের একটি পুরাতন পিকআপ গাড়ী তল্লাশী করে
গাড়ীর পেছনে বডিতে ২টি প্লাষ্টিকের বস্তার
ভেতরে রাখা মোট ২০
কেজি গাঁজা সহ মোঃ রাসেল কে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত
আসামী হলো: ফরিদপুর জেলার সালথা থানার ছোট লক্ষনদিয়া
(বাজারের পাশে) এ লাকার মৃত ইদ্রিস মাতাব্বর এর ছেলে মোঃ রাসেল (২৫)।
উক্ত
ঘটনায় দাউদকান্দি মডেল থানায় এজাহার
দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন খাবার হোটেলে মাদক বিরোধী অভিযানে ১১ জন মাদক ব্যবসায়ী
ও একজন আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু গাঁজা ও ইয়াবা সহ আটক করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২।
গতকাল (২৮ জুন) সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২
একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ছুপুয়া
এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন খাবার হোটেলে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে
তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃত আসামীরা হলো: ১। বাবলু মিয়া
(২৩), পিতা-জাকির হোসেন, সাং-আইরল, থানা-সরাইল, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া; ২। বিল্লাল হোসেন
(২২), পিতা-মাহবুল হক, সাং-ছুপুয়া দূর্গাপুর, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা; ৩। মোঃ
মুন্না হোসেন (২২), পিতা-মোঃ রেজাউল করিম, সাং- আলিপুর, থানা-সাতক্ষীরা সদর, জেলা-সাতক্ষীরা;
৪। মোঃ সাইফুল ইসলাম কামাল (১৯), পিতা-মৃত লোকমান হোসেন, সাং-মহিশ্বর, থানা-নাঙ্গলকোট,
জেলা-কুমিল্লা; ৫। মোঃ সোহাগ (২৫), পিতা-আব্দুল খালেক, সাং-শফিবাদ, থানা-কচুয়া, জেলা-
চাঁদপুর; ৬। মোঃ ফয়সাল (২০), পিতা-আব্দুল বারেক, সাং-পানিপাড়া, থানা-চান্দিনা, জেলা-কুমিল্লা
৭। ইমরান হোসেন বাবু (২৫), পিতা-মাহবুল হক, সাং-শহীদপুর, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা;
৮। মোঃ সালমান হোসেন (১৯), পিতা-মৃত শহীদুল ইসলাম, সাং-মাঝিআলী, থানা- বাঘারপাড়া, জেলা-যশোর;
৯। মোঃ শাহেদ হাসান (২০), পিতা-মৃত কবির হোসেন, সাং-পানিপাড়া; ১০। মোঃ হুমায়ুন হোসেন
(২০), পিতা-মোঃ আবুল বাশার, সাং-ছুপুয়া দূর্গাপুর, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা;
১১। মোঃ কাওসার (২২), পিতা-মৃত লোকমান হোসেন, সাং-মহিশ্বর, থানা-নাঙ্গলকোট, জেলা-কুমিল্লা’দেরকে
গ্রেফতার করা হয় এবং আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু ১২। মোঃ জসিম উদ্দিন (১৬), পিতা-মোঃ
জাফর আলী, সাং-পশ্চিম নোয়াগাও, থানা-লালমাই, জেলা-কুমিল্লা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭৭০
গ্রাম গাঁজা ও ১৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানান, আসামীরা ও আইনের সহিত
সংঘাতে জড়িত শিশু দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের
পার্শ্ববর্তী খাবারের হোটেল গুলোতে ট্রাকের ড্রাইভার ও হেল্পারদের নিকট মাদক বিক্রয়
করে আসছিল। কিছু হোটেলের মালিক/ম্যানেজারগণ খাবার হোটেলের ব্যবসার সাথে সাথে মাদক ব্যবসার
সাথেও জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। ট্রাকের চালকেরা খাবার খাওয়া এবং বিশ্রামের জন্য উক্ত
খাবার হোটেল গুলোতে বিরতি নিয়ে থাকে। বিরতিকালে ড্রাইভার এবং হেলপাররা হোটেল গুলো থেকে
মাদকদ্রব্য ক্রয় করে এবং সেবন করে। মাদক সেবী ট্রাকের ড্রাইভাররা নেশাগ্রস্থ অবস্থায়
রাতে মহাসড়কে গাড়ি চালায়, যার পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক সময়ে মহাসড়কে সড়ক দূর্ঘটনার
হার আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং অভিযান পরিচালনা করে মাদক বিক্রয়কালে
অবৈধ মাদক সহ আসামীদেরকে হাতেনাতে গ্রেফতার ও আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুকে আটক করে।
মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত
আসামী ও আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত গোমতী নদীর পাড় ঘেঁষে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাট ও রেস্টুরেন্ট উচ্ছেদে পরিচালিত হয়েছে মোবাইল কোর্টের বিশেষ অভিযান।
রবিবার (২৭ জুলাই) বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলে এ অভিযান, যার নেতৃত্বে ছিলেন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিনা জাহান। অভিযানে পাউবো, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো), সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ একযোগে অংশ নেয়।
বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে পরিচালিত এ অভিযানে দেখা যায়, পালপাড়া কালীমন্দির এলাকা থেকে শুরু করে বিবির বাজার স্থলবন্দর পর্যন্ত বিস্তৃত পাউবোর জমিতে গড়ে উঠেছে অবৈধ কাঠামোতে পরিচালিত ১৫টির বেশি টং দোকান, মুদি দোকান ও বেশ কিছু অভিজাত রেস্টুরেন্ট।
স্থানীয়দের আড্ডা ও জমজমাট পরিবেশে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল এসব ব্যবসা। বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল অবৈধভাবে নেওয়া—কোনো বৈধ মিটার বা চুক্তি ছাড়াই। অভিযান চালিয়ে এসব সংযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
পাউবো'র তথ্য অনুযায়ী, অভিযানে যেসব রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফে'র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য:গোমতী টাচ,গোমতী বিলাস,রোজ ক্যাফে ভ্যালি,বাগান বিলাস।
এসব প্রতিষ্ঠান অনুমোদন ছাড়াই নদীর পাড়ে সরকারি জমি দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। অনেক প্রতিষ্ঠানই জমির মালিকানা নিয়ে মিথ্যা দাবি করে আসছিল, যা তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নদীর পাড়ের সৌন্দর্য ও পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় ক্ষোভ ছিল স্থানীয়দের মধ্যে।
একাধিক বাসিন্দা জানান, “গোমতীর পাড় এখন আর আগের মতো শান্তিপূর্ণ নয়। এইসব দোকানে সন্ধ্যার পর নানা ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ চলত।”
অভিযান শেষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিনা জাহান বলেন, “গোমতীর পাড় ঘেঁষে পাউবোর জায়গা অবৈধভাবে দখল করে কেউই ব্যবসা করতে পারবে না। অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগসহ সব প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমাদের এই অভিযান আগামীকালও চলবে।”
তিনি আরও বলেন, “নদী রক্ষা, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। কেউ প্রভাব খাটিয়ে এসব জায়গায় অবৈধ স্থাপনা চালু রাখতে পারবে না।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে এক বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
পরে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই ব্যক্তিকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ান (১০ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজিবি জানায়, ২৯ জুলাই সকালে (০৯:৩০টার দিকে) কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)-এর অধীনস্থ চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চৌদ্দগ্রাম বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ২১০৯/১৪-এস সংলগ্ন “রাধানগর” নামক স্থান দিয়ে তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক চোরাচালানের উদ্দেশ্যে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন।
এ সময় বিএসএফ তাদের আটকের চেষ্টা করলে দু’জন পালিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। তবে একজন বিএসএফের হাতে আটক হন। বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরে বিজিবি দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এবং বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে।
দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে, বেলা ১২টার দিকে সীমান্ত পিলার ২১০৯/১৪-এস এর নিকটবর্তী বৈদ্দ্যেরখীল এলাকায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় পলাতক দুই ব্যক্তি এবং আটক বাংলাদেশির বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে বিজিবি জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
১০১ পিস মোবাইল ফোনসহ একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গত
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লার একটি টিম কুমিল্লা জেলায় বিশেষ
অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন ২নং উত্তর দূর্গাপুর ইউপির শংকরপুর
সাকিনস্থ আইএফআইসি ব্যাংকের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছাঁলে ডিবি পুলিশ চিনতে পেরে
আসামী একটি প্লাষ্টিকের বস্তাসহ দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে বস্তাসহ আটক করা হয়। বস্তুা
তল্লাশি করে ১০১ পিস নতুন-পুরাতন মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামী হলো: কুমিল্লা জেলা ব্রাহ্মণপাড়া থানার রানীগাছ গ্রামের মোঃ রুবেল মিয়া’র ছেলে
মোঃ পারভেজ মিয়া (৩০)।
গ্রেফতারকৃত
আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা বুড়িচং থানায় মামলা দায়ের করা হয।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার বরল এলাকায় মেঘনা কোল্ডস্টোরেজ নামে একটি আলু রাখার হিমাগারে জেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা এর যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ২১ লক্ষ পিচ ডিম এবং প্রায় ২৪ হাজার কেজি মিষ্টি ও মিষ্টির সিরা উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান শাওন ও জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম এই অভিযান পরিচালনা করেন।
লাইসেন্সবিহীন হিমাগারে অবৈধভাবে খাদ্যপণ্য মজুদ করার দায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অবৈধভাবে মিষ্টি রাখার দায়ে জরিমানা করা হয় আরও ৬০ হাজার টাকা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান শাওন বলেন,এই বিপুল পরিমাণ ডিম কোন কোন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা এবং কত দিন যাবত মজুদ করা হচ্ছিল- কোল্ডস্টোরেজ কর্তৃপক্ষ জানাতে পারেনি। কোল্ডস্টোরেজটির কৃষি বিপণনের লাইসেন্স না থাকায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এসব পণ্য বিপণনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম বলেন, আলু রাখার কোল্ডস্টোরেজে বিপুল পরিমাণ ডিম ও মিষ্টি মজুদ করে রাখা হয়েছিল। ৫ হাজার বান্ডেলে ৪২০টি করে ডিম সেখানে রাখা ছিল। এছাড়া ৮শ ড্রামের প্রতিটিতে ৩০ কেজি করে ২৪ হাজার কেজি মিষ্টি রাখা হয়েছিল। যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং ভোক্তা অধিকার বিরোধী।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক বদরুল হুদা জেনুকে সভাপতি ও অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর মাসউদকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট ২০২৫-২০২৭ বর্ষের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সাথে ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা কমিটিও গঠন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা ক্লাবে আয়োজিত বাপা কুমিল্লার বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে সংগঠনের বিদায়ী সভাপতি ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ এ দুটি কমিটি ঘোষণা করলে উপস্থিত সভায় করতালি দিয়ে সমর্থন প্রদান করেন।
বাপা কুমিল্লার নব গঠিত উপদেষ্টা কমিটির মধ্যে রয়েছেন ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান, সাংবাদিক আবুল হাসানাত বাবুল, ডা. ইকবাল আনোয়ার ও আলহাজ্ব শাহ মো আলমগীর খান।
নব গঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ হলেন, সভাপতি বদরুল হুদা জেনু, সহ সভাপতি, অধ্যাপক আবদুল মতিন সৈকত,ডা.গোলাম শাহজাহান,রোকেয়া বেগম শেফালী ও এড.শামিমা আক্তার জাহান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর মাসউদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শাহাজাদা এমরান,আইরিন মুক্তা অধিকারী,অচিন্ত দাস টিটু কোষাধ্যক্ষ মাহমুদা আক্তার,নির্বাহী সদস্য, আলী আকবর মাসুম,খায়রুল আহসান মানিক,অশোক বড়ুয়া,গাজিউল সোহাগ,রেজবাউল হক রানা,আবদুল্লাহ আল মাহবুব শিশির , শাকিলা জামান, রফিকুল ইসলাম সোহেল, তানভীর দীপু, দেলোয়ার হোসেন টুটুল ও ডি এম রিয়াদ।
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় কুমিল্লা ক্লাবের ক্যাফেটেরিয়ায় বাপা কুমিল্লার সভাপতি ডা. মোসলেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুমের সঞ্চালনায় সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অধ্যক্ষ ডা. মোসলেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ওই সভা হয়। সভায় বাপার গত দশ বছরের কার্যক্রম লিখিত ভাবে অবহিত করেন সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম। সভায় আগামী দিনে বাপার কার্যক্রম গতিশীল করার তাগিদ দেওয়া হয়।
সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখেন, ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান, সাংবাদিক আবুল হাসানাত বাবুল, আলহাজ্ব শাহ মো আলমগীর খান, বদরুল হুদা জেনু, মতিন সৈকত,ডা.গোলাম শাহজাহান, এড.শামিমা আক্তার জাহান, হুমায়ুন কবীর মাসউদ, শাহাজাদা এমরান, অচিন্ত দাস টিটু, মাহমুদা আক্তার, আলী আকবর মাসুম,অশোক বড়ুয়া,রেজবাউল হক রানা,আবদুল্লাহ আল মাহবুব শিশির , মামুন, রফিকুল ইসলাম সোহেল প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক প্রবাসীর পরিবারে হামলা চালিয়ে প্রবাসীর মা ফিরোজা
বেগমসহ কয়েকজনকে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার ধুড়িয়ারা গ্রামে
এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার
(২ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুমিল্লা প্রেসক্লাবের হলরুমে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমন অভিযোগ
করেন মির্জা জয়নাল আবদীন হিরণ ও ঘটনার খবর পেয়ে দেশে আসা তার দুই ভাই আবদুল্লাহ মাহবুব
ও রফিকুল ইসলাম।
ভুক্তভোগীরা
অভিযোগ করে বলেন, পার্শ্ববর্তী বাড়ির আজিজুর রহমান লিটনসহ পরিবারের লোকজনের সাথে প্রবাসীর
পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে তারা গত ২৮ জানুয়ারি প্রবাসীর পরিবারের
উপর হামলা চালায় এবং প্রবাসীর মাকে কোদাল দিয়ে চোখের উপরিভাগে গুরুতর আঘাত করে রক্তাক্ত
জখম করে। এদিন প্রবাসীর আহত মা ফিরোজা বেগমকে প্রথমে নাঙ্গলকোট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রতিপক্ষের
হামলা ও হুমকিতে প্রবাসীর পরিবারটি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় আছে বলে তারা জানান। প্রবাসী
আবদুল্লাহ মাহবুব জানান, হামলাকারীরা তার মাকে হত্যার চেষ্টা করলেও তারা এখন ঘটনাটি
ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে অপপ্রচার চালিয়ে হয়রানী
করছে।
নাঙ্গলকোট
থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী জানান, দুইপক্ষের মারামারির
ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার বিজিবি ১০ ব্যাটালিয়ন ২৯ লক্ষ টাকার অবৈধ ভারতীয় মদ এবং বিভিন্ন প্রকার সিগারেট জব্দ করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাত প্রায় ১২ টার দিকে কুমিল্লা বিজিবির ১০ ব্যাটালিয়ন কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার আওতাধীন বিবিরবাজার বিওপি’র অধীনস্থ গোলাবাড়ী পোষ্টের বিশেষ টহলদল সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে বিজিবি টহল দল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিষ্ণুপুর নামক স্থান হতে মালিক বিহীন অবস্থায় অবৈধ ভারতীয় ৬০ বোতল মদ এবং ১১ হাজার ৩ শত ৪০ প্যাকেট বিভিন্ন প্রকার সিগারেট জব্দ করা হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ২৯ লক্ষ টাকা।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার দেবিদ্বারের ধামতী ইউনিয়নে নানা পন্থায় ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মিঠুর ক্রয় করা বসত জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সাবেক এমপির কর্মীদের বিরুদ্ধে। বসতজমির কলাগাছ কেটে নেয়া, বসতঘর কুপিয়ে ঘরের বাসিন্দাদের মারধর-মালামাল লুট, আবার সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করে আওয়ামী দোসর বানিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে বির্তকিত করে তার ক্রয় করা জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে হুমায়ুন কবির ও মকবুল হোসেনদের বিরুদ্ধে।
ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মিঠুর ছোট ভাই মোঃ সোহরাব হোসেন জানান, আমার বড় ভাই ধামতী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিগত ২০২২ সালের ২২ জুন দুয়ারিয়া এলাকায় ৫২ শতক জায়গা হুমায়ুন কবির ও মকবুল হোসেনের কাছ থেকে কেনার জন্য বায়নাপত্র করে এবং সম্পত্তির মূল্য বাবদ ৪৩ লক্ষ টাকার চেক তাদের প্রদান করেন। তারা পরে টাকা বুঝে নিয়ে আমাদেরকে জায়গা ভোগ দখল বুঝাইয়া দিলে আমরা গত দুই বছর যাবৎ উক্ত সম্পত্তি ভোগ দখল করে সেখানে কলার বাগান করি। আমরা বহুবার তাদেরকে সম্পত্তিটি রেজিস্ট্রি করে দিতে বললেও মকবুল হোসেন প্রবাসে থাকার বাহানা দিয়া ‘অদ্যবধি তারা আমার ভাইয়ের নামে উক্ত সম্পত্তিটি রেজিস্ট্রি করে দেয়নি। চলতি বছরে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পরেই তারা বেপরোয়া হয়ে উঠে। তারা এমপি আবুল কালাম আজাদের অনুসারি ছিলেন। ৫ ফেব্রুয়ারি আমাদের বায়না করা ৫২ শতক জমির ৫ পাঁচ শতাধিক কলা গাছ কেটে নিয়ে জমির চারপাশে তার কাটা বেড়া দিয়ে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে হুমায়ুন কবির ও মকবুল হোসেনের নেতৃত্বে আলামিন বাশার ও আলামিনসহ অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা । পরে মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হলে কিছুদিন তারা চুপচাপ থাকে। এছাড়া আমরা এই বিষয়ে থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি।
সোহরাব আরো জানান, পরবর্তীতে ১৫ অক্টোবর বিকেল ৫ টায় আমাদের জমিতে নির্মিত দুটি ঘরে বসবাসরত মো: জুয়েল (১৮) ও মো: হোসাইনকে (১৮)মারধর করে দুটি ঘর ভাংচুর করে মালামাল লুট করে নেয় হুমায়ুন কবির বাহিনী। এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে দেবিদ্বার থানায় ৭ জনের উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করি। এ ঘটনায়ও জড়িত ছিলেন ধামতী ইউনিয়নের দুয়ারিয়া গ্রামের মো: বাচ্চু মিয়ার ৩ ছেলে মো: হুমায়ুন কবির, মকবুল হোসেন ও মহসিন, মৃত. খোরশেদ মিয়ার ছেলে এছাড়া আবু বকর ও আবু সাইদ, হোসেন মেম্বারের ছেলে আল আমিন ও মো: খলিল, জসিমের ছেলে মো: রিফাত এবং শাহ জালালের ছেলে মো: সিয়াম প্রমুখ। হামলা–ভাংচুর করেও জায়গা দখল করতে না পেরে ১৪ নভেম্বর আমার ভাইকে আওয়ামী দোসর বানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে হুমায়ুন কবির বাহিনী। আমরা তো বসতজমি দখল করিনি, জমিটি ক্রয় করেছি।
স্থানীয় একাধিক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মিঠু আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীকে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সমর্থিত আওয়ামী নেতাকর্মীদের রোষানলে পড়েন তিনি। চলতি বছরের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আজাদ এমপি হওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদে নিজ কার্যালয়েও তিনি যেতে পারতেন না এমপি আজাদ সমর্থিত নেতাকর্মীদের হুমকির কারণে। এরপরই চেয়ারম্যান মিঠুর লোকজনকে একাধিকবার মারধর করা হয়। সম্প্রতি তার বসতজমিটিও দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে। মহিউদ্দিন মিঠু দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য চেয়ারম্যান । বর্তমানে মহিউদ্দিন মিঠু চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে হুমায়ুন কবিরের মুঠোফোনে কল দিলে মুঠোফোন সংযোগে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ইন্সপেক্টর শাহীন ইসলাম জানান, আমি এ বিষয়ে তেমন কিছু জানি না। ওসি স্যার ছুটিতে আছেন। তিনি হয়তো এ বিষয়ে বলতে পারবেন।
দেবিদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শুভ জানান, মিঠু সাহেবের বসতজমিতে হামলার পর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। উভয় পক্ষকে ডেকে কথা বলেছি। পরিবেশ যাতে ঘোলাটে না হয় সে জন্য সর্তক করা হয়েছে।আর বসতজমিটি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ২০ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গতকাল (১৮ ফেব্রুয়ারী) বিকালে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল
থানাধীন জালুয়াপাড়া এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মোঃ লিটন মিয়া (২৫) নামক
১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা
হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ লিটন মিয়া (২৫) কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার কেরনখাল গ্রামের মোঃ অলি মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী
ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী
ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির
বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন