

কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলায় বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকালে আলাদা ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের ইরুয়াইন এবং পৌরসভার রাজঘাট এলাকায় ঘটনা দুটি ঘটে।
দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন লাকসাম
থানার ওসি মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন খান।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন খান জানান, সকালে ইরুয়াইনের নাগরাপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন নিজের মুদি দোকানের পেছনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান সামসুর রহমান (৩৫) নামের ব্যবসায়ী। তিনি প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে অটোরিকশার ব্যাটারি চার্জ দিয়ে সংযোগ খোলার সময় সামসুর রহমান বিদ্যুতায়িত হন। পরে স্থানীয় লোকজন লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সামছুর রহমান কান্দিরপাড় ইউনিয়নের ছনগাঁও পশ্চিমপাড়ার প্রয়াত মফিজুর রহমানের ছেলে।
ওসি শাহাব উদ্দিন আরও জানান, সকালে ঘরের পাশে থাকা
বৈদ্যুতিক মোটরে হাত দিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় রাজঘাটের মোহাম্মদ মাহি (৩)। বেশ
কিছুক্ষণ পর তার বড় বোন সায়মা (৭) এসে স্পর্শ করলে সেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। পরে
সায়মার চিৎকারে ঘরের লোকজন ছুটে এসে মাহিকে স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে নিয়ে
গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান। মাহি রাজঘাট উত্তরপাড়ার ছাত্তার ভান্ডারীর
বাড়ির সাইফুল ইসলামের ছেলে।
মন্তব্য করুন


রোজায়
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন,
সেনাবাহিনী, ভোক্তা অধিকার ও বিএসটিআইসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর।
সোমবার
বেলা ১১টা থেকে ২টা পযন্ত কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছারের নেতৃত্বে কুমিল্লা
নগরীর রাজগঞ্জসহ খুচরা বাজারে তদারকি এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এসময়
রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা পণ্যের মধ্যে মাছ,মাংস, মুরগি, সয়াবিন তেল ও লেবুসহ
বিভিন্ন পণ্যের ক্রয় ও বিক্রয়ের ভাউচার মনিটরিং করা হয় ।
এসময়
ব্যবসায়ীদের সাবধান করে জেলা প্রশাসক বলেন যাতে অধিক মুনাফার লোভে ভোক্তার সঙ্গে
প্রতারণা না করা হয় ।
জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার
বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে প্রতিদিন দুটি টিম নগরীতে বাজার দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে
কাজ করছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করা
হচ্ছে।
একই সময় খুচরা বাজারের দেশি ও বিদেশী ফল এবং সবজিতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ফরমালিন আছে কিনা তা ভ্রাম্যমাণ ল্যাবের মাধ্যমে পরীক্ষা করেছে বিএসটিআই। যাতে করে রমজান মাসে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয় সেই বিষয়ে এ পরীক্ষা কার্যক্রম বিএসটিআইয়ের।
অভিযানে বিএসটিআই কুমিল্লার উপ-পরিচালক কে এম হানিফ, ভোক্তা অধিকার কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মোঃ কাউছার মিয়াসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে গাঁজা নিয়ে স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে এসে কারারক্ষীদের হাতে ধরা পড়েছেন এক দর্শনার্থী।
রোববার সকালে কারাগারের মূল ফটকে তল্লাশির সময় এই ঘটনা ঘটে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
আটক ব্যক্তির নাম মো. সফিক (৬০)। তিনি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার রূপনগর গ্রামের বাসিন্দা এবং মো. ছাদেকের ছেলে। জানা গেছে, তিনি তার দুই ভাই বন্দি ইয়াছিন ও ইসমাইলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কারাগারে এসেছিলেন।
কারা সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনকালে কারারক্ষী মো. আব্দুল হান্নান সফিককে তল্লাশি চালান। এ সময় তার শার্টের পকেট থেকে একটি বিড়ি গাঁজা এবং পরবর্তীতে শরীর তল্লাশি করে আরও পাঁচ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সফিক গাঁজা সেবনের বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে আদালত উল্লিখিত শাস্তি প্রদান করেন।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন বলেন, কারাগার প্রাঙ্গণে মাদকসহ কোনো প্রকার অবৈধ দ্রব্য প্রবেশ রোধে তারা সবসময় কঠোর নজরদারি চালাচ্ছেন। তিনি আরও জানান, কারাগারের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা (সিজেএফডি) আয়োজিত সমাবেশ ও মানববন্ধনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী বলেছেন, ‘কুমিল্লা সবসময়ই উন্নয়নবঞ্চনার শিকার। যে ন্যায্য দাবি নিয়ে আপনারা রাস্তায় নেমেছেন, তার প্রতি আমি ঐক্যের ডাক দিচ্ছি-এটা কুমিল্লার ইজ্জতের প্রশ্ন।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ সমাবেশে তিনি বলেন, ‘কুমিল্লা আজও অনেক মৌলিক অবকাঠামো থেকে বঞ্চিত। ঢাকা-কুমিল্লা মহাসড়ক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হলেও এ রাস্তায় যথাযথ উন্নয়ন হয়নি। ১৯৮৮ সালের বন্যার পর এ মহাসড়ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেয়া হলেও তা বছরের পর বছর পিছিয়ে গেছে। ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস, সার্ভিস লেন-কিছুই হয়নি।’
মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, কুমিল্লার দুই পৌরসভা একীভূত হওয়া সত্ত্বেও কোনো নতুন অবকাঠামো, জনবল বা প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে ওঠেনি, যা কুমিল্লার স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে আরও দুর্বল করেছে।
তিনি কুমিল্লা অঞ্চলের কয়েকটি বড় বঞ্চনার কথা উল্লেখ করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য-কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা বহু বছর বিলম্বিত হওয়া, কুমিল্লা বিমানবন্দর চালু না হওয়া, ওই অঞ্চলে শিল্প-বাণিজ্য ও শিক্ষা খাতে বৈষম্যমূলক বরাদ্দ। তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে পাকিস্তান-কেউই কুমিল্লাকে প্রাপ্য মর্যাদা দেয়নি। স্বাধীন বাংলাদেশেও এই চিত্র বদলায়নি।
নোয়াখালীকে বাদ দিয়ে ‘কুমিল্লা বিভাগ’ গঠনের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কেউ রাজি না হলে আলাদা পথ খুঁজতে হবে। নোয়াখালীর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ করব। প্রয়োজন হলে আপনাদের নিয়েই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।’
আন্দোলনে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়ার ঘোষণা দিয়ে মনিরুল হক বলেন, ‘রাজপথে আপনাদের সঙ্গে থাকব। আন্দোলনকে সংগঠিত করতে আপনারা আমাকে সময় দিন। কুমিল্লার ন্যায্য অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে।’
কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা’র সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এম. মোশাররফ হোসাইনের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ইকবাল হোসেন মজুমদার, বৃহত্তর কুমিল্লা বনশ্রী-আফতাবনগর সমিতির সভাপতি এনামুল হক বাবলু, নাঙ্গলকোট উন্নয়ন ঐক্য ফোরামের সভাপতি মাইনুল হক বাবলু, ইঞ্জিনিয়ার মনিরুল ইসলাম ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রানা চৌধুরী।
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য দেন, সিজেএফডি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহমুদুর রহমান খোকন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ডিইউজে’র যুগ্ম-সম্পাদক দিদারুল আলম, সহ-সভাপতি এম এস দোহা, ডিইউজে’র অর্থ সম্পাদক খন্দকার আলমগীর হোসেন, ডিআরইউ’র সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মঈনুল আহসান, সিজেএফডি’র যুগ্ম-সম্পাদক সালাহ উদ্দিন জসিম, অর্থ সম্পাদক নিজাম উদ্দীন দরবেশ, সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম, সাবেক অর্থ সম্পাদক সায়ীদ আবদুল মালিক, জনকল্যাণ সম্পাদক জহির আলম সিকদার, প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক এ এফ এম রাসেল পাটোয়ারী, তথ্য-প্রযুক্তি সম্পাদক আহমেদ আজম ও নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ মাসুদ এবং হালিম মোহাম্মদ, নার্গিস জুঁই, ড. শাহজাহান মজুমদার, মাহবুব মোর্শেদ, রানা চৌধুরী, শাহজালাল উজ্জল, গোলাম মোস্তফা রবি, ইমাম হোসেন ইমন, নুরুল ইসলাম খান মামুন, মঈন উদ্দিন শাহীন, আকাশ খান এবং মেরি আক্তার।
এছাড়াও সমাবেশে কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা’র সদস্য, পেশাজীবী, শিক্ষার্থী এবং বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা
জেলার সদর দক্ষিণ থানার ইপিজেট পুলিশ ফাড়িঁ আওতাধীন শাকতলা সার্ভে ইনস্টিটিউটের পিছনে
ডিসি গলির মাথায় বিসমিল্লাহ ডিমের আরত দোকানের সাথে টিনশেড রুমের ভিতরে অবৈধ দেশীয় অস্ত্র (কাটিং প্লাস, বড় দা, রামদা, ছোট দা, চাকু,ছোরা)
সহ ১১ মামলার আসামি ছিনতাইকারী ডাকাত সাজ্জাদ হোসেন খোকা (২৭) কে গ্রেফতার করেন ইপিজেট
পুলিশ ফাড়িঁর এসআই নিয়াজ মোহাম্মদ খান ও সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স।
গতকাল
সোমবার (৯ জুন) রাত অনুমান ৯টা ৩০ মিনিটের সময় কুমিল্লা মহানগর ২১নং ওয়ার্ডের শাকতলা
সার্ভে ইনস্টিটিউটের নতুন ভবনের পিছনে সেনাবাহিনীর
সহায়তায় ইপিজেট পুলিশ ফাড়িঁ টিম একটি অভিযান পরিচালনা করেন। এই সময় ছিনতাইকারী, ডাকাত,
চাদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী ১১ মামলার আসামি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন খোকাকে দেশীয় অস্ত্র সহ
আটক করে।
গ্রেফতারকৃত
আসামি হলো- কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন ২১নং ওয়ার্ড মধ্যম আশ্রাফপুর এলাকার মৃত
আঃ খালেক এর ছেলে মোঃ সাজ্জাদ হোসেন খোকা।
এই
বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানাধীন ইপিজেড ফাঁড়ীর ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ এসআই নিয়াজ মোহাম্মদ
খান জানান, ১টি ধারালো বড় দা, লোহার বাট, ১টি ধারালো রাম দা, কাঠের বাট, ১টি স্টীলের
ধারালো চাকু, ১টি ধারালো ছোরা, কাঠের বাট, ১টি ধারালো দা লোহার বাট, ১টি ধারালো কাটিং
প্লাস জব্দ করা হয়। এই সময় তার সহযোগী একজন পালিয়ে যায়। পলাতক আসামী হলো-কুমিল্লা কোতয়ালী
মডেল থানাধীন গোবিন্দপুর এলাকার মশু। আসামীর বিরুদ্ধে সদর দক্ষিণ থানায় মামলা দায়ের
করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার বুড়িচং এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় ছয় নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বুড়িচং থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক।
জানা গেছে, গত রোববার (২২ জুন) বিকেলে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের কোরপাই এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা শাখার ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনটি সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ায় বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
মিছিলের ভিডিও ভাইরাল হলে পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বুড়িচং উপজেলার আবিদপুর গ্রামের মৃত কবির হোসেনের ছেলে মো. সোহেল রানা, কাকিয়ারচর গ্রামের সেলিম মুন্সীর ছেলে মো. কামরুল হাসান, আবিদপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো. সজিব, আবিদপুর গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ছেলে সাইদুল ইসলাম, কুমিল্লার বল্লভপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহীম ঠিকাদারের ছেলে মেহেদী হাসান রিমন এবং কুমিল্লার তৈতয়ারা গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে মোহাম্মদ আহমেদ।
বুড়িচং থানার ওসি মোহাম্মদ আজিজুল হক জানান, মহাসড়ক অবরোধ ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টির অভিযোগে থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন


বন্যার পানি কমে এলেও কমেনি মানুষের দুর্ভোগ, মানুষের কষ্ট।
গৃহহীন মানুষগুলো আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে।
এ মানুষগুলোর ঘরবাড়ি পুনর্বাসনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বিবেক।
কুমিল্লায় স্মরণকালের ইতিহাসের ভয়াবহ বন্যায় অনেক পরিবার গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাতে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বিবেক যেটি হলো মানবতার তরে কাজ করা সামাজিক সংগঠন মানুষদের আশ্রয়স্থল পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে।
এ উদ্যোগেরই ধারাবাহিকতায় বুধবার ১১সেপ্টেম্বর বিবেক এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইউসুফ মোল্লা টিপু এর নেতৃত্বে কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের নমষোদ পাড়া ও ইন্দ্রবতি গ্রাম এবং কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের বালেশ্বর গ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তের মাঝে গৃহ পূর্ণনির্মাণের জন্য নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয় ।
অসহায় মানুষের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস নিয়ে বিবেকের এই কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আন্তজেলা ডাকাত চক্রের চারজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চান্দিনা উপজেলার কেরনখাল কাঠবাজার সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র, একটি মাইক্রোবাস ও একটি সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন— ফারুক ওরফে জজ মিয়া (৩৭), বাবুল ওরফে সেলিম (৪৮), সুজন চন্দ্র সরকার (২৫) এবং আব্দুর রশিদ (৫৫)। এদের মধ্যে ফারুক ওরফে জজ মিয়ার বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা, বাবুলের বিরুদ্ধে ১টি মামলা এবং আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার বরুড়ায় দিঘীতে গোসল করতে নেমে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে পৌর এলাকার সাহারপদুয়া গ্রামে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন, সাহারপদুয়া গ্রামের পোদ্দার বাড়ির বিপ্লব পোদ্দারের ৯ বছর বয়সী মেয়ে নিধি পোদ্দার এবং একই বাড়ির রিপন পোদ্দারের ৮ বছর বয়সী মেয়ে বন্নি পোদ্দার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই কন্যা শিশু দিঘীতে গোসল করতে নেমে গভীরে চলে গেলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বন্নি পোদ্দার বরুড়া পৌর সাহারপদুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। এই ঘটনায় এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী নাজমুল হক জানান, তিনি এই ঘটনার বিষয়ে অবগত আছেন। একই বাড়ির দুই শিশু গোসল করতে গিয়ে পানিতে তলিয়ে যায় এবং স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে। থানা পুলিশের একটি দল বর্তমানে নিহতদের বাড়িতে অবস্থান করছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৫ কেজি গাঁজা ও ৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১৯ মার্চ রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন আলেখারচর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ সুলতান আহমেদ (৪২) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৫ কেজি গাঁজা ও ৪০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সুলতান আহমেদ (৪২) কুমিল্লা জেলার বাঙ্গরা বাজার থানার কড়ইবাড়ী গ্রামের মৃত শিশু মিয়া এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা ও ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
‘আবর্জনার মতো লাগে’ বলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বেলতলী এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভাজকে লাগানো অর্ধশত বকুলগাছ কেটে ফেলার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম মো. আজমির হোসেন (৩৭)। তাঁর বিরুদ্ধে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ থানায় মামলা করেছে।
গতকাল শনিবার রাতে বেলতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আজমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম। আজ রোববার তাঁকে কুমিল্লার আদালতে পাঠানো হবে।
আজমিরের বাড়ি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সাওড়াতলী গ্রামে। তবে তিনি বেলতলী এলাকায় উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা ১০০ শয্যাবিশিষ্ট শিশু হাসপাতালের ফটকের পাশে থাকেন। সেখানে চা-বিস্কুট বিক্রি করেন।
এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। পরে শনিবার রাতেই কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার পুলিশ এ ঘটনায় মামলা নিয়ে আজমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
কেটে ফেলা বকুলগাছগুলো মহাসড়কের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য লাগানো হয়েছিল সওজের উদ্যোগে। প্রতিটি গাছের বয়স ছিল ৯ বছরের বেশি।কুমিল্লা সওজের সড়ক ও জনপথ বিভাগের কার্যসহকারী রুহুল আমিন বাদী হয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় মামলাটি করেন।
তিনি বলেন, বেলতলীতে হাসপাতালের সামনেই একসঙ্গে ১৭টি বকুলগাছ কাটা হয়েছে। অন্য গাছগুলো আশপাশে কাটা হয়েছে।
আজ রোববার সকালে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সেলিম বলেন, গতকাল রাতে এ ঘটনায় আমরা মামলা গ্রহণ করেছি। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে আজমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সওজ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন, যেসব স্থানে গাছগুলো কাটা হয়েছে, পরে সেখানে নতুন করে গাছ রোপণ করা হবে।
মহাসড়কটি ২০১৬ সালে চার লেনে রূপান্তর করার পর সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি এক লেনের গাড়ির হেডলাইটের আলো যাতে অন্য লেনের গাড়ির ওপর না পড়ে, সে জন্য বিভাজকের ওপর রোপণ করা হয়েছিল বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রাম সিটি গেট পর্যন্ত প্রায় ১৯২ কিলোমিটার এলাকায় মধ্যে মহাসড়কের প্রায় ১৪৩ কিলোমিটার এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হয়েছে। তার মধ্যে আছে বকুল, কাঞ্চন, করবী, গন্ধরাজ, কুর্চি, রাধাচূড়া, হৈমন্তী, টগর, সোনালু, কৃষ্ণচূড়া, কদম, পলাশসহ নানা ফুলের গাছ। এ রকম ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি। এ ছাড়া সড়কের পাশে এবং বিভিন্ন স্থানে বিভাজকের ওপর লাগানো হয়েছে জলপাই, অর্জুন, কাঁঠাল, মেহগণি, শিশু, আকাশমণি, নিম, একাশিয়া, হরীতকীসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৪০ হাজারের বেশি গাছ। কুমিল্লার বেলতলী এলাকাটি বকুলগাছে সাজানো ছিল।
মন্তব্য করুন