কুমিল্লায় শিশু রাশেদ
হোসেনকে (১৫) গলা কেটে হত্যার দায়ে সহকর্মী দুই শিশু মোঃ জাহিদুল ইসলাম রাসেল ও
মোঃ হাফিজুর রহমান আরিফকে শিশু আইনে সর্বোচ্চ সাজা ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন
কুমিল্লার আদালত।
সোমবার দুপুরবেলা
কুমিল্লার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল
মামুন এ রায় দেন। মামলার বিশেষ সহকারী কৌশলী (স্পেশাল পিপি) এডভোকেট প্রদীপ কুমার
দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা
হলেন, কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মানিকপুর গ্রামের মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর ছেলে
মোঃ জাহিদুল ইসলাম রাসেল এবং একই জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার বানীপুর পশ্চিম পাড়ার
মোঃ খলিলুর রহমান খলিলের ছেলে মোঃ হাফিজুর রহমান আরিফ।
মামলার বিবরণে জানা যায়-
নিহত রাশেদ কুমিল্লা বিসিক শিল্প নগরীর ফরিদ ফাইবার লিঃ ফ্যাক্টরীর টুস্টিং
বিভাগের শ্রমিক ছিলো। সে সদর উপজেলার গোবিন্দপুর মৃত আঃ রশিদ ছেলে। ২০১৯ সালের ২৮
এপ্রিল দুপুরে রাশেদ কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বাসা হতে বের হয়ে রাতে আর বাসায় ফিরেনি।
পরদিন সকালে সদর দক্ষিণ উপজেলার ৩নং গলিয়ারার ফুলতলীর একটি পুকুর থেকে রাশেদ এর
গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরদিন এ ঘটনায় নিহতের
বোন মোসাম্মদ নীপা আক্তার বাদী হয়ে নিহত রাশেদ এর দুই সহকর্মী মোঃ আরিফ হোসেন
ও মোঃ রাসেল মিয়াকে আসামি করে সদর দক্ষিণ থানায় মামলা করেন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল:
কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে এবার বাজার মনিটরিংয়ে নেমেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কুমিল্লা নগরীর বাজার মনিটরিং কাজ শুরু করেছেন। এক্ষেত্রে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ও দ্রব্যমূল্যের তালিকা পর্যবেক্ষণ করে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলছেন তারা। দাম বেশি নিলে করা হচ্ছে সতর্কও।
সরেজমিনে দেখা যায়, শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকালে নগরীর টমছমব্রীজ বাজার মনিটরিংয়ে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এসময় কাঁচামাল, মাছ, মাংস, পেঁয়াজ-রসুন, মসলাসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য যাচাই করেন। তাদের এ কাজে সহায়তা করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরাও।
অতিরিক্ত মূল্যে জিনিসপত্র বিক্রি না করার আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা। কোনো পণ্যের দাম অযথা বাড়ানো হয়, তবে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী বাবুল আহমেদ বলেন, আমাদের বাজার মনিটরিং এ প্রশাসনকে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে হবে এবং নতুন বাংলাদেশের নির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা কাঁচাবাজার, মাছ বাজার, আড়ৎ, পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন পণ্যের মূল্য পর্যবেক্ষণ করছি। সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় ভোগান্তির জায়গা হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। এ কারণেই আমরা কুমিল্লার বিভিন্ন বাজারে মনিটরিং চালাচ্ছি।
মন্তব্য করুন
ভারতীয় সীমান্তে পাচারের সময় ৪৪০ কেজি
ইলিশ মাছ জব্দ করেছে বিজিবি।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত
করেছেন ৬০ বিজিবির অধিনায়ক এ এম জাবের বিন জব্বার।
তিনি বলেন, প্রথম প্রহরে কুমিল্লা জেলার
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী মনোরা নামক স্থানে পাওয়া যায় এসব ইলিশ।
তিনি জানান, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সীমান্ত
পিলার ২০৫৭২-এস হতে ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মনোরা নামক স্থানে এসব ইলিশ পাওয়া
যায়৷ এসময় কাউকে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বিজিবি আসার খবরে এসব ইলিশ ফেলে পালিয়ে
যায় চোরাকারবারিরা।
৪৪০ কেজি ইলিশ মাছের মূল্য ৯ লাখ ৬৮
হাজার টাকা। ইলিশগুলো বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর বুড়িচংয়ের আনন্দপুর
সীমান্তে সাড়ে ৬০০ কেজি ইলিশ জব্দ করেছিলো বিজিবি।
মন্তব্য করুন
ফরিদপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে
নিহত হয়েছেন ৫ জন। আহত হয়েছেন ২৩ জন যাত্রী ।
মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা-খুলনা
মহাসড়কের কোতোয়ালি থানার মল্লিকপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মহাসড়কে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী
যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উদ্ধার
অভিযান চালানোর পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর করিমপুর
হাইওয়ে থানার (মাদারীপুর রিজিওন) অফিসার ইনচার্জ মো. সালাহ্ উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি জানান, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক
হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। রেকারের
সাহায্যে দুর্ঘটনাকবলিত বাস সরিয়ে নিহতদের বাস থেকে বাহির করা হয়। এতে ফায়ার সার্ভিসের
কর্মীরা উদ্ধার কাজে সহায়তা করেন।
মো. সালাহ্ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে
আহত ও নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। রাস্তায় গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক আছে।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে
জানা যায়, মঙ্গলবার ভোররাত আনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুর থানাধীন
মল্লিকপুর নামক স্থানে ঢাকা থেকে ঝিনাইদহ অভিমুখী গ্রিন পরিবহন এবং ঝিনাইদহ থেকে বরিশাল
অভিমুখী খাগড়াছড়ি পরিবহনের মুখামুখি সংঘর্ষ হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৫২ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক
ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), কুমিল্লা ।
গতকাল (৯ জুন) রাতে জেলা গোয়েন্দা
শাখা, কুমিল্লার এসআই উক্যমং রাখাইন তার সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতয়ালী
মডেল থানাধীন ১নং কালির বাজার বাইতুন সালাম ইসলামীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার সামনে থেকে
৩টি বস্তার ভিতরে মোট ৫২ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ সুমনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত
আসামী হলো: কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন শুভপুর এলাকার আব্দুল জলিল এর ছেলে
মোঃ সুমন(৩৫)।
উক্ত ঘটনায় মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কাভার্ডভ্যানে ফেনসিডিল পাচারকালে ২ মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে এ তথ্য জানানো হয় র্যাব-১৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ফারুক মিয়া (৩৬) এবং শেরপুর জেলার শ্রীবরদী থানার শাহআলীর ছেলে বিপ্লব হোসেন (২৬)। তাদের কাছে থেকে ৮৬ বোতল ফেনসিডিলসহ কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়।
র্যাব-১৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদে শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাত পৌনে ৮টায় পৌরশহরের খলসী নামক স্থানে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের ওপর চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালায় র্যাব। এ সময় ঢাকাগামী একটি কাভার্ডভ্যান থেকে ৮৬ বোতল ফেনসিডিলসহ ২ জনকে আটক করা হয়। সেইসঙ্গে জব্দ করা হয় কাভার্ডভ্যানটি।
বিভিন্ন কৌশলে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আসছিলেন তারা।
র্যাব-১৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারিরা দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবারের চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
তিনি আরও জানান, আসামিদের গোবিন্দগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চলুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই, চল যাই যুদ্ধে- মাদকের বিরুদ্ধে এই স্লোগানে চাঁদপুরের কচুয়ায় মাদক বিরোধী র্যালি ও মিছিল করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ভূঁইয়ারা ও দহুলিয়া গ্রামের যুব সমাজের উদ্যোগে র্যালি ও মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ওই ওয়ার্ডের পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় সামনে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, দিনদিন মাদকের ছোবলে যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। গ্রামের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীকে আটক করে আইনের আওতায় সোপর্দ করতে হবে। মাদক নির্মূলে যুব সমাজের ভূমিকা অপরিসীম। তাই মাদক প্রতিরোধ করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ কাজ করতে হবে।
ভূঁইয়ারা মানবসেবা ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. কবির হোসেনের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস,বিশিষ্ট সমাজসেবক ডা. মাসুদুর রহমান বাবুল,আব্দুল্লাহ আল মামুন,আবুল কালাম,শিক্ষক কামাল হোসেন, ফজলুর রহমান,আব্দুল আলীম,ভূঁইয়ারা উত্তর পাড়া দ্বীনের আলো সংগঠনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ আলী সহ আরো অনেকে।
এসময় ইমাম সফিকুল ইসলাম,হাজী দুলাল মিয়া,ভূঁইয়ারা পশ্চিম পাড়া মানব কল্যান যুব সংগঠনের সভাপতি আল আমিন,লোকমান হোসেন,গোলাম খাজা ভুলু,আব্দুল্লাহ,ইকবাল হোসেন, বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থী আব্দুর রহিম মোল্লা,শাকিব হোসেন ও মেহেদী সাহান সহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী লোকজন মাদক বিরোধী র্যালি ও মিছিলে অংশগ্রহন করেন।
মন্তব্য করুন
রবিবার কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা কর্তৃক একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে ।
এই বিশেষ অভিযানে ১জন আসামীকে গ্রেফতার করাসহ ৫০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৫২গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ উদ্ধার করা হয় ।
আজ সকাল আনুমানিক ৭টার সময় জেলা গোয়েন্দা শাখা,কুমিল্লায় কর্মরত এসআই(নিঃ) মোঃ
আরেফুল ইসলাম, এএসআই(নিঃ) মোঃ মাসুদ রানা,
এএসআই মোঃ ইকবাল হোসেন ফোর্সসহ কুমিল্লা জেলার সকল থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও
বিশেষ অভিযান ডিউটি করাকালীন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানার পশ্চিম চান্দিশকড়া
সাকিনের মোঃ সোহাগ (৩৪) কে তার নিজ বাড়ি থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট ও সাদা রঙের আইসসহ গ্রেফতার করে ।
আসামীর নিজ বসত ঘরে ২টি সাদা এয়ার টাইট পলিপ্যাক পাওয়া যায় যার ১টি পলিপ্যাক
এর ভেতর রাখা প্রতি প্যাকেটে ২৬(ছাব্বিশ) গ্রাম করে মোট ৫২(বায়ান্ন) গ্রাম সাদা রংয়ের
মাদকদ্রব্য আইস (ক্রিস্টাল মেথ) এবং স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো ২৫(পঁচিশ)টি কালো রংয়ের
এয়ার টাইট পলিপ্যাকেট এর প্রতিটি পেকেটের ভেতরে লুকানো ২০০(দুইশত) পিস করে ৫০০০ (পাঁচ
হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয় ।
উক্ত ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় এজাহার দায়ের করলে চৌদ্দগ্রাম থানার মামলা নং- তারিখ- ২৮/০৪/২০২৪ খ্রিঃ; ধারা- ২০১৮ সালের
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) এর টেবিল ১০(ক)/১০(গ) রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলসহ
পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতাকে গ্রেফতার করেছে মুরাদনগর থানা পুলিশ।
গত (৫ জুন) রাতে সঞ্জিত চন্দ্র সরকার
পিকআপ গাড়ি করে মাছ নিয়ে যাওয়ার সময় মুরাদনগর থানাধীন মুরাদনগর বাজারের আল্লাহ চত্ত্বর
সিএনজি স্টেশনে আসার পর অজ্ঞাতনামা একজন মোটরসাইকেল যোগে এসে মাছের গাড়িকে সিগন্যাল
দিয়ে গাড়িতে অবৈধ মাল আছে বলে জিজ্ঞাসা করে এবং নিজেকে আইনের লোক বলে পরিচয় দেয়। পিকআপটি
দাঁড় করানোর সাথে সাথে অজ্ঞাতনামা লোক মোটরসাইকেল ও প্রাইভেকার নিয়ে পিকআপের পাশে এসে
দাঁড়ায় এবং পিকআপ চেক করতে শুরু করে। এমন সময় অন্য একজন অজ্ঞাতনামা লোক পিকআপ গাড়ির
ড্রাইভার মোঃ সোহেল এর প্যান্টের বাম পকেট থেকে ১ লক্ষ ২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিলে বিষয়টি সন্দেহ হলে সাথে সাথে আসামীদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে
অজ্ঞাতনামা আসামীরা তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার যোগে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে
সঞ্জিত চন্দ্র সরকার থানায় এসে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত এজাহার দায়ের
করেন।
উক্ত ঘটনার সংবাদ প্রাপ্তির সাথে সাথে
মুরাদনগর থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম লুষ্ঠিত টাকা ও ঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের
লক্ষে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযান পরিচালনার সময় তথ্য প্রযুক্তি
ও স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় গত (১২ জুন) মুরাদনগর থানাধীন নিমাইকান্দি গ্রামের মাসুদ
এর বিল্ডিংয়ের সামনে পৌঁছালে পুলিশ দেখতে পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর সময় আসামী মোঃ নাজমুল
হাসান লিটনকে গ্রেফতার করা হয় এবং অপর এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির হাতে থাকা ১৫ পিস ইয়াবা
ফেলে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো- কুমিল্লা জেলার
মুরাদনগর থানাধীন ১৩নং মুরাদনগর সদর ইউনিয়নের মুরাদনগর মধ্যপাড়া এলাকার ওমর আলীর ছেলে
মোঃ নাজমুল হাসান লিটন (২৬)।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদকালে
তার অপর এক সহযোগীর সহায়তায় উক্ত ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করে এবং তার দেখানো স্থান
হতে ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত রেজিস্ট্রেশন ও নম্বরবিহীন একটি কালো রংয়ের ১৫০ সিসি পালসার
মোটরসাইকেল এবং লুণ্ঠিত ১ লক্ষ ২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদেরকে
গ্রেফতারের জন্য ও ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়ী উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উক্ত ঘটনায় পৃথকভাবে মুরাদনগর থানার
মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ব্রাহ্মণপাড়া থানায় মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে পুলিশ বৃহৎ পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করেছে।
এই অভিযানে চার জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার রাত ৩.২৫ ঘটিকায় ব্রাহ্মণপাড়া থানায় কর্মরত এসআই মোঃ শাহাবুর আলম ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ ব্রাহ্মণপাড়া থানা এলাকায় রাত্রীকালীন মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল ডিউটি করাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানাধীন ০৪নং শশীদল ইউনিয়নের বাল্লক রামচন্দ্রপুর সাকিনে ভারত সীমান্ত হতে রামচন্দ্রপুরগামী রাস্তায় চেকপোস্ট ডিউটি করাকালে একটি মাইক্রোবাস থেকে ৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন। এই সময় মাইক্রোবাসে যাত্রা করছিলেন চার জন মাদক ব্যবসায়ী, যাদের পুলিশ গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের মধ্যে তিন জনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মাদক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোঃ জাহাঙ্গীর (৩৪), মোঃ আলমগীর হোসেন (২৮), মোঃ জুয়েল মিয়া (২৯) ও মোঃ শাহপরান (২০)। তারা সবাই ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে যে, তিন জনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মাদক মামলা রয়েছে।
এ সম্পর্কে ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম আতিক উল্লা বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া এলাকা থেকে একজন গর্ভবতী মহিলাকে উদ্ধার করে শহরে নিয়ে আসা হয়।
মঙ্গলবার ৩ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা বৈষম্য বিরতি ছাত্র আন্দোলন রেসকিউ টিমের অভিযানে গর্ভবতী মহিলাকে উদ্ধার করে এনে পরবর্তীতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
শুধু
হাসপাতাল পর্যন্ত আনাই নয় বরং হাসপাতালে নিয়ে আসার পর প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসার ব্যবস্থা
করে দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লার মেডিকেল টিমের সদস্যরা।
এসময় কুমিল্লা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মেডিকেল টিম ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন উদ্ধারকারী টিমের সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্ণেল হাসনাত এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যসহ অন্যান্যরা।
সর্বশেষ সূত্রমতে জানা যায়, উদ্ধার করে আনা গর্ভবতী মহিলা দরিদ্র এবং অভিভাবকহীন। তাই তার চিকিৎসার সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করে উক্ত মেডিকেল টিমের কয়েকজন সদস্য।
এবং
উক্ত মহিলার হাসপাতালে অবস্থানকালে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সকল সমস্যা সমাধান এবং সকল
সুযোগ-সুবিধা প্রদানে সবকিছু তদারকির জন্য একটি টিম সার্বক্ষণিক তৎপর আছে ।
মন্তব্য করুন