কুমিল্লা টাউন হলের মুক্তিযোদ্ধা কর্ণারে 'ইভেন্ট ৩৬০' কুমিল্লায় প্রথম বারের মতো আয়োজিত 'কুমিল্লা ম্যারাথন' দৌড় প্রতিযোগিতার লোগো উন্মোচন ও প্রতিযোগিতার তারিখ ঘোষণা করেছে। 'কুমিল্লা ম্যারাথন' দৌড় প্রতিযোগিতাটি আগামী ২০২৫ সালের ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় 'কুমিল্লা ম্যারাথন' দৌড় প্রতিযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন বছরব্যাপি এ-কার্যক্রম নিয়ে বিশদ বর্ণনা করেন 'ইভেন্ট ৩৬০' এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সাইক্লিস্ট মাহমুদুল হাসান ইফাজ।
কুমিল্লাকে ব্র্যান্ডিং করতে ও সুস্থসবল তরুণ প্রজন্ম গড়তে বিশেষ করে ডিজিটাল ডিভাইস আসক্তি ও মাদক বিরোধী সমাজগঠন এবং কুমিল্লা ম্যারাথনকে সফল করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে দীপ্ত অঙ্গিকারের কথা উল্লেখ করেন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারি কুমিল্লার সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াঙ্গনের নেত্রীবৃন্দ ও আয়োজক কমিটির তরুন-তরুনিরা।
আবৃত্তিকার রুবেল কুদ্দুস এর সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক বদরুল হুদা জেনু, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শাহজাহান চৌধুরী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান, সংবাদিক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সংগঠক দেলোয়ার হোসেন জাকির, সাবেক ক্রিকেটার ও সংগঠক মোঃ রফিকুল ইসলাম সোহেল, লোগো ডিজাইনার ও রোটারিয়ান আল মাহমুদ, রোটরিয়ান ও সমাজকর্মী আবদুল্লা হিল বাকী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান ও সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। আয়োজন সহযোগে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা সাইক্লিস্ট ও কুমিল্লা রানার্স এর অর্ধশত সদস্য।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলায় সংসারের খরচ চাওয়ায় মাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাতে উপজেলার সাতানি ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত মঞ্জুরা বেগম (৬৫) ওই গ্রামের শান্তি মিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শান্তি মিয়ার দুই ছেলে তিন মেয়ে। ছোট ছেলে প্রবাসী বাবুল মিয়া বাহরাইনে থাকেন। আর বড় ছেলে নবীর হোসেন স্থানীয় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। শান্তি মিয়ার বয়স হয়েছে, উপার্জন করতে পারেন না। সাংসারিক খরচের জন্য তাকিয়ে থাকেন দুই ছেলের দিকে। ছোট ছেলে প্রবাস থেকে মাস শেষে টাকা পাঠালেও বড় ছেলে খুব একটা সংসার খরচ দেন না। এতে করে কয়েকদিন পর পরই বড় ছেলে নবীর হোসেনের সঙ্গে তার বাবা মায়ের ঝগড়া লাগতো। এর আগেও কয়েকবার সাংসারিক খরচ নিয়ে নবীর হোসেনের সঙ্গে তার মায়ের কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয়রা বসে সমস্যার সমাধান করেন।
মঙ্গলবার রাতে সংসারের খরচ চাওয়ায় নবীর হোসেন তার মাকে গালিগালাজ করেন। শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। এক পর্যায়ে চেয়ার দিয়ে মাকে মারধর করতে শুরু করেন। এই সময় তার বাবা শান্তি মিয়া বাধা দিলে তাকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে মা মঞ্জুরা বেগমকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে মা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তিতাস উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাতেই ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে সকালে পুলিশ এসে মঞ্জুরা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
কুমিল্লা তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষ্ণ কান্তি দাস বলেন, সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন আমরা পাইনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মূল ঘটনা জানা যাবে। আমরা এই বিষয়ে তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দেবিদ্বারে সর্বসাধারণের
গাড়ি ভেবে পুলিশের টহল গাড়িতে ডাকাতির করতে গিয়ে অস্ত্রসহ এক ডাকাতকে গ্রেফতার করা
হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ জুন) ভোর রাতে দেবিদ্বার-চান্দিনা
সড়কের উপজেলার নবিয়াবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় তার কাছে থাকা দুই রাউন্ড কার্তুজ ভর্তি ১টি
দেশীয় এলজি বন্দুক ও দুটি রামদা উদ্ধার করা হয়। আটককৃত আসামী মোশারফ হোসেন (৩৫) বুড়িচং
উপজেলার হালগাঁও গ্রামের আবদুল মতিন মিয়ার ছেলে।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)
মো. নয়ন মিয়া এসব তথ্য জানিয়েছেন।
থানাসূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাতদেড়টার দিকে দেবিদ্বার-চান্দিনা সড়কের নবিয়াবাদ এলাকার ভূইয়া বাড়ির সামনে
সর্বসাধারণের গাড়ি ভেবে থানার একটি টহল গাড়ি থামিয়ে ডাকাতির চেষ্টা করে একটি সংঘবদ্ধ
ডাকাত চক্র। পরে টহল গাড়িতে থাকা এএসআই আবদুল কাদের ও এসআই মিশন বিশ্বাস ডাকাত মোশারফকে
অস্ত্রসহ হাতেনাতে আটক করেন। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও অন্তত ১০/১২জন ডাকাত
পালিয়ে যায়।
দেবিদ্বার থানার ওসি মো: নয়ন মিয়া জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার মোশারফ অর্ধশতাধিক ডাকাতি করেছে
বলে জানিয়েছে। ডাকাতিকালে তার সঙ্গে আরও ১০/১২ ছিল, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ডাকাতির
অভিযোগে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে। মোশারফের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায়
অস্ত্র ও ডাকাতির ১০টি মামলা রয়েছে। তার কাছ থেকে কার্তুজ ভর্তি দেশীয় বন্দুক উদ্ধার
করা হয়েছে। মোশারফসহ ৫ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত১ ০/১২ জনের বিরুদ্ধে দেবিদ্বার
থানায় অস্ত্র ও ডাকাতির দুটি মামলা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তাকে কুমিল্লা জেলহাজতে
পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে মজুরি ঘোষণা করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।
পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী, আট হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি পাচ্ছিলেন পোশাকশ্রমিকরা। আগের তুলনায় ন্যূনতম মজুরি বেড়েছে সাড়ে ৪ হাজার টাকা।
আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মালিক ও শ্রমিক পক্ষ এবং নিরপক্ষ প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্রুত নতুন মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন শ্রমজীবী মানুষ আন্দোলন করে আসছেন মজুরি বাড়ানোর জন্য। মালিক ও শ্রমিকপক্ষকে নিয়ে মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আলাপ-আলোচনার মধ্যদিয়ে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।মজুরির যদি কোনো তারতম্য হয়ে যায় আমরা শেষ সম্বল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বারস্থ হই সবসময়। উনার মৌখিক নির্দেশে আজকে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ঘোষণা করছি।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের রেশনের দাবি আছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একটি পরিবারের জন্য একটি ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যেই নির্ধারিত থাকবে যতগুলো সদস্য কার্ডটি ব্যবস্থা করতে পারবে। পরবর্তীতে এ কার্ডের মাধ্যমে রেশনিং ব্যবস্থা চালুর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।এখানে শ্রমজীবী মানুষ ও রাষ্ট্রের স্বার্থ আছে। শিল্প বাঁচলে শ্রমিক বাঁচবে। শ্রমিকের সঙ্গে শিল্পও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। উভয়দিক লক্ষ্য রেখেই মজুরি ঘোষণা করা হচ্ছে।
মজুরি ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়বে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আট হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে। ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট বহাল আছে।
আন্দোলন-অবরোধের কারণে শিল্পাঞ্চলের বাড়িভাড়া মওকুফের জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বরের বেতন নতুন বেতনের আলোকে হবে। গেজেট এখনই করতে দেবে, কোনো সংশোধন থাকলে ১৪ দিনের মধ্যে করবে।
মজুরি ঘোষণার সময় নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তৌফিকুল আরিফ, বিকেএমইএ'র সভাপতি সেলিম ওসমান, বিজিএমইএ'র সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, শ্রমিক প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনি উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার
দক্ষিণ মাঝিগাছা এলাকা থেকে দলনেতাসহ আট জন কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১,
সিপিসি-২।
গত ২৭ জুন রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২
একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
দক্ষিণ মাঝিগাছা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় তাদের
নিকট হতে ২ টি চাকু, ৪ টি ক্ষুর ও ৭ টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত আসামীরা হলো: ১। মোঃ নিলয় ইসলাম (২০), পিতা-মোঃ রোকন মিয়া, সাং-
অরন্যপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা; ২। মোঃ ইমতিয়াজ মিনহাজ আকাশ (১৯), পিতা-
মোঃ গোলাম রাব্বানী মাসুম, সাং- অরন্যপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা; ৩। মোঃ
বাপ্পি (১৯), পিতা-মৃত আবুল খায়ের, সাং- অরন্যপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা;
৪। পিয়াল খন্দকার (১৯), পিতা-মোঃ বশির খন্দকার, সাং- গাজীপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা;
৫। মোঃ আব্দুল কাদির (১৯), পিতা-মোঃ সোয়াব আলী, থানা-মাধবপুর, জেলা-হবিগঞ্জ, এ/পি সাং-
উত্তর রামপুর, থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা’দেরকে গ্রেফতার এবং আইনের সাথে
সংঘাতে জড়িত শিশু ৬। শাহাদাত হোসেন মাহি (১৭), পিতা-মোঃ নাদের হোসেন, সাং- উত্তর রামপুর,
থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা; ৭। রাকিবুল হাসান (১৬), পিতা- মোঃ সোহেল রানা,
সাং- উত্তর রামপুর, থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা এবং ৮। মোঃ মুনতাছির মাহমুদ@
সামির (১৭), পিতা-মোঃ মীর হোসেন, সাং- উত্তর রামপুর থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের
ও আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা সকলেই কিশোর গ্যাং
এর সক্রিয় সদস্য। তারা উপরোক্ত দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে এলাকার সাধারণ মানুষকে ভয়
ভীতির মাধ্যমে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এছাড়াও তারা ভয় ভীতির
মাধ্যমে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ যানবাহনে ছিনতাই ও চাঁদা আদায়সহ ত্রাস সৃষ্টি করে
আসছিল বলে স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামী ও আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুদের
বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার একজন বাবুর্চি রান্না করার সময় দুর্ঘটনাবশত হাত ও পা ঝলসে যায়।
সোমবার রাত আনুমানিক ৯টায় ঘটে এ দুর্ঘটনা।
দুর্ঘটনার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কোনো ডিউটি ডাক্তার বা নার্সকে পাওয়া যায়নি।
উপায়ান্তর না পেয়ে আহত ব্যক্তি এবং তার সাথে আসা লোকজন হতাশ হয়ে পড়েন।
জরুরী চিকিৎসা সেবা নিতে এসে এই বিড়ম্বনার ঘটনা জানতে পেরে কুমিল্লা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মেডিকেল টিমের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিয়ে ডাক্তার এবং নার্সকে হাসপাতালে নিয়ে এসে উক্ত রোগীকে যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
উক্ত সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন আদর্শ সদর
উপজেলার ইউএনও এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মেডিকেল টিমের সদস্যবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
জাপানের সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট ফুজির চূড়ায় সফলভাবে আরোহণ করেছেন কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার ইকবাল বিন রশিদ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেল ৬টা ৫০ মিনিটে তিনি চূড়ায় পৌঁছান।
ইকবাল জানায়, তার এ অভিযান শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০টায়। দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা হাঁটার পর তিনি ৩,৭৭৬ মিটার উচ্চতার চূড়ায় পৌঁছাতে সক্ষম হন। এ অর্জনকে জীবনের অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি। অভিযাত্রার সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, কঠিন চড়াই ও ঠান্ডা আবহাওয়া মোকাবিলা করে নিজেকে প্রমাণ করার তৃপ্তি পেয়েছেন।
ইকবাল জানান, আমার স্বপ্ন ছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্বত জয় করে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা সেখানে উড়ানো। ফুজি ছিল আমার প্রথম আন্তর্জাতিক অভিযান। ২০২৩ সালে একটি ভিডিও দেখে স্বপ্ন জাগলো একদিন মাউন্ট ফুজির চূড়ায় উঠবো। আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
এ সময় ইকবাল তার সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বহন করেন এবং চূড়ায় পৌঁছে সেটি উড়ান। এই দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করলে তা ব্যাপক প্রশংসিত হয়।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত মাহতাবের বাড়িতে এসে স্বজনদের সাথে দেখা করেছেন বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল।
রোববার দুপুরে মাহতাবের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের উখারী গ্রামে আসেন তারা৷ বিমান বাহিনী প্রধানের পক্ষ থেকে আসা প্রতিনিধি দল নিহত মো. মাহতাব রহমান ভুইয়ার সমাধীতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার মো. আতিক হাসান পিএসসি, মাহতাবের বাবা মো. মিনহাজুর রহমান ভুইয়া।
উইং কমান্ডার আতিক হাসান বলেন, বিমান বাহিনী এবং বিমান বাহিনীর প্রধানের পক্ষ থেকে প্রয়াত মাহাতাবের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়েছে। আমরা শোকাহত। সারাদেশবাসী দোয়া করছি যেন এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারি। যারা আহত আছেন তারাও যেন দ্রুত আরোগ্য লাভ করতে পরে আমরা দোয়া করছি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার কাবিলা বাজারে অভিযান চালিয়ে প্রায় তিন কোটি আট লাখ আট হাজার টাকার ভারতীয় অবৈধ আতশবাজি আটক করেছে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)।
আজ
শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় এই তথ্য নিশ্চিত করেন কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এম জাহিদ পারভেজ।
বিজিবি সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৩ মার্চ রাত থেকে ১৪ মার্চ ভোর ৫টা পর্যন্ত কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাবিলা বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান চালানো হয়। কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) রতন কুমার দত্ত-এর উপস্থিতিতে বিজিবি ও র্যাব সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টাস্কফোর্স এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মালিকবিহীন অবস্থায় ১৪ লাখ ১৫ হাজার ৪০০টি ভারতীয় অবৈধ আতশবাজি এবং একটি ট্রাক জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় তিন কোটি আট লাখ আট হাজার টাকা।
বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এম জাহিদ পারভেজ জানান, সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধসহ আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)। এরই অংশ হিসেবে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযানে এসব অবৈধ মালামাল জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত পণ্য বিধি মোতাবেক কাস্টমসে জমা দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ২০ কেজি গাঁজা’সহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন দূর্গাপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে শান্ত ইসলাম ও খোকন মিয়া নামের ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ২০ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার গোলমাইজ গ্রামের মৃত নাছির মল্লিক এর ছেলে শান্ত ইসলাম এবং কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার শরিফপুর গামের মৃত আশরাফ মিয়া এর ছেলে খোকন মিয়া।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
অসহায় মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে চলা মানবিক ও সমাজসেবামূলক সংগঠন “দুর্বার বাংলাদেশ” এবার তাদের বিশেষ কর্মসূচি “প্রজেক্ট স্বাবলম্বী”-এর আওতায় এক অসচ্ছল ব্যক্তিকে রিকশা প্রদান করেছে। সমাজে স্বাবলম্বী মানুষ তৈরির লক্ষ্যে এই প্রকল্পের এটি একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ, যা স্থানীয়ভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
এই আয়োজনটি সম্প্রতি কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্বার বাংলাদেশের উপদেষ্টা সাদমান সারার, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রাকিবুল আলম রিফাত, পরিচালক আকিব হাসান, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলম মহিউদ্দিন আজম, সাধারণ সম্পাদক মইন নাসের খান রাফি, এবং সংগঠনের অন্যান্য সদস্য অহনা, মিলি, শতাব্দী, রাত্রি, মেহজাবীন, বিপুল, আবির ও ওমর সহ আরও অনেকে। সংগঠনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো অসহায় মানুষদের স্বনির্ভর করে তোলা।
দুর্বার বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রাকিবুল আলম রিফাত বলেন, “আমরা চাই মানুষ শুধু সাহায্যের উপর নির্ভরশীল না থেকে নিজে উপার্জনের সুযোগ পাক। প্রজেক্ট স্বাবলম্বী শুরু থেকেই সেই চিন্তা থেকে পরিচালিত হচ্ছে। আজ যে মানুষটিকে রিকশা দেওয়া হলো, তিনি এখন নিজে উপার্জন করে পরিবারকে সহায়তা করতে পারবেন এটা আমাদের জন্য গর্বের।”
উপদেষ্টা সাদমান সারার বলেন, “দুর্বার বাংলাদেশ শুধু আর্থিক সহায়তা নয়, মানুষের জীবনে স্থায়ী পরিবর্তন আনতেই কাজ করে যাচ্ছে। প্রজেক্ট স্বাবলম্বী আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি কর্মসূচি। আজকের এই রিকশা প্রদানের মাধ্যমে একজন মানুষ তার জীবনে নতুন আশার আলো খুঁজে পেয়েছেন।”
তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে, যাতে বেশি সংখ্যক মানুষ উপকৃত হতে পারেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে একমত হন যে, সমাজে পরিবর্তন আনতে হলে শুধু দান নয়, আত্মকর্মসংস্থান ও সুযোগ তৈরির মতো কার্যক্রমই বেশি কার্যকর। দুর্বার বাংলাদেশ ঠিক সেই জায়গাটিতেই কাজ করছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড কেবল ব্যক্তি নয়, একটি পরিবারের ভবিষ্যৎও বদলে দিতে পারে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “প্রজেক্ট স্বাবলম্বী” আগামীতে সেলাই মেশিন, ক্ষুদ্র ব্যবসার পুঁজি এবং অন্যান্য স্বনির্ভর উপকরণ প্রদান কর্মসূচিও চালু করতে যাচ্ছে। এই ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে অসহায় মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন সম্ভব বলে মনে করছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মইন নাসের খাঁন রাফি বলেন,“আমাদের লক্ষ্য সমাজে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনা। দুর্বার বাংলাদেশ সে লক্ষ্যেই কাজ করছে। আমরা শুধু সমস্যার কথা বলি না, তার সমাধানেও এগিয়ে যাই।”
সচেতন ও মানবিক সমাজ গঠনে এ ধরনের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে অনুকরণীয়। দুর্বার বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে এই উদ্যোগকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন