তাপস চন্দ্র সরকার, প্রতিবেদক:
বিশ্বশান্তি
ও মানব জাতির মঙ্গল কামনায় রবিবার (১০ নভেম্বর) কুমিল্লা নগরীর মনোহরপুরস্থিত শ্রী
শ্রী রাজ-রাজেশ্বরী কালী মায়ের বাড়ীর নাটমন্দির প্রাঙ্গণে শ্রী শ্রী জগদ্ধাত্রী অনুষ্ঠিত
হবে।
তদুপলক্ষে
আজ শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শ্রী শ্রী জগদ্ধাত্রী মায়ের শুভ অধিবাস। পরদিন রবিবার
সকাল ৮টা হতে যথাক্রমে শ্রী শ্রী জগদ্ধাত্রী মায়ের পূজা আরম্ভ, ভোগ বিরাগ শেষে দুপুরবেলা
আগত ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ এবং সবশেষ বিকেল ৫টায় শ্রী শ্রী জগদ্ধাত্রী মায়ের পূজার
পূর্ণাহুতি।
ওই
মহতী অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্বে সনাতন ধর্মাবলম্বীদেরকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন
শ্রী শ্রী রাজ রাজেশ্বরী কালী মাতার মন্দির কমিটি।
এদিকে,
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখার সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট
তাপস চন্দ্র সরকার বলেন- দুর্গাপুজো, কালীপুজো ও ভাইফোঁটার রেশ কাটতে না কাটতে চলে
এলো জগদ্ধাত্রী পুজো। মা কালীর বিসর্জনের পরই হৈমন্তিকার জগদ্ধাত্রী আরাধনায় মেতে ওঠবেন
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। দুর্গাপুজোর ক্ষেত্রে যেমন সকলের নজর থাকে অষ্টমী তিথির দিকে;
তেমনই জগদ্ধাত্রী তিথি ঘিরে সকলের নজর থাকে নবমীর দিকে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় ৪৭ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি।
আজ সোমবার কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার চাঁনপুর এলাকা থেকে এসব পণ্য জব্দ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১০ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর আলী এজাজ ।
জানা গেছে, সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার চাঁনপুর এলাকায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে বিজিবি। এসময় সীমান্তবর্তী চাঁনপুর এলাকায় বিজিবির অভিযান টের পেয়ে সড়কের পাশে সিএনজি ভর্তি শাড়ি রেখে পালিয়ে যায় চোরাকারবারীরা। পরে একটি সিএনজিকেসহ ৪৫৫ পিস বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় শাড়ি আটক করে। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে জানিয়েছে বিজিবি।
১০ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর আলী এজাজ জানান, বিজিবির উদ্ধার করা ৪৫৫টি ভারতীয় শাড়ির আনুমানিক মূল্য সাতচল্লিশ লাখ নব্বই হাজার টাকা। আটককৃত পণ্য কাস্টমস এ জমা করার প্রক্রিয়া চলমান।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় তদারকি অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়।
শনিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার ধনপুর ও কাশিনাথপুর এলাকায় একটি শিশু খাদ্য প্রস্তুতকারক ও একটি খাদ্য পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে এ অভিযান চলে।
উক্ত অভিযানে দেখা যায়, ধনপুর এলাকার মেসার্স টি জে ফুড প্রোডাক্টস নামের একটি প্রতিষ্ঠান শিশু খাদ্য জিওজিও ও ছুটি নামের দুটি ব্রান্ডের চিপস প্রস্তুত ও মোড়কজাত করছে। কিন্তু চিপসের প্যাকেটের গায়ে উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ করছে না। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ফ্লোরে বসেই উৎপাদন ও মোড়কীকরণ করা হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার বিরোধী এমন কর্মকাণ্ডের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটি ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অন্যদিকে কাশিনাথপুর এলাকায় মেসার্স হাফসা সুইটস এন্ড বেকারিতে দেখা যায়, রং মিশ্রিত করমচাকে চেরি ফল বলে কেকে ব্যবহার করা হচ্ছে, বার্থডে কেকে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণের মেয়াদ নেই, অনুমোদনহীন বিদেশী উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিএসটিআই এর অনুমোদন না থাকলেও প্যাকেটে বিএসটিআই এর লোগো ব্যবহার করা হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার বিরোধী এমন কর্মকাণ্ডের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং অনুমোদনহীন পণ্য জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর একে আজাদ ও জেলা পুলিশের একটি টিম।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, নিজস্ব
প্রতিবেদক:
কুমিল্লার
ঐতিহ্যবাহী খাদি কাপড়সহ মোট ২৪টি পণ্য ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ পেয়েছে।
গতকাল
বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট,
শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর আয়োজিত বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস ২০২৫-এর আলোচনা সভায়
সংশ্লিষ্টদের এসব সনদ হস্তান্তর করা হয়।
কুমিল্লার
ঐতিহ্যের স্মারক খাদি কাপড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় জেলার মানুষ
আনন্দিত। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা দাবি জানিয়ে আসছিলেন, অবশেষে পেয়েছেন সুখবর। খাদি কাপড়ের
বিশেষত্ব হলো এটি হাতে তৈরি, পরিবেশবান্ধব এবং আরামদায়ক। কুমিল্লার কারিগররা তাদের
অনন্য দক্ষতার মাধ্যমে খাদিকে একটি শিল্পে রূপান্তরিত করেছেন।
কুমিল্লার
কান্দিরপাড় এলাকার রামঘাটলা থেকে শুরু করে রাজগঞ্জ পর্যন্ত অন্তত ৩০০ খাদি পোশাকের
দোকান রয়েছে।
কুমিল্লার
জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার জানান, জেলা প্রশাসনের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় গত বছর কুমিল্লার
রসমালাই জিআই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কুমিল্লার খাদি ও বিজয়পুরের মৃৎশিল্পের জিআই
স্বীকৃতির জন্য তখন থেকেই কাজ শুরু হয়। কুমিল্লার ‘ব্র্যান্ড’ হিসেবে পরিচিত তিনটি
পণ্যের মধ্যে দুটি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে।
নিবন্ধন
সনদপ্রাপ্ত ২৪টি ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (ব্রাকেটে সনদ নম্বর) হলো, ঢাকাই ফুটি কার্পাস তুলা (৩৯), কুমিল্লার খাদি (৪০),
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি (৪১), গোপালগঞ্জের ব্রোঞ্জের গহনা (৪২), সুন্দরবনের
মধু (৪৩), শেরপুরের ছানার পায়েস (৪৪), সিরাজগঞ্জের লুঙ্গি (৪৫), গাজীপুরের কাঁঠাল
(৪৬), কিশোরগঞ্জের রাতাবোরো ধান (৪৭), অষ্টগ্রামের পনির (৪৮), বরিশালের আমড়া (৪৯),
কুমারখালীর বেডশিট (৫০), দিনাজপুরের বেদানা লিচু (৫১), মুন্সীগঞ্জের পাতক্ষীর (৫২),
নওগাঁর নাকফজলি আম (৫৩), টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের জামুর্কির সন্দেশ (৫৪) ও ঢাকাই ফুটিকার্পাস
তুলার বীজ ও গাছ (৫৫),নরসিংদীর লটকন (৩২), মধুপুরের আনারস (৩৩), ভোলার মহিষের দুধের
কাঁচাদই (৩৪), মাগুরার হাজরাপুরী লিচু (৩৫), সিরাজগঞ্জের গামছা (৩৬), সিলেটের মনিপুরি
শাড়ি (৩৭), মিরপুরের কাতান শাড়ি (৩৮)।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের
উদ্যোগে গত শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) লাকসাম উপজেলার ভাকড্যা গ্রামে ভাকড্যা উচ্চ বিদ্যালয়
মাঠে আশ্রয়কেন্দ্র ও পার্শ্ববর্তী আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর বন্যার্ত মানুষদের বিনামূল্যে
চিকিৎসা সেবা ও ঔষুধ বিতরণ করা হয়েছে।
ক্যাম্পেইনে ডা: আশিকুজ্জামান (মেডিসিন),
ডা: নিশাত জাহান (গাইনী ও মহিলা রোগ), ডা: জামিল হোসেন (মেডিসিন) এর নেতৃত্বে মেডিকেল
টিম সুষ্ঠভাবে সকল প্রক্রিয়া - রোগীর হিস্টোরি নেওয়া, প্রেশার মাপা, ডায়াবেটিস মাপা,
প্রেসক্রিপশন ও ঔষুধ বিতরণ করা হয়। এ সময় আনুমানিক চারশত রোগীদের সেবা প্রদান করা হয়।
এই অঞ্চলে ডাকাতিয়া নদীর পানি বিপদসীমার
ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে দুই সপ্তাহ ধরে সবাই পানিবন্দী।
ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ জানান, ব্রিটানিয়া পরিবারের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের একদিনের বেতন ও শিক্ষার্থীদের অনুদানের ফান্ড থেকে এই ক্যাম্পেইন বাস্তবায়ন করা হয়। ভবিষ্যতেও আমরা এই জাতীয় মানবিক কর্মকান্ড করতে বদ্ধ পরিকর।
মন্তব্য করুন
ইতিহাস ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির বাতিঘর বলা হয় কুমিল্লাকে। কুমিল্লা পুরনো নাট্য কয়েকটি নাট্য সংগঠনের মধ্যে যাত্রিক অন্যতম। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ভিন্নধর্মী পরিবেশনা নিয়ে কুমিল্লা মাতিয়ে এসেছে দলটি। জানা যায়, সত্তর দশকে প্রতিষ্ঠিত হয় যাত্রিক নাট্যগোষ্ঠীর। বর্তমানে প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর চলছে সংগঠনটির। এই অর্ধশত বছর উদযাপনকে কেন্দ্র বিভিন্ন আয়োজন করে যাচ্ছে যাত্রিক। এবার বিশ্বকবি রবী ঠাকুরের হৈমন্তী মঞ্চায়নের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে দলটি। আয়োজকদের সূত্রে জানা যায়, হৈমন্তী কুমিল্লায় প্রথম মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে। এর আগে কখনো হৈমন্তী মঞ্চায়ন হয়েছে বলে জানা নেই তাদের।
যাত্রীকের আহবানে নাটকটি নির্মাণের জন্য এগিয়ে এসেছেন আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত চলচিত্র নির্মাতা, ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আনোয়ার হোসেন আলম। আগামী তিন মাস ব্যাপি চলবে "হৈমন্তী"র নির্মাণ কাজ।
নাটকটির মঞ্চায়ন নিয়ে শুক্রবার ভাষা সৈনিক অজিত গুহ মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিষদ সম্মেলন কক্ষে বিশেষ সভার আয়োজন করা হয়। এতে যাত্রিক নাট্যগোষ্ঠীর সভাপতি রোটারিয়ান অধ্যক্ষ হাসান ইমাম মজুমদার ফটিক, সাধারণ সম্পাদক প্রনব কুমার সাহা নান্টু, সহসভাপতি নাছের মিয়াজি বাবু, ট্রেজারার তপন সেন গুপ্ত প্রমুখ।
নির্মাতা আনোয়ার হোসেন আলম জানান, কুমিল্লা আমার প্রাণের শহর। এই শহরের কাছে আমি অনেক ঋণী। যাত্রিক নাট্যগোষ্ঠী অনেক পুরনো এবং ঐতিহ্যবাহী একটি দল। অতীতে তারা দারুণ দারুণ কাজ করে কুমিল্লাবাসীর আস্থা ও প্রশংসা কুড়িয়েছে। আশা করছি হৈমন্তী অনেক ভালো মঞ্চ নাটক হবে এবং চমৎকার সাড়া ফেলবে সংস্কৃতিকর্মীদের মাঝে।
যাত্রিক নাট্যগোষ্ঠীর সভাপতি রোটারিয়ান অধ্যক্ষ হাসান ইমাম মজুমদার ফটিক জানান, আমাদের সংগঠনের ৫০ বছর চলছে। ইতিমধ্যে আমরা অনেক পরিবেশনা ও কাজ করেছে। হৈমন্তী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্পের মধ্যে অন্যতম ও আলোচিত। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাটকটি মঞ্চায়ন করবো। আগামি তিন মাসের মধ্যে নাটকটি মঞ্চে আসবে বলে বিশ্বাস।
মন্তব্য করুন
সারাদেশের মতো কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের
অধীনে ৬ জেলার কলেজগুলোতে আজ রোববার (৩০ জুন) অনুষ্ঠিত হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট
(এইচএসসি) পরীক্ষা।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে,
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষায়
৬ টি জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ১৩ হাজার ২৯০ জন। এর মধ্যে ছেলে পরীক্ষার্থী
৪৮ হাজার ৪৭১ জন এবং মেয়ে পরীক্ষার্থী ৬৪ হাজার ৮১৯ জন। এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ছেলেদের
তুলনায় মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৩৪৮ জন বেশি।
কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর,
চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৪৩২টি কলেজের শিক্ষার্থীরা ১৯৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষায়
অংশগ্রহন করেছেন।
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক
শিক্ষা বোর্ডের প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে পাওয়া গেছে, বোর্ডে সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থীর
সংখ্যা কুমিল্লা জেলায়। এখানে ১৬৩টি কলেজের ৩৯ হাজার ৪৯২ জন। নোয়াখালী জেলায় ৫৫টি কলেজের
পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৯হাজার ৭৮৯ জন, ফেনী জেলায় ৪২ কলেজের ১১ হাজার ৮০ জন, লক্ষ্মীপুর
জেলায় ৪০টি কলেজের ১১ হাজার ৩৪৮ জন, চাঁদপুর জেলায় ৬৭টি কলেজের ১৬ হাজার ২৩২ জন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জেলায় ৬৫টি কলেজের ১৫ হাজার ৩৫৯ জন শিক্ষার্থী এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষায় এই তিন বিভাগের মধ্যে মানবিকে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক
পরীক্ষার্থী এবার অংশ নিচ্ছেন। মানবিক বিভাগে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫২ হাজার ৪১৪ জন,
বিজ্ঞান বিভাগে ২৮ হাজার ৯২ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৩২ হাজার ৭৪৮ জন।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা
নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ৬ জেলায়
ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে। পরীক্ষার্থী কিংবা পরীক্ষক যারাই কোনো অনিয়মের সঙ্গে
জড়িত হবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক
শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. নিজামুল করিম বলেন, নানা সামাজিকও আর্থিক
কারণে মেয়ে পরীক্ষার্থী বেড়েছে এবং ছেলে পরীক্ষার্থী সংখ্যা কমেছে। বিশেষ করে এখন ছেলেরা
কম বয়সেই এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেই কর্মসংস্থানে যুক্ত হচ্ছে আবার অনেকে বিদেশ চলে
যাচ্ছে। আর এসব কারণেই মেয়েদের অংশগ্রহণ বেশি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পৃথক স্থানে পুকুরে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুন) এ ঘটনা ঘটে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
জানা যায়, শুভপুর ইউনিয়নের উনকোট গ্রামে দেড় বছর বয়সী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ গতকাল সোমবার দুপুরে পুকুরপাড়ে খেলার সময় পুকুরে পড়ে যায়। কিছুক্ষণ পর পুকুরে ভাসতে দেখে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ছাড়া সকালে চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকার পশ্চিম চান্দিশকরায় নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পুকুরের পানিতে পড়ে মারা গেছে দেড় বছর বয়সী আতিফা আবেদীন ইশরা।
অন্যদিকে চিওড়া ইউনিয়নের চাপিরতলা গ্রামে নানার বাড়ির পুকুরের পানিতে ডুবে সাইফুল ইসলাম নীরব নামে ৮ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত শিশুরা হলো: শুভপুর ইউনিয়নের উনকোট গ্রামের মো. ফারুকের ছেলে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বৈলপুর গ্রামের শিক্ষক শিপন আবেদীনের মেয়ে আতিফা আবেদীন ইশরা ও চিওড়া ইউনিয়নের ছোট সাতবাড়িয়া গ্রামের আবদুল কাদির সুফলের ছেলে সাইফুল ইসলাম নীরব।
ইদানীং পানিতে ডুবে অনেক শিশু মারা যাচ্ছে। এ মৃত্যু কমাতে ছোট শিশুদের প্রতি অভিভাবকদের বেশি খেয়াল রাখা উচিত বলে জানান চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাঈদ আল মানসুর।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা
জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে শহরের টমছম ব্রিজ
ও ইপিজেড এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা
হয়েছে।
আজ
বুধবার (৬ নভেম্বর) অভিযানে ৪টি দোকানের বিরুদ্ধে ৪টি মামলায় মোট ২০,০০০ টাকা জরিমানা
আদায় করা হয় এবং এ সময় প্রায় ৩৪ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগ জব্দ করা হয়।
মোবাইল
কোর্টে নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ
ম্যাজিস্ট্রেট শ্রী রতন কুমার দত্ত।
প্রসিকিউশন
প্রদান করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক জোবায়ের হোসেন। অভিযানে
সহযোগিতা করেন হিসাবরক্ষক তোফায়েল আহমেদ মজুমদার এবং জেলা পুলিশের সদস্যবৃন্দ।
এই
অভিযানের মাধ্যমে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহারের বিরোধিতা করে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে
লিফলেট বিতরণ করা হয়। পরিবেশ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে
জেলা প্রশাসন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের
সুন্দুরিয়া পাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে
বিদেশী ও দেশী বিপুল পরিমান অস্ত্রসহ মো. মোতাব্বির
হোসেন জনি (৩৫) নামের এক জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।
এ সময় তার বাড়ি থেকে ১টি বিদেশি এয়ারগান,
১৪টি দেশিয় তলোয়ার, ১টি লোহার তৈরি চাকতি, ৩টি চাকু, ৫টি স্টিক ও নগদ সাড়ে ৪ লাখ
টাকা উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে সেনাবাহিনীর
নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী জনির বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে অস্ত্রসহ তাকে আটক করে।
আটক হওয়া মোহাম্মদ মোতাব্বির হোসেন
জনি- ফারজানা ট্রান্সপোর্ট এর মালিক।
তাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেনাবাহিনী।
আটককৃত মোহাম্মদ মোতাব্বির হোসেন জনিকে
অস্ত্রসহ বুড়িচং থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২০০ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন ।
শুক্রবার (২৩ আগষ্ট) রাতে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা জগন্নাথপুর ইউনিয়নে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান ও আবু রায়হানের নেতৃত্বে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মিলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের শুকনা খাবার বিতরণ করেন।
বন্যার্তদের মাঝে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়ক রাশেদুল হাসান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীরা মিলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এগিয়ে এসেছি। আমরা এখানে ২০০ পরিবারকে সাহায্য করেছি।
আরেকজন সমন্বয়ক আবু রায়হান বলেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে আমাদের
শিক্ষার্থীদেরকেই মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা মানুষদেরকে সাহায্য করতে এগিয়ে
এসেছি। আমাদের মত সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে আমরা বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে
পারবো। বিপদে আমরা সবাই একসাথে মানুষদের পাশে দাঁড়াবো।
মন্তব্য করুন