কুমিল্লার বুড়িচংয়ে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মামুনকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মামুন ময়নামতি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ময়নামতি ইউনিয়নের আকাবপুর গ্রামের মো. আব্দুল মান্নানের ছেলে।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বুড়িচং থানার ওসি মোহাম্মদ আজিজুল হক জানান, মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের নির্বাচনে ব্যালট বাক্স ছিনতাই, ভাঙচুর ও কেন্দ্র দখল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হামলা, মাদক, বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ অন্তত ৮ মামলা রয়েছে। ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
৮৫ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
সোমবার
(১৯ আগস্ট) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানাধীন মিরপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে
আসামী ১। মোঃ মিনারুল ইসলাম (৩১) এবং ২। মোঃ সাফিরুল ইসলাম (৩৪) নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ৮৫ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত
একটি প্রাইভেটকার গাড়ি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: ১। মোঃ মিনারুল
ইসলাম (৩১) জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন এর
ছেলে এবং ২। মোঃ সাফিরুল ইসলাম (৩৪) জয়পুরহাট জেলার জয়পুরহাট থানার হিচমী দক্ষিণপাড়া
গ্রামের মৃত মোয়াজ্জেম হোসেন এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ অন্যান্য জেলায় মাদক
ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর
মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো
সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের
বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানাধীন পদুয়ার বাজার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হতে শনিবার রাতে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: ডিএমপি ঢাকা জেলার মিরপুর থানার ৬৮নং জনতা হাউজিং, শাহ আলীবাগ এলাকার মৃত ওসমান গনির ছেলে মাঃ ইমামুল হক @শুক্কুর এবং কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর থানার পূর্ব মুক্তার পোল, ০৬ নং ওয়ার্ড এর মৃত দানু মিয়ার ছেলে দিদারুল আলম (৫০)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় জানায়, তারা উভয়েই একটি সংঘবদ্ধ মাদক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং তারা সাধারণ পেশার আড়ালে এসকল মাদকদ্রব্যের পরিবহন ও ক্রয়-বিক্রয় পরিচালনা করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত ০১ নং আসামী মোঃ ইমামুল হক শুক্কুর ড্রাইভার পেশার আড়ালে মাদকদ্রব্য সংরক্ষণ ও ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল। এই চক্রটি পারস্পারিক যোগসাজসে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট সহ অন্যান্য মাদকদ্রব্যের বড় আকারের চালান দীর্ঘদিন যাবৎ ট্রাক, পিকআপ, কার্ভাড ভ্যান সহ অন্যান্য যানবাহন ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের পণ্যদ্রব্য পরিবহনের আড়াঁলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কুমিল্লা ও ঢাকা সহ পাশর্^বর্তী জেলা সমূহে সরবরাহ করে থাকে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় আরো জানায় এই বিপুল পরিমান ইয়াবা এর চালান ঢাকাসহ পাশর্^বর্তী বিভিন্ন জেলায় সরবরাহের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। পরবর্তীতে গোয়েন্দা কার্যক্রম ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর আভিযানিক দল মাদক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য মোঃ ইমামুল হক @শুক্কুর ও দিদারুল আলম’দ্বয়কে গ্রেফতার পূর্বক তাদের দেখানো মতে সদর দক্ষিণ থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকার ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়ক হতে গ্রেফতার করে ০১ টি ব্যাগে সর্বমোট ৪০,০০০ পিস উদ্ধার করে যার আনুমানিক মূল্য ০১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে মাদক চোরাচালানের সাথে সম্পৃক্তদের বিষয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এসংক্রান্তে জড়িত অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব-১১ এর গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলায় বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকালে আলাদা ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের ইরুয়াইন এবং পৌরসভার রাজঘাট এলাকায় ঘটনা দুটি ঘটে।
দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন লাকসাম
থানার ওসি মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন খান।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন খান জানান, সকালে ইরুয়াইনের নাগরাপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন নিজের মুদি দোকানের পেছনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান সামসুর রহমান (৩৫) নামের ব্যবসায়ী। তিনি প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে অটোরিকশার ব্যাটারি চার্জ দিয়ে সংযোগ খোলার সময় সামসুর রহমান বিদ্যুতায়িত হন। পরে স্থানীয় লোকজন লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সামছুর রহমান কান্দিরপাড় ইউনিয়নের ছনগাঁও পশ্চিমপাড়ার প্রয়াত মফিজুর রহমানের ছেলে।
ওসি শাহাব উদ্দিন আরও জানান, সকালে ঘরের পাশে থাকা
বৈদ্যুতিক মোটরে হাত দিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় রাজঘাটের মোহাম্মদ মাহি (৩)। বেশ
কিছুক্ষণ পর তার বড় বোন সায়মা (৭) এসে স্পর্শ করলে সেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। পরে
সায়মার চিৎকারে ঘরের লোকজন ছুটে এসে মাহিকে স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে নিয়ে
গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান। মাহি রাজঘাট উত্তরপাড়ার ছাত্তার ভান্ডারীর
বাড়ির সাইফুল ইসলামের ছেলে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার সীমান্ত এলাকা থেকে এক ভারতীয় তরুণকে আটক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে ১০০ বোতল ফেনসিডিল ও একটি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি অবৈধভাবে বাংলাদেশে মাদকসহ প্রবেশ করেছিলেন।
আজ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ১০ বিজিবি, কুমিল্লার অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ইফতেখার হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটক ভারতীয় তরুণের নাম মেহেদী হাসান (১৮)। তিনি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহিজলা জেলার সোনামুড়া থানার এনসি নগর গ্রামের মো. স্বপন মিয়ার ছেলে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ইফতেখার হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) অধীন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার গোলাবাড়ি পোস্টের টহলদল মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বিজিবির টহলদল সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কেরানীনগর নামক স্থান হতে ওই ভারতীয় নাগরিককে আটক করে। মাদকসহ অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনায় ওই তরুণের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল:
কুমিল্লার ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি (যুদ্ধসমাধি)
থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
তাদের দেহাবশেষ জাপানে নেওয়া হবে। এরই মধ্যে জাপানের পক্ষ থেকে ৭ সদস্যদের একটি ফরেনসিক
বিশেষজ্ঞ দল ওই ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছেন। যেটি
শেষ হবে আগামী ২৪ নভেম্বর।
কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিম
পাশে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় অবস্থিত ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান
হিসেবে পরিচিত। সেখানে রোববার বিকেল পর্যন্ত খনন করা হয়েছে ১০টি সমাধি। জাপানের বিশেষজ্ঞ
ফরেনসিক টিমকে সহায়তা করছেন বাংলাদেশ সরকার। পুলিশি নিরাপত্তায় খনন কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে
নিহত বিশ্বের ১৩টি দেশের ৭৩৭জন বীর সৈনিককে ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিতে সমাহিত করা হয়েছিল।
এর মধ্যে ১৯৬২ সালে একজন সৈনিকের দেহাবশেষসহ সমাধির মাটি তার স্বজনরা যুক্তরাষ্ট্রে
নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে ২৪ জন জাপানি সৈনিকের মরদেহ রয়েছে। গত বুধবার থেকে খনন কাজ
শুরু হয়।
সমাধিস্থলের মাটি খুঁড়তেই মিলছে দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধে নিহত জাপানি সৈনিকদের মাথার খুলিসহ শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড়। সেগুলো অত্যন্ত
যত্নসহকারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশন এই যুদ্ধ সমাধি ক্ষেত্র
তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে আসছে।
সমাধিস্থলের খননকাজে জাপানের প্রতিনিধিদের
সহায়তা করছেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.)
কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীর প্রতীক)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কবর (সমাধি) শনাক্তকরণ, দেহাবশেষ
সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছেন। বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের দেহাবশেষ সরিয়ে আনার কাজটিও করেছেন
তিনি। জাপানের প্রতিনিধিদলের পক্ষে পুরো কর্মযজ্ঞের বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।
কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বলেন, ‘জাপান
সরকার ২০১৩ সালে আমাকে তাদের দূতাবাসে ডেকেছিল এই ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে
নেওয়ার বিষয়ে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে ওই সময়ে সেটি সম্ভব হয়নি। গত বছর থেকে তারা বিষয়টি
নিয়ে আবারও যোগাযোগ করে। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাপান সরকার আমাদের সরকারের কাছে চিঠি
লেখে এবং কমনওয়েলথের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এই কাজ শুরু করেছে। এখানে জাপানের পক্ষ থেকে
সাতজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ কাজ করছেন, যারা এ কাজে অত্যন্ত দক্ষ। তাদের ছয়জন জাপানি ও
একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। এই সমাধিগুলো ৮১ বছরের পুরোনো। এরই মধ্যে খনন করে আমরা
১০ জনের দেহাবশেষ সমাধি থেকে উত্তোলন করতে পেরেছি।’
দেহাবশেষে কী কী পাওয়া যাচ্ছে, জানতে
চাইলে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘৮১ বছর পর খুব বেশি কিছু পাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা
প্রতিটি সমাধির দুই ফুটের মতো খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে খুঁড়ছি। বাকিটা ম্যানুয়ালি
অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে খনন করা হচ্ছে। কোনোটিতে তিন ফুট, আবার কোনোটিতে ছয় ফুট খননের
পর দেহাবশেষ পাওয়া যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত যেগুলো খনন করা হয়েছে, সেসব সমাধিতে মাথার খুলি,
শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড় পাওয়া যাচ্ছে। তবে যা-ই পাচ্ছি, সবকিছুই জাপানের বিশেষজ্ঞ
দল যত্নসহকারে সংরক্ষণ করছে।’
তিনি বলেন, আমরা এক তরুণ সৈনিকের দেহাবশেষ
তুলতে গিয়ে মাথার খুলির মধ্যে বুলেটের চিহ্ন পেয়েছি। রেকর্ড অনুযায়ী ওই সৈনিকের বয়স
২৮ বছর ছিল। আমার তখন বুকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করেছে। এত তরুণ বয়সে পৃথিবী থেকে চলে গেছে
সে। এখানে জাপানের সৈনিকদের ২৪ সমাধির মধ্যে ২০টির নাম-পরিচয় আছে। বাকি চারটির পরিচয়
শনাক্ত করা এখনো সম্ভব হয়নি। নিশ্চয়ই তারা (জাপানের প্রতিনিধিদল) দেহাবশেষ নিয়ে গেলে
ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হবে।’
কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশনের পক্ষে
দায়িত্ব পালন করা কান্ট্রি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর আবদুর রহিম সবুজ বলেন, গত বুধবার সকাল
থেকে জাপানের প্রতিনিধি দল কার্যক্রম শুরু করে। এখানে সমাহিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের
সময় নিহত বিশ্বের ১৩টি দেশের।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা সীমান্তে ১ কোটি ১৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকার
ভারতীয় কিং কোবরা বাজি জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আজ
বুধবার (১২ মার্চ) ভোরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার
সীমান্তবর্তী মিয়াবাজার এলাকা থেকে বাজিগুলো জব্দ করা হয়।
বিজিবির কুমিল্লা ক্যাম্পের ১০ ব্যাটালিয়নের
অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এম জাহিদ পারভেজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিজিবি সূত্র জানায়,
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) অধীনস্থ
কটকবাজার পোস্টের বিশেষ টহলদল বুধবার ভোর ৫টার দিকে সীমান্ত এলাকায় মাদক ও
চোরাচালানবিরোধী অভিযান চালায়। এসময় সীমান্ত শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক ৬ কিলোমিটার
বাংলাদেশের ভেতরে মিয়াবাজার ফুড প্যালেস সংলগ্ন এলাকায় ভারতীয় ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৮০০
পিস কিং কোবরা বাজি জব্দ করা হয়।
যার বর্তমান বাজার মূল্য ১ কোটি ১৯ লাখ ৫৬
হাজার টাকা।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) অধিনায়ক লে.
কর্নেল এ এম জাহিদ পারভেজ বলেন, ঈদকে সামনে রেখে দেশে অবৈধ অনেক মালামাল প্রবেশ করছে। আমরা সে বিষয়ে নজর
রাখছি। তারই অভিযানের ধারাবাহিকতায় ১ কোটি ১৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকার কিং কোবরা বাজি
আমরা উদ্ধার করতে সক্ষম হই। জব্দকৃত মালামাল বিধি মোতাবেক কাস্টমস এ জমা দেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
গত ৯ই-১২ই ফেব্রুয়ারি ভারতের নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয় ৬ষ্ঠ এশিয়ান সাবাতে চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৫। প্রতিযোগিতায়ে এশিয়ার প্রায় ১৬ টি দেশ অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ থেকে ১২ জনের একটি টিম প্রতিযোগিতায়ে অংশগ্রহণ নেয়ে। উক্ত প্রতিযোগিতায় রৌপ্য পদক অর্জন করে বাংলাদেশের সুনাম বয়ানে কুমিল্লার কৃতি সন্তান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সত্যায়িত সংগঠন ওয়াইকসের যুব ও প্রিয়া সম্পাদক, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মার্শাল-আর্ট টিম কোচ, বর্তমানে কুমিল্লা সরকারি কলেজের অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী মোফাজ্জাল মাহিন চৌধুরী। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে রৌপ্য পদক অর্জনকারী মাহিন কে সম্পূর্ণ রূপে সহযোগিতা করে দিঘির চাপ, আফসু ডেভলপারস লিমিটেড।
মন্তব্য করুন
সুশৃঙ্খল সুরক্ষিত মহাসড়ক - এ লক্ষ্যকে নিয়ে দিনরাত কাজ করে যায় হাইওয়ে পুলিশ কারণ মূল উদ্দেশ্য থাকে একটাই দিনশেষে সুরক্ষার সাথে বাড়ি ফেরার নিশ্চয়তা সুনিশ্চিতকরণ ।
শনিবার (২০ এপ্রিল ২০২৪) সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলমের নেতৃত্বে কুমিল্লায় হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক কুমিল্লা রিজিয়নের ২২টি হাইওয়ে থানা পুলিশের বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট ডিউটি, অভিযান পরিচালনা এবং স্পিড গান বা স্পিড ডিটেক্টর ব্যবহার সহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় ।
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজির নেতৃত্বে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সংশ্লিষ্ট সার্কেল সহ সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, সাব-ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট সহ সকল পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্স মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বডি ওয়ার্ন ক্যামেরায় সজ্জিত হয়ে সারাক্ষণ লাইভ স্ট্রিমিংয়ে থেকে চেকপোস্ট ডিউটি, অভিযান পরিচালনা ও স্পিড গান ব্যবহার করাসহ আজ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ লঙ্ঘন কারী গাড়ির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় গাড়ি আটক ও গ্রেফতার করা হয়।
আজকের এই বিশেষ অভিযানের সময় কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নে ফিটনেস বিহীন বাস, ফিটনেস বিহীন পণ্যবাহী ট্রাক সহ সকল ফিটনেস বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
শুধু তাই নয়, পণ্যবাহী গাড়িতে যাত্রী পরিবহন করার অপরাধেও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
পাশাপাশি মহাসড়কে অবৈধভাবে এবং ঝুঁকিপূর্ণভাবে থ্রি হুইলার চালানোর অপরাধে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৪৩টি থ্রি হুইলার আটক, ফিটনেস বিহীন ১টি পিকআপ আটক, দুর্ঘটনায় জড়িত ১টি সাউদিয়া বাস আটক ও গাড়ি ১ ড্রাইভারকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ছাড়াও সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ লঙ্ঘনের অপরাধে বিভিন্ন ধারায় মোট ১৭৩টি প্রসিকিউশন দেওয়া হয় এবং একই সাথে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৬৬ ধারায় ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত মোটরযান ও গণপরিবহন চালানোর অপরাধে ২৮টি, ৭৫ ধারায় ফিটনেস সনদ ব্যতীত বা মেয়াদ উত্তীর্ণ ফিটনেস সনদ ব্যবহার করে মোটরযান চালানোর অপরাধে ০৬টি, ৮৭ ধারায় নির্ধারিত গতিসীমার অতিরিক্ত গতিতে মোটরযান চালানো বা স্পীড ডিটেক্টরের সাহায্যে মোটরযানের গতি চিহ্নিত অপরাধে ৫৯টি, ৮৯(১) ধারায় কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী মোটরযান নিষিদ্ধ হর্ণ স্থাপন/ব্যবহার ইত্যাদির অপরাধে ০৭টি, ৮৯(২) ধারায় ঝুঁকিপূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষিত মহাসড়কের চলাচলের অনুপোযোগী যান চালনা ইত্যাদির অপরাধে ৫১টি, ৯২(১) ধারায় মোটরযান চলাচলের সাধারণ নির্দেশাবলী সংক্রান্ত (১ম অংশ) অপরাধে ২০টি এবং ৯২(২) ধারায় (২য় অংশ) অপরাধে ০২টি সহ কুমিল্লা রিজিয়ন কর্তৃক বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ১৭৩টি প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়।
হাইওয়ে পুলিশ প্রধান এবং বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো: শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কুমিল্লা রিজিয়ন জোরদার ভাবে স্পিড গান বা স্পিড ডিটেক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে ।
জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে হাইওয়ে পুলিশের বডি ওয়ার্ণ ক্যামেরার মাধ্যমে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে অভিযান সংক্রান্ত এ কার্যক্রম কুমিল্লা রিজিয়নে অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কে ৮০ কি:মি গতিসীমার মধ্যেই যানবাহন সমূহ চালানোর নির্দেশনা সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি সদা সর্বদা থাকবে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ এর । এসময় কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলম উল্টোদিকে গাড়ি চালানো এবং মহাসড়কে থ্রি হুইলার ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল অফিসার ইনচার্জদের নির্দেশ প্রদান করেন।
পাশাপাশি তিনি পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নের্তৃত্ব এবং সংশ্লিষ্ট সকল গাড়ির ড্রাইভারদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি পরিহার এবং ফিটনেস সার্টিফিকেট থাকা গাড়ি গুলোকেই গতিসীমা মেনে গাড়ি চালানোর জন্য অনুরোধ করেন।
মন্তব্য করুন
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহতের ২৬ ঘণ্টা পর বাংলাদেশি যুবক কামাল হোসেনের (৩৩) মরদেহ তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভারতের এনসি নগর কোম্পানি কমান্ডার সুনীল কুমার বিজিবি-পুলিশের কাছে এ মরদেহ হস্তান্তর করে।
নিহত যুবক কামাল হোসেন (৩৩) সোমবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পাহাড়পুর সীমান্তে গেলে ভারতীয় বিএসএফ তাকে গুলি করে। কামাল ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করে।
নিহত কামাল হোসেন সদর দক্ষিণ উপজেলার জোলাই কুড়িয়াপাড়া গ্রামের ইদু মিয়ার ছেলে।
নিহত কামাল হোসেনের বড় ভাই হিরন মিয়া মরদেহ দেখে জানান, ‘আমার ভাই ঘুমে ছিল। লাদেন কামাল বাড়ির ভিতর আইসা ২ বার ডাকি নিয়ে গেছে। ৮ টার দিকে শুনছি, আমার ভাইরে বিএসএফ গুলি করে মারছে। সোমবার সন্ধ্যার দিকে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা পরে বিএসএফ ভারতীয় একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে কামালের মরদেহ নিয়ে যায়। যশপুর বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডারের সঙ্গে মরদেহ আনার বিষয়ে যোগাযোগ করলে তারা এখন আমাদের নিকট মরদেহ বুঝিয়ে দেয়।
নিহতের ফুফাতো বোন খোরশেদা জানান, আমার ভাইকে যারা সীমান্তে নিছে তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হোক।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার এসআই দিলীপ কুমার মজুমদার বলেন, মরদেহ আমরা গ্রহণ করে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছি। তারা বলছিল দ্রুত সময়ে মরদেহ দাফন করে ফেলবে।
কুমিল্লার ১০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত সিইউ মেজর আরাফাত বলেন, পুলিশ মরদেহ গ্রহণ করে। বিএসএফ এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে। পরবর্তীকালে এমন ঘটনা ঘটবে না। যদি করে আমরা বিজিবিও সমুচিত জাবাব দিতে প্রস্তুত। গুলিতেই সে নিহত হন। তারা হত্যা না করে আমাদের নিকট তাকে ধরিয়ে দিতে পারতো। এ হত্যাটি কোনভাবেই কাম্য নয়।
মন্তব্য করুন
মো মিজানুর রহমান মিনু:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে তিনটি চোরাই টিউবওয়েলসহ আন্তঃজেলা চোরচক্রের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলো- উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বারাইশ গ্রামের মোঃ কামালের ছেলে মোঃ সাগর ও শুভপুর ইউনিয়নের যশপুর ইঞ্জিনিয়ার বাড়ির মৃত আবদুল কাদেরের ছেলের মোঃ শাহজাহান।
রোববার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিনাথ সাহা। চৌদ্দগ্রাম থানার সেকেন্ড অফিসার আলমগীর হোসেন জানান, মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বারাইশ গ্রামের মঞ্জু বেগমের মা ছালমা বেগম শনিবার রাত ১০ ঘটিকায় প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
রোববার ভোরে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে উঠে ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন একই গ্রামের সাগর তাদের টিউবওয়েল নিয়ে যাচ্ছে। তাৎক্ষণিক শোর-চিৎকার করলে আশ-পাশের লোকজন এসে টিউবওয়েলটিসহ সাগরকে আটক ও মারধর করে। ঘটনাটি থানায় অবহিত করলে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ সাগরকে হেফাজতে নেয়।
মন্তব্য করুন