

কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলায় নানার
বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে নদীতে ডুবে মাহিরা নামের আড়াই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি
ঘটেছে শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে তিতাস উপজেলার বাঘাইরামপুর গ্রামে।
নিহত মাহিরা উপজেলার বন্দরামপুর গ্রামের
মুছা সরকারের মেয়ে।
নিহতের নানা জালাল উদ্দীন বলেন, প্রতিদিনের
মতো মাহিরা বাড়ির অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে বের হয়। তার কিছুক্ষণ পর অন্যসব শিশুরা
ফিরে এলেও তাদের সঙ্গে মাহিরাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। অনেক খোঁজাখুঁজির
পর কোথাও না পেয়ে বাড়ির পাশে নদীর তীরে কাদা-পানির মধ্যে মাহিরাকে ভাসতে দেখি। তাৎক্ষণিকভাবে
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায়
২৮ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২ ।
আজ রবিবার (২০ অক্টোবর)
সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা
জেলার বুড়িচং থানাধীন ময়নামতি এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। স্বপন
বিশ্বাস এবং ২। বেল্লাল হোসেন নামের দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের
কাছ থেকে ২৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। স্বপন বিশ্বাস (৩৩) বি.বাড়িয়া জেলার সদর থানার ভাদুগর গ্রামের কালিপদ বিশ্বাস এর
ছেলে এবং ২। বেল্লাল হোসেন (৪৫) একই জেলার কসবা থানার আকাপপুর গ্রামের আঃ রাজ্জাক এর
ছেলে।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৭৬ কেজি গাঁজা’সহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানাধীন বাগরা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
অভিযানে আসামী ১। মোঃ রাশেদ মিয়া (২৪) ও ২। সাইফুল আব্বাস (২২) নামক ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ৭৬ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত ০১ টি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার থানার আলমখালী গ্রামের মৃত মনির হোসেন এর ছেলে মোঃ রাশেদ মিয়া (২৪) এবং চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী জেলার দুহিনকুল গ্রামের আলী আব্বাস টিটু এর ছেলে সাইফুল আব্বাস (২২)।
আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত কাভার্ড ভ্যান ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে সুনামগঞ্জ, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে।
র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার
শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে কুমিল্লা মিডিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ১৬-তম আসরে
শালবন টাইগার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন গোমতী ওয়ারিয়র্স।
ফাইনাল
খেলায় গোমতী ওয়ারিয়র্স টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যাট করতে নেমে
১৬ ওভারে শালবন টাইগার্স ১০০ রান করেন। দলের পক্ষে অধিনায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু ১৪ রান,
মোস্তাফিজ ৩২, ইকরাম ৮, সোহরাব সুমন ৭, শাহ ইমরান ২, আলমগীর ৩ ও সাইফুল সুমন ৪ রান
করেন। শালবন টাইগার্স এর পক্ষে সুমন কবির ও মাইনুল স্বপন ২ টি করে উইকেট পান।
জবাবে
ব্যাট করতে নেমে গোমতী ওয়ারিয়র্স ১৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের দ্বারে পৌছে যান। দলের
পক্ষে সোহান ৩৯ রান, আজাদ ১১, সুমন কবির ২৫, স্বপন ৮, মান্না ৭ রান করেন।খেলায় ম্যান
অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন সুমন কবির। সেরা বোলার হয়েছেন মাইনুল হক স্বপন , সেরা ব্যাটার
হয়েছেন সোহান, সেরা ফিল্ডার হয়েছেন মাহফুজ আনোয়ার সৌরভ এবং টুর্ণামেন্ট সেরা হয়েছেন
সোহান।
এছাড়া
ম্যান অব দ্য সিরিজ পাওয়া সোহানকে ৩ হাজার টাকা ও ম্যান অব দ্য ম্যাচ পাওয়া সুমন কবিরকে
২ হাজার টাকা উপহার দিয়েছেন ব্ল্যাক পার্ল হোল্ডিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়া
হাসান।টুর্ণামেন্টজুড়ে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করার জন্য শুভেচ্ছা স্মারক পেয়েছেন
মাহফুজ আনোয়ার সৌরভ, জহিরুল হক বাবু, মো.ইয়াছিন মিয়া, মো.সাফি, জিহাতুল ইসলাম সাকিব।টুর্নামেন্টে
আয়োজনে সহায়তা করার জন্য শুভেচ্ছা স্মারক পেয়েছেন কুমিল্লা নিউজের সম্পাদক জহিরুল হক
বাবু, ম্যাক নিউজের সম্পাদক ম্যাক রানা, চ্যানেল বাংলাদেশ টিভির শাহ ইমরান, ভোরের শিরোনামের
সম্পাদক ও দৈনিক পূর্বাশার স্টাফ রিপোর্টার মো.হাবিবুর রহমান মুন্না, দৈনিক সংগ্রামের
জেলা প্রতিনিধি রেজাউল করিম রাসেল, জাগো কুমিল্লার সম্পাদক অমিত মজুমদার, ডেইলি বাংলাদেশ
মিররের স্টাফ রিপোর্টার রাসেল সোহেল, জাগরণী টিভির প্রতিনিধি আশিকুর রহমান ও এশিয়ান
টিভির কুমিল্লা ব্যুরো প্রধান আজিজুল হক। ফেয়ার প্লে ট্রফি পেয়েছেন ময়নামতি ও ধর্মসাগর
দল।এছাড়া শুভেচ্ছা স্মারক পেয়েছেন ব্ল্যাক পার্ল হোল্ডিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক
জিয়া হাসান, নুর জুয়েলার্সের পরিচালক আরিফ জামান, হাফসা সুইটস এর পরিচালক সোহেল ভূইয়া,
শাহ গ্রুপের চেয়ারম্যান সুমন সাত্তার আলী।ফাইনালে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব
করেন কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও টুর্ণামেন্টের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক মাসুক আলতাফ
চৌধুরী।
প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ সামসুল তাবরেজ।
এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা আদালতের পিপি ও বিএনপি নেতা কাইমুল
হক রিংকু, কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ এর পিপি বদিউল আলম সুজন,
প্রতিষ্ঠাকালিন বিএনপির ছাত্র-যুব সংগঠক ও ইর্ষ্টাণ মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান
শাহ মো: সেলিম, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) মোস্তাক মিয়া,
কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রস্তাবিত এড হক কমিটির সদস্য
সচিব সুমন কুমার মিত্র, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক আমীরুজ্জামান
আমীর, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক
ভিপি আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, কুমিল্লা মহানগর জামায়াত ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি
কামারুজ্জামান সোহেল, মহানগর বিএনপি নেতা রেজাউল হক আখি, জেলা জাসসের আহ্বায়ক সিরাজুল
ইসলাম মিলন ও সদস্য সচিব রিপন। সকল অতিথিদের হাতে উপহার তুলে দেন কুমিল্লা প্রেসক্লাবের
সাবেক সভাপতি মাসুক আলতাফ চৌধুরী।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা প্রেসক্লাবের
সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুক।
এছাড়া
আরো উপস্থিত ছিলেন এটিএন বাংলার প্রতিনিধি খায়রুল আহসান মানিক, ভোরের কাগজের প্রতিনিধি
এম ফিরোজ, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মাহাবুব আলম বাবু, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ
হাসান, দপ্তর সম্পাদক সেলিম রেজা মুন্সি, নির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, প্রথম আলোর
আলোকচিত্রী এম সাদেক, দৈনিক কালবেলার ব্যুরো প্রধান দিলীপ মজুমদার প্রমুখ। এছাড়া নকআউট
পর্বের খেলাগুলোতে সম্মানিত অতিথি হিসবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান ও পুরষ্কার বিতরণ
করেন কুমিল্লা ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও কুমিল্লার বরুড়া সংসদীয় আসনের
সম্ভাব্য প্রার্থী অধ্যাপক শফিকুল আলম হেলাল, কুসিকের সাবেক কাউন্সিলর মোশারফ হোসেন,
কুসিকের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম কিবরিয়া, কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট দলের সাবেক কোচ সারোয়ার
জাহান প্রমুখ।এদিকে ২৫ নভেম্বর কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে মিডিয়া
কাপ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের ১৬-তম আসরের উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুমিল্লা প্রেস
ক্লাবের সাবেক সভাপতি মাসুক আলতাফ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য
রাখেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিন উর রশীদ ইয়াছিন এবং জামায়াত
ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরীর আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা ও কুমিল্লা জেলা
ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য সচিব সুমন কুমার মিত্র, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির
যুগ্ম আহ্বায়ক ও কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রস্তাবিত এডহক কমিটির সদস্য আশিকুর
রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু, কুমিল্লা
দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজী জসিম উদ্দিন , জামায়াত ইসলামী কুমিল্লা মহানগরীর
সহকারি সেক্রেটারি মু. কামারুজ্জামান সোহেল, কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক
সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার, কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও কুমিল্লা
স্পোর্টিং ইউনিয়ন ক্লাবের সভাপতি মাহবুবুল আলম চপল, এটিএন বাংলার প্রতিনিধি খায়রুল
আহসান মানিক, রূপসী বাংলার সিনিয়র সাংবাদিক বাবু অশোক বড়ুয়া, দৈনিক বাংলার আলোড়নের
প্রধান সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মাহাবুব আলম বাবু,
কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইয়িদ মাহমুদ পারভেজ, ভোরের কাগজের কুমিল্লা
প্রতিনিধি এম ফিরোজ মিয়া, আর টিভির প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া, দৈনিক ইনকিলাবের স্টাফ
রিপোর্টার সাদিক মামুন, ভোরের পাতার সাংবাদিক জাকারিয়া মানিক, প্রথম আলোর আলোকচিত্রী
এম সাদেক। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ও জেলা ফুটবল
এসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুল আলম বাবু, কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট দলের কোচ
হাবিব মোবাল্লেগ জেমস, নুর জুয়েলার্সের স্বত্তাধিকারি আরিফ জামান, কুমিল্লা জেলা ক্রিকেটের
সাবেক কোচ ও কুমিল্লা ক্রিকেট কোচিং সেন্টারের হেড কোচ মো: সারোয়ার জাহান। কুমিল্লা
স্পোর্টস জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন ও হিউম্যান বিয়িং ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ টুর্ণামেন্টটির
আয়োজন করা হয়। টুর্ণামেন্ট জুড়ে সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন টুর্ণামেন্টের অন্যতম উদ্যোক্তা
, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক আজকের কুমিল্লার সম্পাদক ইমতিয়াজ
আহমেদ জিতু। টুর্ণামেন্টে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে ছিলেন কল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের
সিইও রাশেদ রবি।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা–০৬ (সদর, সদর দক্ষিণ, সিটি কর্পোরেশন ও সেনানিবাস) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে টানা নয়দিন ধরে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীতে বিশাল মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন বলে আয়োজকরা দাবি করেন।
সন্ধ্যায় টাউন হল মাঠ থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়। এরপর মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূবালী চত্বরে এসে সমাবেশ করে। পুরো সমাবেশ ও মিছিলজুড়ে নেতাকর্মীরা শ্লোগান দিতে থাকেন— “কুমিল্লা–৬ জনতার দাবি, ইয়াছিন ভাইয়ের মনোনয়ন এবার চাই”, “ত্যাগীর মর্যাদা দিতে হবে, ইয়াছিন ভাইকে মনোনয়ন দিতে হবে”,
"১৭ বছর যাকে পাই নেতা মোদের ইয়াছিন ভাই", "জেল জুলুম জামিনে যাকে পাই নেতা মোদের ইয়াছিন ভাই", "এই কুমিল্লার মাটি ইয়াছিন ভাইয়ের ঘাটি","এক দুই তিন চার মনির চৌধুরী, কুমিল্লা ছাড়", "উড়ে এসে নমিনেশন, মানি না মানবো না"।
মিছিলের একাধিক অংশে দেখা যায়, নেতাকর্মীরা হাতে মশাল, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে দলের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশে ইয়াছিনকে মনোনয়ন দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।
সমর্থকরা জানান, গত ৩ নভেম্বর রাতে মহাসড়ক অবরোধের মধ্য দিয়ে এই আন্দোলনের সূচনা হয়। পরদিন ৪ নভেম্বর নগরীর কান্দিরপাড়সহ বিভিন্ন এলাকায় মশাল মিছিল বের করা হয়। ৫ নভেম্বর নারী সমর্থকদের উদ্যোগে নারীদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
৬ নভেম্বর নফল রোজা রেখে সমর্থকেরা সন্ধ্যায় গণ–ইফতারের আয়োজন করেন। ৭ নভেম্বর জুমার নামাজের পর নগরীর বিভিন্ন মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ৮ নভেম্বর কান্দিরপাড় পূর্বালী চত্বরে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে মনোনয়ন দাবিতে চাপ বাড়ানো হয়।
৯ নভেম্বর কারা–নির্যাতিত বিএনপি নেতাকর্মীদের পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে হাজী ইয়াছিনের পক্ষে মানবিক ও রাজনৈতিক যুক্তি তুলে ধরা হয়। আর ১০ নভেম্বর স্থানীয় তরুণদের উদ্যোগে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বক্তারা ইয়াছিনকে “সৎ, ত্যাগী ও এলাকার উন্নয়ন–বান্ধব নেতা” হিসেবে তুলে ধরে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান।
টানা কর্মসূচির নবম দিনে অনুষ্ঠিত হলো মঙ্গলবারের মশাল মিছিল। নেতাকর্মীদের দাবি, কুমিল্লা–৬ আসনে ত্যাগী, গ্রহণযোগ্য এবং শ্রমীচেতন রাজনীতিক হিসেবে হাজী ইয়াছিনই হচ্ছেন এলাকার মানুষের পছন্দের প্রার্থী।
নেতাকর্মীরা আরও জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা–০৬ (সদর, সদর দক্ষিণ, সিটি কর্পোরেশন ও সেনানিবাস) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে টানা ১১ দিন ধরে মাঠে অবস্থান করছেন স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে থেকে বিকাল পর্যন্ত নগরীর কান্দিরপাড়স্থ দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তারা আন্দোলনের একাদশ দিন পার করেন। দলীয় কার্যালয়ের সামনে সকাল থেকেই ভিড় জমতে থাকে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের।
নেতাকর্মীরা জানান, ৩ নভেম্বর রাতে মহাসড়ক অবরোধের মধ্য দিয়ে এই আন্দোলনের সূচনা হয়। পরদিন ৪ নভেম্বর নগরীর কান্দিরপাড়সহ বিভিন্ন স্থানে মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তী দিনগুলোতে নারী সমর্থকদের সমাবেশ, গণ–ইফতার, দোয়া মাহফিল, সংবাদ সম্মেলন, তারুণ্যের সমাবেশ, গণস্বাক্ষর কর্মসূচি—সব মিলিয়ে টানা ১১ দিন ধরে একের পর এক কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা।
বৃহস্পতিবারের অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন মহানগর, সদর উপজেলা, সদর দক্ষিণ উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আকবর হোসেনের সাবেক পিএস আমিনুল ইসলাম, আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা হাজী নাসির উদ্দিন, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য হাজী শাহজাহান, মামুনুর রশিদ, জগন্নাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম মেম্বার, পাঁচথুবী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. কাইয়ূম, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম–আহ্বায়ক সালমান সাঈদ, মহানগর যুবদলের যুগ্ম–আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন, যুবদল নেতা মনছুর নিজামী, আরিফুর রহমান সুমন, আমড়াতলী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মো. আলমগীর হোসেন, সদস্য সচিব শাহজাহান সাজু, মহানগর ছাত্রদল নেতা রবিন খাঁনসহ অনেকে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, হাজী ইয়াছিন শুধু রাজনীতিক নন, তিনি দলের সংকটে আশ্রয়দাতা হিসেবে পরিচিত। দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে আইনি ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন, আন্দোলন-সংগঠনে রেখেছেন সক্রিয় ভূমিকা। অথচ এ আসনে এমন একজনের নাম আলোচনায় এসেছে, যিনি এলাকার রাজনীতি বা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
আমড়াতলী ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব শাহজাহান সাজু বলেন, আমরা যাঁর নেতৃত্বে রাজনীতি করি, যিনি হামলা-মামলার সময় আমাদের আশ্রয় দেন, সেই ইয়াছিন ভাইয়ের পরিবর্তে বাইরের কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হলে আমরা তা মেনে নেব না।
মহানগর যুবদল নেতা মনছুর নিজামী বলেন, কুমিল্লা–৬ আসনে বিএনপির রাজনীতির প্রাণকেন্দ্রে আছেন হাজী ইয়াছিন। তিনি দলের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ নেতা, যাঁকে বাদ দিয়ে এ আসনে কোনো গণভিত্তিক রাজনীতি করা সম্ভব নয়।
যুবদল নেতা আরিফুর রহমান সুমন বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবি জানাচ্ছি। গণস্বাক্ষর, ইফতার, দোয়া মাহফিল—সবই তৃণমূলের বার্তা কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে। দল যেন এই বার্তাকে সম্মান জানায়, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।
অবস্থান কর্মসূচি শেষে নেতাকর্মীরা ঘোষণা দেন—তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় বর্ণাঢ্য র্যালী আলোচনা সভা, ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়ায় সচেতনতা বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে সকালে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমী থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়ে নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে জিলা স্কুল মাঠে ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ মহড়ায় অংশ নেয়। মহড়া শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবেদ আলী, কুমিল্লা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুল হাফিজ, ফায়ারা সার্ভিসের সহকারি পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম ভূইয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
নানা হুমকির কারনে ২০১৭ সালে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য কুমিল্লা কোতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন নগরীর ৪নং ওয়ার্ড ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র। সেই জিডিতে তিনি সাবেক ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের কিছু চিহ্নিত ব্যক্তিসহ কয়েকজন স্থানীয় দুর্বৃত্তের নাম উল্লেখ করেছিলেন কিন্তু নিরাপত্তার আশায় করা সেই জিডি তার জন্য আশীর্বাদ নয়, পরিণত হয় দীর্ঘমেয়াদি এক দুঃস্বপ্নে।
পরের বছর ২০১৮ সালের ২৮ জুন ফের একটি জিডি করা পর থেকেই শুরু হয় অপরাধীদের নাসকতামুলক অত্যাচার ও নির্যাতনের। গ্রামের বাড়ী বরুড়া কেমতলীতে জাওয়ার পথে নিমশার এলাকায় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তার উপর আক্রমন চালিয়ে আহত করে এবং সি এন জেতে সহ হামলা করে। এ ঘটনায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে মামলাটি জোরপূর্বক প্রত্যাহার করায় এবং সেই থেকে সকল অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য তারা নারী পুরুষ সম্মিলিত 'স্যার গ্রুপ' গঠন করে একটি চক্র তার বাসার সামনে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি ১৫ইং তারিখে ককটেল বিস্ফোরণ চালায়। একপর্যায়ে তিনি প্রশাসন সহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সর্বোচ্চ মহলেলিখিত আবেদন করেন। এ সকল আবেদন গুলো গুরত্ব সহকারে তদন্ত করা হয়। মামলার হাজিরার ধার্য তারিখে সে উপস্থিত হতে গেলে মোটরসাইকেল মহরা দিয়ে তাকে আদালতে যেতে দেয় নাই, এরফলে বাদী উপস্থিত না থাকার ধরুন বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত মামলাটি খারিজ করে দেয়। এছাড়া শুভ্রর বিরুদ্ধে ভুয়া ওয়ারেন্ট দিয়ে আল আমিন ও মতিন নামের দুইজন ৫ হাজার টাকা দাবী করে জারিকারক ও পুলিশের সদস্য পরিচয়ে।শুভ্র মামলার সঠিক তথ্য চেয়ে তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। পরে তিনি কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যলয়ে মিথ্যা মামলার বিষয়ে সহযোগীতা কামনা করেন। যার স্মারক নাম্বার-৯৪৬১/২য়। এ প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার এর নির্দেশে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে ওয়ারেন্টটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এছাড়া গত বছরের ৪ আগস্ট তারা কুমিল্লার টিক্কাচর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় রাতের বেলায় শুভ্রকে উপর্যপুরী ছুরিকাঘাত করে মারধর করে। এ ঘটনায় কুমিল্লা সিনিয়র জ্যুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দ্রুত বিচার আইনে চাদাঁবাজি সহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৩জন পুরুষ ও একজন মহিলাসহ অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। যার নাম্বার দ্রুত সিআর ৩৬/২৪ যাহা পিবিআই এর তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন রিপোর্ট গত দাখিল করেন।তারা আবারো গত বছরের ১৬ ইং অক্টোবর দিনের বেলায় সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তার উপর হামলা করে। এ ঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করে যাচ্ছে আইনশৃংখলা বাহিনী। মামলার আসামিরা হলেন- আমড়াতলী এলাকার মৃত বাবুল সর্দারের ছেলে মহিউদ্দিন (৩৮), আদালত পাড়ার টাউট মতিন (৩৮), পাঁচথুবী এলাকার তারেক (৪২), ঢাকার ধানমন্ডির মৃত ওয়াকিলুর রহমানের ছেলে ফয়সল রহমান (৩৮), সদর দক্ষিণ গলিয়ারা ইউনিয়নের হাবিবের ছেলে মো. মতিন (৪০), ডুমুরিয়া চানপুরের আরাফাত (৩৬), ফৌজদারি এলাকার আল আমিন (৩৫), আদালতের পশ্চিম গেটের সোনিয়া (৩২) এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪ থেকে ৫ জন।
সর্বশেষ স্যার গ্রুপ অনলাইনে ফেসবুক বিভিন্ন হ্যাকিং, ভুয়া ফেসবুক আই ডি খুলে অশ্লীল ছবি তৈরি করে শুভ্র কে পাঠিয়ে চাদা দাবী করে আসছে ০১৯৭১০৭৩৫৮৪ ও ০১৭০৪২৭২৯৬১ এ নম্বরে। এ বিষয়ে একটি জিডি হয় যার নাম্বার ২২২। জিডির তদন্তে ঘটনার সত্যতা খুজে পেয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-০১ কুমিল্লা স্মারক নাম্বার ২৩৮৯ তাং-১৭-০৩-২৫জিডিতে বর্ণিত সকল আসামীদের সকল অপরাধ তদন্তের অনুমতি প্রার্থনা করেন। আদালত ডিআর ৫২৬/২৫, তাং-১৯-০৩-২৫ ইং মূলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদেশ প্রদান করেন। অতপর তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদন রিপোর্ট কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় স্মারক নাম্বার ২৮২৬ তাং-০৬-০৪-২৫ইং অনুমতি নিয়ে আদালতে একটি নন এফআইআর মামলা করার জন্য প্রসিকিউশন দাখিল করলে মামলা রুজু হয়। যার নাম্বার ২৪/২৫ নন জিআর মামলা নাম্বার ২০/২৫ তারিখ ০৭-০৪-২৫ রজু হয়। যাহা আসামীদের প্রতি সমন সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে কোতয়ালী মডেল থানা দুটি সাধারণ জিডি করা হয়। জিডি নাম্বার ১৪৮৪,১৯/৯/২০২৫,জিডি নাম্বার ২১৩৬, ২৭/৯/২০২৫। ভূক্তভোগী মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র বলেন, এইসব কারনে আসামীরা সকল মামলা প্রত্যাহারের জন্য নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে আসছে। আমার বিরুদ্ধে সামাজিক পরিসরে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক তথ্য বিভ্রান্তি ছড়িয়ে চক্রান্ত করছে ,মামলা প্রত্যাহার না করলে আমাকে নানাভাবে ক্ষতির মুখে পরতে হবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে।এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিনুল ইসলাম বলেন, মানবাধিকার কর্মী মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র একাধিক অভিযোগ আমরা পেয়েছি, আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ আন্তরিকতার সহিত কাজ করছে। ইতিমধ্যে একজন আসামী আটক করা হয়েছে। বাকীদের ও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল,প্রতিবেদক:
কুমিল্লা
শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুলে পিঠা উৎসবের আয়োজন
করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে স্কুল প্রাঙ্গণে পিঠা উৎসবকে ঘিরে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। উক্ত পিঠা উৎসবে সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পদচরণায় মুখরিত হয়ে ওঠে স্কুল প্রাঙ্গণ।
এ
পিঠা উৎসবে প্রায় ৩০ এর অধিক স্টলের আয়োজন করা হয়।
সকাল ৯ টায় উৎসবমুখর পরিবেশে সাংস্কৃতিক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অধ্যাপক জামাল নাসেরের সভাপতিত্বে কুমিল্লা মর্ডান হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এ কে এম আখতার হোসেনের উপস্থিতিতে পিঠা উৎসবের সূচনা করা হয়।
শিক্ষার্থীরা
নানা ধরণের মুখরোচক পিঠা বানিয়ে নিয়ে এসে সেগুলোকে স্টলে সাজিয়ে পরিবেশন করে।
কয়েক ঘন্টা ব্যাপী উৎসবমুখর পরিবেশে চলে শিক্ষক শিক্ষার্থীবৃন্দের অংশগ্রহণে কেনা বেচা।
মন্তব্য করুন


বরিশাল জেলায় বানারীপাড়ায় ৭ম শ্রেণিপড়ুয়া কিশোরী জান্নাতুলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বজন ও স্থানীয়দের দাবি, তার মা প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ায়, চক্ষুলজ্জায় সে আত্মহত্যা করেছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাথরুমে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত জান্নাতুল (১৩) বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড ধারালিয়া গ্রামের বাসিন্দা, সৌদিপ্রবাসী নাসির উদ্দিন পাপনের মেয়ে। সে ধারালিয়া সৈয়দ বজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
পুলিশ, স্বজন ও স্থানীয়রা বলছে, জান্নাতুলের মা শান্তা আক্তার সোমবার (১০ জুন) রাতের কোনো এক সময় তার প্রেমিকের হাত ধরে চলে যান। মঙ্গলবার সকালে জান্নাতুল ঘুম থেকে উঠে ঘরে দেখতে না পেয়ে, সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করে মায়ের সন্ধান পায়নি। তার আপত্তি সত্ত্বেও মায়ের অনৈতিক সম্পর্কের কথা জানতেন জান্নাতুল। সমাজে নানা জনের নানা কথা শুনতে হবে ভেবে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জান্নাতুলের দাদি ফিরোজা বেগম জানান, ছেলে সৌদি থাকাবস্থায় জান্নাতের মা শান্তা তাদের সঙ্গেই থাকতেন। ওই ঘরে দুটি সন্তান রয়েছে। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়টি জানার পর তাকে বারবার ওই পথ থেকে সরে আসার জন্য বলা হয়। কিন্তু কোনোভাবেই সে কথা শুনতো না। এ কারণে তাদের ঘর ছেড়ে ভাড়া বাসায় গিয়ে ওঠে। সর্বশেষ সোমবার শান্তার বাসায় বেড়াতে যান তিনি। বাড়িতে আসার সময় ছোট নাতিকে নিয়ে তার সঙ্গে নিয়ে আসেন। মঙ্গলবার সকালে খবর পান তার বড় নাতনি জান্নাত গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার মাকেও পাওয়া যাচ্ছে না। আমার নাতনি মেধাবী ছিল। সকালে ঘুম থেকে ওঠে মাকে না দেখে সে বুঝতে পারে তার মা প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছে। লোকলজ্জায় জান্নাত বাথরুমে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ধারণা করছি। বেলা ১২টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় বানারীপাড়া থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে জান্নাতুলের বাবা, সৌদিপ্রবাসী নাসির উদ্দিন পাপন মোবাইল ফোনে জানান, গত কয়েক মাস আগে বেতাল গ্রামের নাঈম নামের এক যুবককে গভীর রাতে নিজ ঘরে মায়ের সঙ্গে দেখে ফেলে তার মেয়ে। পরে লোকলজ্জার ভয়ে মেয়ে জান্নাতুল মাকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য তার কাছে আকুতি জানায়।
এ বিষয়ে বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মাইনুল ইসলাম বলেন, নিহত জান্নাতুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম মর্গে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ২১নং ওয়ার্ড শাকতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ উৎসব উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার (১ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় শাকতলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা মহানগর কৃষকদল এর আহ্বায়ক কে.এম শাহীনুর হোসাইন শাহীন। তিনি বই বিতরণ উৎসবটি উদ্বোধন করেন।
এ সময় শাকতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নুরুল আমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর কাজী মাহবুবুর রহমান এবং ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোঃ শোয়েব আহমেদ জুয়েল, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আক্তার হোসেন ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মন্ডলী। এ সময় শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সহ এলাকার স্বনামধন্য আরও ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন