

নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে এক অজ্ঞাতপরিচয় পথচারীর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে সাতটার দিকে কুমিল্লা রেলস্টেশনের উত্তর পাশে শাসনগাছা রেলগেইট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী পর্যটন এক্সপ্রেস ট্রেনটি কুমিল্লা স্টেশন অতিক্রম করে শাসনগাছা এলাকায় প্রবেশ করলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই সময় এক ব্যক্তি অসতর্কভাবে রেললাইন পার হওয়ার চেষ্টা করেন। ট্রেনের ধাক্কায় তিনি ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
নিহতের বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে প্রচুর ভিড় জমে যায়। অনেকে মরদেহটি দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন।
খবর পেয়ে কুমিল্লা রেলওয়ে ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অসতর্কতার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা জিআরপি ফাঁড়ির ইনচার্জকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে তদন্ত ও পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
মন্তব্য করুন


ডিএনসি-কুমিল্লার উদ্যোগে টাস্কফোর্স অভিযানে ১৮ কেজি গাঁজাসহ ১ জন আটক এবং মাদক সেবনের অপরাধে ২ জনকে মোবাইল কোর্টে কারাদন্ড প্রদান।
ডিএনসি-কুমিল্লার উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এরঁ সার্বিক তত্বাবধানে, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার স.ম আজহারুল ইসলাম এঁর নেতৃত্বে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ১৮ কেজি গাঁজা ও মাদক বিক্রির নগদ ১৪,০০০ হাজার টাকাসহ ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামস্থ রাজ্জাক সরদার বাড়ির আব্দুর রাজ্জাক এর ছেলে মোকলেস মিয়া-কে আটক করা হয়। এছাড়াও একই এলাকার আব্দুর রহমান এর ছেলে হারুন অর রশিদ এবং ধন্যদৌল এলাকার মনু মিয়ার ছেলে মজিবুর রহমান সুজন-কে মদ্য পানের অপরাধে যথাক্রমে ১ মাস ও ১৫ দিন করে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
আজ ভোর ৫ টায় ডিএনসি- কুমিল্লার পরিদর্শক মোঃ শরিফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি টিম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন সাদমান হোসেন এর নেতৃত্বে ২১ জন সেনা সদস্যের একটি টিম এবং সশস্ত্র আনসার সদস্যগণ উক্ত অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামি মোখলেছ মিয়া এর বিরুদ্ধে পরিদর্শক মোঃ শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লার চান্দিনায় এক নৃশংস এক হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ পাওয়া গেছে । পারিবারিক কোন্দলের জেরে ২৭ বছর বয়সী গৃহবধূ সাবিনা আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাবিনার স্বামী আবুল খায়েরকে আটক করেছে চান্দিনা থানা পুলিশ।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে চান্দিনা উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
নিহত সাবিনা আক্তার ওই গ্রামের মো. আবুল খায়েরের স্ত্রী এবং একই উপজেলার মহিচাইল ইউনিয়নের হারালদার গ্রামের ময়নাল হোসেনের মেয়ে। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১২ বছর পূর্বে বিবাহ হয় তাদের। বিবাহের পর থেকে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল।
রবিবার রাতে স্বামী আবুল খায়ের উত্তেজিত হয়ে সাবিনা আক্তারকে প্রচণ্ড মারধর করে। একপর্যায়ে গলায় রশি পেঁচিয়ে ও বাথরুমের বালতির পানিতে মাথা চুবিয়ে হত্যা করে।
নিহতের পিতা ময়নাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে আমরা রাতেই ওই বাড়িতে গিয়ে বাথরুমে আমার মেয়ের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আবুল খায়েরকে আটক করে পুলিশে খবর দেই।
চান্দিনা থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বামী আবুল খায়েরকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন


র্যাব-১১ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা কুমিল্লা এর যৌথ অভিযানে
কুমিল্লায় ১৮৫ বোতল ফেনসিডিল, ৪ কেজি গাঁজা
ও ২ বোতল বিদেশী মদসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
১০ এপ্রিল রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২, কুমিল্লা ও জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লার যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন আলেখারচর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান
পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে মোঃ আব্দুর রহিম (২৭) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১৮৫ বোতল ফেন্সিডিল, ৪ কেজি গাঁজা, ২ বোতল বিদেশী মদ ও
মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
মোঃ আব্দুর রহিম (২৭) নোয়াখালী জেলার চরজব্বার থানার চর ওয়াবদা গ্রামের মিজান উদ্দিন
এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল, গাঁজা ও বিদেশী মদ সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছিল। র্যাব-১১ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লা এর ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লা এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র জামিল হাসান অর্নব হত্যা মামলার ৫ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১৭ মার্চ র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানাধীন শাসনগাছা লেগুনা ও সিএনজি অটোরিকশাস্ট্যান্ডের দখল নিয়ে চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র জামিল হাসান অর্নব (২৭) হত্যা এবং ৬ জনকে গুলিবিদ্ধ করার মামলার আসামী ১। মোঃ হালিম (৫৫), পিতা- মৃত মনু মিয়া, সাং-শাসনগাছা (মোল্লা বাড়ী), থানা-কোতয়ালী মডেল, ২। মোঃ সজল (৩০), পিতা-আব্দুর রশিদ, সাং-শাসনগাছা (দক্ষিণ বাড়ী), থানা-কোতয়ালী মডেল, ৩। মোঃ ওমর ফারুক (২৪), পিতা-কালু মিয়া, সাং-শাসনগাছা, থানা-কোতয়ালী মডেল, ৪। মোঃ বাচ্চু মিয়া (৩৫), পিতা-রাজ্জাক (মিস্ত্রি), সাং শাসনগাছা, থানা-কোতয়ালী মডেল, ৫। মোঃ ইব্রাহীম (২৫), পিতা- রফিকুল ইসলাম, সাং-বেলাশ্বর, থানা-চান্দিনা, সর্ব জেলা-কুমিল্লাদের’দের গ্রেফতার করে।
জানা যায়, ঘটনায় নিহত কলেজ ছাত্র জামিল হাসান অর্নব কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজে অর্নাসে অধ্যায়নরত। শাসনগাছা লেগুনা ও সিএনজি অটোরিকশাস্ট্যান্ডের দখল নিয়ে শাসনগাছা মধ্যমপাড়া দফাদার বাড়ি ও মোল্লা বাড়ির দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। গত ১৫ মার্চ ২০২৪ তরিখ মধ্যমপাড়ার আবুল কাশেমের দলের সঙ্গে মোল্লা বাড়ির ফজলে রাব্বি ও আলাউদ্দিনের দলের সংঘর্ষ এবং গোলাগুলি হয়। ঘটনাস্থলে ১ নং আসামী ফজলে রাব্বি ও ২ নং আসামী খলিলুর রহমানের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র পিস্তল দ্বারা গুলি বর্ষন করে এবং অন্যান্য সহযোগীরা ইট-পাটকেল দিয়ে আক্রমন করে। ঘটনার একপর্যায়ে, জামিল হাসান অর্নব এর বুকের বাম পাশে গুলিবিদ্ধ হয় এবং মোঃ অনিক (২৮), নাজমুল (২৮), মোঃ দিপু (৩৫), নিশু (২২), মোঃ মোহন (২০) ও রিনা (৪৫) গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুত্বর জখম হওয়ায় তাদের কে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার জামিল হাসান অর্নবকে মৃত ঘোষনা করে এবং বাকীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। ভিকটিম মারা যাওয়ার পর এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মাতা বাদী হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধের কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় ১টি হত্যা মামলা দায়ের করে।
র্যাব জানান, র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর আভিযানিক দল চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র জামিল হাসান অর্নব হত্যা মামলার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ৫ জন আসামীকে গ্রেফতার করে। আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোতয়ালী মডেল থানা, কুমিল্লা বরাবর হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার দেবিদ্বারে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৭১ পিস গুলি উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী।
গত বুধবার বিকালে উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের বখরিকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। যৌথবাহিনী সূত্র জানা যায়, বুধবার সকালে দেবিদ্বার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের বখরিকান্দি গ্রামের পূর্ব পাড়ার মোঃ রশীদুল ইসলামের বসত ঘরের সামনে রান্না ঘরের পাশে মাটির চুলা তৈরী করার জন্য ২ ফিট মাটি খুড়লে একটি সাদা পলিথিন এর ভিতরে পরিত্যাক্ত অবস্থায় গুলি দেখতে পায়। স্থানীয়রা বিষয়টি দেবিদ্বার সেনা ক্যাম্পে জানায়। খবর পেয়ে দেবিদ্বার সেনা ক্যাম্প ও দেবিদ্বার থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিকাল ৩ ঘটিকায় ৭১ পিস গুলি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
যৌথবাহিনী প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছে উদ্ধারকৃত গুলি গুলো নষ্ট এবং এগুলো মেশিন গানের হতে পারে। এ ব্যাপারে দেবিদ্বার থানার ওসি (তদন্ত) “মোঃ মাইনউদ্দিন” বলেন, পরিত্যক্ত অবস্থায় মাটির নিচে পলিথিনে ব্যাগে ৭১ পিস গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে তদন্ত চলছে এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন


শিক্ষা, সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রমে নিবেদিত সংগঠন “আমরা কুমিল্লার তরুণ প্রজন্ম” আদর্শ-সদর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই নবগঠিত কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন জি এম হেলাল এবং সদস্য সচিব হয়েছেন মো: রাজিবুল ইসলাম। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আদর্শ- সদর উপজেলায় তারা সমাজসেবা, শিক্ষা প্রসার এবং মানবিক সহায়তার মাধ্যমে তরুণদের সম্পৃক্ত করে গঠনমূলক কাজ করতে চায়। অচিরেই একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
আহ্বায়ক জি.এম হেলাল বলেন, “আমরা আদর্শ-সদর উপজেলায় আর্তমানবতার সেবায় কাজ করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখা।” সদস্য সচিব মো: রাজিবুল ইসলাম বলেন, “কমিটি গঠনের পরপরই আমরা একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করব এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ শুরু করব।”
নবগঠিত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন:
যুগ্ম আহ্বায়ক : মো: জালাল হোসাইন, মো:আলামিন, মো: মহিউদ্দিন ফরহাদ, জোবায়ের আহমেদ হ্রদয়, ইসমাইল হোসেন শুভ, নূর মোহাম্মদ জীবন, শামসুল আরেফিন জিসান ও মো: আফ্রিদি, সদস্য: মো: রাকিবুল ইসলাম, আনোয়ার রেজা সাকি, রুহুল আমিন হাসান রাব্বি, আহফাজুল কবির নেজামি, এনামুল হক জিসান, মো: কাইয়ুম হোসেন ও মো: মাহফুজুর রহমান
সংগঠনের জেলা আহ্বায়ক পিয়ারে মাহবুব এবং জেলা সদস্য সচিব সাজ্জাদ খানের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে কার্যক্রম সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত
কয়েদি থেকে কারামুক্ত এক কর্মজীবী নারীতে পরিণত হয়েছেন মোসা: পারভীন আক্তার। হত্যা
মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে ২০০২ সালের ১৯ আগস্ট কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ
করেছিলেন কয়েদি নম্বর ৩৮০২/এ, পারভীন আক্তার। পরে উচ্চ আদালতে আপিলের মাধ্যমে তার সাজা
কমে গিয়ে হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। দীর্ঘ প্রায় ২৩ বছর পর, প্রশিক্ষণ ও কঠোর পরিশ্রমে
অর্জিত ৫৭ হাজার টাকা সঞ্চয় নিয়ে আজ তিনি মুক্ত হলেন।
কারা
বিভাগ "রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ" এই শ্লোগানে বন্দিদের দক্ষতা উন্নয়নে
নানা প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায়, কারাগারে অবস্থানকালে পারভীন আক্তার নেন
নকশীকাঁথা সেলাই ও সুঁই-সুতার কাজের প্রশিক্ষণ। তার হাতে তৈরি কারাপণ্য বিক্রি হয় বাণিজ্য
মেলা ও কারাগারের শো-রুমে। বিক্রয়লব্ধ অর্থের ৫০ শতাংশই পারিশ্রমিক হিসেবে বন্দিদের
হাতে তুলে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।
সেই
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আয় থেকেই পারভীন আক্তার নিজের প্রিজনার ক্যাশ একাউন্টে জমা করেন ৫৭
হাজার টাকা। যা তিনি আজ মুক্তির দিন নিজের হাতে পেয়েছেন। প্রশিক্ষণ ও সঞ্চয়ের এই ফল
পেয়ে আবেগাপ্লুত পারভীন জানান, "কারা কর্তৃপক্ষ শুধু শাস্তিই দেয়নি, জীবনের নতুন
আলো দেখিয়েছে। আমি চিরকৃতজ্ঞ।"
বাংলাদেশ
জেলের এই মানবিক ও পুনর্বাসনমূলক দৃষ্টান্ত সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা দিচ্ছে।
পারভীন আক্তারের জীবন আমাদের মনে করিয়ে দেয়— সংশোধনের সুযোগ থাকলে, প্রত্যেক মানুষই
পরিবর্তনের পথে ফিরতে পারেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
বিদায় লগ্নে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবে জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহম্মেদ খাঁন।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাতে প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এ মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি কুমিল্লায় দায়িত্ব পালনকালে অভিজ্ঞতা, অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও করণীয় তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার নাজির আহম্মেদ খাঁন বলেন, “কুমিল্লা আমার কর্মজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এখানে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমি সবসময় মানুষের আন্তরিকতা ও সহযোগিতা পেয়েছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন, মাদকবিরোধী অভিযান, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা— সবক্ষেত্রে সাংবাদিকরা যে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। দায়িত্বশীল সংবাদ প্রকাশ পুলিশের কাজকে আরো গতিশীল করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমার লক্ষ্য ছিল সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি ও জনবান্ধব পুলিশিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। কুমিল্লাবাসী আমাকে যে ভালোবাসা, সম্মান ও সহযোগিতা দিয়েছে— তা আজীবন স্মরণে থাকবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিক নেতারা বিদায়ী পুলিশ সুপারের সৎ, নিষ্ঠাবান ও মানবিক কর্মকৌশলকে প্রশংসা করেন। তারা বলেন, তার নেতৃত্বে কুমিল্লার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুসংহত ছিল। বিভিন্ন থানা উন্নয়ন, কমিউনিটি পুলিশিং জোরদার, অভিযোগ নিষ্পত্তির গতি বৃদ্ধি— এসব উদ্যোগ মানুষের আস্থা অর্জন করেছে।
মতবিনিময় সভায় কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুক, সাবেক সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মাহবুব আলম বাবু, সিনিয়র সদস্য সহিদউল্লাহ, ওমর ফারুকী তাপস,দিলীপ মজুমদার,দপ্তর সম্পাদক সেলিম রেজা মুন্সি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নেকবর হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদিক হোসেন মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু,বুড়িচং প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক বাবুসহ জেলা ও জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ বড়ুয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সাইফুল মালিক, ডিবি ওসি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
পরিশেষে বিদায়ী পুলিশ সুপার নাজির আহম্মেদ খাঁনের হাতে কুমিল্লা প্রেস ক্লাব, কুমিল্লা ইয়ুথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, কুমিল্লা রিপোর্টার্স ক্লাব এবং কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে স্মারক উপহার তুলে দেওয়া হয়। তার ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের সফলতা কামনা করেন সবাই।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা
আদর্শ সদর উপজেলায় অবৈধ ভারতীয় চিংড়ির রেনুসহ একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার
রাত ৩টার দিকে উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন চাঁনপুর এলাকায় রেনুসহ ট্রাকটি জব্দ করে বিজিবি।
এ ঘটনায় বিজিবি কাউকে আটক করতে পারেনি।
বিজিবি
সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর আওতাধীন সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান
প্রতিরোধসহ আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানে সীমান্তের
শূন্য লাইন হতে আনুমানিক ৪ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আদর্শ সদর উপজেলা পাঁচথুবী
ইউনিয়ন চাঁনপুর নামক স্থানে মালিক বিহীন ১টি ট্রাকসহ ৫১ ড্রাম চিংড়ির রেনু জব্দ করা
হয়।
বিজিবি
জানায়, জব্দ মালামাল বিধি মোতাবেক কাস্টমস এ জমা করা হবে। সীমান্তে ভারতীয় অবৈধ মালামাল
জব্দে বিজিবি তৎপর রয়েছে।
মন্তব্য করুন


জেলা তথ্য অফিস, কুমিল্লার আয়োজনে মঙ্গলবার দাউদকান্দি উপজেলার দাউদকান্দি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ)’র আওতায় স্মার্ট বাংলাদেশ ও ভিশন: ২০৪১, সরকারের অর্জিত সাফল্য ও উন্নয়ন পরিকল্পনা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের গুরুত্ব এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধ, মাদক, গুজব, সাম্প্রদায়িকতা, অপপ্রচার,অপরাজনীতি এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ বিষয়ে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সিনিয়র তথ্য অফিসার নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,দাউদকান্দি উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: আহসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাকটর উম্মে কুলসুম, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাইদা সুলতানা, দাউদকান্দি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুল কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন ও দাউদকান্দি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মেছবাহ উদ্দিন সরকার। নারী সমাবেশের পূর্বে চলচ্চিত্র প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তাগন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মান করতে সক্ষম হয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল আপনারা পাচ্ছেন। এখন স্কুল-কলেজে ভর্তির জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম যেতে হয় না। বাড়িতে বসে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়। মোবাইল এ্যাপসের মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা চলে আসে, স্কুলে উপবৃত্তির টাকা মোবাইলে চলে আসে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারী সমাজের ভূমিকা অপরিসীম, শিক্ষার ক্ষেত্রেও নারীর ভূমিকা অপরিসীম। অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে গুজব, সাম্প্রদায়িকতা, অপরাজনীতি, অপপ্রচারকে প্রতিরোধ করতে হবে। উন্নত রাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলন ও বিনা মূল্যে বই বিতরণসহ শিক্ষা ক্ষেত্রে বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের উপযোগী মানুষ হিসেবে সন্তানদের গড়ে তোলার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। বক্তাগন মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ এর প্রতি জিরো টলারেন্সের কথা উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে মানুষকে এই অপারাধ গুলির বিরুদ্ধে জোরালো ভূমিকা রাখার অনুরোধ করেন।
মন্তব্য করুন