১
কোটি টাকা অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে আওয়ামী দোসরদের নিয়ে কুমিল্লা কেমিস্ট অ্যান্ড
ড্রাগিস্ট সমিতি কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা,
মাদক ব্যবসায়ী, আওয়ামী রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িতরা কমিটিতে স্থান পেয়েছে।
কেন্দ্রীয় কমিটিতে এখনো আওয়ামী দোসররা বসে আছে। তাই এ কমিটিও দোসরমুক্ত হয়নি।
শনিবার
(৩১ মে) দুপুরে কুমিল্লা সদরের আলেখারচর বিশ্বরোড এলাকার মেডিসিন কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে
সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন সদ্য ঘোষিত কমিটির সহ-সভাপতি মোরশেদুল হক খোকন।
লিখিত
বক্তব্যে খোকন আরো বলেন, সম্প্রতি আওয়ামী
দোসরদের একটি অংশ তাদের অপকর্ম ঢাকার জন্য মিথ্যে তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেছেন- কুমিল্লায় দুই ব্যক্তির কাছে ঔষধ ব্যবসায়ীরা জিম্মি ।
প্রকৃতপক্ষে চিত্রটা ভিন্ন। সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের পরিবার। তারা যাচাই-বাছাই করে মামলা দায়ের করেছেন। এতে আমাদের কোন হাত নেই। কারণ এখানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা রয়েছে, রয়েছে প্রশাসন। তাই এখানে অন্য কেউ চাইলেও কাউকে আসামি করতে পারবে না। ফলে তাদের এই অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আওয়ামী দোসররা মেডিসিন ব্যবসায়ী শিল্পী ও রুবেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। প্রকৃতপক্ষে তারাই অবৈধ মেডিসিন ব্যবসার সাথে জড়িত। ব্যবসার আড়ালে মাদক ব্যবসাও করছেন। বিভিন্ন সময় অবৈধ মেডিসিন ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেছে। মূলত সদ্য ঘোষিত কমিটিতে আটজন আওয়ামী লীগের দোসর রয়েছে, যারা প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগে রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তারা আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা, সভা- সমাবেশে উপস্থিত থাকতেন। বিভিন্ন এমপি সাথে বিভিন্ন প্রোগ্রামে তাদের ছবি রয়েছে। সেই অপবাদ ঢাকার জন্য তারা এখন শিল্পী ও রুবেলের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনেছেন। যা নিন্দনীয়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
সদ্য
ঘোষিত কমিটিতে সভাপতি পদে থাকা মো: আব্দুল আলীম ভূইয়ার সাথে কুমিল্লা সদরের সাবেক সংসদ
সদস্য হাজী বাহার ও চান্দিনা সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রাণ গোপালের জনসভা এবং
স্থানীয় সাবেক কুসিক কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদের সুসম্পর্ক ছিল। তাদের সাথে মো: আব্দুল আলীম ভূইয়ার উপস্থিতির ছবি রয়েছে। ১৯৯৬
সালে রেইসকোর্সে অবস্থিত গ্লাক্সো ফার্মাসিটিক্যালস এর ২০ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের মূল
পরিকল্পনাকারী ও ১৭ বছর আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ও আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতাকারি
আব্দুল আলীম।”
এই
কমিটির সিনিয়র সভাপতি মো: নুরুল আলম চৌধুরীর ( নোমান) মা নাজমা আক্তার চান্দিনা উপজেলা
পরিষদের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান ছিলেন।
কমিটির
সহ-সভাপতি মেসার্স লাবোনি মেডিকেল হলের মালিক এ.কে.এম মোস্তাফিজুর রহমান (শাহজাহান)
আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ছিলেন। এছাড়া তিনি সদরের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী বাহার
ও চান্দিনার সাবেক সংসদ সদস্য প্রাণ গোপাল, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ নিয়াজ
পাভেলের কাছের মানুষ ছিলেন। এই কমিটির সদস্য মেসার্স নিউ গ্রিণ ফার্মেসীর মালিক এনায়েত
উল্লাহ মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালিন কমিটিতে সদস্য ছিলেন। সর্বশেষ মহানগর আওয়ামী
লীগের কমিটিতে উপদেষ্টা পদ পান তিনি। কমিটির সদস্য মেসার্স নাড়িখান মেডিকেল হলের মালিক
মো: শামীম আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ছিলেন।
সদস্য
মেসার্স নিউ মেডিকেল হলের মালিক বাবু ধনঞ্জয় কুমার দত্ত আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন।
স্থানীয় কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদের রাজনীতিতে অর্থ যোগান দিতেন বলে জানা গেছে।
সদস্য মেসার্স যমুনা মেডিকেল হলের মালিক নিখীল চন্দ্র দত্ত আওয়ামী সমর্থক ছিলেন এবং
সদস্য মেসার্স রিয়া মেডিকেল হলের মালিক প্রহল্লাদ চন্দ্র দত্তের বিরুদ্ধে মেডিসিন ব্যবসায়
নানা অনিয়ম করেছে।
আওয়ামী
দোসর, অর্থ যোগানদাতা ও মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যা নিন্দনীয়।
এই ঘটনা ২৪ এর আন্দোলন কে কলঙ্কিত করেছে। আমরা চাই অতিসত্বর এই দোসরদের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হোক।
সংবাদ
সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মেডিসিন ব্যবসায়ী আবু বকর সিদ্দিক শিল্পী ও রুবেল
সহ আরো অনেকে। সংবাদ সম্মেলন শেষে মেডিসিন কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১২২ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজন
মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গতকাল (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলা গোয়েন্দা
শাখা, কুমিল্লার একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুড়িচং থানার চড়ানল এলাকার কুমিল্লা-টু-কসবাগামী
রাস্তার উপর হতে ১২২ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ী ছাব্বির হোসেন শুভ ও মোঃ
সোহাগকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: কুমিল্লা
জেলার বুড়িচং থানার পাঁচোড়া (আসকার বাড়ী) এলাকার মৃত আলম খান এর ছেলে ছাব্বির হোসেন
শুভ (২৫) এবং মৃত কবির হোসেন এর ছেলে মোঃ সোহাগ (২৭)।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা
দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লা জেলা পুলিশের আয়োজনে মাসিক আইন-শৃঙ্খলা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৯ অক্টোবর ২০২৫) সকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) পংকজ বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন।
সভায় জেলার সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, সাইবার ক্রাইম মোকাবিলা, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল, স্পর্শকাতর মামলার অগ্রগতি এবং গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদারকরণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এসময় পুলিশ সুপার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কার্যকর দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রাশেদুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মোঃ শামিম কুদ্দুস ভুঁইয়া সহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং সকল থানার অফিসার ইনচার্জবৃন্দ
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় হাইওয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায়
চৌদ্দগ্রাম বাজার সংলগ্ন মহাসড়ক হতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
আজ রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় মহাসড়কের শৃঙ্খলা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে হাইওয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় মিয়াবাজার হাইওয়ে থানাধীন চৌদ্দগ্রাম বাজার সংলগ্ন এলাকা হতে মহাসড়কে থাকা অস্থায়ী স্থাপনা সমূহ উচ্ছেদ করা হয়।
এ সময় হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের এডিশনাল ডিআইজি মো: খাইরুল আলম, কুমিল্লা হাইওয়ে সার্কেল এএসপি ও অফিসার ইনচার্জ মিয়াবাজার হাইওয়ে থানা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও এই অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সেনাবাহিনীর মেজর পদমর্যাদার অফিসার এর নের্তৃত্বে একটি টিম, এসি ল্যান্ড ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার হোমনায় জমি সংক্রান্ত বিষয়ের
জের ধরে রফিকুল ইসলাম প্রকাশ বেঙ্গা (৬৫) নামের একজনকে পেট কেটে ভুরি বের করে হ*ত্যা
করা হয়েছে।
আজ রবিবার (২৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মাথাভাঙ্গা ইউনিয়নের ছয়ফুল্লাকান্দি দক্ষিণ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রফিকুল ইসলাম বেঙ্গা ওই গ্রামের মৃত ছুনু মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত অলেক মিয়া নামে একজনকে স্থানীয় জনগণ আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। সে একই বাড়ীর মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে ও নিহতের চাচাতো ভাই।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেন এবং অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
নিহতের স্ত্রী রাশিদা বেগম জানান, আমজাদ হোসেন, আবুল হোসেন, আমির আলী, কমিক মিয়াসহ তিন পরিবারের ১০/১২জন মিলে দশ লাখ টাকা বাজেট করে আমার স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। আমি বিষয়টি জানিয়ে হোমনা থানায় লিখিত অভিযোগ করেও আমার স্বামীকে বাঁচাতে পারলাম না। আজ সকালে আমার স্বামীকে মেরে এসে আবার আমাদেরকেও মারার জন্য দল বল নিয়ে হামলা চালায়। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
এ বিষয়ে হোমনা থানা অফিসার ইনচার্জ (ও.সি) মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা যতটুকু দেখেছি জায়গা দখল-বেদখল নিয়েই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিলো। সে কারণেই এ হত্যাকান্ড হয়েছে বলে ধারণা করছি। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। এঘটনায় মূল অভিযুক্ত একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দেবীদ্বারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে
গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ছাব্বির হত্যা মামলার ৪৯ তম এজহারভূক্ত আসামী এলাহাবাদ ইউনিয়ন
এর সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী
লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সরকার (৬০) গ্রেফতার থানা পুলিশ।
শুক্রবার দিবাগত রাত ২ টায় দেবীদ্বার থানা পুলিশ গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুরস্ত তার নিজ বাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার হয়। মে উপজেলার
মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মালেক সরকারের পুত্র।
দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা শামসুদ্দিন মোহাম্মদ
ইলিয়াছ জানান, গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম
সরকারকে তার নিজ গ্রাম মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে ছাব্বির হত্যা
মামলার ৪৯ নং এজহার নামীয় আসামী।
গত বছরের ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পর উল্লসিত জনতা দেবীদ্বার থানা
ঘেরাউকালে সাব্বির মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ মাস ৮ দিন
চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরার পরদিন ১৪ আগস্ট সকাল ৯ টায় সাব্বির মারা যায়। নিহত আমিনুল
ইসলাম ছাব্বির (১৭) দেবীদ্বার পৌর এলাকার মৃত আলমগীর হোসেনের পুত্র। সে
পার্শ্ববর্তী মরিচাকান্দা জিয়া স্মৃতি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির
শিক্ষার্থী ছিল। লেখা পড়ার পাশাপাশি ছাব্বির ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন।
মন্তব্য করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লায় বকশিশের টাকা
ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক সহকর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার দায়ে আরেক সহকর্মীকে
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।
আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরবেলা
এ রায় ঘোষণা করেন কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছাঃ
ফরিদা ইয়াসমিন।
দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি
হলেন- কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন কৃষ্ণপুর গ্রামের মোঃ শাহজাহান মিয়ার ছেলে মোঃ
রাব্বি হোসেন (২২)।
মামলার বিবরণে জানা যায়-
২০২৩ সালের ১০ মে বিভিন্ন যানবাহনের মালিক/চালকের কাছ থেকে প্রাপ্ত বকশিসের টাকা ভাগাভাগি
নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মোঃ রাব্বি হোসেন (২২) এর হাতে থাকা ছুরি দিয়ে মোঃ মারুফ
হোসেন (১৯) কে এলোপাতাড়িভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ঘাই মারিলে রক্তাক্ত জখম অবস্থায়
মাটিতে লুটাইয়া পড়ে। তার আত্ম চিৎকার শুনে ফিলিং স্টেশনের স্টাফরা তাঁকে উদ্ধার করে
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে নিহতের মা কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন ঘোষগাঁও কাজী বাড়ীর মৃত মোঃ হাফিজুর
রহমানের স্ত্রী মোসাঃ মিনুয়ারা বেগম (৫০) বাদী হয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি হত্যা
মামলা দায়ের করলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ আহসান হাবীব ২০২৩ সালের ১৩ মে আসামি
মোঃ রাব্বি হোসেনকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করিলে আসামি
রাব্বি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারার বিধানমতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
তৎপর আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার
বিধানমতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ আহসান হাবীব ২০২৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আদালতে
অভিযোগপত্র দাখিল করেন (যাহার অভিযোগপত্র নং-৪২২)। তৎপর মামলাটি বিচারে আসলে ২০২৪ সালের
৪ নভেম্বর আসামি মোঃ রাব্বি হোসেন এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় চার্জগঠন করলে রাষ্ট্রপক্ষে
১৯জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ
সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ
অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট বিল্লাল হোসেন ভূঁইয়া।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১২ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন গোলাবাড়ি এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু মোঃ হৃদয় (১৫) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে ১২ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি ভ্যান গাড়ি উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু
মোঃ হৃদয় (১৫) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার টিক্কারচর গ্রামের মৃত জাকির হোসেন
এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে মাদক
ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর
মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো
সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। আটককৃত আইনের সহিত সংঘাতে
জড়িত শিশুর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
শিক্ষার্থীদের সৎ ও ভাল মানুষ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেছেন, দুর্নীতি এবং অপরাধের বিরুদ্ধে সচেতনতা এখন থেকেই তৈরি করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার কুমিল্লার দেবিদ্বার সরকারি রেয়াজউদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায়ী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন,গত ১৬ বছরে আমাদের দেশে এমন কোনো সেক্টর নেই যেখানে দুর্নীতি ঘটেনি। অফিস-আদালতে ঘুষ আর দুর্নীতি একটি প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মন্ত্রী ও এমপিরা দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। যারা এসব করছে, তারা একসময় তোমাদের মতোই ছিল। কিন্তু তারা সঠিক শিক্ষা পাননি। কোনো শিক্ষক তার ছাত্রদের অন্যায় শিক্ষা দেয় না। তোমরা যারা এখানে আছো, তোমাদের নিজেদের আগে দুর্নীতিমুক্ত এবং সৎ মানুষ হতে হবে। যোগ্যতা থাকুক বা না থাকুক, তবে আগে তোমাদের ভালো মানুষ হতে হবে। আমাদের দেশে যারা দুর্নীতিবাজ, তারা বেশিরভাগই শিক্ষিত এবং ভালো ফল অর্জনকারী। তারা ভালো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছে। কিন্তু তারা সঠিক শিক্ষা না পাওয়ায় দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে। একজন রিক্সাওয়ালা পদ্মাসেতুতে দুর্নীতি করতে পারে না, কারণ তার কাছে সেই সুযোগ নেই। সুযোগ না থাকার কারণে দুর্নীতি না করা এবং সুযোগ পেয়েও দুর্নীতি না করা এক নয়। যারা সুযোগ পেয়েও দুর্নীতি থেকে দূরে থাকে, তারা আসল সমাজ সেবক। দুর্নীতি ও অপরাধ না করার চর্চাগুলো এখন থেকেই তোমাদের শুরু করতে হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৪০ কেজি
গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
শনিবার (৬ জুলাই) সকালে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ
মডেল থানাধীন উত্তর রামপুর রহমতনগর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ
টুটুল (৩৮) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৪০ কেজি
গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ টুটুল (৩৮) নারায়নগঞ্জ
জেলার ফতুল্লা থানার শৈলকুড়া গ্রামের মোঃ মহিউদ্দিন এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী
ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী
ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির
বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার
চাঞ্চল্যকর ৩য় শ্রেণীর পড়ুয়া ৮ বছরের শিশু ধর্ষণ এর ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী মাওলানা
নাছির পাটোয়ারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গত ৪ জুলাই
কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন খালিশা এলাকায় ৮ বছরের এক মাদ্রাসা পড়ুয়া শিশুকে
ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ভিকটিমের মা বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দিাদ থানায় নারী ও
শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণের ঘটনাটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রচারিত হলে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। উক্ত
ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-১১ ও র্যাব-১০
এর যৌথ অভিযানে গত ১১ জুলাই রাতে ঢাকা জেলার হাজারীবাগ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা
করে ধর্ষক মাওলানা নাছির পাটোয়ারী কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামী হলো- কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন খালিশা এলাকার মৃত আব্দুস সামাদ পাটোয়ারীর
ছেলে মাওলানা নাছির পাটোয়ারী (৪২)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে
গ্রেফতারকৃত আসামী ধর্ষণের ঘটনার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
স্থানীয় সূত্রে
জানা যায়, ভিকটিমের পিতা মালেশিয়া প্রবাসী এবং তার মা একজন গৃহিনী। ভিকটিম এবং তার
ভাই স্থানীয় খালিশা মোহাম্মাদিয়া মিসবাউল উলুম মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণীতে অধ্যায়নরত
রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী মাওলানা নাছির পাটোয়ারী উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিচালক।
প্রতিদিনের মতো ঘটনার দিন গত ৪ জুলাই ২০২৪ইং তারিখে ভিকটিম ও তার ভাই মাদ্রাসায় যায়।
ঘটনার দিন প্রবল বর্ষণের কারণে মাদ্রাসার অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী অনুপস্থিত ছিল। গ্রেফতারকৃত
আসামী নাছির পরিবারসহ মাদ্রাসার পিছনের একটি বাড়িতে বসবাস করতো এবং ঘটনার দিন আসামীর
পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে অনুপস্থিত ছিল। মাদ্রাসায় ছাত্র-ছাত্রীদের কম উপস্থিতি এবং
গ্রেফতারকৃত আসামীর পরিবারের অনুপস্থিতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে আসামী নাছির মাদ্রাসার
পিছনে অবস্থিত তার বাসা ঝাড়ু দেয়ার জন্য ভিকটিমকে ডেকে নিয়ে যায়। ভিকটিম বাসায় প্রবেশ
করলে গ্রেফতারকৃত আসামী তার বাসার দরজা লাগিয়ে দেয় এবং ভিকটিমকে তার খাটের উপর নিয়ে
ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের একপর্যায়ে ভিকটিম চিৎকার করলে
গ্রেফতারকৃত আসামী ভিকটিমকে উক্ত ঘটনা গোপন রাখতে বলে এবং প্রকাশ করলে তাকে মেরে ফেলার
হুমকি দেয়। বাড়িতে আসার পর ভিকটিমের কান্নাকাটির কারণ ভিকটিমের পরিবার জানতে চাইলে
একপর্যায়ে ভিকটিম মাদ্রাসায় ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা বর্ণনা করে। ঘটনার পর গ্রেফতারকৃত
আসামী নিজ এলাকা ছেড়ে ঢাকায় পালিয়ে যায় এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে সেখানে
আত্মগোপন করে।
উক্ত বিষয়ে
গ্রেফতারকৃত আসামীকে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন