

১
কোটি টাকা অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে আওয়ামী দোসরদের নিয়ে কুমিল্লা কেমিস্ট অ্যান্ড
ড্রাগিস্ট সমিতি কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা,
মাদক ব্যবসায়ী, আওয়ামী রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িতরা কমিটিতে স্থান পেয়েছে।
কেন্দ্রীয় কমিটিতে এখনো আওয়ামী দোসররা বসে আছে। তাই এ কমিটিও দোসরমুক্ত হয়নি।
শনিবার
(৩১ মে) দুপুরে কুমিল্লা সদরের আলেখারচর বিশ্বরোড এলাকার মেডিসিন কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে
সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন সদ্য ঘোষিত কমিটির সহ-সভাপতি মোরশেদুল হক খোকন।
লিখিত
বক্তব্যে খোকন আরো বলেন, সম্প্রতি আওয়ামী
দোসরদের একটি অংশ তাদের অপকর্ম ঢাকার জন্য মিথ্যে তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেছেন- কুমিল্লায় দুই ব্যক্তির কাছে ঔষধ ব্যবসায়ীরা জিম্মি ।
প্রকৃতপক্ষে চিত্রটা ভিন্ন। সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের পরিবার। তারা যাচাই-বাছাই করে মামলা দায়ের করেছেন। এতে আমাদের কোন হাত নেই। কারণ এখানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা রয়েছে, রয়েছে প্রশাসন। তাই এখানে অন্য কেউ চাইলেও কাউকে আসামি করতে পারবে না। ফলে তাদের এই অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আওয়ামী দোসররা মেডিসিন ব্যবসায়ী শিল্পী ও রুবেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। প্রকৃতপক্ষে তারাই অবৈধ মেডিসিন ব্যবসার সাথে জড়িত। ব্যবসার আড়ালে মাদক ব্যবসাও করছেন। বিভিন্ন সময় অবৈধ মেডিসিন ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেছে। মূলত সদ্য ঘোষিত কমিটিতে আটজন আওয়ামী লীগের দোসর রয়েছে, যারা প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগে রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তারা আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা, সভা- সমাবেশে উপস্থিত থাকতেন। বিভিন্ন এমপি সাথে বিভিন্ন প্রোগ্রামে তাদের ছবি রয়েছে। সেই অপবাদ ঢাকার জন্য তারা এখন শিল্পী ও রুবেলের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনেছেন। যা নিন্দনীয়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
সদ্য
ঘোষিত কমিটিতে সভাপতি পদে থাকা মো: আব্দুল আলীম ভূইয়ার সাথে কুমিল্লা সদরের সাবেক সংসদ
সদস্য হাজী বাহার ও চান্দিনা সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রাণ গোপালের জনসভা এবং
স্থানীয় সাবেক কুসিক কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদের সুসম্পর্ক ছিল। তাদের সাথে মো: আব্দুল আলীম ভূইয়ার উপস্থিতির ছবি রয়েছে। ১৯৯৬
সালে রেইসকোর্সে অবস্থিত গ্লাক্সো ফার্মাসিটিক্যালস এর ২০ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের মূল
পরিকল্পনাকারী ও ১৭ বছর আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ও আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতাকারি
আব্দুল আলীম।”
এই
কমিটির সিনিয়র সভাপতি মো: নুরুল আলম চৌধুরীর ( নোমান) মা নাজমা আক্তার চান্দিনা উপজেলা
পরিষদের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান ছিলেন।
কমিটির
সহ-সভাপতি মেসার্স লাবোনি মেডিকেল হলের মালিক এ.কে.এম মোস্তাফিজুর রহমান (শাহজাহান)
আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ছিলেন। এছাড়া তিনি সদরের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী বাহার
ও চান্দিনার সাবেক সংসদ সদস্য প্রাণ গোপাল, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ নিয়াজ
পাভেলের কাছের মানুষ ছিলেন। এই কমিটির সদস্য মেসার্স নিউ গ্রিণ ফার্মেসীর মালিক এনায়েত
উল্লাহ মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালিন কমিটিতে সদস্য ছিলেন। সর্বশেষ মহানগর আওয়ামী
লীগের কমিটিতে উপদেষ্টা পদ পান তিনি। কমিটির সদস্য মেসার্স নাড়িখান মেডিকেল হলের মালিক
মো: শামীম আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ছিলেন।
সদস্য
মেসার্স নিউ মেডিকেল হলের মালিক বাবু ধনঞ্জয় কুমার দত্ত আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন।
স্থানীয় কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদের রাজনীতিতে অর্থ যোগান দিতেন বলে জানা গেছে।
সদস্য মেসার্স যমুনা মেডিকেল হলের মালিক নিখীল চন্দ্র দত্ত আওয়ামী সমর্থক ছিলেন এবং
সদস্য মেসার্স রিয়া মেডিকেল হলের মালিক প্রহল্লাদ চন্দ্র দত্তের বিরুদ্ধে মেডিসিন ব্যবসায়
নানা অনিয়ম করেছে।
আওয়ামী
দোসর, অর্থ যোগানদাতা ও মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যা নিন্দনীয়।
এই ঘটনা ২৪ এর আন্দোলন কে কলঙ্কিত করেছে। আমরা চাই অতিসত্বর এই দোসরদের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হোক।
সংবাদ
সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মেডিসিন ব্যবসায়ী আবু বকর সিদ্দিক শিল্পী ও রুবেল
সহ আরো অনেকে। সংবাদ সম্মেলন শেষে মেডিসিন কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
হয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকার স্থানীয় জনসাধারণকে নিয়ে নিয়মিতভাবে জনসচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর অধীনস্থ বিবিরবাজার বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিবিরবাজার মাঠ নামক স্থানে একটি জনসচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এ এম জাহিদ পারভেজ, বিজিবিএমএস, পিবিজিএমএস, পিএসসি।
এ সভায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তাদের বক্তব্যে মাদকমুক্ত এবং অপরাধমুক্ত একটি সমাজ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
পরবর্তীতে বিজিবি অধিনায়ক সীমান্তে চোরাচালান দমন ও মাদক নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে স্থানীয় জনসাধারণকে বিজিবির পাশে থাকার আহ্বান জানান।
এছাড়াও, বিজিবি হবে সীমান্তের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক - এই মর্মে সবাইকে আশ্বস্থ করেন। পরিশেষে এলাকাবাসির উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং মঙ্গল কামনা করে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় দুটি ভিন্ন এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানকালে অস্ত্র ব্যবসায়ী হায়দার ও পেনু মির্জাকে ৪টি শর্টগানসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, তারা ছদ্মনাম ব্যবহার করে অস্ত্রের ব্যবসা করতো। ২২ জুলাই ভোররাত ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত শহরের দুটি ভিন্ন এলাকায় পরিচালিত বিশেষ অভিযানে দুইজন অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন কুমিল্লা কোতয়ালী থানার মুরাদপুর এলাকার মো. আবু হায়দার (৪০), কোতয়ালী থানার নূরপুর এলাকার মজিবর রহমান (৩৮)। মজিবরের ছদ্মনাম নাম পেনু মির্জা ।
অভিযানকালে তাদের কাছ থেকে শর্টগান ৪টি, বিদেশি চাকু ১টি, ছেনি ১টি, অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ২টি, বাটন ফোন ২টি ,পাসপোর্ট ১টি, এলজির কার্তুজ ১টি উদ্ধার করা হয়।
যৌথ বাহিনী সূত্রে জানা যায়, অল্প পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হলেও গোয়েন্দা তথ্য ও মোবাইল ফরেনসিক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। যেমন, প্রাথমিক অডিও বিশ্লেষণে জানা যায়, পেনু মির্জা ৭.৬৫ পিস্তল এক লক্ষ টাকায় বিক্রি করতেন। এছাড়া হায়দার আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তদের কাছে অস্ত্র সরবরাহ করতেন বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়।
এই দুই অস্ত্র ব্যবসায়ী এখন পর্যন্ত চারটি আগ্নেয়াস্ত্র বহনের প্রমাণসহ ধরা পড়লেও তাদের চ্যানেলে দুটি ৭.৬৫ পিস্তল লেনদেন হয়েছে। এমন তথ্য ইতোমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থার হাতে এসেছে।
এছাড়া, অপরাধ জগতে ছদ্মনাম ব্যবহারের প্রবণতাও এই অভিযানের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে, যেমন পেনু মির্জা নামটি। মূল পরিচয় গোপন রাখতে এটি ব্যবহৃত হতো।
নগরীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী (২৩ বীর) ও র্যাব-১১-এর যৌথ অভিযান ধারাবাহিকভাবে ফলপ্রসূ প্রমাণিত হচ্ছে বলে জানায় যৌথ বাহিনী।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মহিনুল ইসলাম বলেন, যৌথ বাহিনী আসামিদের থানায় হস্তান্তর করার পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
মন্তব্য করুন


রংপুর রাইডার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বিপিএলের ফাইনালে উঠেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
১৮৫ রানের জবাবে খেলতে নেমে ৯ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা ।
তবে
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। সুনীল নারিন শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন। এরপর তিনে নামা তাওহিদ হৃদয় লিটন দাসকে নিয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। তাদের অসাধারণ এক জুটিতে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় রংপুর। পরে ৪৩ বলে ৬৪ রানে আউট হন হৃদয়। চারে নামা জনসন চার্লস ৩ বলে ১০ রানে ফেরেন। এর পরের ওভারে ৫৭ বলে ৮৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন লিটন। ততক্ষণে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
এর আগে, সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান তোলে সাকিব আল হাসানের দল।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। মাত্র ২৭ রান তুলতেই প্রথম ৩ ব্যাটার রনি তালুকদার (১৩), শামিম হোসেন (০) ও সাকিব আল হাসান (৫) ফিরেছেন দ্রুতই। পরে ঘুরে দাঁড়ায় নিশামের ব্যাটে। প্রথমে তাকে সঙ্গে দেন মাহেদী হাসান। ব্যাটিং অর্ডারের উপরে উঠে আসা মাহেদী ১৭ বলে ২২ রান করে ফেরেন ক্যারিবীয় স্পিনার সুনীল নারিনের বলে।
মাহেদীর পর নিশামের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন পুরান। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হন। তবে নিশাম একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে শুরু করেন। ৩১ বল খেলে ফিফটি তুলে নেন। এরপরও চলতে থাকে তার আগ্রাসী ব্যাটিং। রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ২৪ বলে ৩০ রান করে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন। তবে ১৯তম ওভারে তাকে ফেরান ক্যারিবীয় পেস অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল।
অপরপ্রান্তে উইকেট পতন হলেও নিশাম থামেননি। শেষ ওভারে মুশফিক হাসানের ওভারে ৩ ছক্কা ও ২ চারে তুলে নেন ২৮ রান। শেষ পর্যন্ত ৪৯ বলে ৯৭ রানে অপরাজিত থাকেন নিশাম।
মন্তব্য করুন


চলমান অপারেশন অপারেশন ডেভিল হান্টে কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে গত গেল ২৪ ঘন্টায় আরো ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে গেল চার দিনে মোট ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
মন্তব্য করুন


পাওনা
৩৬ হাজার টাকা না দেওয়ায় পরকীয়া প্রেমিকের হাতে খুন হয় কুমিল্লা হোমনা উপজেলার বড় ঘাগুটিয়া
ইউনিয়নের ঘাগুটিয়া গ্রামের শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে
সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।
গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহপরানের ঘরে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।
হত্যাকাণ্ডের
পরই রহস্য উদঘাটনে এবং খুনিকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ।
এর একদিন পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে হোমনার শ্রীমদ্দি চরেরগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূলহোতা আক্তার হোসেনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আক্তার হোসেন (২৭) হোমনা শ্রীমদ্দি চরের গাঁও এলাকার হক মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর হত্যাকারী আক্তার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, নিহত মাহমুদার সঙ্গে তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর মাহমুদা তার পরকীয়া প্রেমিক আক্তার হোসেনের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা ধার নিতো। সর্বশেষ আক্তার হোসেনের নিহত মাহমুদার কাছে ৩৬ হাজার টাকা পাওনা ছিল। আক্তার সেই টাকা মাহমুদার কাছে ফেরত চাইলে টাকা ফেরত দেব-দিচ্ছি করে আক্তারকে ঘোরাতে থাকেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কয়েক দফা বাগবিতণ্ডা হয়।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আক্তারকে তার পাওনা টাকা ফেরত দেবেন বলে বাড়িতে ডাকেন মাহমুদা। পরে রাতে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন মাহমুদা, হত্যাকারী আক্তার, মাহমুদার ছেলে সাহাত এবং মাহমুদার ভাতিজি তিশা।
খাওয়া শেষে তিশা ও সাহাত ঘুমিয়ে পড়ে। তখন আক্তার তার পাওনা টাকা ফেরত চাইলে মাহমুদা রাগারাগি করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ফের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে মাহমুদাকে মাথায় আঘাত করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন আক্তার। আর ভাবতে থাকেন তিশা ও সাহাত তো সন্ধ্যায় তাকে দেখেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা যদি আক্তারের কথা বলে দেয় সেই আশঙ্কা থেকে তাদের দুজনকেও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে মরদেহ তিনটি এক খাটের ওপর রেখে পালিয়ে যান তিনি।
হোমনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, তিনজনকে হত্যার ঘটনায় নিহত মাহমুদার বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করার পর ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে নামে পুলিশ। তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ হত্যাকারী আক্তারকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাতে আক্তারকে তার নিজবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার বিকেলে আদালতে তোলা হলে ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লার হোমনার বড় ঘাগুটিয়া এলাকায় শাহপরানের ঘরে তিনজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এর আগে, বুধবার রাতের কোনো একসময় তিনজনকে হত্যা করে মরদেহ একটি খাটের ওপর ফেলে রাখা হয়।
নিহতরা হলেন বড় ঘাগুটিয়া এলাকার মো. শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে সাহাত এবং প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা (১৪)।
এ
ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতেই নিহত মাহমুদার বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি
হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘাতক আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে শনিবার বিকেলে তাকে আদালতে তোলা হয়।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে ঢাকার গুলশান এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে করা একাধিক হত্যা মামলার আসামি তিনি। অভিযানে নেতৃত্ব দেন দাউদকান্দি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সামছুল আলম।আজ সোমবার সকালে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েত চৌধুরী।তিনি বলেন, গ্রেপ্তার মোহাম্মদ আলী সুমনের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রিফাত ও বাবু হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর আজ সকালে তাকে কুমিল্লার আদালতে পাঠানো হয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে ছিলেন সুমন। অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন তিনি দেশ ত্যাগ করেছেন। সুমন কুমিল্লা-১ ( দাউদকান্দি-মেঘনা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়ার ছেলে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ৩০০ বোতল স্কাফ সিরাপ ও ৫০ বোতল ফেন্সিডিলসহ ০১ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল (৩১ জুলাই) ভোরে ব্রাহ্মণপাড়া থানা, কুমিল্লায় কর্মরত এসআই(নিঃ) মোহাম্মদ শাহাবুর আলম সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণপাড়া থানার শশীদল এলাকায় আসামীর বসতবাড়ি থেকে ৩০০ বোতল স্কাফ সিরাপ, ৫০ বোতল ফেন্সিডিলসহ
একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো: কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মনপাড়া থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামের আবু তাহের এর ছেলে মোঃ রাকিবুল হাসান প্রকাশ রাকিব(২২)।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে কুমিল্লা এর ব্রাহ্মনপাড়া থানার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৫ হাজারের অধিক মোটরসাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রা করেছে তরুণরা। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) মহাসড়কের কুমিল্লা পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডস্থ হোটেল নুরজাহানের সামনে থেকে এই মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা শুরু হয়। জুমার নামাজের পর থেকেই কুমিল্লা নামে বিভাগের দাবিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় জড়ো হয় তরুণরা। ঘন্টা খানিকের মধ্যেই কয়েক হাজার বাইকারের মিলনমেলায় পরিণত হয় মহাসড়কের এই অংশটি।
সকলের মুখে মুখে শ্লোগান ‘দাবি মোদের একটাই কুমিল্লার নামে বিভাগ চাই।’ কারো হাতে ও কারো বুকে জাতীয় পতাকা , কারো কণ্ঠে শ্লোগান। মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা রূপ নেয় রঙিন উৎসবে। মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাকে স্বাগত জানিয়ে অনেকে দোকানপাটের সামনে দাঁড়িয়ে সকল শ্রেণির মানুষ একাত্মতা প্রকাশ করেন।
শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করা ইঞ্জিনিয়ার শিহাব উদ্দিন ও নুর মোহাম্মদ মজুমদার জানান, প্রাচীন সমতট অঞ্চলের রাজধানী ছিল কুমিল্লা। হাজার হাজার ঐতিহ্যে ভরা কুমিল্লা যখনই বিভাগের ঘোষণার দ্বারপ্রান্তে যায় তখনই নানান মহল থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। নোয়াখালীসহ বৃহত্তর কুমিল্লার ৬টি জেলার বিভিন্ন দপ্তরের ৪২টি আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লায় অবস্থিত। অবিলম্বে কুমিল্লা নামে বিভাগ দিতে হবে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক :
কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী, বিএনপির কেন্দ্রীয় শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম বলেছেন, গতকাল শেখ হাসিনার রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা এই ন্যায়বিচারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখব। বিচারবিভাগ স্বাধীন থাকবে। আমরা যদি নির্বাচিত হই বিচারবিভাগকে স্বাধীন রাখা হবে। আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়ের ওপর।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার নাথেরপেটুয়া ইউনিয়নের ভৌগই উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত উঠান বৈঠকের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ৮০ বছর বয়সে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সাত- সাতটি বছর জেল খেটেছেন, কিন্তু তিনি অন্যায়ের সাথে কখনো আপোষ করেননি। উনাকে বহুবার প্রেশার দেওয়া হয়েছিল বিদেশে পাঠিয়ে দিতে, আমাদের নেত্রী বলেছিলেন বিদেশে আমার কোন ঠিকানা নাই। ছয়বার নিশ্চিত মৃত্যুর থেকে আল্লাহ উনাকে বাঁচিয়েছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের উপর যেভাবে চেপে বসেছিল। দীর্ঘদিন আপন লোকদের জানাজায় যেতে পারিনি। তাদের দোয়ায় অংশ নিতে পারিনি। আমরা এসব ভুলে যাবো না।দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৮০ বছর বয়সে সাত-সাতটি বছর জেল খেটেছেন। আমরা এসব ভুলে যাবো না। আগামী নির্বাচনে খালেদা জিয়ার তিন তিনটি আসনে মনোনয়ন নিয়েছেন। তার সম্মানার্থে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিতে হবে।
আবুল কালাম বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান আমাকে লাকসাম এবং মনোহরগঞ্জের মনোনয়ন দিয়েছেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের বিগত সময়ের নির্যাতন, মামলা-হামলার কথা বিবেচনা করেই আমার দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। আমাকে আমার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান বলেছেন, ভোগই হাই স্কুল মাঠে গিয়ে আমার সালাম দাও, ধানের শীষের সালাম দাও। আমি জনাব তারেক রহমানের পক্ষে আপনাদেরকে সালাম দেওয়ার জন্য এখানে এসেছি। আপনারা তারেক রহমানকে আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী বানাবেন এটা আশা করি।
এ সময় মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব ইলিয়াস পাটোয়ারী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সরোয়ার জাহান দোলনসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ‘আশা’র প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট প্রয়াত মো. সফিকুল হক চৌধুরীর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে উদ্যোগে পৃথক পৃথক স্থানে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে বিভিন্ন বয়সের তিন শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল নগরীর রেইসকোর্স ও শহরতলীর আড়াইওরা এলাকায় চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি কুমিল্লার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. রেজা মো. সারোয়ার আকবর।
আশা আড়াইওড়া সমন্বিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ইব্রাহিম ইবনুল আবিদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ডা. এ কে এম আবদুস সেলিম, আশার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক সেলিম উদ্দিন, জেলা ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম, শাখা ব্যবস্থাপক গোবিন্দ সাহাসহ আরো অনেকে।
পরে দুইটি ক্যাম্পে বিনামূল্যে এক শতাধিক রোগীর ডায়াবেটিকসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ২শ রোগীকে ফিজিওথেরাপী দেওয়াসহ চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়। দিনব্যাপী আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়ার পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি, ব্লাড সুগার পরীক্ষাসহ কিছু রোগীকে ব্লাড প্রেসার নিরুপণের মেশিন প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘আশা’র প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট প্রয়াত মো. সফিকুল হক চৌধুরীর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় এবং সফিকুল হক চৌধুরীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন