

আজ
সোমবার কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কুমিল্লা সিটি কলেজ মিলনায়তনে মাদকমুক্ত জাতি গঠনে
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া
খানম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর,কুমিল্লার চৌধুরী
ইমরুল হাসান, সদর দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক, সংগঠক
ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখক শাহাজাদা এমরান, কুমিল্লা সিটি কলেজের পরিচালনা পর্ষদ এর
সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা।
সেমিনারে
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, কুমিল্লা সিটি কলেজের প্রভাষক মাহদি প্রমি।
সেসিনারে
সভাপতিত্ব করেন, কুমিল্লা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মো: নাদিমুল হাসান চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিগণ একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠনে মাদকাসক্ত মুক্ত বাংলাদেশ গঠনে
সবাইকে সম্মিলিত ভাবে কাজ করার আহবান করেন। শিক্ষার্থীদের মাদক থেকে বিরত থাকার জন্য
বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য ও উপদেশ প্রদান করেন।
কুইজ
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে মাদকের ক্ষতিকর দিক লেখা সম্বলিত
খাতা, কলম,স্কেল ও জ্যামিতি বক্স বিতরণ করা হয়।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপস্থিত সবাইকে মাদকবিরোধী শপথ বাক্য পাঠ করান এবং সবাই মিলে "মাদক কে না বলুন"লাল কার্ড প্রদর্শন করেন।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
হাসনাত আবদুল্লাহ'র প্রতি হুমকি ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে কুমিল্লা দেবীদ্বারে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জুলাই অভ্যুত্থানের আহত, শহীদ পরিবার ও ছাত্র-জনতা।
মঙ্গলবার (২০শে মে) দুপুরে দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে পরে দেবীদ্বার পৌর মার্কেট গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা হাসনাত আবদুল্লাহ'র কে হত্যার হুমকির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং আওয়ামীলীগ দোসরদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
এ সময় বক্তারা বলেন, গতকাল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে হাসনাত আব্দুল্লাহ ভাইকে নিয়ে এই ধরনের কথা বলায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তাদেরকে ভুলে গেলে চলবে না হাসানাত আব্দুল্লাহ কে ছিলেন, আজকে তারা স্বাধীনভাবে প্রেস ক্লাবে কথা বলতেছে কার জন্য।
তারা আরও বলেন, বিগত ১৭ বছরে তারা ১৭ সেকেন্ডের জন্য তাদের স্থান প্রেস ক্লাবে হয় নাই। কিন্তু আজকে তারা স্বাধীনভাবে সবকিছু করতেছে এসব বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলপ্রসু। তাদেরকে ভুলে গেলে চলবে না যে জাতি বিপ্লবীদের অমর্যাদা করে সে জাতি ভবিষ্যৎ অন্ধকার। তাদেরকে অনুরোধ করবো আপনারা আপনাদের সম্মান রক্ষা করুন।
মন্তব্য করুন


কৃষিতে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেয়ার
জন্য ২০১৯ সালের নীতিমালা অনুযায়ী কৃষি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে
সিআইপি'র সমমর্যাদায় Agricultural Important
Person এআইপি প্রবর্তন করেন সরকার।
২০২১ সালের এআইপি খেতাবে
ভূষিত হয়েছেন কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার
আদমপুর গ্রামের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার প্রাপ্ত
কৃষি পরিবেশ সমাজ উন্নয়ন সংগঠক, অধ্যাপক এম এ মতিন (মতিন সৈকত)।
২০২১ সালের পদকটি আগামী ৭
জুলাই ২০২৪ইং তারিখে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে মতিন সৈকত সহ অনান্য এআইপিদের
সন্মাননা সংবর্ধনা প্রদান করা হবে।
তিনি চার দশক ধরে কৃষি পরিবেশ
সমাজ উন্নয়নে বৈপ্লবিক অবদান রাখছেন। কৃষি উদ্ভাবন জাত/প্রযুক্তি বিভাগে মতিন সৈকত-কে
এআইপি সম্মাননা দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত হয়।
এআইপিগণ সিআইপিদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এর মধ্যে রয়েছে-
মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রশংসাপত্র, বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাশ, বিভিন্ন
জাতীয় অনুষ্ঠানে নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ, বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে ভ্রমণকালীন সরকার
পরিচালিত গণপরিবহনে আসন সংরক্ষণ অগ্রাধিকার, ব্যবসা/দাফতরিক কাজে বিদেশে ভ্রমণের জন্য
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসা প্রাপ্তির নিমিত্ত সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে উদ্দেশ্য করে
Letter of Introduction ইস্যু করবে, নিজের ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য সরকারি
হাসপাতালের কেবিন সুবিধা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার এবং বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার
সুবিধা পাবেন।
মতিন সৈকত একজন বহুমুখী সৃজনশীল
উদ্ভাবক-উদ্যোক্তা। সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি
স্বরূপ তিনি ১৯৮৭ সালে মহামান্য রাষ্ট্রপতির
অভিনন্দন পত্র পেয়েছেন। পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন ব্যাবহার এবং সম্প্রসারণে
অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১০ এবং ২০১৭ সালে মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী মতিন সৈকত-কে দুইবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক এবং পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যাক্তিগত ক্যাটাগরিতে
২০২১ সালে জাতীয় পরিবেশ পদক প্রদান করেন।
পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে
মতিন সৈকত ছয়বার সরকারিভাবে চট্টগ্রাম বিভাগে শীর্ষ স্থান অর্জন করেন। বিষমুক্ত ফসল,
নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে মতিন সৈকত নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।
বেকারত্ব দূরীকরণ, কর্মসংস্থান
সৃষ্টিতে সমবায় ভিত্তিতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মতিন সৈকত সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে গড়ে তুলেন
আপুসি, আপুবি, বিসমিল্লাহ, আদমপুর আদর্শ মৎস্য চাষ প্রকল্প।
প্লাবন ভূমিতে মৎস্য চাষে
দাউদকান্দি মডেল এবং নিরাপদ খাদ্য উপজেলা দাউদকান্দি মডেলের অন্যতম অংশীজন তিনি। সারাদেশে
বোরোধান উৎপাদন করতে সেচের পানির জন্য কৃষককে যখন ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা বিঘাপ্রতি সেচ
খরচ দিতে হয়। সেখানে মতিন সৈকত বিঘাপ্রতি এককালীন
মৌসুমব্যাপী মাত্র দুইশ টাকার বিনিময়ে ত্রিশ বছর যাবত বোরোধান লাগানো থেকে পাকা ধান
কাটা পর্যন্ত যার যতোবার সেচের পানির প্রয়োজন ততোবারই সেচের পানি সরবরাহ করে জাতীয়
দৃষ্টান্ত স্হাপন করেন।
বোরোধানের জমিতে ধান উৎপাদনের
পাশাপাশি মৎস্য চাষ করে বিঘাপ্রতি ১০/ ১৫ হাজার
টাকা মুনাফা পাচ্ছেন কৃষক। মতিন সৈকতের দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে সরকার কালাডুমুর নদী পূনঃখনন
করে দিয়েছেন।
এছাড়া মতিন সৈকত খাল-নদী
পূনঃখনন জলাভূমি সংরক্ষণ, বন্যপ্রাণী, পাখি
প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কাজ করছেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা
হয় -
তিনি নিজ এলাকা দাউদকান্দি কুমিল্লায় ২০০৬ সালে ১০,০০০ কৃষক নিয়ে আইপিএম-আইসিএম
ক্লাব গঠন করেন। তার এ উদ্যোগের ফলে ২০১৭ বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) দাউদকান্দি
উপজেলাকে বিষমুক্ত নিরাপদ খাদ্য উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করে। তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ
তিনি ২০১০ ও ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক এবং ২০২১ সালে জাতীয় পরিবেশ পদক পেয়েছেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর
হোসেন,
কুমিল্লা
প্রতিনিধি:
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ‘নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
তিনি বলেন, ‘গ্রাম বাংলার মা-বোনদের সামাজিক বিবর্তন ও সাংস্কৃতিক জাগরণে বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাপক ভূমিকায় তিনি (খালেদা জিয়া) নোবেল প্রাইজ পাওয়ার যোগ্য। গ্রাম বাংলার মা-বোনদের সংস্কৃতির যে বিবর্তন তার একমাত্র কারণ খালেদা জিয়া।’
আজ রোববার (২৪ আগস্ট) কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক এবং কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে মেয়েদের বিনা বেতনে লেখাপড়ার ব্যবস্থা করেছেন। উপবৃত্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তখন অনেকে আমাকে বলেছিলেন ‘মেয়েদের ফ্রি লেখাপড়া হচ্ছে, ছেলেদের কী হবে?’ তখন আমি খালেদা জিয়াকে বিষয়টি বললাম, এর উত্তরে তিনি বলেন- ‘আজকে যেসব মেয়ে লেখাপড়া করছে তারাই একদিন মা হবেন। যে পরিবারে মা শিক্ষিত সেই পরিবারের সন্তান শিক্ষিত হয়।’ তার এ যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত মা-বোনদের সামাজিক ও সংস্কৃতিক বিবর্তনে অন্যতম অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। ৯০-এর গণঅভ্যুত্থান খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্বের কারণেই সম্ভব হয়েছিল। সেই অভ্যুত্থানের পর চাইলে সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিয়ে যেতে পারত। কিন্তু তারা ক্ষমতা নেয়নি। কারণ আমাদের সেনাবাহিনী দেশপ্রেমিক ও মুক্তিযুদ্ধের বাহিনী। তারপর ১৯৯১ সালে একটি ব্যাপক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে। যে নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। শেখ মুজিব বাকশাল গঠন করে সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বাকশাল বহাল না রেখে কেউ কোনো নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে চাইলে রাষ্ট্রপতি বরাবর আবেদন করার কথা বলেন। এরপরই আব্দুল মালেক উকিল প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কাছে আওয়ামী লীগকে পুনরায় গঠন করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি চান। সেই আ.লীগ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অনুদানে প্রাপ্ত দল। সেদিন যদি মালিক উকিলের আবেদনে জিয়াউর রহমান সাড়া না দিতেন তাহলে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকত না।’
আগামী নির্বাচন বিএনপির জন্য সহজ নয় উল্লেখ করে বরকত উল্লাহ বুলু আরও বলেন, দেশি-বিদেশি অনেক শক্তিই বিএনপির বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। ভূ-রাজনৈতিক কারণে সারা বিশ্বের অনেক ঈগল পাখির চোখ বাংলাদেশে। সেই চোখ উপেক্ষা করে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে। এর জন্য বিএনপির বিকল্প নেই। আমরা উগ্র রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। যারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণাকে বিশ্বাস করে না, তাদের বাংলাদেশে ভোট চাওয়ার ও রাজনীতি করার অধিকার নেই।
নেতাদের উদ্দেশ্যে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, আপনারা এমন কোনো আচরণ করবেন না, যে কারণে বিএনপি, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানকে নিয়ে কথা উঠে। আর কেউ যদি এমন আচরণ করেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো হাইব্রিড যেন বিএনপিতে স্থান না পায় সে বিষয়ে সতর্ক নজর রাখতে হবে বলেও আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুস্তাক মিয়া, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর মাহমুদ ওয়াসিম, যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুজ্জামান আমির, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজি জসিম উদ্দিন, বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সভাপতি এটিএম মিজানুর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার
দক্ষিণ মাঝিগাছা এলাকা থেকে দলনেতাসহ আট জন কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১,
সিপিসি-২।
গত ২৭ জুন রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২
একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
দক্ষিণ মাঝিগাছা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় তাদের
নিকট হতে ২ টি চাকু, ৪ টি ক্ষুর ও ৭ টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত আসামীরা হলো: ১। মোঃ নিলয় ইসলাম (২০), পিতা-মোঃ রোকন মিয়া, সাং-
অরন্যপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা; ২। মোঃ ইমতিয়াজ মিনহাজ আকাশ (১৯), পিতা-
মোঃ গোলাম রাব্বানী মাসুম, সাং- অরন্যপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা; ৩। মোঃ
বাপ্পি (১৯), পিতা-মৃত আবুল খায়ের, সাং- অরন্যপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা;
৪। পিয়াল খন্দকার (১৯), পিতা-মোঃ বশির খন্দকার, সাং- গাজীপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা;
৫। মোঃ আব্দুল কাদির (১৯), পিতা-মোঃ সোয়াব আলী, থানা-মাধবপুর, জেলা-হবিগঞ্জ, এ/পি সাং-
উত্তর রামপুর, থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা’দেরকে গ্রেফতার এবং আইনের সাথে
সংঘাতে জড়িত শিশু ৬। শাহাদাত হোসেন মাহি (১৭), পিতা-মোঃ নাদের হোসেন, সাং- উত্তর রামপুর,
থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা; ৭। রাকিবুল হাসান (১৬), পিতা- মোঃ সোহেল রানা,
সাং- উত্তর রামপুর, থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা এবং ৮। মোঃ মুনতাছির মাহমুদ@
সামির (১৭), পিতা-মোঃ মীর হোসেন, সাং- উত্তর রামপুর থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের
ও আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা সকলেই কিশোর গ্যাং
এর সক্রিয় সদস্য। তারা উপরোক্ত দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে এলাকার সাধারণ মানুষকে ভয়
ভীতির মাধ্যমে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এছাড়াও তারা ভয় ভীতির
মাধ্যমে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ যানবাহনে ছিনতাই ও চাঁদা আদায়সহ ত্রাস সৃষ্টি করে
আসছিল বলে স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামী ও আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুদের
বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


রপ্তানি বন্ধের নিষেধাজ্ঞার আগে সরকার ভারত থেকে আমদানির জন্য খোলা ঋণপত্রের (এলসি) ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার উদ্যোগ নিয়েছে।
দ্রুত পেঁয়াজ আনতে ভারতে বাংলাদেশ দূতবাসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রোববার চিঠি পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া দেশে যৌক্তিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি নিশ্চিত করতে কঠোর মনিটারিং করার জন্য সব জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। তবে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে সেখান থেকে বাংলাদেশে ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়। এখন এ পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ভারত রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগেই সেখান থেকে আমদানির জন্য ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের এলসি খোলা হয়। এ পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আমরা বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। কীভাবে বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজের আমদানি বাড়ানো যায়, সে চেষ্টা চলছে। একইসঙ্গে টিসিবির মাধ্যমে স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত থাকবে।
দেশের সর্বত্র যৌক্তিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান বাণিজ্য সচিব।
দেশের মানুষ কষ্ট পায় এমন কিছু করা ঠিক হবে না উল্লেখ করে ব্যবসায়ীদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সরকারের এ জ্যেষ্ঠ সচিব ।
তিনি বলেন, ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলো আর দেশে একদিনের ব্যবধানে পণ্যটির দাম হঠাৎ বেড়ে গেল, এটা ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীল আচরণ নয়।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে
গবাদিপশুর হাট-বাজার পরিদর্শন করেন।
আজ বুধবার (৪ জুন) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালি মডেল থানাধীন চানপুর
গরুর বাজার ও বালুতুপা গরুর বাজার পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির
আহমেদ খাঁন।
এ সময় তিনি গবাদি পশু ক্রেতা-বিক্রেতা, ব্যবসায়ী ও সাধারণ
জনসাধারনের সাথে হাট-বাজারের আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্তে মতবিনিময় করেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, যে কোন আইনি
সহায়তা প্রদানে জেলা পুলিশ সার্বক্ষণিক আপনাদের পাশে রয়েছে। গবাদি পশু
ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্তে চাঁদাবাজি বা কোন ধরনের অপরাধের সংবাদ পেলে কঠোর আইনি
ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সকলকে সতর্ক করেন।
এসময় আরো
উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রাশেদুল হক চৌধুরী, কুমিল্লা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল)
মোহাম্মদ সাইফুল মালিক সহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার হোমনায় জমি সংক্রান্ত বিষয়ের
জের ধরে রফিকুল ইসলাম প্রকাশ বেঙ্গা (৬৫) নামের একজনকে পেট কেটে ভুরি বের করে হ*ত্যা
করা হয়েছে।
আজ রবিবার (২৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মাথাভাঙ্গা ইউনিয়নের ছয়ফুল্লাকান্দি দক্ষিণ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রফিকুল ইসলাম বেঙ্গা ওই গ্রামের মৃত ছুনু মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত অলেক মিয়া নামে একজনকে স্থানীয় জনগণ আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। সে একই বাড়ীর মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে ও নিহতের চাচাতো ভাই।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেন এবং অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
নিহতের স্ত্রী রাশিদা বেগম জানান, আমজাদ হোসেন, আবুল হোসেন, আমির আলী, কমিক মিয়াসহ তিন পরিবারের ১০/১২জন মিলে দশ লাখ টাকা বাজেট করে আমার স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। আমি বিষয়টি জানিয়ে হোমনা থানায় লিখিত অভিযোগ করেও আমার স্বামীকে বাঁচাতে পারলাম না। আজ সকালে আমার স্বামীকে মেরে এসে আবার আমাদেরকেও মারার জন্য দল বল নিয়ে হামলা চালায়। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
এ বিষয়ে হোমনা থানা অফিসার ইনচার্জ (ও.সি) মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা যতটুকু দেখেছি জায়গা দখল-বেদখল নিয়েই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিলো। সে কারণেই এ হত্যাকান্ড হয়েছে বলে ধারণা করছি। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। এঘটনায় মূল অভিযুক্ত একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন


নিজস্ব প্রতিবেদক:
কবি সাহিত্যিকেরা বলে গেছেন, যদি কখনো মনের ব্যামো হয়, তাহলে আবহাওয়ার বদল করতে হয়। সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাহিত্যের অঙ্গনে ছেলেমেয়েরা কবি সাহিত্যিকদের দেয়া সেই প্রেসক্রিপশনই অনুসরণ করলেন। তাইতো তারা নিয়মিত ক্লাস, এসাইনমেন্ট, পরীক্ষার একঘেয়েমি থেকে হাঁফ ছেড়ে বাঁচার জন্য বান্দরবানের প্রকৃতি থেকে ঢু মেরে আসলো।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ রাতে প্রকৃতির অনন্য নিদর্শন বান্দরবানের এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষাসফরের শুভকামনা এবং সাময়িক বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আলী হোসেন চৌধুরী।
দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি ভোরে শিক্ষাসফরের বাসটি বান্দরবান পৌঁছায়। সেখান তারা অপরূপ সৌন্দর্যে বেষ্টিত মেঘবাড়ি রিসোর্টে অবস্থান নেন। পাহাড় ঘেরা সবুজ মেঘের রাজ্যে সবাই মিলে একসাথে তাদের সকালের নাস্তা শেষ করেই তারা বেড়িয়ে পড়েন প্রকৃতির টানে। চাঁদের গাড়িতে করে পাহাড়ের বুক চিড়ে তারা ছুটে চলে নীলগিরি আর নীলাচলের দিকে। পথিমধ্যে তারা বিভিন্ন ঝর্ণা, এবং পাহাড়ী ছড়ার মায়াবী সৌন্দর্য উপভোগ করে। উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ এর কথা মাথায় রেখেই “considers man and nature as essentially adapted to each other, and the mind of man as naturally the mirror of the fairest and most interesting properties of nature.” তারা গিরিবালার সৌন্দর্য অবলোকন করেছেন, সেখানকার ইতিহাস আর সংস্কৃতি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। শুধু পাহাড় দেখেই তারা তৃপ্ত হয়নি, ফিরতি পথে তারা সমুদ্র সৈকতে (পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত) তাদের পদচিহ্ন এঁকে দিয়ে এসেছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত দুই কিশোরের লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কাজের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে গতকাল শনিবার (২৬ অক্টোবর) তাদের লাশ কবর থেকে তোলা করা হয়েছে।
তারা হলেন, দাউদকান্দির সুকিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে মো. রিফাত (১৬)। রিফাত উপজেলার সুন্দলপুর হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। অপরজন দিনমজুর মো.বাবু মিয়া (২৩)। বাবু মিয়া উপজেলার তুজারভাঙ্গা গ্রামের অটোরিকশা চালক আব্দুল মান্নানের ছেলে।
গত ৪ আগস্ট দাউদকান্দিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রিফাত বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। ওইদিন রাতেই মারা যান রিফাত। পরদিন রিফাতের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করে তার পরিবার।
এ ঘটনার ১৪ দিন পর ১৮ আগস্ট রিফাত হোসেনের মামা পরিচয়ে আব্দুর রাজ্জাক ফকির বাদী হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর রিফাত হত্যার ঘটনায় কুমিল্লার আদালতে আরেকটি হত্যা মামলা করেন তার মা নিপা বেগম। মামলাটির তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
দুই মামলাতেই সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন, পৌর মেয়র নাইম ইউসুফ সেইন-সহ ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের চার শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
অপরদিকে, গত ৫ আগস্ট বিকেলে দাউদকান্দি মডেল থানার সামনে দিনমজুর মো. বাবু মিয়া (২৩) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাকে দাফন করা হয়। নিহত দিনমজুর বাবুর প্রতিবেশী লিটন আহম্মেদ পাভেল বাদী হয়ে ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না থাকায় আদালতের নির্দেশে তাদের দুজনের লাশ উত্তোলন করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তাদের লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন, দাউদকান্দি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দাউদকান্দি মডেল থানার উপপরিদর্শক হারুনুর রশিদ।
দাউদকান্দি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশে আইনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আবার লাশ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা-৬ আসনের মনোনীত প্রার্থী কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নে ব্যাপক গণসংযোগ করেন।
সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে শুরু হওয়া এ গণসংযোগ কর্মসূচি মুন্সিবাজার, ইটাল্লা গ্রাম, কালিকাপুর, বামউইল, শিবিরবাজার, দক্ষিণ শরিফপুর, রাচিয়া মাদরাসা, গোলাবাড়ি, শাহপুর দরবার শরিফ ঘুরে সুবর্ণপুর বাজারে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী দ্বীন মোহাম্মদ চারদলীয় জোট সরকারের সময় জামায়াতের তিন মন্ত্রণালয়ের সাফল্যের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন,জামায়াত দুর্নীতি করে না, করতে দেয় না। আমরা দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি আরও বলেন,ক্ষমতায় গেলে কোনো সংসদ সদস্য ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি কিনবে না, প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করবে না, বরং প্রতিটি কাজের হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে।”
গণসংযোগে স্থানীয় জামায়াত ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে অংশ নেন। মিছিল ও স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মহানগরীর সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আমীর ও চেয়ারম্যান প্রার্থী, বিশিষ্ট সমাজসেবক কাজী আব্দুল কাদের। সঞ্চালনা করেন ইউনিয়ন সেক্রেটারি মো. সাইফুদ্দিন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান, প্রচার সম্পাদক নুরুল ইসলাম কাকন সরকার, ছাত্রশিবির মহানগর সেক্রেটারি নাজমুল হাসান পঞ্চায়েত, ভিক্টোরিয়া কলেজ সভাপতি মনির হোসেন, ওয়ার্ড সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, ডা. ইকবাল হোসেন, ওয়ার্ড সেক্রেটারি কামরুল হাসান, মাহবুব ও নাঈম মজুমদার প্রমুখ।
মন্তব্য করুন