অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ব্যাংক বন্ধ করবে না । তিনি বলেন, কিছু ব্যাংক ভালো অবস্থায় ফিরে আসছে এবং কিছু ব্যাংক খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলবে।
তবে বন্ধ হবে না কোনো ব্যাংক।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের মাল্টি পারপাস হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, কিছু ব্যাংক ফিরে আসছে। ইসলামী ব্যাংক বিগেস্ট ব্যাংক। এটি ভালোর দিকে যাচ্ছে। তবে কিছু ব্যাংক খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলবে। আমরা কোনো ব্যাংক বন্ধ করব না।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাজেটের ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি কর্মকর্তা যারা আছেন, তাদের বেতন-ভাতা আটকাবে না। এডিপিতে কোন কোন প্রকল্প অপ্রয়োজনীয় এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় দেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন কুয়েতে বাংলাদেশের
নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন ।
বুধবার বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে গুরত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে
নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
রাষ্ট্রপতি কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সার্বিক কল্যাণের পাশাপাশি নতুন
করে জনশক্তি রপ্তানির বিষয়ে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আজকের এ সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, সাক্ষাৎকালে
কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সার্বিক কল্যাণের পাশাপাশি নতুন করে জনশক্তি রপ্তানির
বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে কাজ করার নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপ্রধান।
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, কুয়েতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে
বিদ্যমান সম্ভাবনাগুলোকেও কাজে লাগাতে হবে।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৩ হাজার
টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের
উপসচিব সুলতানা আক্তার স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
আদেশে বলা হয়, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে
বিভিন্ন রপ্তানিকারকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে তিন
হাজার মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হলো।
সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীদের আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর
দুপুর ১২টার মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বরাবর (উপসচিব, রপ্তানি-২ শাখা, কক্ষ নম্বর ১২৭,
ভবন-৩, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা) আবেদন করতে বলা হয়েছে। উল্লিখিত
তারিখের পর আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। আর যারা আগেই আবেদন করেছেন তাদের নতুন করে আবেদন
করার প্রয়োজন নেই।
সম্প্রতি ভারতের ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন
সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে এক চিঠিতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিতে অনুরোধ করে।
এর আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
থেকে এ ব্যাপারে সুপারিশ আসতে হয়। তবে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবার ভারতে ইলিশ রপ্তানি
হবে না এমনটিই ইঙ্গিত দিয়েছিল।
গত ১১ আগস্ট মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
ফরিদা আখতার জানিয়েছিলেন, দেশবাসী ইলিশ পাবে না, আর বিদেশে রপ্তানি হবে, এটা হতে পারে
না। আগে দেশকে গুরুত্ব দিতে হবে। এরপর রপ্তানি করা হবে।
মন্তব্য করুন
সরকার রোজার শুরুতেই খেজুর ও চিনির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ।
সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ফুয়ারা খাতুনের সই করা এক সার্কুলারে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, নিম্নমানের খেজুরের দাম ধরা হয়েছে কেজিতে ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা। আর বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুরের কেজি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা।
প্রতি কেজি অতি সাধারণ খেজুরের দর ঠিক করা হয়েছে ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা। এছাড়া কেজিপ্রতি চিনির মূল্য ১৪০ টাকা ধার্য করা হয়েছে।
পাশাপাশি প্রতি কেজি চিনির মূল্য ১৪০ টাকা ঠিক করা হয়েছে। তাছাড়া প্যাকেটজাত চিনির সর্বোচ্চ দর ধার্য করা হয়েছে ১৪৫ টাকা। এসব দামে খেজুর ও চিনি বিক্রি করতে ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে নিম্নমানের খেজুরের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে দামি খেজুরের দাম ঠিক করে দেয়া হয়নি। ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পিঁয়াজ আমদানির প্রক্রিয়া চলছে। আশা করি, শিগগিরই তা দেশে আসবে। এতে মসলাজাতীয় পণ্যটির দরও কমে যাবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সরকার নিত্যপণ্যের দাম কমানোর চেষ্টায় করছে। বাজারে কোনো পণ্যের স্বল্পতা নেই। চালের দরম নিয়েও অস্বস্তি নেই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে মনিটরিং হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
পবিত্র রমজান মাস প্রায় শেষ। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই মুসলিমদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর।
প্রতি বছর এই সময়টায় কলকাতায় বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যায়, বিশেষ করে বাংলাদেশিদের। এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। ঈদের ছুটিতে পশ্চিমবঙ্গ ভ্রমণে এসেছেন বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি। কিন্তু তাদের জন্য এবার নতুন বিড়ম্বনা হয়ে দাঁড়িয়েছে টাকা-রুপির বিনিময় মূল্য।
ভারত ভ্রমণের ক্ষেত্রে সীমান্তে দীর্ঘ লাইন ছাড়াও ভিসা পেতে বিলম্বসহ নানা হয়রানির অভিযোগ করে থাকেন পর্যটকরা। এর সঙ্গে সম্প্রতি যোগ হয়েছে মানি এক্সচেঞ্জের সমস্যাও।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় রুপির বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মান ব্যাপকভাবে কমে গেছে। ফলে আগের তুলনায় বেশি টাকা খরচ হচ্ছে পর্যটকদের। যদিও কেউ কেউ বলছেন, বাংলাদেশি টাকার পরিবর্তে মার্কিন ডলার নিয়ে গেলেই লাভ হচ্ছে।
আগের চেয়ে কলকাতায় বেড়েছে বাংলাদেশি পর্যটকদের সংখ্যা। তবে সেই সঙ্গে বেড়েছে নানা কাজে আসা বাংলাদেশিদের মুদ্রা বিনিময়ে চরম প্রতারিত হওয়ার অভিযোগও ।
শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যা পর্যন্ত কলকাতার মার্কুইজ স্ট্রিটে ১০০ টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশিরা পাচ্ছেন ৬৮ অথবা ৬৯ রুপি। আবার একই দিন পেট্রাপোল সীমান্তে মুদ্রা বিনিময় করে পাওয়া যাচ্ছে ৭০ থেকে ৭১ রুপিও।
শুধু তাই নয়, কলকাতার মানি এক্সচেঞ্জের দোকানগুলোতে সকাল, বিকেল এবং সন্ধ্যায় দামের বড় ধরনের ব্যবধানের অভিযোগও উঠেছে। কোথাও আবার মানি এক্সচেঞ্জ করা যাবে না বলেও জানানো হয়।
চিকিৎসা, কেনাকাটা, ঘুরতে এবং পড়াশোনার জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার বাংলাদেশি পর্যটককে ভারতে আসতে হয়। আর তাদের পুরো পরিকল্পনা সাজাতে হয় মুদ্রা বিনিয়মের হারের ওপর নির্ভর করে। বাংলাদেশে বসে এক পরিকল্পনা করে কলকাতায় পৌঁছে টাকার মানের জন্য বদলাতে হচ্ছে আগের পরিকল্পনা। এতে যেমন ভোগান্তিতে বাংলাদেশি পর্যটকরা, তেমন বিষয়টি নিয়ে বিব্রত কলকাতার মুদ্রা বিনিময় ব্যবসায়ীরাও।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বছরে এই সময়ে টাকার বিপরীতে বেসরকারিভাবে রুপি পাওয়া যেতো ৭৫ থেকে ৭৭ রুপি। তবে এ বছর রুপির বিপরীতে বেসরকারিভাবে টাকার মান কমেছে ৬ থেকে ৮ রুপি।
মন্তব্য করুন
চলতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত রেখেছে সরকার।
শনিবার (১ মার্চ) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে
পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়ে বলা হয়, গত ফেব্রুয়ারি মাসের নির্ধারিত
দামেই এই মাসে জ্বালানি তেল বিক্রি হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্চ মাসে তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্যে
জ্বালানি তেল সরবরাহ করতে বিদ্যমান দাম অনুযায়ী প্রতিলিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১০৫
টাকা, পেট্রোলের দাম ১২২ টাকা ও অকটেনের দাম ১২৬ টাকা রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের মার্চ থেকে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে
জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ শুরু করেছে সরকার। সেই থেকে প্রতি
মাসে নতুন দাম ঘোষণা করে আসছিল সরকার। তবে চলতি মাসে এর ব্যতিক্রম ঘটলো।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম
লিটারপ্রতি এক টাকা বাড়িয়ে এই দাম নির্ধারণ করেছিল সরকার।
মন্তব্য করুন
চাঁদপুরের চরভৈরবী থেকে ষাটনল পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকায় বসবাস করেন প্রায় অর্ধলক্ষাধিক জেলে। দেশের ৬টি অভয়াশ্রমে ইলিশ সহ সব ধরনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে গত মধ্যরাতে।মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ভোলা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর সহ নদী অঞ্চলে জেলেদের ইলিশ ধরতে দেখা গেছে।
যৌথ
অভিযানে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফল হওয়ায় এবার ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছয় লাখ মেট্রিক
টন ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য অফিস।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই জেলেরা জাল, নৌকা ও ট্রলার নিয়ে ইলিশসহ অন্য মাছ শিকারে প্রস্তুতি নেন।
জেলা
মৎস্য অফিস জানিয়েছে, এবার ৫৭৫টি অভিযান, ১২৮টি মোবাইল কোর্ট, ৩৩৪ জন জেলেকে আটক করে
বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, প্রায় ৫৩ দশমিক ৯১০ লাখ মিটার কারেন্ট
জাল জব্দ করা হয়েছে। এদিকে, ৩ দশমিক ৪১৬ মেট্রিক টন জাটকা আটক করে দুস্থ ও এতিমদের
মাঝে বিতরণ করে দেওয়া হয়েছে। আর জরিমানা আদায় করা হয়েছে ছয় লাখ ৫০৫ টাকা।
নিষেধাজ্ঞা
শেষে মাছ শিকার নিয়ে নৌ পুলিশ জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার সময় ১ মার্চ থেকে ২৭ এপ্রিল
পর্যন্ত ইলিশ অভয়াশ্রমে অভিযান চালিয়ে ১৯ কোটি ১৩ লাখ মিটার অবৈধ জাল, ১৭ হাজার ৮১৯
কেজি মাছ, ২৪৪টি নৌকাসহ এক হাজার ১১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে চাঁদপুর জেলার নৌ থানা পুলিশ।
তাদের বিরুদ্ধে ১৭০টি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। এছাড়া ২২৬ আসামিকে ৪৮টি মোবাইল কোর্টের
মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। ২১৩ জনকে ছয় লাখ ২৭ হাজার টাকা জরিমানা
করা হয়েছে। ১৫২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
জেলা
মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, জেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে জনপ্রতি ৪০
কেজি করে চার কিস্তিতে মোট ১৬০ কেজি চাল সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ফলে জেলা প্রশাসন,
পুলিশ প্রশাসন, কোস্টগার্ড ও জেলা টাস্কফোর্সের যৌথ অভিযানে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সফল
হওয়ায় ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছয় লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে। তাছাড়া অসাধু
জেলেদের আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
দেশের
ইলিশ সম্পদ রক্ষায় সরকার প্রতি বছর ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাসের কর্মসূচি ঘোষণা
করে। এই নির্দিষ্ট সময়ে মাছ ধরা, পরিবহন, বিক্রি ও মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে ।
মন্তব্য করুন
রমজানে সিএনজি স্টেশনগুলো খোলা রাখার নতুন সময় পুনর্নিধারণ করেছে সরকার।
মঙ্গলবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নতুন আদেশ অনুযায়ী, ১২ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা বন্ধ থাকবে সিএনজি স্টেশন। এছাড়া, ৭ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত সিএনজি স্টেশনগুলোকে ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রমজান মাসে বিদ্যুৎ চাহিদার দৈনিক পিক আওয়ারে গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্কে সম্ভাব্য স্বল্প-চাপ পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে প্রথম রমজান থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত বর্তমানে সিএনজি স্টেশনগুলো বন্ধের সময়কাল সন্ধ্যা ৬টা হতে রাত ১১টা পর্যন্ত পরিবর্তন করে বিকাল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মোট পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়।
পাশাপাশি ঈদে ঘরমুখো মানুষের জন্য ৭-১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে স্টেশনগুলো।
এছাড়া ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে জ্বালানি সরবরাহের সুবিধার্থে ৭-১৮ এপ্রিল সিএনজি স্টেশনগুলো সার্বক্ষণিক খোলা রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নে খনন করা
বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপের তিনটি স্তরে মিলেছে জ্বালানি গ্যাস। বাংলাদেশ
পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) আশা করছে এ
থেকে দৈনিক এক কোটি (১০ মিলিয়ন) ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে ।
সোমবার (১২ আগস্ট) রাতে বিষয়টি
নিশ্চিত করে বাপেক্সের ভূ-পদার্থিক বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার ওহিদুল
ইসলাম বলেন, ওয়াছেকপুর গ্রামে খনন করা বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপে মিলেছে গ্যাসের
অস্তিত্ব। ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল শুরু হওয়া খননকাজের পর ডিএসটি টেস্ট শেষে এখন চলছে
সর্বনিম্ন স্তরের উৎপাদন টেস্ট। প্রাথমিকভাবে কূপটির তিনটি স্তরে পর্যাপ্ত গ্যাস
আছে। এ টেস্ট শেষে জানা যাবে এখানে মজুত থাকা মোট গ্যাসের পরিমাণ।
বাপেক্স সূত্রে আরো জানা যায়, কূপটিতে তিন হাজার ১১৩ মিটার গভীর পর্যন্ত খনন করা
হয়, যার মধ্যে এক হাজার ৯২১ থেকে এক হাজার ৯৭৩ মিটার পর্যন্ত প্রথম স্তর, দুই
হাজার ৫৪৮ মিটার থেকে দুই হাজার ৫৮৫ মিটার পর্যন্ত দ্বিতীয় স্তর এবং তিন হাজার ৮১
মিটার থেকে তিন হাজার ১০১ মিটার পর্যন্ত তৃতীয় স্তরে গ্যাসের অস্তিত্ব মিলেছে।
বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপের তিনটি স্তর থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন
ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
হাওলাদার ওহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রার থেকে বেশি গ্যাস মিলতে পারে বলে
ধারণা করছি। এখন পর্যন্ত টার্গেট চারটি জোনের মধ্যে তিনটি জোন থেকে বাণিজ্যিকভাবে
গ্যাস উত্তোলন করা যাবে বলে আশা করছি।’
বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শামসিয়া মুক্তাদির বলেন, ‘প্রাকৃতিক
গ্যাসের সন্ধানে বাপেক্স দীর্ঘদিন থেকে কাজ করে আসছে। বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপটিতে
খনন কাজ শুরু এ বছরের ২৯ এপ্রিল। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল না থাকায়
আমাদের খনন কাজেও কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। দিনশেষে আমরা সফল হতে পেরেছি।’
বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. প্রিন্স আল
হেলাল বলেন, এখান থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ করার
লক্ষ্যমাত্রা ছিলো। তবে লোয়ার জোনে গ্যাসের কন্ডিশন দেখে মনে হচ্ছে, আরও ভালো কিছু
আশা করা যাবে। উৎপাদন টেস্ট শেষে মোট গ্যাসের মজুত সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ড্রিলিং ইনচার্জ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এটি খনন করতে আমাদের নানা
প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে। সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে আমরা আজ আলোর মুখ দেখছি।
একসময় গ্যাসকূপ খননের কাজে বিদেশি শ্রমিক ও কর্মকর্তারা যুক্ত থাকতেন। কিন্তু এখন
তার পরিবর্তন হয়েছে। এ কূপ খননের সঙ্গে জড়িত প্রায় দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী
সবাই বাংলাদেশের। এটাও আমাদের জন্য অনেক আনন্দের।’
এর আগে, ১৯৭৬ সালে বেগমগঞ্জ-১ ও ১৯৭৮ সালে বেগমগঞ্জ-২ গ্যাসকূপ খনন করা হলেও সেগুলো
থেকে গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। ২০১৪ সালে বেগমগঞ্জ-৩ কূপ খনন করা হয় এবং
সেখান থেকে এখনো প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ফেনী-নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক
সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এখানে বেগমগঞ্জ-৫ ও বেগমগঞ্জ -৬ কূপ
খননের পরিকল্পনা রয়েছে বাপেক্সের।
মন্তব্য করুন
উত্তরাঞ্চলের বড় বড় হাট-বাজারগুলোয় ধান-চালের দাম কমতে শুরু করেছে । তার মধ্যে জাত ও মানভেদে ধানের দাম মণে কমেছে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া চালের দাম মণে কমেছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত।
উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বড় বাজার বগুড়ার নন্দীগ্রামের রণবাঘা হাট। গতকাল শুক্রবার হাটের ব্যবসায়ীরা জানান, হঠাৎ করে চাল কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা অর্থাৎ মণে ৮০-১২০ টাকা কমে যায়। এর প্রভাব পড়ে ধানের দামে। জাত ও মানভেদে ধানের দাম মণে কমেছে ৫০ থেকে ২০০ টাকা। ধানের দাম কমে যাওয়ায় গতকাল ওই হাটে যেমন কম ছিল পাইকারি ক্রেতা, তেমনি কম ছিলেন ক্ষুদ্র চাষিরা।
কৃষক ও ব্যবসায়ীরা জানান, প্রশাসনিক উদ্যোগের পাশাপাশি অটোরাইচ মিলগুলো হঠাৎ ধান কেনা বন্ধ করে দেওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
পাইকারি ক্রেতারা জানান গত সপ্তাহে এই হাট থেকে ৯০ জাতের চিকন ধান কিনেছিলেন ২ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত। এখন একই মানের ধানের দাম কমে হয়েছে ১ হাজার ৭৫০ টাকা। অর্থাৎ মণে কমেছে ৩৫০ টাকা।
উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বড় ধান উৎপাদনকারী এলাকা নাটোরের সিংড়া উপজেলা। ধান নিয়ে রণবাঘা হাটে এসে ক্ষুদ্র চাষিরা নজরুল ইসলাম প্রতিমণ ধান ১ হাজার ৩১০ টাকা দরে বিক্রি করেন। গত সপ্তাহে তিনি এ হাটেই একই জাতের ধান বিক্রি করেছেন ১ হাজার ৩৬০ টাকা দরে। বাজারে চালের দাম কমে যাওয়ায় পড়ে গেছে ধানের দর। তাদের আশঙ্কা ধানের দাম আরও কমবে।
এদিকে গতকাল দিনাজপুরের বির উপজেলার ওরিয়েন্টাল এগ্রো নামে এক প্রতিষ্ঠানের গুদামে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। তাদের গুদামে জব্দ করা হয় ৬৫ কেজি ওজনের ৫ হাজার বস্তা ধান।
জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কামাল হোসেন জানান, অবৈধ ভাবে মজুত করায় ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দিনাজপুরে ধানের দাম কমেছে মণে মান ও জাতভেদে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।
বগুড়ায় নন্দীগ্রামে মায়ামানির অটো রাইস মিল মালিক মিজানুর রহমান জানান, প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ায় বাজারে ধানের দাম কমেছে। তিনি বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ব্যাংক বন্ধ করবে না । তিনি বলেন, কিছু ব্যাংক ভালো অবস্থায় ফিরে আসছে এবং কিছু ব্যাংক খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলবে।
তবে বন্ধ হবে না কোনো ব্যাংক।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের মাল্টি পারপাস হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, কিছু ব্যাংক ফিরে আসছে। ইসলামী ব্যাংক বিগেস্ট ব্যাংক। এটি ভালোর দিকে যাচ্ছে। তবে কিছু ব্যাংক খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলবে। আমরা কোনো ব্যাংক বন্ধ করব না।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাজেটের ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি কর্মকর্তা যারা আছেন, তাদের বেতন-ভাতা আটকাবে না। এডিপিতে কোন কোন প্রকল্প অপ্রয়োজনীয় এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় দেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মন্তব্য করুন