অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ব্যাংক বন্ধ করবে না । তিনি বলেন, কিছু ব্যাংক ভালো অবস্থায় ফিরে আসছে এবং কিছু ব্যাংক খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলবে।
তবে বন্ধ হবে না কোনো ব্যাংক।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের মাল্টি পারপাস হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, কিছু ব্যাংক ফিরে আসছে। ইসলামী ব্যাংক বিগেস্ট ব্যাংক। এটি ভালোর দিকে যাচ্ছে। তবে কিছু ব্যাংক খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলবে। আমরা কোনো ব্যাংক বন্ধ করব না।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাজেটের ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি কর্মকর্তা যারা আছেন, তাদের বেতন-ভাতা আটকাবে না। এডিপিতে কোন কোন প্রকল্প অপ্রয়োজনীয় এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় দেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মন্তব্য করুন
বিয়ের আয়োজনেও যোগ হচ্ছে নতুন খরচ। শহর এলাকায় বিয়ের আয়োজন করতে প্রয়োজন হয় কমিউনিটি সেন্টার। আর এখন থেকে সে বিয়ের জন্য
কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া নিতে লাগবে আয়কর রিটার্ন জমার রসিদ।
আজ নিজের
প্রথম বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয়
সংসদে তিনি নতুন অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন
করা শুরু করেন।
সাধারণত বিয়ে, বিবাহবার্ষিকী, জন্মদিন,
গায়েহলুদ, সুন্নতে খাতনাসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সভা, সেমিনার,
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করতে কমিউনিটি সেন্টার ও মিলনায়তন ভাড়া করা হয়। এখন থেকে বার্ষিক
আয়কর রিটার্ন জমার রসিদ ছাড়া মিলনায়তন ভাড়া করা যাবে না।
বর্তমানে ৪৩ ধরনের সেবা পেতে রিটার্ন
জমার কপি লাগে। এই তালিকায় মিলনায়তন ভাড়া নিতে রিটার্ন জমার এই বাধ্যবাধকতা যুক্ত হচ্ছে।
আগামী অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ছে
না। এখনকার মতো বার্ষিক করমুক্ত সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকাই থাকছে। তবে করহার পুনর্বিন্যাস
হচ্ছে। এখন ৫, ১০, ১৫, ২০ ও ২৫ শতাংশ করহারের সঙ্গে ৩০ শতাংশের আরেকটি স্তর আসছে। বছরে
আয় সাড়ে ৩৮ লাখ টাকার বেশি হলে করদাতাকে বাকি অর্থের ওপর ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার
শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রস্তাবিত এ বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল
হাসান মাহমুদ আলী। অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
এর আগে, এ বাজেট মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
হয়, পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
মন্তব্য করুন
সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে । বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহার করা গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে গেজেট জারি করা হয়েছে। নতুন এ দাম চলতি ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই কার্যকর ধরা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ১৮ জানুয়ারি আবাসিক, সিএনজিচালিত যানবাহন, সার ও চা শিল্পে ব্যবহার ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল, যা ওই বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কার্যকর হয়।
সরকারি, আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জন্য গ্যাসের পূর্ব মূল্য ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ পয়সা যা বাড়িয়ে বর্তমান মূল্য করা হয়েছে ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা।
ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট, স্মল পাওয়ার প্ল্যান্ট ও বাণিজ্যিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ছিল প্রতি ঘনমিটার ৩০ টাকা। এক্ষেত্রেও ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে সেটা ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ভতুর্কি সমন্বয়ে বিদ্যুতের সঙ্গে গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে । গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, গ্যাসের দাম সমন্বয় গ্রাহক পর্যায়ে হচ্ছে না। বিদ্যুতের পর্যায় হচ্ছে। গ্যাসের আবাসিক পর্যায়ে ব্যবহারের ক্ষেত্রে দাম বাড়ছে না। শিল্পেও গ্যাসের দাম বাড়ছে না। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে যে গ্যাস দেওয়া হয় সেখানে আমরা কিছুটা সমন্বয় করছি।
তিনি বলেন যে গ্যাস বিদ্যুতে দেওয়া হয় সেখানে প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ পয়সা বাড়বে, অর্থাৎ এটা ইন্টারনাল।
এ বছর বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ৪৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি আসবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি ক্ষেত্রে ৬ হাজার কোটি টাকার মতো ভর্তুকি আসবে। এগুলো আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আমরা সমন্বয়ে যাবো।
মন্তব্য করুন
দিনাজপুরের খানসামায় অনুকূল পরিবেশে আশানুরূপ লাভজনক হওয়ায় চলতি বছর বেড়েছে পপকনের চাষ। পপকনকে ঘিরে কৃষক দেখতে শুরু করেছেন রঙিন স্বপ্ন। ধান, সরিষা, আলু ও ভুট্টার পাশাপাশি এ ফসল অধিক লাভজনক।
অন্য ফসলের চেয়ে তুলনামূলক কম খরচ, উৎপাদন ভালো, লাভজনক হওয়ায় স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য ও সরাসরি পাইকারি বাজার সৃষ্টি হওয়ায় পপকন চকষে ঝুঁকেছেন সাধারণ কৃষকরা। এছাড়া নিয়মিত কৃষি বিভাগ থেকে উদ্বুদ্ধকরণ, পরার্মশ প্রদান, সরকারি সহায়তার ফলে চাষিদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েই চলছে। সব মিলিয়ে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় প্রতি মৌসুমে বাড়ছে পপকন চাষ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় ১৫২০ হেক্টর জমিতে পপকন চাষের লক্ষমাত্রা থাকলেও ১৬৬০ হেক্টর অর্জন হয়েছে।
গোয়ালডিহি ইউনিয়নের পপকন চাষি মোস্তফা কামাল ডাবলু শাহ্ বলেন, আমি এ এলাকায় সর্বপ্রথম পপকন চাষ করি। আমাকে দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে এখন চাষ করছেন পপকনের। প্রথমের দিকে ৬০ থেকে ৬৫ বিঘা চাষ করেছি। গতবার ও এইবার ২০ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। গতবার ২০ বিঘা জমিতে শুকনা দেড় টন পপকন পেয়েছি। আশা করছি এবার আরো বেশি পাবো।
একই এলাকার পপকন চাষি লতিফ হাজ্বী বলেন, পপকন চাষে বেশ লাভবান হয়েছি। গতবারের ন্যায় এবারো ৫ বিঘা চাষ করেছি। সব কিছু ঠিক থাকলে ভাল ফলন হবে বলে মনে করছি।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোপাল রায় বলেন, পুরো উপজেলার মধ্যে গোয়ালডিহি ইউনিয়নে ৭০ ভাগ ও বাকী ৫ ইউনিয়নে ৩০ ভাগ পপকন চাষ হয়। পপকন চাষে চাষিদের পাশে থেকে ভালো ফলন পেতে সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার বলেন, দিনাজপুরের শস্যভান্ডারখ্যাত এ উপজেলা। ভুট্টার পাশাপাশি এ অঞ্চলের কৃষক পপকন চাষে বেশ আগ্রহী। পপকন চাষে উদ্ভুদ্ধকরণসহ সার্বক্ষণিক কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ ধরার অপরাধে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নদ-নদীতে অভিযান চালিয়ে ৭ দিনে ১২৯ জেলেকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি জরিমানা আদায় করা হয় ১১ লাখ ৯৯ হাজার ১০০ টাকা।
বিভাগীয় মৎস্য অফিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১৩ অক্টোবর থেকে ১৯ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে ৮৩৪ টি অভিযান চালানো হয়েছে। ২৭০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পাশাপাশি ৩১১টি মামলা করা হয়েছে।
যে সময়ে বরিশাল বিভাগে ১৬৮ বার বিভিন্ন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, ১ হাজার ২৬৫ বার বিভিন্ন মাছঘাট, ২ হাজার ৩৪১ বার বিভিন্ন আড়ত ও ১ হাজার ৩৭০ বার বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করেছেন মৎস্য অধিদপ্তরে জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
আর গত ২ দিনের অভিযানে ৭ হাজার ৩০০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি ৭ কোটি ১৪ লাখ ৭৪ হাজার ৬০০ টাকা মূল্যের ৩৮ লাখ ৭৫ হাজার ১০০ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে।
এছাড়া নৌকাসহ জব্দ হওয়া সরঞ্জাম নিলাম করে এক লাখ ৫ হাজার ২০০ টাকা আয় হয়েছে।
মৎস্য বিভাগের উপ-পরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস জানান, গত ১৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য উপকূলের সাত হাজার বর্গকিলোমিটারের মূল প্রজননস্থলসহ সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিপণন নিষিদ্ধ থাকছে।
মন্তব্য করুন
কালীপূজা
উপলক্ষে দুই দিন বন্ধ থাকছে দেশের চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা। ১২ এবং ১৩ নভেম্বর
কালীপূজায় ২দিন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকার তথ্যটি
নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি জানিয়েছেন, রবিবার ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে
হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী কালীপূজা। পূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে উভয় দেশের
এক্সপোর্টার, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার ও ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা
সভার ভিত্তিতে এই দুদিন স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত
গ্রহণ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত চিঠি উভয় দেশের কাস্টমস,ব্যবসায়ী সংগঠন, ও বন্দর কর্তৃপক্ষসহ
সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক
থাকবে।
বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
নজরুল ইসলাম বলেছেন, পূজায় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ
থাকবে তবে স্বাভাবিক থাকবে ইমিগ্রেশনে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত ।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, চাঁদপুর প্রতিনিধি :
প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ,গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ এই স্লোগানে চাঁদপুরের কচুয়ায় দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ৫০টি স্টলের মাধ্যমে প্রদর্শনী করা হয় এবং অতিথিবৃন্দ স্টলগুলো পরিদর্শন করেন। পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
ইউএনও এহসান মুরাদের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুব উল আলমের পরিচালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলতানা খানম,উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শাওকাত হোসেন সুমন,বীর মুক্তিযোদ্ধা জাবের মিয়া ,কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রিয়তোষ পোদ্দার,উপজেলা কৃষি অফিসার মেজবাহ উদ্দিন,মৎস কর্মকর্তা মাসুদুল হাছান,আইসিটি কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন,সমবায় অফিসার দেলোয়ার হোসেনসহ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে মজুরি ঘোষণা করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।
পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী, আট হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি পাচ্ছিলেন পোশাকশ্রমিকরা। আগের তুলনায় ন্যূনতম মজুরি বেড়েছে সাড়ে ৪ হাজার টাকা।
আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মালিক ও শ্রমিক পক্ষ এবং নিরপক্ষ প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্রুত নতুন মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন শ্রমজীবী মানুষ আন্দোলন করে আসছেন মজুরি বাড়ানোর জন্য। মালিক ও শ্রমিকপক্ষকে নিয়ে মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আলাপ-আলোচনার মধ্যদিয়ে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।মজুরির যদি কোনো তারতম্য হয়ে যায় আমরা শেষ সম্বল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বারস্থ হই সবসময়। উনার মৌখিক নির্দেশে আজকে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ঘোষণা করছি।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের রেশনের দাবি আছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একটি পরিবারের জন্য একটি ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যেই নির্ধারিত থাকবে যতগুলো সদস্য কার্ডটি ব্যবস্থা করতে পারবে। পরবর্তীতে এ কার্ডের মাধ্যমে রেশনিং ব্যবস্থা চালুর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।এখানে শ্রমজীবী মানুষ ও রাষ্ট্রের স্বার্থ আছে। শিল্প বাঁচলে শ্রমিক বাঁচবে। শ্রমিকের সঙ্গে শিল্পও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। উভয়দিক লক্ষ্য রেখেই মজুরি ঘোষণা করা হচ্ছে।
মজুরি ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়বে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আট হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে। ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট বহাল আছে।
আন্দোলন-অবরোধের কারণে শিল্পাঞ্চলের বাড়িভাড়া মওকুফের জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বরের বেতন নতুন বেতনের আলোকে হবে। গেজেট এখনই করতে দেবে, কোনো সংশোধন থাকলে ১৪ দিনের মধ্যে করবে।
মজুরি ঘোষণার সময় নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তৌফিকুল আরিফ, বিকেএমইএ'র সভাপতি সেলিম ওসমান, বিজিএমইএ'র সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, শ্রমিক প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনি উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
পৃথিবীকে জলবায়ু বিপর্যয় থেকে রক্ষা করার জন্য ‘শূন্য বর্জ্য ও শূন্য কার্বন’-এর ওপর ভিত্তি করে একটি নতুন জীবনধারা গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ
বুধবার (১৩
নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ২৯-এর ওয়ার্ল্ড লিডারস ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি আহ্বান করেন।
একটি নতুন পৃথিবী গড়ার লক্ষে তিনটি শূন্যভিত্তিক তার দীর্ঘ দিনের স্বপ্নের কথাও উপস্থাপন করেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, বেঁচে থাকার জন্য, আমাদের আরেকটি সংস্কৃতি গঠন করতে হবে। একটি ভিন্ন জীবনধারার ওপর ভিত্তি করে আরেকটি পাল্টা সংস্কৃতি গড়তে হবে। এটি হবে শূন্য বর্জ্যের ওপর ভিত্তি করে। এ সংস্কৃতি নিত্য পণ্যের ব্যবহারকে সীমিত করবে, কোন বর্জ্য অবশিষ্ট রাখবে না। এ জীবনযাত্রাও হবে শূন্য কার্বনের ওপর ভিত্তি করে যেখানে কোনো জীবাশ্ম জ্বালানি থাকবে না, শুধুমাত্র পুনঃনবায়নযোগ্য শক্তি থাকবে। এতে এমন একটি অর্থনীতি হবে যা প্রাথমিকভাবে সামাজিক ব্যবসার মতো ব্যক্তিগত পর্যায়ে শূন্য মুনাফার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হবে। সামাজিক ব্যবসার একটি বিশাল অংশ পরিবেশ ও মানবজাতির সুরক্ষায় মনোযোগ দেবে। সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের জীবন কেবল সুরক্ষিতই হবে না, গুণগতভাবে উন্নত হবে। এটি যুবকদের জন্য উদ্যোক্তা হওয়ার পথ সহজতর করবে। উদ্যোক্তা হওয়ার নতুন শিক্ষার মাধ্যমে তরুণরা প্রস্তুত হবে। চাকরিপ্রার্থী তৈরির শিক্ষা উদ্যোক্তা-কেন্দ্রিক শিক্ষা দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে।
পরিবেশের সুরক্ষার জন্য একটি নতুন জীবনধারার প্রয়োজন উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, নতুন জীবনধারা চাপিয়ে দেয়া হবে না, এটি হবে পছন্দ বেছে নেওয়া। তরুণরা সে জীবনধারাকে পছন্দ হিসেবে বেছে নেবে। প্রতিটি যুবক তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে উঠবে। এগুলো হচ্ছে- শূন্য নেট কার্বন নির্গমন, শুধুমাত্র সামাজিক ব্যবসা গড়ে তোলার মাধ্যমে শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ ও নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে পরিণত করার মাধ্যমে শূন্য বেকারত্ব। প্রত্যেক মানুষ তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে উঠবে এবং সারাজীবন তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে থাকবে। এটি নতুন সভ্যতা গড়ে তুলবে। এটা করা যেতে পারে আমাদের যা করতে হবে তা হল এ গ্রহের নিরাপত্তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি নতুন জীবনধারা গ্রহণ করা যেখানে সবাই বসবাস করে। আজকের তরুণ প্রজন্ম বাকিটা করবে। তারা তাদের আমাদের গ্রহকে ভালোবাসে। আমি আশা করি আপনারা এ স্বপ্ন দেখায় আমার সাথে যোগ দেবেন। আমরা যদি একসাথে স্বপ্ন দেখি তবে তা সম্ভব হবে। জলবায়ু সংকট তীব্রতর হচ্ছে এবং সে কারণে মানব সভ্যতা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। মানুষ আত্ম-বিধ্বংসী মূল্যবোধের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আত্ম-রক্ষাত্মক ও আত্ম-শক্তিবর্ধক একটি নতুন সভ্যতার ভিত্তি স্থাপনের জন্য আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক, আর্থিক ও যুব শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। আমরা, এই গ্রহের মানব বাসিন্দারা এই গ্রহের ধ্বংসের কারণ। মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে এটি করছে এবং তারা এমন একটি জীবনধারা বেছে নিয়েছে যা পরিবেশের বিরুদ্ধে কাজ করে। তারা এটিকে একটি অর্থনৈতিক কাঠামো দিয়ে ন্যায্যতা দেয়, যা এ গ্রহ ব্যবস্থার মতো প্রাকৃতিক হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অর্থনৈতিক কাঠামো সীমাহীন খরচের ওপর ভিত্তি করে চলছে। আপনি যত বেশি ব্যবহার করবেন তত বেশি প্রবৃদ্ধি পাবেন। যত বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবেন, তত বেশি অর্থ উপার্জন করবেন। সর্বাধিক মুনাফা অর্জনকে সিস্টেমের সবকিছুকে আমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ভূমিকা পালনের শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মন্তব্য করুন
চাল বিক্রি করার জন্য এখন থেকে বস্তায় ধানের জাত ও মিল গেটের মূল্য লিখতে হবে। সেই সঙ্গে লিখতে হবে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম। এমনকি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান (জেলা ও উপজেলা) উল্লেখ করতে হবে। থাকবে ওজনের তথ্যও। চালের উৎপাদনকারী মিল মালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান/চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য কালি দিয়ে লিখতে হবে।
চাল উৎপাদনকারী মিল মালিকের সরবরাহ করা সব প্রকার চালের বস্তা ও প্যাকেটে ওজন (৫০/২৫/১০/৫/১) উল্লেখ থাকতে হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে মিল গেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে।
এ বিষয়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ শাখা থেকে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়।
এমন নির্দেশনা সোমবার (১৪ এপ্রিল) থেকে কার্যকর হবে।
ইতোমধ্যে নির্দেশনার কপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, সব বিভাগীয় কমিশনার, সব জেলা প্রশাসক, সব জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, সব উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন স্বাক্ষর করা এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে।
চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমতো জাতের ধানের চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজারমূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয় তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ-সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে নির্দেশনায় কয়েকটি বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
এর ব্যত্যয় ঘটলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনটির ধারা-৬-এর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। আর ধারা-৭-এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে চীন।
রোববার (২৫ আগস্ট) সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে বন্যাদুর্গতদের সহায়তার লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে ২০ হাজার মার্কিন ডলার অনুদানের চেক তুলেন দেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
পাশাপাশি চীনা রেড ক্রসও বাংলাদেশের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য এক লাখ মার্কিন ডলারের মানবিক সহায়তা প্রদান করবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করায় চীনা নেতা এবং জনগণের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানান।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সবুজ অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে চীনের কিছু সোলার প্যানেল কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বেইজিং ঢাকার সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত এবং আমি আশাবাদী যে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নপূরণ সফল হবে।
তিনি প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বলেন, আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল এবং সমৃদ্ধ হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে চীন ও বাংলাদেশের কৌশলগত এবং সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বের সম্পর্ক উচ্চ শিখরে রয়েছে এবং উভয় দেশ আগামী বছর তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বছর উদযাপন করবে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বেইজিং ও ঢাকার মধ্যে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর জোর দেন এবং চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে কারখানা স্থানান্তরের আহ্বান জানিয়ে বলেন, চীন সোলার প্যানেলের অন্যতম বৃহৎ উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, তবে রপ্তানি বাজারে ক্রমবর্ধমান বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
তিনি উভয় দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর অংশ হিসেবে চীনে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানি সম্প্রসারণের আহ্বান জানান। তিনি উভয় দেশের মধ্যে প্রযুক্তি স্থানান্তর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা ও কৃষিখাতে সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বানও জানান।
ইয়াও ওয়েন বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা কবলিত অঞ্চলে অস্ত্রবিরতির মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান খুঁজে পেতে চীনা সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।
বৈঠকে ড. ইউনূস আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশে বসবাসরত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে রাজনৈতিক, আর্থিক ও মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখবে চীন।
প্রধান উপদেষ্টা চীনে তার স্মৃতি স্মরণ বলেন, চীনের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনূস সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে এবং অনেক তরুণ ত্রি-জিরো ক্লাব গঠন করেছে। এসব ক্লাবের সদস্যরা দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি দুই দেশের তরুণ সম্প্রদায় এবং জনগণের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বৈঠকে চীনা রাষ্ট্রদূত ড. ইউনূসকে তার সুবিধাজনক সময়মতো চীন সফরের আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন একটা সন্ধিক্ষণ পার করছে, তবে বাংলাদেশের জনগণ এই চ্যলেঞ্জ অতিক্রম করতে সক্ষম হবে।
মন্তব্য করুন