জাপানের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (ইপিএ) করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এজন্য আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৪র্থ দফায় ঢাকায় বৈঠকে বসবে বাংলাদেশ-জাপান।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম জানায়, গত ১৮-২০ ডিসেম্বর জাপানে বাংলাদেশ এবং জাপানের মধ্যকার মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (ইপিএ) সম্পাদনে ৩য় দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। জাপানের সঙ্গে চলমান এই আলোচনায় বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই বছর ইতোমধ্যেই আরও দুই দফা আলোচনা হয়েছে। ১ম ও ২য় দফা আলোচনা ঢাকায় ১৯-২৩ মে এবং ১০-১৪ নভেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, সফলভাবে আলোচনা সম্পন্ন হলে এটি হবে যে কোনো দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি। আলোচনার চতুর্থ দফা আগামী ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় এবং পঞ্চম দফা টোকিওতে এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। মোট ২১টি অধ্যায়ের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, এগুলোর মধ্যে রয়েছে ট্রেড ইন গুডস, ট্রেড ইন সার্ভিসেস, রুলস অব অরিজিন, কাস্টমস প্রসিডিউর ও ট্রেড ফেসিলিটেশন, স্যানিটারি ও ফাইটোস্যানিটারি মেজারস, সরকারি ক্রয়, প্রতিযোগিতার নীতি, ই-কমার্স, বিনিয়োগ এবং ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ব্যবসা পরিবেশের উন্নতি।
মন্তব্য করুন
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে
যমুনার চরাঞ্চল শুকিয়ে জেগে উঠেছে যমুনার বুকে ধূসর বালুচর। আর এই বালুচরে অধিক
লাভের আশায় বাদাম চাষে ঝুঁকে পড়ছেন স্থানীয় কৃষকরা। ইতিমধ্যে বাদাম গাছের সবুজ
পাতায় ছেয়ে গেছে পুরো বালুচর। বালি মাটির নিচে রোপন করা এ বাদামই যেন চরাঞ্চলের
কৃষকদের এখন লাভবান হওয়ার স্বপ্ন।
গত বছর বাদামের বাম্পার
ফলন হওয়ায় এবং বাজারে ভালো দাম পাওয়ার আশায় বাদাম ক্ষেতের দিকে তাকিয়ে স্বপ্ন
দেখছেন যমুনা চরাঞ্চলের কৃষক। যমুনা বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে ধুধু বালুচরে সারিবদ্ধ
বাদাম ক্ষেত দেখে চোখ জুড়ে যায়। বাদাম গাছ ভাল হওয়ায় কৃষকের চোখে মুখে আশার আলো
জ্বলছে।
বাদাম চাষিরা বলেন,
প্রতি বছর বন্যায় আমাদের অনেক ক্ষতি হয়। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে আমরা বন্যা পরবর্তী
সময়ে জেগে উঠা চরে বাদাম চাষ করি। কারণ অল্পদিনে বাদাম চাষ করে অধিক লাভবান হওয়া
যায়। খরচ বাদ দিয়ে বিঘা প্রতি লাভ হয় প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা।
গাবসারা চরাঞ্চলের
বাদাম চাষি গফুর মিয়া বলেন, গত বছর আমি ৮ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করে ভালো লাভবান
হয়েছিলাম। বাদামের দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর আমি প্রায় ১২ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ
করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরেও বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।
সুস্বাদু, মুখরোচক ও
ভিটামিন সমৃদ্ধ এই ফসল একদিকে যেমন খাদ্যে যোগান দিয়ে থাকে অন্যদিকে তেলের চাহিদা
পূরণ করে। বাদাম ক্ষেত থেকে কচিপাতা কেটে কৃষকরা তাদের গরু-ছাগলের খাওয়ান। এতে
গরু-ছাগল তাড়াতাড়ি স্বাস্থ্যবান হয়। তাছাড়া অন্য ফসলের মতো বাদামের জমিতে তেমন
একটা সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। শুধু সময়মতো বীজ বুনে বাদাম ঘরে তোলার জন্য
অপেক্ষায় থাকতে হয়। বীজরোপণে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই বাদাম তুলে সংগ্রহ ও
হাট-বাজারে বিক্রি করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি
কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আরিফুর রহমান জানান, চলতি বছর যমুনা চরাঞ্চলে ১ হাজার ৩২০
হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চরাঞ্চলের বাদাম
চাষিদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বাদামের বীজ বিতরণ করেছি। বাদামের ফলন ভালো করার
জন্য আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের নিয়মিত
পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। আশা করি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এ বছর
বাদাম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের ঋণের কিস্তি পরিশোধ নিয়ে কোনোভাবেই উদ্বিগ্ন নয় বিশ্বব্যাংক। বরং বাংলাদেশে কর্মসংস্থান বাড়াতে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে চায় সংস্থাটি। অন্তর্বর্তী সরকারকে সব বিষয়ে সহায়তা দিয়ে পাশে থাকতে চায় বিশ্বব্যাংক।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ও আইএফসির কান্ট্রি ম্যানেজারের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। তিনি জানান, আমরা বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে জেনেছি। যার ফলে আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতির সংস্কারে কীভাবে সহযোগিতা করবো সেটিও আলোচনা করেছি। কারণ জটিল কিছু সংস্কার বাংলাদেশের প্রয়োজন। এখানে আর্থিক খাতে সংস্কার প্রয়োজন, বাণিজ্যে সংস্কার প্রয়োজন- আমরা এগুলোতে বিনিয়োগে আগ্রহী।
পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন, আমরা এখন এ দেশে বেসরকারি খাতে চাকরির বাজার সৃষ্টিতে কাজ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে যুবকরা এখানে বড় সম্পদ। এছাড়া এখানে জলবায়ু পরিবর্তন অনেক বড় ঝুঁকি, সেখানে অন্তর্বর্তীমূলক বিনিয়োগ প্রয়োজন। আমরা বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদে সম্পর্ক গড়তে কাজ করছি আর আমরা মোটেই বাংলাদেশের ঋণের কিস্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন নই। আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। আমি অনেক দেশে কাজ করার অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, এটি কখনোই আমাদের উদ্বেগের বিষয় নয়।
অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের স্থবির অর্থনীতিকে চালু করার জন্য যত রকমের সহযোগিতা দরকার বিশ্বব্যাংক তা দেবে। আইএফসি ও বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা চেয়েছি আমরা। তারা বলেছে, বাংলাদেশের মানুষের জন্য তারা যে কোনো কিছুই করতে পারে। নিয়মকানুন মেনে তারা বিনিয়োগ করবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শিক্ষার্থীদের জন্য শোক জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। পাশাপাশি এ সময়ে যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা সংস্কারেও পাশে থাকবে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, চাঁদপুর প্রতিনিধি :
প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ,গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ এই স্লোগানে চাঁদপুরের কচুয়ায় দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ৫০টি স্টলের মাধ্যমে প্রদর্শনী করা হয় এবং অতিথিবৃন্দ স্টলগুলো পরিদর্শন করেন। পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
ইউএনও এহসান মুরাদের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুব উল আলমের পরিচালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলতানা খানম,উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শাওকাত হোসেন সুমন,বীর মুক্তিযোদ্ধা জাবের মিয়া ,কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রিয়তোষ পোদ্দার,উপজেলা কৃষি অফিসার মেজবাহ উদ্দিন,মৎস কর্মকর্তা মাসুদুল হাছান,আইসিটি কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন,সমবায় অফিসার দেলোয়ার হোসেনসহ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
প্রায় দেড় যুগ ধরে কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত গ্রামের নারীদের হাতে তৈরি টুপি মধ্য প্রাচ্যে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। বাহারি রঙের সুতা আর রেশমার উপরে আঁকা বিভিন্ন নকশাকৃত বানানো টুপির চাহিদা বেড়েই চলছে। এই টুপি তৈরি করে এখানকার হাজারো নারীদের হয়েছে কর্মসংস্থান, সংসারে ফিরেছে স্বচ্ছলতা। তবে এমন আয় আর সুনামের গল্পের পিছনে মুল নারী উদ্যোক্তা মোর্শেদা বেগমকে পাড়ি দিতে হয়েছে অনেকটা পথ। বেকার নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করায় নারীদের আইকন হিসেবে পরিচিত তিনি। মোর্শেদা বেগম কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার পাতিলাপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিপুণ হস্ত শিল্প সম্ভার নামে টুপি তৈরির প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তিনি।
জানা গেছে মোর্শেদা বেগম যখন দশম শ্রেণির ছাত্রী, তখন তার বিয়ে হয়। সংসারে অভাব থাকায় ১৯৯৫ সালে বিয়ের পর স্বামী জাবেদ আলীর সঙ্গে চলে যান টাঙ্গাইলে।সেখানে একটি টাওয়াল ফ্যাক্টরিতে কাজ নেন। ভাড়া বাসার পাশে পরিচয় হয় প্রতিবেশি কমলা বেগমের সাথে। কমলা বেগমের টুপি তৈরির কাজ দেখে দেখে রপ্ত করেন কলা-কৌশল। দিনে ফ্যাক্টরির কাজ আর রাতে টুপি বানানো শুরু করে প্রথম টুপি তৈরি করে মজুরি পান ৩৫০ টাকা। পরে তার নিখুঁত কাজ দেখে মুগ্ধ হন এক বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা। প্রথম অর্ডারে ৫০টি টুপি তৈরি করে পেয়েছিলেন ১৭ হাজার টাকা। এরপর ২০০৪সালে মোর্শেদা বেগম নিজ গ্রামে ফিরে আসেন।প্রথমে এলাকার ৭ জন নারীকে নিয়ে শুরু করেন দারিদ্র্য জয়ের সংগ্রাম।তার হাতে বানানো টুপি ২০০৮সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানি হচ্ছে। হাতে বানানো টুপি তৈরি করে এখন স্বাবলম্বী মোর্শেদা। তার সফলতার গল্প শুনে দলে দলে অনান্য নারীরা টুপি বানানো কাজে ছুটে আসেন। বর্তমানে তার সাথে প্রায় ৫ হাজার নারী কাজ করছেন।মোর্শেদা বেগম নিজ গ্রাম পাতিলাপুরের নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেন নাই আশপাশে প্রায় ৪০-৫০ টি গ্রামের নারীদের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে।বিভিন্ন বয়সী নারী পাশাপাশি পুরুষরাও এ কাজ করে সংসারের আয় যোগাচ্ছেন ।
মোর্শেদা জানান, ফেনীর দুজন ব্যবসায়ীর কাছে তিনি তৈরি করা টুপি বিক্রি করেন। আর এই টুপি মধ্যপ্রাচ্যের বাহারাইন, সৌদি আরব,দুবাইয়ে বিক্রি হয়। ওই ব্যবসায়ীরা তার কাছে রেশমা সরবরাহ করেন। এরপর তিনি নারীদের সঙ্গে নিয়ে স্রেফ সুঁই সুতা দিয়ে তৈরি করেন নানা ধরনের নকশাখচিত টুপি।টুপি তৈরির দেখভাল করতে বিভিন্ন গ্রামে বেতনভুক্ত প্রায় ১৫ জন সুপার ভাইজার রেখেছেন। হাতে বানানো প্রকার ভেদে প্রতিটি টুপি তৈরির জন্য নারীরা পারিশ্রমিক পান ৮০০/১৬০০ টাকা। এতে সুই সুতার খরচ দেড়শ টাকা। প্রতি টুপিতে তিনি কমিশন পান ৭০/৯০ টাকা। প্রতি মাসে ৮/১০ হাজার টুপি বিক্রি করেন তিনি। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে নিপুণ হস্ত সম্ভারের টুপি তৈরির পরিধি আরো বাড়াতে পারবেন বলে জানান তিনি।পাতিলাপুর গ্রামের হাওয়া বেগম জানান,চার বছর আগে মোর্শেদা বেগমের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে টুপি তৈরির কাজ শুরু করেন।এখন তার আর অভাব নেই। সংসারের স্বাভাবিক কাজের পাশাপাশি টুপি তৈরি করে ভালো আয় করছেন তিনি।অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুক্তা খাতুন বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি আমি মোর্শেদা আন্টির টুপি তৈরির কাজ করি।এখান থেকে যা উপার্জন করি।লেখাপড়ার খরচ মিটিয়ে বাবাকে সহযোগিতা করতে পারি। শুধু আমি না আমার মত বিভিন্ন বয়সের নারীরা এখানে কাজ করে ভালো টাকা পাচ্ছেন।
সাত দরগাহ গ্রামের মৌসুমি বলেন, সারা বছর আমরা টুপি তৈরির কাজ করি।বিশেষ করে রমজান মাস ও কোরবানি ঈদের সময় টুপির চাহিদা বেশি থাকে।এসময় টুপি বানিয়ে জন প্রতি ৮/১০হাজার টাকা পাই। কয়েক বছর ধরে পরিবার নিয়ে খুব সুন্দর ঈদ কাটাতে পারছি।
কুড়িগ্রাম বিসিক এর উপ ব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ জোনায়েদ বলেন,পাতিলাপুর গ্রামের নারী উদ্যোক্তা মোর্শেদা বেগমের টুপি মধ্য প্রাচ যাচ্ছে এটি কুড়িগ্রাম জেলার জন্য ভালো খবর।হাজার হাজার নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন তিনি। সরকারি কোন প্রশিক্ষণ, আর্থিক ঋন অথবা তৈরি টুপির বাজারজাত করণে কোন সহযোগিতার প্রয়োজন হলে কুড়িগ্রাম বিসিক শিল্প মোর্শেদা বেগমকে সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি ।
মন্তব্য করুন
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ ধরার অপরাধে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নদ-নদীতে অভিযান চালিয়ে ৭ দিনে ১২৯ জেলেকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি জরিমানা আদায় করা হয় ১১ লাখ ৯৯ হাজার ১০০ টাকা।
বিভাগীয় মৎস্য অফিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১৩ অক্টোবর থেকে ১৯ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে ৮৩৪ টি অভিযান চালানো হয়েছে। ২৭০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পাশাপাশি ৩১১টি মামলা করা হয়েছে।
যে সময়ে বরিশাল বিভাগে ১৬৮ বার বিভিন্ন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, ১ হাজার ২৬৫ বার বিভিন্ন মাছঘাট, ২ হাজার ৩৪১ বার বিভিন্ন আড়ত ও ১ হাজার ৩৭০ বার বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করেছেন মৎস্য অধিদপ্তরে জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
আর গত ২ দিনের অভিযানে ৭ হাজার ৩০০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি ৭ কোটি ১৪ লাখ ৭৪ হাজার ৬০০ টাকা মূল্যের ৩৮ লাখ ৭৫ হাজার ১০০ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে।
এছাড়া নৌকাসহ জব্দ হওয়া সরঞ্জাম নিলাম করে এক লাখ ৫ হাজার ২০০ টাকা আয় হয়েছে।
মৎস্য বিভাগের উপ-পরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস জানান, গত ১৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য উপকূলের সাত হাজার বর্গকিলোমিটারের মূল প্রজননস্থলসহ সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিপণন নিষিদ্ধ থাকছে।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভারতের সাথে আমদানিকৃত ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর ১৬৫০ মেট্রিক টন পিঁয়াজ সিরাজগঞ্জে এসে পৌঁছেছে। চুক্তিকৃত ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের প্রথম চালান এটি।
এর আগে, গতকাল রবিবার (৩১ মার্চ) বিকেলে ভারত থেকে ৪২টি রেলওয়ে ওয়াগনে এ পিঁয়াজ চুয়াডাঙ্গার দর্শনা এসে পৌছায়। এরপর কাগজ পত্র যাছাই বাচাই শেষে রাত্রে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্য রওনা হয়।
সোমবার(১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পেয়াজ নিয়ে সিরাজগঞ্জ বাজার রেল ইয়ার্ডে পৌঁছায় রেলওয়ে ওয়াগনগুলো। সকাল ৯টা থেকে পিঁয়াজ খালাস করা শুরু হয়। খালাসকৃত পিঁয়াজ ঢাকা, গাজিপুর ও চট্টগ্রামের নির্দিষ্ট জায়গা থেকে টিসিবি এর মাধ্যমে ভোক্তাদের কাছে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রিকরা হবে। এতে প্রায় ৩০টি জেলায় পিঁয়াজের মুল্য স্থিতিশীল হবে।
টিসিবি ডিলার আব্দুর রব রাইস এজেন্সির মোহাম্মদ সাইদুর রহমান জানিয়েছেন, তিনি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিনের নিয়মিত ডিলার। টিসিবির নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত স্থান থেকে ভোক্তাদের মাঝে ৪০ টাকা করে পিঁয়াজ বিক্রি করা হবে এবং একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ ২ কেজি করে নিতে পারবেন।
টিসিবি'র অতিরিক্ত পরিচালক গোলাম খোর্শেদ জানিয়েছেন, বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে ভারত সরকারের সাথে টিসিবির কর্তৃক ৫০ হাজার মেট্রিক টন আমদানির প্রথম চুক্তি হিসাবে ১৬৫০ মেট্রিক টন পিঁয়াজ সিরাজগঞ্জে পৌছানোর পর ডিলারদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। তার মধ্যে ১০০০ মেট্রিক টন পিঁয়াজ ঢাকা জেলায় ১০০ জন ডিলার এবং বাকী ৬৫০ মেট্রিক টন পিঁয়াজ গাজিপুর ও চট্রগ্রামে পর্যায়ক্রমে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
মন্তব্য করুন
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ
মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ইলিশ ভারতে উপহার হিসেবে যাচ্ছে
না, রপ্তানি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যারা ইলিশ চাচ্ছেন, তারাও
কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ওপার থেকে অনেক সমর্থন দিয়েছেন। ইলিশ রপ্তানি করা
হচ্ছে, রপ্তানির টাকা বাংলাদেশ সরকার পাবে। সেটা খুব ছোট করে দেখার মতো টাকা না।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার
দিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর রেগুলেটর এলাকা পরিদর্শন শেষে সুইডেন
প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী একে জুয়েলের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা
বলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন,
বাংলাদেশ থেকে ইলিশ এখনো যায়নি। শুধু একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার আগেই তো দাম বেড়ে গেছে।
কাজেই রপ্তানি হলে দাম বাড়বে এ কথাটা ঠিক না। যেটা সরকারের বিবেচনায় আছে। যারা ইলিশটা
চাচ্ছে, তারাও কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ওপার থেকে অনেক সমর্থন দিয়েছে। সেটা
আমরা সবাই দেখেছি। আমরা খুব সহজে কথা বলে ফেলি। সব সময় মনে রাখতে হবে, প্রতিবেশীর সঙ্গে
অনেক বিষয়ে আমাদের আলাপ আলোচনা করতে হবে। সেই আলোচনার ধারাটা ছোট ছোট বিষয়ে বন্ধ হয়ে
যাক, সেটা আমরা চাই না।
রেগুলেটর এলাকা পরিদর্শনের সময় উপদেষ্টার
সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, নোয়াখালী জেলা
প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার
হোসেন পাটোয়ারীসহ অনেকে।
উল্লেখ্য, দুর্গাপূজা উপলক্ষে তিন হাজার
মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
মন্তব্য করুন
পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে মঙ্গল শোভাযাত্রা থেকে শুরু করে পান্তা-ইলিশ শোভা পায় বাঙালির পাতে।
ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবকে কেন্দ্র করে মাছের বাজারে রুপালি ইলিশের কদর থাকে বরাবরই তুঙ্গে।
এবারও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে যথারীতি বাজারে ইলিশের চাহিদা রয়েছে। তবে সে তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় বেশি দামেই ইলিশ মাছ কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
মাছ ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, অন্যান্য সময়ের চাইতে এখন ইলিশ ধরা পড়ছে কম। এজন্য বাজারে সরবরাহ কম, ফলে দাম বেশি। সাধারণত সরবরাহ বেশি হলেই দাম কম হয়। কিন্তু এবার পাইকারি বাজারেও ভিন্ন চিত্র।
বড় আকারের ইলিশের দেখা খুব একটা মিলছে না। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক কেজির নিচে, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে, সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে জাটকা। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা প্রতিকেজি জাটকা বিক্রি করছেন সাড়ে ৬ শ' থেকে ৭ শ' টাকায়। ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ দাম ১২০০ টাকা, ৮০০ গ্রাম ইলিশের দাম ১৩৫০ থেকে দেড় হাজার টাকার মতো। ১ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ৫৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ।
এবার ঈদের ছুটির সঙ্গে এবার পহেলা বৈশাখের ছুটি একসঙ্গে হওয়ায় অনেক মানুষ শহরে নেই ফলে অন্যান্যবারের পহেলা বৈশাখের মতো ইলিশ বেচাবিক্রির ধুম সেভাবে চোখে পড়ছে না।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচাবাজারগুলোতে ক্রেতা কম থাকায় বেশিরভাগ দোকানি অলস সময় পার করছেন। ঈদে শাকসবজির দাম বাড়েনি। অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। সোনালি বা লেয়ার মুরগির দামও বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। এছাড়া বেশিরভাগ দোকানে গরুর মাংসের দাম ৮০০ টাকা, আর খাসির মাংসের দাম ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা। সার্বিকভাবে বাজার স্বাভাবিকই আছে। তবে ঈদের ছুটির কারণে চাহিদা কম, ফলে সরবরাহও কম। একই প্রভাব পড়েছে ইলিশের বাজারে, যার ফলে বড় আকারের ইলিশেরও দেখা মিলছে না।
মন্তব্য করুন
চলতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত রেখেছে সরকার।
শনিবার (১ মার্চ) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে
পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়ে বলা হয়, গত ফেব্রুয়ারি মাসের নির্ধারিত
দামেই এই মাসে জ্বালানি তেল বিক্রি হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্চ মাসে তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্যে
জ্বালানি তেল সরবরাহ করতে বিদ্যমান দাম অনুযায়ী প্রতিলিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১০৫
টাকা, পেট্রোলের দাম ১২২ টাকা ও অকটেনের দাম ১২৬ টাকা রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের মার্চ থেকে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে
জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ শুরু করেছে সরকার। সেই থেকে প্রতি
মাসে নতুন দাম ঘোষণা করে আসছিল সরকার। তবে চলতি মাসে এর ব্যতিক্রম ঘটলো।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম
লিটারপ্রতি এক টাকা বাড়িয়ে এই দাম নির্ধারণ করেছিল সরকার।
মন্তব্য করুন
ডিমের বাজার দর স্থিতিশীল রাখতে সীমিত সময়ের জন্য ৭ প্রতিষ্ঠানকে শর্তসাপেক্ষে ৪ কোটি ৫০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য-১ শাখা থেকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অনুমোদন পত্রে বলা হয়েছে, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে দেশে প্রতিদিন প্রায় ৫ (পাঁচ) কোটি পিস ডিমের চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে ডিমের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ও বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সাময়িকভাবে সীমিত সময়ের জন্য ৭টি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এ আমদানির অনুমতির মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে। তবে আমদানির কিছু শর্তাদি অনুসরণ করতে হবে।
যশোরের মেসার্স তাওসিনকে ১ কোটি পিস, সাতক্ষীরার মেসার্স সুমন ট্রেডার্সকে ২০ লাখ পিস, রংপুরের আলিফ ট্রেডার্সকে ৩০ লাখ পিস, ঢাকার মেসার্স মিম এন্টারপ্রাইজকে ১ কোটি পিস, হিমালয়াকে ১ কোটি পিস, মেসার্স প্রাইম কেয়ার বাংলাদেশকে ৫০ লাখ পিস এবং মেসার্স জামান ট্রেডার্স ৫০ লাখ পিস ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আমদানির জন্য প্রযোজ্য শর্তের মধ্যে রয়েছে-
ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন ফর অ্যানিমেল হেলথ (হো) এর গাইডলাইন অনুযায়ী বার্ড ফ্লু মুক্ত জোনিং/কম্পার্টমেন্টালাইজেশনের স্বপক্ষে রপ্তানিকারক দেশের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জোনিং/কম্পার্টমেন্টালাইজেশনের সার্টিফিকেট/ঘোষণা দাখিল করতে হবে।
আমদানিকৃত ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত/ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মুক্ত মর্মে সনদ দাখিল করতে হবে। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত শুল্ক-কর পরিশোধ ও অন্যান্য বিধি-বিধান মানতে হবে।
এছাড়া ডিম আমদানির প্রতি চালানের অন্যূন ১৫ দিন আগে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানাতে হবে। আমদানির অনুমতি পাওয়ার ৭ দিন পর পর অগ্রগতি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে হবে এবং আমদানির অনুমতির মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।
মন্তব্য করুন