মাদারীপুর জেলার শিবচরে স্বপ্না আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূ তার প্রেমিক মুরগি ব্যবসায়ী সাকিল খানের (৩৭) সঙ্গে পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে গৃহবধূর স্বামী গরু খামারি কামাল ঢালী বাদী হয়ে শিবচর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন।
স্বপ্না আক্তার উপজেলার শিরুয়াইল ইউপির উৎরাইল এলাকার আবীল ফরাজীর মেয়ে ও একই এলাকার কামাল ঢালীর স্ত্রী। আর সাকিল খান শিবচর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের যাদুয়ারচর এলাকায় মোহাম্মদ খানের ছেলে। তিনি শিবচর বাজারের একজন মুরগি ব্যবসায়ী বলে জানা যায়।
অভিযোগ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৭ বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে বিয়ে করেন কামাল ঢালীকে। বিয়ের পর তাদের ঘরে দুইটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। ৫ মাস আগে ছোট ছেলেটি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। এ দিকে সাত বছর আগে কামাল ঢালী কাতার প্রবাসী হন। প্রবাসে থাকার সময় স্বপ্নার সঙ্গে পরিচয় হয় সাকিল খানের সঙ্গে। আর সে পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর গোপনে কামাল ঢালীকে তালাক দিয়ে বিয়ে করেন সাকিল খানকে। এ দিকে ৮ মাস আগে দেশে আসেন কামাল। দেশে আসার পরেও কামাল ঢালীর সঙ্গে সংসার করেন স্বপ্না। ১৫ জুন ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে পরিবারের সবার অজান্তে স্বপ্না সাকিল খানের সঙ্গে পালিয়ে যান।
কামাল ঢালী বলেন, স্বপ্না গোপনে সাকিলকে বিয়ে করেছে। এতোদিন আমার সঙ্গে সংসারও করেছে। বিদেশ থেকে এসে আমার ভাইয়ের সঙ্গে একটি গরুর খামার করি। ঈদের আগে খামারের গরু বিক্রির ৯ লাখ টাকা স্বপ্নার কাছে দেই। সেই টাকা ও স্বর্ণসহ সাকিলকে নিয়ে পালিয়ে যায় স্বপ্না। থানায় অভিযোগ দিয়েছি। এর উপযুক্ত বিচার চাই।
এই বিষয়ে শিবচরের নিলখী তদন্ত কেন্দ্রের উপ পরিদর্শক মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
১০ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১৩ নভেম্বর দুপুরে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
কোতয়ালী মডেল থানাধীন নূরপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে
আসামী মোঃ সুজন নামের একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১০
কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
মোঃ সুজন (২৯) দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর থানার মধ্য বাঁশদূতপুর গ্রামের মৃত হাকিম এর
ছেলে।
র্যাব জানান, সে
দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লার
বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে
আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা
করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত
আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মো: মিজানুর রহমান মিনু :
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩০০ গ্রাম গাঁজা ও ১২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ মো: সাইফুল ইসলাম প্রকাশ সোনা মিয়া (৪৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত সাইফুল উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের ঝিকড্ডা পশ্চিম পাড়ার মৃত এন্তু মিয়ার ছেলে।
সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ত্রিনাথ সাহা।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন কনকাপৈত পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক মো: শরীফুর রহমান ও সহকারী উপ-পরিদর্শক মো: জাকির হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স সহ রোববার বিকাল সাড়ে তিনটায় উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের ঝিকড্ডা পশ্চিম পাড়া এলাকায় সাইফুল ইসলাম প্রকাশ সোনা মিয়ার বাড়ীতে তার টিনশেড বসতঘরে অভিযান চালিয়ে পেপারে মোড়ানো ৩০টি গাঁজার রোল (ওজন ৩০০ গ্রাম) ও নীল রঙের বায়ুনিরোধক পলিপ্যাকে সংরক্ষিত ১২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে আটক করা হয়। পরে আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ত্রিনাথ সাহা বলেন, রোববার বিকালে থানা পুলিশের অভিযানে গাঁজা ও ইয়াবা সহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের শেষে সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
আর দশজন সাধারণ গৃহবধূর মতই জীবন ছিল মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের সুবিধপুর গ্রামের রেজিয়া খাতুনের। কিন্তু হঠাৎ তার জীবনে নেমে আসে ভয়াবহতা।
৩০ বছর আগে এক রাতে নির্যাতনের পর তাকে অচেতন অবস্থায় সীমান্ত পার করে ভারতে বিক্রি করে দেয়া হয় ।
আর এই দীর্ঘ সময় পরিবার ও গ্রামবাসী জানতেন, রেজিনা মারা গেছেন।
কিন্তু এখন হঠাৎ তিনি ফিরে আসায় তাকে দেখতে বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ।
গত ১০ নভেম্বর ৫০ বছর বয়সী রেজিয়া বাড়ি ফিরে জানতে পারেন মা-বাবা মারা গেছেন। ভাই-বোনরা বৃদ্ধপ্রায়; সন্তানরা সংসার পেতেছেন।এরপর সোমবার তিনি মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দুজনকে আসামি করে মামলা করেন। তারা হলেন- রেজিয়ার দ্বিতীয় স্বামী আজগর আলী এবং তার সহযোগী জয়নাল।
শুনানি শেষে আদালত দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে থানা থেকে বলা হয়েছে।
এদিকে রেজিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৫ বছর বয়সে গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের সাত্তার আলীর সঙ্গে তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। সেই সংসারে এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। পরে সাত্তারের সঙ্গে রেজিয়ার বিচ্ছেদ হয়।
এরপর রেজিয়া নিজ গ্রামের আজগর আলীকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর শুরু হয় রেজিয়ার উপর আজগরের নির্যাতন।
১৯৯৩ সালের এক রাতে নির্যাতনের পর তাকে প্রতিবেশী জয়নালের সহযোগিতায় আজগর সীমান্তের কাঁটাতার পার করে ভারতের কাশ্মিরে নিয়ে যান এবং কোনোকিছু বুঝে উঠার আগেই ফারুক হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেন।
রেজিয়া বলেন, ৩০ বছর সীমাহীন কষ্টে বন্দিজীবন পার করেছি। ছেলেমেয়েরা তাদের মায়ের আদর- ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়ে বড় হয়েছে। নিখোঁজ অবস্থায় মা-বাবাকে হারিয়েছি। তাদের মরা মুখটাও আমি দেখতে পাইনি।
আমি চাই না আর কারো জীবন যেন এভাবে ধ্বংস হোক সেজন্য মামলা করেছি। আদালত আমার মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
যদিও রেজিয়ার দ্বিতীয় স্বামী আজগর আলী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।তিনি বলেন, বিয়ে হওয়ার পর কয়েক বছর আমরা সংসার করি। তারপর সামাজিকভাবে রেজিয়ার সঙ্গে আমার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পাচারের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
এদিকে জয়নালের দাবি, যড়যন্ত্র করে রেজিয়ার হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তাকে জড়ানো হচ্ছে।
দেশে কীভাবে ফিরে আসলেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিয়া জানান, তিন মাস আগে তিনি ভারতের জম্মু-কাশ্মির থেকে ভারতের নদীয়া জেলার পণ্ডিতপুর গ্রামে পায়ের চিকিৎসা নিতে আসেন। সেখানে কথা হয় সুবিধপুরের পাশের কসবা হিন্দি গ্রামের আমিরুল ইসলাম বাবলুর সঙ্গে।তখন রেজিয়া তাকে পুরো ঘটনা জানান এবং গ্রামে পরিবারের কাছে তার বেঁচে থাকার খবর পৌঁছে দিতে বলেন। পরে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাকে কাশ্মির থেকে মেহেরপুর ফিরিয়ে আনেন।
কসবা হিন্দি গ্রামের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম বাবলু বলেন, রেজিয়ার মুখে সব শুনে মেহেরপুর ফিরে তার ভাইদের সন্ধান করে ঘটনাটি জানান তিনি। পরে রেজিয়ার দেওয়া মোবাইল নম্বর ও কাশ্মিরের ঠিকানা অনুযায়ী সেখানে গিয়ে ফারুকের কাছ থেকে রেজিয়াকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে তার পরিবার।
রেজিয়ার বড় ভাই আনারুল ইসলাম বলেন,রেজিয়ার স্বামী আজগর এতদিন বলেছে, আমার বোন ওই রাতে কাউকে না বলে নিখোঁজ হয়ে যায়। দেশের প্রায় সব জেলায় বোনের সন্ধান করেছি। কিন্তু কোথাও হদিস না পেয়ে ভেবেছি, বোন হয়ত মারা গেছে। তিন মাস আগে পাশের গ্রামের আমিরুলের মাধ্যমে বোনের সন্ধান পেলে আমরা ভারতের কাশ্মিরে গিয়ে বোনকে ফিরিয়ে আনি।
রেজিয়ার মেয়ে সালেহা খাতুন বলেন, মাকে ফিরে পেয়ে জীবন ফিরে পেয়েছি মনে হচ্ছে। যারা আমার মাকে এতদিন আমার কাছ থেকে দূরে রেখেছিল আমি তাদের কঠিন বিচার চাই।”
কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সুমিতপুর গ্রামের ওয়ার্ড সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা জানতাম রেজিয়া মারা গেছে। তার ফিরে আসার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কয়েক গ্রামের মানুষ রেজিয়াকে দেখতে ভিড় করছে। আমরা রেজিয়ার পাশে আছি। তাকে সব ধরনের আইনি সহায়তা করা হবে।
রেজিয়ার দায়ের করা মামলার বিষয়ে মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ কে এম আছাদুজ্জামান জানান, ঘটনাটি মানবপাচার প্রমাণ হলে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে।
মন্তব্য করুন
রমজান মাসকে সামনে রেখে পর্যটক কমে যাওয়ার আশঙ্কায় কক্সবাজারের উখিয়া থেকে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (১১ মার্চ) উখিয়ার ইনানীর নৌ-বাহিনীর জেটিঘাট থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ ২টি চলাচল করবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মিয়ানমারে সংঘাতের কারণে নিরাপত্তা বিবেচনায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটেও পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এরপর কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের ইনানীর নৌবাহিনী জেটি থেকে এমভি বারো আউলিয়া ও কর্ণফুলী নামের ২টি জাহাজ চলাচল করে আসছিল।
বারো আউলিয়ার পরিচালক মাহাবুব হোসেন জানিয়েছেন, পর্যটক চাহিদার কারণে এক মাস ইনানী-সেন্টমার্টিন রুটে দুটি জাহাজ চলাচল করেছিল। রমজানে পর্যটকের সংখ্যা কমে যাবে। এ কারণে সোমবার থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রোববার(১০ মার্চ) সবশেষ জাহাজ দুটি সেন্টমার্টিনে গেছে। আগের দিন এবং এর আগে দ্বীপে থেকে যাওয়া পর্যটকদের নিয়ে জাহাজ দুটি ইনানীতে নৌ-বাহিনীর জেটিঘাটে ফিরে এসেছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন বলেছেন, জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষ হয়তো ব্যবসায়িক কারণে লোকসান এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
৫ অক্টোবর , শনিবার কুমিল্লা শহরের নিউমার্কেট, ঝাউতলাসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা এ অভিযান পরিচালনা করে ।
বাজার তদারকির এ অভিযানে ভোক্তা অধিকার বিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের অভিযোগে চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয় এবং অন্যদের সতর্ক করা হয়।
জনস্বার্থে
এ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা শিশু পার্ক এমন এক জায়গায় যেখানে আনাগোনা সব বয়সী মানুষের হয়, ছোট থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত।
শিশুরা এসে ঘুরে বেড়ানোর জন্য এখানে অনেক রাইড,দোলনা সহ অনেক কিছু যেমন আছে বয়সী ব্যক্তিরা এসেও যেন এখানে দু'দন্ড গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিতে পারে তেমন পরিবেশ রয়েছে।
সারা দেশের দেয়ালগুলো শিক্ষার্থীদের আঁকা গ্রাফিতিতে সুন্দরভাবে সেজে উঠেছে।
কুমিল্লার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই শিশু পার্কের দেয়ালগুলো এর ব্যতিক্রম নয়।
বর্ণিল ক্যালিগ্রাফি আর গ্রাফিতিতে ভরে উঠেছে শিশু পার্কের প্রবেশের তোরণ।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ঘটেছে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মহাসড়কে বাসের চাপায় নারী-শিশুসহ চার পথচারী নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার রায়পুর মালিখিল এলাকায়
মহাসড়ক পার হওয়ার সময় একুশে পরিবহন নামে একটি বাস তাদের চাপা দিলে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের কদমতুলী এলাকার দিলবাল নেছা (৫০), শাহিনুর আক্তার (২৪), রাইসা (১.৫), সায়মা (৩)।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুল আলম জানিয়েছেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানতে পারি, সোমবার রাত ৮ টার দিকে মহাসড়কের পার হচ্ছিলেন যাচ্ছিলেন শিশুসহ একই পরিবারের ৪ জন সদস্য। এ সময় নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী একুশে পরিবহনের বেপরোয়া বাস তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিন জন। পরে, শিশুটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হলে পথেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, বাসটি পালিয়ে গেলেও একই কোম্পানির অন্য একটি বাস আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
কক্সবাজার শহরের বাদশাঘোনা এলাকায় পাহাড়
ধসে মাটি চাপায় স্বামী ও স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২১ জুন) ভোরে এ দুর্ঘটনা
ঘটে।
নিহত দুজন হলেন- ওই এলাকার নজির হোসেনের
ছেলে মো: আনোয়ার হোসেন (২৬) ও তার স্ত্রী মাইমুনা আক্তার (২০)।
আনোয়ার হোসেন স্থানীয় ওমর ফারুক জামে
মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলেন। তার স্ত্রী মাইমুনা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন
বলেন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে কক্সবাজার শহরে থেমে থেমে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল।
রাত ৩টার দিকে মুষলধারে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এ সময় ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের ঘরের ওপর পাহাড়
ধ্বসে পড়ে। এতে স্বামী-স্ত্রী দুইজনই মাটি চাপা পড়ে মারা যান।
ঘটনার পর তাদের মায়ের চিৎকারে স্থানীয়রা
এগিয়ে এসে মাটি চাপা অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে। পরে তাদের কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে
নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তাদের মরদের কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল
মর্গে রয়েছে বলে জানান হেলাল উদ্দিন।
মন্তব্য করুন
মো মিজানুর রহমান মিনু, চৌদ্দগ্রাম:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম এর নির্দেশনায় ১৪ জুলাই রাত ২ টার সময় চৌদ্দগ্রাম থানায় কর্মরত এস আই সুজন কুমার চক্রবর্তী সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানার চিওড়া ইউনিয়নের ঘোষতল রাস্তার উপর থেকে ০১টি সিএনজি গাড়ী তল্লাশী করে ১টি স্কুল ব্যাগ ও ১টি প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতরে থেকে মোট ২৫ কেজি গাঁজা ও ০১টি নাম্বার বিহীন সিএনজি অটোরিক্সা উদ্ধার করে।
এ সময় সি এন জি তে থাকা দুইজন আসামী ইউসুফ (৪৫) ও কাজী মোঃ লিটন (৩২)কে মাদকদ্রব্য সহ আটক করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আর একজন আসামী মোঃ ইউনুছ আলী দৌড়ে পালিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে চৌদ্দগ্রাম থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলা করা হয়।
মন্তব্য করুন
রফিকুল ইসলাম বাবু, চাঁদপুর:
চাঁদপুরে নৌ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের নির্দেশে মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদপুর মতলব উত্তর থানাধীন নাসিরাকান্দি এলাকায় মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় ১০টি ড্রেজার ১টি বাল্কহেড, ২টি স্পিডবোটসহ ৪৩ জন আটক করেছে নৌ পুলিশ।
এ সময় তাদের কাছ থেকে অবৈধ বালু বিক্রয়লব্দ ১১ লক্ষ ৪১ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মতলব উত্তর উপজেলার হিল্লোল চাকমা সহকারী কমিশনার ভুমি, মতলব উত্তর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান, মোঃ শফিকুল ইসলাম, কোস্ট গার্ডের চীফ পেটি অফিসার।
চাঁদপুর নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রীয়াধীন আছে।
মন্তব্য করুন