সরকারি গাছের ডাল কাটার অভিযোগে দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এক ভ্যানচালককে ৭ দিন কারাদণ্ড দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: তাজ উদ্দিন। এ সময় একটি ভ্যানে থাকা করলা জব্দ করে স্থানীয় এতিমখানায় ও হাফেজিয়া মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার খানসামা থেকে টংগুয়া সড়কের তেল পাম্প এলাকা থেকে ওই ভ্যানচালককে আটক করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত ভ্যানচালক রফিকুল ইসলাম (৩৫) খানসামা উপজেলার চার নম্বর খামারপাড়া ইউনিয়নের ডাঙাপাড়া গ্রামের ইয়াকুব হাজী পাড়ার ইনসান আলীর ছেলে।
জানা যায়, খানসামা উপজেলা উৎপাদিত করলা, বেগুন ও শসাসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ট্রাক ও পিক-আপ যোগে আড়তে পাঠানো হয়।
এই শাকসবজি প্রেরণের সময় প্যাকিংয়ের সময় বিভিন্ন গাছের পাতা ব্যবহার করেন ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা বন কর্মকর্তা মঞ্জুরুল কাদের জানান, উপজেলার বিভিন্ন সড়কে দীর্ঘদিন ধরে মেহগনি, আকাশমণি গাছের ডাল কেটে আসছিলেন অজ্ঞাত কিছু লোক।
এটি বন্ধ করতে বন বিভাগ সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করছে কিন্তু এই নির্দেশনা অমান্য করেছিল অনেকে। নিয়মিত তদারকির অংশ হিসেবে আজকে অভিযান পরিচালনা করে ভ্যানচালকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: তাজ উদ্দিন বলেন, গাছ আমাদের চারপাশের পরিবেশ রক্ষা করে থাকে। বনবিভাগের গাছের ক্ষতি করা বা ডাল-পালা কাটা সরকারি সম্পদ নষ্ট করার সামিল। এ অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় এক ব্যক্তিকে ৭ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ৪০টি স্বর্ণের বারসহ ১ চোরাকারবারিকে আটক করেছে বিজিবি।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) মহেশপুর উপজেলার মাটিলা সীমান্ত থেকে রিমন হোসেন (২৮) নামে ১ চোরাকারবারিকে আটক করা হয়। রিমন ওই উপজেলার মাটিলা বাগানপাড়ার হজরত আলীর ছেলে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে মহেশপুর-৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক কর্নেল মাসুদ পারভেজ রানা জানান, বুধবার মাটিলা সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণের বড় একটি চালান ভারতে পাচার করা হচ্ছে এমন খবর পেয়ে বিজিবির একটি টহল দল সেখানে ওত পেতে ছিল। এসময় ২ চোরাকারবারি সীমান্ত এলাকায় এলে বিজিবি তাদের ধাওয়া করে। এসময় তাদের ১ জন ভারতের অভ্যন্তরে পালিয়ে গেলেও রিপন নামে এক যুবককে ধরে ফেলে বিজিবি। এসময় চোরাকারবারিদের ব্যাগে ৪০টি (ওজন- ৪ কেজি ৬৬৫.৫৪ গ্রাম) স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। যার দাম ৪ কোটি ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭১ টাকা। এ ঘটনায় মামলা দিয়ে মহেশপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে রিমন হোসেনকে।
মন্তব্য করুন
রফিকুল ইসলাম বাবু, চাঁদপুর:
চাঁদপুরে পরকীয়া প্রেমের বলি হলো দুই সন্তানের জননী
তাসলিমা বেগম। পরকীয়ার ঘটনার প্রতিবাদ করায় রাতের আঁধারে শ্বাসরুদ্ধ ও অতর্কিত হামলা
চালিয়ে স্ত্রীকে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে স্বামী। এই ঘটনায় চাঁদপুর আদালতে মামলা হওয়ার
পর অবশেষে মূল হোতা পাল বাজারে ব্যবসায়ী মোঃ সরোয়ার হোসেন সেলিমকে আটক করেছে চাঁদপুর
মডেল থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্ত্রী হত্যা মামলার
আসামি স্বামী সেলিমকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
এই ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিকা বাবুরহাট রয়েল তাইবা ট্রাবলস
গ্রুপের অ্যাকাউন্ট অফিসার সালমা মিয়াজি প্রেমিক মায়া এখনো পলাতক রয়েছে।
গত ৮ জুলাই বুধবার গভীর রাতে চাঁদপুর শহরের জে.এম.
সেনগুপ্ত রোড সাবেক মন্ত্রী দীপু মনির বাসার চতুর্থ তলায় ভাড়াটিয়া বাসায় পাল বাজারের
ব্যবসায়ী সেলিম তার স্ত্রীকে শ্বাসরুদ্ধ করে ও অতর্কিত হামলা চালিয়ে হত্যা করে।
পরবর্তীতে তার বাবা মোঃ ইদ্রিস মিয়া বাদী হয়ে আদালতে
সরোয়ার হোসেন সেলিম তার পরকীয়া প্রেমিকা সালমা মিয়াজি মায়াকে আসামি করে মামলাটি দায়ের
করেন।
অবশেষে পুলিশ মামলার প্রধান আসামি সেলিমকে আটক করতে
সক্ষম হয়।
মামলার বাদী ইদ্রিস মিয়া জানান, কচুয়া থানার প্রসন্নকাপ
এলাকার কলিম উদ্দিনের ছেলে সরোয়ার হোসেন সেলিমের সাথে ১১ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে
তাসলিমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সেলিম বিভিন্ন মেয়েদের সাথে পরকীয়ায়
জড়িয়ে পড়ে। কিছুদিন পূর্বে শহরের মিতালী নামের একটি মেয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক
করলে সেই মেয়ের পেটে অবৈধ সন্তান জন্ম হয়। সেই ঘটনায় সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা হলে
২৭ দিন জেল খেটে বেরিয়ে আসে।
পরবর্তীতে সেলিম রয়েল তাইবা গ্রুপের অ্যাকাউন্ট অফিসার
সালমা মিয়াজি মায়ার সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সেই ঘটনা প্রতিবাদ করলে ঘটনার
দিন রাতে সেলিম তার স্ত্রী সালমা বেগমকে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলে। অবশেষে ঘটনাটি ধামাচাপা
দেওয়ার জন্য তারা চেষ্টা করে ও মামলা না দেওয়ার জন্য ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে।
পরবর্তীতে আদালতে মামলা হওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার
করতে সক্ষম হয়। এই ঘটনায় সেলিম ও তার পরকীয়া প্রেমিক মায়ার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত
ব্যবস্থা গ্রহণ করা জোর দাবি জানান পরিবারের স্বজনরা।
মন্তব্য করুন
এক পায়ে ক্র্যাচে ভর দিয়ে প্রতিদিন ৩ কিলোমিটার পথ হেঁটে নিয়মিত কলেজে যায় ইয়াছমিন আক্তার (২০)। অদম্য এই শিক্ষার্থী ইয়াছমিনের এক পা নেই, অন্য পা থাকলেও তা প্রায় শীর্ণকায়।এ গল্প নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গাংচিল গ্রামের দিনমজুর নুরনবীর মেয়ে ইয়াছমিন আক্তারের।
দেড় বছর বয়সে আগুনে পুড়ে এক পা হারিয়ে এমন বাস্তবতা নিয়ে পাড়ি দিয়েছেন জীবনের ১৯টি বছর। তবুু কঠিন জীবন সংগ্রামে দমে যাননি। দরিদ্রতা আর শারীরিক অক্ষমতাকে জয় করে সে এখন জেলার সদর উপজেলার ড. বশির আহমদ কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের মানবিক বিভাগে পড়ছেন।
জান যায়, ২০০৫ সালে শিশু ইয়াছমিনকে বিছানায় রেখে পাশের বাড়ি থেকে পানিতে আনতে যান তার মা। হঠাৎ করে চৌকির পাশে থাকা চেরাগ থেকে মশারিতে আগুন ধরে যায়। ওই আগুনে ইয়াছমিনের দুই পা দগ্ধ হয়। পরে ডাক্তারের পরামর্শে তার বাম পা কেটে ফেলতে হয়। পায়ের রগ পুড়ে অপর পাও অনেকটা শীর্ণকায় হয়ে যায়।
এরপরও অদম্য ইচ্ছা শক্তিতে প্রথমে ভর্তি হন স্থানীয় পশ্চিম গাংচিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে গাংচিল কবি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। বর্তমানে দেড় কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে প্রথমে স্থানীয় গাংচিল বাজারে যান। পরে সেখান থেকে গাড়ি করে বাড়ি থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার দূরে কলেজে ক্লাস করছেন নিয়মিত। আবার বাড়ি ফিরতেও তাকে হাঁটতে হয় দেড় কিলোমিটার পথ। এভাবে বয়ে চলেছেন জীবনের ভার। বছরে পাঁচ হাজার টাকা প্রতিবন্ধী সরকারি ভাতা পান। কিন্তু সরকারের এ সহযোগিতা একেবারেই অপ্রতুল।
ইয়াছমিন আক্তার বলেন, অনেক কষ্ট করে আমি লেখাপড়া করছি। পড়ালেখা শেষ করে আমি শিক্ষক হতে চাই। সবার সহযোগিতায় একটি কৃত্রিম পা সংযোজন হলে আমার স্বপ্ন পূরণে সহজ হবে। ইয়াছমিনের বাবা নুরনবী বলেন, আমি একজন দিনমজুর। তবে শত কষ্ট-যাতনা সহ্য করে হলেও মেয়েকে লেখাপড়া করাব। তার একটি কৃত্রিম পা সংযোজনে সমাজের বিত্তবান মানুষ এগিয়ে আসবেন বলে প্রত্যাশা।
ড. বশির আহমদ কলেজের প্রভাষক এএইচ তানিম জানান, আমরা তার কষ্টকে মূল্যায়ন করি। একই সঙ্গে তার চেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। কেননা ইয়াছমিন যেটা সম্ভব করে চলেছেন তা সবার কাছেই অনুপ্রেরণা ও দৃষ্টান্ত।
ড. বশির আহমদ কলেজের অধ্যক্ষ আঞ্জুমান আরা মুক্তা জানান, ইয়াছমিন প্রতিদিন তিন কিলোমিটার পথ এক পায়ে হেঁটে কলেজে আসা যাওয়া করছে। সে একজন জীবন সংগ্রামী তরুণী। অদম্য প্রচেষ্ঠায় তার গল্পটি হয়ে উঠেছে প্রেরণার।
মন্তব্য করুন
ঈদযাত্রায় নিরাপত্তায় সাইবার নজরদারীসহ গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনে এসে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম এ কথা জানান।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে প্রতিটি স্টেশনে বাড়িয়েছি গোয়েন্দা নজরদারি। চালু রাখা হয়েছে মোবাইল ট্র্যাকিং। বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল, রেলস্টেশনে আমাদের টিম কাজ করছে। টিকিট কালোবাজারি চক্রের বিরুদ্ধে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। এ বছরের পর এগুলো (কালোবাজারি) আর থাকবে না।
এ বছর দূরপাল্লার (আন্তঃনগর) ট্রেনের শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া যাত্রার দিন ২৫ ভাগ আসনবিহীন টিকিট বিক্রি চলছে।
যেকোনো ধরনের অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়ে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, যাত্রীদের অনুরোধ করবো আপনাদের কোনো অভিযোগ থাকলে জানান, র্যাব আপনার পাশেই আছে।
তিনি আরও জানান, যাত্রীদের হয়রানি বিশেষ করে নারী হয়রানি, বিভিন্ন অজ্ঞানপার্টি, মলম পার্টির বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে।
ঝুঁকি কমাতে যাত্রীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, অপরিচিত মানুষের সঙ্গে অযথা কথা বলা বা সম্পর্ক গড়ে তুলবেন না। যাত্রাপথে কারও কাছ থেকে খাবার গ্রহণ করা থেকেও বিরত থাকতে হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
মুন্সীগঞ্জে স্বামী ও শাশুড়ির দেওয়া আগুনে ১ মাস ১৬ দিন (৪৭ দিন) চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বর্ণা রানী (২৪) নামের এক গৃহবধূর নিহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করেন নিহতের স্বামী ও শাশুড়ির দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে গৃহবধূ সোমবার (১৬ সেপ্টেমর) বিকেলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়।
নিহত স্বর্ণা টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কামারখাড়া ইউনিয়নের নসংঙ্কর গ্রামের কৃষ্ণ সরকারের মেয়ে। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার গ্রামের বাড়ি টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কামারখাড়া ইউনিয়নের নসংঙ্কর নিয়ে আসে স্বজনরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর উত্তর কামারখাড়া মিজি বাড়ি এলাকার দিলিপ রায়ের ছেলে দিপ্ত রায় পরিবারের অমতে স্বর্ণা রাণীকে বিয়ে করে। দিপ্ত রায় বেকার থাকায় বিয়ের কিছুদিন পর থেকে দিপ্ত ও তার মা ঝর্ণা রানি রায় গৃহবধূ স্বর্ণাকে বাবার বাড়ি হতে যৌতুক এনে দেওয়ার জন্য চাপ ও মারধর করে। স্বর্ণা বিষয়টি তার পরিবার ও আত্নীয় স্বজনকে একাধিকবার জানায়। পরে গত ৩০ জুলাই সকালে যৌতুকের দাবিতে স্বর্ণাকে মারধর করে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় তার স্বামী ও শাশুড়ি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে। সেখানে ১ মাস ১৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে নিহতের বাবা কৃষ্ণ সরকার জানান, আমার মেয়েকে তারা অনেক মারধর করতো। আগুন দেওয়ার ৫ দিন আগে তারা ৪/৫জন মিলে আমার মেয়েকে খুব মেরেছে। পরে গত ৩০ জুলাই মারধর করে রান্না ঘরে নিয়ে তার স্বামী ও শাশুড়ি গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমার মেয়ে মৃত্যুর আগে আমার ছোট মেয়ের কাছে সব বলে গেছে এবং সেটি রেকর্ড রয়েছে। আমি তার স্বামী ও শাশুড়ির বিচার চাই। মেয়ের সৎকাজ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করবো।
এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী থানার ওসি মহিদুল ইসলাম জানান, আমি মৌখিকভাবে শুনেছি। নিহতের পরিবারের অভিযোগ তার স্বামী ও শাশুড়ি নাকি নিহতের শরীরে আগুন দিয়েছে। ওই নারী মারা যাওয়ার পরে আমাকে ঢাকা থেকে ফোন দিয়েছিল। আমি বলেছি যেহেতু পরিবারের অভিযোগ রয়েছে তাই মরদেহ ময়নাতদন্ত করতে হবে। পরে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
৯৯ বোতল ফেন্সিডিল’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১৪ মার্চ রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী
মডেল থানাধীন আমতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে মোঃ সাইফুজ্জামান
বুলবুল (৩৮) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৯৯ বোতল
ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। মোঃ সাইফুজ্জামান বুলবুল (৩৮) কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার সবজিকান্দি গ্রামের
মৃত মফিজুল ইসলাম এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
ব্রাহ্মণপাড়া থানায় কর্মরত
এসআই (নিরস্ত্র)শফিক উল্লাহ, এএসআই (নিরস্ত্র) মোঃ হেলাল উদ্দিন ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ ব্রাহ্মণপাড়া
থানা এলাকা থেকে ৩৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয় ।
শুক্রবার দিনে গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল ডিউটি করাকালে ব্রাহ্মণপাড়া
থানাধীন ৪নং শশীদল ইউনিয়নের পশ্চিম বাগড়া সাকিনে আছমত আলী বেপারী বাড়ির পুকুরের দক্ষিণ
পাড়ে পৌঁছামাত্রই পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন লোক দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের
মোকাবেলায় আসামীদের ফেলে যাওয়া ১টি সাদা রংয়ের বিশেষ কায়দায় তৈরী মাছ রাখার ড্রাম তল্লাশী
করে ড্রামের ভিতর লুকিয়ে রাখা ১ টি পাটের বস্তার ভিতর থেকে খাকী রংয়ের কসটেপ দিয়ে মোড়ানো
১০টি বান্ডেল গাঁজা উদ্ধার করা হয় যারে মোট পরিমাণ ২০ কেজি গাঁজা ।
আরেকটি সাদা রংয়ের প্লাস্টিকের
বস্তার ভিতর থেকে খাকী রংয়ের কসটেপ দ্বারা মোড়ানো উদ্ধারকৃত ৭টি বান্ডেল গাঁজার ওজন
হয় ১৪ কেজি গাঁজা ।
সর্বমোট ৩৪কেজি উদ্ধারপূর্বক জব্দ তালিকা মূলে জব্দ
করে উক্ত ঘটনায় ব্রাহ্মণপাড়া থানায় এজাহার দায়ের করা হয়।
এদিকে ব্রাহ্মণপাড়া থানার
মামলা নং- ২০/১০৫ তারিখ- ২৭/০৪/২০২৪খ্রিঃ ধারা ৩৬(১) সারনির ১৯(গ) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ
আইন ২০১৮ তে রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দেশের কিছু জায়গায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া কমে যেতে পারে চলমান শৈত্যপ্রবাহও।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) আবহাওয়া অফিস এমন পূর্বাভাস দিয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা জানান, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত আছে।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
এছাড়া মৌলভীবাজার, কুমিল্লা, ফেণী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল এবং ভোলা জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত ফরিদপুর অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি/গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত খুলনা, ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে।
মন্তব্য করুন
পঞ্চগড়ে ৭ কোটি টাকা মূল্যের ১টি কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলী ইউনিয়নের সরকার পাড়া বানুর হাট থেকে মূর্তিটি জব্দ করে ডিবি পুলিশ।
জানা যায়, জব্দ করা কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তিটির ওজন ১৭ কেজি। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ৭কোটি টাকা।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলো- তেঁতুলিয়ার উপজেলার কৃষ্ণ কান্ত জোত গামের মৃত আমানত আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (৪৮) , দেবীগঞ্জের বন্দীরাম গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে শাহীন শাহ (৪০) ও তেঁতুলিয়া এলাকার একামুল হকের ছেলে শহিদুল (৫৫)।
পঞ্চগড় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, কষ্টি পাথরের মূর্তি ক্রয়-বিক্রয় হবে এবং বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে তিন ব্যক্তি বানুরহাট এলাকায় অবস্থান করছে এমন তথ্য আসে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে। খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা বানুর হাটবাজারে আশপাশ ও দোকানে ওৎ পেতে থাকেন। পরে ১টি ফার্মেসিতে প্রবেশের সময় ১৭ কেজি ওজনের বিষ্ণু মূর্তিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জব্দকৃত কষ্টি পাথরের বিষ্ণু মূর্তিটির উচ্চতা ২৯ ইঞ্চি, প্রস্থ ১১ ইঞ্চি এবং ওজন ১৭ কেজি। মূর্তিটির আনুমানিক বাজারমূল্য ৭ কোটি টাকা।
তাদের বিরুদ্ধে পুরাকৃর্তি আইনে মামলা হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১২৫০ পিস ইয়াবা’সহ একজন মহিলা
মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী
মডেল থানাধীন পশ্চিম মাঝিগাছা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী কহিনুর
বেগম নামের একজন মহিলা মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১২৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত আসামী কহিনুর বেগম (৪৫) কুমিল্লা
জেলার কোতয়ালী মডেল থানার গোমতী নদীর চর গ্রামের নজরুল ইসলাম এর স্ত্রী।
র্যাব জানান, আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে
আরো জানায় যে, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য ইয়াবা
সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে
বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান
পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত
থাকবে। আটককৃত মহিলা আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন