যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে দিয়ে ভারতে পাচারের সময় ১২পিচ স্বর্ণের বারসহ ৩ পাচারকারীকে আটক করেছে বিজিবি।
শনিবার রাত ৩ টার দিকে অভিযান চালিয়ে এ স্বর্নের চালানটি আটক করা হয়। এসময় ১ কেজি ৩৯৯ গ্রাম (১১৯.৯৮ ভরি) ওজনের ১২পিচ স্বর্ণের বার এবং ০১টি মোটর সাইকেলসহ ৩ জন আটক।
আটককৃতরা হলো, বেনাপোল সীমান্তের পুটখালী গ্রামের আজমীর, জালাল ও নুরুজ্জামান।
খুলনা-২১ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ খুরশীদ আনোয়ার পিএসসি, জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি স্বর্ণের একটি চালান বাংলাদেশ হতে ভারতে পাচার হতে পারে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্তের দৌলতপুর বিওপি’র একটি টহল দল মেইন পিলার ১৭/৭ এস এর ১৭০ আর পিলার হতে আনুমানিক ৭.৬ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দৌলতপুর গ্রামস্থ রাস্তার পার্শ্বে গোপনীয়তার সাথে অবস্থান নেয়।
কিছু সময় পর বিজিবি টহল দল বেনাপোল হতে দৌলতপুর অভিমুখে ০১টি মোটর সাইকেল আসতে দেখে এবং টহল দলের নিকটবর্তী আসলে মোটর সাইকেল থামার সংকেত দিলে না থেমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি টহল দল তাদেরকে ধাওয়া করে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে তাদের তল্লাশী করে ০১ কেজি ৩৯৯ গ্রাম ওজনের ১২ পিচ স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।
আটককৃত স্বর্ন ১,২৫,৯৮,০০০/- টাকা এবং মোটর সাইকেল ১,৫০,০০০/- টাকা। উক্ত স্বর্ণের বারগুলো ট্রেজারী অফিসে এবং আসামী ও মোটর সাইকেল বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত ৭.৬২ এমএম পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিবের দিক নির্দেশনায় ও কচুয়া থানার ওসি এম. আব্দুল হালিমের তত্ত্ববধানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কচুয়া-রহিমানগর সড়কের কান্দিরপাড় সংযোগ রাস্তার দক্ষিণ পাশে পলিথিনে মোড়ানো ৭.৬২ এমএম পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ক্যাপ্টেন খালেদুর রহমানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর পৃথক একটি দল ও জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি টিম ও কচুয়া থানা পুলিশের সাথে সম্মিলিতভাবে উদ্ধার অভিযানে অংশগ্রহন করে।
মন্তব্য করুন
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ঈদের কোরবানি দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে কামার শিল্পীদের ব্যস্ততা। পশু কুরবানিতে ধারালো দা, বটি, চাপাতি ও ছুরি তৈরি করছে হরদম। তাই যেন দম ফেলার ও সময় নেই কামারদের। নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করছেন কামাররা। কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন তারা। সারা বছর তেমন কাজ না থাকলে ও কুরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েক গুণ ব্যস্ততা বেড়ে গেছে কামারদের। ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতারাও ভিড় জমাচ্ছে কামার পট্টিতে। বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে। কামার শিল্পীরা জানান- পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ১০০-২০০, দা ৩০০-৫৫০ টাকা, বটি ৩৫০-৬০০, পশু জবাইয়ের ছুরি ৫০০ -১৩ হাজার টাকা, চাপাতি ৬০০-৯০০ শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কামার শিল্পীরা বলেন, কুরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লার দাম ও শ্রমিকের দাম বেড়ে গেছে।
তবে ক্রেতারা বলেন, ঈদ উপলক্ষে দা, চাপাতি ও ছুরির দাম বেশি নেয়া হচ্ছে।
উপজেলার বোরহান পুর গ্রামের এনাম মিয়া (ক্রেতা) জানান, আমি একটি চাপাতি ৬০০ টাকায় কিনেছি। এ ছাড়া ছুরি, দা, জবাই করার ছুরিসহ ৪টি জিনিস রিপেয়ারিং করার জন্য এসেছি।
জাবেদ মিয়া (ক্রেতা) জানান, কুরবানির ঈদের সময় কসাই পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। তাই একটা নতুন বটি কিনেছি, আর পুরনো চাপতি, দা শাণ দিয়ে নিচ্ছি নিজেরাই কাজে লেগে যাব। গেল বছরের চেয়ে এ বছর পুরনো জিনিষ শাণ দিতে মানভেদে ৩০-৫০ টাকা বেশি নিচ্ছে। ঈদ যতই এগিয়ে আসছে দা/ছুরি কিনতে গ্রাহকদের আনাগোনাও বাড়ছে।
কামারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়- কুরবানির ঈদ উপলক্ষে তাদের বেচাকেনা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। তবে ঈদের দুদিন আগে বেশী বেচাকেনা হবে। কুরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লা ও শ্রমিকের মূল্য বেড়ে গেছে। দুই মাস আগেও প্রতি বস্তা কয়লার দাম ছিল ৫শ- ৫৫০ টাকা। সেই কয়লা এখন ৯শ-১ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাই তারা চাপাতি, ছুরি ও দা’র দাম একটু বেশি নিচ্ছেন।
নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও কামার পাড়া ঘুরে দেখা যায়- লাল আগুনের লোহায় পিটুনিতে সরগরম হয়ে উঠেছে কামার পল্লী গুলো। টুংটাং শব্দের ছন্দে তালমিলিয়ে চলছে হাতুড়ি আর ছেনির কলাকৌশল। ঈদুল আজহার আর মাত্র ৫ দিন বাকি আছে, তাই কামার পল্লী গুলো মুখরিত হয়ে উঠেছে। আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে উপজেলার প্রত্যন্ত আঞ্চলে কামার পল্লীগুলো ও ব্যস্থ সময় পাড় করছে। ঈদের বিপুল চাহিদার জোগান দিতে মাস খানেক আগে থেকেই তারা কাজ শুরু হয়েছে।
উপজেলার কামার বিক্রেতা মুকুল দেব ও প্রনেশ দেব জানান- কাজের ব্যস্থতায় নিশ্বাস ফেলার সময় নেই। তারা পুরোদমে ঈদুল আজহার আগ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানান।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
৯৯ বোতল ফেন্সিডিল’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১৪ মার্চ রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী
মডেল থানাধীন আমতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে মোঃ সাইফুজ্জামান
বুলবুল (৩৮) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৯৯ বোতল
ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। মোঃ সাইফুজ্জামান বুলবুল (৩৮) কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার সবজিকান্দি গ্রামের
মৃত মফিজুল ইসলাম এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইফতেখার রাফসান ওরফে
রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিশুদ্ধ খাদ্য
আদালতের বিচারক আলাউল আকবর এ আদেশ দেন। অনুমোদনহীন ব্লু ড্রিংকস বাজারজাত করার জন্য
এ পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত
খাদ্য পরিদর্শক মো: কামরুল হোসেন জানান, ব্লু ড্রিংয়ের কোনো অনুমোদন নেই। এমনকি ওষুধ
প্রশাসনও জানে না এসব ওষুধ না পানীয়। সেই প্রেক্ষিতে ইফতেখার রাফসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি
পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
জানা গেছে, রাফসানের এই প্রতিষ্ঠানটির
নাম মেসার্স ড্রিংকব্লু বেভারেজ। এটি কুমিল্লার বিসিক শিল্প নগরীতে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি
মোড়কজাতকরণ নিবন্ধন না নিয়ে তাদের উৎপাদিত ‘ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক’ পণ্য প্রস্তুত করে আসছিল। কারখানাটিতে
কোনো পরিমাপ যন্ত্রও ছিল না। যার ফলে এখানে হাতে করে ড্রিংকসগুলো বোতলজাতকরণ করা হচ্ছিল।
এ সময় নিবন্ধন ছাড়াই মোড়কজাত ও বাজারজাত করায় ‘ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন -২০১৮’ এর ৪১ ধারায় ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড
করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানটি পরিচালনা করেন কুমিল্লার নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার ফারহানা নাসরিন। প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব
পালন করেন বিএসটিআই, কুমিল্লা অফিসের কর্মকর্তা আরিফ উদ্দিন প্রিয়, পরিদর্শক (মেট্রোলজি)
এবং সার্বিক সহযোগিতা করেন ইকবাল আহাম্মদ, ফিল্ড অফিসার (সিএম)।
মন্তব্য করুন
লালমনিরহাটে
সুড়ঙ্গ খুঁড়ে সোনালী ব্যাংক শাখা ডাকাতির চেষ্টা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার
(২৭ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১২টার দিকে সদর উপজেলার বড়বাড়ি সোনালী ব্যাংক শাখায় এ
ঘটনা ঘটে।
তবে ব্যাংকের টাকা খোয়া গেছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে
সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ
ও স্থানীয়রা জানান, ব্যাংকের পেছনের দেয়ালের নিচে একটি সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ব্যাংকে ঢোকার
চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। তবে ব্যাংকে কর্মরত চতুর্থ শ্রেণির একজন কর্মচারী বিষয়টি
বুঝতে পেয়ে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। এতে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। খবর
পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ ব্যাংকের কর্মকর্তারা ছুটে আসেন। ব্যাংক থেকে টাকাসহ
অন্যকিছু খোয়া গেছে কিনা তা জানতে অনুসন্ধান চালাচ্ছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও
সেনাবাহিনী।
লালমনিরহাট
সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূরনবী জানান, তদন্ত চলছে। তদন্ত
সম্পূর্ণ হলে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে। তবে টাকা খোয়া যাওয়ার কোনো তথ্য এখন
পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে রাতের আঁধারে বাল্বহেড চালানোর দায়ে ১৫টি বাল্কহেডসহ ২৩ শ্রমিককে আটক করেছে নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান পি পি এম।
রোববার (২৩জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে চাঁদপুর নৌ-থানার অফিসার ইনচার্জ মুনিরুজ্জামান জানান, শনিবার বিকাল থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো: মো. শাহীন(৩২), মো. দিদার(২২), মো. শরিফ(৩২), মো. সোহেল(৩০), মো. মাঈন উদ্দিন (২৮), মো. শহিদুল(৪২), মো. আরিফুল হোসেন (৩৩), মো. শহিদুল ইসলাম (৫০), মো. আল আমিন (৩৮), মো. আমির হোসেন গাজী (৬৫), মো. স্বপন(২৮), মো. গিয়াস উদ্দিন (২৮), মো. ফিরোজ (২৭), মো. মিজান (৩৫) ও মো. সুমন (২৮)।
তারা নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, চাঁদপুর ও বরগুনার বাসিন্দা।
নৌ ওসি মুনিরুজ্জামান মনির জানান, ঈদুল আজহায় যাত্রীবাহী লঞ্চের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিতে বাল্বহেডে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। সে মোতাবেক মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে নৌ পুলিশ। আটকৃতদের বিরুদ্ধে বাল্বহেড গুলোর কাগজপত্র গরমিল ও চলাচলের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ জুন থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত বাল্কহেড চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বিআইডব্লিউটিএ।
মন্তব্য করুন
চাঁদপুরের কচুয়ায় ছাত্রলীগ নেতা ও আওয়ামী
লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখ রাতে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদপুর জেলার কচুয়া
থানাধীন সাচার বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে নিষিদ্ধ সংগঠন
ছাত্রলীগ কর্মী মোঃ কামরুল হাসান রিয়াদকে গ্রেফতার করা হয়। একই রাতে পরিচালিত অন্য
একটি অভিযানে চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানাধীন কোয়া এলাকা হতে আওয়ামীলীগ নেতা বিল্লাল হোসেনকে
গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ কামরুল হাসান
রিয়াদ (৩১) চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার সুয়ারুল গ্রামের আব্দুর রব পাঠান এর ছেলে এবং
২। বিল্লাল হোসেন (৪৫) একই থানার কোয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম এর ছেলে।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত ১ নং আসামী
মোঃ কামরুল হাসান রিয়াদ (৩১) কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাচার
ডিগ্রি কলেজের সাবেক সভাপতি এবং ২ নং আসামী বিল্লাল হোসেন (৪৫) কচুয়া পৌর ০৩ নং ওয়ার্ড
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিল। তারা উভয়েই লিফলেট বিতরণ ও নাশকতা কার্যক্রম পরিচালনার
দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের
জন্য চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
গতকাল টানা দ্বিতীয়বার সাফ চ্যাম্পিয়ন
হয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বাংলাদেশ
সময় দুপুর আড়াইটার দিকে ট্রফি নিয়ে দেশে পা রাখেন সাবিনা-ঋতুপর্ণারা। এরপর সংবাদ সম্মেলন
শেষে ছাদখোলা বাসে শুরু হয় বিজয় প্যারেড। এই বাসে করে বাফুফে ভবনে যাবেন মেয়েরা।
আগেরবারের মতো এবারও তাদের ছাদখোলা
বাসে সংবর্ধনা দিচ্ছে বাফুফে। চ্যাম্পিয়নদের ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে বাস।
এবার নারী ফুটবলারদের জন্য বাসের ব্যবস্থা
করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
এর আগে গতকাল দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে
আসরের ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে মেয়েদের সাফের শিরোপা ধরে রাখে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
শনিবার সকালে সফিকুল ইসলাম শুভ (২৪) কুমিল্লা সদর দক্ষিন মডেল থানার কুমিল্লা
সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত নন্দনপুর কোটবাড়ি রাস্তার মাথায় চট্টগ্রামমুখী মহাসড়কে ছিনতাইকারীর
শিকার হন এবং নগদ ২৭,০০০/- টাকাসহ তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা
।
অজ্ঞাতনামা ০৪ জন লোক একটি অটোরিক্সা যোগে এসে অবরুদ্ধ করে হাতে থাকা সুইচ গিয়ার
ও চাকু দ্বারা ভয়ভীতি প্রদর্শন এসব ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
সফিকুল ইসলাম শুভ (২৪) উক্ত ঘটনার এজাহার দায়ের করলে অফিসার ইনচার্জ, সদর দক্ষিণ
মডেল থানার দিক নির্দেশনায় এসআই/মোরশেদ আলম তার সঙ্গীয় ফোর্সসহ তথ্য প্রযুক্তির ও স্থানীয়
সোর্সের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা উদ্ধারসহ ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত
সুইচ গিয়ার এবং অটোরিক্সা উদ্ধারসহ ০৩ জন ছিনতাইকারী গ্রেফতার করে।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো -মেহেদী হাসান রাব্বী (২৫), কামরুল হাসান রিফাত (২০),
মো: আল আমিন (১৯) ।
মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা উদ্ধারসহ ছিনতাই এ ব্যবহৃত মালামাল উদ্ধার করা হয় -একটি
TECHNO KE-7. মডেলের মোবাইল ফোন, ছিনতাই কাজে
ব্যবহৃত একটি সাড়ে ৯ ইঞ্চি লম্বা ধারালো সুইচ গিয়ার, ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি ১০ ইঞ্চি লম্বা ধারালো
চাকু, ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ০১ টি অটোরিক্সা, নগদ ৪,০০০/-টাকা ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার
কোতয়ালী মডেল থানাধীন নোয়াপাড়া এলাকা থেকে পাসপোর্ট দালাল চক্রের মূলহোতা মোঃ সাব্বির
হোসেন সহ ১৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২। এ সময় পাসপোর্ট,
পাসপোর্ট ডেলিভারী স্লীপ, মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১১, সিপিসি-২
এর একটি আভিযানিক দল সোমবার (২২ জানুয়ারী) সকালে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
নোয়াপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পাসপোর্ট দালাল চক্রের মূলহোতা সহ সর্বমোট
১৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করে। পাসপোর্ট দালাল চক্রের আসামীদেরকে কাছ থেকে ৪ টি
পাসপোর্ট, ৮৭ সেট ডেলিভারি স্লীপ, ১২ টি মোবাইল সেট ও নগদ ১২,৬০০ টাকা সহ পাসপোর্ট
সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীগণ হলোঃ-
১। মোঃ সাব্বির
হোসেন (২৪), পিতা-মোঃ নজরুল ইসলাম, সাং-হাড়াতলী, থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
২। মোঃ সাফি মাহমুদ
(২৮), পিতা-মৃত মঈন উদ্দিন, সাং-নোয়াপাড়া, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৩। মোঃ সুজন
(৪২), পিতা-মৃত ইদ্রিস মিয়া, সাং-ছোটরা, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৪। তানজিদ হাসান
(৩০), পিতা-তোফাজ্জল হোসেন, সাং-শিকারপুর, থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা।
৫। মোঃ জয়নাল
আবেদীন (৫৩), পিতা-মৃত সুলতান মিয়া, সাং-নোয়াপাড়া, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৬। মোঃ ইমরুল
হক (৩২), পিতা-মোঃ মঞ্জুরুল হক, সাং-মোনসেফ বাড়ী, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৭। মোঃ আলী (২৭),
পিতা-সুলতান আহমেদ, সাং-মোহনপুর, থানা-চান্দিনা, জেলা-কুমিল্লা।
৮। মোঃ শাহাদাত
হোসেন প্রিন্স (২৮), পিতা-মোঃ দেলোয়ার হোসেন রোমান, সাং-নতুন চৌধুরী পাড়া, থানা-কোতয়ালী
মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
৯। মোশারফ হোসেন
সাকিব (২০), পিতা-মৃত আব্দুল মতিন, সাং-শাসনগাছা, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
১০। মোঃ রনি
(২৩), পিতা-মোঃ রুক মিয়া, সাং-শংকরপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
১১। ফয়সাল আহমেদ
ইমন (২১), পিতা-বিল্লাল হোসেন, সাং-রাজাপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
১২। জহির আহম্মেদ
(২৬), পিতা-খোরশেদ আলম, সাং-দক্ষিণ ধনপুর, থানা-লালমাই, জেলা-কুমিল্লা।
১৩। পারভেজ (২২),
পিতা-আবুল হোসেন, সাং-বরহাতুয়া, থানা-বরুড়া, জেলা-কুমিল্লা।
১৪। সিয়ামুল ইসলাম
সৈকত (২০), পিতা-আলাউদ্দিন, সাং-মানিকারচর, থানা-মেঘনা, জেলা-কুমিল্লা।
র্যাব জানান,
তারা দীর্ঘদিন যাবৎ পাসপোর্ট তৈরী করে দেওয়ার নাম করে ভুক্তভোগী লোকজনের নিকট থেকে
সরকার নির্ধারিত রেট এর অধিক বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল বলে স্বীকার করে।
মূলতঃ তারা ৩টি গ্রুপে এই কার্যক্রম পরিচালনা করে, যার একটি গ্রুপ সাধারণ মানুষকে সহজভাবে
পাসপোর্ট তৈরী করার নাম করে বিভিন্ন এজেন্টের নিকট নিয়ে আসে। এই এজেন্টের গ্রুপ ভুক্তভোগীদের
অনলাইন আবেদন ও ব্যাংক ড্রাফট করে দেওয়ার পাশাপাশি দ্রুতসময়ে পাসপোর্ট দিবে বলে ডেলিভারী
স্লীপ নিজেদের নিকট রেখে দেয়। অপর গ্রুপ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে পাসপোর্ট ডেলিভারী
করার নির্দিষ্ট তারিখ নিধারণ করে। এভাবেই তাদের কাছে টাকা জমা দিলে তারা বিভিন্নভাবে
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জালিয়াতি মাধ্যমে প্রস্তুত করে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে পাসপোর্ট
অফিস থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করে আসছিল।
উক্ত
বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন