প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত ‘মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন ।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর সরকারপ্রধান হিসেবে এটি ছিল তার প্রথম কোনো রাষ্ট্রীয় সফর।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানি যান প্রধানমন্ত্রী। মিউনিখে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা নিরাপত্তা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে বৈঠক করেন।
প্রধানমন্ত্রী জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি এবং ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
এছাড়া ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর ও যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বর্তমান পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী লর্ড ক্যামেরন এবং জার্মান ফেডারেল অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়নমন্ত্রী সভেনজা শুলজেও শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
মন্তব্য করুন
গতকাল বিকালে গণভবনে বেলজিয়াম সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আয়োজিত হয়।
সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে, তা সময় মতোই হবে।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সন্ত্রাসী, বিএনপি সন্ত্রাসী দল, সেটা তারা আবার প্রমাণ করেছে, বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন। সন্ত্রাসীদের কীভাবে শিক্ষা দিতে হয়, সেভাবে দিতে হবে।
ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেয়েনের আমন্ত্রণে ২৫-২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিতে গত ২৪ অক্টোবর ব্রাসেলসে যান প্রধানমন্ত্রী। সফর শেষে ২৭ অক্টোবর দেশে ফেরেন তিনি।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মহাপরিচালক অ্যামি পোপ।
মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি গণভবনে গিয়ে তিনি এ সাক্ষাৎ করেন।
রবিবার ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ।
জানা গেছে, সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকা সফর করবেন জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা। আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপকে দিয়ে শুরু হচ্ছে এ সফর।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইওএম মহাপরিচালক ৫-৯ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জনসভায় যোগ দিতে আগামী মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রংপুরে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, মঙ্গলবার প্লেনযোগে শ্বশুরবাড়ির এলাকা রংপুরের পীরগঞ্জে (রংপুর-৬) যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেখানে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন তিনি।
গত ২০ ডিসেম্বর হজরত শাহজালাল ও হজরত শাহ পরানের মাজার জিয়ারতের পর সিলেটের আলিয়া মাদরাসা মাঠে জনসভার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন আওয়ামী লীগ প্রধান।
২১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট, রাজশাহী বিভাগের নাটোর ও পাবনা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়িতে নির্বাচনী জনসভায় ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা।
২৩ ডিসেম্বর বিকেলে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, নেত্রকোনা, রাঙামাটি এবং বরগুনা জেলার বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলার জনসভায় ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করেন তিনি।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে আরও ৬ জেলায় নির্বাচনী জনসভায় ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেবেন শেখ হাসিনা।
আগামী ২৯ ডিসেম্বর বরিশাল সফরে যাবেন আওয়ামী লীগ প্রধান। এদিন বিকেল ৩টায় বরিশাল জেলা সদরে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন ।
এরপর আগামী ৩০ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলা সফর করবেন আওয়ামী লীগ প্রধান। এদিন গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া) আসন নিজের নির্বাচনী এলাকায় জনসভায় বক্তব্য দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এ ছাড়া এদিন মাদারীপুর-৩ আসনেও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ১ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকায় নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এদিন বিকেল ৩টায় মোহাম্মদপুর শারীরিক চর্চা কেন্দ্র মাঠে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন
মহান মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের
সব মেহনতি মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
১ মে ‘মহান মে দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া
এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার
গৌরবোজ্জ্বল ত্যাগের ঐতিহাসিক দিন ‘মহান মে দিবস’ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব
মেহনতি মানুষকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক
গড়ব দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
১৮৮৬ সালের পহেলা মে যুক্তরাষ্ট্রের
শিকাগো শহরে রক্তাক্ত আন্দোলনে শ্রমিকের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আত্মাহুতি দেওয়া
বীর শ্রমিকদের প্রতিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের
সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শোষিত, বঞ্চিত
ও শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন। শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার
লক্ষ্যে তিনি ১৯৭২ সালে জাতীয় শ্রমনীতি প্রণয়ন করেন এবং প্রথম মহান মে দিবসকে শ্রমিক
সংহতি দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের স্বীকৃতি দেন। জাতির পিতা মে দিবসে সরকারি
ছুটি ঘোষণা করেন। তিনি শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে মজুরি কমিশন গঠন করেন
এবং নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করেন। ১৯৭২ সালে মহান মে দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব
জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। সেই ভাষণে তিনি শ্রমিকদের মজুরির হার বৃদ্ধি এবং যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত
ও দুর্দশাগ্রস্ত শ্রমিকদের এডহক সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি পরিত্যক্ত কল-কারখানা
জাতীয়করণ করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেন।
জাতির পিতার উদ্যোগে বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের ২২ জুন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও)
সদস্যপদ লাভ করে। আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের শ্রমজীবী মানুষের
জীবনমান উন্নয়ন ও কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। মালিক-শ্রমিকের
মধ্যে সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে নিরাপদ কর্মপরিবেশ, সামাজিক নিরাপত্তা
ও শ্রমিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রম আইন যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করে ‘বাংলাদেশ
শ্রম (সংশোধন) আইন-২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন খাতে কর্মরত শ্রমিকদের কল্যাণ
নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে। এ তহবিল থেকে যে কোনো
শ্রমিক কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনাজনিত কারণে স্থায়ীভাবে অক্ষম হলে অথবা মৃত্যুবরণ করলে,
জরুরি চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ ও দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসার জন্য এবং শ্রমিকদের সন্তানের
উচ্চ শিক্ষার জন্যও আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন। তার সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে আন্তর্জাতিক
শ্রম সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এবং কার্যক্রম আরও সুদৃঢ় হয়েছে। শিল্প-কারখানায়
কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে উন্নীত
করা হয়েছে। শ্রমিক ও তাদের পরিবারের কল্যাণে বিভিন্ন সেবার সম্প্রসারণ ও জোরদারকরণে
আমরা শ্রম পরিদপ্তরকে সম্প্রতি অধিদপ্তরে রূপান্তর করেছি। শ্রমিক ভাই-বোনদের যে কোনো
সমস্যা সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ, অভিযোগ নিষ্পত্তি ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার জন্য
সার্বক্ষণিক টোল ফ্রি হেল্প লাইন (১৬৩৫৭) চালু করা হয়েছে। শিল্প কারখানায় বিশেষ করে
গার্মেন্টস শিল্পে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথাযথ পরিদর্শন ও মনিটরিং ব্যবস্থা
চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী ও বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাস সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধু অ্যাপের শুভ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গণভবনে অ্যাপটি উদ্বোধন করা হয়। অ্যাপটি তৈরি করেছে দুর্বার টেকনোলজিস লিমিটেড।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই মানুষ জাতির পিতার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন সম্পর্কে জানতে পারবে। সেই সঙ্গে আমাদের মহান স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে আমাদের মহান স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অ্যাপটি তৈরির মহতী উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুপ্রেরণা ও দিক নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এস এম ফারুকী হাসান, রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, লুৎফুর রহমান, রেজাউল মাকসুদ জাহেদী, লে. কমান্ডার মসিউল, জামিলুর রহমান ও মো. সুমন মিয়া।
মন্তব্য করুন
নির্বাচনে কে আসবে না আসবে তা এখনো চূড়ান্ত নয়। এমনও কিছু হতে পারে যা আপনি-আমি, কেউ ভাবছি না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ রংপুরের ৩৩টি, রাজশাহীর ৩৯টিসহ মোট ৭২টি আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। আমরা সব আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত ফল প্রকাশ করব না। একসঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সারা দেশের ফল ঘোষণা করব। বর্তমান সংসদ সদস্য কয়েকজন বাদ পড়ছেন। এই মুহূর্তে আমি তাদের নাম বলতে পারছি না, তবে বাদ পড়ছেন। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৫ নভেম্বর (শনিবার) প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা হবে। আগে আমরা দেখি কারা বিদ্রোহী হয়, তারপর সিদ্ধান্ত নেব।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন,পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি
খুঁজে পায় নিজস্ব ঐতিহ্য,সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি আজ দেয়া এক বাণীতে বলেন, শুভ
নববর্ষ-১৪৩১’ পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির জীবনে পরম আনন্দের একটি দিন। আনন্দঘন
এই দিনে আমি দেশে ও বিদেশে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে জানাই বাংলা নববর্ষের
শুভেচ্ছা। ২০১৬ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্ব
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রদর্শন ও আদর্শের
অন্যতম ভিত্তি ছিল দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও জাতীয় চেতনার উন্মেষ। সেই চেতনায়
উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কারারুদ্ধ জীবনে সহবন্দিদের নিয়ে নববর্ষ উদযাপন
করেছিলেন। জাতীয় সংস্কৃতির এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জাতি হিসেবে বাঙালির জন্য
পরম গৌরব ও মর্যাদার।
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন,পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি খুঁজে পায় নিজস্ব
ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ। দুঃখ, জরা, ব্যর্থতা ও মলিনতাকে ভুলে সবাই জেগে
ওঠে নব আনন্দে, নব উদ্যমে। বৈশাখের আগমনে বেজে উঠে নতুনের জয়গান। ফসলি সন
হিসেবে মোঘল আমলে যে বর্ষগণনার সূচনা হয়েছিল,সময়ের সাথে আজ সমগ্র বাঙালির
অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে।
এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের
আত্মবিকাশ ও বেড়ে ওঠার প্রেরণা। বৈশাখ শুধু উৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।বাঙালি
সংস্কৃতির বিকাশ,আত্মনিয়ন্ত্রণ ও মুক্তিসাধনায় পহেলা বৈশাখ এক অবিনাশী শক্তি।
বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও গণতান্ত্রিক বিকাশে সংস্কৃতির এই শক্তি রাজনৈতিকতন্ত্রের
চেতনাকে দৃঢ় ও বেগবান করে।
"পহেলা বৈশাখ আমাদেরকে উদার হতে শিক্ষা দেয় এবং একটি আদর্শ জাতিকে মানব সমাজের অনুপ্রাণিত হয়ে
বিশ্বমানবের সঙ্গে মিশে যাওয়ার শক্তি জোগায়। এই উদারনৈতিক চেতনাকে ধারণ করে
বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রদর্শন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আদর্শ এবং রাষ্ট্রভাষা চেতনার
বহ্নিশিখা অন্তরে ধারণ করে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ
বিনির্মাণ হোক আজকের দিনে সকলের অঙ্গীকার।"
ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকলে মিলে নাচ-গান, শোভাযাত্রা,
আনন্দ-উৎসব, হরেক রকম খাবার ও বাহারি সাজে বৈশাখকে বরণ করে নেয় উৎসবপ্রেমী বাঙালি
জাতি। নতুন বছরে যাত্রাপালা, পুতুলনাচ, লোকসংগীত, গ্রামীণ খেলাধুলা, মেলাসহ
নানাবিধ বর্ণিল আয়োজন মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয় আনন্দ ও সম্প্রীতির নতুন
বার্তা।
রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা - সকল অশুভ ও অসুন্দরের ওপর সত্য ও
সুন্দরের জয় হোক। ফেলে আসা বছরের সব শোক-দুঃখ-জরা দূর হোক, নতুন বছর জাতীয় ও ব্যক্তিজীবনে
নিয়ে আসুক অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধি।
মন্তব্য করুন
ভূমি ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতিটি উপজেলায় একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২৭ নভেম্বর সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী ভূমি ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতিটি উপজেলাকে একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করতে নির্দেশনা দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, আলোচনার চলার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তরফ থেকে একটি নির্দেশনা এসেছে, সেটি হলো যে ভূমি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেক উপজেলার যেন একটি মাস্টারপ্ল্যান থাকে। উনি নির্দেশনা দিয়েছেন এখন স্থানীয় সরকার বিভাগ কাজ করবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এ লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছেন।
সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, স্বল্পতম সময়ের মধ্যে যেন কাজটি সম্পন্ন হয়। এটা থাকলে আমাদের যে উন্নয়ন কাজ হচ্ছে, সেক্ষেত্রে ভূমি ব্যবহার খুবই যৌক্তিক হবে। যত্রতত্র যেন ঘরবাড়ি, শিল্প স্থাপন কিংবা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার করা না হয়, সেদিকে নজর রাখতে বলছেন। এতে ভূমি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের একটা শৃঙ্খলা আসবে।
মন্তব্য করুন
ভারতীয় সহায়তায় বাস্তবায়িত ৩টি উন্নয়ন প্রকল্প যৌথভাবে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
১ নভেম্বর বুধবার গণভবন থেকে শেখ হাসিনা এবং নয়াদিল্লি থেকে নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্প ৩টি উদ্বোধন করেন।
প্রকল্প ৩টি হলো আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ, খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিট-২।
আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ প্রকল্পটি ভারত সরকারের অনুদান সহায়তার অধীনে বাংলাদেশকে প্রদত্ত ভারতীয় ৩৯২ দশমিক ৫২ কোটি রুপি ব্যয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
বাংলাদেশে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার ডুয়াল গেজ ও ত্রিপুরায় ৫ দশমিক ৪৬ কিলোমিটার রেললাইনসহ এই রেল সংযোগের দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার।
খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন প্রকল্পটি ভারত সরকারের কনসেশনাল লাইন অব ক্রেডিটের অধীনে বাস্তবায়িত হয়েছে, যার মোট প্রকল্প ব্যয় ৩৮৮ দশমিক ৯২ মিলিয়ন ডলার।
এই প্রকল্পে মোংলা বন্দর ও খুলনায় বিদ্যমান রেল নেটওয়ার্কের মধ্যে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর মোংলা ব্রডগেজ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হবে।
ভারতীয় কনসেশনাল ফাইন্যান্সিং স্কিমের আওতায় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণের অধীনে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট হলো বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের রামপালে অবস্থিত একটি ১৩২০ মেগাওয়াট (২X৬৬০) সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট (এমএসটিপিপি)।
প্রকল্পটি বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) কর্তৃক বাস্তবায়িত হয়েছে, যা ভারতের এনটিপিসি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) মধ্যে একটি ৫০৫০ জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে উভয় প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিট-১ উন্মোচন করেন। মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের কার্যক্রম বাংলাদেশে বিদ্যুৎ নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে।
আশা করা হচ্ছে প্রকল্পগুলো এই অঞ্চলে কানেক্টিভিটি ও বিদ্যুৎ নিরাপত্তা জোরদার করবে।
মন্তব্য করুন
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজের নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ বুধবার(১৫নভেম্বর) থেকে ২০২৪ সালের সরকারি ও বেসরকারি হজযাত্রীদের নিবন্ধন শুরু হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার (হজ এজেন্সি) হজযাত্রীরা ১৫ই নভেম্বর থেকে আগামী ১০ই ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধনের টাকা জমা দিতে পারবেন।
আগামী ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত সব হজযাত্রী নিবন্ধন করতে পারবেন। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সর্বশেষ নিবন্ধনের ক্রমিক হল ৯১০০৯৬।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ই জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এই চলতি বছরের মতো আগামী ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। তার মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটায় ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটায় এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে।
সরকারি ভাবে আগামী বছর হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বিশেষ হজ প্যাকেজের মধ্যমে হজ পালনে খরচ হবে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা।
অপরদিকে বেসরকারি ভাবে এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে সাধারণ প্যাকেজে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ হবে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা। বিশেষ প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা খরচ হবে ।
মন্তব্য করুন