প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে, মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এই অবস্থা শুধু আমাদের
নয়, বিশ্বব্যাপী। তারপরেও আমাদের দেশে মানুষের যাতে কষ্ট না হয়, এই রমজান মাসে আমরা
মানুষের মাঝে বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ করছি। আমরা ইফতার পার্টি বাদ দিয়েছি, আমাদের
নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সবাইকে আহ্বান করেছি, ইফতার পার্টি না করে সাধারণ মানুষের
মাঝে খাদ্য বিতরণ করেন, তাদের পাশে দাঁড়ান।
সোমবার
(২৫ মার্চ) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি ২০২৪ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী ১০ জন
বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ইফতার পার্টি বাদ দিয়েছি, আমাদের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সকলকে
আহ্বান করেছি, ইফতার পার্টি না করে সাধারণ মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ করেন, তাদের পাশে
দাঁড়ান। খাওয়া তো বড় কথা না, মানুষকে দেওয়াটাই বড় কথা। খাওয়ার বিষয়টা বাদ দিয়ে
দেওয়ার দিকে মনোযোগ দিয়েছি, মানুষের যেন কোনরকম কষ্ট না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেছি।
এভাবে আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি, আমাদের লক্ষ্য এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব
হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসহ বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা
উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ‘এশিয়া ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার’ পুরস্কার তুলে দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, ৩ ডিসেম্বর রোববার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে পুরস্কার তুলে দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় নেতৃত্ব এবং সোচ্চার কণ্ঠস্বরের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে ‘এশিয়া ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার’ পুরস্কার দেওয়া হয়।
১ ডিসেম্বর শুক্রবার দুবাইয়ে কপ-২৮ শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে গ্লোবাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট মোবিলিটি এ পুরস্কার প্রদান করে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন কপ-২৮ এ বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
দুবাইয়ে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সহ-সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট অ্যাম্বাসেডর ড্যানিস ফ্র্যান্সিস এবং আওএমের জেনারেল সেক্রেটারি অ্যামি পোপ।
মন্তব্য করুন
রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডে ভয়াবহ আগুনে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপ্রধান শোকবার্তায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
প্রধানমন্ত্রী আহতদের দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দেন। এ ছাড়া, আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার(২৯ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বেইলি রোডের একটি বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছেন।
মন্তব্য করুন
আনুষ্ঠানিকভাবে দলের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে সিলেটে পৌঁছালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৩৩ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৬০১ ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে পৌঁছান।
দলীয় সূত্র জানায়, বিকেল ৩টায় সিলেট নগরের আলিয়া মাদরাসা ময়দানে জেলা ও মহানগর আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন।
আলিয়া মাদরাসা ময়দানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে সভামঞ্চ। ইতোমধ্যে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সমাবেশে আসতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে পুরো সিলেটে সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর অন্তত ২৫টি ইউনিটের সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের নবাগত কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান জানিয়েছেন প্রায় ৪ হাজারের অধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
মন্তব্য করুন
আগামী ১লা জানুয়ারি রাজধানী ঢাকায় নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
এ তথ্য গণমাধ্যমকে জানান, ঢাকা-১৩ আসনের নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।তিনি বলেন, ১লা জানুয়ারি বিকেল ৩টায় মোহাম্মদপুর শারীরিক চর্চা কেন্দ্র মাঠে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।
গত বুধবার হজরত শাহজালাল ও হজরত শাহ পরানের মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে সিলেট সফর শুরু করেন শেখ হাসিনা। এরপর সিলেটের আলিয়া মাদরাসা মাঠে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেন আওয়ামী লীগ প্রধান এবং সেই জনসভা থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন।
২১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট, রাজশাহী বিভাগের নাটোর ও পাবনা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়িতে নির্বাচনী জনসভায় ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
২৩ ডিসেম্বর (শনিবার) বিকেলে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, নেত্রকোনা, রাঙ্গামাটি এবং বরগুনা জেলার বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলার জনসভায় ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করবেন তিনি।
আগামী ২৯ ডিসেম্বর বরিশাল সফরে যাবেন শেখ হাসিনা। এদিন বিকেল ৩টায় বরিশাল জেলা সদরে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
এর পর আগামী ৩০ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ এবং মাদারীপুর জেলা সফর করবেন আওয়ামী লীগ প্রধান। এদিন গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া) আসন নিজের নির্বাচনী এলাকায় জনসভায় বক্তব্য দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এছাড়া এদিন মাদারীপুর-৩ আসনেও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন শেখ হাসিনা।
মন্তব্য করুন
রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ড রোধে রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, আমার মনে হয়, রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে আরো বেশি সতর্ক হওয়া উচিত। সামান্য একটা ভুলের জন্য ৪৫টা প্রাণ চলে গেল, এর থেকে মর্মান্তিক আর কিছু হতে পারে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আরো বেশি অভিযান পরিচালনা করা উচিত। এই দুই প্রতিষ্ঠান আরো বেশি সতর্ক হলে অগ্নিকাণ্ড সামনের দিনে কমে আসবে।
(২ মার্চ) শনিবার সকালে ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটি আয়োজিত ২৩তম আন্তর্জাতিক সায়েন্টিফিক সেমিনারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসপাতালে সব ধরনের অনিয়ম বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযান চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অতীতে কী হয়েছে সেগুলো মনে রাখা যাবে না। ইচ্ছা করলেই অনিয়ম করে আর হাসপাতাল খোলা যাবে না। অভিযান লাগাতার চলবে।
সামন্ত লাল বলেন, আমি বাংলাদেশের সব হাসপাতাল বন্ধ করার পক্ষে না। হাসপাতাল থাকবে, সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালও থাকবে। কিন্তু সে হাসপাতালগুলোকে নিয়ম মেনে যা যা ক্রাইটেরিয়া দরকার সেগুলো মেনে চলতে হবে।
মন্তব্য করুন
আজ সকাল ১১টার দিকে ভার্চ্যুয়ালি এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী ।দীর্ঘ অপেক্ষার পর দুয়ার খুলল দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নভোথিয়েটারের।
এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন তিনটি প্রকল্পের অধীন নব নির্মিত ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পেরও উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসককের কার্যালয় থেকে যুক্ত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো আনিসুর রহমান, রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুর রহমান।
এছাড়া রাজশাহীর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা, বিভাগীয় ও জেলাপর্যায়ের কর্মকর্তারা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
পরে রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন নভোথিয়েটারের ফলক উন্মোচন করে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং মহাগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রথম শো উপভোগ করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৩২ কেটি টাকা। এর মধ্যে শুধু ভবন তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ১৪২ কেটি টাকা। বাকি অর্থ ব্যয় হয়েছে নভোথিয়েটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য খাতে। এতে স্থাপন করা হয়েছে বিশ্বের অত্যাধুনিক টেলিস্কোপ। যা দিয়ে এখানকার গবেষকরা নভোমণ্ডলের গবেষণা আরও এগিয়ে নিতে পারবেন।
রাজশাহীতে দেশের বৃহত্তম এই নভোথিয়েটার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে মহানগরবাসী ও নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের আকাশচুম্বী প্রত্যাশা পূরণ হলো। শিক্ষা ও গবেষণায় দুয়ার খুলল নব দিগন্তের।
মন্তব্য করুন
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণই আমার পরিবার। বাংলাদেশের জনগণই আমার আপনজন। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনে বুকের রক্ত ঢেলে দেবো।
১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর দীর্ঘদিন নির্বাসিত জীবন শেষে ১৯৮১ সালে দেশের ফেরার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশে ফিরে আমি পেয়েছিলাম সারি সারি কবর। সেই কবরের মাটি ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, এ স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে পারে না। এ স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে দেবো না। আমার যাত্রাপথ এত সহজ ছিল না। নানা ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত চলছিল, এখনো ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত আছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিশাল জনসভায় আমি বলেছিলাম, বাংলাদেশের জনগণই আমার পরিবার। বাংলাদেশের জনগণই আমার আপনজন। তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য যেভাবে আমার বাবা তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, যেভাবে আমার মা, আমার ভাইয়েরা জীবন দিয়ে গেছেন, আমিও আমার বুকের রক্ত ঢেলে দেবো মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য।
তিনি বলেন, আমার চলার পথ, প্রতি পদে পদে বাধা। এখনো মনে পড়ে সেই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ আমাদের কত জন জীবন দিয়েছে। কত রকম অত্যাচার হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেই, সংগ্রাম করে আমরা ক্ষমতায় ফিরতে পেরেছি।
তিনি বলেন, কোনো জায়গা থেকেই আমরা কোনো সহযোগিতা পাইনি। আমাদের একমাত্র শক্তি মানুষের সমর্থন। মানুষের ভালোবাসাই হলো আমাদের প্রেরণা।
এই মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গণভবন মাঠে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রায় দেড় হাজার নারী অংশ নেন।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের জনগণ এবং গণতন্ত্রের জয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন।
মঙ্গলবার
(৩০ জানুয়ারি) বিকেলে সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি
এ মন্তব্য করেছেন।
রেওয়াজ
অনুযায়ী সংসদের প্রথম অধিবেশন এবং প্রতি বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি
ভাষণ দিয়ে থাকেন। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন ভাষণ দেন।
এ
সময় অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। অধিবেশনে অন্যান্যের
মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী,
বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরসহ সংসদ সদস্যরা।
রাষ্ট্রপতি
মো: সাহাবুদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, দেশের গণতন্ত্রের জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজন অত্যন্ত যুগান্তকারী ঘটনা, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক
অঙ্গনে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় হয়েছে
দেশের জনগণের, জয় হয়েছে গণতন্ত্রের। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সফলভাবে নির্বাচন পরিচালনার
মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক শক্তি আরও সুদৃঢ় হয়েছে। নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবেই, জনগণের
রায় মেনে নিয়ে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ মানুষের
স্বতঃস্ফূর্ত ও সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্যই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সব পদক্ষেপ সার্থক
হয়েছে। নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলো সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন
করেছে।
মন্তব্য করুন
বর্ণাঢ্য আয়োজন বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা এবং আনন্দমুখর পরিবেশে প্রতিবারের ন্যায় এবারও পুলিশ সপ্তাহ ২০২৪ আগামীকাল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) শুরু হচ্ছে ।
ছয় দিনব্যাপী এ পুলিশ সপ্তাহ চলবে ৩ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত।
পুলিশ সপ্তাহ ২০২৪ এর মূল প্রতিপাদ্য-স্মার্ট পুলিশ, স্মার্ট দেশ; শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ।
বর্তমান সরকার পুলিশ বাহিনীকে একটি আধুনিক, যুগোপযোগী, দক্ষ ও জনবান্ধব বাহিনীতে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে পুলিশ সদস্যদের কার্যক্রমে এসেছে গতিশীলতা এবং কর্মচাঞ্চল্য। পুলিশের জনবল বৃদ্ধি, সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তির সংযোজন, যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিশেষায়িত নতুন নতুন ইউনিট গঠনসহ বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশ পৃথক বাণী দিবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিন সকাল সাড়ে দশটায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনস্ মাঠে সুশৃঙ্খল ও নয়নাভিরাম বার্ষিক পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন। তিনি সারাদেশের বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট এবং পতাকাবাহীদলের মনোমুগ্ধকর প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ শেষে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) এর স্টল পরিদর্শন এবং পুলিশ সদস্যদের সাথে কল্যাণ প্যারেডে অংশগ্রহণ করবেন।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন ও বেতার চ্যানেলগুলোতে এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বিগত ২০২৩ সালে অসীম সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ কাজ, মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা প্রদর্শন, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের জন্য ৪০০ জন বিপিএম ও পিপিএম পদক পাচ্ছেন। পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অসীম সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ৩৫ জন পুলিশ সদস্যকে “বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)” , ৬০ জনকে “রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)” এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা প্রদর্শন, কর্তব্য নিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ৯৫ জন পুলিশ সদস্যকে “বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম-সেবা)” এবং ২১০ জনকে “রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম-সেবা)” পদক প্রদান করা হবে। প্রধানমন্ত্রী পদকপ্রাপ্তদেরকে পদক প্রদান করবেন।
পুলিশ সপ্তাহের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতির ভাষণ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সম্মেলন, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মেলন, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীবর্গের সম্মেলন, আইজি’ব্যাজ, শিল্ড প্যারেড, অস্ত্র/মাদক উদ্ধার প্রভৃতি পুরস্কার বিতরণ, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে কর্মরত পুলিশ অফিসারদের পুনর্মিলনী, পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির বার্ষিক সমাবেশ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে আইজিপির সম্মেলন এবং বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা ইত্যাদি।
আগামী ৩ মার্চ ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে পুলিশ সপ্তাহের নানা আয়োজনের।
পুলিশ সপ্তাহে বিগত এক বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে পরবর্তী বছরের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়।
মন্তব্য করুন
জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা
নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার
(১৭ মার্চ) সকাল ৭ টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের
সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রথমে
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। এ সময়
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা গার্ড অব অনার প্রদান করে। এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে
দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা।
পুষ্পস্তবক
অর্পণের পর স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টের শহীদদের
আত্মার মাগফেরাত কামনা করে কোরআন তেলাওয়াত এবং দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে দেশের
অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করা হয়।
মন্তব্য করুন