

টাঙ্গাইলে জুয়া খেলা ও মাদক সেবনকালে যৌথবাহিনীর অভিযানে সদর বিএনপির সভাপতি আজগর আলীসহ ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান চালানো হয়।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে শহরের কিছু এলাকায় জুয়া খেলা ও মাদক সেবনের অভিযোগ ছিল। যৌথবাহিনীর অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৩৫ জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। এ সময় জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন:
১. আজগর আলী (৫০), পিতা: মৃত আব্দুল মজিদ, গ্রাম: পাতুলিয়া, টাঙ্গাইল।
২. রক্ষিত (৫৫) বিশ্বজিৎ, পিতা: বিধুন ভূষণ লক্ষ্মী, গ্রাম: কালিবাড়ি, টাঙ্গাইল।
৩. মো: শাহ আলম খান মিঠু (৫৫), পিতা: আব্দুর সবুর খান (বীর বিক্রম), গ্রাম: পূর্ব আদালত পাড়া, টাঙ্গাইল।
৪. জসিম উদ্দিন (৫৭), পিতা: মৃত কোবাদা আলি, গ্রাম: পাট দিঘলিয়া, টাঙ্গাইল।
৫. গোলাম মাওলা (৪৮), পিতা: আব্দুল কাদের, গ্রাম: খুদর জুগলি, ডাক: বাখিল, টাঙ্গাইল।
৬. শাহিন আহমেদ (৫০), পিতা: মৃত বদিল আহমেদ, গ্রাম: থানা পাড়া, টাঙ্গাইল।
৭. আবু জাফর খান (৪৪), পিতা: আমজাদ হোসেন, গ্রাম: থানা পাড়া, টাঙ্গাইল।
৮. মো: আব্দুর রশিদ (৫৫), পিতা: হাজি মোহাম্মদ ওমর আলী, গ্রাম: বিশ্বাস বেতকা, টাঙ্গাইল সদর।
৯. মঈন খান (৬০), পিতা: মৃত খাদেম আলী, গ্রাম: আকুর টাকুরপাড়া, টাঙ্গাইল।
১০. মোস্তফা কামাল (৫৮), পিতা: মৃত ইসমাইল, গ্রাম: করোটিয়া, টাঙ্গাইল।
১১. বিশ্বনাথ ঘোষ (৫৪), পিতা: মৃত মন্টু চন্দ্র ঘোষ, গ্রাম: সাকলিয়া, টাঙ্গাইল।
১২. একে এম মাসুদ (৫৫), পিতা: মিনহাজ, গ্রাম: সাকলিয়া, টাঙ্গাইল।
১৩. শিপন (৫৮), পিতা: মৃত শামসুল হক, গ্রাম: বিশ্বাস বেতকা, টাঙ্গাইল।
১৪. শফিকুল ইসলাম (৬০), পিতা: মৃত শহীদুল্লাহ, গ্রাম: আকুর টাকুরপাড়া, টাঙ্গাইল।
১৫. এস এম ফরিদ আমিন (৫৫), পিতা: মৃত নুরুল আমিন, গ্রাম: বেপারী পাড়া, টাঙ্গাইল।
১৬. কবির হোসেন (৫০), পিতা: মৃত জসীমউদ্দীন, গ্রাম: আকুর টাকুরপাড়া, টাঙ্গাইল।
১৭. মোশারফ উদ্দিন (৫০), পিতা: মৃত রফিক উদ্দিন, গ্রাম: আদালত পাড়া, টাঙ্গাইল।
১৮. হাবিল উদ্দিন (৪০), পিতা: মৃত আব্দুল হানিফ, গ্রাম: বরাট, ডাক: ঘারিন্দা, টাঙ্গাইল।
১৯. মহব্বত আলী (৫৫), পিতা: মৃত শওকত, গ্রাম: বিশ্বাস বেতকা, টাঙ্গাইল।
২০. জাহিদ (৪৪), পিতা: মৃত মজিদ মসজিদ, গ্রাম: আকুর টাকুরপাড়া, টাঙ্গাইল।
২১. প্রিন্স খান (৬৫), পিতা: মনিরুজ্জামান, গ্রাম: থানাপাড়া, টাঙ্গাইল।
২২. সৈয়দ শামসুদ্দোহা (৪৫), পিতা: মৃত কামরুল, গ্রাম: থানাপাড়া, টাঙ্গাইল।
২৩. রফিকুল (৫৫), পিতা: আলিম, গ্রাম: আদালত পাড়া, টাঙ্গাইল।
২৪. বিশ্বজিৎ (৪৫), পিতা: বিজু, গ্রাম: বানিয়াবাড়ি, টাঙ্গাইল।
২৫. সাদেকুর (৫০), পিতা: গোলাম রব্বানী, গ্রাম: পাড় দিঘলী, টাঙ্গাইল।
২৬. সেলিম (৪৫), পিতা: আব্দুর রশিদ, গ্রাম: কাজিপুর, টাঙ্গাইল।
২৭. হাসান আলী (৫০), পিতা: ফেরদৌস, গ্রাম: পূর্ব আদালত পাড়া, টাঙ্গাইল।
২৮. রফিক (৪০), পিতা: মৃত জসিম, গ্রাম: বিশ্বাস বেতকা, টাঙ্গাইল।
২৯. শাহ আলম (৫৫), পিতা: সবুর খান, গ্রাম: পূর্ব আদালত পাড়া, টাঙ্গাইল।
৩০. সিরাজুল (৪৫), পিতা: মৃত রফিক, গ্রাম: পূর্ব আদালত পাড়া, টাঙ্গাইল।
৩১. আশিকুর রহমান (৪৬), পিতা: রউফ, গ্রাম: বিশ্বাস বেতুকা, টাঙ্গাইল।
৩২. শফিক (৫২), পিতা: মৃত সেফাত আলী, গ্রাম: আদি টাঙ্গাইল, টাঙ্গাইল।
৩৩. আখতারুজ্জামান (৪৩), পিতা: মৃত গফুর, গ্রাম: বিশ্বাস বেতকা, টাঙ্গাইল।
৩৪. আরমান (৪৩), পিতা: মৃত শওকত, গ্রাম: আশেকপুর, টাঙ্গাইল।
৩৫. শামসুল (৫৬), পিতা: মিরাজুল, গ্রাম: ছয়আনি পুকুরপাড়, টাঙ্গাইল।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক :
বর্ণাঢ্য আয়োজনে ৮ ডিসেম্বর কুমিল্লা মুক্ত দিবস উদযাপিত হয়েছে।
এই উপলক্ষে সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসন ও কুমিল্লা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আয়োজনে কুমিল্লা নগরীর টাউন হল ময়দানে বেলুন উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,কুমিল্লা জেলার প্রশাসক মুঃ রেজা হাসান, পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা জেলা কমান্ডার নূরে আলম ভূইয়াসহ রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভায় বক্তব্যে বক্তরা বলেন,প্রতিবছর ৮ ডিসেম্বর কুমিল্লা মুক্ত দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়।
১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনী থেকে মুক্ত হয় কুমিল্লা। দীর্ঘ নয় মাসের নির্যাতন, দমন ও যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধা, মিত্রবাহিনী ও সর্বস্তরের জনগণ আনন্দের উল্লাসে শহরকে প্রকম্পিত করেছিলেন।পরে টাউন হল মাঠ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মন্তব্য করুন


সেনাবাহিনীর
সার্বিক সহযোগিতায় গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও সেনাবাহিনীর
যৌথ অভিযানে মাহিন সুপার আইসক্রিম কারখানার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও লক্ষাধিক
টাকার মালামাল জব্দসহ আগুনে পুড়িয়ে ও পুকুরে ফেলে ধ্বংস করা হয়েছে।
গত
মঙ্গলবার (১৭ জুন ) বিকালে পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের গোডাউন বাজার এলাকায়
এ অভিযান পরিচালিত হয়।
স্যানিটারী
ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পলাশবাড়ী গাইবান্ধার মোস্তাফিজার
রহমান জানান, আইসক্রিম তৈরির কারখানার কোন বি এস টি আই এর অনুমোদন না থাকায় মাহিন আইসক্রিম
ও দই তৈরির কারখানাকে প্রশাসনিক ব্যবস্থা হিসেবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী
২৯ এর ক ধারা মোতাবেক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনুমোদনহীন আইসক্রিম,দইসহ আইসক্রিম ও
দই তৈরির মালামাল ঘটনাস্থলে ধ্বংস করা হয়েছে।
জনস্বার্থে
এতদারকি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
অভিযোনে
গাইবান্ধা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রোমেন পাল, ভোক্তা অধিকার গাইবান্ধা'র সহকারী
পরিচালক,পরেশ চন্দ্র বর্মন ও গাইবান্ধা সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন রুবায়েদ হোসাইনে'র নেতৃত্বে
সেনাবাহিনীর একটি আভিযানিক দল উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


সময়ের পরিক্রমায় কুমিল্লার বন্যার পরিস্থিতির কোন কোন দিকে কিছুটা উন্নতি হলেও কোন কোন দিক এখন পর্যন্ত রয়ে গিয়েছে আগের মতই ।
তবে আশাজাগানিয়া বিষয়টি হলো মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রচেষ্টা এবং মানুষের স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাহায্যের হাত এগিয়ে দেওয়া বর্তমান পরিস্থিতিতে আগের চেয়ে অনেকটা আশার আলো নিয়ে এসেছে।
সাধারণ
মানুষ থেকে শুরু করে দেশের সর্বস্তরের মানুষের পাশাপাশি অন্যান্যদের মতো সহায়তার হাত
নিয়ে এগিয়ে এসেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটলিয়ন।
কুমিল্লায়
বন্যা দুর্গত অঞ্চলে মানুষের খাদ্য সহায়তা
দিতে এগিয়ে এসেছে র্যাব ১১, সিপিসি ২ কুমিল্লা।
সোমবার
দুপুর থেকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল ইউনিয়নের ফকির বাজার উচ্চ বিদ্যালয়
আশ্রয় কেন্দ্র, কালিকাপুর ডিগ্রি কলেজ আশ্রয় কেন্দ্র ও বকশিমুল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
আশ্রয় কেন্দ্র, আগ্গাপুর মোর্শেদা বেগম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্র, ছয় গ্রাম
উচ্চ বিদ্যালয়, ছয়গ্রাম মাদ্রাসা ও পাঁচোড়া বিদ্যানিকেতনে ১৫ শত মানুষের মাঝে খাদ্য
সহায়তা দিয়েছে র্যাব ১১ সিপিসি-২ কুমিল্লা।
উল্লেখিত
আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে বুড়িচং উপজেলার পিতাম্বর,বাকশিমুল, কালিকাপুর, দক্ষিণ কালিকাপুর,বলরামপুর,মাধবপুর,মাশড়া,খোদাইতলি,জগৎপুর,যদুপুর,হরিপুরসহ
বিভিন্ন এলাকার লোকজন আশ্রয় নিয়েছেন।
র্যাব ১১ সিপিসি ২ কুমিল্লার কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে এসকল ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন


নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরহাজারী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের তের
বাড়ি সমাজের মরহুম আব্দুস সোবহানের ছেলে ইমরোজ হোসেন রিপন (৩৬)। সে একজন জন্মান্ধ
যুবক।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা কোনো বাধাই নয়, এমনটা প্রমাণ করতে যেন তার
লড়াইটা জীবনের প্রথম দিন থেকে শুরু। মনের আলোয় উদ্ভাসিত এ যুবক পেশায় একজন
ইলেকট্রিক ও প্লাম্বার মিস্ত্রি। পাশাপাশি বাড়ির পাশে করছেন ছোট্র একটি ইলেকট্রিক
দোকান। শারীরিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও কারো কাছে হাত না পেতে করছেন ইলেকট্রিক ও
পাইপ ফিটারের কাজ। স্থানীয় এলাকাবাসী তার এমন প্রয়াসে অনুপ্রাণিত। সে যেন নিজের
অনুপ্রেরণা নিজেই।
১৯৮৬ সালে জন্ম গ্রহণ করেন রিপন। সাত ভাই-বোনের মধ্যে সে চতুর্থ।
বর্তমানে তার মা দুই ছেলের সাথে আমেরিকায় থাকেন। আমেরিকা প্রবাসী বড় বোন সুমনা ও
ডাক্তার শাহজান আক্তার এবং ছোট ভাই শিপনের সহযোগিতায় বাবার দিয়ে যাওয়া ঘরে এক ছেলে
এক মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছে রিপন।
নিজ গ্রামে বিদ্যুতায়ন শুরু হলে নিজের মধ্যে ইলেকট্রিকের কাজ শেখার
স্বপ্ন জাগে। কিন্তু এতে বাধা দেন মা-বাবাও স্থানীয় ইলেকট্রিক মিস্ত্রিরা। এরপর
একা একা নিজেদের বসত ঘরে ইলেকট্রিকের কাজ শিখতে চেষ্টা চালায় রিপন। একপর্যায়ে এ
নিয়ে চেঁচামেচি শুরু করে তার মা-বাবা। এ কারণে ইলেকট্রিকের কাজ করার যন্ত্রপাতি
লুকিয়ে রাখতেন। পরে ঘর থেকে বের হয়ে বারান্দায় চলে যান। সেখানে একাকী দীর্ঘ
চেষ্টার পর আয়ত্ত করে ইলেকট্রিক, প্লাম্বার ও সোলারের কাজ। এরপর তিনি গত ১৮ বছরে
নিজ গ্রামে বেশ কয়েকটি মসজিদসহ ১৫০-২০০টি ঘরের ইলেকট্রিক কাজ সম্পন্ন করেন। এছাড়াও
টুকিটাকি অসংখ্য মেরামতের কাজ করেছেন।
নিজের গ্রামের সকল রাস্তার সাথে তার নাড়ির সম্পর্ক। কারো সহযোগিতা
ছাড়াই রাস্তাঘাটে চলাফেরা করেন। একা একা যান নিজের দোকানে। গোসল থেকে খাবার সবই
করেন নিজে হাতে কারো সাহায্য ছাড়া। এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো সহযোগিতা পাননি রিপন।
রিপনের স্ত্রী শাহিনা আক্তার বলেন, স্বামী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হলেও
অন্যদের থেকে সে পুরোপুরি আলাদা। সে নিজের সকল কাজ নিজে করতে পারে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম শিপন বলেন, দৃষ্টি
প্রতিবন্ধকতা যে স্বপ্ন পূরণের জন্য বাধা নয় তার উজ্জল দৃষ্টান্ত রিপন।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়েও অবিরাম কাজের পিছনে ছুটে চলেছেন। দৃষ্টি তার সামনে এগোনোতে
কোনো বাধা হতে পারেনি, উল্টো সে এক অনুপ্রেরণার নাম। ব্যতিক্রমী প্রতিভার অধিকারী
রিপন কারো বোঝা না হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়। তার এ উদ্যম ও মনের শক্তি সমাজের
প্রতিটি মানুষের কর্মজীবনকে প্রভাবিত করবে এমনটাই সকলের প্রত্যাশা। তাকে খুব দ্রুত
একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


ডিএনসি-কুমিল্লার উদ্যোগে টাস্কফোর্স অভিযানে ১৮ কেজি গাঁজাসহ ১ জন আটক এবং মাদক সেবনের অপরাধে ২ জনকে মোবাইল কোর্টে কারাদন্ড প্রদান।
ডিএনসি-কুমিল্লার উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এরঁ সার্বিক তত্বাবধানে, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার স.ম আজহারুল ইসলাম এঁর নেতৃত্বে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ১৮ কেজি গাঁজা ও মাদক বিক্রির নগদ ১৪,০০০ হাজার টাকাসহ ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামস্থ রাজ্জাক সরদার বাড়ির আব্দুর রাজ্জাক এর ছেলে মোকলেস মিয়া-কে আটক করা হয়। এছাড়াও একই এলাকার আব্দুর রহমান এর ছেলে হারুন অর রশিদ এবং ধন্যদৌল এলাকার মনু মিয়ার ছেলে মজিবুর রহমান সুজন-কে মদ্য পানের অপরাধে যথাক্রমে ১ মাস ও ১৫ দিন করে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
আজ ভোর ৫ টায় ডিএনসি- কুমিল্লার পরিদর্শক মোঃ শরিফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি টিম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন সাদমান হোসেন এর নেতৃত্বে ২১ জন সেনা সদস্যের একটি টিম এবং সশস্ত্র আনসার সদস্যগণ উক্ত অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামি মোখলেছ মিয়া এর বিরুদ্ধে পরিদর্শক মোঃ শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
আসন্ন ঈদ-উল আযহা ২০২৫ উপলক্ষ্যে পশুরহাটের ইজারাদারদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।
শনিবার (৩১ মে ) বেলা ১১ টায় কুমিল্লার পুলিশ লাইন্স ড্রিলসেট শহীদ আরআই এ.বি.এম আবদুল হালিম মিলানায়তনে আসন্ন ঈদ-উল আযহা ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে পশু হাটের ইজারাদারদের সাথে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন ।
উক্ত মতবিনিময় সভায় কুমিল্লা জেলার ১৮টি থানার পশুর হাটের ইজারাদারগণ উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত আলোচনা সভায় পশু হাটের ইজারাদারগণ তাদের বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধা ও পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে মতামত ব্যক্ত করেন। পরবর্তীতে পুলিশ সুপার পশুর হাট সংক্রান্তে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি ও হয়রানি রোধ, জালটাকা সনাক্তের জন্য মেশিন স্থাপন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়সহ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, কুমিল্লার ১৮টি থানা এলাকায় এই বছর স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে সর্বমোট ৪০৯টি পশুর হাট বসবে।
উক্ত মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) রাশেদুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শামীম কুদ্দুস ভূঁইয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ সাইফুল মালিকসহ কুমিল্লা জেলার সকল সার্কেল অফিসার এবং সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ।
মন্তব্য করুন


খাগড়াছড়িতে ঝড়-বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে
মা-ছেলেসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
রবিবার (৫ মে) ভোরে জেলার দীঘিনালা,
রামগড় ও মাটিরাঙ্গায় এসব ঘটনা ঘটে।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বজ্রপাতে টিনের
ঘরে আগুন লেগে মা-ছেলে নিহত হয়েছেন। ভোরে দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের মধ্যবেতছড়ি গ্রামে
এ ঘটনা ঘটে।
বজ্রপাতে নিহতরা হলেন- দীঘিনালার মধ্যবেতছড়ির
মো: ছাদেক মিয়ার স্ত্রী হাসিনা বেগম (৩০) ও তার ছেলে হানিফ মিয়া (৮)। ঘটনার সময় হাসিনা
বেগমের স্বামী ছাদেক মিয়া বাড়িতে ছিলেন না। খবর পেয়ে দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা
ঘরের আগুন নিভিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানান, ভোরে ভারি বৃষ্টির
সঙ্গে বজ্রপাতে ছাদেক মিয়ার মাটির ঘরের টিনের চালে আগুন লেগে যায়। এ সময় ঘরের ভেতরে
থাকা তার স্ত্রী হাসিনা বেগম ও ছেলে হানিফ মিয়া আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়ে মারা যান। তবে
এ সময় সঙ্গে থাকা তার আরেক ছেলে মো: হাফিজ (১১) প্রাণে বেঁচে যায়।
দীঘিনালা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) মো: নুরুল হক জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া
হবে।
এদিকে খাগড়াছড়ির রামগড়ে বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টির
সময় বাড়ির উঠানে থাকা দুটি গরুসহ গনেজ মারমা (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। ভোরে
রামগড়ের দুর্গম হাজাছড়া পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বজ্রপাতে নিহত গনেজ মারমা দুর্গম হাজাছড়া
গ্রামের বাসিন্দা কংজ মারমার ছেলে।
একইদিন মাটিরাঙ্গায় বজ্রপাতে সুমিকা
ত্রিপুরা (২৭) নামে এক গৃহিণী নিহত হন। এসময় তার দুই ছেলে আহত হয়। এছাড়া তার ঘরে থাকা
তিনটি ছাগল মারা যায়। সুমিকা ত্রিপুরা মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়নের শশীকারবারী পাড়ার
বাসিন্দা সুশেন ত্রিপুরার স্ত্রী। তার দুই ছেলে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
চিকিৎসাধীন আছে।
বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রহমত
উল্যাহি বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানান, এ মৃত্যু বড়ই মর্মান্তিক। মাটিরাঙ্গা
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের পরিবারকে সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন


সীমান্ত এলাকায় মানব পাচারকারী আপন
মিয়াসহ তার সহায়তায় ৩ জন বাংলাদেশী নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশ হতে ভারতে যাওয়ার সময়
সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি), কুমিল্লা তাদের আটক করে।
আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) এর অধীনস্থ শশীদল বিওপির টহল দল
সীমান্ত এলাকায় টহল পরিচালনাকালে সীমান্ত পিলার ২০৫৮/এম হতে আনুমানিক ১০ গজ বাংলাদেশের
অভ্যন্তরে নারায়নপুর নামক স্থানে মানব পাচারকারী সদস্য মোঃ আপন মিয়াকে আটক করে। এসময়
তার সহায়তায় অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় মোঃ বজলুল আমিন, মোঃ মামুন মিয়া ও মোঃ
তারিকুল ইসলামকে মৌলভীবাজার এলাকা থেকে পাসপোর্টবিহীন অবস্থায় বিজিবি টহল দল আটক করে।
আটককৃতরা হলো: কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া
থানার নারায়নপুর গ্রামের মোঃ ফয়েজ আহম্মেদ এর ছেলে মোঃ আপন মিয়া (২২), হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার
শতকবাজার গ্রামের জয়তুন মিয়ার ছেলে মোঃ বজলুল আমিন (২০), একই এলাকার মোঃ আব্দুল মান্নান
এর ছেলে মোঃ মামুন মিয়া (১৯) এবং মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানার নারায়নপুর গ্রামের
মোঃ মনির মিয়ার ছেলে মোঃ তারিকুল ইসলাম (২২)।
উক্ত আটককৃত ব্যক্তিদেরকে বিজিবি টহল
দল প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে, মানব চোরাচালানকারীর সদস্য মোঃ আপন মিয়া
এর সহায়তায় উল্লিখিত ৩ জন বাংলাদেশী নাগরিক অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল।
উক্ত ব্যক্তিদের নিকট হতে তাদের ব্যবহৃত ৪টি এ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন জব্দ করে।
আটককৃতদের কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া
থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার মতো কুমিল্লা
জেলাতেও চলছে শিক্ষার্থীদের বাজার মনিটরিং।
শনিবার ১১ই আগস্ট কুমিল্লা জেলা ভোক্তা
অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর শিক্ষার্থীদের নিয়ে করেছে বাজার মনিটরিং।
এদিন সকালে কুমিল্লার নিউমার্কেট এলাকায়
শিক্ষার্থীদের কে নিয়ে বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করেন কুমিল্লা জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
এসএসসি
পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছেন ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থী অনামিকা দেবনাথ।
মোট ১৩০০ নম্বরের মধ্যে অনামিকার প্রাপ্ত নম্বর ১২৬৪।
অনামিকার
বাড়ি কুমিল্লা নগরীর দিগম্বরীতলা এলাকায়। পড়ালেখার সূত্রে ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজেই
থাকতো সে।
অনামিকার
বাবা দিলীপ কুমার দেবনাথ ঢাকায় একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন এবং মা বীণা
দেবনাথ কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ঝাকুনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা।
মন্তব্য করুন