

টাঙ্গাইলে জুয়া খেলা ও মাদক সেবনকালে যৌথবাহিনীর অভিযানে সদর বিএনপির সভাপতি আজগর আলীসহ ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান চালানো হয়।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে শহরের কিছু এলাকায় জুয়া খেলা ও মাদক সেবনের অভিযোগ ছিল। যৌথবাহিনীর অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৩৫ জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। এ সময় জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন:
১. আজগর আলী (৫০), পিতা: মৃত আব্দুল মজিদ, গ্রাম: পাতুলিয়া, টাঙ্গাইল।
২. রক্ষিত (৫৫) বিশ্বজিৎ, পিতা: বিধুন ভূষণ লক্ষ্মী, গ্রাম: কালিবাড়ি, টাঙ্গাইল।
৩. মো: শাহ আলম খান মিঠু (৫৫), পিতা: আব্দুর সবুর খান (বীর বিক্রম), গ্রাম: পূর্ব আদালত পাড়া, টাঙ্গাইল।
৪. জসিম উদ্দিন (৫৭), পিতা: মৃত কোবাদা আলি, গ্রাম: পাট দিঘলিয়া, টাঙ্গাইল।
৫. গোলাম মাওলা (৪৮), পিতা: আব্দুল কাদের, গ্রাম: খুদর জুগলি, ডাক: বাখিল, টাঙ্গাইল।
৬. শাহিন আহমেদ (৫০), পিতা: মৃত বদিল আহমেদ, গ্রাম: থানা পাড়া, টাঙ্গাইল।
৭. আবু জাফর খান (৪৪), পিতা: আমজাদ হোসেন, গ্রাম: থানা পাড়া, টাঙ্গাইল।
৮. মো: আব্দুর রশিদ (৫৫), পিতা: হাজি মোহাম্মদ ওমর আলী, গ্রাম: বিশ্বাস বেতকা, টাঙ্গাইল সদর।
৯. মঈন খান (৬০), পিতা: মৃত খাদেম আলী, গ্রাম: আকুর টাকুরপাড়া, টাঙ্গাইল।
১০. মোস্তফা কামাল (৫৮), পিতা: মৃত ইসমাইল, গ্রাম: করোটিয়া, টাঙ্গাইল।
১১. বিশ্বনাথ ঘোষ (৫৪), পিতা: মৃত মন্টু চন্দ্র ঘোষ, গ্রাম: সাকলিয়া, টাঙ্গাইল।
১২. একে এম মাসুদ (৫৫), পিতা: মিনহাজ, গ্রাম: সাকলিয়া, টাঙ্গাইল।
১৩. শিপন (৫৮), পিতা: মৃত শামসুল হক, গ্রাম: বিশ্বাস বেতকা, টাঙ্গাইল।
১৪. শফিকুল ইসলাম (৬০), পিতা: মৃত শহীদুল্লাহ, গ্রাম: আকুর টাকুরপাড়া, টাঙ্গাইল।
১৫. এস এম ফরিদ আমিন (৫৫), পিতা: মৃত নুরুল আমিন, গ্রাম: বেপারী পাড়া, টাঙ্গাইল।
১৬. কবির হোসেন (৫০), পিতা: মৃত জসীমউদ্দীন, গ্রাম: আকুর টাকুরপাড়া, টাঙ্গাইল।
১৭. মোশারফ উদ্দিন (৫০), পিতা: মৃত রফিক উদ্দিন, গ্রাম: আদালত পাড়া, টাঙ্গাইল।
১৮. হাবিল উদ্দিন (৪০), পিতা: মৃত আব্দুল হানিফ, গ্রাম: বরাট, ডাক: ঘারিন্দা, টাঙ্গাইল।
১৯. মহব্বত আলী (৫৫), পিতা: মৃত শওকত, গ্রাম: বিশ্বাস বেতকা, টাঙ্গাইল।
২০. জাহিদ (৪৪), পিতা: মৃত মজিদ মসজিদ, গ্রাম: আকুর টাকুরপাড়া, টাঙ্গাইল।
২১. প্রিন্স খান (৬৫), পিতা: মনিরুজ্জামান, গ্রাম: থানাপাড়া, টাঙ্গাইল।
২২. সৈয়দ শামসুদ্দোহা (৪৫), পিতা: মৃত কামরুল, গ্রাম: থানাপাড়া, টাঙ্গাইল।
২৩. রফিকুল (৫৫), পিতা: আলিম, গ্রাম: আদালত পাড়া, টাঙ্গাইল।
২৪. বিশ্বজিৎ (৪৫), পিতা: বিজু, গ্রাম: বানিয়াবাড়ি, টাঙ্গাইল।
২৫. সাদেকুর (৫০), পিতা: গোলাম রব্বানী, গ্রাম: পাড় দিঘলী, টাঙ্গাইল।
২৬. সেলিম (৪৫), পিতা: আব্দুর রশিদ, গ্রাম: কাজিপুর, টাঙ্গাইল।
২৭. হাসান আলী (৫০), পিতা: ফেরদৌস, গ্রাম: পূর্ব আদালত পাড়া, টাঙ্গাইল।
২৮. রফিক (৪০), পিতা: মৃত জসিম, গ্রাম: বিশ্বাস বেতকা, টাঙ্গাইল।
২৯. শাহ আলম (৫৫), পিতা: সবুর খান, গ্রাম: পূর্ব আদালত পাড়া, টাঙ্গাইল।
৩০. সিরাজুল (৪৫), পিতা: মৃত রফিক, গ্রাম: পূর্ব আদালত পাড়া, টাঙ্গাইল।
৩১. আশিকুর রহমান (৪৬), পিতা: রউফ, গ্রাম: বিশ্বাস বেতুকা, টাঙ্গাইল।
৩২. শফিক (৫২), পিতা: মৃত সেফাত আলী, গ্রাম: আদি টাঙ্গাইল, টাঙ্গাইল।
৩৩. আখতারুজ্জামান (৪৩), পিতা: মৃত গফুর, গ্রাম: বিশ্বাস বেতকা, টাঙ্গাইল।
৩৪. আরমান (৪৩), পিতা: মৃত শওকত, গ্রাম: আশেকপুর, টাঙ্গাইল।
৩৫. শামসুল (৫৬), পিতা: মিরাজুল, গ্রাম: ছয়আনি পুকুরপাড়, টাঙ্গাইল।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা সদরের আলেখারচর এলাকায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত একটি বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও নগদ অর্থসহ মোঃ রাশিদ নামের একজনকে আটক করা হয়েছে ।
এ সময় তার কাছ থেকে ২৯০ পিস ইয়াবা, ৫০ কেজি গাঁজা, ৮০ বোতল ফেনসিডিল, ৫৯ ক্যান বিয়ার, দুটি মদের বোতল, নগদ ১,৭৩,৫৩০ টাকা এবং ২টি
পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। এ সময় রফিকুল ইসলাম নামের একজন পালিয়ে যায়।
গতকাল শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাত ১১ টায় সেনাবাহিনী এই অভিযান পরিচালনা করেন।
আটককৃত মোঃ রাশিদ ঢাকার মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পের ব্লক-এ এর মোঃ শামীমের ছেলে
পলাতক রফিকুল ইসলাম নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী এলাকার তুসহি গ্রামের সৈয়দ আহমেদের ছেলে।
আটককৃত আসামিকে মাদকদ্রব্য ও অন্যান্য আলামতসহ আইনগত প্রক্রিয়ার জন্য কোতয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে সেনাবাহিনী সূত্র জানায়।
মন্তব্য করুন


অভিনব
কায়দায় কুমড়া শাকের আড়ালে গাঁজা পাচারকালে ডিএনসি- কুমিল্লার হাতে ১৩ কেজি গাঁজাসহ
আটক দুই নারী।
ডিএনসি
কুমিল্লার উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এরঁ সার্বিক তত্বাবধানে ও উপ-পরিদর্শক মো:
মুরাদ হোসেন এর নেতৃত্বে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১৩ কেজি গাঁজাসহ দুজন নারী
মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।
আজ
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন নিমসার বাজারস্থ গাড়ীচালকদের
বিশ্রামাগারের সামনে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা হতে ঢাকাগামী Asia Aircon নামের
বাসে তল্লাশি করে ৭ কেজি গাঁজাসহ জাহানারা (৫০) নামের একজন আসামিকে আটক করা হয়। আটককৃত
আসামি কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার কাশিপুর গ্রামের মৃত শরীফ আলীর মেয়ে। একই বাস তল্লাশি
করে ৬ কেজি গাঁজাসহ জুবেদা বেগম (৪৭) নামের একজন আসামিকে আটক করা হয়। উক্ত আসামি গোপালগঞ্জ
জেলার মকসুদপুর থানাধীন গোবাহাড়া এলাকার মৃত ইয়াদ আলী মোল্লার মেয়ে।
আসামীদের
বিরুদ্ধে উপপরিদর্শক মোঃ মুরাদ হোসেন বাদী
হয়ে বুড়িচং থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মন্তব্য করুন


সাবেক
প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ৮০ তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ ।
এ
উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লা নগরীর ১৩ নং ওয়ার্ড নানুয়া দিঘি ফাতেমা হুমস এর
নিচে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানটি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মাসুক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোঃ মনিরুল হক সাক্কু ।
কুমিল্লা
দক্ষিণ জেলা বিএনপির সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কুমিল্লা মহানগর ১৩ নং ওয়ার্ড শাখার নেতৃবৃন্দের সাথে
একটি মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন


নরসিংদীর রায়পুরায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ রোববার (২ নভেম্বর) সকালে রায়পুরা থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতদের মা জোছনা বেগম। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন নিহতের চাচি শরীফা বেগম, চাচাতো বোন আরজিনা ও আসমা আক্তার।
পুলিশ জানায়,গত শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে রায়পুরা উপজেলার চরসুবুদ্ধি গ্রামে ২০ বছর আগের পাওনা ১ হাজার ৭০০ টাকার পরিপ্রেক্ষিতে বাড়ির জমি দাবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে চরসুবুদ্ধি এলাকার মৃত আবু তাহেরের ছেলে হরুণ আলী ওরফে ফুরা মিয়া (৪০) এবং তার ছোট ভাই শাকিল মিয়াকে (৩০) তাদেরই চাচাতো ভাইয়েরা কুপিয়ে হত্যা করে।
ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করে। পরবর্তীতে বাদীপক্ষের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, রায়পুরা থানায় দায়ের করা মামলায় নিহতদের চাচা আব্দুল আউয়াল, চাচাতো ভাই রিপন, শিপন, চাচি শরীফা বেগমসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করা হয়েছে। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন


ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে অপহরণের একদিন পর এক কলেজ ছাত্রীকে (১৭) উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ সময় অপহরণকারী সদস্যদের মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার রাতে অপহরণের ঘটনায় ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা থানায় মামলা করলে বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার সাতপাড় এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক বাবুল হোসেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কলেজে আসা যাওয়ার পথে বাইখির-বনচাকী গ্রামের দিবস সরকার (২২) প্রতিনিয়ত প্রেমের প্রস্তাব ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ওই ছাত্রী কলেজে অটোযোগে যাওয়ার পথে সকাল ১১টার দিকে কলেজের গেটের সামনে থেকে দিবস তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে ওই ছাত্রীর মুখে গামছা বেধে সাদা রঙের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যায়। বুধবার রাতে অপহরণের ঘটনায় ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে চতুল ইউনিয়নের বনচাকী বাইখির গ্রামের দিবস সরকার (২২), পিজুস বিশ্বাস (২০), অসিম বিশ্বাস (৪৫) ও গুনবহা গ্রামের রমেশ পালকে (২৭) আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলায় আরো ২-৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলা নম্বর ৩৪।
মামলার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার সাতপাড় এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে ওই কলেজ ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অপহরণ হওয়া ওই কলেজ ছাত্রীকে বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার সাতপাড় এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
এ সময় মামলার ১ নম্বর আসামি দিবস সরকারকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ওই কলেজ ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৭২০ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি কাভার্ডভ্যানসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ।
গতকাল (২ জুলাই) রাতে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ত্রিনাথ সাহার নেতৃত্বে এসআই নাজিম উদ্দিন ভূইয়া ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রাম মুখী লেনে আলকরা ইউনিয়নের পদুয়া বাজারের পাকা রাস্তায় একটি কাভার্ডভ্যান আসতে দেখে থামানোর সংকেত দেয়। এমতাবস্থায় কাভার্ডভ্যান এর চালক এবং হেলপার পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গাড়ি বন্ধ করে পালানোর সময় জনগন ও সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় আসামী ১। বাবুল সিকদার ড্রাইভার, ২। মোঃ সাদেক হেলপারকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় জনগনের উপস্থিতিতে কাভার্ডভ্যানটি তল্লাশি করে কাভার্ডভ্যানের ভেতর থেকে ৭২০ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করা হয়।
আসামীদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন যে, তারা গাড়িযোগে ফেন্সিডিল আমানগন্ডা কবরস্থানের সামনে থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাচ্ছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: ১। বাবুল সিকদার (ড্রাইভার) (৪০), পিতা-আব্দুর রহমান সিকদার, মাতা-মৃত জাহানারা বেগম, সাং-বড় বয়রা, থানা-সোনাডাঙ্গা, কেএমপি, খুলনা।
২। মোঃ সাদেক হেলপার (৩৪), পিতা-মোঃ কাশেম, মাতা-রোকসানা বেগম, সাং-চরপাড়া, থানা-পতেঙ্গা, সিএমপি, চট্টগ্রাম।
উক্ত ঘটনায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন


জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম উত্তর প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর সীমান্ত দিয়ে ৯ নারী পুরুষ ও শিশুকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাত সাড়ে তিনটার দিকে ওই সীমান্তের ৯৪৫ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের পাশ দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়া হয়। পরে কাশিপুর ক্যাম্পের বিজিবির সদস্যরা ঠেলে দেয়া ওই ৯ নারী পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফুলবাড়ী থানায় হস্তান্তর করে।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধীন কাশিপুর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার জাহিদ জানান, ভারতীয় খেতাবের কুটি ও ঝিকরী ক্যাম্পের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে বিএসএফ ওই ৯ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করে। পরে আমরা টহলরত বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী থানায় হস্তান্তর করি।
পুশইন হওয়া ওই ৯ জন হলেন, বাইদুল ইসলাম (৬৫), তার স্ত্রী মোছা: আমিরন বেগম (৪৫) মেয়ে রুমি খাতুন (২০) জামাতা আপেল (২৯) নাতি হৃদয় (৩), মোছা: মিনা বেগম (৩০) স্বামী জয়নাল আবেদীন তার মেয়ে জুই (১০) মীম (৭) এবং নুর হামিদ (৭) পিতা আমিনুল ইসলাম সকলের গ্রাম চন্দ্রখানা বজরের খামার উপজেলা ফুলবাড়ী জেলা কুড়িগ্রাম।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, দুপুরে বিজিবি পুশইন হওয়া ৯ জনকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী থানায় হস্তান্তর করেছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী এন্ট্রি করা হয়েছে। পরে সকলের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বজনদের জিম্মায় তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
এসএসসি
(মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট) পরীক্ষার ফলাফলে এবছর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকে সর্বোচ্চ
নম্বর অর্জনের কৃতিত্ব গড়লেন তাসনুবা ইসলাম তোহা।
নগরীর
নবাব ফয়েজুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে এসএসসি পরীক্ষায়
অংশ নেয় তাসনুবা।
পরীক্ষার
সর্বমোট ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২৬১ নম্বর পেয়ে কুমিল্লা বোর্ডে সর্বোচ্চ নাম্বার পাওয়ার
রেকর্ড অর্জন করে।
কুমিল্লা
দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার গ্রামের মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়ার কন্যা তাসনুবা
ইসলাম তোহা।
তোহার
এ অর্জনে পুরো পরিবার, শিক্ষক, সহপাঠী সকলে খুশি। স্কুল জুড়ে আনন্দের জোয়ার বইছে।
তাসনুবা
ইসলাম তোহা বলেন, আল্লাহর নিকট শুকরিয়া। পরিশ্রমের প্রতিদান পেয়েছি। আমার এ অর্জনের
পেছনে মা-বাবা স্কুলের শিক্ষকদের অবদান অনস্বীকার্য। আমি ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে দেশের
সেবায় নিয়োজিত হতে চাই।
মন্তব্য করুন


চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ফেলে যাওয়া সেই কন্যা সন্তানের বাবা-মায়ের সন্ধান মিলেছে। তারা নিজেরাই সন্তানের কাছে ফিরে এসেছেন। প্রশাসনের মাধ্যমে শুক্রবার রাতে কন্যা সন্তানকে ফিরে পান প্রকৃত বাবা-মা। বর্তমানে ওই নবজাতক ও মা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল পৌঁনে ৮টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় পাপিয়া খাতুন। সেখান থেকে তাকে গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ওয়ার্ডে থাকা অবস্থায় বাচ্চাকে পাশের আরেক রোগীর স্বজন বিলকিস বানুর কাছে রেখে পালিয়ে যান মা ও স্বজনরা।
সেসময় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাপিয়া-আলমগীর দম্পতির ঘরে আরও তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এ নিয়ে চতুর্থবার কন্যা সন্তান হওয়া নাবজাতককে পরিত্যাগ করেন তারা। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ, প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদপ্তর নবজাতককে হাসপাতালের তত্বাবধায়নে রাখে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তেই।
এর পরদিন গতকাল শুক্রবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফামেত তুজ জোহরার সাথে যোগাযোগ করেন নাবজাতকের বাবা। পরে সকল প্রক্রিয়া ও যাচাই-বাছাই শেষে নবজাতককে প্রকৃত বাবা-মায়ের কাছে হস্তান্তর করে প্রশাসন। বর্তমানে নবজাতক ও মা হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন আছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে নিজেদেরকে আলমডাঙ্গা উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের পাপিয়া-আলমগীর দম্পতি হিসেবে পরিচয় দেন। সে পরিচয় অনুসন্ধান করে কাউকে খুঁজে পায়নি পুলিশ। পরে দেখা যায় তাদের নাম ঠিক থাকলেও ঠিকানার তথ্য ভুল দেয়া হয়েছে। তাদের প্রকৃত ঠিকানা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিহি কেষ্টপুর গ্রামে। আর এটি তাদের চতুর্থ কন্যা সন্তান নয়, তৃতীয় কন্যা সন্তান।
নবজাতকের বাবা আলমগীর হোসেন বলেন, গর্ভবতী অবস্থায় আমার স্ত্রী পাপিয়া খাতুন তার মায়ের বাড়ি আলমডাঙ্গার পুটিমারী গ্রামে ছিল। হাসপাতালের আসার সময় তারা আমাকে জানিয়েছে যে, আমার বাচ্চাটি আর বেঁচে নেই। আমি ধরেই নিয়েছি আমার বাচ্চা মরে গেছে।
নবজাতকের মা পাপিয়া খাতুন বলেন, আমার স্বামীকে বোঝানোর জন্য বাচ্চার মৃতের কথা বলেছিলাম। আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা জানান, প্রকৃত অভিভাবকের কাছে নবজাতককে হস্তান্তর করা হয়েছে। এজন্য তাদের কাছ থেকে লিখিত নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ওই নবজাতকের খোঁজখবর রাখবে প্রশাসন।
মন্তব্য করুন


তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা:
কুমিল্লা মহেশাঙ্গণ শ্রী শ্রী লোকনাথ স্মৃতি তর্পণ সংঘের সাধারণ সম্পাদক হারাধন ভৌমিক ও কুমিল্লা সরকারি কলেজের প্রাক্তন ভিপি চিত্তরঞ্জন ভৌমিক এর গর্ভধারিনী মাতা এবং চট্টগ্রাম মিরসরাই উপজেলার আবুতোরাবস্থিত শ্রী শ্রী জগন্নাথ ধাম, শিব মন্দির ও কালীমাতা বিগ্রহ বাড়ী পরিচালনা পরিষদের প্রাক্তন উপদেষ্টা স্বর্গীয় গোপাল কৃষ্ণ ভৌমিক এর সহধর্মিণী এবং শ্রী শ্রী মা নয়নমণি শ্রীধাম পরিচালনা পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা শ্রী মিহির কান্তি নাথের শাশুড়ী মাতা স্বর্গীয় কিরণ বালা ভৌমিক এর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) মৃতার নিজ বাসায় শ্রাদ্ধকার্য অনুষ্ঠিত হয়।
তদুপলক্ষে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শেষে পরদিন শুক্রবার দুপুরবেলা কুমিল্লা মহেশাঙ্গণে শাকান্নভোজ এর আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ যে, চলতি বছর ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার প্রয়াত কিরণ বালা ভৌমিক বার্ধক্যজনিত কারণে ইহলোকের মায়ামমতা ত্যাগ করে পরলোকগমন করেন। তিনি মৃত্যুকালে হারাধন ভৌমিক, চিত্তরঞ্জন ভৌমিক, অমূল্য ধন ভৌমিক, পূর্ণধন ভৌমিক, জর্নাধন ভৌমিককে ০৫ (পাঁচ) পুত্র এবং বর্ণানী ভৌমিক ও জয়ন্ত ভৌমিককে (০২) দুই কন্যা, পুত্রবধূ, নাতি-নাতনি ও আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
মন্তব্য করুন